অরুর সংসার,পর্ব-৪,৫
লেখিকাঃ নিশি কথা
পর্ব-৪
ফোন রেখে পিছে তাকাতেই অয়ন দেখল ঝড়ের বেগে কেউ তার কেবিনে নক না করেই ঢুকে গেল!
সেটা আর কেউ না জয়া…….
জয়ার এমন কাজ দেখে অয়নের মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু অয়নের একটা স্বভাব হল তার রাগ হলে সে ২ টা জিনিস করে! এক যার উপর রাগ হয় তাকে ও তার কথা কে সম্পুর্ণ ইগনোর করে আর দুই যার উপর রাগ তাকে ঠান্ডা মাথায় অপমান করে।
অয়ন: ডাঃ জয়া!……… আমি কিন্তু আপনার এত তাড়াহুড়ায় আগমনের কারণ জানি।(বলে অয়ন বাকা হাসি দিল!!)
জয়া :(এই হাসির উপর ই তো জয়া ফিদা) জি?
অয়ন : জ্বি !!!!!
জয়া : কি কারন স্যার??
অয়ন : গত মাসের পেইমেন্ট!!! যেখানে প্রতি মাসে ২ তারিখ আপনাদের পেমেন্ট আমি দিয়ে দেই সেখানে আজ ৩ তারিখ!! সরি ডাঃ! আজ ও পারছি না পেমেন্ট দিতে!! ব্যাংকে যেতে পারি নি! কাল দিয়ে দিবো। চিন্তা করেন না প্লিজ!! পেইমেন্ট এর চিন্তায় তো দেখছি আপনি সব ই ভুলে গেছেন!! ম্যানার্স ও!!!
(অয়নের এই ধরনের কথা শুনে জয়া বড়সড় একটা ধাক্কা খেল” সাথে কষ্ট লজ্জা দুটাই! “!!
জয়ার চোখে পানি টলমল করছে? )
জয়া কিছু বলতে যাবে তখনই অয়ন বলল…
অয়ন: আপনি এখন আসতে পারেন ডঃ!! ৬:৩০ এ দেখা হবে..
(জয়া কথা না বাড়িয়ে চলে গেল)
♣♣♣♣♣
আরোহী কিছুদিনে ধরে খেয়াল করছে যে তার স্বামি অনিক রোজ রাতে খুব দেরি করে ফেরে,মাঝরাতে কারো সাথে ঘন্টা খানিক কথা বলে… আরোহী জিজ্ঞাস করলে বলে বিদেশের ক্লাইন্ট… বিদেশের ক্লাইন্ট হলে কি আরোহীর সামনে কথা বলা যায় না? বারান্দায় কথা বলা লাগে কেন????
বিয়ের ৪ বছরে অনিককে এত অচেনা কোন দিন লাগে নি যা ইদানিং লাগছে!… ৪ বছরের বিয়ের পরিচয় তো আলাদা!! তার আগে যে ৫ বছরের প্রেম!!!!৯ বছরের এত সুন্দর সম্পর্কে কবে এমন দুরত্ব এলো বোঝে নি আরোহী…….
বিয়ের প্রথম সাড়ে তিন বছর আরোহী মনে করতো তার চেয়ে লাকি এই দুনিয়ায় কোন মেয়ে নেই এত ভালবাসা, কেয়ার করতো অনিক। এই তো সেদিনের কথা আরোহী যখন বলল যে সে মা হতে চলেছে!!অনিক খুশিতে পাগলপ্রায়! আরোহী কে মাটি তে যেন পা ইই রাখতে দিত না…. প্রেগন্যানন্সির ৯মাস অনিক অফিসেই যায় নি….অফিসের কাজ বাসায় বসে করেছে আর দিন রাত আরোহীর খেয়াল রেখেছে………. আর যেদিন রুশার জন্ম হল সেদিন অনিক খুশিতে কেঁদেই দিয়েছিল….. সারা হাসপাতাল, অফিস, পাড়াপ্রতিবেশিদের মিস্টি খাইয়েছিল…. অফিসের স্টাফদের সেই মাসে বোনাস দিয়েছিল মাসের মাঝখানেরি ♥♥♥♥♥কত সুন্দর ছিল আরোহী, অনিক এর চড়ুই সংসার তাদের ছোট্ট রুশাকে নিয়ে!!!! কিন্তু গত ১মাস ধরে অনিক বদলে গেছে!! আরোহীকে সময় দেয় না সেটা আলাদা, সে তো ইদানিং তাদের রুশাকেও সময় দেয় না!!!! যে অনিক রোজ ৮ ঘন্টা অফিস করে ক্লান্ত শরীরেও ফিরেই হাত মুখ ধুয়ে রুশার সাথে ২ ঘন্টা খেলা করতো সেই অনিকে গত ১ মাস রুশার সাথে ৫ মিনিটও খেলে না!।
২বছরে ৬ মাসের বাচ্চা টা সারাদিন তো এই অপেক্ষায় ই থাকে যে কখন তার বাবাই আসবে আর তার সাথে খেলা করবে!!!!
আরোহীর এখনো ১মাস আগে সেই দিনের কথা মনে আছে যেদিন কলিং বেল বাজার সাথেসাথে রুশা গুটিগুটি পায়ে দৌড়ে দরজা খুলে অর বাবাইয়ের দিকে ২ হাত বারিয়ে দিয়েছিল প্রতিদিনের মত… অনিক রুশাকে কোলে নিয়ে কপালে ২ টা চুমু দিয়ে ভিতরে নিয়ে এসেছিল। ফ্রেস হবে বলে রুশাকে নামিয়ে রুমে যেই গেল রুশা তো প্রতিদিনের মত সব খেলনা, বই নিয়ে অনিকের জন্য বসে ছিল যে অনিক ফ্রেস হয়ে এসে খেলবে। অনিক ফ্রেস হয়ে নিচে ঠিক ই এলো কিন্তু রুশার সাথে খেলল না।আরোহীকে খাবার দিত বলে উপরে চলে গেল।আরোহী খাবার এক হাতে নিয়ে আরেক হাতে রুশার হার ধরে উপরে গেল। খাবার হাতে দিতেই অনিক খেয়ে নিল। খাবার শেষ হবার সাথে সাথে রুশা অনিকের হাত ধরে টানতে লাগলো! অনিক বলেছিল মা আজ আমি অনেক ক্লান্ত, আজ খেলবো না। রুশা সেদিন লক্ষি মেয়ের মত অনিকের গালে চুমু দিয়ে একা একাই খেলবে বলে নিচে গেল।…
আরোহীর সেদিন অনিককে অন্যরকম লাগলেও ভেবেছিল হয়তো সত্যিই অনিক আজ অনেক ক্লান্ত। কিন্তু এরপর থেকে ৫,৭ দিন গেল রোজ অনিক এক ই কথা বলে….. আরোহী আর রুশা কে এভয়েড করে………!! রুশাও সে কয় দিন রোজ আশা করে অনিকের কাছে যেত আর মন খারাপ করে ফিরে আসতোআর একদিন!!!!! অনিক বেল দেওয়ার সাথে সাথে রুশা তার সামনে গেলে রুশাকে পাশ কেটে সে চলে গেল!! রুশা অনিকের পিছন পিছন গিয়ে অনিকের হাত ধরে টানা আরম্ভ করলো…..অনেক হয়েছে!! আজ বাবাইয়ে রুশার সাথে খেলা করতেই হবে….
রুশা: বাবাই বাবাই তল তলো (চলো চলো)…….কেলা কেলা (খেলা)
অনিক : না এখন না,যাও পরে
রুশা : কেলা কেলা! তল তল
অনিক : বললাম তো না।যাও (এই বলে ঝারি মেরে হাত সরায় নিল)(সেই সময়ই আরোহী রুমে ঢুকে সব টা দেখে নিল… আরোহী রুশার দিকে তাকালো..রুশার চোখে পানি টলমল করছে )
আরোহী : অনিক!!!!! এমন করছো কেন?? ভালভাবেও তো ভলা যায়!! কি হয়েছে ইদানিং তোমার????
অনিক : কিছুনা। ভাল লাগে না ওত নেকামি।
আরোহী : অনিক!!!!!
অনিক : চুপ! যাও তো এখান থেকে।জাস্ট লিভ!! আর (অনিক রুশার হাত দরে টেনে টেনে আরোহীর
হাতে দিয়ে বলল….)
অনিক: যাও, একেও সরাও এখান থেকে
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
আরোহীর চোখ বেয়ে ২ ফোটা জল বের হয়ে গেল এসব মনে করে!!!!
সেদিনের পর থেকে অনিক পুরোই পাল্টে গেছে, পাল্টে গেছে তাদের সম্পর্ক!!
রুশাও ওই দিনের পর থেকে আর অনিকের কাছে যায় না… খেলতে চায় না…রুশার ছোট্ট মন টা অনিকের সেদিনের খারাপ আচরনে কি বুঝেছিল জানা নেই তবে সেই থেকে যে বাবার প্রতি অভিমানের বিশাল পাহার তার মনে সৃষ্টি হয়েছে এটা ভালই বোঝে আরোহী…..
……………..
♣♣♣♣♣♣♣
♣♣♣♣♣♣♣
অরু অয়নের কথা মত নিজের হাতে চাদর কেচে ছাদে নেড়ে দিয়ে আসলো । বেলা বাজে ১:৩০। অরু শাড়ি চেঞ্জ করে নিল! চাদর ধুতে যেয়ে শাড়ি ভিজে গেছে।শাড়ি চেঞ্জ করে পরনের শাড়ি টাও ধুয়ে আবার ছাদে যেয়ে নেড়ে দিল। এখন অরুর পরনে একটা সুতির হলুদ শাড়ি! বিছানায় নিতুন চাদর বিছিয়ে খাটে হেলান দিয়ে বসলো অরু! ক্লান্ত লাগছে তার। রাজ্যের ঘুম ভর করলো অরুকে……..
…………
..
অয়ন লাঞ্চ খেতে ক্যান্টিনে যেতেই ঢাক্কা খেল জয়ার সাথে!!! জয়া সরি সরি বলে উপরে তাকাতেই অয়নকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে। অয়ন ইটস ওকে বলে জয়াকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।খেতে বসল।জয়া হুট করেই অয়ন যে টেবিল বসা সেখানে বসে পড়লো! বলল……
জয়া: স্যার বাইরের খাবার এখন খাওয়া ঠিক কা।দেখে করোনা ভাইরাসের যে প্রকপ! আমি বাসা থেকে নিজের হাতে রান্না করে এনেছি “! প্লিজ এখান থেকে খান..
চলবে…..
অরুর_সংসার
পর্ব-৫
লেখিকাঃ নিশি কথা
________________
জয়া হুট করেই অয়ন যে টেবিল বসা সেখানে বসে পড়লো! বলল……
জয়া: স্যার বাইরের খাবার এখন খাওয়া ঠিক কা।দেখে করোনা ভাইরাসের যে প্রকপ! আমি বাসা থেকে নিজের হাতে রান্না করে এনেছি “! প্লিজ এখান থেকে খান..
অয়ন: নাহ আমি রোজ যা খাই আমি তাই ই খাব!! আর আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে হাসপাতালের ক্যান্টনের খাবার অস্বাস্থ্যকর!!!! মানে আপনি আমার মেনেজমেন্ট এর উপর সন্দেহ করছেন “!! আমি এদের পর্যপ্ত টাকা দিয়ে রাখছি! এরা স্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়া সরবোরাহো করে না!!!
জয়া: না আমি কাউকে কোন দোশ দিচ্ছি না কিন্তু আপনি আজ আমার হাতের খাবার ই খাবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ!!
(জয়ার জোরাজুরি তে অয়ন বেশি কথা বাড়ালো না,খেয়ে নিল)
……..
||||||||||
…
কেবিনে অয়নের কথায় কস্ট পেলেও এখন জয়ার মন খুব ভাল কারন অয়ন তার হাতের রান্না খেয়েছে.. আর খেয়ে ওঠার সময় রান্নার প্রসংশাও করেছে ♥♥♥
ওদিলে অনিকের আসতে দেড়ী দেখে আরোহী ফোন দিল।
অনিক : হা বলো!
আরোহী : শুন! আজ তারাতারি ফেরার কথা ছিল কিন্তু , মনে আছে? বিকালে বাড়ী যেতে হবে না! পরশু ভাই এর বৌভাত!!!
অনিক: ওহ! মনে ছিল না।কাল যাব সকালে। আজ ফিরতে পারবো না জলদি
আরোহী: এটা কোন কথা হল!! না তুমি আজ ই আসবে!!! কিচ্ছু জানিনা আমি
অনিক : বললাম তো পারবো না। বলে ফোন কেটে দিল
(আরোহী ছাড়ার পাত্র না.
আজই যাবে সে আর তাও অনিক কে নিয়ে )
আরোহীর ব্যাগ গুছানোও কম্পলিট! রুশা কে রেডি করে নিয়ে অরোহী ব্যাগ
পত্র নিয়ে বের হয়ে গেল অনিকের অফিসের উদ্দ্যেশে!!!!
অনুকের অফিসে পৌছে ব্যাগ আর রুশা কে গাড়িতে রেখে আরোহী ভিতরে ঢুকলো।
আরোহীকে দেখে সবাই দাড়িয়ে সালাম দিল।আরোহী অনিকের কেবিনে নক না করেই ঢুকে গেল। অনিক মনযোগ দিয়ে ফাইল দেখছে….
আরোহী :surprise…..
অনিক: তুমি?
আরোহী : শুধু আমি না,সাথে ব্যাগ পত্র আর তোমার মেয়েও আছে।তারা গাড়িতে….
চলে তো এখন
অনিক : কোথায়???
আরোহী : বললাম না বাড়ী যাব…. চল
অনিক :what the f**k!! r you Creazy?? বলি নাই তোমাকে যে আজ যেতে পারবো না??? তাও তুমি এমন ব্যাফ পত্র নিয়ে আসো কোন সেন্স এ”!! যাও বাসায়! বলদ নাকি!! গো! “””
আরোহী : চিৎকার করছো কেন তুমি অনিক? সবাই কি ভাবছে ” দেখো কাচের দরজা , সবাই তাকিয়ে আছে এদিক।
অনিক : আমি কি করেছি? তুমি ননসেন্স এর মত কাজ করলা কোন আক্কেলে???? (চিৎকার করে)
(আরোহী এবার কেঁদে দিল)
আরোহী : কিভাবে কথা বলছো তুমি!!! এত খারাপ বিহেব কেন করছো??
অনিক : এই শোন!! যা সর!! মাথা গরম করে দেয়! ভাল মুড টা নস্ট করে দিল।
(আরোহী অনিকের তুই তুকারি দেখে হতবাক)
আরোহী : অনিক তোমার কি হয়েছে? তুই তুকারি করছো তুমি আমার সাথে??
অনিক : যাও তুমি বাসায় এখন প্লিজ, মাথা আর গরম করো না! সিন ক্রিয়েট করো না আর।জাস্ট লিভ!!!!!!
আরোহী : তুমি বদলে গেছো অনিক!! বুদলে গেছো!! (এই বলে অনিকের কলার ধরে কাছে টেনে নিল আরোহী ) কাচের দরজার বাইরে দাড়িয়ে সবাই ওদের দেখছে “! অনিকের মাথায় এবার রক্ত উঠে গেল…আরাহীকে সরিয়ে ঠাসসস্্্্্্্্্্্্্ করে চড় বসিয়ে দিলে
সন্ধা ৬:৩০। জয়া সব ফাইল রেডি করে যেই না অয়নের কেবিনে ঢুকতে যাবে দেখলো অয়ন ফোনে কথা বলতে বলতে একটা ছেলেকে ইশারা করলো! ফোন রেখে জয়াকে বলল যে সব ডিটেইলস ওকে বুঝিয়ে দেন ডাঃ জয়া ।He is my new assistant.সায়ম আহমেদ!
(এই বলে অয়ন বের হয়ে গেল…)
(জয়ার মন খুব খারাপ হয়ে গেল এবার একটু হলেই কেঁদে দেয়)
।
।।
।।।
।।
অয়ন বাসায় ফিরে আসলো।মাথা টা তার খুব ব্যাথা!! রুমে ঢুকে দেখে তার বউ ঘুমাচ্ছে….. মোবাইল, ওয়ালেট ডেক্সে রেখে অরুর কাছে গেল সে।তারপর কি ভেবে টাওয়েল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল অয়ন।
দরজা আটকানোর শব্দে অরুর ঘুম ভাংলো!!
সেকি!! ৭:৩০ বাজে!! সে এতক্ষন ঘুমিয়েছে “!! ঘুমের ঠেলায় তো দুপুরে খায় ও নি! অরুর মাথায় হাত! ” ওয়াশরুমে কিসের শব্দ?? উনি চলে এসেছেন??
অরু দ্রুত পায়ে নিচে গেল। কাজের বুয়া রা সবাই লাইন দিয়ে স্টার জলসার সিরিয়াল দেখছে! অরু কাউকে কিছু না বলে রান্নাঘরে গেল। এক গ্লাস লেবুর সরবত বানিয়ে উপরে নিয়ে গেল। যাওয়ার সময় বুয়াদের উদ্দেশ্য করে অরু বলল! ”
অরু : খালা আমি তো দুপুরে খাই নি কিছু! আপনারা একবার ও তো আমাকে ডাকলেন না খেতে!!
(বুয়া রা থ হয়ে গেছে! সেলিনা অরুর কথায় উত্তর দিয়ে বলল ।।। )
সেলিনা : নুতন বউ কত্ত ডাকিছি তুমারে! তুমি তো কি ঘুম! উডলাই না
(আসলে কেউ ই অরুকে ডাকেনি কারন তারা ভুলেই গেছিল যে ঘরে নতুন একটা বউ আছে! আসলে এত বছরের অভ্যাস তো একারাই দুপুরে খাওয়ার! নতুন মানুষকে তারা ভুলেই গেছিল)
(অরু সেলিনার কথা শুনেআর কিছু বলল না…উপরে চলে গেল)
অরু রুমি ঢুকাতেই দেখে অয়ন শাওতার নিয়ে খালি গায়ে বের হচ্ছে। অরুকে দেখে টাওয়াল টা রেখে পকেটে হাত দিয়ে দাড়ালো। অরু অয়নের কাছে গিয়ে গ্লাস টা এগিয়ে দিল।বলল
অরু :এটা খেয়ে নিন। অফিস থেকে এসেছেন নিশ্চই খুব ক্লান্ত
অয়ন : সরবত বুঝি খাওয়া যায়??
অরু :………
অয়ন: দেও! (অয়ন ঢকঢক করে পুরোটা সাবার করলো! সত্যি রিলিফ লাগছে। অয়ন গ্লাস টা পাশে রেখে অরুর কোমর ধরে নিজের কাছে নিয়ে গেল)
অয়ন : কি বলছিলে যেন তখন? আমার কোথাও কাটছে কি না? ওটা তোমার রক্ত!
অরু: কিন্তু আমার তো হয় নি
অয়ন: কি হয় নি
অরু :……………….
অয়ন অরুকে ছেড়ে খাটে গিয়ে আধশোয়া হয়ে বলল….
অয়ন: বললাম বা তুমি হয় অনেক চালাক হয় খুব বোকা.. যাক এদিকে এসো
(অয়নের কাছে ডাকায় অরুর বুক টা ধুক করে উঠলো”! তাহলে কি এখন আবার অয়ন ওসব করবে?? অরু ধীর পায়ে অয়নের কাছে গেল। অয়ন অরুর হাত ধরে কাছে বসালো।
অয়ন : মাথা টা খুব ব্যাথা করছে ” চেপে দেও
(অরু অবাক)
অয়ন: কি হল?? দেও
(অরু কাপা কাপা হাতে অয়নের মাথায় হাত দিল। চেপে দিচ্ছে.. আর অয়নের চোখ বন্ধ?)
(এরকম আধা ঘন্টা যাওয়ার পর হঠাৎ অয়ন চোখ খুলে তাকালো অরুর দিকে একটা নেশা ভরা চোখে)
অয়ন: হয়েছে আর লাগবে না।কিছুটা রিলিফ লাগছে! আর বাকিটা…..
(অয়ন উঠে বসে অরুর ২গাল ২হাত দিয়ে টাচ করলো….তারপর হুট করে অরুর ঠোটে নিজের ঠোট মিলিয়ে দিল )
(অরুর চোখ বড়বড় হয়ে গেল )
চলবে………