#ধূসর_শ্রাবণ💚
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💚
#পর্ব-২৭
________________
হুট করে শুভ্রের সামনে এসে রাগী কন্ঠ শুনে অবাক হলো বর্ষা আর শুভ্রতা। তবে বেশি না ভেবে বর্ষা বেশ শান্ত গলায় বললো,
‘ কি হয়েছে?’
বর্ষার কথায় রাগ যেন আরো উঠলো শুভ্রের। সে শুভ্রতাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
‘ শুভ্রতা চোখ বন্ধ করে সোজা নিজের রুমে যাবি এদিক সেদিক তাকালে একদম থাবড়িয়ে গাল লাল বানিয়ে দিবো।’
শুভ্রের কথা শুনে বর্ষা বলে উঠল,
‘ ও কেন যাবে ও যাবে না।’
বর্ষার কথাটাকে টোটালি ইগনোর করে আবারো ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠল শুভ্র শুভ্রতাকে,
‘ আমি তোকে যেতে বলেছি শুভ্রতা।’
সঙ্গে সঙ্গে শুভ্রতা ঘাবড়ে গিয়ে দৌড়ে চলে গেল তাঁর রুমে। আর বর্ষা খানিকটা সাহসী কতা নিয়ে বলে উঠল,
‘ আপনার সমস্যাটা কোথায় বলুন তো, সেই আসার পর থেকে দেখছি কারনে অকারনে রাগ দেখিয়ে যাচ্ছেন।’
‘ আমি অকারণে রাগ দেখাই।’
‘ তা নয় তো কি?’
‘ ঠিক আছে আজ তবে অকারণেই অনেক কিছু হয়ে যাক।’
শুভ্রের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে বলে বর্ষা,
‘ মানে?’
প্রতি উওরে কোনো কিছু না বলেই হুট করেই বর্ষাকে কোলে তুলে নিলো শুভ্র। আকস্মিক শুভ্রের এমন কান্ডে চোখ বড় বড় হয়ে যায় বর্ষার। সাথে শুভ্রের শার্টের হাতা খামচে ধরে বললো সে,
‘ আরে আরে কি করছেন কি পড়ে যাবো তো?’
প্রতি উওরে কোনো জবাব না দিয়েই বর্ষাকে কোলে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো শুভ্র। শুভ্রের কান্ডে থমকে গেল বর্ষা। ঘাবড়ে গেছে সে।’
শুভ্র বর্ষাকে কোলে তুলে চলে যায় ছাঁদে। রাগে গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে তার।’
খোলা আকাশের নিচে ছাদের এক কিনারায় শুভ্র দাঁড় করায় বর্ষাকে। বর্ষা নিচে নেমেই হতভম্ব গলায় বলে,
‘ আপনি আমায় এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?’
‘ তোমার সাথে কথা আছে আমার।’
‘ কিন্তু আমার আপনার সাথে কোনো কথা নেই।’
বলেই চলে যেতে নেয় বর্ষা। সাথে সাথে বর্ষার হাত ধরে নিজের কাছে টেনে আনে শুভ্র। কোমড় জড়িয়ে ধরে তক্ষৎনাত সঙ্গে সঙ্গে চমকে উঠলো বর্ষা। কেঁপে উঠল পরমুহূর্তেই। সাথে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো সে। বর্ষাকে ছটফট করতে দেখে শুভ্র বর্ষার কোমড় ছেড়ে দুই বাহু চেপে ধরে, কপালে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে শীতল ভেজা কন্ঠ নিয়ে বলে,
‘ তুমি এমন কেন বোকারানি? এত বার করে বলছি কিছু কথা আছে তাও শুনতে চাইছো না কেন আমাকে মারার প্ল্যান করছো নাকি।’
শুভ্রের কান্ড আর কথা শুনে থমকে যায় বর্ষা। নিজের ছটফটানি কমিয়ে দেয় পরমুহূর্তেই। বর্ষাকে নিস্তব্ধ হয়ে যেতে দেখে আবারো বলে উঠল শুভ্র,
‘ আমি তোমায় ভালোবাসি বর্ষা। তোমার সাথেই থাকতে চাই সারাজীবন। তুমি কেন বুঝতে পারছো না আমার অবস্থাটা। তোমার শূন্যতায় যে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি আমি। এবার তো বাঁচিয়ে নেও আমায়। তোমার এক একটা অবহেলা যেন ছুরির আঘাতের মতো ক্ষত দিয়ে চলেছে আমার বুকে। ক্ষত বিক্ষত করছে আমার হৃদয়রাকে। তুমি কি বুঝতে পারছো না? আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। প্লিজ আর কষ্ট দিও না আমায় না হলে সত্যি শেষ হয়ে গিয়ে হারিয়ে যাবো অনেক দূরে। তারপর চাইলেও আর খুঁজে পাবে না কিন্তু বলে দিলাম।’
বর্ষাও শুভ্রের মতো চোখ বন্ধ করে ছিল এতক্ষণ শুভ্রের লাস্ট কথাটা শুনে চোখে খুলে ফেললো নিমিষেই। কি বলছে কি শুভ্র হারিয়ে যাবে মানে। বর্ষা নির্বিকার হয়ে এতক্ষন শুনেছিল শুভ্রের কথা। পরমুহূর্তেই কিছুটা শীতল স্বরে অবাক দৃষ্টিতে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ আপনি সত্যি আমায় ভালোবাসেন শুভ্র?’
চোখ খুললো শুভ্র। তারপর বর্ষার চোখের দিকে তাকিয়ে ওর দু’গাল চেপে ধরে বললো,
‘ কিভাবে বললে তুমি বুঝবে বলো আমি তাই করবো।’
শুভ্রের কথায় যেন এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল বর্ষার মাঝ দিয়ে। আনমনেই বলে উঠল সে,
‘ মুখেই বলুন না আর একবার।’
শুভ্র শুনলো বর্ষার কথা। গাল থেকে হাত সরিয়ে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো বর্ষাকে তারপর বললো,
‘ সত্যি বলছি বোকারানি তোমায় আমি নিজের অজান্তেই ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছি। তোমার বোকাসোকা কাজ কর্মের প্রেমে পড়েছি আমি।’
শুভ্রের কান্ডে সত্যি হতভম্ব বর্ষা। শুভ্র তাঁকে ভালোবাসে কথাটা যেন বিশ্বাস হচ্ছে না বর্ষার। বর্ষা নিজেও জড়িয়ে ধরলো শুভ্রকে। শুভ্রের কথা শুনে তাঁর তো খুশি হওয়ার কথা কিন্তু খুশি হতে পারছে না সে। হসপিটালের দৃশ্য বার বার চোখের সামনে ভাসছে তাঁর। বর্ষা নির্বিকার স্বরেই বলে উঠল শুভ্রকে,
‘ তাহলে সেদিন হসপিটালে যা দেখলাম সেটা কি ছিল শুভ্র?’
বর্ষার কথা শুনে বুক থেকে সরালো শুভ্র বর্ষাকে। তারপর আবারো বর্ষার দুই কাঁধ চেপে ধরে বললো,
‘ সেটাই তো বলতে চাই তোমায়। এবার কি শুনবে তুমি?’
উওরে মাথা নাড়ায় বর্ষা। বর্ষার মাথা নাড়ানো দেখে তপ্ত নিশ্বাস ফেলে বলে উঠল শুভ্র,
‘ হসপিটালে যাকে তুমি দেখেছো ওর নাম হলো নীলিমা। আমরা লন্ডনে একসাথেই পড়াশোনা করেছি। ও আমার মতোই বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিল লন্ডনে পড়াশোনা করতে। ওর সাথে আমার প্রথম আলাপ ছিল ইউনিভার্সিটিতেই। ওর সাথে আমার সম্পর্কটা ছিল বন্ধুত্ব। আমি সবসময় ওঁকে আমার বন্ধুর নজরেই দেখেছি। একসাথে ক্লাস এটেন করা, ফিল্ম দেখা, ঘুরতে যাওয়া, স্ট্যাডি করা সবকিছুই একসাথে হতো আমাদের। আমি এগুলোর সবকিছুই ওর সাথে বন্ধু হিসেবে করতাম। কিন্তু ও যে আমায় বন্ধুর নজরে দেখে নি সেটা আমি কখনোই ভাবে নি। সেদিন জন্মদিনের রাতে হুট করেই জেনেছি ও নাকি হাত কেটে সুইসাইড করতে গিয়েছিল। ভাগ্য ভালো থাকায় বেঁচে যায় আর তখনই জানতে পেরেছি আমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে ডিপ্রেশনে ভুগে এমনটা করেছে ও। আর ওঁকে সামলাতেই রোজ হসপিটালে যেতে হতো আমায়। আমি বুঝতে পারছিলাম কি করবো না করবো? কিভাবে তোমায় বললে তুমি বুঝবে। তোমায় আমি ঠকাচ্ছি এইরকম নানান ভাবনাই ঘুরতো মাথায়। যার দরুন তোমার সাথে স্বাভাবিক হতে পারতাম না। বলতে তো চাইতাম অনেক কিছু কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়ে উঠলছিল না। আর নীলিমাও সুস্থ হচ্ছিল না। জেদ ধরতো একেক সময় একেকটা। কিন্তু তুমি চিন্তা করো না এখন সব ঠিক আছে। আমি ওকে বুঝিয়ে বলেছি সবটা।’
শুভ্রের কথা শুনে পুরো স্তব্ধ বর্ষা। এমন কিছু যে ঘটতে পারে এটা তাঁর কল্পনার বাহিরে ছিল একদম। বর্ষা নির্বিকার হয়ে বললো,
‘ মেয়েটাকি সবটা মেনে নিয়েছে। আর আপনি যে এখানে এসেছেন তাও জানে ও।’
‘ সবই জানে। অনেক বুঝেছি, হয়তো বুঝেছে হয়তো বুঝেনি কিন্তু ও আমায় কথা দিয়েছে আর কখনোই উল্টো পাল্টা কিছু করবে না।’
‘ যদি না মানে?’
চুপ হয়ে গেল শুভ্র। ছল ছল চোখে তাকালো সে বর্ষার দিকে। তবে কি বর্ষা তাঁকে বুঝলো না।’
_____
রাত দশটার কাঁটায় ছুঁই ছুঁই। বিছানায় চুপচাপ বসে আছে হিয়া। মাথার ভিতর হাজারো প্রশ্ন এসে উঁকি মারছে তাঁকে। ১. বাবা কেন নির্মলের হসপিটালে গেল? ২. আজ বাবা নির্মলের কথা শুনে কোনো কথা কেন বললো না? ৩. বাবা কি বিয়েটা দিতে আধও রাজি হবে?এই রকম হাজারো কথা এসে বারি মারছে হিয়ার মাথায়। এমন সময় হিয়ার দরজায় নক করলো হিয়ার বাবা। বললো,
‘ আসবো?’
আচমকাই বাবার ভয়েস কানে আসতেই নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো হিয়া। তক্ষৎনাত বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হতভম্ব গলায় বললো সে,
‘ হুম বাবা আসো, পারমিশন লাগে নাকি।’
উওরে তেমন কিছু না বলেই ভিতরে ঢুকলো হিয়ার বাবা তারপর বললো,
‘ তোর সাথে কিছু কথা ছিল?’
বুকটা যেন কেঁপে উঠল হিয়ার। ভয় হচ্ছে ভীষণ না জানি কি বলে তাঁর বাবা। যদি বিয়েটা করতে বারন করে তবে। হিয়া তাঁর সকল ভাবনাকে সাইডে রেখে বলে উঠল,
‘ হুম বলো,
হিয়ার বাবা খাটে বসলো আগে। তারপর হিয়াকে নিজের সামনের জায়গাটা দেখিয়ে বললো,
‘ এখানে বস,
হিয়াও বসলো বুক কাঁপছে তাঁর। হিয়া বসতেই হিয়ার কপালে হাত রাখলো হিয়ার বাবা। তারপর আবেগী কন্ঠে বলে উঠল,
‘ তুই যে কবে এত বড় হয়ে গেছিস বুঝতেই পারি নি।’
বাবার কথা শুনে হিয়া অবাক হলো খুব। বাবার মুখে এত আবেগী কথা এই প্রথম বারই শুনছে সে। হিয়া ছলছল চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ কিছু কি হয়েছে বাবা?’
‘ না কি হবে।’
হিয়া চুপ করে রইলো। বাবার কথার পাল্টা উওর হিসেবে কি বলবে বুঝতে পারছে না সে। হিয়াকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল হিয়ার বাবা,
‘ নির্মলকে তুই ভালোবাসিস হিয়া?’
সঙ্গে সঙ্গে রুহু সমেত কেঁপে উঠলো হিয়ার। এখন কি বলবে সে। এত বড় প্রশ্নের উত্তরটা তো জানা হিয়ার কিন্তু বাবার সামনে কি করে বলবে সে। হিয়াকে এবারও চুপ থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল হিয়ার বাবা,
‘ কি হলো বলছিস না কেন? বিয়ে করতে চাস তুই নির্মলকে?’
এবার আর চুপ থাকতে পারলো না হিয়া। মাথা নিচু করেই উপর নিচ মাথা নাড়ালো সে। যার উওর ‘হুম চায় সে’।’
মেয়ের মাথা নাড়ানো দেখে শুধু এতটুকুই বললো হিয়ার বাবা,
‘ ঠিক আছে।’
তক্ষৎনাত উঠে দাঁড়ালো হিয়ার বাবা। বেরিয়ে যেতে লাগলেন হিয়ার রুম থেকে। যা দেখে হিয়াও বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো তাররপর হতভম্ব গলায় বললো,
‘ বাবা,
হিয়ার কন্ঠ শুনেই দাঁড়িয়ে পড়লো হিয়ার বাবা। পিছনে ঘুরে তাকালেন মেয়ের পানে। বাবাকে নিজের দিকে তাকাতে দেখেই আবারো মাথা নিচু করে বললো হিয়া,
‘ নির্মল খুব ভালো ছেলে বাবা, একটু রাগী কিন্তু ভালো।’
উওরে শুঁকনো হেঁসে বললো হিয়ার বাবা,
‘ জানি আমি।’
এতটুকু বলেই হিয়ার বাবা বেরিয়ে যায় রুম থেকে। আর হিয়া জাস্ট নির্বিকার দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো বাবার যাওয়ার পানে। আনমনেই ভাবলো সে,
‘ বাবা কি তবে মেনে নিলো তাঁর আর নির্মলের বিয়েটা?’
____
নিঝুম রাতের, নিঝুম নিরালায় এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র বর্ষা। কারো মুখেই কোনো কথা নেই। শুভ্র এখনো বুঝতে পারলো না বর্ষার দিকটা। বর্ষা কি তাঁর ভালোবাসা গ্রহণ করলো না নাকি বুঝতে চাইলো না। হঠাৎই বর্ষা বলে উঠল,
‘ রাত তো অনেক হয়েছে ঘুমাবেন না?’
শুভ্র শীতল দৃষ্টিতে তাকালো বর্ষার পানে। তারপর ওর হাত ধরে শীতল কন্ঠে বললো,
‘ তুমি কি আমায় বুঝলে না বর্ষা?’
বর্ষা শুনলো শুভ্রের কথা ভাবলো অনেক কিছু। তারপর বললো,
‘ আমার ভীষণ ঘুম পেয়েছে শুভ্র আমরা কাল কথা বলি?’
এতটুকু বলে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে ছাঁদ থেকে নেমে পড়লো বর্ষা। আর শুভ্র স্তব্ধ হয়ে বর্ষার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে বললো,
‘ তুমি কি আসলেই আমায় বুঝলে না বোকারানি?’
আরেকটা সোনালি সকাল।’
জানালার কার্নিশ বেয়ে আসছে মৃদু রোদ্দুরের ছোঁয়া। সেই রোদ্দুরের ছোঁয়া এসে পড়লো শুভ্রের মুখে। বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে সে বিছানা জুড়ে হুট করেই কাল রাতের বর্ষার চলে যাওয়ার দৃশ্য ভেসে আসলো শুভ্রের সামনে। তক্ষৎনাত ঘুমটা ভেঙে গেল তাঁর, মন খারাপ হলো আনমনে। শুভ্র শোয়া থেকে উঠে বসলো শান্তি মিলছে না তাঁর কোথায় ভাবলো বর্ষা তাঁকে মেনে নিবে কিন্তু হলো কই?’ খানিকটা বিরক্ত প্রকাশ করলো শুভ্র। চোখ মুখে হাত দিলো তক্ষৎনাত। হঠাৎই চোখ গেল তাঁর বিছানার পাশ দিয়ে থাকা সাদা রঙের কফির কাপের দিকে। উপরটা লাভ আকৃতির সাথে তাঁর পাশেই ছোট্ট চিরকুটে মুচকি হাসির ইমুজি দিয়ে লেখা,
‘ শুভ সকাল মাই কিউটজামাই?’ স্পেশাল কফি অনলি ফর ইউ!’😊
বর্ষার কান্ডে ভয়ংকর ভাবে খুশি হলো শুভ্র। তক্ষৎনাত খুশি মনে কফির কাপে চুমুক দিলো সে। সাথে সাথে তাঁর সোনালি সকাল করলার মতো তিতা হয়ে গেল কারন কফিতে চিনি হয় নি। সাথে সাথে চেঁচিয়ে ডাকলো সে,
‘ বররররররররর্ষা?’
#চলবে…..
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে]
#TanjiL_Mim♥️