#রাজনীতির_রংমহল
#সিমরান_মিমি
#পর্বসংখ্যা_০৪
সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলো পরশ।শরীরটা কোনো রকমে টেনে দোতলায় তুললো।ইদানীং খুব বেশীই চাপ যাচ্ছে তার উপর।সারাদিন ছোটাছুটি -দৌড়াদৌড়ির উপরেই থাকতে হয়।রুমের মধ্যে ঢুকে ধরাস করে দরজা’টা লাগালো।গায়ের পাঞ্জাবি’টা খুলে বিছানার উপর ছুড়ে ফেললো।তারপর টাওয়াল নিয়ে সোজা বাথ্রুমে ঢুকে পড়লো।
রাত সাড়ে দশটা।শিকদার বাড়ির সবাই ডাইনিং এ বসে পরশের জন্য অপেক্ষা করছে।বাবা মহিউদ্দিন শিকদার স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষ।সারাদিনে সবাই কাজের চাপে আলাদা আলাদা খেলেও রাতের খাবার’টা যত রাতই হোক না কেন একসাথে খায় তারা।পাভেল চেয়ারের উপর বসে ফোন স্ক্রল করছে। পিয়াশা শিকদার সবার জন্য খাবার বাড়ছেন।এরইমধ্যে ঘুমে ঢুলুঢুলু করতে করতে হাজির হলো চৌদ্দ বছরের এক শ্যামরা ঙা কিশোরী।সিড়ির উপর দাঁড়িয়ে একে একে সবার দিকে তাকালো।তারপর ধীরপায়ে এগিয়ে গিয়ে বাবার পাশের চেয়ারে বসতেই পুনরায় দাঁড়িয়ে পড়লো।পাভেল নিজের চেয়ারে বসেই প্রেমার চেয়ারে পা তুলে দিয়েছে।ছোট্ট প্রেমা ভীষণ ভালোভাবেই বুজতে পারলো তাকে জ্বালানোর জন্য এমনটা করছে পাভেল।তারপরেও কোনোরুপ বাক্যব্যয় করল না।ওপাশের চেয়ারে গিয়ে বসতেই পুনরায় একই ঘটনা ঘটালো পাভেল। চেচিয়ে উঠলো প্রেমা।পাভেলের দিকে তাকিয়ে বললো-
ম্যানার্স লেস কোথাকার?
চোখ বড় বড় করে ফেললো পাভেল।মহিউদ্দিন শিকদার হেসে দিলেন।ছোট্ট মেয়েটাকে দুহাতে জড়িয়ে নিলেন নিজের কোলে।মেয়েটা তার খুবই কম কথা বলে।বলতে গেলে প্রয়োজন ছাড়া কিছুইই নিজ থেকে বলবে না।লেখাপড়া নিয়েই বেশ মশগুল সে।পাভেল ব্যঙ্গ করে প্রেমা কে বলল-
ওই ম্যানার্স অর্থ জানিস তুই?খুব তো বললি।
চোখ ছোট ছোট করে পাভেলের দিকে তাকিয়ে রইলো প্রেমা।বর্তমানে যে সে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে সেটা হয়তো তার গুণধর ভাই ভুলেই গেছেন।নিজের প্লেট সামনে টেনে নিয়ে পাভেলের উদ্দেশ্যে বললো-
আমি তো তোমার মতো ক্লাসের পর ক্লাসে ডাব্বা মেরে উঠি নি।বেশ ভালো ফলাফলের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছি।শোনো ছোট ভাইয়া,আমি পরশ শিকদার নই যে তুমি ঘন্টার পর ঘন্টা আমার পেছনে লেগে থাকবা,আমাকে জ্বালাবা, আর আমি চুপচাপ তা সহ্য করবো।আমার সাথে লাগতে আসবা না একদম।
সিড়ির উপরে দাঁড়িয়ে ঠোট কামড়ে নিঃশব্দে হাসলো পরশ। তার এই ছোট্ট বোনটা বয়সের থেকেও নিজেকে সবার সামনে বড় করতে আগ্রহী। যেন সে ছাড়া পৃথিবীর সবাই কম বুজদার।আলতো পায়ে হেটে গিয়ে বোনের পাশের চেয়ারে বসলো।তারপর নিজের প্লেট সামনে টেনে বললো-
তা আপনি এতো বড় হয়েছেন, এতো বোঝেন অথচ এটুকু ম্যানার্স জানেন না যে বড় ভাইকে নাম ধরে ডাকতে নেই।
সামান্য হতাশ হলো প্রেমা।সে তো কথার কথা বলেছে।করুন চোখে বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ইনিয়েবিনিয়ে বললো-
সব সময় ভাইয়া ভাইয়া বললে সেটা দৃষ্টিকটু দেখায়।বাক্যের প্রয়োজনে নাম-ধাম একটু নিতেই হয়।ও তুমি বুজবে না।
পরশ বোনের দিকে না তাকিয়েই মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো।বলল-
হ্যা,হ্যা।আমার’ই ভুল।
পাভেল এখনো ফোনের মধ্যে ডুবে আছে। পরশ বার কয়েক বারণ করলেও সেদিকে সে কান দিলো না বাধ্য হয়ে পরশ ছো মেরে ফোন টেনে নিজের হাতে নিলো। তারপর ধমক মেরে পাভেল’কে খেতে হুকুম দিলো।
ডাইনিং টেবিলের নিরবতা ভেঙে পিয়াশা শিকদার অভিমানী গলায় খাবার বারতে বারতে বললেন-
আমার হয়েছে যতো জ্বালা।সারাক্ষণ চাকরের মতো কাজ করতে থাকো,আসামীদের মতো একটা ঘরের মধ্যে একা পড়ো থাকো। কারো কোনো খেয়াল’ই নেই আমার উপর।তিন তিন টা বাচ্চা আমার।অথচ আর মানুষ বাড়ানোর কথা মনেই করছে না তারা।একা একা লাগে না আমার।
আচমকা কেশে দিলেন মহীউদ্দীন শিকদার।ছেলে-মেয়েদের সামনে বউয়ের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন।নিচু কন্ঠে আমতা-আমতা করে বললেন-
ছেলে-মেয়েদের সামনে এসব কেমন কথা পিয়া।তোমার আরো বাচ্চা লাগবে আমায় বললেই পারো।
চোখ বড় বড় করে দাড়িয়ে পড়লো পিয়াশা৷ স্বামীর দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙিয়ে বললেন-
আপনার মাথা খারাপ নাকি।আমি কি বলছি আর আপনি কি বলছেন?বলছি,ছেলেদুটো তো আমার বুড়ো হয়ে যাচ্ছে,সেদিকে কি আপনার খেয়াল নেই নাকি।বিয়াশাদি কি করানোর ইচ্ছা নেই।
আদরে আটখানা হয়ে মায়ের গায়ের উপর মাথা এলিয়ে দিলো পাভেল।ছোট বাচ্চা দের মতো মুখে বাধিয়ে বললো-
আম্মুউউউ,শুধু তুমিই বোঝো আমার কষ্ট।অলরেডি পচিশ প্লাস হয়ে গেছে আমার।অথচ কেউ কিছু বলেই না।
হাত ঝাড়া দিয়ে ছেলেকে দূরে সরিয়ে দিলেন পিয়াশা।তারপর থমথমে মুখে পরশের দিকে তাকিয়ে বললো-
তোমার সমস্যা কোথায়?সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি?
মাথা তুলে একবার মায়ের দিকে তাকালো।তারপর না বোঝার মতো পুনরায় বললো-
কোন ব্যাপারে কথা বলছো?
তেতে উঠলেন পিয়াশা।বললেন-
আমি মেয়ে দেখছি কাল থেকে।এক মাসের মধ্যে বিয়ে করাবো তোমায়।পরের মাসে পাভেল কে করাবো । আর তার পরেই ছোট টাকে সরাবো।তারপর শান্তি।
চমকে মায়ের দিকে তাকালো প্রেমা।রাগত দৃষ্টিতে তাকাতেই পিয়াশা বলে উঠলেন-
কিইই ওমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেন?তোমার বয়স কম বলে।কই ভাব তো দেখাও ত্রিশ বছরের বুড়ীদের মতো।বিয়ে দেব না তো কি ঘরে বসিয়ে রাখবো।
কিচ্ছু বললো না প্রেমা।খাবার খেয়ে চুপচাপ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে উপরে চলে গেল।পিয়াশা পুনরায় পরশকে জিজ্ঞেস করতেই বললো-
আচ্ছা ঠিক আছে,আমাকে ক’টা দিন সময় দাও।সবে তো দায়িত্ব টা পেলাম।নিজেকে একটু মানিয়ে নেই।তারপর জানাচ্ছি।
কথাগুলো বলে টিস্যু দিয়ে হাত মুছলো পরশ। পাভেলের ফোন টা টেবিলের উপর রেখে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো।পেছন থেকে করুন স্বরে পাভেল বললো-
ভাই,যা করিস একটু তাড়াতাড়ি করিস।বুঝিস’ই তো, তোর পরেই সিরিয়াল টা আমার।
______________
খাবার শেষে রুমে ঢুকে বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে পড়লো পরশ।পাশ থেকে ফোন’টা নিয়ে কল লিষ্টে ঢুকতেই অচেনা এক নাম্বারের সম্মুখীন হলো।মস্তিষ্কে চাপ দিতেই মনে পড়লো স্পর্শীর কথা। বেশ কিছুক্ষণ ভেবে গুটি গুটি অক্ষরে নাম্বারটি “স্পর্শীয়া” নামে সেভ করলো।প্রাইভেট ফোন হওয়ার দরুন যে কজন লিস্টে আছে সবার নামই সেভ করা। অচেনা নাম্বারে ভুল করে যদি কখনো কল দিয়ে বসে সেই ভেবেই সেভ করে রাখলো পরশ।আজকে প্রায় প্রত্যেকটা বাক্যে স্পর্শী নিজের নাম বলেছে।সেই জন্যই নামটা একদম মাথায় গেথে রয়েছে।
রাত বারোটা।কতক্ষণ ফেসবুক স্ক্রল করলো পরশ৷রিসেন্টলি হওয়া বিভিন্ন মিটিং,মিছিল,অনুষ্ঠানের ছবি আপ্লোড দিয়েছে সবাই তাকে ট্যাগ করে।সেগুলোর’ই কমেন্টস চেক করছিলো।ঘুম আসছে না একদম।যতই ঘুমানোর চেষ্টা করুক না কেন স্পর্শীর কথাগুলো বারবার কানে বাজছে।এমনটা হচ্ছে কেন?মেয়েটার প্রতিটা কথায় যেন আলাদা এক অনুভূতি মেশানো ছিলো।ছিলো অজস্র কষ্টের অনুভূতি। স্পর্শীর পরিবার নেই।মা নেই,তাহলে তো সে খুব দু ঃখী।তাহলে এতভালো একটা ভার্সিটিতে পড়ছে কিভাবে সে?স্কুটি পেলো কোথায়?আর ততোই যদি কষ্ট থাকে তাহলে রাস্তার অনাথ দের খাবার বিলায় কিভাবে?
পরক্ষণেই মস্তিষ্কে হানা দেয়,”নিশ্চয়ই ও কোনো জব করে নিজের খরচ চালাচ্ছে।বর্তমান সময়ে জব করে খরচ চালানো তো আর খুব বেশী কঠিন না।ভালো স্টুডেন্ট হয়তো ভালো কোনো জব করছে।কিন্তু তারপরেও মেয়েটার খুব কষ্ট।সেদিন থাপ্পড় মারায় হয়তো খুব আত্নসম্মানে লেগেছে।আর পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় হয়তো বেশীই কষ্ট পেয়েছে।উফফস উচিত হয়নি পরশের এমনটি করা।সরি বলা উচিত।কিন্তু কিভাবে?আর কি কখনো দেখা হবে?
ভাবতেই মনে হলো ফোনের কথা। নাম্বার আছে তো,কল করা যেতেই পারে।পরক্ষণেই মনে পড়লো নিজের অবস্থানের কথা।একজন সংসদ সদস্য হয়ে এতো রাতে কোনো মেয়েকে ফোন দিয়ে সরি বলবে সে।এটা তো তার ব্যাক্তিত্বের সাথে পুরাই বেমানান।তাহলে?পরক্ষণেই ভেতর থেকে এলো-
অবশ্যই বলা যায়,সে বিনা কারনে যখন কাউকে অপমান করেছে।অবশ্যই ক্ষমাও চাইতে পারবে। এটা ব্যাক্তিত্ব আসবে কোত্থেকে?
এরকমই আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে কল দিয়েই বসলো পরশ।সাথে সাথে রিসিভড হলো।ওপাশ থেকে সুন্দর করে সালাম দিলো স্পর্শী।পরশ ও উত্তর দিলো। কিছুক্ষণ নিরব থেকে পরশ বলল-
স্পর্শীয়া,
ওপাশ থেকে ঘন নিঃশ্বাসের আওয়াজ এলো।স্পর্শী কি ঘুমাচ্ছে।কিয়দংশ পর সাড়া দিলো স্পর্শী।
হু,
পরশ-আমাকে চিনেছো?
বিরক্তিতে নাক-মুখ কুচকে ফেললো স্পর্শী।সবেমাত্র কান্না-কাটি থামিয়ে শুয়েছিলো সে এরইমধ্যে পরশ ফোন দেওয়াতে ধরলো।চটচটে কন্ঠে বললো-
আপনি আমার নাম্বার জানেন,আমার নাম ও জানেন,অথচ আমি আপনাকে চিনবো না?কি মনে করেন নিজেকে?স্মৃতি শক্তি শুধু আপনার’ই প্রখর।অন্য সবার মাথার মধ্যে গোবর ভর্তি।
ঠোট কামড়ে হেসে দিলো পরশ।এই মেয়ে আবার নিজের রুপে ফিরে এসেছে।জিহবা দ্বারা ঠোট ভিজিয়ে পরশ বললো-
কিন্তু তোমার নাম তো স্পর্শী।আমি তো আরো সুন্দর নাম দিলাম স্পর্শীয়া।আমাকে ধন্যবাদ দিবেন না।
নাক ছেটালো স্পর্শী। বললো-
আজ্ঞে আমার বাপ বড় করে আকিকা দিয়ে আমার নাম স্পর্শীয়া’ই রাখছে।সংক্ষেপে সবাই স্পর্শী ডাকে।তাই পল্টি খাওয়া বাদ দেন ভাই।আপনি এতোবড় ও কোনো রাজকার্য উদ্ধার করেন নাই যে ধন্যবাদ দিব।কি জন্য ফোন দিছেন তাই বলেন ঘুমাবো।
হতাশ হলো পরশ।পুনরায় ফোন অন্য কানে নিয়ে বললো-
তোমার কাছে একটা বিশেষ দরকারে ফোন দিয়েছিলাম। বলতে গেলে কিছু একটার অনুমতি নেওয়ার জন্য।বাস্তবিকভাবে,তোমার নামটা আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে।
স্পর্শী কথার মাঝখানে বললো
তো?
পরশের কেন জানি ভালো লাগছে কথা বলতে। প্রথম দিনের মতো অসস্তি হচ্ছে না।ফোন অন্য কানে নিয়ে কাত হয়ে শুলো।ডান হাত দিয়ে নিজের ঠোটে হাত বুলাতে বুলাতে বললো-
ভাবছি কালকে একটা বিড়াল কিনবো।আর তার নাম স্পর্শিয়া রাখবো।অনুমতি দেবে কি?
চটে গেল স্পর্শি। এই রাত দুপুরে এই বাজে লোক তাকে আবারো ফোন দিয়েছে অপমান করার জন্য।মুখ দিয়ে কিছু বলার জন্য উদ্যত হতেই টুট টুট করে ফোন কেটে গেল।নিজে থেকে ফোন দিতে গিয়েই শুনলো ওপাশ থেকে কোনো ভদ্রমহিলার কন্ঠ।
“আপনার কাঙ্ক্ষিত নম্বরটিতে এই মুহুর্তে সং্যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনুগ্রহ করে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন।ধন্যবাদ”
ফোনটা বন্ধ করে ঠোট কামড়ে হেসে দিল পরশ।এক্ষুণি যে স্পর্শির কিছু বিখ্যাত গালির সম্মুখীন হবে সে, সেটা বুঝেই ফোন বন্ধ করে দিয়েছে।নিরব হাসিতে বার কয়েক গড়াগড়ি খেল বিছানায়।পাভেল থাকলে হয়তো এতক্ষণে রুম কাপিয়ে হেসে উঠতো।
ভীষণ আলাদা রকম সুখের অনুভূতি হচ্ছে পরশের।হয়তো স্পর্শিকে জ্বালাতে পেরেছে তাই।কোথায় ক্ষমা চাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছিলো তা না উলটো আবার রাগিয়ে দিয়ে ফোন কেটেছে।হাতের ফোন’টা বিছানায় রেখে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লো।কালকে আবার একটু রাগিয়ে দেবে সে স্পর্শীকে।আপাতত এখন ঘুমাক।
__________
এই যে মশাই শুনুন,আপনাকে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।কেন লেগেছে জানি না,তবে এখন আমি চাচ্ছি সারারাত ধরে কথা বলতে।উঠুন ঘুম থেকে,এটাই আপনার শাস্তি।
মাঝরাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ কর্কশ কন্ঠে বাজতে থাকা ফোনটা কানে নিতেই ওপাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠের এমন কথা শুনে স্ক্রিনের দিকে তাকালো পরশ।চোখ স্থির করে নাম্বার’টা দেখেই আতকে উঠলো।
এটা তো স্পর্শীয়া।আবার কি ঝট পাকিয়েছে মনে মনে যে এতো মধুর কন্ঠে কথা বলছে।নাকি এই রাত দুটোর সময় কারো সাথে বাজি ধরেছে?হতেও পারে,এ মেয়ে যে ভীষণ ডেঞ্জারাস।
বারকয়েক ঘুমন্ত চোখের পাপড়িগুলো বন্ধ করে পরশ বললো-
চলবে?
[পেজে কি যেনো সমস্যা হচ্ছে তার জন্য পেজে গল্প পোস্ট হচ্ছে না ]
পাঠক প্রশ্ন:পরশ একজন এমপি,তাকে রাস্তার মানুষ বা স্পর্শী চিনলো না কেন?
উত্তর-প্রিয় পাঠকবৃন্দ, একটা দেশে অজস্র সংসদ সদস্য/এমপি থাকে।আমি বলছি না যে এদেরকে কেউ চিনবে না।অবশ্যই চিনবে।কিন্তু তাই বলে কি পুরো বাংলাদেশের মানুষ চিনে বসে থাকবে নাকি। এই আমিই তো আমাদের সংসদ সদস্য কে ভালো করে চিনি না।সেখানে অন্য এলাকার বা জেলার মানুষ সবাই কি ভাবে চিনবে।তাছাড়া,এখানে আমি উল্লেখ করেছি জাহাঙ্গীর নগরের কথা যেখানে স্পর্শী পড়ছে।ঢাকা যেহেতু আমাদের রাজধানী বা কেন্দ্র শহর সেহেতু একজন এমপি বা রাজনৈতিক কর্মীর অহরহ পার্টির কাজে প্রায়ই যেতে হয়।এখানে আমি বলি নি পরশ ঢাকার এমপি বা তার আশে -পাশের। এই আমাদের এখানকার সংসদ সদস্য পার্টির কাজে ঢাকায় গেলে পথিমধ্যে কতজন তাকে চিনবে?আশা করি বুজতে পেরেছেন।আর যদি এরপরেও কিছু ধোয়াশা থাকে তবে আমি সেটাকে গল্পের মধ্যেই ক্লিয়ার করে দিব।ধৈর্য ধরে পড়তে থাকুন।