#ধূসর_শ্রাবণ💚 #লেখিকা:#তানজিল_মীম💚 #পর্ব-২৫

#ধূসর_শ্রাবণ💚
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💚
#পর্ব-২৫#ধূসর_শ্রাবণ💚
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💚
#পর্ব-২৫
________________

চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে বর্ষা শুভ্রের দিকে। তাঁর কল্পনারও বাহিরে ছিল এই মুহূর্তে সে শপিং মলে শুভ্রকে দেখবে। তক্ষৎনাত নিজের হাতটাকে ওই ছেলের হাত থেকে সরিয়ে নিতে চাইলো বর্ষা কিন্তু পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো সে।’

এদিকে,

বর্ষাকে এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাগ যেন আরো বেড়ে গেল শুভ্রের। oতক্ষৎনাত হন হন করে এগিয়ে গেল সে বর্ষার কাছে। তারপর কাট কাট গলায় একপলক সামনের ছেলেটির দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে বর্ষার দিকে তাকিয়ে বললো সে,

‘ এখানে কি হচ্ছে?’

ততক্ষণে সামনের ছেলেটি বর্ষার ধরে রাখা হাতটা ছেড়ে দিয়েছে। কিছুটা হতভম্ব হয়েই বললো সে,

‘ আপনি কে?’

রাগ হলো শুভ্রের। অচেনা এই ছেলে তাঁকে জিজ্ঞেস করছে আপনি কে? চোখ মুখ শক্ত করে বললো শুভ্র,

‘ আমি কে সেটা আপনার না জানলেও চলবে, চলো বর্ষা?

এই বলে বর্ষার হাত ধরে টেনে বেরিয়ে আসলো শুভ্র। আর পাশের ছেলেটা নির্বিকার হয়ে শুধু তাকিয়ে রইলো শুভ্র বর্ষার যাওয়ার পানে। যেন কি হলো সব তাঁর মাথার উপর দিয়ে গেল।’

রাগে হন হন করে বর্ষার হাত ধরে শপিং মল থেকে বের হতে লাগলো শুভ্র। রাগের চোটে কিছু বলছে না শুভ্র, শুধু শক্ত করে বর্ষার হাত ধরে এগিয়ে চলছে সে। শুভ্রের রাগ দেখে বর্ষাও কিছু বলতে পারছে না। তবে সে বুঝতে পারছে না শুভ্র এত রেগে আছে কেন? হঠাৎই কিছু একটা ভেবে বর্ষা দাঁড়িয়ে পড়লো, বর্ষাকে দাঁড়াতে দেখে শুভ্রও দাঁড়িয়ে পড়লো তারপর বললো,

‘ কি হলো?’

‘ আমি যাবো না।’

‘ যাবে না মানে?’

‘ যাবো না মানে যাবো না।’

রাগ হলো শুভ্রের। প্রচন্ড রাগ নিয়েই ক্ষীপ্ত মেজাজ নিয়ে বললো সে,

‘ দেখো একদম রাগাবে না এমনিতেও রাগ হচ্ছে আমার। তারপর উল্টো পাল্টা কিছু করে বসবো সামলাতে পারবে না।’

শুভ্রের কথা শুনে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম বর্ষার। থমথমে গলায় চোখ বড় বড় করে বললো সে,

‘ উল্টো পাল্টা করবেন মানে, কি করেছি আমি?’

শুভ্র যথাসম্ভব তাঁর রাগটাকে কন্ট্রোলে এনে চোখ মুখ শক্ত করে বলে উঠল,

‘ কি করেছো তুমি সেটা আবার জিজ্ঞেস করছো। আমায় না বলে লন্ডন থেকে এসেছো কেন?’

চুপসে গেল বর্ষা। কি বলবে বুঝতে পারছে না। বুকের ভিতর আচমকাই মোচড় দিয়ে উঠলো তাঁর। চোখের সামনে ভেসে আসলো শুভ্র আর সেই মেয়েটার জড়িয়ে ধরার দৃশ্য চোখ ভেসে আসলো বর্ষার। বর্ষাকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল শুভ্র,

‘ কি হলো এখন কথা বলছো না কেন?’

বর্ষা ছলছল চোখে তাকালো শুভ্রের দিকে। তারপর নীরব কন্ঠে বললো,

‘ আপনি সত্যি জানেন না আমি কেন লন্ডন থেকে ফিরে এসেছি। আর এত অভিনয় করার কি আছে আমি তো আপনায় বলেছি খুব শীঘ্রই আমি আপনায় মুক্তি দিবো, তাহলে অকারণে রাগ দেখাচ্ছেন কেন?’

‘ লন্ডনের হাওয়া খেয়ে বাংলাদেশে এসে সাহস খুব বেড়ে গেছে তাই না।’

‘ সাহস,

শুঁকানো হাসলো বর্ষা তারপর বললো,

‘ জানেন তো শুভ্র, মানুষ তাহার থেকে কাউকে নরম পেলে বড্ড আঘাত করে। বারে বারে মনে করিয়ে দেয় তুমি ভীতু, তুমি পারবে না আমার সাথে।’

নির্বিকার শুভ্র। মুহূর্তের মধ্যেই নিজের রাগটা যেন কোথায় হারিয়ে গেল তাঁর। অপরাধী কন্ঠ নিয়েই বলে উঠল শুভ্র,

‘ আমার কথার অর্থ এমনটা ছিল না বর্ষা। তুমি আবার আমায় ভুল বুঝছো।’

‘ ভুল! হাসালেন আমায় যাইহোক এমনিতেও অনেক লেট হয়ে গেছে শুভ্রতা কোথায় গেছে হয়তো আমায় না দেখে দুশ্চিন্তা করছে।’

শুভ্র পারলো না নিজেকে সামলাতে। আচমকাই বর্ষার হাত ধরে দিল টান। মুখোমুখি করলো নিজের। হুট করে এমনটা হওয়াতে বর্ষা থতমত খেয়ে যায় ওখানেই। হতভম্ব গলায় শুভ্রের চোখে দিকে তাকিয়ে বলে,

‘ কি করছেন কি শুভ্র এটা শপিং মল সবাই দেখছে আমাদের।’

বর্ষার কথাটাকে টোটালি ইগনোর করে বর্ষার চোখের দিকে তাকিয়ে শীতল কন্ঠে বললো শুভ্র,

‘ তুমি এমন কেন বোকারানি, সবসময় উল্টোপাল্টা ভাবো। চোখের দেখা সবসময় সত্যি হয় না। ভুল বুঝছো ঠিক আছে, আমার আচরণে কষ্ট পেয়ে অভিমান করেছো তাও ঠিক আছে, আমি সময় নিয়েছি এটা হয়তো ঠিক নেই কিন্তু পরিস্থিতি এমন ছিল যে আমি সময় নিতে বাধ্য ছিলাম। আমি তো গিয়েছিলাম তোমার কাছে তোমায় সবটা বলতে, ভুলটা ভাঙাতে তুমি শুনতে চাও নি, আবার শুনতে যখন চেয়েছো তখন সময় হয় নি। এবার তো বলার সুযোগ দেও সবটা। আমি বলতে চাই তোমায় অনেক কিছু। তুমি জানো না তোমার শূন্যতায় আমি তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি, ভেঙে ফেলছে আমায় ভিতর থেকে, এবার তো বাঁচিয়ে নেও প্লিজ।’

শুভ্র শেষের কথাটা এমন ভাবে বললো যে বর্ষা শুনে থমকালো, ভড়কালো সাথে অবাক হলো খুব। নির্বিকার কন্ঠে বললো,

‘ মানে?’

শুভ্র কিছু বলবে ঠিক সেই মুহূর্তে এক প্রকার হাঁপাতে হাঁপাতে ওদের সামনে হাজির হলো শুভ্রতা। থমকানো গলায় বললো,

‘ ভাইয়া ভাবি তোমরা এখানে আর আমি তোমাদের পুরো শপিং মল তন্নতন্ন করে খুঁজছি।’

শুভ্রতার কন্ঠ কানে আসতেই শুভ্র ছেড়ে দিলো বর্ষাকে। কিছুটা দূরত্ব নিয়ে দাঁড়ালো দুজন। আজ আবারো যেন সময়টা তাঁদের সাথে বেইমানি করলো।’

গাড়ি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছে শুভ্রতা, বর্ষা আর শুভ্র। শুভ্র ড্রাইভ করছে আর পিছন ছিঁটে বসে বকবক করছে শুভ্রতা আর বর্ষা। এক প্রকার বিরক্ত লাগছে শুভ্রের। সে বুঝে না প্রত্যেকবার তাঁর সাথেই এমন কেন হয় যতবারই বলতে যায় ততবারই কোনো না কোনো কারন এসে তাঁকে চুপ করিয়ে দেয়। অদ্ভুত!’ ভালোবাসা কি প্রকাশ করা হবে না তাঁর। বর্ষাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলতে কি পারবে না সে,

‘ ভালোবাসি বোকারানি। তোমার বোকাসোকা কাজ কর্মের প্রেমে পড়েছি আমি।’

উওর মেলে না শুভ্রের। রাতের আকাশের পানে একপলক তাকায় শুভ্র। অভিযোগ করে খানিকক্ষণ তারপর আবারো নজর দেয় শহরের ব্যস্ত হয়ে চলা রাস্তার পানে। তাদের সাথে চলছে অগনিত নানান পদের সব গাড়ি, টেক্সি, সাইকেল, মোটরগাড়ি, রিকশাসহ শতশত সব যানবাহন। তাঁর সাথে চলছে নানা বর্নের মানুষজন। তপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো শুভ্র। বারে বারে মনটা তাঁর ভেঙে যাচ্ছে কারনে অকারণে অজান্তেই।’

_____

জোৎসা ভরা রাত। আকাশে ভেসে চলেছে হাজারো তাঁরার মেলা, চাঁদ মামাও আছে তাঁদের মাঝে। চারপাশ বেয়ে আসছে প্রকৃতির মুগ্ধ করা মৃদুু বাতাস। শহর থেকে খানিকটা দূরে, খোলা জমিনের মাঝে একটা বড়সড় গাছের নিচে থামিয়ে রাখা কালো রঙের গাড়ির ওপর বসে আছে নির্মল আর হিয়া। মুলত মাঝরাতে হুট করেই হিয়াকে নিয়ে এখানে আসে নির্মল। তারপর বসে পড়ে দুজন গাড়ির ওপর। একদম জনশূন্য জায়গাটা যার দরুন হাল্কা ভয় ভয়ও লাগছে হিয়ার। একদম নিরিবিলি আর ছমছমে পরিবেশ। হিয়া আশেপাশে তাকিয়ে হাল্কা নিশ্চুপ স্বরে বললো,

‘ আমরা এখানে কেন এসেছি নির্মল?’

প্রতি উওরে গাড়ির ওপর সোজা হয়ে শুয়ে বললো নির্মল,

‘ এমনি।’

‘ এমনি এমনি কেউ এই ছমছমে পরিবেশে আসে নাকি।’

‘ তা আসে না।’

‘ তাহলে?’

এবার নির্মল বেশ সিরিয়াস কন্ঠ নিয়ে বললো,

‘ তোমায় খুন করতে?’

কথাটা নির্মল সিরিয়াস ভাবে বললেও হিয়া সিরিয়াস ভাবে নিলো না। স্বাভাবিক গলায় বললো,

‘ মেরে দিন না আমায়। তাহলে হয়তো আমি আপনি দুজনেই বেঁচে যাই।’

থমকে গেল নির্মল। এমন কথা আশা করি নি সে। নির্মল স্বাভাবিক গলায় বললো,

‘ তোমার ভয় করছে না।’

‘ ভয় করবে কেন?’

‘ এই যে আমি তোমায় মেরে ফেলার হুমকি দিলাম।’

হেঁসে ফেললো হিয়া। তারপর বললো,

‘ অন্যকেউ হলে হয়তো ভয় হতো নির্মল কিন্তু আপনি বলে পাচ্ছি না। কারনটা কি জানেন?’

হিয়ার কথা শুনে শোয়া থেকে উঠে বসলো নির্মল। জিজ্ঞাসাসূচক চোখে তাকালো সে হিয়ার দিকে যার অর্থ ‘না আমি জানি না বলো তুমি’। হিয়াও নির্মলের চোখের ভাষার অর্থ বুঝতে পেরে শীতল ভেজা কন্ঠ নিয়ে বলে উঠল,

‘ আমি আপনায় ভালোবাসি নির্মল আর ভালোবাসার মানুষের কাছে খুন হওয়াও একপ্রকার সুখ।’

হিয়ার কথা শুনে বাকরুদ্ধ যেন নির্মল। এই মেয়ে দিনে দিনে বড্ড বিপাকে ফেলছে তাকে। ভালোবাসা মগ্ন হওয়া ভালো কিন্তু অতিরিক্ত পাগলামি করা যে বড়ই দুশ্চিন্তার বিষয়। নির্মল নিশ্চুপ রইলো কিছুক্ষন তারপর নিশ্চুপ গলায় নীরব কন্ঠ নিয়ে বললো,

‘ এত ভালোবেসো না প্রিয়দর্শিনী পরে কিন্তু সামলানো দায় হয়ে যাবে।’

হিয়া শুনলো মুচকি হাসলো নীরবে। তারপর আপন ইচ্ছেতেই নিজের মাথাটাকে এলিয়ে দিলো নির্মলের বুকে। তারপর বললো,

‘ আমি সত্যি আপনায় খুব ভালোবেসে ফেলেছি নির্মল, প্লিজ কখনো ছেড়ে যাবেন না। আমি তবে সত্যি সত্যি শেষ হয়ে যাবো।’

প্রতি উওরে নির্মল নিজেও জড়িয়ে ধরলো হিয়াকে তারপর হিয়ার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বললো,

‘ যাবো না কোথায়ও তোমায় কথা দিলাম প্রিয়দর্শিনী।’

হিয়া খুশি হলো, ভীষণ খুশি হলো। তবে বললো না কিছু।’

সময় কাটলো কিছুক্ষন। হঠাৎই নির্মল তাঁর হাতে থাকা ঘড়িটা দেখলো। বারোটা বাজতে আর মাত্র দু’মিনিট বাকি। সঙ্গে সঙ্গে চমকে উঠলো নির্মল, হিয়াকে সরিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লো তক্ষৎনাত। আচমকাই নির্মলের কান্ডে অবাক হলো হিয়া বললো,

‘ কি হলো নির্মল?’

প্রতি উওরে কোনো জবাব দিলো না নির্মল। গাড়ির দরজা খুলে সাথে করে আনা একটা ব্যাগ বের করলো তক্ষৎনাত। রাখলো হিয়ার সামনে। হিয়া অবাক হলো এটাকে সে খেয়াল করে নি। হিয়া অবাক হয়ে বললো,

‘ এটার ভিতর কি আছে নির্মল?’

হিয়ার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তাড়াতাড়ি ব্যাগটা খুলে বাক্সটা বের করলো নির্মল। এবার আর কিছু বললো না হিয়া নীরবে শুধু তাকিয়ে রইলো নির্মলের পানে। নির্মল বাক্স খুলে বের করলো একটা লাভ আকৃতির চকলেট কেক। কেক দেখে যেন আরো অবাক হলো হিয়া প্রশ্ন করলো,

‘ কেক কেন নির্মল আজ তো আমার বার্থডে নয়।’

প্রতি উওরে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলো নির্মল। ঘড়ির কাঁটায় আর দশ সেকেন্ড পরই পুরোপুরি বারোটা বেজে যাবে।’

অতঃপর সময় শেষ হলো। ঘড়ির কাটাও পুরোপুরি বারোটার কাঁটায় ছুঁই ছুঁই। নির্মল চাকুটা হাতে নিলো তারপর হিয়ার হাত ধরে কেকটা কাটতে কাটতে বললো,

‘ আজ তোমার বার্থডে নয় এটা ঠিক। আজ হলো আমাদের প্রথম দেখার এনিভারসারি। আজ তোমার আমার দেখা হওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো। গতবছর এই দিনের অর্থাৎ এখন কার সময়ের এই রাত পেরিয়ে সকালেই তোমার সাথে আমার ভার্সিটি বসে দেখা হয়েছিল।’

হিয়া অবাক হলো খুব সে তো ভুলেই গিয়েছিল প্রায়। নির্মল কেকটা কেটে খাইয়ে দিলো হিয়াকে। হিয়াও খেলো। তারপর নির্মলকে খাইয়ে দিতে দিতে বললো,

‘ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।’

হাসলো নির্মল। বললো,

‘ কোনো ব্যাপার না কিছু ভুলের ক্ষমা আছে।’

____

আজ শুভ্রতার জন্মদিন। পুরো বাড়ি জুড়েই মোটামুটি একটা সড়গড় পড়ে গেছে তার জন্য।সকাল থেকেই পুরো ব্যস্ত বর্ষা। আজ শুভ্রতার বন্ধুবান্ধবরা সহ আরো অনেক আত্মীয় স্বজনেরা আসবে। আর তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থার করার জন্যই মুলত ব্যস্ত বর্ষা। কখনো এদিক তো কখনো ওদিক দৌড়ে চলেছে সে।’

অন্যদিকে,

সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে বর্ষার কান্ড কারখানা দেখছে শুভ্র। সাথে রাগে ফুঁসছে। ব্যস্ততার চক্করে শুভ্রের সাথেও ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছে না বর্ষা। কাল রাতে বাড়ি ফিরে শুভ্রের রুমে যায় নি বর্ষা। শুভ্রতার রুমেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এজন্য অবশ্য শুভ্র ভয়ংকর ভাবে রেগে আছে। একবার সুযোগ পেলেই সেই রাগটাকে পুরোপুরি দেখিয়ে ছাড়বে সে।’

‘ তাঁর বোকারানি বউটার বড্ড বেশি সাহস বেড়ে গেছে, এবার হয়তো সত্যি সত্যি ঔপন্যাসিকার কথা মতো তাঁকে অধিকার খাটাতেই হবে। না হলে তার এই বোকারানী বউ কখনোই তাকে বুঝবে না।’

ভাবলো শুভ্র।’

#চলবে….

[ভুল-ক্রটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে]

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here