আশিকি❤ #Madness_Of_Love,24,25

❤#আশিকি❤
#Madness_Of_Love,24,25
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_24

আমালকে হসপিটাল থেকে ডিস্টার্জ করে সবাই বেরিয়ে যায় হসপিটাল থেকে।

ফ্লাইটের জন্য ওয়েটিং জোনে বসে আছে আমাল আবিদ সানাহ আর দিয়া।

আধা ঘণ্টা পর কক্সবাজার টু ঢাকার ফ্লাইট।

দিয়াঃ কক্সবাজার আসলাম অথচ একটু ঘুরতেও পারলাম না সব এই আবিদের দোষ ( রাগী ভাবে)

আবিদঃ আমার দোষ ( নিজের দিকে আঙ্গুল তাক করে অবাক হয়ে )। আমি আবার কি করলাম। যেটাই হয় সেটার জন্য সবাই আমাকে দোষে কেন বুঝি না। ( অসহায় ভাবে)

দিয়াঃ জানি না কিন্তু তোমার দোষ মানে তোমার দোষ।

আমালঃ একদম ঠিক বললে শালি সাহেবা। সব আবিদের দোষ। ( চোখ মেরে)

আবিদঃ আমাল তুইওও,,,

সানাহঃ দোষ আবিদের না দোষ তোমার সো ওকে দোষবে না।

আমালঃ আমি আবার কি করলাম সান বেবি ( অবাক হয়ে)

আবিদঃ থ্যাংক ইউ সানু ইউ আর মাই বেস্ট সিস্টার।

সানাহঃ আই নো আবিদ,, আর হ্যাঁ আমাল তুমি মাথা না ফাটালে আমরা এখন ঘুরতে পারতাম।

আমাল সানার কথায় চুপসে যায় তারপর নিজের কপালে টাচ করে দেখে আসলেই তো এখনো কপালে ব্যান্ডেজ করা।

আবিদঃ কি হলো দিয়া বেবি এখন বলো না কেন জিজুর দোষ।

দিয়া আবিদকে ভেংচি কেটে মুখ ঘুরিয়ে নিল। এমনি খুনসুটি ঝগড়া করতে করতে ওরা ঢাকা পৌঁছে যায়। গাড়ি থেকে নেমে সবাই ফ্ল্যাটের ভিতরে যাচ্ছে।

আবিদের এক কাধে নিজের ব্যাগ আর দুই হাত দিয়ে আমাল আর দিয়ার লাগেজ টানছে ও। আমাল আর দিয়া বিন্দাজ হাটছে আর হাসাহাসি করছে। বেচারা আবিদ সবার পেছনে পরে আছে। আর মনে মনে আমালের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে। সানাহ নিজের লাগেজ নিজেই ক্যারি করছে কারন সে বেচারা আবিদের কষ্ট বুঝতে পেরেছে প্লাস আবিদের তো আর কোন হাত খালি নেই ওর লাগেজ ক্যারি করার জন্য।

সবাই লিফ্টে উঠে আবিদের জন্য ওয়েট করছে। আবিদ সব বস্তা টেনে টুনে টরটয়েজ এর মত আসছে।

আমালঃ আরে এয়ার তুই কচ্ছপের মত স্লো হয়ে গেলি কেন খরগোশের মত স্পীড বাড়া।

আবিদঃ কুত্তা কামিনা একতো নিজে বিন্দাজ যাচ্ছে আর আমাকে দিয়ে বস্তা টানাচ্ছে তার উপর আমাকে কচ্ছপের সাথে তুলনা দিচ্ছে। শালা হারামী দোস্ত একটা। মাথা ফাটা তাই কিছু বলছি না নাহলে,,,, ( আবিদ হাটছে আর বিরবির করে বলছে) হ্যাঁ আসছি তো ( দাঁত খিচিয়ে)

সানাহ ওদের ফ্ল্যাটের বেল বাজাতেই ওর আম্মু দরজা খুলে দিল,,,

সানাহঃ আম্মিইইই আ’ম কাম ( জড়িয়ে ধরে) আই মিস ইউ এত্তো গুলো।

দিয়াঃ খালামনিইই আই অলসো মিস ইউ,,

আমাল আবিদঃ হ্যালো আন্টি,,

রাহেলাঃ কেমন কাটলো তোদের জার্নি?

দিয়াঃ একটু ভালো একটু খারাপ,,, ( আবিদের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে)

রাহেলাঃ ভেতরে আসো তোমাদের জন্য কেউ অপেক্ষা করে বসে আছেন,,,

সবাইঃ কে?

রাহেলাঃ নিজেই দেখে নাও,,,

সবাই ভিতরে ঢুকে দেখে একজন সোফায় বসে আছে,,,

আমালঃ ড্যাড ( অবাক হয়ে) হোয়াট আ্য প্লেজেন্ট সারপ্রাইজ,,

আমাল ওর ড্যাড কে জড়িয়ে ধরে কথা গুলো বলল।

আদহামঃ কেন সারপ্রাইজ কি শুধু তুই দিতে জানিস আর ( আমালের মাথার ব্যান্ডেজে হাত দিয়ে) এটা কি করে হল।

আমালঃ কিছু বখাটে রা তোমার বৌমাকে টিজ করছিল তাদের শায়েস্তা করতে গিয়ে একটু লেগেছে আর কি,,,

আদহামঃ দ্যাট্স লাইক মাই বয় প্রাউড অফ ইউ,,,

আমালঃ আই নো দ্যাট ড্যাড।

আদহাম সানার সামনে এসে ওর মাথায় হাত রেখে বলল,,,

আদহামঃ আমার ছেলেটা তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে সানাহ। নিবে ওর দায়িত্ব সারা জীবনের জন্য,,, আমার তো বয়স হয়ে গিয়েছে তাই ওকে তোমার হাতে সপতে চাই। নিবে এই পাগলটার দায়িত্ব?

আমাল সানার দিকে তাকিয়ে আছে আর সানাহ আমালের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে হ্যাঁ বলল,,,

আবিদঃ গ্ৰেটটট মিয়া বিবি রাজি তো হ্যাপি এন্ডিং হয়ে যাক পাপাজি,,,

আবিদের কথায় সবাই হেসে দিল। আবিদ দিয়ার হাত ধরে সানার আম্মুর সামনে এনে বলে।

আবিদঃ ইয়ে মানে খালামনি আমাদের ব্যাপারটাও যদি দেখতেন,,, 😳

দিয়াঃ কি বলছো আবিদ,,, এটা আমার খালামনি,, ( ফিসফিসিয়ে)

আবিদঃ কি বলছি দিয়ু আমাদের বিয়ের কথা বলছি। আর ইনি খালামনি বলেই তো ইনার থেকে তোমার হাত চাইছি,,,

রেহালাঃ ডোন্ট ওয়ারি আবিদ আমি আজ‌ই দিয়ার আম্মুর সাথে তোমাদের ব্যাপারে কথা বলবো।

আবিদঃ ইয়েপপপ থ্যাংক ইউ খালামনি ইউ আর গ্ৰেটটট,,,

দিয়াঃ BBN ( মিনমিন করে)

আবিদঃ সেম টু ইউ,, ( মিনমিন করে)

দিয়া রাগি লুক নিয়ে তাকালো আবিদের দিকে।

আদহাম সানার আম্মুর সাথে বসে সানাহ আর আমালের বিয়ের ব্যাপারে সব ডিসকাশন করে গেছে। তিন দিনের মধ্যেই বিয়ের সব কাজ শেষ করতে চান উনি। সকালে আবিদ আর আমাল এসে সবাইকে বিয়ের শপিং করতে নিয়ে যাবে।

আজকে সানাহকে রিং পরিয়ে দিয়ে গেছেন উনারা। পরশু রাতে হলুদ তারপরের দিন বিয়ে।

❤❤ At Night ❤❤

সানাহ বেডে শুয়ে হাতের রিংটা ঘুরাচ্ছে আর ব্লাডি হচ্ছে। হঠাৎ বারান্দায় কিছুর আওয়াজ পেলো ও।

সানাহঃ এতো রাতে বারান্দায় কে?

সানাহ উঠে বারান্দায় চলে আসে। আমাল ওর ফ্ল্যাটের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সানার বারান্দায় কাগজ মুড়িয়ে ছুরছে যেন সানাহ আওয়াজ পেয়ে বারান্দায় আসে।

সানাহ বারান্দায় এসে দেখে অনেক গুলো মোড়ানো কাগজ পরে আছে আর আমাল নিজের হাতে একটা কাগজ নিয়ে ছুরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সানাহ এসে পরায় আমাল আর কাগজ ছুরলো না।

সানাহঃ এসব কি আমাল?? ( তাজ্জব হয়ে)

আমালঃ একচুয়ালি ঘুম আসছিল না তাই ভাবলাম ভূতের সাথে ক্যাচ ক্যাচ খেলি,,, ( মজা করে)

সানাহঃ ভুতের সাথে কেন তোমার জানে জিগার দোস্ত আবিদ কোথায়?

আমালঃ শালা আবিদ আমার শালির সাথে প্রেম করছে তাই আমি এখানে ওর শালির সাথে প্রেম করতে এসেছি,,, ভালো আইডিয়া না,,,

সানাহঃ মানে,,,?

আমালঃ ওই যে দেখো,,

আমাল সানাহকে রুমের দিকে ইশারা করলো। আবিদ বেডের উপর উবু হয়ে শুয়ে দিয়ার সাথে কথা বলছে,,,

আমালঃ সিইই! আমি তুমি বাদে সবাই প্রেম করছে,,, আমার হবু বউ তো হেব্বি আনরোমান্টিক তাই আমার কিসমাত খারাপ। ( মন খারাপ)

সানাহ আমালের কথায় রেগে নিচে থেকে কাগজ তুলে ওকে ঢিল মেরে বলে,,,

সানাহঃ ভারমে যাও তুমি আর তোমার সো কল্ড কিসমাত,,, আমি এতই আনরোমান্টিক তাহলে আমাকে বিয়ে না করে রোমান্টিক কাউকে খুঁজে বিয়ে করে নাও ( রেগে)

আমালঃ কি করবো বলো আমিতো এই আন রোমান্টিক ব‌উ টাকেই ভালোবেসে ফেলেছি তাই বিয়ে তো তোমাকেই করতে হবে নো চয়েজ ( মন খারাপের এক্টিং করে)

সানাহঃ তুমি ইন ডাইরেক্টলি আমাকে ইনসাল্ট করছো আমাল,,,

আমালঃ নো বেবি আমিতো জাস্ট একটু প্রেম করতে এসেছিলাম,,,

সানাহঃ করো প্রেম তুমি ভুতের সাথে।

সানাহ আরো কয়েকটা কাগজ আমালকে ছুরে
হনহন করতে করতে রুমে চলে আসলো। বারান্দার দরজাও অফ করে দিল যেন আমাল প্রবেশ করতে না পারে।

❤❤ In Morning ❤❤

সবাই ব্রেকফাস্ট করে শপিং করতে চলে আসে মলে। সানাহ এখনো রেগে আছে আমালের উপর। কথা বলছে না ওর সাথে। আমাল কথা বলতে আসলেই ওকে ইগনোর করে চলে যায়।

আমাল সব কিছু নিজের পছন্দের মত কিনেছে সানার জন্য। আর সানাহ আমালের সব কিছু নিজের পছন্দ অনুযায়ী কিনেছে।

শপিং শেষে দিয়া আর সানাহ প্যাকিং খুলে সব দেখছে। বাড়িতে আস্তে আস্তে মেহমান আসতে শুরু করেছে। বিয়ের সব দায়িত্ব আবিদের উপর। আবিদ সব কিছুই অনেক কেয়ারফুলি হ্যান্ডেল করছে যেন কোন ত্রুটি না থাকে।

দিয়াঃ আচ্ছা দি কালকের পর তুই সিঙ্গেল থেকে ডাবল হয়ে যাবি তাইনা,,, ( বেডে শুয়ে)

সানাহঃ তুই কি বলতে চাইছিস বুঝিয়ে বলবি?

দিয়াঃ এটাই যে আজকে তোর সিঙ্গেল লাইফের শেষ দিন। কালকে হলুদ তাই তুই বাড়ি থেকে বের হতে পরবি না আর পরশু বিয়ে দ্যান তুই সানাহ এহমাদ থেকে মিসেস সানাহ আমাল খান হয়ে যাবি। তাই তোর সিঙ্গেল লাইফের স্মৃতি হিসেবে কিছু করা উচিত,,,

সানাহঃ আর সেটা কি আমি জানতে পারি??

দিয়াঃ হেন্স পার্টি দি হেন্স পার্টি। ( লাফ দিয়ে উঠে বসে)

সানাহঃ হেন্স পার্টি??

এইদিকে,,,,

আবিদঃ হ্যাঁ ব্যাচেলর পার্টি ভাই,,,

আমালঃ আইডিয়াটা খারাপ না। বাট পার্টি হবে কোথায়?

আবিদঃ সেই সব ব্যবস্থা আমি করে ফেলেছি। আজকে রাতে তোর ব্যাচেলর পার্টি ফিক্সড।

আমালঃ কিন্তু সানাহ? ওতো আমার উপর রেগে আছে এখনো।

আবিদঃ সানাহ রেগে আছে ওকে পরে মানাতে পারবি চিল কর। আর সানাহ দিয়া যেন এই পার্টির কথা না জানে নাহলে ইন্ঞ্জয় এর বারোটা বেজে যাবে।

আমালঃ ওখেই।

To be continued…..

❤#আশিকি❤
#Madness_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_25

❤❤ 12:30 PM ❤❤

দিয়াঃ দি হয়েছে তোর?

সানাহঃ আসছি তো দাড়া,,,

সানাহ আর দিয়া হিল সুজ হাতে নিয়ে ধীর পায়ে বের হচ্ছে রুম থেকে। সানাহ আর দিয়া কালো রঙের শর্ট ড্রেস পরেছে হাটুর অব্দি।

সানাহঃ দিয়ু আম্মু যদি জেগে যায় আর দেখে আমরা এরকম ড্রেস পরেছি তাহলে ঝাড়ুর বারি একটাও মাটিতে পরবে না।

দিয়াঃ চিল কর দি খালামনি ডিপপপপ স্লিপিং এ চলে গেছেন এখন আর জাগবেন না। আর ওনার উঠার আগেই আমরা চলে আসবো সো চিল মার। ( ফিসফিসিয়ে)

সানাহ আর দিয়া সাবধানে দরজা খুলে বেড়িয়ে যায় বাড়ি থেকে।

❤❤ City Night Club ❤❤

হাই ভলিউমে গান বাজছে পুরো ক্লাবে। সবাই যার যার মত করে ব্যাস্ত। আবিদ আর আমাল ক্লাবের বার সাইডে বসে কোল্ড ড্রিঙ্ক খাচ্ছে।

আমালঃ তো এটা তোর প্লান ছিল। শেষমেষ নাইট ক্লাব!!

আবিদঃ ইয়েপপপ ভাই,,, লুক এখন তুই স্বাধীন তাই ক্লাবে আসতে পেরেছিস বিয়ের পর ক্লাবের স্বপ্ন ও দেখতে পারবি না,,,

আমালঃ চিন্তার কিছু নেই আমার পর পর‌ই তোর টিকিট‌ও কাটা হয়ে যাবে। তখন তুই‌ও ক্লাবের স্বপ্ন‌ই দেখিস।

আমাল বারবার সানাহর ফোন ট্রাই করছে কিন্তু প্রতিবার‌ই সুইচড্ অফ বলছে।

আমালঃ দেখলি এখনো ফোন সুইচড্ অফ করে রেখেছে। ( ফোন আছার দিয়ে টেবিলে রেখে)

আবিদঃ রিলেক্স ভাই হয়তো সানাহ ঘুমিয়ে পরেছে আর ফোনে চার্জ নেই। কালকে তো দেখা হচ্ছেই সো ডোন্ট বি সো হাইপার।

এখানে ইন্ঞ্জয় করতে এসেছি আর তুই ফোন নিয়ে পরে আছিস।

চল ওইদিকে গিয়ে ডান্স করি দেখ কত্তো সুইট সুইট মেয়ে ওইদিকে 😍

আমালঃ দিয়া জানতে পারলে তোর সুইট সুইট মেয়ে গিড়ি ছুটিয়ে দিবে 😒

আবিদঃ ভয় দেখাস না প্লিজ। তুই না গেলে এখানেই থাক আমি যাই।

আবিদ উঠে ডান্স ফ্লোরে মেয়েদের সাথে নাচছে। আর আমাল ফোনের স্ক্রিনে সানার ছবি দেখছে আর ভাবছে আর বেশি সময় বাকী নেই যখন ওর সানাহ সারাজীবন এর জন্য ওর হয়ে যাবে।

দিয়া আর সানাহ ক্লাবের ভিতরে আসছে।

সানাহঃ দিয়ু আর কোন জায়গা পেলি না শেষমেষ ক্লাব!

দিয়াঃ ক্লাব ইজ দ্যা বেস্ট প্লেস ফর রিলেক্সিং দি,, তাই এতো মেলোড্রামা না করে আয় আমার সাথে।

আমাল বসে আছে এর মধ্যেই একটা মেয়ে ওর সামনে আসলো। আমাল মাথা তুলে মেয়েটির দিকে তাকালো। মেয়েটি একটা লাল শর্ট ড্রেস পরেছে হয়তো বেশি ড্রিঙ্ক করে ফেলেছে তাই টাল সামলাতে পারছে না।

মেয়েটিঃ হাই আ’ম মিলি ( ঢলতে ঢলতে) ওয়ানা ডান্স উইথ মি,,,

আমালঃ নো থ্যাংকস আপনি যেতে পারেন,,,

মিলি আমালের দিকে ঝুঁকে বলতে শুরু করল,,,

মিলিঃ টু মাচ্ এ্যাটিটিউট আই লাইক ইট,,,,

আমালঃ লিসেন জাস্ট স্টে আওয়ে ফ্রম মি,,,

মিলিঃ বুঝতে পেরেছি অনেক লয়াল নিজের ব্যাটার হাফের প্রতি। ( সোজা হয়ে)

আমালঃ এয়াহ,, মাই অল ফিলিংস স্টার্টস্ উইথ হার মাই মোমেন্ট কামস্ ফ্রম হার। তাই আপনার ডাল এখানে গলবে না,,,

মিলিঃ নাম কি তার?

আমালঃ সানাহ,,

মিলিঃ তাকে বলে দিয়েন সে অনেক লাকি।

আমাল খানিকটা হেসে বলল,,,

আমালঃ নাহ আমি অনেক লাকি,,,

দিয়া আর সানাহ ভিতরে আসতেই ওদের দুজনের চোখ দু দিকে আটকে যায়।

দিয়াঃ আবিদদদদ,,,, ( আবিদ ফ্লোরে কয়েকটা মেয়ের সাথে নাচছে )

সানাহঃ আমাল,,, ( আমাল মিলির সাথে কথা বলছে)

সানাহ আর দিয়া দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে ওদের কান্ড দেখছে শুধু। হাই ভলিউমের কারনে কিছু শোনা যাচ্ছে না তাই আমাল আর মিলির মধ্যে কি কথা হচ্ছে তা সানাহ শুনতে পারছে না।

মিলিঃ আচ্ছা তাহলে আমি আসি এখানে আমার কোন প্রয়োজন নেই,,,

মিলি চলে যেতে নিলেই টাল সামলাতে না পেরে আমালের উপর পরে যায়। আমাল ধরে ফেলে মিলিকে যেন ব্যথা না পায়।

সানার চোখে পানি চলে এসেছে ওদের এভাবে দেখে। ও বিশ্বাস করতে পারছে না আমাল নিজের বিয়ের একদিন আগে এরকম কিছু একটা করবে।

আমালঃ আপনি ঠিক আছেন? ( মিলিকে দাড় করিয়ে)

মিলিঃ এয়াহ আ’ম অল রাইট থ্যাংকস,,,

আমালের চোখ হঠাৎ ক্লাবের এন্ট্রান্স এর দিকে যায়। আমাল সাথে সাথে শকড্ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। সানাহ ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর। দিকে। সানাহকে এখানে একদম এক্সপেক্ট করেনি ও। সানাহ আবার ওকে ভুল বুঝলো না তো ভাবছে আমাল।

আমালঃ সানাহহহহ ( অবাক হয়ে)

সানাহ আর এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে দৌঁড়ে বেড়িয়ে আসে ক্লাব থেকে ওর পেছনেই ছুটে আসে আমাল।

সানাহ চোখ মুছতে মুছতে হাটছে আমাল দ্রুত এসে ওর হাত ধরে ওকে আটকায়।

আমালঃ সানাহ তুমি এখানে এসময়?

সানাহঃ কেন এসে ভুল করলাম স্যরি তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম নাকি? ( হাত ছাড়াতে ছাড়াতে )

আমালঃ একদম না সানাহ তুমি ভুল বুজঝো। আমি তোমাকে এক্সপ্লেইন করছি,,,

সানাহঃ আমি কিছু শুনতে চাই না হাত ছাড়ো আমার আমি বাড়ি যাবো।

আমালঃ শুনতে হবে তোমাকে সানাহ সব সময় ভুল বুঝে চলে যেতে পারো না তুমি ( রেগে ধমক দিয়ে)

আমালের ধমকে চুপ করে যায় সানাহ। শুধু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

আমাল নিজের রাগ কন্ট্রোল করে সানার চোখ মুছে দিতে দিতে বলে।

আমালঃ তাকাও আমার দিকে,,,

সানাহ এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,,,

আমালঃ আই সেইড লুক অ্যাট মি সানাহ,,,

সানাহ আমালের দিকে তাকালো তাও কান্না অফ করলো না।

আমাল সানাহর চোখের পাতায় ঠোঁট ছুঁইয়ে বলে,,,

আমালঃ তুমি যেটা দেখেছো ঠিক সেটা না সানাহ। আবিদ আমাকে ব্যাচেলর পার্টির কথা বলে এখানে নিয়ে এসেছিল। আর ওই মেয়েটা কে আমি চিনিও না। জাস্ট ওর হেল্প করছিলাম আমি।

এইদিকে,,,,

আবিদ কান ধরে উঠবস করছে আর সামনেই দিয়া রাগী লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

দিয়াঃ আবিদের বাচ্চা কামিনা তোর লজ্জা করে না ঘরে এতো সুন্দর গার্লফ্রেন্ড রেখে ক্লাবে এসে মুখ মারতে।

আবিদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে কারন সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে আর হাসছে। সবার সামনে ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দিয়েছে দিয়া ওর।

আবিদঃ বেবি স্যরি আর কখনো হবে না। চলো বাড়িতে গিয়ে সব মিটমাট করি এটা পাব্লিক প্লেস 😑

দিয়াঃ সেটা তো করবোই আগে একশ কমপ্লিট করেন।

আবিদ বাধ্য ছেলের মত চোখ বন্ধ করে কান ধরে উঠবস শুরু করলো।

এইদিকে,,,,

আমালঃ ট্রাস্ট মি সানাহ আমি ভুল কিছু করি নি। আই সোয়ের সানাহ,,,,

সানাহঃ আই ট্রাস্ট ইউ আমাল,,,

সানাহ আমালের বুকে মুখ গুঁজে নিজের চোখের পানি মুছে নেয়।

সানাহঃ আমি জানি তুমি আমাকে কখনো ধোঁকা দিবে না কজ আমাল তো শুধু সানাহকে ভালোবাসে তাইনা??

আমালঃ হুম আমাল সানাহকে ভালোবাসে আর মৃত্যুর পরেও সানাহকেই ভালোবাসবে।

সানাহঃ আই লাভ ইউ আমাল,,, আমার তোমার হৃদয় জুড়ে শুধু আমার জায়গা আর। এই জায়গায় আমি অন্য কাউকে সহ্য করতে পারবো না।

আমালঃ এই জায়গা আমি অন্য কাউকে দিবোও না কারন এটাতো সানার নামে রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।

আমার সবটা জুড়ে শুধু তুমি সানাহ তুমি চাইলেও আমি তোমাকে ছাড়তে পারবো না। You Are My Addiction Sanah,,, And This is #The_Addiction_Of_My_Love . I love you Sanah.

❤❤ In Present ❤❤

চোখ খুললো আমাল। বাইরে মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। চোখ থেকে নামিয়ে জানালার গ্ৰীলে গোল ফ্রেমের গ্লাস টা রাখলো ও। চোখে মুখে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো পরছে আর চোখ বন্ধ করে সেটা অনুভব করছে ও। অতীতের পাতায় ডুবকি দিয়ে ছিল এতক্ষন ও।

আমাল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,,,

আমালঃ আমার হৃদয়ের জায়গা শুধু তোমার নামে রেজিস্ট্রি করা সানাহ তাই আজ‌ও কাউকে এই জায়গায় টা দিতে পারি নি। দিব‌ই বা কি করে তুমি তো আমার রক্তের সাথে মিশে আছো চাইলেও তোমাকে ভোলা সম্ভব না আমার পক্ষে।

ঘড়ির দিকে তাকালো আমাল। ওর শো এর সময় হয়ে গেছে। আই গ্লাস টা তুলে নিজের কেবিনের দিকে পা বাড়ালো ও।

❤❤ Radio Star ❤❤

আমালঃ হ্যালো ডিয়ার লিসেনার্স ইউ আর টিউন টু রেডিও স্টার চলছে আপনাদের প্রিয় শো। “ ভালোবাসার রংধনু ” আমি RJ Amaal আছি আপনাদের সাথে টু ফিল দ্যা বিউটিফুল রেইনি মর্ন। আপনাদের মনের অব্যক্ত কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে এস‌এম‌এস করুন এই নম্বরে।

চলুন দেখি আজকে কে কে আছে আমাদের সাথে,,,

আমাল সবার ম্যাসেজ পড়ে শুনাচ্ছে। বাইরে দাঁড়িয়ে আবিদ আমালকে দেখছে। ওর চোখ ভিজে যাচ্ছে আমালকে দেখে। এই দুই বছরে আমালকে কখনো কাঁদতে দেখে নি আবিদ। কেউ আমালকে দেখে বলবে না যে ওর ভিতরটা জ্বলে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাইরে দিয়ে আমাল নিজেকে যত‌ই স্ট্রং দেখাক এক মাত্র আবিদ জানে আমাল ভিতর থেকে কতটা ভেঙে পরেছে।

আমালঃ তো আজকের শো টা শেষ করি একটা সোলফুল গান দিয়ে। সবার কাছের কাউকে ডেডিকেট করে আজকের শো এর শেষ গান। আমাদের কাছের কারো জন্য ” সিরফ্ তু ”
” শুধু তুই ”

“ আঁখো মে সাপ্নে মেরি
লিখতা হ্যায় এয়ারা সিরফ্ তু
দেখু ম্যায় চাহে জিসে
দিখতা হ্যায় এয়ারা সিরফ্ তু

মেরে হি আন্দার পান্না পান্না
খুলতা হ্যায় এয়ারা সিরফ্ তু
দিল কি তালাশি কিতনি দাফা লি
মিলতা হ্যায় এয়ারা সিরফ্ তু

সিরফ্ তু সিরফ্ তু সিরফ্ তু সিরফ্ তু x2 ”

আমাল উঠতে নিলে ওর চোখ যায় টেবিলের উপর রাখা সানার ছবির দিকে।

ছবি থেকে চোখ সরিয়ে নেয় ও হয়তো নিজের চোখের পানি আড়াল করতে চাচ্ছে।

“ দিন খিলে এয়াহ কাভি শাম ঢালে
রেহনা তু মেরে সাথ
তু জো হ্যায় তো মেরি সাস চালে
কিউ জিয়ু তেরে বাদ

সিরফ্ তু দুয়া ও সা আয়ে
মেরে হোঠো পে সিরফ্ তুউউ
সিরফ্ তু লাকিরো সা লিখা
মেরে হাতো পে সিরফ্ তু

( আমাল নিজের হাতের রেখা গুলোর দিকে তাকালো তারপর হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে ফেলল)

মেরে হি আন্দার পান্না পান্না
খুলতা হ্যায় এয়ারা সিরফ্ তু
দিল কি তালাশি কিতনি দাফা লি
মিলতা হ্যায় এয়ারা সিরফ্ তু

সিরফ্ তু সিরফ্ তু সিরফ্ তু সিরফ্ তু x2 ”

আমাল রেডিও কেবিন থেকে বেড়িয়ে আসতেই আবিদের মুখোমুখি হয়।

আমালঃ তুই এখানে কি করছিস আবিদ? তোকে আমি ডিল সাইন করতে পাঠিয়েছিলাম,,,

আবিদঃ হুমম সাইন হয়ে গেছে।

আমালঃ ওহ গুড

আবিদঃ আমাল তুই,,,

আমালঃ আমি যাচ্ছি আমার শো শেষ বাকিটা তুই হ্যান্ডেল করে নিস।

আবিদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমালের কল আসে।

আমালঃ হ্যালো


আমালঃ আ আমি আসছি,,,

আবিদঃ কি হয়েছে আমাল,,,

আমালঃ আই হ্যাভ টু গো আবিদ,,,,

আমাল এক প্রকার দৌঁড়ে অফিস থেকে বেড়িয়ে যায়।

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here