অচেনা_মায়া (শেষ পর্ব)

#অচেনা_মায়া (শেষ পর্ব) [সায়েন্স ফিকশন]
নুসরাত জাহান লিজা

দামিরের একটা বড় দুর্বলতা হচ্ছে বয়সের ভারে তিনি দ্রুত হাঁটাচলা করতে পারেন না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নোরা ঝড়ের বেগে বেরিয়ে ল্যাবরেটরিতে ঢুকে ত্রস্ত হাতে দরজা আটকে দিল। সেই সাথে মূল সিকিউরিটি ডোরটাও বন্ধ করে দিল। এটা বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি। বাইরে থেকে ভাঙতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লেগে যাবে। এখানে তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক্সপেরিমেন্ট হয়, সেসবের গোপন অনেক নথি সংগৃহীত আছে। শত্রুরা যেন হুট করে না ঢুকতে পারে তাই এই ব্যবস্থা।

রোহান এখনো ভীত, দ্বিধান্বিত দৃষ্টিতে নোরার দিকে তাকিয়ে আছে। নোরার হুট করে কেমন একটা অনুভূতি হলো, এই অনুভূতির নাম সে জানে না। আসলে সব অনুভূতির নামই তো ওর অজানা! তবে মনে হচ্ছে এই ছেলেটা তার কাছের কেউ, ভীষণ কাছের!

***
দামির রাগে কাঁপতে থাকলেন, দীর্ঘদিনের প্ল্যান ভেস্তে যাবার উপক্রম হতে যাচ্ছে বলে। তার জন্ম হয়েছিল পৃথিবীর হতদরিদ্র একটা পরিবারে। নিজের বাবা-মা’কে কখনো দেখেননি তিনি। কিছু দুষ্ট লোক তাকে অপহরণ করে পাচার করে দেয়, সেখানকার অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন সুযোগ বুঝে দু’জনকে খুন করে পালিয়ে যান। ধরা পড়ার ভয়ে গহীন জঙ্গলের ভেতরে একটা গুহায় আশ্রয় নেন। প্রথমদিকে শ্বাস আটকে আসলেও কিছুদিন পরে আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করেন তার আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তিনি সেখানে অভিযোজন করতে সক্ষম হয়েছেন। এরপর আরও কিছু প্রতিকূল জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, তার মধ্যে সব পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেবার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। কোনো গ্যাসই তার ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হয় না। আজ অব্দি এর কোনো ব্যাখ্যা তার কাছে নেই।

এরপরের গল্পটা শুধুই উত্থানের। নতুন আবিষ্কৃত এই বিশেষ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে দামির সেই বয়সেই অনেক অসাধ্য সাধন করেন। আর কোনোদিন অভাবে পড়তে হয়নি তাকে। নিজের লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন নির্বিঘ্নে। পড়াশোনা শেষ করে প্রচণ্ড মেধাবী দামির তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক সংস্থায় কাজ পেয়ে যান। উচ্চাশা বাড়তে বাড়তে এমন রূপ নেয় যে পুরো পৃথিবীর উপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একসময় যে যন্ত্রণা, নির্যাতন তিনি সহ্য করেছিলেন তা ফিরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে পড়েন, একের পর এক অবৈধ এক্সপেরিমেন্ট চালাতে থাকেন অত্যন্ত গোপনে৷ এই এক্সপেরিমেন্ট নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য অত্যন্ত সতর্কতার সাথে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজের বাড়িতেই স্থাপন করেছিলেন অত্যাধুনিক গবেষণাগার। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতনল একদিন মূল ল্যাবরেটরি থেকে সরঞ্জাম সরানোর সময় কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে যান। বিচার শেষে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়। নিজের অদ্ভুত ক্ষমতার জোরে সেখান থেকে বেঁচে যান, এরপর নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

গোপন গবেষণার সময় তিনি নতুন একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন, তখনই একটি সৌরযান তৈরি করে রেখেছিলেন সবার অগোচরে। সেটা নিয়েই পারি দেন এই গ্রহে। সবসময় প্ল্যান বি রেডি রাখতেন। প্ল্যান এ ব্যর্থ হওয়ায় আগেই সিগনাল পাওয়া এই গ্রহে চলে এসে বসতি গাড়েন। এখানকার সবাই প্রথমদিকে তাকে আগন্তুক ভাবলেও নিজের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে সেসব বাধা কাটিয়ে উঠেন। এখানে তখন প্রায় বিরাশি জন অধিবাসী ছিল। কিছু শিশুকে গোপন একটা ভল্টে ঢুকিয়ে, বড়দের একটা কক্ষে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কথা বলে নিয়ে আসেন। এই গ্রহবাসীরা যেহেতু অনুভূতি কাজে লাগাতে জানেন না এবং দামির ততদিনে বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিলেন তাই কেউ তাকে সন্দেহ করেনি।

সবাই সেই কক্ষে সমবেত হলে পৃথিবী থেকে আনা অক্সিজেন চেম্বার খুলে দিয়ে বাইরে থেকে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন। শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় সবার। এরপর এখানকার অদ্ভুত মেধাশক্তির সেই শিশুদের বড় করতে থাকেন, নিজের তৈরি করা নিয়মে, তার নিজের মতো করে। হয়ে উঠেন প্ল্যানেট সিক্সটিনের সর্বেসর্বা।

আরেকবার ধরা পড়ার আগে সব পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এখানে এসে জানতে পারেন সপ্তক সমীকরণের ব্যাপারে। কিন্তু সমাধানের জন্য তার অত্যন্ত দক্ষ একজন গণিতবিদ দরকার হয়, যেটা অনেক চেষ্টা করেও পারছিলেন না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে রোহানকে খুজে পান, কিন্তু যোগাযোগে ব্যর্থ হন, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজ প্ল্যানেট সিক্সটিনের সময় অনুযায়ী ৬০৭ সালে এসে সফলতার দারপ্রান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আজই কিনা অপ্রত্যাশিতভাবে ধরা পড়লেন, তাও নিজের হাতে গড়া একটা পুঁচকের কাছে। কিন্তু তিনি আজন্ম লালিত স্বপ্ন পৃথিবীর উপরে কর্তৃত্ব করার দ্বারপ্রান্তে এসে হার মানতে রাজি না, কিছুতেই না। সাথে অমরত্ব পাবার সম্ভাবনাও বিলীন হয়ে যাবে তাহলে। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে এই শরীর নিয়েই বেরিয়ে আসেন ক্রুদ্ধ দামির।

***
দ্রুত হাতে রোহানের হাত-পা মুক্ত করে দিল নোরা।
“রোহান, তোমাকে এক্ষুণি পৃথিবীতে ফিরতে হবে।”
রোহান দেখল মেয়েটা ভীষণ চিন্তিত হয়ে আছে, এই প্রথম কোনো অভিব্যক্তি দেখল তার মুখাবয়বে।

“তোমাকে এমন অস্থির দেখাচ্ছে কেন নোরা? প্রমাণ পেলে?”

“পেয়েছি। আমি সব ব্যবস্থা করছি। তুমি নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করো।”

“সেটা করছি। আগে বলো সমস্যাটা কোথায়?”

“এখন এত কথা বলার সময় নেই। তোমার অনেক বিপদ, সাথে পৃথিবীরও।” উৎকণ্ঠিত গলায় বলল নোরা।

“তুমি কেন রিস্ক নিচ্ছো? আমাকে পালাতে দিলে তুমি বিপদে পড়বে।” রোহানের গলায় অনিশ্চয়তা।

“এখন আমাকে নিয়ে ভাবার সময় নেই।”

“আমি এভাবে একজনকে বিপদে ফেলে পালাতে পারব না।” নাছোড়বান্দার মতো বলল রোহান।

“তুমি এখানে থাকলে যেভাবেই হোক তোমাকে ইকুয়েশন সমাধান করতে হবে। পৃথিবী বিষাক্ত হয়ে যাবে। তাই তোমাকে এই মুহূর্তেই পালাতে হবে।” দৃঢ় গলা নোরার।

“তাহলে তুমিও চলো।” রোহানের গলাটা কেমন কাতর শোনায়।

“আমি পৃথিবীতে সার্ভাইব করতে পারব না। এখানে থাকি বা পৃথিবীতে যাই, আমার পরিণতি একটাই।”

বিস্মিত রোহান দেখতে থাকে নোরার নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ। সে তো পারত নিজের কথা ভেবে দামিরের অভিসন্ধিতে তাল মেলাতে। ক্ষণকালের পরিচিত এক ছেলের কথায় নিজের জীবন বিপন্ন করতে, জীবন নিয়ে বাজি ধরতে ক’জন পারে!

এই গ্রহের সময় অনুযায়ী মাত্র দুই দিনের পরিচিত একজনের জন্য রোহানের কেন যেন ভারি উৎকণ্ঠা হলো। তাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলতে হবে ভেবে বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হলো। হারিয়ে ফেলার ভয় আচ্ছন্ন করল।

নোরার নতুন অনুভূতি তাকে জানান দিচ্ছে তার সামনে দাঁড়ানো ছেলেটির প্রতি তার প্রগাঢ় এক টান তৈরি হয়েছে, অচেনা এক মায়ায় দুই চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।

“তোমার জন্য আমার চোখ দিয়ে এক ধরনের লবনাক্ত তরল পদার্থ বইছে। এটাকে কী বলে?” নোরার গলাটা কেমন ভেঙে আসছে।

“এর নাম অশ্রু। এটা দুঃখের হয় আবার তীব্র সুখেরও হয়।”

“আমার কেন অশ্রু ঝরছে সেটা আমি জানি না। তবে ভেতরটা কেমন শূন্য মনে হচ্ছে।” গলার যান্ত্রিকতা ছাপিয়েও কেমন মোলায়েম শোনায় নোরার স্বরটা!

আর সময় নেই। একটা বিশালাকৃতি যন্ত্রের দিকে নির্দেশ করে তাতে উঠতে বলে নোরা। রোহান সেখানে পা রাখার আগে চোখ ফিরিয়ে একবার দেখল তাকে। তারপর নোরার কাছাকাছি এসে গভীর আবেগে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।

“আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি নোরা। তোমার মতো একজন ট্রু হার্টেড মানুষ খুব কম দেখেছি আমি।”

“কিন্তু আমি তো মানুষ নই।” হেসে বলল নোরা। রোহানের অশ্রুতে ওর কাঁধ ভিজে যাচ্ছে। বুকে কেমন একটা ধুকপুক করছে, আশ্চর্য, এটা কি ভালোবাসা? মানবীয় অনুভূতি এত তীব্র, এত সুন্দর হয়! ব্যথাটাও কেমন সুতীব্র!

নোরা মুখে হাসি নিয়ে আবার মুখ খুলল,
“আমিও মনে হয় তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, রোহান। ভালো থেকো।”

যন্ত্র থেকে অদ্ভুত শব্দ আসছে। তারমানে এটা সচল হয়ে গেছে। তাতে সওয়ার হয়ে অক্সিজেন মাস্ক ঠিক করে বসিয়ে নিয়ে একটা কথাই বলতে পারল কেবল,
“বিদায় নোরা, তোমাকে খুব মিস করব।”
ততক্ষণে বিশেষ এই সৌরযানটির দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, নিজের কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে।

বাইরে থেকে মূল দরজা খোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। কতক্ষণ সময় গেল সে জানে না। ল্যাবরেটরিতে থাকা মূল কম্পিউটার থেকে সমস্ত ডাটা মুছে দিল। কমিউনিকেশন মডিউলে অনবরত একটা সিগনাল আসছে, যেটা জানান দিচ্ছে রোহান এখন বিপদ সীমার বাইরে চলে গেছে। পৃথিবীতে ফিরতে যতক্ষণই লাগুক দামির আর ওর নাগাল পাবে না। স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলল নোরা। এরপর ল্যাবরেটরিতে থাকা সমস্ত যন্ত্র অকেজো করে দিল। এখন মরলেও আর ভয় নেই। এই প্ল্যানেটের সব আবার নতুন করে শুরু হোক, যেখানে দামিরের মতো প্রতিহিংসাপরায়ণ কেউ থাকবে না। প্ল্যানেট সিক্সটিনের অন্যরা নিশ্চয়ই দ্রুততম সময়ে এই বাজে অভিসন্ধি ধরে ফেলবে, দামিরের ব্যবস্থা তারাই করবে!

খুব ধীরলয়ে রোহানের জন্য রাখা অক্সিজেন সিলিন্ডারের কাছে গেল, মাস্কটা মুখে এঁটে নিল সে। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে আসছে শরীর। দামিরের কাছে ধরা দেওয়ার চাইতে এই ভালো মনে হলো।

ভালোবাসা অদ্ভুত সুন্দর একটা অনুভূতি, এমন অনুভূতি নিজের মধ্যে ধারণ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারছে ভেবে অদ্ভুত এক প্রশান্তি নিয়ে চোখ বুজল। পুরোপুরি চোখ বন্ধ হবার আগে দেখল দরজা খুলে গেছে। ক্ষুব্ধ দামির কিছু রোবটকে সাথে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকছে।

নোরা তার অশ্রুর মানেটা ধরতে পেরেছে, ভালোবাসা পাবার আনন্দ আর হারিয়ে ফেলার বিষাদ দুটো বিপরীত অনুভূতি একসাথে বইছে ভেতরটায়। অশ্রুসিক্ত চোখের সাথে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল। রোহানের জন্য, সাথে না দেখা পৃথিবীর জন্য প্রগাঢ় ভালোবাসা নিয়ে চোখ বন্ধ করল চিরতরে।

রোহান নিশ্চয়ই ডায়াটোনিক স্কেল ইকুয়েশনের সাতটা রাশি পৃথিবীর মূল কম্পিউটার থেকে চিরতরে বিনষ্ট করে দেবে! সৃষ্টিকর্তা সবসময় শুভকেই জয়ী করেন!

পরিশিষ্টঃ
প্রতিদিন সূর্যটা যখন ডুব দেয়, পৃথিবী জুড়ে নিঃসীম অন্ধকার নেমে আসে তখন বাড়ির পেছনের খোলা মাঠের এই নিঃসঙ্গ বটগাছটার নিচে এসে বসে রোহান। বহুদূরের আকাশে ফুটে উঠা অনন্ত নক্ষত্রবীথির দিকে তাকিয়ে এক জোড়া নীলচে চোখ খুঁজে ফেরে এখনো। যার আত্মত্যাগে রোহান শ্বাস টানছে, নিঃশ্বাস ফেলছে!

কয়েক মুহূর্তের পরিচিত একজন ওর মনে কী গভীর ছাপ ফেলেছে! এতদিনেও যার ছবি একফোঁটাও মুছে যায়নি। বরং সময়ের সাথে সাথে আরও স্পষ্ট হয়েছে। রোহানের ভাবতে ভালো লাগে সেই ভীনগ্রহবাসী মায়াবতী তার স্ত্রী, তাদের ছোট্ট ছোট্ট দুই-তিনটা মিষ্টি সন্তান এই মাঠে হেসে খেলে বেড়াচ্ছে, দুষ্টুমি করতে গিয়ে আছাড় খেয়ে ধুলোবালি গায়ে মেখে একাকার করেছে! নোরা কপট রেগে তাদের শাসন করছে, আর সে পাশে দাঁড়িয়ে এই সুন্দর জীবন উপভোগ করছে! ভাবনার কোনো লাগাম থাকে না, কোনো সীমানা বাধা থাকে না। কল্পনায় এই অপার্থিব সুখী মায়ায় বাধা সংসারের স্বপ্ন বেশ মিষ্টি!

বাস্তব দুনিয়ায় যার জন্য রোহানের হৃদয়জুড়ে তৈরি হয়েছে এক গহীন শূন্যপুর৷ শূন্যপুর ভর্তি কেবলই অথৈ শূন্যতা! শূন্যতার এত উত্তাপ যে ওকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয়! কয়েক মুহূর্তের জন্য পাওয়া এক চিলতে মায়া নতুন সবুজ পাতা, সদ্য জন্মানো কুঁড়ির মতো আবারও রোহানকে নতুন করে সজীব করে। ওইটুকু ভালোবাসার কী অসীম শক্তি! কী অদ্ভুত মায়াময়! কী আশ্চর্য সুন্দর!

(সমাপ্ত)

(দামিরের অংশটুকু আরও ডিটেইলিং করা যেত, কিন্তু কেন যেন ইচ্ছে হলো না আরও সময় দিতে৷ আমার প্রথম এবং শেষ সায়েন্স ফিকশন গল্পটা কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here