অভিশাপ (পর্বঃ ০১)

গল্পঃ অভিশাপ
(পর্বঃ ০১)
Writer:- (নষ্ট জীবন) Sohanur Rohoman Sohan
.
-ব্লাড যদি বের হয় তখন?
-আরে পাগলী কিচ্ছু হবে না, প্রথম প্রথম একটু কষ্ট সব মেয়েরাই পায়!!
-তবুও আমার ভয় করছে,,
কায়েস মাধবীলতাকে বুকে টেনে নিয়ে দু’গালে হাত রেখে কপালে চুমু দিলো।ভয়ে মেয়েটার শরীল “ঠক ঠক” করে কাপছে।কায়েস মৃদু হেসে বলল….
-ভয় করছে তোমার?
.
-হুমমম প্রচন্ড ভয় করছে, বিয়ের আগে এসব না করলেই নায় কি?
.
-পাগলী মেয়ে! করবো তো বিয়ে।আর মাত্র ১ মাস পরেই বিয়ে করব.,
.
-এই এক মাসও অপেক্ষা করতে পারবা না!
.
-প্লীজ মাধবী! না, করো না..
মাধবীলতা আর না করেনি, প্রচন্ড ভয়ে কায়েসের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে ছিলো।একটা দামি কামরা বুকিং করলো তাদের দুজনের জন্য।
কায়েস হাসতে হাসতে রুমের ছিটকেরি লাগিয়ে।নরম গদির বিছানায় বসে আছে মাধবীলতা মেয়েটা।ভয়ে মেয়েটার কালো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।কায়েস পাশে বসে হাতের উপর হাত রেখে বলল…
-শোন!
.
-হুম বলো?
.
-বিয়ের পর আমাদের একটা বাচ্চা হবে তখন এসব কষ্ট আর মনে পরবে না।
.
-হুমমম
(মাথা ঝাকিয়ে হুম জবাব দিলো)
.
-আচ্ছা যাও, ড্রেস চেন্জ করে আসো।আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি বসে…
তোয়ালে নিচ দিকে টানতে টানতে রুমে ঢুকলো।কায়েসের শরীরে শুধু একটা শর্ট প্যান্ট।মাধবীলতা আচর্য হয়ে বলল..
-কোনো সেভটি ব্যবহার করবে না!
.
-আরে বোঁকা! এখন সেভটি লাগবে না।তোমার বাচ্চা নেওয়ার বয়স এখনও হয়নি, চিন্তার কিছুই নেয়..
.
-তবুও সেভটি নিলে ভালো হতো?
.
-লাগবে না বললাম তো!!
.
-রাগছো কেন?
.
-কই রাগলাম।বিছানায় আসো!
.
-তাহলে এমন কথা বলতেছো কেন?
মাঝ রাতে মাধবীলতা তোয়ালে বুকে জোরিয়ে, গোসল করতে চলে গেলো।গোসল করতে করতে ভাবছিলো বিয়ের আগেই কি এসব করা ঠিক হলো?
না, না কায়েস তো আমার ভবিষ্যৎ স্বামী হবে।কায়েসের অধিকার আছে আমার শরীরে।
চুল গুলো মাথা নিচু করে মুছতে মুছতে কায়েসের দিকে তাকলো ছেলেটা ঘুমন্ত অবস্তায় কত সুন্দর নিষ্পাপ লাগছে।
কিন্তু কিছুক্ষণ আগে এই ছেলেটাই আমাকে জানোয়ারের খুবলে খাচ্ছিলো।ভালোবাসলে কেউ এরকম ভাবে তার গালফ্রেন্ডকে ব্যবহার করে কিনা জানিনা, তবে তার চোখে নিজেকে খুঁজে পায়।
.
ধর্ষণ করলো নাকি উপভোগ করলো বোঝা কঠিন।আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না কিছুক্ষণ আগে বয়ফ্রেন্ড তাকে কি ক্ষতি করেছে।
ঠোঁটটা কামরে রক্তারক্তি অবস্তা করে দিছে।
গালেও দাঁত দিয়ে কামরের দাঁগ পরে গেছে।
বিছানার কোণে বসে কায়েসকে ধাক্কা দিয়ে ডাকার চেষ্টা করছে, ঘুমের ঘোড়ে কায়েস বিরক্ত নিয়ে বলল…
-কি হয়েছে নিজেও ঘুমাবে না অন্যকেও ঘুমাতে দিচ্ছো না! সবার আগে গল্প পড়তে নীল ক্যাফের ভালোবাসা পেজের সাথেই থাকুন,নীল ক্যাফের ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোন পেজে গল্প পরলে বুঝবেন চুড়ি করে পোস্ট করা গল্প।
.
-আমার বাসায় যেতে হবে, আম্মু আব্বু চিন্তা করছে হয়তো!
.
-একদিন বাসায় না গেলে কিছুই হবে না।আসো ঘুমাও..
.
-না, কায়েস আমার সারা শরীল প্রচন্ড ব্যাথা করছে।চলো না একটু আমাকে বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসবে.?
.
-বসো আমি শার্ট প্যান্ট পরে রেডি হয়ে আসতেছি!!
বিরক্তিকর চেহারা নিয়ে কায়েস বের হলো।রাস্তা দিয়ে খুরিয়ে খুরিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মাধবীলতা।
কায়েস রাগ দেখিয়ে বলল…..
-অভিনয় করে হাঁটতে হবে না স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে চলো!
.
-সত্যি আমার হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে, পাজাকলা করে নাও না, হাঁটতে পারছি না তো!
.
-এভাবে গেলে চলো না গেলে এখানেই রাত কাটাও”!
মাধবীলতা যদি ছেলে হতো অবস্যই রাতটা রাস্তাতেই কাটে দিতো।কায়েসের ব্যবহারও কেমন জানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে!
প্রথম রুমডেটেই যদি আগ্রহ কমে যায় তাহলে আমার চরিত্রর কালো দাঁগ কোন দিনও মেশাতে পারব না।
.
বাসার কাছে আসতেই কোন কিছু না বলে, সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে চলে যাচ্ছে কায়েস।
কায়েসের এমন ব্যবহারে মাধবীলতা অন্যমনস্ক হতে লাগলো।এত অবহেলা কেন করছে আমার প্রতি?
কায়েসের চাহিদা মিটে গেছে বলে কি আমাকে অবহেলা করছে।দরজায় কলিংবেল দিতে হলো না।
হালকা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো।তার মানে মাধবীলতার আম্মু আব্বু এখনও জেগে আছে..!
.
টিপ টিপ পায়ে মাধবীলতার রুমে ঢুকার চেষ্টা।তার আব্বু আম্মু সোফায় বসে গালের হাত রাখা।
চিন্তায় পরলে যেন হয় মানুষদের।
না দেখার ভান করে মাধবীলতা সিড়ি বেয়ে উপরের রুমে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ পিছন থেকে ডাক পরলো “মাধবীলতা এত রাত্রী করে বাড়ি ফিরলে কেন? কোথায় ছিলেন সারা রাত?”
মাথা নিচু করে বলে…
-জ্বী, আব্বু বান্ধবীর বাসায় ছিলাম।কিছু পড়া বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য.. (মাধবীলতার আব্বু)
মাধবীলতার আম্মু রেগে গিয়ে বলল…
-মাঝ রাতে পড়া বুঝিয়ে নিতে গিয়েছিলি তাহলে খোরাচ্ছিস কেন? (মাধবীলতার আম্মু)
.
-আহ্ বকছো কেন? একটাই তো মেয়ে হয়তো কোখাও পরে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে গেছে! যাও ঘুমিয়ে পরো কাল তো কলেজে আছে সকাল সকাল উঠতে হবে…?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here