#ধূসর_শ্রাবণ💚
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💚
#পর্ব-২২
________________
হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র তাঁর আর বর্ষার রুমের বিছানার পাশ দিয়ে। সে ভাবতেও পারে নি শেষ মুহূর্ত এসে এমন কিছু ঘটবে। বর্ষা চলে যাবে তাও তাঁকে কিছু না জানিয়ে। কয়েক মুহূর্ত আগেই বাড়ি এসে রুমে ঢুকে শুভ্র। বর্ষার নাম নিয়ে ডাকে অনেকবার কিন্তু বর্ষার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বুকটা কেমন যেন করে উঠে তার। পুরো বাড়ি জুড়ে খুঁজে বর্ষাকে কিন্তু পায় না। পরক্ষণেই টেবিলের উপরে একটা চিঠি লেখা দেখে পড়ে সেটা। যেখানে লেখা ছিল,
‘ প্রিয় শুভ্র,
আমি জানি এইভাবে হুট করে আপনায় কিছু না বলে চলে যাওয়াটা হয়তো আমার উচিত হয় নি। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি আর পারছি না। আপনার আমার দূরত্ব যেন তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছিল আমায়। তাই নিজেকে বাঁচাতে আর আপনাকে মুক্তি দিতে চলে যাচ্ছি আমি। ভালো থাকবেন আর হ্যাঁ ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমি বাড়িতে কাউকে কিছু বলবো না। আপনার কোনো দোষ নেই আপনি তো বিয়ের আগেই ডিভোর্স চেয়েছিলেন, আমার আফসোস একটাই আপনি বিয়ের আগে সব কথাগুলো বলেন নি আমায়। শুধু বলেছিলে আমায় আপনার পছন্দ নয়। যাইহোক ভালো থাকবেন। শুনেছি দাদু নাকি খুব অসুস্থ, যার জন্য বিয়েটা করেছিলাম সেই মানুষটাই অসুস্থ হয়েছে আবার। তবে আজ একটা কথা আপনাকে না বললেই নয়। আপনাকে বিয়ের করার কারন শুধু এটা ছিল না দাদুর অসুস্থতা। আসলে আপনায় আমি সেই ছোট বেলায় থেকেই ভালোবাসতাম, আপানাকে নিয়ে হাজার স্বপ্ন বুনেছি আমি। সেদিন আপনাকে যে বার্থডে সারপ্রাইজ দিয়েছিলাম সেটাও আমার একটা স্বপ্ন ছিল বলতে পারেন। যাইহোক আপাতত এই কথাগুলো বড্ড অর্থহীন। জানানোর ইচ্ছে ছিল না তেমন কিন্তু কেন যেন আজ বলতে ইচ্ছে হলো খুব তাই বলেদিলাম। তবে ভাববেন না এই ভালোবাসার দোহাই দিয়ে আপনার জীবনে কেনো ঝামেলা করবো না আমি। ভালো থাকবেন আপনি আপনার মতো আর আমি আমার মতো৷ এই কয়েকদিনের দূরত্বে আমি এতটুকু বুঝে গেছি,
জোর করে ভালোবাসা হয় না। আমি আপনার জীবনের একটা ঝামেলা মাত্র। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি খুব শীঘ্রই আপনাকে সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত করে দিবো।’
ইতি আপনার অপ্রিয় একজন মানুষ,
‘ বর্ষা।’
পুরো চিঠিটা পড়ে পুরোই নিস্তব্ধ শুভ্র। আনমনেই বলে উঠল,
‘ তুমি আমার অপ্রিয় নয় বর্ষা, প্রিয় কেউ।’
তপ্ত নিশ্বাস ফেললো শুভ্র। বড্ড খারাপ লাগা কাজ করছে তাঁর ভিতর। কেন সে আগে কিছু বললো না বর্ষাকে। ধাপ করে নিচে বসে পড়লো বর্ষা। মাথা ভনভন করছে তার এখন কি করবে সে, কিভাবে বুঝাবে বর্ষাকে,
‘ এক সময় অপ্রিয় ছিল সে, কিন্তু এখন অনেক আপন প্রিয় কেউ।’
মাথা ভনভন করছে শুভ্রের। হঠাৎই শুভ্রের চোখ গেল খাটের ঠিক কর্নারে দিকে। বর্ষার দেওয়া সেই গিফট বক্সটা পড়ে আছে সেখানে। তালে তালে এই কয়দিনে দেখা হয় নি সেটা। শুভ্র চটপট এগিয়ে যায় সেটার দিকে। নিচে বসেই খুলে দেখলো গিফট বক্সটা। যেখানে রয়েছে লাভের তৈরি একটা শপিচ সাথে ছোট্ট একটা লাল রঙের টেডি। তার সাথে ছোট্ট একটা চিরকুট। শুভ্র সব রেখে চিরকুটটা হাতে নিলো যেখানে লেখা,
‘ জানি না আমার অনুভূতিগুলো আজও আপনার কাছে উপস্থাপন করতে পারবো কি না। অনেকদিন যাবৎ ভাবছি আপনাকে আমার মনের কথাগুলো বলে দেই কিন্তু সাহসে কুলাচ্ছিল না। তবে আজ অনেক ভেবেচিন্তে সাহস করে বলতে এসেছি আপনায় ‘ভীষণ ভালোবাসি আপনায়’ সেই ছোট বেলা থেকে। আপনাকে ছোট বেলা থেকেই নিজের অজান্তেই অনেক বার আঘাত করেছি আমি। এর জন্য আমি খুবই দুঃখিত।
জানি না আপনি কোনোদিনও আমায় ভালোবাসবেন কিনা। তবে আমি বাসি, ভীষণ বাসি, বড্ড ভালোবাসি আপনায়। আপনার উওরের অপেক্ষায় আছি কিন্তু, প্লিজ নিরাশ করবেন না একটুও।’
ইতি,
বর্ষা।’
আনমনে হাসলো শুভ্র। মেয়েটা তাঁকে বড্ডই ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু এখন,
কথাটা ভাবতেই হাসি গায়েব হয়ে গেল শুভ্রের। কি করবে এখন? হঠাৎই বলে উঠল শুভ্র,
‘ বাংলাদেশ যেতে হবে তাঁকে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরত্ব হাঁটাতেই হবে। এ যেন বেশি যন্ত্রনা দিয়ে ফেলছে তাদের।’
_____
‘ জানিস তো,
একটুখানি ভুল বোঝাবোঝি একটা সম্পর্কে ভেঙে দেওয়ার অনেকখানি ক্ষমতা রাখে। কিছুটা ওই কাঁচের গ্লাস হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়া সময়ের মতো।’
ভরা ক্লাস রুমের মাঝে বসে হুট করেই কথাটা বলে উঠল হিয়া শিফাকে। আর হিয়ার কথা শুনে হাল্কা চমকে উঠলো শিফা। বেশ খানিকটা অবাক হয়েই বললো সে,
‘ মানে?’
প্রতি উওরে তাকায় হিয়া শিফার মুখের দিকে তারপর বলে,
‘ তুই কি বুঝিস নি আমার কথা?’
‘ বুঝি নি এমনটা নয় আসলে তুই কিসের ভিত্তিতে কথাটা বললি সেটাই ভাবছি।’
‘ বেশি ভেবে কাজ নেই বুঝলি, সব সময় এতটুকু কথা মাথায় রাখবি যে, অনেক সময় আমরা চোখের সামনে যেটা দেখি সেটা সত্যি হয় না। দেখা না দেখার মাঝেও অনেক সত্যতা লুকিয়ে থাকে। যেটা জানলে হয়তো তুই নিজেও ভীষণ চমকে যাবি।’
শিফার কথার আগামাথা কিছু বুঝতে না পেরে বলে উঠল শিফা,
‘ আমি তোর কথার আগামাথা কিছু বুঝতে পারছি না হিয়া?’
এবার বেশ বিরক্ত হলো হিয়া। বিরক্ত মাখা দৃষ্টি নিয়েই শিফার দিকে তাকিয়ে বললো সে,
‘ এত বুঝে তোর কি কাজ?’
‘ যাহ বাবা এতকিছু বললি, কিন্তু কেন বললি তা শুনবো না।’
‘ বেশি শুনে কাজ নেই, শুধু এতটুকু জেনে রাখ খুব শীঘ্রই আমি আর নির্মল বিয়ে করছি।’
সঙ্গে সঙ্গে চোখ বড় বড় হয়ে যায় শিফার। অবাক হয়েই বলে সে,
‘ কি?”
‘ দিনে দিনে কি কানা হয়ে যাচ্ছিস নাকি?’
‘ কানা হয় নি কিন্তু তোর কথাটা যেন হজম হলো না।’
‘ হজম না হওয়ার কি আছে?’
‘ তুই সত্যি সত্যি নির্মল ভাইয়াকে বিয়ে করবি?’
‘ তা নয়তো কি নির্মল আমায় কতটা ভালোবাসে বল তো?’
‘ কিন্তু কিছুদিন আগেই তো নির্মল ভাইয়াকে ভিলেন বলে আখ্যায়িত করলি তাঁর বেলা?’
‘ ওগুলো সব পুরনো আর আগের কথা। জানিস না আগের দিন বাঘে খায়।’
‘ তার মানে তুইও,
উওরে মুচকি হাসে হিয়া। যা দেখে শিফা খুশি হয়ে বলে,
‘ যা ভালোই হয়েছে। অবশেষে নির্মল ভাইয়া তোর মন জয় করতে পারলো। উড়ে কাক্কু বিয়া খামু?’
শেষের কথাটা শিফা এতটাই জোরে বললো যে আশেপাশের সবাই তাকালো ওদের দিকে। টিচার তো তক্ষৎনাত বলে উঠল ‘সাইলেন্ট’। শিফা ঠোঁটে কামড় দিলো মুহূর্তেই। শিফার কান্ডে হিয়া সোজা হয়ে বসলো তারপর বইয়ের পাতার দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বললো,
‘ তুই কি আস্তে কথা বলতে পারিস না বুদ্ধু।’
হিয়ার কথা শুনে শিফাও ঠোঁটে কামড় দিয়ে আস্তে বললো,
‘ সরি দোস্ত এক্সাইটিং এ জোরে হয়ে গেছে।’
প্রতি উওরে শুধু একটা শব্দই উচ্চারন করে হিয়া,
‘ পাগল একটা।’
_____
সত্ত্বা দিয়ে ডাইনিং টেবিলের সামনে বসে টিভিতে নাটক দেখতে দেখতে সুপারি কাটছিল বর্ষাদের বাড়ির কাজের লোক রাহেলা সুন্দরী। পাশেই বর্ষার মা বসে আছে চুপচাপ। ইদানীং কোনোকিছুই ভালো লাগে না তাঁর। ‘বর্ষা’ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান যার দরুন বর্ষা চলে যাওয়ায় পুরো বাড়িটাই একদম ফাঁকা হয়ে গেছে তাদের। হঠাৎই রাহেলা সুন্দরী বলে উঠল,
‘ আচ্ছা আফা এই যে বাংলা নাটকগুলায় খালি নায়করে লইয়া টানাটানি করে কামডা কি ঠিক করে কন? বিয়া হইয়া গেছে তারপরও এক লগে দুই তিনডা মাইয়া নায়করে লইয়া টানাটানি করে। কই হেতিগো দেশে কি পোলাগো অভাব পড়ছে নাকি। আমগো গ্রামে কতগুলো ব্যাডা আছে এহনো বিয়া করে নাই ওডির পিছনে ঘুর ঘুর করলেও তো হয়।’
রাহেলার কথা শুনে বর্ষার মা ফিক করে হেঁসে ফেললো তারপর বললো,
‘ তুমিও না রাহেলা কি যে বলো?’
‘ হাঁচা কইতাছি আফা মোর ছোডো বেলা থেইক্কা স্বপ্ন একটু ঘটকালি করমু কিন্তু কোনোদিন সুযোগই পাইলাম না।’
রাহেলার কথা শুনে এবার উচ্চস্বরে হেঁসে ফেললো বর্ষার মা। পাল্টা কিছু বলবে এরই মাঝে বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠল উচ্চ স্বরে। যা দেখে রাহেলা সুপারি কাটা বন্ধ করে বললো,
‘ আপনি বহেন আমি খুলতাছি।’
বলেই চটজলদি বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো রাহেলা তারপর এগিয়ে গেল দরজার কাছে। দরজা খুলতেই বর্ষাকে দেখে। বেশ অবাক হয়েই চেঁচিয়ে বললো রাহেলা,
‘ আফা বর্ষামনি আইছে?’
রাহেলার কথা শুনে বর্ষার মা বেশ অবাক হয়েই বললো,
‘ মাথা গেছে নাকি রাহেলা বর্ষা কি করে আসবে ও তো লন্ডন?’
‘ আমি সত্যি কইতাছি আফা দেহেন?’
ততক্ষণে বর্ষাও বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। বর্ষার মাও পিছন ঘুরে সত্যি সত্যি বর্ষাকে দেখে অবাক হয়ে বলে উঠল,
‘ তুই এসেছিস মা?’
প্রতি উওরে মায়ের কাছে এগিয়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে নির্বিকার গলায় বললো বর্ষা,
‘ কেমন আছো মা?’
‘ হুম ভালো তুই?’
‘ হুম ভালো।’
মেয়ের কথা শুনে মেয়েকে ছাড়িয়ে বললো বর্ষার মা,
‘ তা হঠাৎ চলে এলি শুভ্র আসে নি।’
‘ তোমাদের কথা ভীষন মনে পড়ছিল আর দাদুরও নাকি শরীরটা ভালো নেই তাই চলে এলাম।’
‘ তা নয় বুঝলাম শুভ্র আসে নি?”
‘ উনি অফিসের কাজে ব্যস্ত মা তাই আসে নি আমি একাই এসেছি।’
‘ ওহ তা তুই কি এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এখানে এসেছিস?’
‘ হুম।’
প্রতি উওরে কিছুক্ষন ভেবে বলে উঠল বর্ষার মা,
‘ যাক ভালো হয়েছে তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হ আমি খাবার বারছি।’
মায়ের কথার উওর হিসেবে তেমন কিছু না বলেই৷ নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হলো বর্ষা। মেয়ের কাজে খানিকটা খটকা লাগলো বর্ষার মায়ের। মেয়েটা হুট করে চলে এলো কাউকে কিছু না বলে। চোখ মুখ দেখেও ঠিক ভালো ঠেকলো না কিছু কি হয়েছে তবে?” ভাবলো বর্ষার মা।’
_____
হসপিটালে নিজের রুমের চেম্বারে বসে আছে নির্মল। চোখে মুখে খুশির ছাপ তাঁর। পরিশেষে তার প্রান প্রিয়দর্শিনী তাঁকে ভালোবাসি বলেছে’৷ এবার খুব শীঘ্রই হিয়াকে বিয়ে করে একেবারে নিজের করে নিবে নির্মল। হঠাৎই পেশেন্টের কথায় হুস আসে নির্মলের। পেশেন্ট বলে,
‘ আবার কি আসা লাগবে ডাক্তার বাবু?’
প্রতি উওরে পেশেন্টের দিকে তাকিয়ে বললো নির্মল,
‘ জ্বী এই ঔষধগুলো খেয়ে কতটুকু সুস্থতা ফিল করছেন এটা বলার জন্য হলেও আপনাকে একবার আসতে হবে।”
‘ ঠিক আছে ডাক্তার বাবু।’
এই বলে লোকটি বেরিয়ে গেল রুম থেকে। এরই মাঝে সেখানে উপস্থিত হলো নির্মলের বন্ধু আকিব। খুব খুশি খুশি ভাব নিয়েই বললো সে,
‘ ভাই! ভাবি তো বিয়ে করতে রাজি এবার তবে বিয়ের তোড়জোড়টা শুরু করে দেই?’
আকিবের কথা শুনে বেশ অবাক হয়েই বললো নির্মল,
‘ তুই কি করে জানলি?’
‘ আরে ভাই এখন কি আর খাই সুজি আপনার হাব-ভাব দেখে হলেও অনেক কিছু বুঝি।’
হাসলো নির্মল। আশ্চর্য তাঁর হাব-ভাব কি বলে দিচ্ছে হিয়া তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছে। নির্মল লজ্জা পাচ্ছে, চোখ মুখে স্পষ্ট লজ্জার ছাপ। নির্মলের কান্ডে আকিব হেঁসেই বলে উঠল,
‘ আরে ভাই এত লজ্জা পেলে চলে কন?’
‘ আমি মটেও লজ্জা পাচ্ছি না।’
‘ আপনার চোখ তো তা বলছে না ভাই।’
‘ তুই আবার কবে থেকে চোখ পড়তে শুরু করলি?
‘ এই তো ভাই মাত্রই।’
‘ তুই যাবি এখান থেকে।’
হাসলো আকিব। প্রথমবার নির্মলের পিছনে লাগার সুযোগ পেয়েছে সে। এত সহজে ছেড়ে দিলে চলে নাকি। আকিব হেঁসেই বললো,
‘ তা ভাই আপনার বাসর ঘরের বিছানার চাঁদরটা কি কালার দিলে ভালো হবে বাইট্টা কালার নাকি রং চা খাওয়ার পর নিচে চা পাতা পড়লে যে কালারটা হয় ওই কালার তবে আপনি চাইলে আমি সিলভার কালারও দিতে পারি ভাই।
নির্মল মগ্ন ছিল হিয়াকে নিয়ে তাই আকিবের কথা শুনে আনমনেই বলে উঠল নির্মল,
‘ বাইট্টা কালারই দিস।’
পরক্ষণেই কি বললো সেটা ভাবতেই চোখ বড় বড় করে বললো নির্মল,
‘ কি কইলি তুই?’
সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ স্বরে হেঁসে ফেললো আকিব। আকিবের হাসি দেখে তেড়ে আসলো নির্মল তারপর বললো,
‘ মজা নিচ্ছিস আমার সাথে তোরে তো আমি,
সাথে সাথে আকিব হাসতে হাসতে দৌড়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। আকিব যেতেই থেমে গিয়ে বসে পড়লো নির্মল মাথাটা বোধহয় সত্যি সত্যি গেছে তাঁর। হঠাৎই দরজা খুলে আবারো বলে উঠল আকিব,
‘ ভাই আমি যেমনে পারি আপনার জন্য বাইট্টা কালার বিছানার চাঁদর কিনেই ছাড়মু যতই হোক আপনার বাসর ঘর বলে কথা।”
রেগে যায় নির্মল দ্বিতীয় বারের মতো আকিবের দিকে তেড়ে যেতে যেতে বলে,
‘ দাঁড়া তোর বাইট্টা কালার বার করছি আমি,
নির্মলের কথা শুনেই পগার পার আকিব। তাঁকে আর পায় কে?’ তবে বাইট্টা কালার চাঁদর মাস্ট চাই তাঁর!
#চলবে……
[ভুল-ক্রটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে আর হ্যাঁ কমেন্ট কইরা বইলো কিন্তু আকিবের বাইট্টা কালার চাদরের আইডিয়াটা কেমন?]
#TanjiL_Mim♥️