–“শুনেছি, সুন্দরী মেয়েদের গলায় তিল থাকে। তোমারও নিশ্চয় আছে? লেট মি চেক!”
সুর্দশন যুবকি গলায় হাত দেওয়ার আগেই পিছিয়ে যায় মাধু্র্য। ভয় ও লজ্জায় সামনের মানুষগুলোর সামনে চোখ মেলাতে পারে না সে। সামনের সুদর্শন যুবকটি তার দিকে দুই ধাপ এগিয়ে আসে। যুবকটির মাধুর্যের ওড়না। যুবকটির পেছনে তার বন্ধুরা হাসিতে ফেটে পড়েছে। এবার ব্যাপক রাগ হচ্ছে মাধুর্যের। রেগেমেগে হাত বাড়িয়ে সে বলে ওঠে…..
–“আমার ওড়না ফেরত দিন। আমার বাড়ি ফিরতে লেট হয়ে যাচ্ছে।”
–“লেট তো হওয়ার কথা ছিল না মিস… ”
কথাটা বলে থেমে যায় যুবকটি। নিজের ঠোঁটে হাত বুলিয়ে বলে….
–“মিস কি? কি যেন, কি যেন? ওহ ইয়েস! মিস. মাধুর্য। নামের সাথে চেহারার বেশ মিল আছে বলতে হবে।”
মাধুর্য নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। ইউনিভার্সিটির সিনিয়র এরা। নির্জন রাস্তায় সন্ধ্যে হয়ে আসছে। মাধুর্য বুঝতে পারছে এরা ভালো কথায় মানুষ নয়। সেই সুদর্শন যুবকটি মাধুর্যের দিকে হেলে পড়তেই দুই ধাপ পিছিয়ে যায় সে। যুবকটি ঠোঁট উল্টে বলে ওঠে….
–“বিলিভ মি! এভাবে তোমার রাস্তা আটকাতাম না। যদি সকাল বেলা আমাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ক্লাসে চলে না যেতে। এই অরুণ হোসাইনের রাগিং থেকে তুমি বেঁচে পালাবে তা কি করে হতে দিই বলো?”
অরুণ কথাগুলো আওড়াতে ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে হুট করে মাধুর্য নিজের ওড়না টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে এসে এক দৌড় মারে। থতমত খেয়ে যায় অরুণ। মেয়েটা এক সেকেন্ডেই যেন হাওয়া! সেও পিছু নেয় মাধুর্যের। সেই সঙ্গে তার বন্ধুরা।
এসব কারণেই বড়লোকের ছেলেদের একদমই পছন্দ করে না মাধুর্য। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই ওর ভেতর এই ধারণা একা একা জন্মেছে। ওর ধারণা, বড়লোকের ছেলে বা রাজা, রাজকুমার স্বার্থপর হয়, তারা অহংকারী হয়। তাই তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবার চেষ্টা করে মাধুর্য। ওর মনে বড়লোক দের প্রতি অজস্র ঘৃণা!
মাধুর্য! তার পুরো নাম মাধুর্য চৌধুরি। এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে উঠেছে সে। নতুন ইউনিভার্সিটিতে ভাগ্যক্রমে নিজের বেস্টফ্রেন্ড এর সঙ্গে চান্স পেয়েছে। তবে ঘটনাটা আজ সকালের। এই অরুণ হোসাইনের ঝড়ের মতো হানা দেয়। যার অরুণ হোসাইন। যার কোনো কাজ নেই। বড়লোকের বখে যাওয়া ছেলে যাকে বলে। যার আসল কাজ নতুন ছেলেমেয়েদের রাগিং করা। সেখান থেকে কোনোমতে পালিয়ে আসে মাধুর্য। তবে সেখানেই ঘটনাটি শেষ নয়। ক্লাস শেষ করে চোখের ডক্টরের এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে গিয়ে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন সে। হয়ে গিয়েছিল বিকেল। বাড়ি যাওয়ার জন্য শর্টকাট জঙ্গলের রাস্তায় বেছে নেয় সে। সেখানেই ঘটে এই বিপত্তি।
ঝড়ের গতিতে দৌড়াচ্ছে মাধুর্য। মিটমিট করে হাসছে সে। কারণ সে জানে ও একবার দৌড়াতে শুরু করলে তার পিছু ধাওয়া করা অসম্ভব! ছোট থেকেই দৌড়ে কেউ তাকে সেকেন্ড করতে পারেনি। যেন একটা অদ্ভুত শক্তি আছে তার মাঝে। যেই রেস মানুষ ২ মিনিটে শেষ করে সেই রেস সে ১ মিনিটেই কমপ্লিট করে ফেলে।
দৌড়ে এসে গাছের পেছনে বড় বড় শ্বাস ফেলতে লাগে মাধুর্য। ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছে সে। হাত দিয়ে মুখের ঘাম মুছে ওড়না পড়ে নেয় সে। ক্লান্তি যেন দূরই হচ্ছে না। আরো কিছুক্ষণ গাছের সঙ্গে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে। মিনিট পাঁচেক পর বেরিয়ে এসে হাঁটতে থাকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
–“বাহ, নবাবজাদীর সবে সময় হলো বাড়ি ফেরার। এতোক্ষণ কি রাজ্যের কাজ করতে ব্যস্ত ছিলি শুনি? ক্লাস তো কখন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এই সত্যি করে বল তো, বাইরে কি কুকাজ করে বেরাচ্ছিস?”
বাড়িতে পা রেখে জুতো খুলতেই মাধুর্যের কানে আসে তার মামির বলা তিক্ত কথাগুলো। এসব শুনতে সে অভ্যস্ত। তাই কিছু না বলে নিরব থাকল সে।
–“আমার কথা শুনতে পাস না? বোবা হলি নাকি কালা? আমার বাড়িতো এতো কাজ! এই বয়সে কি আমি সব করব? তাড়াতাড়ি আয়। রাতের রান্না বসা।”
মাধুর্য দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে। ওর জীবন এমনই তিক্ত। মা-বাবা বেঁচে না থাকলে যেমন হয় আর কি! তবুও কোমল কন্ঠে কিছু একটা বলতে যেতেই আরেকজন বলে ওঠে….
–“মা, তুমি কি শুরু করেছো বলো তো? মাধুর্য সবে বাড়ি এলো। ওকে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিতে দিবে। তা না করে ওকে রাতের রান্না বসাতে বলছো?”
নিজের সামিহা আপুকে দেখে মুচকি হাসে মাধুর্য। সামিহা তার মামাতো বোন হলেও নিজের বোনের চেয়ে কোনো অংশে কম না। তারপর মাধুর্য নিজের মুখখানা মলিন করে বলে….
–“সামিহা আপু, বাদ দাও। আমি রাতের রান্না বসিয়ে দেব।”
–“মাধুর্য! আমার মুখের ওপর কথা বলবি না। আর মা, আমি তোমাকে তোমার রাতের রান্না করে দিতে সাহায্য করছি চলো। ও ডক্টরের কাছ থেকে এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে ফিরলো। ও ফ্রেশ হক।”
মাধুর্যের মামি চোখ বড় বড় করে তাকালো। চেঁচিয়ে বলে উঠল….
–“ডক্টরের এপোয়েন্টমেন্ট মানে? ওর কীসের ডক্টর লাগবে? ডক্টরের কাছে যেতে টাকা লাগে না হ্যাঁ? টাকা কে দিয়েছে ওকে? কে দিয়েছে?”
মাধুর্য মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। মিনমিন করে সে বলে….
–“মামি মা, আসলে আমি টাকা নিতে চাইনি কিন্তু বিভোর ভাইয়া আমাকে টাকা নিতে এতোটা জোর করল যে….”
রেনুকা(মাধুর্যের মামি) দেন এক ধমক। চুপ করে যায় মাধুর্য।
–“আমার ছেলে তোকে টাকা দিল আর একটু জোর করল তুই টাকা নিয়ে নিলি?”
–“আহ মা, তুমি জানো না? মাধুর্যের চোখে সমস্যা? রোদে ও তাকাতে পারে না। চোখ জ্বলে ওর। এটা কি অস্বাভাবিক লক্ষণ নয়?”
সামিহার কথায় চুপ হয়ে যান রেনুকা। মাধুর্যকে চোখ রাঙিয়ে গজগজ করতে করতে চলে যান ঘরে। সামিহা আলতো হেসে মাধুর্যকে ঘরে নিয়ে আসে। মাধুর্য নিজের মুখটা মলিন করে রেখেছে। সামিহা তা লক্ষ করে। মাধুর্য সচরাচর এমন ভাবে থাকে না। ও সবসময় হাসিখুশি থাকে। তাই সামিহা জিজ্ঞেস করে ওঠে….
–“মাধুর্য! কি হয়েছে তোর? এমন দেখাচ্ছে কেন?”
–“আমি আজ আরো তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে পারতাম। কিন্তু….! ”
–“কিন্তু কি?”
মাধুর্য লম্বা শ্বাস নিয়ে সামিহা কে পুরো কাহিনী খুলে বলে। সামিহা মনোযোগ দিয়ে শুনে ভয়ার্ত সুরে বলে….
–“বেশ বেয়াদপ আর অসভ্য তো ছেলেটা। কালকে তুই সরাসরি ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে কমপ্লেন দিবি হেড অফিসে। নয়ত এরা এমন করতেই থাকবে।”
মাধুর্যের কপালে ভাঁজ পড়ে। সামিহার হাত ধরে বলে…..
–“সেটাই তো আমি বলছি। কালকে ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে। আর ডক্টর আমাকে ইউনিভার্সিটি টাইমেই যেতো বলেছে। আমি বলছি কি আপু কাল ডক্টরের না যাই? অন্যদিন যাব। সবে সবে ইউনিভার্সিটি স্টার্ট করেছি।”
সামিহা নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয়। কড়া গলায় বলে ওঠে…..
–“একদম না। মাধুর্য তোর চোখে সমস্যা। ব্যাপারটা সিরিয়াসলি দেখ। কালকে ক্লাসে না গেলে কিছু হবে না। তুই ডক্টরের কাছেই আগে যাবি।”
সামিহার কড়া গলা শুনে হেসে দেয় মাধুর্য। সেই হাসির সাথে মাধুর্যের মাধুর্যতা উপচে পড়ে আশেপাশে। ঝংকার তোলা হাসি আশেপাশের দেওয়ালে লেগে আবারও প্রতিধ্বনি হতে থাকে। মাধুর্য জানে তার সামিহা আপু তাকে ধমক দিতে পারে না। তাই তার এতো হাসি!
সামিহা মাধুর্যের গাল টিপে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর ফ্রেশ হয়ে নেয় মাধুর্য। টাওয়াল নিয়ে মুখটা মুছতে মুছতে জানালার পাশ দিয়ে যায় সে। তখনই তার ওপর পড়ে পূর্ণিমার চাঁদের আলো। চাঁদের দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে পড়ে সে। মাধুর্যের চোখটা চাঁদে আটকে যায়। এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় জানালার কাছে। এক হাত থেকে পড়ে যায় টাওয়াল। তার বড় বড় আঁখি জোড়া দিয়ে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। চাঁদের আলো তার গায়ের রঙ পাল্টে দিতে চাইছে যেন। উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়ে উঠছে মাধুর্যের চোখমুখ। আশেপাশে যেন ছড়িয়ে পড়েছে তার উজ্জ্বলতা। একবারো চোখের পলক ফেলেনি সে। আস্তে আস্তে মাধুর্যের অজান্তে তার চোখের মনির রঙ পাল্টাতে শুরু করে। সবুজ হয়ে যায় চোখের মনির রঙ, আলোতে স্পষ্ট হয়ে ফুলে তার শরীরের প্রতিটি সবুজ রঙের রগ। সেটা মাধুর্যের অজানা।
এটা নতুন কিছু নয়। চাঁদের দিকে তাকাতেই মাধুর্য যেন অন্য জগতে প্রবেশ করে। মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এমনটা কেন হয় আদোও সে জানে না। কিন্তু কিছু একটা আছে যা ওকে সবার থেকে আলাদা করে। চাঁদ কালো মেঘে ঢেকে যাওয়ায় হুঁশ ফেরে মাধুর্যের। সেই সময় পেছনে কারো কন্ঠে ঘুরে তাকায় সে।
–“মাধুর্য, শোন না। এখন তুই কোন ফেসওয়াশ ইউজ করিস? বল না! দেখ আমি ফেসপ্যাক লাগিয়ে বসে আছি। তাও আমার স্কিন কেমন ডার্ক ডার্ক লাগে। আর তোর স্কিন স্বর্ণের মতো চকচক করে। কিভাবে এসব করিস বল না?”
সানিয়ার বোকা বোকা কথা শুনে হেসে দেয় মাধুর্য। সানিয়া হচ্ছে রেনুকার ছোট মেয়ে। বিভোর, সামিহা আর সানিয়া তিনজনই মাধুর্যের মামীর ছেলে-মেয়ে। মামা মারা যাবার পর বিভোর চাকরির মাধ্যমে সংসার চালায়। বিভোরের টাকায় বেশ ভালোভাবেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু মাধুর্য যেন তার মামি মার গলার কাটা। কিন্তু মাধুর্য কিছুই বলতে পারে না। কারণ তার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
–“কি হলো বল না। কি ফেসওয়াশ দিস?”
–“আমার ফেসওয়াশ ওয়াশরুমে আছে। যা গিয়ে নে।”
ঠোঁট উল্টিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় সানিয়া।
————————-
–“৪৯ বছর তো হলো! আর কত? আমার ছেলে তো এখনো সেই ঘুমন্ত অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল না। কোথায় সে? বলা হয়েছিল ৪৯ বছর পরে ওর স্পর্শে অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে আমার ছেলে। এখনো হলো না কেন?”
রক্ত ভর্তি গ্লাস ছুঁড়ে ফেলে দেয় প্রলয় সিনহা। রাগে ফুঁসতে থাকে। চোখের রঙ পাল্টে যায়। ওপর পাশ থেকে ছুটে আসে তার ভাই প্রণয় সিনহা। শান্ত করার চেষ্টা করে তার বড় ভাইকে।
–“শান্ত হও প্রলয় ভাই। ধৈর্য ধরো। ধৈর্য ও অপেক্ষা আমাদের বংশের প্রধান গুন। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।”
–“কিসের অপেক্ষা? এতোগুলো বছর করলাম। আর কত করব? এই ৪৯ বছরে মানুষের জগতে বসবাস করা শিখেছি। এই এতো টাকাপয়সা, এতো বড় বাড়ি তৈরি করেছি। এসব কিছুর ওপর যার রাজ করার কথা সে এখনো ঘুমের মাঝে। কেন এমনটা হচ্ছে?”
উত্তরটা প্রণয়ের কাছেও নেই। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে সে।
প্রলয় অসহায় ভঙ্গিতে বলে….
–“আমি জানি আমার ছেলে কিছু করেনি। ও শুধু শুধু অভিশাপ পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি না ও সব এমন করতে পারে।”
–“বিশ্বাস করা আর না করাতে তো কিছু যায় আসে না প্রলয় ভাই। আপনার ছেলে সত্যিই বিশ্বাসঘাতকা করেছিল। সেটা মেয়েটা দেখেছে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে শেষ গিয়েছিল মেয়েটা।”
আফসোস করতে করতে কথাগুলো বলে ওঠে পেছন থেকে প্রণয়ের স্ত্রী রায়মা। প্রণয় ইশারায় তার স্ত্রীকে থামতে বলে। কিন্তু সে তো যা বলার বলে ফেলেছে। কিন্তু প্রলয় রায়মার কথায় কর্ণপাত করে না। তৃষ্ণা পেয়েছে তার। ট্রে তে থাকা রক্ত ভর্তি আরেকটা গ্লাস নিয়ে ঢকঢক করে রক্ত পান করে ক্ষ্যান্ত হয় প্রলয়।
বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে আছে অরুণ। তার মুখে লেগে আছে হাসি। এই হাসির কারণ একমাত্র মাধুর্য। তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে মাধুর্যের মাধুর্যময় মুখটা। এক দেখাতেই মেয়েটা তার মনকে অস্থির করে তুলেছে। না করার কোনো কারণ নেই। মাধুর্যের নামের সঙ্গে তার চেহারায় কতটা মিল ফুটে উঠেছে তা শুধুমাত্র যারা ওকে দেখেছে তারাই বলতে পারবে। মাধুর্যকে দেখে প্রথমে যেখানে দৃষ্টি আটকে যাবে সেটা হলো মাধুর্যের চোখ। সাধারণ মানুষের চোখের চেয়ে বড় বড় তার চোখজোড়া। যেন তার মুখশ্রীতে চোখজোড়াই অনেক খানি স্থান দখল করে ফেলেছে। চোখের কটোরে রয়েছে বড় বড় কালো মনি। অন্যদের চোখের মনি পুরোপুরি কালো হয় না। ঘোলাটে হয়। তবে মাধুর্যের চোখের মনি সম্পূর্ণ কালো রঙের। টানটান ফর্সা ত্বক আর চিকন তার ঠোঁটজোড়া। চুল পুরো কালো নয়। লাল লাল ভাব আছে চুলে। তার এই রুপ যেকোনো পুরুষকে আর্কষণ করতে সক্ষম। অরুণও তো পুরুষ। তাই প্রথম দেখাতেই মাধুর্যের প্রেমে কাঁত হয়ে গিয়েছে সে। মাধুর্যের প্রেমে নাকি তার চেহারা প্রেমে তাও বুঝতে পারছে না অরুণ।
–“রূপবতী কন্যা! তোমাকে প্রথম দেখায় তো এই মন বইয়ে দিয়েছে প্রেমের বন্যা। কি করা যায় এখন?”
আনমনে কথাটা বলে হাসে অরুণ। আজ ইচ্ছে করে মাধুর্যের ওড়না টেনে নিয়েছিল সে। যাতে মাধুর্যের রাগটুকু দেখতে পারে। রাগে নাকি লজ্জায় তার গাল লাল হয়ে গিয়েছিল সেটা মাথায় ঢুকছে না অরুণের। তবে তার বেশ লাগছিল। বাড়তি কিছু বলার আগেই মেয়েটা ঝড়ের গতিতে চলে গেল। কেন? একটু দাঁড়ালে কি হতো?
চলবে?? 🍀🍀
অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা সূচনা পর্ব
#The_Mysterious_Love
#আনিশা_সাবিহা
[বি.দ্র. রেসপন্স এর ভিত্তিতে পরের পর্ব দেওয়া হবে। প্রথমত বলে রাখি গল্পের নাম দেখে গল্পের ইন্ডিং বিচার করবেন না। গল্পের নামে অপূর্ণ লিখার কারণ রয়েছে। এর ভিত্তিতে ইন্ডিং বিচার না করাই ভালো। আর অরুণ চরিত্রই যে গল্পের নায়ক হবে সেটাও নয়। নায়কের এন্ট্রি না হয় দেরিতেই হক। একটু ভিন্ন হবে গল্পটা। মানুষের গল্প নয় সেটা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন অনেকে। তাই এই গল্পকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে যাবেন না। এটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]