একটু_একটু_ভালোবাসি
পর্বঃ০৮,০৯
লেখিকাঃ শাদিয়া_চৌধুরী_নোন
পর্বঃ০৮
সেদিন ছিলো বৃহস্পতিবার। সকালের দিকে সিরাতের মাথা ব্যাথা করছিলো ভীষণ। তাই সে আর কলেজে গেলো না। বেলা বারোটার ঘরে আসতেই তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলো। ইফতি স্কুল থেকে ফেরার পর সে, তানিশা আর ইফতি মিলে বেশ মজা করে সময় কাটালো। ভ্যাপসা গরমে সিদ্ধ হওয়া উপক্রম। মা রান্নাঘরে ঢোকার আগেই তানিশা গরম গরম পাকোড়া আর পেঁপে জোস বানিয়ে পরিবেশন করলো। হাফটাইম হওয়ায় সিরাতের বাবাও আজ তাড়াতাড়ি চলে এলেন। সবাই মিলে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর্বও শেষ হলো।
বিকেলে ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা। এক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ইয়া বড় বড় কার্টনে নাস্তা, ফ্রুট আর কোমল পানীয় নিয়ে সিরাতদের ফ্লাটের দরজার সামনে হাজির। সিরাত’রা পরিবারের সবাই মিলে তখন টিভি দেখছিলো ড্রয়িংরুমে। বাড়িতে হঠাৎ করে আগাম কোনো কথা ছাড়া মেহমান আসায় সিরাতরা বেশ এলোমেলো হয়ে পড়লো। ভেবেছিলো পাশের বাড়ির কোনো মানুষ। দরজার সামনে অপরিচিত মহিলাকে দেখে তাড়াতাড়ি মাথা ওড়নায় ঢেকে সালাম দিয়ে দরজার কর্ণারের সোফায় বসে থাকা মা’কে ইশারা করলো । সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে তাড়াতাড়ি প্রস্থান গমন করলো সে। তানিশা আর ইফতিও ট্রে আর গ্লাস উঠিয়ে সিরাতের পেছন পেছন দ্রুতপায়ে চলে গেলো। আর সিরাতের বাবাও টিভি বন্ধ করে নিজের রুমে চলে এলেন। উৎসবমুখর পরিবেশটা হঠাৎ করে কেনো যেন থমথমে নীরবতায় ছেয়ে গেলো।
দরজার সামনে দাঁড়ানো ভদ্রমহিলাকে দেখেই সিরাতের মা’র মুখে হাসি ফুটলো। মহিলাকে তিনি চেনেন না। ভুল করে আসলো নাকি? মুখে হাসি এঁটে তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
—- আপনি কি এখানেই আসছেন? ভুল ঠিকানায় আসেন নাই-তো?
—– আমি মাহফুজা আইভি। আপনি কি সিরাতের মা? আমি আনজুমান সিরাতের বাড়ি এসেছি। আমি যদি ভুল না করি, এটা কি সিরাতের বাড়ি নয়?
মহিলার কথা বলার ধরন দেখে সিরাতের মা চমকে গেলেন। ধারণা করলেন মহিলা বেশ শিক্ষিত এবং মার্জিত। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়লেও কণ্ঠ শুনলে মনে হবে ষোড়শী কিশোরী। চমকিত চোখে তিনি আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করলেন। পায়ের কাছে নাস্তার বহর দেখে চোখ গোলগোল আকার ধারন করলো উনার। কৌশলী চোখে বোরকাটা দেখে অনুমান করলেন, মহিলা বেশ সম্ভ্রান্ত পরিবারের। একহাতে কালো চকচকে ঘড়ি দিয়ে ভাবলেন, মহিলা হয়তো শৌখিন নয়তো সময়জ্ঞান সচেতন মানুষ। তিনি মুখে আবারো একগাল হাসি নিয়ে বললেন,
—- আমি সিরাতের মা। এটাই আমাদের বাসা। আপনি ভেতরে আসেন…..
—- আমি জানতাম এটাই সিরাতের বাসা। চলুন তাহলে, ভিতরে যাওয়া যাক।
—-আসেন….
সিরাতের মায়ের মুখে বিশ্বজয়ের হাসি। এই মহিলা সিরাততের জন্য সম্বন্ধ নিয়ে এসেছে নিশ্চিত। কি মার্জিত ব্যবহার, ধনীও মনে হয় এমন একটা ঘরে যদি সিরাতটার বিয়ে দিতে পারি আর কোনো চিন্তা থাকবে না।
জৈনক ভদ্রমহিলা মাহফুজা আইভি সিরাতের মায়ের সাথে খেজুরে আলাপ শুরু করে দিলেন। যেকোনো মানুষকে কয়েকমিনিটের মধ্যে আপন করে নেওয়ার অভাবনীয় ক্ষমতা আছে তাঁর। সিরাতের মা’কে খুব সহজেই নিজের ভক্ত বানিয়ে নিলেন। তবে তিনি কোনো খেজুরে আলাপ করতে আসেননি। স্বয়ং নিজের একমাত্র ছেলের বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছেন। ছেলে তার সিরাতকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছে। সিরাতের বাবার সাথে আলাপে বসলেন এবার। কয়েক মিনিটের মধ্যে সিরাতের বাবা খুব ভেবে-চিন্তে, কাল ছেলেকে সহ দাওয়াত করলেন। স্বামীর সম্মতিসূচক ইঙ্গিত পেয়ে সিরাতের মা আহ্লাদে আটখানা যেন। সিরাতের জন্য হঠাৎ এতবড় বাড়ি থেকে সম্বন্ধ আসা, সিরাতের বাবার গোপন সম্মতি, কাল ছেলেসহ নিমন্ত্রণ সব যেন কেমন কাকতালীয় ভাবে ঠিক হয়ে গেলো।
অন্যদিকে এসব শোনে সিরাতের মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়লো। এ কি শুনছে ও? এটা কীভাবে সম্ভব? সব না শোনেই হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলো সে। কাল ছেলে আসবে শুনে ভয়ে থম মেরে বসে রইলো কিছুক্ষণ। কি হবে এবার? হুট কটরে এসব কি হয়ে গেলো!
চলবে…
#একটু_একটু_ভালোবাসি
#পর্বঃ০৯
লেখিকাঃ #শাদিয়া_চৌধুরী_নোন
পরদিন সকাল থেকেই সিরাতের অস্থিরতা বেড়ে গেলো। তার মনে হচ্ছে, এইবার আর কোন রক্ষা নেই৷ বাবা বোধহয় রাজি হয়েই যাবে। ভাবতেই ঠোঁট উল্টে কাঁদার উপক্রম হলো সিরাতের। গতকাল রাতেও এইসব নিয়ে চিন্তা করতে করতে ঘুম হয়নি। ছেলে আসবে শোনে, কোনো কারণ ছাড়াই সিরাত লজ্জা পাচ্ছে। ছেলের সামনে আসতে বললে কি হবে? আলাদা কথা বলতে দিলে কি হবে তখন, এসব মাথায় নিয়ে সে লজ্জায় একেবারে নুইয়ে পড়ছে। তানিশা সিরাতের এমন অবস্থা দেখে তানিশা হেসে কুটিকুটি। হাসতে হাসতে সে বললো,
—– তোকে কি প্রথমবার পাত্রপক্ষ দেখতে আসছে নাকি? কিছুক্ষণ আগে দেখলাম কাঁদছিস, এখন দেখছি লজ্জায় একেবারে লাল হয়ে গেছিস কি ব্যাপার হুম?
সিরাত তানিশাকে জড়িয়ে ধরলো,
—– আন্টি! এইবারের ব্যাপারটা আলাদা। আব্বু মত দিয়ে দিয়েছে। সব ঐ মহিলার দোষ। আন্টি, উনারা একটুপরই চলে আসবে। আমি কি করবো?
তানিশা বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়লো,
—- সবই তো বুঝলাম কিন্তু তোর ঐ সাইকো’টা কোথায়? আমি যা বুঝেছি, এতো সহজে কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নয় সে।
সিরাত আবার গাঁইগুঁই করে বললো,
—- উফফ আন্টি! এসব বলে ভয় আর বাড়িও না। ঐ লোকটার নাম শুনেও আমার ভয় করে। কখন কিভাবে কোথা থেকে, হুট করে সামনে চলে আসে আমিও নিজেও ঠাহর করতে পারি না। সবসময় রাত!রাত!রাত-পাত কি সব নামে ডাকে আমায়। ওওও আন্টি! আমি বিয়ে করবো না। প্লিজ কিছু করো।
তানিশা আবার বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়লো,
—- আমি তোর আন্টি, তুই আমার ভাতিজী। তাইনা?
—- হুম৷
—– ছেলে যদি সুবিধার মনে না হয়, এখানেই লেং মেরে ফেলে দেবো। বুঝেছিস? কোন ছেলে কেমন হয় জানা আছে আমার। খালি আসতে দে, আমি আর ইফতি মিলে ছেলেটাকে এমন অবস্থা করবো না! সব ভদ্রগিরি আমি ছুটিয়ে দেবো। বলে কিনা প্রথম দেখায় ভালোবাসা (মুখ ভেঙিয়ে) কচুর ভালোবাসা ছুটিয়ে দেবো।
সিরাত খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে চিন্তিত মুখ করে বসে রইলো। তানিশা মিথ্যে কথা বলে না। গ্রামের সকল ছেলের কাছে তানিশা মানেই ভয়। আস্ত একটা ছেলেদের গ্যাং নিয়ে ঘুরতো একসময়।
অন্যদিকে সিরাতের মা আজ সকাল থেকে রান্নাঘরে। উনাকে দেখে মনে হবে, রাঁধতে রাঁধতেই উনার জীবন অবসান হবে আজ। মুখ ঘামে একাকার। শাড়ির আঁচলে মুখ মুছছেন বারবার। সিরাত সাহায্য করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তিনি ধমক মেরে ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ সিরাতকে আজ কোনো কাজই করতে দেননি তিনি। একটু আগেই নিজ হাতে সিরাতকে লাল শাড়ি পড়িয়ে দিয়ে মোটামুটি একটা পুতুল বানিয়ে রেখে এসেছেন। তানিশা সাজিয়ে দিয়েছে ঘরোয়া সাজে। হেঁটে হেঁটে সিরাত যখন একটু আগে রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে গেলো, তা দেখেই উনার যেন সমস্ত ক্লান্তি উবে গেলো। মনে হলো যেন, আস্ত একটা পুতুল গুটিগুটি পায়ে হাঁটছে। শাড়ি সামলাতে গিয়ে তার অবস্থা নাজেহাল৷ মেয়েটাকে আজ ভীষণ সুন্দর লাগছে। লাল রঙটা খুব মানিয়েছে। তিনি আবার রান্নায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন। দুপুরের দাওয়াত। এক্ষুনি এসে পড়বে হয়তো। উফফ! সিরাতের বাবাটা সেই কখন দোকানে গেলো মিষ্টি কিনতে। এখনো এলো না! ইফতিটাও গেছে বাপের সাথে। গরমে নিশ্চয় এতক্ষণে ঝুল হয়ে নাক-মুখ লাল করে ফেলেছে। কি করছে কে জানে……
ঠিক দুপুর বারোটা বাজে বাড়ির কলিংবেল বেজে উঠলো। কলিংবেলের টোন পুরো ঘরময় প্রতিধ্বনিত হলো। সিরাতের গায়ে যেন কে কাটা মারলো। নিশ্চিত ওরা এসে গেছে। বিছানার চাদর শক্ত করে আঁকড়ে ধরে সে, অস্থির পায়ে নিজের রুমে পায়চারি করতে লাগলো। তানিশা একটু দূরে বসে একটা মিষ্টি মুখে পুরে সিরাতের কান্ড দেখছে। ইফতিও সিরাতের পেছন পেছন হাঁটছে। একটা মিষ্টি হাতে নিয়ে বোনকে বললো,
—- আপু আজ না তোমার বিয়ে? ধরো মিষ্টি খাও। আমি আর আব্বু অনেক দূর থেকে এই মিষ্টি এনেছি। খাও।
বিয়ে করলে মিষ্টি খেতে হয়।
সিরাত হাঁটা থামিয়ে ইফতির দিকে ভয়েভয়ে তাকিয়ে রইলো। তানিশা দিলে এক ধমক,
—- দিবো একটা চটকানা। ইফতিয়া! তোকে আজ তেতুল তলায় দিয়ে আসবো। তেতুল গাছের রাক্ষসীর সাথে তোকে বিয়ে দেবো। সাথে একটা মিষ্টির প্যাকেটও নিয়ে যাবি। দুজন মিলে ভাগ করে খাস। চল….
ইফতি বেচারা মিষ্টিটা হাতে নিয়ে নাদুসনুদুস শরীরে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। ছেলেটা একটু আগেই গোসল করে এসেছে। তার মায়ের ধারণায় ঠিক, ঠিকই গরমে ঘামে ভিজে নাক-মুখ লাল করে এসেছে। ওরা দুই ভাইবোনই একরকম। ফলস্বরূপ আবার গোসল করতে হলো।
সিরাতের মা অথিতি আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। মাত্রই গোসল সেড়ে স্বামীর সাথে কি একটা বিষয়ে আলাপ করছিলেন। কলিংবেলের শব্দ শুনে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দিলেন। মাহফুজা আইভি হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। পরণে ভারী জামদানী শাড়ি। গতকালের মতো উনার চেহারায় কোনো তাড়াহুড়ো নেই। উনাকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সিরাতের মা বললেন,
—– ভাবী, জামাই বাবা কোথায়?
জনাবা আইভি ভীষণ খুশি হলেন। ছেলেকে “জামাই” সম্বোধন করায় তিনি অনেককিছুই বুঝে গেলেন।
—- বেয়াইন, আপনার জামাইবাবা একটুপর আসবে। আমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে মহাশয় গেছে আড়িয়াল ঘের থেকে মিষ্টি কিনতে। জানেন তো ওখানকার জিনিস আমাদের শহরে একনামে পরিচিত।
—- এতদূর যাওয়ার কি দরকার ছিল?
সিরাতের মা হাসতে হাসতে বললেন। মুখে এমন বললেও মন খুশিতে ভরে গেলো। মিষ্টি তো স্থানীয় দোকান থেকেও কেনা যেতো। নিশ্চয়ই ছেলেটা ভালো। তিনি জনাবা আইভিকে নিয়ে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসলেন। ইফতি সালাম দিয়ে দরজার কোণা ধরে দাঁড়িয়ে রইলো।
—- আমি বললে সে যেতো না। আজ নিজ দায়িত্বে গেলো। যেটা যখন মনে আসবে তাই করবে সে, কারো কথা কানে নেবে না।হবু শ্বশুরবাড়ি বলে কথা।
তারা কথা চালিয়ে যেতে লাগলো। একসময় সিরাতের মা তানিশাকে জোরে ডাক দিয়ে বললেন,
—- তানিশা!!! টেবিলে জোসের ট্রে টা রেখেছি। সিরাতকে নিয়ে এখানে আয়।
এদিকে সিরাতের ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। শাড়ির আঁচলটা মাথায় দিয়ে সে ধীরপায়ে ড্রয়িংরুমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। রীতিমতো দাঁতে কিরমির করছে সে। তানিশা ট্রে হাতে নিয়ে ফিক করে হেসে দিলো।
—- তোর মতো কনে আমি এই জীবনে দেখিনি। পাগলী একটা! এতো ভয় পাওয়ার কি আছে?
তানিশা এতকিছু বোঝালো তারপরও সিরাত, মৃগীরোগীর ন্যায় কাঁপতে লাগলো। জনাবা আইভিকে সে পায়ে ধরে সালাম করে মায়ের পাশে মাথা নিচু করে বসলো। নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আড়চোখে আশেপাশে তাকালো। কি ব্যাপার?ছেলে আসেনি না-কি? স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে। এতোকিছুর পরও তার একটা বিষয় ভালো লাগলো। সামনে বসে থাকা ভদ্রমহিলা তাকে অন্যদের মতো হেঁটে দেখাতে বলেননি, চুলে হাত দেননি, খুব বেশি প্রশ্নও করলেন না। ভদ্রমহিলা বেশ আধুনিক মনমানসিকতার, কথার ধরন শুনেই বোঝা যায়।
হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠলো। জনাবা আইভির মোবাইলে কল এলো, তাঁর ছেলে নিচে এসেছে। মিষ্টি নিয়ে উপরে আসছে। কলিংবেল বাজার পর সিরাত তানিশার হাতটা শক্ত করে ধরলো। বুকের ভেতর ঢিপঢিপ আওয়াজ হচ্ছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিরাতের মা বললেন,
—- সিরাত তুই যা, দরজাটা খুলে দিয়ে জামাই বাবাকে নিয়ে ভেতরে নিয়ে আয়।
মাহফুজা আইভিও তাল মেলালেন,
—- হ্যাঁ মা, তুমিই যাও৷
সিরাতের চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো। তার মা ইচ্ছে করে এটা করেছে বেশ বুঝতে পারছে সে। তানিশার দিকে তাকাতেই, তানিশাও একটা চোখ টিপ দিয়ে বেস্ট অফ লাক জানালো। অতঃপর সিরাত শাড়ির কুচি সামলিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে, যুদ্ধে যাচ্ছে সে। কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে দিতেই, তার দিন দুনিয়া উল্টে পড়ার উপক্রম হলো।
চলবে





