অরুর সংসার,পর্ব-১৬
লেখিকা-নিশিকথা
কথায় আছে না সময় নদীর স্রোতের মত নিজ গতিতে প্রবাহমান…….
তেমনি অয়ন অরুর
বিবাহিত জীবনের সাড়ে পাঁচ মাস পাড় হয়ে গিয়েছে!
অরুর পরীক্ষাও শেষ!
অরুর কথায় সেদিন অয়ন একজন ভাল বন্ধুর সন্ধান পেয়েছিল। তবে কেন যেন সেদিনের পর অরুর সেই কথা আর অয়নের তাকে বন্ধু ভাবাই তার জীবনের কাল হয়ে দাড়ালো। কেননা এখন অয়ন অরুকে নিজের বন্ধু ব্যতীত কিছুই মনে করে না! স্ত্রির অধিকার থেকে অরু আজ পুরোপুরি বঞ্চিত… এমনকি সেদিনের পর থেকে পাঁচ মাস হয়ে গেল অয়ন অরুর সাথে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয় নি।এই শারীরিক সম্পর্কই না অরু অয়নের বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি ছিল বলে অয়ন বলতো?????? কারন সে অরুকে ভালবাসতো না আর অরুর ভালবাসা চাইতো না! তাহলে আজ সেই ভিত্তি নড়বড়ে কেন? তাহলে সম্পর্কটাই বা টিকবে কিভাবে যদি তার ভিত্তি ই নড়বড়ে হয়????
আর এমন যদি বিয়ের প্রথম থেকে হত তাহলে একটা কথা ছিল, অরু মেনে নিত! কিন্তু প্রথমে এক আর এখন আরেক!! কেন মানবে অরু?? হুটহাট করে কিস করে বসা, চোখের পলকে অরুকে কাছে টেনে নেওয়া, রাতে নিজের কাম সাধনার খাতিরে হলেও অরুকে রাতে দীর্ঘসময় আদর করা… অরু তো অয়নের এমন ব্যবহার ই মেনে নিয়েছিল… অয়নের এমন এটিটিউট ই অরু ভালবেসে ফেলেছিল ♥ আর এখন অয়নের এমন দুরে দুরে থাকা, বন্ধুর মত ট্রীট করা অরু একদনই মেনে নিতে পারছে না!
একজন স্ত্রি কখনও এটা চায় না যে তার স্বামি শুধু কামনার তারনায় তার কাছে আসুক, শুধু রাতে ভালবাসুক! অরুও এটা বিয়ের আগে কখনো চাইতো না!! এখনওও অরু যে এটা চায় তা না! অরু তো অয়নের ভালবাসা চায় , অয়নের আদর চায়, একান্তে সময় চায়!!! কিন্তু এখন অরু দায় ঠেকা পরে গেছে… কথায় আছে একেবারে নিঃস্ব থেকে আংশিক ভালো………… অরুর অবস্থা এখন তাই…
অরুকে অয়ন তেমন সময় ই দেয় না ইদানিং। দিবে কি করে আজকাল অয়ন যে খুব বেশি বিজি। হাসপাতাল এর সি এফ ও হবার পাশাপাশি নিজের একটা গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিজনেস দাড় করিয়েছে অয়ন গত ২ মাস হল!
অয়ন তাকে সময় দিলেও ইদানিং শুধু গল্পই করে। আড্ডা দেয় অরুর সাথে বন্ধুর মত এক কাপ চায়ের সাথে……
কিন্তু অরুর যে আজ কাল অয়নের এই আচরন ভাল লাগছে না।সে অয়নের ভালবাসা চায়..বন্ধুত্ব নয়!
এদিকে অরুর সারাটা হৃদয়ে শুধু অয়নের বসবাস। অয়ন বলতে পাগল সে। সমগ্র অরুর মাঝে যেন অয়নেরইই বিচরণ!!
আজ কাল অরুর শরীর টাও তাকে ইঙ্গিত দেয়
…অয়নের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য অরুর বুক টা অস্থির অস্থির করে! অরু নিজেই ভেবে পাচ্ছে না যে তার সাথে এটা কি হচ্ছে? ,যে অরুর কাছে বাসররাতে অয়নের প্রথম ছোঁয়া মৃত্যু যন্ত্রনার সমান লেগেছিল, যে অরু কিনা রোজ অয়ন ফেরার পর ভয়েভয়ে সময় কাটাতো যে আবার অয়নের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে তাকে সেই অরু এখন অয়নের একটু ছোঁয়া পাবার জন্য পাগলপ্রায় “!
না এভাবে আর কত দিন!!
এই পাঁচ মাসে অয়ন একবার ও আসে নি অরুর কাছে স্বামির অধিকার নিয়ে আর অরুও চায় নি নিজের স্ত্রির অধিকার….
না অরুর অয়নের সাথে কথা বলতে হবে!!! কিন্তু অরু এমন শুধু ভাবেই, অয়নের সামনে কিছু বলার সাহস তার হয়ে ওঠে না………..
/
//
/
সাথী চৌধুরীর মুখের সামনে সুপ এর চামচ ধরলো অহনা
-মামনি! খেয়ে নেও
-না রে মা ইচ্ছা হচ্ছে না
-খেতে তো হবে!!! এমন করলে হয়!!!!!
– খাবো নে পরে। এখন এসব রাখ না!! একটু গল্প করি??
-হুম আচ্ছা
– হ্যা রে!! অয়নের বউ টা কেমন হয়েছে??
-ভাবি তো অনেক সুন্দর। আর খুব খুব ভাল। আমার থেকে কিন্তু বয়সে বেশ ছোট!! খুব কিউট একটা মেয়ে আর গুনিও। সংসারটাকে একেবারে নিজের হাতে সাজিয়েগুছিয়ে নিয়েছে
-ওহ। মানে সংসারের রাশ এখন ওই মেয়ের হাতে??
-হ্যা। হবেই বা না কেন ওটা তো ভাবিরই সংসার
-হুম। আমি একবার দেখা করতে চাই রে অয়নের বউ এর সাথে
-পসিবল না মা।ভাইয়া আসতে দিবে না।
-জানবে কিভাবে?
-থাক না মা।এসব করে ভাইয়ার রাগ আর বাড়িয়ে লাভ কি? দেখলা তো একবারও আসলো না তোমাকে দেখতে। কিন্তু তোমার চিকিৎসার সব খরচ কিন্তু ভাইয়াই দিচ্ছে।
-হুম।
.
..
.
(সেদিন অরুর কথা শুনে সেই অনুযায়ী অয়ন তার বাবাকে জানিয়েছিল যে সাথী চৌধুরীকে সে এই বাড়ীতে আনবে না, এই সংসারে তার কোন স্থান নেই তবে তার চিকিৎসার ভার অয়ন বহন করবে! অয়নের কথায় সেদিন বাসার সবাই অনেক সন্তুষ্ট হয়েছিল….. তারপরই সাথী চৌধুরীর চিকিৎসা শুরু হয় এাপোলো হসপিটালে!অয়ন একা নয় নিসাদ হুসাইন, আরোহী,অহনা সবাই মিলে সাথী চৌধুরীর চিকিৎসার খরচ দিচ্ছে তখন থেকে। এাপোলো হাসপাতালের কাছাকাছি একটা বাসায় অয়ন উনার থাকার ব্যবস্থা করেছে,,প্রতি মাসে ভাড়া দিয়ে দেয় ওখানের সে।তবে এই কয় মাসে একটা বারের জন্যও অয়ন, আরোহী বা নিসাদ হুসাইন একজনও সাথী চৌধুরীর সাথে দেখা করতে যায় নি। আর অয়ন অরুকেও যেতে দেয় নি. )
/
//
/
নিজের কেবিনে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে অয়ন।সামনে সাদ বসা।
-দোস্ত ফাইনালি!!! ফাইনালি আমাদের অস্ট্রেলিয়ান বি.সি.জি.আই এর সাথে ডিলয়া ফাইনাল হল। ১ কোটি টাকা লাভ হল আমাদের!!
-হুম… আমাদের ২জনের
গত ২মাসের কষ্ট আজ স্বার্থক হল……..এন্ড মেক্সিমাম ক্রেডিট গোজ টু
ইউ সাদ। তুই না বললে আমি এই বিজনেসটা করার উদ্দ্যেগ নিতাম না! লাভ ইউ ইয়ার
-হুম দাড়া!!!!
-কি ??
-(আশেপাশে ভালভাবে দেখে নিল সাদ) হুম কেউ আসেপাশে নাই
-তো?????
-তো লাভ ইউ ঠু দোস্ত……
-তো এটা বলার আগে আশেপাশে দেখার কারন??
-আরে কেউ শুনলে আমাদের দোস্তানা ভাবতো না!!
-কিহ???
(অয়ন সাদের এমন ফানি কথা শুনে হাতের লাইটার টা ওর দিক ছুড়ে মারলো “”)
-বলদ
-হা হা হা হা…আচ্ছা কি দিবি ভাবিকে??
-কি দিব? কেন??
-ওমা! বউ না তোর। এত বড় সাক্সেসে কিছু দিবি না???মৌ তো ওলরেডি বলেই দিয়েছে ডায়মন্ডের রিং চাই তার….সাথে ৫দিনের জাফলং ট্রিপ….
-ওহ গুড। মৌ তো চেয়েছে.. দিবি!! অরুকে তো আমি বলেছি ডিল ফাইনালের কথা গতকাল রাতে, ও তো কিছু চায় নি তা দিব কেন??
-কি?? ওই দিবি কেন মানে?? ভাবি চায় নি বলে দিবি না! ভাবি তো একটু চুপচাপ, চাপা স্বভাবের! তাই বলে নি।।। বাট তোর দিতেই হবে!!! আজ তুই যাবি আমার সাথে জুয়েলারি সপে……
-নাহ.. পারলাম না।তুই যা
-কি? তুই যা মানে! আমি তো যাবোই তুই ও যাবি! বেটা আমার পকেটের টাকা শুধু খরচ হবে আর তোর টা হবে না!! সেটা তো আমি হতে দিবো না… চল।।।।
(অয়নকে টানতে টানতে নিয়ে গেল সাদ…)
সাদের এমন কান্ড দেখে অয়ন বলল….
-শালা তুই এত শয়তান কেন?
-হয় তোমার সমজাতীয় 😀
-জাফলং কবে যাচ্ছিস?
-দেখি মেডামের সাথে কথা বলে সে কবের কথা বলে….আমার জাফলং যাবার ইচ্ছা নাই অত। হানিমুনে গিয়ে আসলাম তো…আর বিয়ের আগেও আমি, তুই, রাজ, মৃদুল গিয়েছিলাম না।মনে আছে?
-হুম।অস্থির মজা হয়েছিল..
– তোরা কই গেছিলি হানিমুনে?
-কোথাও না
-কিল্লায়??
-ওয়াট???
-আরে বুঝিস না! কি কারনে যাস নি?
-যাবো কি করে? ওই সময় দেশের অবস্থা ভাল ছিল না মনে নাই তোর? কিন্তু তোর ভাবীকে বলেছিলাম যে নীলাচল নিয়ে যাব ওর পরীক্ষার পর। দেখি এই উইকে প্লান করে ফেলি। কি বলিস?
-ওসাম আইডিয়া দোস্ত! আমরাই যাই চল… বান্দরবন টুর করে আসি ৪ জনে মিলে।
-হুম তা হয়….
-ওকে…. জানাস রাতে ফাইনাল
-ওকে ডান।
…………….
…………………….
……………..
শপিং মলে ঘুড়ছে ২বন্ধু….
সাদ মৌ এর জন্য হীরার একটা আংটি নিল। এবার পালা অয়নের। অয়নের মেয়েদের জিনিস সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। আজ সাদের জোড় করায় তার আসা!! নাহলে এসব ঝামেলায় অয়ন নেই। এই তো এবার রোজার ঈদে নিজের ক্রেডিট কার্ড অরুর হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল সবার জন্য আরক নিজের জন্য কেনাকাটা করতে… অরু, আরোহী আর অহনার সাথে গিয়েছিল শপিং এ….অয়ন সবাইকে ঈদে কাপড় দেবে বলে কার্ডে এক লাখ টাকা রেখেছিল।
অরুকে বলেছিল সবটা খরচ করতে আর অরুর যাবতীয় সব প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিতে…. অরু আরোহী, অহনা, রুশা, বাবা, অনিক, অয়ন সবার জন্য তাই দিয়ে ভরপুর শপিং করেছিল। কিন্তু মেয়েটা হিসাবে বেশ পাকা। ফাউ খরচ সে করে নি।আরোহী, অহনাকে ৮,৮ – ১৬হাজার টাকার মধ্যে তাদের পছন্দ মত জামা, জুতা, পার্স কিনে দিয়েছিল অরু, অনিক,অয়ন আর বাবাকে এক ই পাঞ্জাবী, স্যান্ডেল দিয়েছিল।তাদের পিছে ১৫ হাজার খরচ করেছিল, আর রুশার পিছনে ৫ হাজার মোটমাট ৩৬ +সেই দুপুরে অহনারর বায়নায় খাওয়াদাওয়া সব মিলায় ৪০ হাজার খরচ করে বাকি ৬০ হাজার কার্ড অক্ষত অবস্থায় দিয়েছিল অরু অয়নকে ফেরত। কিন্তু নিজের জন্য কেনার বেলায় বলে তার মনেই ছিল না কিছু কেনার কথা।অয়ন জিজ্ঞাস করায় বলেছিল যে বাবা, আরোহী তাকে ২ টা জামদানী শাড়ী দিয়েছে, অহনা ব্যাগ, জুতা কিনে দিয়েছে তা আর কি লাগে তার?? কোথায় কত টাকা খরচ করেছে অরু অয়ন ফেরার সাথেসাথে কাগজে লিখে হিসাব দিচ্ছিল! অরুর এমন কাজে অয়ন অনেক ই অবাক হয়েছিল কারন মেয়েরা শপিং বলতে পাগল আর হাতে নিজের স্বামির দেওয়া এত টাকা পেলে কোন মেয়েই ছারে না আর স্বামির অনুমতি থাকলে তো কথাই নেই। সেখানে এ কেমন মেয়ে?
-অরু? কি হচ্ছে? আমি কি হিসাব চেয়েছি তোমার কাছে?
-না মানে বলছি।
-না বলা লাগবে না।
বিষয়টা ছোট হলেও সেদিন অয়নের ভালই লেগেছিল!
কিন্তু পরে এই সাদ আর মৌকে নিয়ে গিয়েই অয়ন অরুর জন্য হাতের ২ টা সোনার চিকন চুরি আর একটা ধবধনে সাদা জামদানী শাড়ি কিনে এনেছিল। অরু চুড়ি জোড়া সব সময় পরে থাকে তবে সাদা জামদানী শাড়ীটা এখনো পরে নি অরু…..
এসব ভাবনার জগৎ থেকে অয়ন বের হল সাদের ডাকে….
-কি রে? হা করে দাড়িয়ে কি ভাবছিস?? কিছু কিনলি??
-নাহ
-কি? আমার কেনা কম্পলিট আর তুই হাবা!
-হাট “”!! সর যা তো।
আচ্ছা দেখি কি কিনেছিস?
-দেখ ( সাদ অয়নকে আংটি দেখালো….. )
কেমন হয়েছে?
-সুন্দর।কত পরলো?
-৩৫ হাজার
-কমেই তো হয়ে গেল তোর
-হয়! সলিটার না।
-হুম।আর? ওই প্যাকেটে কি?
-ওই আছে, দেখামু না
-কেন? কি বল
– আরে আছে
-কি?
-নাইটি……
(অয়ন চোখ গোলগোল করে তাকালো সাদের দিকে… সাদ হেসে বলল…
-তো কি? কষ্ট করে ইনকাম করবো, তার সব ইচ্ছা পুরন করবো তা সে আমাকে এর বদলে একটু সুখ দিবে না!!
-হুম। চল
-কিছু কিনবি না???
-হুম চল ওই দিকটায়।
(অয়ন অরুর জন্য একটা ছোট্ট হীরার নাক ফুল কিনল )
– চল যাই
-ওকে চল
♣
♣♣
♣
রাতে অয়ন বাড়ী ফিরলো। টেবিলে তার লেবুর শরবত প্রস্তুত…. অয়ন সেটা দেখে হেসে দিল… বলল…… -মেয়েটার আমার সব দিকে নজর আছে। অয়ন লেবুর শরবত টুকু খেয়ে ওয়াশরুমে গেল ফ্রেশ হতে।
অরু বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশ দেখছে আর গুনগুন করছে..।
অয়ন অরুর পিছে দাড়ীয়ে ওর বাম কাঁধে হাত দিয়ে ডান সাইডে দাড়ালো!
-কে? কে?
(অরু বাম পাশে চারিদিক তাকিয়ে ডান দিকে তাকিয়ে…
-উফ আপনি!!!!
-হুম আর কে হবে?
-না হুট করেই…….
– হুম।
-হুম।
-অরু!!
-জ্বি..
-গান গাইতে পারো?
-হুম
-শুনাও না
<অরু কিছুক্ষন চুপ থাকলো.... তারপর সুর তুলিল!..........
আমি তোমার সঙ্গে
বেঁধেছি আমার প্রাণ
সুরের বাঁধনে--
তুমি জান না...আমি তোমারে
পেয়েছি অজানা সাধনে॥
আমি তোমার সঙ্গে
বেঁধেছি আমার প্রাণ
সুরের বাঁধনে--
সে সাধনায় মিশিয়া যায়
বকুলগন্ধ,
সে সাধনায় মিলিয়া যায়
কবির ছন্দ--
তুমি জান না, ঢেকে
রেখেছি তোমার নাম
রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥
আমি তোমার সঙ্গে
বেঁধেছি আমার প্রাণ
সুরের বাঁধনে--
তোমার অরূপ মূর্তিখানি
ফাল্গুনের আলোতে বসাই
আনি।
অরূপ মূর্তিখানি
বাঁশরি বাজাই
ললিত-বসন্তে, সুদূর
দিগন্তে
সোনার আভায় কাঁপে তব
উত্তরী
গানের তানের সে
উন্মাদনে॥
আমি তোমার সঙ্গে
বেঁধেছি আমার প্রাণ
সুরের বাঁধনে--......
-অসাধারণ। এত সুন্দর গান পারো কিভাবে.?
-আমার আম্মু গান করতেন। অনেক সুন্দর কন্ঠ ছিল তার।আম্মুর ভিডিও শুনেই শিখেছি।
-ওহ।
-হুম। চিকেন নিচে খাবার দিন
-চল।
♥
♥♥
♥♥♥
♥♥
♥
রাতে অরু আগেই আসলো রুমে।অয়ন তার বাবার সাথে গল্প করছে।
না আজ অরু নিজেকে এমন করে সাজাবে যে অয়ন ধরা দিতে বাধ্য! আজ অয়ন তার স্ত্রির সাথে রাত কাটাবে বন্ধুর সাথে নয়.........
অরু আজ অয়নের দেওয়া সাদা জামদানী শাড়ি পরেছে...শরীরে মন মাতানো পারফিউম
.....পাতলা আচলে ধবধবে সাদা পেট দৃশ্যমান....গহনা বলতে কিছুই পরেনি অরু.... গলা,কান,হাত খালি.
.চুলগুলো খোপায় বেধে বেলীফুলের গাজড়া পরেছে অরু! ছাদে নিজের হাতে লাগানো বেলীফুলের গাছ থেকে ফুল তুলে নিজের হাতেই গাজড়া বানিয়েছে অরু........
চোখে মোটা কাজল....... ঠোটে টুকটুকে লাল লিপস্টিক........
মেকআপের আর দরকার কি?এতেই অপরূপ সুন্দরি লাগছে অরুকে যেন এক সাদা পবিত্র অপ্সরী....
♥♥
♥♥এখন দেখার পালা অয়ন তার অপ্সরী বউকে এই রাতে কিভাবে আপন করে নেয়........ দেখার পালা কিভাবে দুজন দুজনের মাঝে ডুব দেয়।।। কিভাবে প্রতিযোগীতায়তায় নামে একে অপরকে আপন করে নেবার যুদ্ধে......
♥♥
♥♥
চলবে.......