আমার রূপকথায় তুমিই ছিলে
পর্ব ৪,৫
নুজহাত আদিবা
পর্ব ৪
আমি কারো করুনার পাএী হয়ে থাকতে চাইনা। এখন যেমন আছি তেমনি ভালো আছি।
আমি জানি না এখন কী করা উচিত আমার! আব্বু আম্মুকে নাকি প্রতিদিন তারিব ফোন দেয়।আব্বু আম্মু আমার উপর অনেক চাপ দিচ্ছে এই বিয়েটাতে রাজি হওয়ার জন্য।দিনদিন আব্বু আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়ছে।আমার খালামনিরা, কাজিনরা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আম্মু নাকি খুব কান্নাকাটি করে ওদের বাসায় গিয়ে। বিয়েতে রাজি হওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখলাম না আমি। তারিব ও আমেরিকা থেকে ফোন দিল যখন শুনলো আমি রাজি ও অনেক খুশি হলো। যে-ই জালাতন করেছে এই ২টা মাস আব্বু আম্মুকে। আব্বু আম্মু ও ওর জালাতনে সেই অতিষ্ঠ। ঠিক হলো রোজার ইদের পরেরদিন আমার বিয়ে। এতো তাড়াতাড়ি বিয়ের ডেট ঠিক হওয়ার কারন ছিল কোরবানির ইদের কিছুদিন আগেই আমার ছোট বোনের বিয়ে।তাই ওর বিয়ের আগেই আমার বিয়ের ডেট ঠিক কর হয়েছে। আব্বু একবার বলেছিলো এবার ও বিয়েটা ধুমধাম করে দিবে।কিন্তু আমি মানা করে দিয়েছি কারন আমার লজ্জা লাগে। আমি চেয়েছিলাম বিয়েটা ঘরোয়া ভাবে হবে কিন্তু পরে আমি চিন্তা করলাম এটা হয়ত আমার দ্বিতীয় বিয়ে কিন্তু তারিবের তো প্রথম বিয়ে তাই হালকা আয়োজন করতে বললাম আব্বুকে। ও এখনি আমাকে ফোন দিয়ে অনেক খোঁজ খবর নেয়। বাসার কে কেমন আছে না আছে সব কিছুর খবর নেয়।আমাকে এখনি বলে কবে যে বাংলাদেশে আসবো! তোমাকে কতোদিন ধরে দেখিনা! এবার বাংলাদেশে আসলে সারাজীবন কাছে রাখার ব্যবস্থা করে যাবো।আমি মিটমিট করে হেসে বললাম আচ্ছা এখন রাখি আমি পরে কথা বলবো। সাথে সাথে মুখটা কালো করে বললো আচ্ছা……
চলবে…
#আমার_রূপকথায়_তুমিই_ছিলে
পর্ব ৫
আজকে বাসার সবাই প্রচুর ব্যস্ত কারন বিকালে আমার গায়ে হলুদ গায়ে হলুদটা ঘরোয়া ভাবেই হচ্ছে তারিবদের ফ্যামিলিদের কিছু লোক আর আমাদের ফ্যামিলি এর কিছু লোক। আমার কাজিনরা কি সুন্দর করে বাসাটা ডেকোরেশন করেছে। আমি অবশ্য আজকে একটু বেশি খুশি কারন তারিব এর সাথে কালকে রাতে কথা হয়েছে ও খুব খুশি আর ওর খুশিতেই আমার খুশি।
আজকে তারিবকে অনেক সুন্দর লাগছে তবে মজার জিনিস কী জানেন? এতোদিন তারিব আমার বন্ধু ছিলো এখন একেবারে হাসবেন্ড। এসেই আমার কানে কানে বলল সাথী তোমাকে আজকে এতো সুন্দর কেনো লাগছে? বলা বাহুল্য আজকে আমি এতো বেশি সাজিনি কারন সেজেও লাভ নেই কারন হলুদে মুখ এমনিতেই হলদে বানিয়ে ফেলবে! আসার সময় তারিব অনেক গুলো চকলেট নিয়ে এসেছে আমার কাজিনদের জন্য এতক্ষন এই চকলেট নিয়ে সেই কাড়াকাড়ি হয়েছে। হুট করে আমার ছোট আন্টির মেয়ে ফারিন আমাদেরকে হলুদ লাগাতে আসল আমি ইশারা দিয়ে বোঝালাম আমাকে কম হলুদ লাগাতে ও আমার কপালে একটু হলুদ ছোঁয়ালো তারিবকেও হলুদ লাগিয়ে তারিবের মুখের সামনে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ধরল তারিব যে-ই খেতে নিল ফারিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইটা সরিয়ে ফেলল আর আশেপাশের সবাই হাততালি দিলো তারিব বেচারা কিছু না বুঝে আমার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে দিল..
চলবে…
নুজহাত আদিবা