অনুভূতিরা শীর্ষে 💗দ্বিতীয়ধাপ,১৮ পর্ব শেষ

অনুভূতিরা শীর্ষে 💗দ্বিতীয়ধাপ,১৮ পর্ব শেষ
লেখনিতে_সুমাইয়া ইসলাম মিম
.
.
রুবায়েত দেরি না করে শিশিরের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলো। এখন শিশিরই পারবে তার প্রশ্নের উত্তর দিতে।

শিশির সেই কখন থেকে সাদাদের খোঁজ চালানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই তার কোন খোঁজ পাচ্ছে না। আজ দুদিন ধরে তার কোন খোঁজ নেই। বাসার নাম্বারে ফোন দিলেও কেউ তুলছে না ফোনটা। এর মধ্যে রুবায়েতকে তার কেবিনে আসতে দেখে সে উঠে দাঁড়ালো। রুবায়েতকে সে চেনে না। তাই শিশিরকে রুবায়েত নিজের পরিচয় দিলো। সাদাদের বোনের হাসবেন্ড কথাটা শুনে সে ভাবলো তার কাছ থেকেই হয়তো সাদাদের খোঁজ নেওয়া যাবে। সে রুবায়েতকে বসতে বলে।

-মি. রুবায়েত। আপনি কি সাদাদের খোঁজ দিতে পারবেন? কোথায় আছে ও? দুদিন ধরে তার কোন খোঁজ আমি পাচ্ছি না।

রুবায়েত শিশিরের কথায় অবাক হয়ে বললো,

-তার খোঁজ নিতেই আমি আপনার কাছে এসেছি। সাদাদ কোথায় সেটা তো আপনার ভালো জানার কথা! সাদাদের ফোন থেকে শেষ ফোনটা আপনার ছিলো।

শিশির ভ্রু কুঁচকালো। সে বুঝতে পারছে না রুবায়েত এর কথা। সে কি করে জানবে সাদাদ কোথায়?

-সাদাদের সাথে আমার দুদিন ধরে যোগাযোগ নেই। আমি কি করে জানবো? আমি তার ফোনে কম হলেও দু-তিনশ কল করেছি। বাসায় ও ফোন করেছি, এমনকি সুবাহকেও ফোনে পাচ্ছি না।

-সুবাহ হসপিটালে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

শিশির প্রচন্ড অবাক হয়ে বললো,

-কি হয়েছে সুবাহর? ও ঠিক আছে তো? আর ওর বাচ্চা ঠিক আছে? কোথায় আছে সাদাদ?

রুবায়েত একটা নিশ্বাস ফেলে বললো,

-সাদাদ সুবাহর ছেলে হয়েছে। কিন্তু আমার বোনের অবস্থা তেমন ভালো নয়। তার মধ্যে সাদাদকে দুদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাদিয়াকেও সামলাতে পারছি না। আর ইউ শিওর তুমি জানো না সাদাদ কোথায়?

-জানলে আমিই চলে যেতাম ওর কাছে। তবে একটা কথা ও যেদিন থেকে শুনেছে ওর নিজেক কাকা ওর সাথে বেইমানি করছে ও ভেঙে পড়েছিলো।

শিশিরের কথা শুনে রুবায়েত অবাক হলো।

-ওর কাকা মানে? ছোটকু?

-হ্যাঁ!

-তুমি কি জানো আমাকে একটু বলোতো শিশির! তুমি করেই বললাম।

-না না ঠিক আছে। আসল বিষয় হচ্ছে এতোদিন সাদাদের উপর হামলা, সুবাহকে অপহরণ এর সবটাই করেছে সাদাদের কাকা আসলাম মানিক। সাদাদ যখন তার লোকেদের মাধ্যমে এই খবরটা পায় তখন আমিও তার সাথে ছিলাম। আসলাম মানিক আগেও অনেক অবৈধ কাজ করেছে এবং তা সাদাদ দূর্ভাগ্যবশত দেখে ফেলে। তখন সাদাদ এর বয়স খুব বেশি নয়। টিনএজ বলা চলে, সে যখন তার বাবাকে তার কাকার কথাটা বলে, সাদাদের বাবা তখন তার ভাইকে বেশ বকাঝকা করে এবং তার কাকা প্রতিজ্ঞা করে এমন কাজ আর করবে না৷ তাই সেইসময়েই সাদাদের কাকা এদেশ ত্যাগ করে। কিন্তু সে পিছন থেকেও সাদাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে বারংবার। এমনকি প্রফেসর আলিফকেও সেই কিডন্যাপ করেছিলো নিজের কার্য সিদ্ধ হাসিল করতে। কিন্তু সাদাদ তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রফেসরকে মুক্ত করে, যার জন্য সাদাদের কাকা আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। যার স্বরুপ এখন সে সাদাদকে একদম শেষ করে দিতে চায়। জানি না সাদাদের কাকাই তার কোন ক্ষতি করেছে কি না। আমি শুধু চাইছিলাম আপনাদের কারো সাথে আমার যোগাযোগ হয়ে যাক, আর আপনাদের সাথে এই কথাটা বলতে পারি। এর মধ্যে সাদাদেরও কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না৷

-এখন আসলাম মানিকই তাহলে আমাদের নেক্সট ক্লু!

.
সাদাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আর তার পাশেই আছে আসলাম মানিক। সামনে একজন কাজী বসে আছে যে আপাতত ভয়ে তটস্থ হয়ে কাঁপছে। তাদের কিছুদূরে চেয়ারে বসে চিৎকার করছে রীতি। এখন বিষয় হচ্ছে সে কিভাবে এখানে আসলো?

সাদাদ যখন অফিসের রাস্তায় যাচ্ছিলো তখনই তার উপর হামলা হয়। সে নিজেকে সেই লোকদের থেকে রক্ষাও করে বেশ কিছুদূর এগুনোর পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়। কিন্তু জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে এই বদ্ধ জায়গায় আবিষ্কার করে। সবচেয়ে বেশি অবাক হয় তারপাশে আসলাম মানিককে দেখে কেননা সাদাদের এখন সবচেয়ে বেশি জঘন্য লাগছে তার ছোটকুকে। কিন্তু তাকে সে ধরে নিয়ে আসলে সে এখানে বাধা অবস্থায় কেন? সাদাদ আস্তে করে সামনে তাকাতেই দেখে রীতি বসা। তার ঠোঁটে বিশ্রী হাসি। সাদাদের জ্ঞান ফিরতে দেখে রীতি তাড়াতাড়ি উঠে সাদাদের কাছে আসলো। অস্বাভাবিক আচরণ করছে সে। বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সে আসলাম মানিকের জ্ঞানও ফিরালো।

-বাহ! খুব ভালো। দুজনেরই জ্ঞান ফিরে এসেছে। এখন আমার ইচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হবে।

আসলাম মানিক রীতির কথা শুনে বললো,

-আমাকে এখানে বেধেছো কেন রীতি? তুমি তো আমার সাথে সব নতুন করে শুরু করতে চেয়েছিলে তাই না?

রীতি জোরে হেসে বলে,

-হ্যাঁ শুরু তো আমি করবোই। তবে তোমার সাথে না সাদাদের সাথে। আমার ভালোবাসার সাথে।

-নাহ!

-তুমি না বললে কিছুই হবে না আসলাম! আমি তোমার সামনে এক্ষুনি সাদাদকে বিয়ে করবো।

সাদাদ এখনো ঘোরের মাঝে আছে। তার সাথে গুন্ডাদের বেশ ধস্তাধস্তি হয়েছে কিন্তু পিছন থেকে মাথায় বাড়ি দেওয়ায় আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে নি সে। তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। পানি পিপাসায় তার গলা শুকিয়ে কাঠ। সে অনেক কষ্টে বললো,

–পা..নি!

রীতি তাড়াতাড়ি পানি এনে সাদাদকে ধরে পানি খাওয়ালো। তারপর আবার ডাবের পানি দিলো। রীতি কাজীকে বললো যতদ্রুত সম্ভব বিয়ের কাজ শুরু করতে। এদিকে আসলাম মানিক কান্না করে বলছে রীতিকে থামতে। কিছুক্ষণ পর সাদাদ মাথা তুলে দেখে রীতির পাগলামো। সে চুপ থেকে সব লক্ষ্য করলো৷ খুব শান্ত ভংগীতে বললো,

–এসব কি রীতি? আমাকে এখানে তুলে আনার মানে কি?

রীতি সাদাদের কাছে এসে তার গালে হাত দিয়ে আদুরে স্বরে বললো,

-মানে আছে তো সাদাদ! এক্ষুনি আমি তোমাকে বিয়ে করবো। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অন্নেক!

–এইসব পাগলামির মানে কি রীতি? তুমি আমি দুজনেই বিবাহিত, তাই এই বিয়ের কোন বৈধতা নেই। আমাকে ছাড়!

রীতি পাগলের মতো আচরণ করছে।

-কেন বৈধতা হবে না সাদাদ? আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসতাম!

–আমি তোমাকে কখনোই ভালোবাসিনি রীতি! আর না তোমাকে ভালোবাসি। তুমি আমাকে জেলাস ফিল করানোর জন্য মি. আসলাম মানিককে বিয়ে করলে তবুও কি কোন লাভ হয়েছে? কেন আমার পিছন ছেড়ে দিচ্ছো না?

-না না না! কখনোই আমি তোমাকে ছাড়বো না। আজ এবং এখনি তোমাকে আমায় বিয়ে করতে হবে।

–আমি আমার স্ত্রী সুবাহকে অসম্ভব ভালোবাসি৷ তাই তোমাকে বিয়ে করার কথা কল্পনাতেও আনতে পারবো না।

-কল্পনা নয় এটা বাস্তবে হবে। আর সুবাহ! হাহা! সুবাহ বাঁচে না মরে তার কোন ঠিক নেই! মনে হয় বাঁচবে না। আর এই আসলামকে আমি মেরে দেবো। তাহলেই আমাদের পথের কাঁটা দূর হবে।

সাদাদ আৎকে ওঠে। সুবাহ বাঁচবে না মানে কি? কি হয়েছে সুবাহর?

–রীতি! সুবাহ কোথায়? কি হয়েছে আমার সুবাহর?

-বেশি কিছু না ডেলিভারিতে অনেক কম্পলিকেশন চলে এসেছে।

সাদাদ আর কিছুই যেন শুনতে পাচ্ছে না। বুকটা প্রচন্ড আওয়াজ করছে, ধুক! ধুক! অজানা ভয়ে শরীরে ঘাম দিচ্ছে বারবার। এদিকে আসলাম মানিক চেঁচাচ্ছে।

-এই সাদাদ! যবে থেকে জন্মেছে আমার সব কেড়ে নিয়েছে। এর জন্য শান্তিতে বাঁচতেও আমি পারছি না। ইশ! আরেকটুর জন্য ওকে আমি মারতে পারলাম না। ও আমাকে আমার রাজত্ব থেকে বঞ্চিত করেছে এখন আমার স্ত্রীকেও কেড়ে নিচ্ছে। আমি তোকে কিছুতেই ছাড়বো না সাদাদ!

আসলাম এর হুংকারে রীতি দৌড়ে এসে তার গালে ভীষণ জোরে এক চড় বসিয়ে দিলো।

-কতবড় সাহস! আমার সামনেই আমার ভালোবাসাকে শেষ করবি বলে হুংকার করিস? তোকেই আমি জানে মেরে ফেলবো। আর এমন জায়গায় গুম করবো কেউ টেরও পাবে না। কি দেই তোকে শেষ করে?

আসলাম মানিক অবিশ্বাসের সুরে বললো,

-রীতি! আমি তোমাকে ভালোবাসি।

-কিন্তু আমি বাসি না। তোর মতো এক বুড়োকে আমি, এই রীতি ভালোবাসবো? কখনোই না। আগে যা ছিলো সব নাটক!

এদিকে সাদাদ চুপ করে খুব করে চেষ্টা চালাচ্ছে হাতের বাঁধন খুলতে কিন্তু নাহ সে বারবার হেরে যাচ্ছে। হঠাৎ রীতি সাদাদের দিকে ঘুরে বিদঘুটে হাসি দিয়ে বললো,

-কি হলো সাদাদ? খুলছে না? খুলবে কি করে? তুমি হয়তো ভুলে গেছো আমি স্কাউটিং এ ছিলাম। তাই এইসব ছোট খাটো নট সম্পর্কে ধারণা না রাখলে কি হয়?

কাজী সাহেবকে রীতি আবার তাড়া দিলো বিয়ে পড়াতে, কাজী সাহেবও ভয়ে ভয়ে বিয়ের কাজ শুরু করলে সাদাদ এবার বেশ চিৎকার করে বলে,

–আমি এই বিয়ে কিছুতেই করবো না। মরে গেলেও না।

-বিয়ে তো তোমাকে করতেই হবে সাদাদ!

“আর যদি না করে?”

সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে হেলতে দুলতে সুবাহ এসে দাঁড়িয়েছে৷ শুধু সে নয় রুবায়েত তার ফোর্স নিয়ে হাজির এখানে। রীতির পালানোর সুযোগ নেই। সাদাদ সুবাহকে দেখে খুশিতে চোখের পানি ছেড়ে দিলো। ওই তো দেখা যাচ্ছে সুবাহর কোলে তাদের ভালোবাসার এক আস্ত ও জীবন্ত ফসল। সুবাহও চোখের পানি ছেড়ে দিয়েছে বহুক্ষণ আগে। নিজের স্বামীকে এভাবে দেখে তার বুক ফেটে যাচ্ছে। রুবায়েত কাল বিলম্ব না করে রীতি ও তার গ্যাং কে ধরলো, আসলাম মানিককেও গ্রেফতার করা হলো। রীতি যাওয়ার আগে অবাক হয়ে বললো,

-আমি এখানে সেটা তোরা কিভাবে জানলি?

সুবাহ তাচ্ছিল্য হেসে বলে,

–নিজের পায়েই নিজে কুড়াল মেরেছো মিসেস রীতি! আমার কেবিনে বসে ফোনে কথা বলেছো যার সবটাই আমি শুনেছি। হয়তো মনে করেছো আমি বেহুশ! কিন্তু অদৃষ্ট! আমি হুশেই ছিলাম! আর নিশ্চয়ই বলতে হবে না।

রীতির মুখটা দেখার মতো ছিলো যখন সে আফসোস করলো তার বোকামির জন্য। আজ একটুর জন্য সে সাদাদকে নিজের করতে পারলো না।

অবশেষে সাদাদ আর সুবাহর সুখের দিনের সূচনা হলো। সাদাদ আস্তে করে তার ছেলেকে কোলে নিলো। তার হাত কাঁপছে। প্রচন্ড খুশিতে সে আত্মহারা। ছেলের গালে আলতো আদর দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নিজের সাথে। এদিকে সুবাহ পেটে হাত দিয়ে বসে পড়েছে। সে কারোর কথাই শোনে নি। এই অসুস্থ অবস্থায় ছুটে এসেছে স্বামীকে বাঁচাতে৷ সুবাহকে রুবায়েত ধরে ফেললো, খুব দ্রুতই সুবাহকে নিয়ে সবাই হাসপাতালে রওনা হলো৷ সাদাদেরও চিকিৎসার প্রয়োজন।

.
–আমি বাবার সাথেই ঘুমাবো!

–না তুই আমার সাথে ঘুমাবি!

–মা! বলেছি না আমি বাবার সাথেই ঘুমাবো!

–সোয়াদ! আমি বলেছি না আমি সাদাদের সাথে ঘুমাবো!

কথাটা বলেই দাঁত দিয়ে জিহবায় কামড় দিলো সুবাহ। সোয়াদ দুষ্টু হেসে বললো,

–ওহ! তো তুমি বাবার সাথে ঘুমানোর জন্য আমাকে তাড়াচ্ছো?

–যাহ বাবা! তাড়ালাম কোথায়?

–তাহলে বাবার সাথে ঘুমাতে দিবে না কেন?

মা ছেলের ঝগড়ার মাঝে সাদাদ এসে দুজনকেই শান্ত করলো।

–আচ্ছা আচ্ছা দুজনেই আমার কাছে ঘুমাবে! শান্তি?

সুবাহ, সোয়াদ দুজনেই ঠিক আছে বলে খাটে উঠে পড়লো। সোয়াদ তার বাবার মতো হলেও ভয়টা মায়ের থেকেই পেয়েছে। সাদাদকে সে প্রচন্ড ভয় পায়। সাদাদ তাকে কিছুই বলে না তবুও সে ভয় পায়। আবার সাদাদের কাছেই তার যত আবদার, যত আদর। সাদাদ বাতি অফ করে আসতে আসতে মৃদু শুনতে পায় মা ছেলে বুদ্ধি কষছে কাল সকাল সকাল কদম গাছে উঠে কদম পাড়বে। যা শুনে সাদাদ দুজনকেই ধমকে বললো,

–কাল দুজনের একজনকেও যদি কদম গাছে আশেপাশে দেখি তো খবর আছে!

মা ছেলে সাদাদের মুখের উপর রেগে হুহ বলে দুদিক ফিরে শুয়ে গেলো। সাদাদ বেচারা মাঝে শুয়ে বললো,

–একটু আগে আমার কাছে ঘুমানোর জন্য এরা ঝগড়া করলো। এখন আমিই পর! আর দুজনে কিভাবে দুদিকে ফিরে গেলো!

সাদাদকে আসতে না দেখে সুবাহ বললো,

–ঘুমাতে আসবে না ছেলেকে মাঝে শোয়াবো?

সাদাদ সময় নষ্ট না করে মাঝে শুয়ে গেলো। এই সুবাহকে বিশ্বাস নেই। সাদাদ শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একদিক দিয়ে সুবাহ আর অন্য দিক দিয়ে সোয়াদ জড়িয়ে ধরলো। ঘটনা এতোই তাড়াতাড়ি ঘটেছে যে সাদাদের বুঝতেও সময় লেগেছে। সে এবার দুজনকে জড়িয়ে হেসে দিলো। হ্যাঁ! এই তো তার ছোট্ট পরিবার, যার মাঝে সাদাদের সকল সুখ নিহিত।

সাদিয়াও তার দুইমেয়ে, স্বামীকে নিয়ে সুখে আছে। রুবাইয়া অপেক্ষা করছে তার দ্বিতীয় বেবির জন্য। পাঁচমাসের প্রেগন্যান্ট সে৷ আসলাম আর রীতি এখনো জেলে। রীতিকে অবশ্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে কেননা সে তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলো। এমন নয় যে সাদাদ সুবাহর জীবনে আর কোন সমস্যা আসে না। আসে, সমস্যা যেমন আসে তারা সকলে মিলে তা মোকাবেলাও করে। সুখ-দুঃখ মিলেই জীবন।

(সমাপ্ত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here