আশিকী❤ #Madness_Of_Love,17,18

❤#আশিকী❤
#Madness_Of_Love,17,18
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_17

ভোর পাঁচটা,,,,

নিজের কল্পটা থেকে বেরিয়ে এলো আমাল। সূর্যের আলো পর্দা ভেদ করে ওর চোখে পরছে।এতক্ষণ বিছানার সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে ছিল ও। এক বছর আগের সব মুহূর্ত চোখের সামনে ভাসছিল।

হাতের রক্ত জমাট বেঁধে হাতেই লেগে গিয়েছে। ফ্লোরে পরে থাকা জিনিস যেমনটা তেমনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

আমাল ব্যথা হাত দিয়েই পকেট থেকে ফোন বের করলো। ফোনের গ্যালারিতে আমাল সানাহ আর আবিদের হাজারো স্মৃতি বন্দী।

প্রতিটা ছবিতে আবিদ আর আমালের গভীর বন্ধুত্ব আর আমাল আর সানার গভীর ভালোবাসা স্পষ্ট।

আমালের হাতের রক্ত ফোনের স্ক্রিনে ছবি গুলোতে লেগে যাচ্ছে।

আমালঃ আই উইশ আবিদ তুই আমার পাশে হতিস। যদি তুই আমার কাছে থাকতি সব কিছু কতটা ইজিলি হ্যান্ডেল করতি। যেভাবেই হোক আমার সানাহকে আমাকে ফিরিয়ে দিতি। আমি পারছি না রে একা ওর রাগ ভাঙাতে।

তুইও আমার উপর রাগ করে দূরে চলে গেলি। আই নিড ইউ এয়ার। কোথায় তুই প্লিজ কাম ব্যাক টু মি। বন্ধুত্বে তো ইগো আর রাগের কোন জায়গা থাকে না তাহলে আমাদের বন্ধুত্ব এতো সহজে কিভাবে ভেঙে গেল।

তোর কি আমার কথা একটুও মনে হয় না ভুলে গিয়েছিস তুই আমাকে সানার মতো। ( ছবি বুকে জড়িয়ে)

কিছুক্ষন এভাবেই বসে থেকে দাঁড়িয়ে যায় আমাল তারপর নিজেকে স্ট্রং করে বলতে শুরু করে,,,

আমালঃ নাহ আমার দূর্বল হলে চলবে না। ভূল যেহেতু আমি করেছি সেটাকে সুধরানোর দায় ও আমার। আমার শুধু সানাহকে না আবিদকেও ফিরিয়ে আনতে হবে। কারন বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা দুটোই আমার জীবনের পরিপূরক। এর মধ্যেই একটির অনুপস্থিতিও আমাকে অসম্পূর্ণ রাখে।

আমি হার মানবো না কিছুতেই না। ওদের অভিমান ভাঙিয়ে আবারো ফিরিয়ে আনবো। দিস ইজ মাই প্রমিস টু ইউ গাইজ আই উইল রিটার্ন ইউ ব্যাক টু মাই লাইফ।

সানাহ উঠে বারান্দায় চলে আসে। সেখানে গিয়ে ফুলের গাছ গুলোকে পানি দিচ্ছে ও। পানি দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আমালের বেলকুনির দিকে তাকাচ্ছে ও।

বারান্দার দরজা লাগানো তার মানে আমাল এখনো ঘুম থেকে উঠে নি ( ভাবছে সানাহ)

পরক্ষনেই সানাহকে অবাক করে দিয়ে আমাল বারান্দায় চলে আসলো। হাত দুটো ছড়িয়ে হামি নিচ্ছে ও যেন এই মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে। ( এক্টিং)

ট্রাউজার্স প্যান্ট আর টি শার্ট পরে আছে আমাল।এলোমেলো চুলে একদম অন্যরকম লাগছে ওকে লাইক আ্য চাইল্ড।

সানাহ কিছুক্ষন আমালের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নিল কে জানে আমাল কখন কি বলে ফলে।

সানাহ এক ধ্যানে গাছে পানি দিচ্ছে। আমাল বুঝতে পারছে যে সানাহ ওকে এভোয়েড করছে।

আমালঃ গুড মর্নিং লাভভভভ (রেলিংয়ে দু হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে)

সানাহঃ সকাল সকাল তোমার চেহারা দেখেছি এখন কি আর মর্নিং গুড হবে হাহ্ ( মুখ বাঁকিয়ে কাজে মনোযোগ দিয়ে)

আমালঃ হোয়াট আর ইউ সেয়িং সানাহহহ এই চেহারার জন্য কত মেয়ে পাগল তুমি জানো ( ভাব নিয়ে)

সানাহঃ তারাতো পাগল এজন্য,,,

আমালঃ তাহলে পাগলের সেই লিস্টে তুমি এক নাম্বারে আছো।

সানাহ রেগে আমালের দিকে তাকাতেই আমাল সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। সানাহ হাতের ওটার ট্যাপ টা আছাড় মেরে রেখে হনহন করে ভিতরে চলে যায়।

কিন্তু আমাল তো দমবার পাত্র নয় ও বাঁকা হেসে তাকিয়ে আছে সানার যাওয়ার দিকে। আমালের মাথায় অন্যকিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। এখন ব্যাস কাজ শুরু করা বাকী।

আজকে শো বন্ধ তাই সানাহ বাড়িতেই আছে কিন্তু আমাল সকাল সকাল কোথাও বেরিয়ে গিয়েছে।

সানাহ ল্যাপটপ নিয়ে কিছু একটা কাজ করছে এমন সময় ওর কল আসে। সানাহ কল রিসিভ করার জন্য তুলতেই দেখতে পেল ওর ফ্রেন্ড এর কল।

সানাহঃ হায় মাহি কেমন আছিস,,

মাহিঃ কেমন আছি সেটার উত্তর হচ্ছে ভালো আছি। এখন তুই বল তুই আসছিস কিনা?

সানাহঃ কোথায় আসবো?? ( না জানার ভান করে)

মাহিঃ সানাহ তুই আবার মজা করা শুরু করেছিস। তিন দিন পর আমার বিয়ে আর তোর আসার নাম গন্ধ নেই। আমি তোকে সেই কবে থেকে বলে রেখেছি তুই কি আমার বন্ধু নাকি আর কিছু,,, ( রেগে)

সানাহঃ কুল বেবি কুল,,, তোর বিয়ে আর আমি আসবো না সেটাকি হয়। তাছাড়া ডেস্টিনেশন ওয়েডিং আমি তো একদম মিস করবো না। আসলে অফিসে কাজ একটু বেশী ছিল তাই মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বাট ডোন্ট ওয়ারি আমি কালকেই চলে আসছি।

মাহিঃ হোয়াট ইজ কালকে সানাহ? তুই আজকের মধ্যে এখানে আসবি অ্যান্ড দ্যাট্স ফাইনাল,,,

সানাহঃ আরেহ শোন…..

টুট টুট টুট মাহি কল কেটে দিল,,, মাহি সানার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড। ওর ডেস্টিনেশন ওয়েডিং হচ্ছে কক্সবাজার সেটার জন্য সানাহকে ইনভাইট করেছিল বাট আমালের টেনশনে বিয়ের কথা সানার মাথা থেকে বেরিয়ে যায়।

সানাহঃ এটাতো রাগ করে কল কেটে দিল। সব ওই আমালের দোষ ও আসার পর থেকেই আমার লাইফে প্রবলেম এর বর্ষন হচ্ছে।

কিন্তু একটা কথা ঠিক আমি যদি মাহির ওয়েডিং এ যাই কিছু দিনের জন্য হলেও আমালের থেকে দূরে থাকতো পারবো। ইয়াহহহ ( খুশী হয়ে )

আমি আমালকে না জানিয়ে কক্সবাজার যাবো ও জানবেও না আর বুঝতেও পারবে না। দ্যাট্স মাইন্ড ব্লোয়িং আইডিয়া,,,

আমি গিয়ে এক্ষুনি আম্মিকে বলি প্যাকিং করতে,,,,

Feeling sleepy 😴

#Part_18

রাহেলার পিছনে ঘুর ঘুর করছে সানাহ কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য কিন্তু কিছুতেই রাজী হচ্ছেন না তিনি।

সানাহঃ আম্মিই প্লিজ চলো না কিছুদিনের ব্যাপার‌ই তো।

রাহেলার আমি তো বললাম সানু তুই গিয়ে ঘুরে আস আমি যেতে পারবো না আমার কত কাজ বল,,,

সানাহঃ এক সপ্তাহের জন্য ছুটি নিয়ে নাও প্লিজ,,,

রাহেলাঃ সম্ভব না সানু কিছু দিন বাদে বাচ্চাদের পরীক্ষা শুরু এমন সময় স্কুল থেকে ছুটি নেয়া ঠিক হবে না।

সানাহঃ তাহলে কি আমি একা যাবো?? ( গাল ফুলিয়ে সোফায় বসে)

রাহেলাঃ একা কোথায়। মাহিতো তোর ফ্রেন্ড ওর বিয়েতে কি তুই ফিল করবি,,,

সানাহঃ তাও আম্মি,, আমি সেখানে কাউকে চিনি না ওকে বাদে। আমার অনেক অক‌ওয়ার্ড লাগবে,,,

রাহেলাঃ আমার পক্ষে সম্ভব হলে আমি তোর সাথে কি না যেতাম বল,,,

ফ্লেটের বেজ বেজে উঠলো,,,

সানাহঃ কে আসলো আবার,,

এক নাগাড়ে বেল বেজেই যাচ্ছে,,,

সানাহ বিরক্ত হয়ে দ্রুত উঠে গিয়ে দরজা খুলতে যায়,,

সানাহঃ আরেহহ আসছি তো এভাবে কেউ বেল বাজায়,, আ’ম সিউর এটা আমাল। আমাকে জ্বালানোর জন্য নতুন প্রাঙ্ক করছে,,, আজকে ওর একদিন কি আমার দশদিন ,,, ( রেগে)

সানাহ রেগে দরজা খুলতেই চমকে যায় সামনের মানুষটিকে দেখে,,,

সানাহঃ দিয়া তুইইইই,,, ( অবাক হয়ে)

দিয়াঃ সারপ্রাইজ সানু দিইই,,,

দিয়া হাতের লাগেজ সোজা করে সানাহকে জড়িয়ে ধরলো আর সানাহ‌ও খুশি হয়ে দিয়া কে জড়িয়ে ধরলো,,,

সানাহঃ হোয়াটট আ্য সারপ্রাইজ দিয়ু,,,

দিয়াঃ হুম সারপ্রাইজ দিবো বলেই তো সক্কাল সক্কাল হাজির হয়েছি,,, খালামনি কোথায় স্কুলে?

সানাহঃ আম্মি ঘরেই তুই ভিতরে আয়,,, আম্মিইই দেখো কে এসেছে,,,

দিয়াঃ খালামনিইইইইই

দিয়া দৌঁড়ে গিয়ে রাহেলাকে জড়িয়ে ধরলো,,,

রাহেলাঃ এতো দিন পর খালামনির কথা মনে পরলো,,

দিয়াঃ আরে খালামনি তুমিও না,, মনে যদি নাই পরতো তাহলে কলেজ অফ হ‌ওয়ার সাথে সাথে তোমার কাছে ছুটে আসতাম,,,

তুমিতো আমার ওয়ান অ্যান্ড অনলি সুইট কিউট গোলুমোলু খালামনি,,,

রাহেলাঃ হয়েছে এতো পাম দিতে হবে না,,,

( দিয়া সানার খালাতো বোন। সম বয়সি ওরা আপন বোনদের মতো ওদের মাঝের সম্পর্ক। দিয়া দেখতে অনেক সুন্দর। গায়ের রং ফর্সা স্ট্রেট হেয়ার উচ্চতায় সানার সমান 5.4″। দিয়া সানার মত‌ই অনেক চঞ্চল প্রকৃতির। ঢাকার বাইরে থাকে ও ওর পরিবারের সাথে। ভার্সিটিতে বন্ধ পাওয়ায় এখানে ছুটিতে এসে)

দিয়াকে দেখে সানার একটা জিনিস খেয়াল হয়। সাথে সাথে সানাহ খুশি হয়ে দিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করে,,,

সানাহঃ থ্যাঙ্ক ইউ বেবিই তুই একদম সঠিক সময়ে এসেছিস,,,

দিয়াঃ মানে,,

সানাহঃ মানে এটা যে তুই আমার সাথে কক্সবাজার যাচ্ছিস,,

দিয়াঃ হঠাৎ কক্সবাজার কেন দি? তোমরা কি ঘুরতে যাচ্ছিলে??

সানাহঃ ঘুরতে না রে আমার ফ্রেন্ডের বিয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করছে আর আমাদের ইনভাইট করেছিল। কিন্তু আম্মি বলছে উনি যেতে পারবে না। আমি একা একা কত বোর ফিল করবো বল,, তাই বলছি তুই আমার সাথে যাবি,,

দিয়াঃ তোমার ফ্রেন্ডের বিয়েতে আমি গিয়ে কি করবো সানু দি,,,

সানাহঃ এতো কিছু বুঝি না আমি তুই আমার সাথে কক্সবাজার যাচ্ছিস মানে যাচ্ছিস অ্যান্ড দ্যাট্স ফাইনাল,,,

দিয়াঃ ওখেইই বাবা তুইতো দমবার পাত্রী নশ আমি জানি,, বাট এখন আমাকে একটু কিছু খেতে দাও তোমরা আ’ম হাংরি,,,

সানাহঃ দ্বিতীয় স্তরের খাদক,,,

দিয়াঃ খালামনিইইইইই কিচ্ছু বলো দিকে,,,,

রেহালাঃ তোর শুরু হয়ে গেল সানু,,,

বিকেলে বেড়িয়ে পরে সানাহ আর দিয়া কক্সবাজার এর এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে। সানাহ বেরোনোর সময় বার বার আশে পাশে আমালকে খুঁজছিল ও ভেবেছিল আমাল হয়তো এক্ষুনি ওর সামনে চলে আসবে কিন্তু এরকম কিছুই হলো না। সানার কেমন জানি লাগছে। সারাদিন আজ আমালকে দেখে নি ও। না চাইতেও আমালকে মিস করছে সানাহ।

সন্ধ্যার মধ্যেই সানাহ আর দিয়া পৌঁছে যায় কক্সবাজার। ওদের পিক করার জন্য গাড়ি পাঠানো হয়েছে।

একটা বিশাল হোটেলের সামনে গাড়ি থামলো ওদের।

“রয়েল প্যালেস হোটেল” নামের মত হোটেলটাও একদম রয়েল।

বাইরে বিশাল পার্কিং লবি আর পুল,,, একদম মাঝে বড় একটা ওয়াটার ফল স্ট্যাচু। কক্সবাজার এর সবচেয়ে বড় আর এক্সপেনসিভ হোটেল এটা।

দিয়াঃ ওয়াও সানু দি ইট ওয়াজ লাইক আ্য প্যালেস,,, তোমার ফ্রেন্ড এতোই রিচ বাহ,,

সানাহ অবাক হচ্ছে কারন ও যানে মাহির প্যারেন্টস এতো দামি হোটেল বুক করতে অ্যফর্ড করবে না।

সানাহঃ না দিয়া ওরা এতোও রিচ না,,, হয়তো ওর ইনলস রা আরেন্জ করেছে।

দিয়াঃ হয়তো,, চল ভিতরে যাই,,,

সানাহ আর দিয়াকে ভিতরে আসতে দেখে অনেক গুলো স্টাফরা দৌঁড়ে এসে ওদের ব্যাগ আর লাগেজ তুলে নেয়,,,

স্টাফ ১ঃ ম্যাডাম আমাদের কাছে দিন,, আপনি ভিতরে আসুন,,,

কিছুটা ভিতরে যেতেই মাহি ওদের দেখে দৌঁড়ে আসলো,,,,

মাহিঃ সানাহহহ ওয়েলকাম এয়ার,,, ( জড়িয়ে ধরে)

সানাহঃ কংরেচুলেশন্স এয়ার,,,

মাহিঃ থ্যাঙ্কস আয় আমি তোকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই,,,

মাহি সানাহ আর দিয়াকে ওর ফ্যামিলি আর আত্মীয় দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

মাহিঃ তোরা গিয়ে এখন একটু রেস্ট কর রাতে ফাংশন আছে,,,

সানাহঃ ওকে,

মাহিঃ তোদের রুম উপরে। রুম নাম্বার 901এবং 902

সানাহ আর দিয়া উপরে যেতে নিলেই একটা স্টাফ এসে বলে,,,

স্টাফঃ ম্যাডাম আমি আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি চলেন,,,,

স্টাফ সানাহ আর দিয়াকে উপরের এক রুম দেখিয়ে বলল,,,

স্টাফঃ ম্যাডাম এটা আপনার রুম। ( দিয়াকে বলল)

দিয়াঃ ওকে সানু দি আ’ম ভেরি টায়ার্ড শাওয়ার নিতে হবে আমি যাই।

স্টাফঃ এটা আপনার জন্য বুক করা হয়েছে ম্যাডাম। এটা আমাদের হোটেলের একমাত্র VIP রুম। আমাদের হোটেল এর ওউনারের এটা। এই রুম কখনো বুক হয় না কিন্তু এবার স্যার স্পেশালি আপনাদের জন্য এটা রেডি করতে বলেছিলাম। আপনার অনেক পছন্দ হবে।

স্টাফটার সব কথা মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সানার। ওর জন্য কেন স্পেশালি রুম দেওয়া হবে ভেবে পাচ্ছে না ও।

স্টাফটা আর কিছু না বলেই চলে যায়।

সানাহঃ আজব তো,,,

সানাহ রুমে ঢুকেই অবাক হয়ে যায়। রুমটা বিশাল বড় ফুল হোয়াইট কালার। রুমের সব কিছু সাদা। পর্দা আর বেড কুশন সাদা আর আকাশি রঙের। রাউন্ড বেড আর বড় ওয়াল আলমিরা। রুমে ফুলের ভাজ দিয়ে সাজানো। বড় মিডিয়াম আর ছোট সব ভাজেই ফুল আর সেগুলো সব‌ই সানার পছন্দের স্টারগেজার আর অর্কিড। রুমে এক্সারসাইজ এর জিনিসপত্র আর অনেক ধরনের ভিডিও গেইমের সিডি আছে। একটা জয়েন্ট বারান্দাও আছে,,, বেডের পাশেই
সানার লাগেজ রাখা। সানাহ লাগেজ থেকে একটা নরমাল ড্রেস বের করে ওয়াশরুমে চলে যায়।

এইদিকে,,,

দিয়া একজনকে কল করছে,,,,

দিয়াঃ হেইই জিজু মিশন ওয়ান কমপ্লিট এখন নেক্সট প্লান কি,,,

অপর পাশ দিয়ে কেউ কিছু বলছে,,,

দিয়াঃ ওয়াও জিজু ক্যায়া প্লান হ্যায় আ’ম প্রাউড অফ ইউ,,,

ফোনেঃ ……………………

দিয়াঃ ওকে কাম সুন টাটা,,,,

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here