অপ্রকাশিত ভালোবাসা,পর্বঃ ২৯+৩০

অপ্রকাশিত ভালোবাসা,পর্বঃ ২৯+৩০
আইরিন সুলতানা
পর্বঃ ২৯

রায়হান বাসায় এসে ব্রেকফাস্ট করে হিয়াকে নিয়ে কলেজের জন্য বেড়িয়ে পরে। নির্জন রাস্তায় একজোড়া তরুণ তরুণী হেটে চলেছে কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই। ঠিক যেন দুজনেই পন করেছে কেউ কারো সাথে কথা বলবেনা। দুজন দুজনার ভাবনাতে বিভোর।

একজন ভাবছে কিভাবে তার ভালোবাসার মানুষটাকে মনের মধ্যে লুকায়িত ভালোবাসাকে জানান দিবে। আর অন্যদিকে আরেকজন ভাবছে যে তার ভালোবাসা কি আদও তার ছিল নাকি সেখানে অন্যকারো বসবাস।

এবশেষে নিরবতা ভেঙ্গে হিয়া বলে উঠলো,,, ভাইয়ু তোমার সেই ভালোবাসার মানুষটা কেমন আছে তার সাথে তো আমার পরিচয় করিয়ে দিলেনা তুমি। কেনো এমন করলে বলো।

পরিচিত হতে চাস তুই – রায়হান

হুম খুব ইচ্ছে -আমি

আজ রাতে পরিচয় পেয়ে যাবি। এখন এটা বল তোর মনে কার বসবাস চলছে – রায়হান।

আমার মনে আবার কার বসবাস হবে কি যে বলো মাঝে মাঝে কিছুই বুঝিনা (অবাক হয়ে) -আমি

আমি কিন্তু অনেকদিন ধরে তোর উপর নজর রাখছিলাম,, তোর হাব ভাব মোটেও সুবিধের না এখন বলে ফেল দেখি সেই মানুষটা কে – রায়হান।

তেমন কিছুই না,, আমার কলেজ চলে এসেছে। আল্লাহ হাফেজ,, দুপুরে দেখা হচ্ছে,, আর আমি না আসা অব্দি কোথাও যাবেনা তুমি ঠিক আছে – আমি।

আচ্ছা বাবা কোথাও যাবোনা। নিজের খেয়াল রাখিস টা টা – রায়হান।

আমি আর কিছু না বলে দৌড়ে ক্লাসে চলে আসি। তারপর বান্দরনিদের সাথে গিয়ে আড্ডায় মেতে উঠি,,,,,

হাই বান্দরনিস – আমি

এসব কি তুমি কলেজে পর সেটা ভুলে যাচ্ছো কেনো,, আমাদের একটা সম্মান আছে আমরা বড় হয়েছি আমাদের সম্মান দিতে শিখ বেয়াদপ মেয়ে (মজা করে) – নিলা।

কি আমার শিক্ষিকা আফা আসছে রে তা আফা এতো জ্ঞান কনে রাখেন আপনে আমারে কিছু দার দিবেননি কন না – আমি।

ঐ এসব কি ধরনের কথা বলিস মাঝে মাঝে হ্যা – শরিফা।

আপনে বুজেন না আমরার কতা,, এমন কতা আমরার খালার দেশেততন শিক্কাইলাম আমি। আমনেরা শিকবেন নি – আমি।

না বইন তোর এই রকম কথা আমাদের শিখে কাজ নেই। এখন বল আজকে আমাদের সাথে নদীর পারে যাবি কিনা – তিথি।

কেন যাজ্ঞাইতাম না আমি অবশ্যই যাজ্ঞাম এহন কন কহন যাজ্ঞাইবেন – আমি।

তোর এইসব আজব কথা বন্ধ করবি – ইশিতা।

ধুর তোদের সাথে আর মজা পাইলাম না,,এখন ক্লাসে মন দে পরে কথা হবেনে।
এই বলে ক্লাসে মনোযোগ দিলাম আমরা সবাই।
______________________________

ক্লাস শেষ করে আমরা সবাই নদীর দিকে হাটা ধরি। ১৫ মিনিট হাটার পর নদীর কাছে চলে আসি আমরা তারপর আমাকে আর পায় কে ব্যাগটা একটা গাছের উপর ফেলে আমি দৌড়ে গিয়ে নদীর কিনারায় হাত ছড়িয়ে দাঁড়ালাম। অনেকদিম পর মুক্ত বাতাসে এভাবে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করা হয় নি। তাই নিরব হয়ে এই মনোরম বাতাস গায়ে মেখে নিচ্ছি।

কিরে হিয়া চুপ করে আছিস যে – ইশিতা।

কিছু না দোস্ত বাতাস টা অনুভব করছি – আমি।

পাশে রায়হান ভাইয়া থাকলে আর বাতাস অনুভব করতে পারতি না – নিলা।

তোর কাছে কি ভালো কথা পাওয়া যায় না,, ফকিন্নি কনেকার এমনিতেই দুঃস্বপ্ন নিয়ে পেরায় আছি তার মধ্যে আবার রোমান্টিক ডায়লগ – আমি।

দুঃস্বপ্নটা কাকে নিয়ে দেখেছিস রে – তিথি।

অতো কিছু তোদের জানা লাগবেনা,, আজকে কি সেটা সবাই ভুলে গেছিস তাই না (মুখ ভুলিয়ে) – আমি।

আজকে কোনো বিশেষ দিন নাকি যে মনে রাখবো,,,,, কিরে তোরা জানিস আজ কি – নিলা।

আজ আমার মাথা মুন্ডু কুত্তি যা ভাগ আমার কাছে আসবি না আমার সাথে কথা বলবি না – আমি।

আরে হিয়া এভাবে রাগ দেখাচ্ছিস কেনো আমরা কি করলাম,, এই চল না নৌকার উঠি – শরিফা।

না আমি তো সাতার জানিনা আমি পরে যাবো,, পরে গেলে মরে যাবো,, তখন আমার রায়হানের কি হবে – আমি।

হাহাহা সিরিয়াসলি হিয়া রায়হানের কি হবে,, সে তো অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে তার বাচ্চাকাচ্চা হবে তারপর বাচ্চাকাচ্চাদের বাচ্চাকাচ্চা হবে তারপর….. – নিলা।

(নিলাকে থামিয়ে দিয়ে) থাম মেরি বেহেন তোর এই ননস্টপ বকবক পরে করিস এখন সবাই চল নৌকায় উঠি,, হিয়া কিছু হবেনা চল উঠি – ইশিতা।

আচ্ছা,, আমি সবার সাথে নৌকায় উঠলাম,, নৌকা দোল খেলে ভয়ে ইশিতার হাত খামচে ধরছি ( আহারে বেচারির হাত😂) কিছুক্ষণ ঘুড়ার পর আমিরা নৌকা থেকে নেমে গেলাম।

আল্লাহ আমার হাত শেষ করে দিলো রাক্ষসী টা – ইশিতা।

আর নিবা আমাকে নৌকায় চড়াতে,, শখ মিটছে নাকি আবার যাইবা,, চলো আর একটা রাউন্ড হয়ে যাক – আমি।

না আমার শখ মিটে গেছে আর চরবো না,, চল বাসায় যাই – ইশিতা।

আমরা সবাই বাসায় চলে আসি।
_____________________________________________

বাসায় আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো,, বাসায় এসে দেখি বাড়ি ভরতি মানুষ। যা বাবা দেখে গেলাম বাসা ফাকা আর এসে দেখি ভরতি এটা কেমন বিচার। এখন আমার আরামের ঘুম শেষ। সিরির কাছে আসতেই খালামনি আর আম্মু আমাকে ডাকলো,,

হিয়া আমাদের সাথে দেখা না করেই রুমে যাওয়া হচ্ছিলো কেনো – খালামনি।

আরে তোমরাও এসেছ। আজকে বাসায় কি গো এতো মানুষ কেনো বাসায়। কারো বিয়ে শাদি নাকি – আমি।

হ্যা আজ তোর বিয়ে তুই জানিস না – আবির।

এ্যা না এটা হতেই পারেনা আমিতো এখনো বাচ্চা মাসুম বাচ্চা,, নিজের হাতে খেতেই পারিনা আমাকে কে বিয়ে করবে,, আরর তাকে জিজ্ঞাসা করেছো সে ১৮০টা পাপ কাজ করেছে কিনা – আমি।

হ্যা সব দিক থেকে পারফেক্ট এখন শুধু তোর আর তার বিয়ে হলেই আমরা বাচি – নিলয়।

আমি তোমাদের এতোই পর হয়ে গেলাম যে এখনি আমাকে বিয়ে দেয়ার জন্য কোন লাল কবুতর রে ধরে নিয়ে আসছ। তুমি (আবির) বিয়ে করো আর তুমিও (নিলয়) আমি গেলাম হুহ কেউ আমাকে ডাকবে না বলে দিলাম কেউ আমাকে ভালোবাসে না – আমি।

তারপর…….

To be continue….

অপ্রকাশিত ভালোবাসা
আইরিন সুলতানা
পর্বঃ ৩০

আরে হিয়া এদের কথা ছাড় তুই,, ওসব বিয়ে টিয়ে কিছুই না সবাই মজা করতেছে। তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর বলছি আমি – সিহাব।

তুমি অনেক ভালো তুমিই শুধু আমাকে ভালোবাসে আর কেউ ভালোবাসে না। সবাই আমার সাথে মজা নেই কারো সাথে কথা বলবোনা আমি। এই বলে উপরে নিজের রুমে চলে এলাম।রুমে এসে দেখি আমার বেটেলিয়ান বাহিনী গুলাও আজকে আমাদের বাসায় এসেছে। বেটেলিয়ান বাহিনী গুলা কে চিনেন নাই তো আসেন আমি চিনিয়ে দিচ্ছি,,,, নিল, মেঘলা, আব্দুল্লাহ (ছোট মামার ছেলে), ইয়াসির (বড় মামার ছেলে) এই বজ্জাত পোলাপান গুলা আমার বিছানা দখল করে বলে আছে। আমি তাদের কিছু না বলে ব্যাগটা টেবিলে রেখে ওয়াশরুমে ঢুক্র গেলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে ওদেরকে বললাম,,,,

কিরে ইবলিশের বংশধর গুলা আজকে সবাই হঠাৎ এই বাড়িতে আমার ঘরে কেনো এসেছে বল তো আজকে কোনো পার্টি বা অন্য কিছু আছে নাকি। বল না কিছু জানিস তোরা – আমি।

না পরি আমরা কিছু জানিনা। আমাদের আসতে বলল তাই আমরা চলে এলাম (আমার গালে চুমু দিয়ে) আর তোমাকে আদর করার সুযোগটাও পেয়ে গেলাম। তুমি জানো আমি তোমাকে খুব মিস করি। আমি বড় হয়ে গেছি বলে তুমি আমাকে আগের মতো ভালোবাসনা তাই না (অভিমান করে) – নিল।

ওলে বাবালে আমার নিলবাবুটা তার পরির উপর রাগ করেছে তাই না ( নাকে হালকাভাবে চাপ দিলাম)। পরি কি কখনো তোমাদের ভুলতে পারে বলতো পরি তো তোমাদের খুব ভালোবাসে। আর এখন পরির পরিক্ষা হচ্ছে তাই তো তোমাদের সাথে দেখা করতে পারছে না তাই বলে এভাবে অভিমান করবে তোমরা (মুখ গুমড়া করে) – আমি।

পরি তুমি মন খারাপ করনা নিল তোর মাথায় কি কিছু নেই আমার পরিকে মন খারাপ করিয়ে দিলি কেনো। তোরে ধরে রাম ধুলাই দেয়া উচিত ইটুম্বরের ছাও কোনো কিছু না বুঝেই কথা বলে ফেলে বড় হচ্ছে আর এটাও শিখে নাই কোথায় কি বলতে হয় – মেঘলা।

তুই আমাকে সবার সামনে বকেছিস আর ইটুম্বরের ছাও কি না কি ওটাও বলেছিস আমি তোকে বিয়ে করবোনা। আমি আমার পরিকে বিয়ে করবো। পরি তুমি আমাকে বিয়ে করবেনা বলো – নিল।

হুম আমার নিলবাবু যা বলবে তাই হবে মেঘলা এসব কি বলো তুমি আমার নিলবাবুকে এভাবে বকো না নিলবাবু কষ্ট পেয়েছে তো। ইয়াসির তুর পড়াশোনা কেমন চলছে রে – আমি।

বিন্দাস । আমাকে নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবেনা তোমরা নিজেদের নিয়ে ভাবো। তুমি তো সেই দাদিদের আমলের রয়ে গেছ এখনো একটা প্রেম ও করলেনা আর আমাকে দেখো আমার একটা প্রেমিকা স্কুলে আর একটা পাশের বাড়িতে। সকাল বিকাল সারাদিন প্রেমিকাময় কাটে আমার আহা আহা কি শান্তি – ইয়াসির।

ওরে শয়তান মামাকে বলবো আমি (কান টেনে) তুমি যে পড়াশোনা না করে প্রেমিকাময় দিন কাটাও সেটা মামা জানে। না জানলেও ব্যাপার না আমি জানিয়ে দিয়ে আসবো – আমি।

না আপু। তুমি না খুব ভালো প্লিজ আব্বুকে কিছু বলোনা আব্বু জানলে আমাকে গণধোলাই খাওয়াবে। আমি মার খেলে আমার প্রেমিকাদের কি হবে বলো তারা তো বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যাবে গো – ইয়াসির।

আচ্ছা যা বলছি না আমি কিছু খুশি – আমি।

খুব খুশি। তুমি অনেক ভালো আপু – ইয়াসির।

(ইয়াসির হিয়ার বড় মামার ছেলে। এবার ক্লাস ৭ এ পড়ে ভিশন পাকনা। মেধাবী ছাত্র। খুব দুষ্টু আর বদমাশ ছেলে)

(আব্দুল্লাহ হিয়ার ছোট মামার ছেলে বয়স ৩ বছর। হিয়া বলতে পাগল সবাইকে বলে বেরায় হিয়ার বর ও কেউ যদি বলে হিয়াকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে তাহলে সে আব্দুল্লার হাতে মার খাবেই খাবে। হিয়াকে যদি কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে শুনে তাহলে গালে থাপ্পড় বসায় এসে। )

সবার খোজ নেয় অথচ বরটার খোজ কেউ নেয় না। ডিবোত (ডিভোর্স) দিয়ে দিবো আমি তোমাকে – আআব্দুল্লাহ।

ইস আমি তো আমার পিচ্ছি বরটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। (কোলে নিয়ে) সরি বাবুটা বউ এর ভুল হয়ে গেছে বউ কে ক্ষমা করা জায়না বলো। এরকম ভুল আর কখনো করবেনা তোমার বউটা – আমি।

ঠিক আছে এবারের জন্য মাফ করা হলো আপনাকে। এবার বরকে একটা ততলেট দাও। অনেক খিদে পেয়েছে আমার -আব্দুল্লাহ।

খিদে পেলে বুঝি চকলেট খায়। আমি তোমার জন্য অন্য কিছু নিয়ে আসছি তুমি বস এখানে। চুপটি করে বসে থাকবে সবাই আমি সবার জন্যই খাবার পাঠাচ্ছি। আমার রুমটাকে নষ্ট না করে সব খাবার শেষ করবে কেমন। বস আমি আসছি – আমি।

ওদেরকে আমার রুমে বসিয়ে আমি নিচে এসে মামিকে দিয়ে ওদের জন্য খাবার পাঠালাম। আম্মু বলল ছোট মামা নাকি বাগানে আছে তাই আমিও ছুটে বাগানে গেলাম। আমার আর ছোট মামার মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক। আমিরা একসাথে হলে মারামারি না করলে আমাদের চলেই না। মামা এতো বড় তাও এখনো বাচ্চাদের মতো আমার সাথে মারামারি দৌড়া দৌড়ি না করলে তার পেটের ভাত যেন হজম হয় না।

ঐ রামছাগলের বাচ্চা আমার সাথে দেখা না করে এখানে কি করিস। তোর বজ্জাত ছেলেটাকে তো আমার ঘরে রেখে এসেছিলি এখন এখানে আরাম করা হইতেছে তাই না – আমি।

ঐ ছেমড়ি পড়ালেখা করাই কি করতে তোরে এখনো বড়দের সম্মান দিয়ে কথা বলতে পারিস না। দাড়া কাল কলেজে গিয়ে তোর স্যারের কাছে বিচার দিয়া আসবো আমি – ছোট মামা।

আহা মামা থুড়ি শশুর মশাই আপনি নিজের ছেলের বউ এর নামে নালিশ করবেন তাহলে আপনার ছেলের কি হবে বলেন। আল্লাদ কতো রে ওনি গিয়া বিচার দিবো। যা পারলে বিচার দে তারপর তোর ছেলেরে দিয়াই মার খাওয়াবো তোরে। এখন মানে মানে বলে ফেল আমার সাথে দেখা করলি না কেনো – আমি।

তুর বাচ্চাদের সাথে কথা বলছিলি তাই আমি আর ঘরে ঢুকলাম না। এখন বল কেমন আছিস -মামা।

আলহামদুলিল্লাহ ভালো,,,,,, তুই কেমন আছিস। আর আজকে সবাই এবাড়িতে কেনো রে – আমি।

আলহামদুলিল্লাহ……. সেকি তোর জন্য এতো আয়োজন আর তুই জানিস না আজকে এতো মেহমান কেনো – মামা।

বলো না শশুড় মশাই প্লিজ বলো আমার জন্য কেনো এই আয়োজন করা হয়েছে – আমি।

আরে এ কেমন গাধী নিজের পয়দার দিনটাই ভুইলা গেছে।আজকের দিনে তুই পয়দা হইছিলি আমাদের সবাইকে জালানোর জন্য। আর সেটার জন্যই ছোট করে একটা পার্টি রাখা হয়েছে। এবার বুঝছিস (এমা এমন দজ্জাল ভাগনীর মতো দারিয়ে আছে কেনো এই মেয়ে -মনে মনে) অমন করে আছিস কেনো হিয়া কেউ কিছু বলেছে (দাত কেলিয়ে হেসে) – মামা।

আমি জন্ম নিয়েছিলাম তোমাদের জানালোর জন্য তাই না। ঠিক আছে থাকবোনা আমি। চলে যাব আর কোনো কথাও বলবোনা কারো সাথে আমি (মুখ ফুলিয়ে) গেলাম থাক তুমি একলা – আমি।

আরে আরে রাগে কেনো। আমি তো মজা করেছিলাম দেখি আমার বউমাটাকে। রাগলে তো অনেক সুন্দর লাগে রে তোরে আজকে খুব সুন্দর করে সাজিস যাতে রায়হানের মাথা ঘুরিয়ে যায় বুঝেছিস – মামা।

ধুর কি যে বলো,, চল বাড়িতে যাই অনেক্ষণ হল বাগানে এসেছি আব্বিজানের সাথেও এখনো দেখা করা হয় নি…..

To bee continue………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here