অভিশাপ,পর্বঃ ০৪,০৫

গল্পঃ অভিশাপ,পর্বঃ ০৪,০৫
Writer:- (নষ্ট জীবন) Sohanur Rohoman Sohan
০৪
.
-আমার একটা বন্ধু ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছি, মাইনে অনেক ভালো।একবার বিয়ে হয়েছিলো বউ রেখে চলে গেছে।সংসারের কাজ বলতে তেমন কিছু করতে হবে না শুধু একটা বাচ্চা মেয়ে আছে তার যত্ন নিতে হবে”(মাধবীলতার আব্বু)
-একটা ডিভোর্সি ছেলের সাথে বিয়ে!(আচর্য হয়ে)
-তো কি রাজকুমারের সাথে বিয়ে করতে চাচ্ছিস (হা হা) (মাধবীলতার আম্মু)
°
মাধবীলতা দু’হাত মুখে চেপে, মাথা নিচু করে মুখ চাপা কান্না করছে শুধু “হুঁহুঁ” করে একটা শব্দ আসতেছে সোফায় বসা মাধবীলতার কাছ থেকে।মেয়েটা কয়েক দিনেই কেমন অগোছালো হয়ে গেছে, আগের মতো আর বাসায় দুষ্টুমি গুলোও দেখা যায় না।
.
কলেজ থেকে এসেই আর বাচ্চাদের মতো তার আব্বুকে জোরিয়ে ধরে বায়না করেনা “আব্বু আমার জন্য চকলেট আনোনাই কেন? আমি আর তোমার সাথে কথা বলব না হু.!”
°
মাধবীলতার আব্বুও আর নিজ হাতে তুলে খাওয়ায় না।যে মেয়েটা মার হাতে না খেলে ক্ষুধা মেটে না।
সেই মেয়ে গত দুই দিন ধরে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না।চুল গুলো শুশকো হয়ে গেছে।
চোখের কোটরে চলে গেছে চোখের মণি গুলো, ঘনো কালো দাঁগ চোখের নিচে।
.
একটা মেয়ের সব থেকে মূল্যবান সম্পদ, অহংকার তার দেহ।আজ মাধবীলতা বু্ঝতেছে।নিজের রুমে বসে মাধবীলতা চিৎকার করে কান্না করছে।মাধবীলতার রুমের দরজায় (“ঠক ঠক”) নক পরলো।
.
ছিটকেরি খুলে দিতেই দেখতে পেলো তার আম্মু।খুশিতে আত্মাহারা হয়ে গেলো মাধবীলতা!
হাতে প্লেটে উপর আরেক’টা প্লেট দিয়ে ঢেকে রেখেছে কিছু একটা।
মাধবীলতা চোখের পানি মুছে, বিছানায় উঠে বসলো।তার আর সহ্য হচ্ছে না কখন তার আম্মু খাইয়ে দেবে সেআ আশায়।
প্লেট টেবিলে রেখে চলে যাচ্ছিলো, চেহারা না ফিরিয়েই বলল…..
-পড়ার টেবিলে রেখে গেলাম খেয়ে নিস” (মাধবীলতার আম্মু)
.
-আমম্মুউঁ..
(আল্লাদি সুরে)
.
-ঐমুখে আম্মু ডাক, ডাকবি না।লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে যায়।তোর মতো কলঙ্কিনী মেয়ের মুখে আম্মু ডাক মানায় না! (মাধবীলতার আম্মু)
.
-আম্মু আমি দু’দিন ধরে খাচ্ছি না।জানো না তোমার হাতে না খেলে ক্ষুধা মেটে না।প্লিজ খাইয়ে দাও না, প্লিজ আম্মু…
(অনুরোধ করে বলল মাধবীলতা)
.
-তোকে খাইয়ে দিতে ইচ্ছা করে না।এখন বড় হয়ে গেছি, কলেজে পড়িস আবার রুমডেটেও যাস।এখন কি আর ছোট আছিস যে খাইয়ে দিতে হবে,,!! (মাধবীলতার আম্মু)
.
-সরি আম্মু, এমন ভুল আর হবে না…
(মাথা নতো করে)
.
-কিছু ভুলের কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।বড় বড় ভুল সরি বলেই সমাধাণ করা যায় না… (মাধবীলতার আম্মু)
°
মুখে আঁচল চেপে কান্না করতে করতে চলে গেলো।
মেয়ের সামনে মুখামুখি হয়ে হয়তো এসব কথা বলতে পারতো না।অনেক ভালোবাসে যে মেয়েটাকে,
তাই তো চেহারা না ফিরিয়েই কথা গুলো বলল।
.
বিছানা ছেড়ে শাওয়ার নিলো।
বেশ কিছুক্ষণ শাওয়ার নিলো যেন মনটা একটু ফ্রেস হয়ে যায়।তোয়ালে দিয়ে মাথা ঝুকে চুল মুছতে মুছতে রুমে ঢুকে দেখলো বিছানায় পরে থাকা ফোনে “অচেনা নাম্বার থেকে কল এসেছে”।
কেটে দিলো কলটা।
আবারও কল আসলো।বিরক্তি কল নিয়ে ধরে রাগ দেখি বলল…
-কি সমস্যা কি আপনার? বার বার বিরক্ত করছেন কেন? পরিচয় কি আপনার?
.
-আমি সোহান!
(আচর্য হয়ে সোহান ছেলেটা নিজের নাম বলল।তার সাথে বিয়ে ঠিক করছে অথচ তার নাম জানেনা আবার রাগও দেখাচ্ছে)
.
-চিনলাম আপনে।কে আপনি ঠিক করে বলুন তো?
.
-কেন আপনার বাবা-মা আমার সম্পর্কে আপনাকে কিছু বলেনি।আমার সাথেই তো আপনার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে! আপনার বাবার বন্ধুর ছেলে..!
.
-ওহহ হ্যাঁ চিনতে পারছি।
.
-আসলে খুব ব্যস্ত থাকার জন্য আপনাকে ফেন দিতে পারিনি।একা হাতে সংসারের সব কাজ আর পিচ্চি মেয়েটার দেখা শোনা, এক কথা বলতে গেলে ব্যস্ততার উপর সময় কাঁটে।তবে হ্যাঁ আমাদের যখন বিয়ে হবে তখন আপনাকে রান্নার কাজে হেল্প করতে পারি।আমার হাতের রান্না অনেক ভালো…
.
-(হা হা) বিয়ের আগেই এতো স্বপ্ন।আপনাকে এখন যে কথাটা বলব, শুনলে বিয়েই করবেন না আমাকে!
.
-বলুন তাহলে।
.
কিছু বলার আগেই ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলো।
সোহান ছেলেটা ভাবছে মেয়েটা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চেয়ে ছিলো।বলেও বলতে পারলো না, ঘড়িতে এখন ১২টারও বেশি বাজে মনে হয় না কোন ফ্যাসিলোড খোলা আছে।এত রাতে গোসল করে ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায় সেদিনের মতো…!
_____________________________________________________________
সোহান ছেলেটা আর কল করে না।বিজনেসম্যান লোক বিজনেস নিয়ে হয়তো ব্যস্ত অথবা তার পিচ্চি মেয়েকে নিয়ে।
আজ মাধবীলতার নাভির নিচে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছে।
প্রসব ব্যাথায় মেয়েটা (মাধবীলতা) বিছানার চাদর টেনে ধরে আছে।চিৎকার করে বলে উঠলো “আমম্মম্মুউঁহ্ আমার আর ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না”।
চিৎকারে পুরো বাড়ি নড়ে উঠার মতো।
পাগলের মতো হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে তার আম্মু।তার আব্বু অফিসের কাজে ব্যস্ত।ক্যালেন্ডারে দিকে চোখ যেতেই দেখলো লাল মার্ক করা “নিচে লেখা আমার আমার কিউট বাচ্চাটার হওয়ার ডেট”।

চলবে কি??

গল্পঃ অভিশাপ
(পর্বঃ ০৫)
Writer:- (নষ্ট জীবন) Sohanur Rohoman Sohan
.
চিৎকার করে বলে উঠলো “আমম্মম্মুউঁহ্ আমার আর ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না”।চিৎকারে পুরো বাড়ি নড়ে উঠার মতো।পাগলের মতো হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে তার আম্মু।তার আব্বু অফিসের কাজে ব্যস্ত।ক্যালেন্ডারে দিকে চোখ যেতেই দেখলো লাল মার্ক করা “নিচে লেখা আমার আমার কিউট বাচ্চাটার হওয়ার ডেট”।
°
মাধবীলতার আম্মু ভয়ে কাপছে, মাথা থেকে ঘাম ঝোড়ছে।১৭ বছর বয়সী একটা মেয়ে এত কম বয়সে বাচ্চা হতে গিয়ে যদি নিজের মেয়েটাকেই হারায়।
ফোন তুলে তারাহুরা করে মাধবীলতার আব্বুর নাম টাইপ করে।কল দিলো রিং হচ্ছে কিন্তু ফোন তুলছে না।
মাধবীলতার আব্বু মিটিংয়ে থাকায় কলটা কেটে দিয়ে আবার মিটিংয়ে মনযোগী হয়ে সবাইকে বুঝাচ্ছে।
.
কাপা কাপা হাতে ম্যাসেজ করলো “প্লিজ কলটা ধরো, মাধবীলতার খুব গুরুতরো অবস্তা!”
ম্যাসেজ দেখে কিছুটা ভয় ঢুকে গেছে মনের ভেতর।কিছু হলো নাতো মেয়েটার?
এবার কল করতেই ধরলো।
ওপাশ থেকে মাধবীলতারর আম্মু বলল….
-হ্যালো..(মাধবীলতার আম্মু)
.
-তোমার কণ্ঠ কেমন ভাড়ি ভাড়ি লাগছে কি হয়েছে মাধবীলতার।কোন দূঘটনা ঘটলো নাততো!.. (মাধবীলতা আব্বু)
(রুমাল দিয়ে বার বার কপালের ঘাম মুছতেছে)
.
-আমি মাধবীলতাকে নিয়ে জিয়া-মেডিকেল নিয়ে যাচ্ছি।ওর শরীরটা খুব খারাপ.. (মাধবীলতার আম্মু)
.
-জিয়া-মেডিকেল কেন? (মাধবীলতার আব্বু)
(চিন্তা যেন ধীরে ধীরে মাধবীলতার আব্বুর বেরেই যাচ্ছে)
.
-ফোনে সব বলা সম্ভবনা, তুমি প্লিজ তারাতারি চলে আসো.. (মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতার আব্বু এসে দেখে তার স্ত্রী একটা ব্রেঞ্চিতে বসে ঝুকে কান্না করছে।পিঠে হাত রাখতেই চমকে উঠলো।
স্ত্রীকে জোরিয়ে ধরে।
চোখের জল মুছে দিয়েবলল….
-সৃষ্টিকর্তা আছে আমার সাথে।তিনি আমাদের মেয়ের কিছুই হতে দেবে না, তার উপর বিশ্বাস রাখো.. (মাধবীলতার আব্বু)
.
-ভাবছিলাম আমাদের মেয়ের বাচ্চা হলে কি করব? (মাধবীলতার আম্মু)
.
-চিন্তা করো না, আমি একটা না একটা ব্যবস্তা ঠিকি করে দেব.. (মাধবীলতার আব্বু)
.
-(তবুও বার বার প্রশ্নর পর প্রশ্ন করেই যাচ্ছে)
সমাজে কিভাবে মুখ দেখাব? তারা যদি প্রশ্ন করে বিয়ের আগেই কিভাবে বাচ্চা হলো তখন? (মাধবীলতার আম্মু)
.
-বললাম তো চিন্তা করো না, আমি আছি তো সব কন্ট্রোলে রাখার জন্য… (মাধবীলতার আব্বু)
তার স্ত্রীকে শক্ত করে বুকে জোরিয়ে ধরে আছে। “হুঁহুঁ” কান্না করছে, কান্নায় তার শার্ট ভিজে চুপসে যাচ্ছে।
ডাক্তার বেরিয়ে এলো।মাধবীলতার আম্মু চোখের জল লেপটে লুপটে মুছে বলল…
-ডক্টর আমার মেয়ে এখন কেমন আছে? (মাধবীলতার আম্মু)
.
-বাচ্চার মা একদম সুস্থ আছে কিন্তু…! (ডাক্তার)
.
-কিন্তু কি ডক্টর, এভাবে চুপ থাকবেন না? (মাধবীলতার আব্বু)
.
-সরি, আমরা মাকে বাঁচাতে গিয়ে।বাচ্চাকে বাঁচাতে পারিনি।আপনারা চাইলে প্রেসেন্ট এর সাথে এখন দেখা করতে পারেন.. (ডাক্তার)
ডাক্তার চলে গেলো কথা গুলো।
বিধাতার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া করলো স্ত্রী-স্বামী মিলে।
দুজনে মাধবীলতার রুমে ঢুকে মিষ্টি একটা হাসি দিলো।মাধবীলতা তাদের দেখে উঠার চেষ্টা করলো।
তখন তার (মাধবীলতার) আম্মু বলল…
-উঠিস না, ডক্টর তোকে রেস্ট নিতে বলেছে, (মাধবীলতার আম্মু)
.
-আমার বাচ্চা কই,।কই আমার বাচ্চা..
(পাগলের মতো বলতে লাগলো।দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার (মাধবীলতার আম্মু বলল….)
.
-তোর বয়স কম হওয়ায় বাচ্চা হয়েই মারা গেছে।তুই ভালো আছিস এটাই অনেক আমাদের কাছে…. (মাধবীলতার আম্মু)
.
-মিথ্যা, মিথ্যা বলছো তোমরা।আমার বাচ্চাকে তোমরাই মেরেছো।কোথায় রাখছো বলো…
(কাঁদতে শুরু করে দিলো)
.
-এতে মিথ্যা বলার কি আছে! (মাধবীলতার আম্মু)
.
-তোমরা ডক্টরকে ঘুষ দিয়েছো।প্লিজজ ফিরে দাও আমার বাচ্চাকে প্লিজ।তোমরা যা বলবে আমি সব করতে রাজি…
(কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করলো)
.
-বিশ্বাস না হলে ডক্টরকে বল।তারাই জানে বাচ্চা মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে… (মাধবীলতার আম্মু)
.
-তোমরা এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারলে।একটা নিষ্পাপ বাচ্চাকে কেন মারলে?
(এখনও কাঁদছে)

এরি মাঝে চলে আসে মাধবীলতার আব্বু।
মাধবীলতা সন্তান হারানোর ভয়ে লক্ষ্যই করেনি তার আব্বু বাহিরে চলে গেছে কখন।ফল হাতে রুমে ঢুকলো…
-মা মেয়ের কি কথা হচ্ছে হুম? (মাধবীলতার আব্বু)
.
-দেখো না, তোমার মেয়ে কি সব আবল-তাবল বকছে? আমরা নাকি ওর বাচ্চাকে মারার জন্য ঘুষ দিয়েছি… (মাধবীলতার আম্মু)
.
-হ্যাঁ তোমরাই তো মেরেছো।তোমরা খুনি..
(গলা ফাটিয়ে বলল)
.
-চুপ! একদম চুপ! (মাধবীলতার আব্বু)
(একটা ধমকে পুরো রুম চুপ হয়ে গেলো)
.
-বুঝাও তোমার মেয়েকে! কিছুতেই বু্ঝতেছে না জারজ বাচ্চাটা মারা গেছে… (মাধবীলতার আম্মুু)
.
-শোন, বাচ্চাটার মুখ থেকে মা ডাক শোনার ভাগ্য ততোর কপালে ছিলো না তাই মারা গেছে।যদি ততোর ভাগ্যে থাকতো তাহলে অবস্যই মা ডাক শুনতে পেতি।ভাগ্যর সাথে খেলা করে সবাই জিততে পারে না।ভুলে সব অতীত, নতুন ভাবে জীবন যাপন করে (মাধবীলতার আব্বু)
.
-কিন্তু আব্বু..!
(মাঝ খানেই কথা বলা থামিয়ে দিলো মাধবীলতার)
.
-আমি কোন কিন্তু শুনতে চাইনা।বিয়ের জন্য নিজেকে রেডি করো।আর মাত্র ৬ দিন পর তোমার বিয়ে… (মাধবীলতার আব্বু)
.
-আব্বু আমি বিয়ে করতে চাইনা..!
.
-কেন? কায়েস’কে বিয়ে করতে ইচ্ছা করে।বলনা তাহলে তোর কায়েস’কে বিয়ে করতে।সব কথার এক কথা আমি যাকে পছন্দ করেছি তার সাথেই তোর বিয়ে হবে..(মাধবীলতার আব্বু)
কথা গুলো বলো উঠে চলে গেলো তার অফিসের কাজে।
কান্নায় ভেঙ্গে পরা মাধবীলতাকে তার আম্মু বার বার বুঝাচ্ছে।
______________________________________________________________
এভাবেই কেটে গেলো ৬দিন।কিন্তু মাধবীলতার এখনও কোনো বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।
আগ্রহ থাকলে তো প্রস্তুতি নেবে।তার বান্ধবীরা হাতে স্বর্ণের বালা পরিয়ে দিচ্ছে, কেউ বা মেকাপ করিয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু বার বার মেকাপ গুলো লেপটে যাচ্ছে।এত কান্না করলো হয় তার বান্ধবীর মন্তব্য।
বান্ধবীরা মিটিমিটি হেসে হেসে ফুলসজ্জা রাতের দুষ্টু মিষ্টি গল্পের কথা।
.
বাম হাতে শক্ত করে ধরে আছে বিষের বোতল।হয় কায়েসের সাথে পালাবে নয়তো বিষ পানে মৃত্যু ঘটবে।কায়েস’কে বার বার কল দেওয়ার চেষ্টা প্রথম কয়েক বার কলটা গেলেও ধরেনি।ম্যাসেজ দিলো ”মরা মুখ দেখার জন্য রেডি থেকো”।
হঠাৎ করেই তার আম্মু রুমে ঢুকে বলল…
-তোমরা সবাই বাহিরে যাও.. (মাধবীলতার আম্মু)
.
-জ্বী আচ্ছা আন্টি.. (বান্ধবীরা)
.
-(মাধবীলতাকে উদ্দেশ্যে করে বলল) বাম হাতটা দে,, সোহান তোর জন্য স্বর্ণর রিং পাঠিয়েছে .. (মাধবীলতার আম্মু)
মনের ভেতর এক অজানা ভয় কাজ করছে।ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে “মাথা ঝাকিয়ে না বলে দিলো”।
জোর করে বাম পিঠের পিছন থেকে আনতেই অবাক হয়ে গেলো।বিষের বোতল ধরে আছে।
সর্ব শক্তি দিয়ে ডান গালে থাপ্পর বসিয়ে দিলো।মাধবীলতার চোখে পানি টলটল করছে।পাঁচ আঙ্গুলের ছাঁঁপ পস্ট বোঝা যাচ্ছে…

-হারামজাদি আত্মহত্যার চেষ্টা করিস।থাক বন্দি হয়ে রুমের ভেতর।
বিয়ে না করে চেয়েও বিয়ে হয়ে গেলো।বাসর ঘড়ে ঘোমটা দিয়ে বসে আছে মাধবীলতা।বুক ধুক ধুক করছে ভয়ে।
সোহান রুমে ঢুকে ছিটকেরি লাগিয়ে দিলো।ছিটকেরি লাগানোর শব্দে ঘোমটার আড়াল থেকে মুখ তুলে তাকালো সোহানের দিকে।
গলা ঝারিয়ে কাঁশি দিলো “এহেম এহেম”, কিন্তু কোন সারা শব্দ না পেয়ে সোহান ছেলেটা আচর্য হয়ে মনে মনে ভাবলো “অভদ্র পরিবারের মেয়ে নাকি সালামও করলো না!

বিছানায় উঠে বসে কাঁধে হাত রেখে বলল “আপনার কি নার্ভাস লাগছে, প্রথম বার সবারি নার্ভাস লাগে।তবে আপনার সবার মতো বাসর রাত হবে নাহ্”
বলার আগে হাত সরিয়ে দিয়ে কাপতে কাপতে বলল…
-আমাকে ধরবেন না, দূরে থাকুন আপনি (মাধবীলতা)

চলবে কি??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here