#অনিমন্ত্রিত_প্রেমনদী
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#পর্ব_০২
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
(কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ)
“একটা বরই গাছ থাকলে সকলেই ঢিল ছুঁড়তে চায়। মেয়ে মানুষ হলো বরই গাছ। মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে বিয়ের প্রস্তাব আসবেই। তাছাড়া ছেলে অরুর পরিচিত।”
আয়েশা সুলতানা রামির কথার প্রত্যুত্তরে কথা খানা বলে থামলেন। এই পরিচিত শব্দটা রামির কানে ভিন্নরকম শোনালো। সেও বাকিদের মতো ধরে নিল অরুর বুঝি আবিরের সাথে সম্পর্ক আছে! তার বিস্ময়ভাব আরও গাঢ় হলো। বলে বসলো,
“অরু প্রেমও করতে জানে?”
বড় ভাইয়া সাদাদ অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে বললেন,
“এতবছর যাবত পেছনে পড়ে থেকেও এক গ্লাস পানি পেলাম না। আর দু’দিনের কোন ছেলে এসে ভাতের পাতিল দখল করতে চাইছে। বুঝলি রামি, সবই কপাল।”
ইরা ঠে*স মে*রে বলল,
“আমি ইরা দেখে তোমার সংসার করি। অরু কোন দুঃখে বুইড়া খাটাশ এর কাছে নিজেকে ধরা দিতে আসবে?”
সাদাদ ভাইয়া ভাবলেশহীন ভাবে প্লেটে হাত চালিয়ে বললেন,
“ইরা আমি তোমাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি, তোমার মাথায় বুদ্ধিসুদ্ধি কম। বয়সটা ম্যাটার করে না, মনটাই আসল।”
তেলে-বেগুনে ছ্যাৎ করে উঠলো ইরা।
ভয়ঙ্কর অপমান নিতে না পেরে মুখ চালানো শুরু করলো। সাদাদ এদিকে কান দিলেন বলে মনে হচ্ছে না। তিনি সমস্ত মনযোগ খাবারের দিকে ধরে রেখেছেন। বাড়ির ছোটো দুজনই ঘুমাচ্ছে। তাদের আগেই খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ইরা রাগ করে মেয়ের ঘরে তার পাশে শুয়ে পড়লো। তার নিঃসন্তান, অন্ধকার জীবনে ঈশিতা ঝলমলে আলো হয়ে এসেছে। ঈশিতার বয়স এগারো বছর। ওঁকে দত্তক নেওয়ার পর থেকেই মানুষের উস্কানিমূলক নীতিবাক্যের স্বীকার হয়েছে ইরা। ঈশিতাকে শাসন করলেই তারা দরদী হয়ে বলে ‘মেয়েটা তোমার পেটের হলে ওঁকে এভাবে শাসন করতে পারতে?’।
ইরা জবাব দিতো না। সত্যিই কি গর্ভধারিণী মা আমাদের শাসন করেন না! নিজের পেটের সন্তান না হলেই বুঝি শাসন করেন! দত্তক নিলে সেই সন্তানকে শাসন করা যায়না। ‘তুমি তো আর আপন মা না’ বলে সমাজের মানুষগুলো খুঁচিয়ে ভেতরের ক্ষতটাকে তাজা করে দেয়। ইরা প্রথমদিকে ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যেতে পারতো না। ভীষণ কষ্ট হতো। আড়ালে বসে অশ্রুবিসর্জন দিতো। তবে সময়ের সাথে সাথে সে শক্ত স্থান তৈরি করে নিয়েছে। মনকে কঠিন করে সবাইকে চুপ থেকেও জবাব দিতে শিখেছে। দশমিনিট সময় পনেরো আগেই দরজায় টোকা পড়লো। ইরা ঘাপটি মে*রে শুয়ে রইলো। দরজা খুললোনা। সাদাদ হতাশ হয়ে বেডরুমে ফিরে গেলেন। মেয়ে বড়ো হয়েছে। এভাবে দরজায় বারবার টোকা দেয়া ভালো দেখায়না।
★★★
অমি বাবা-মায়ের মাঝখানে শুয়ে বাবাকে প্রশ্ন করলো,
“পাপা তুমি কী?”
মাহমুদ সরল গলায় জবাব দিলো,
”মানুষ।”
ছোট্ট অমি বিরক্ত প্রকাশ করলো নাকমুখ কুঁচকে। বলল,
“তোমার পেশা কী?”
মাহমুদ ভুরু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“তুমি পেশা মানে বোঝ?”
“আগে তুমি বলো।”
“আমি একজন শিক্ষক।”
বিরোধিতা করলো অমি। শোয়া থেকে উঠে বসলো। গলায় জোর দিয়ে অস্পষ্টভাবে বলল,
“মিথ্যা কথা। তুমি স্বামী।”
লজ্জাবতী তরী ছোট্ট ছেলের কথাতেও লজ্জাবোধ করলো। মাহমুদ বিচলিত হলোনা। ছেলের সাথে উঠে বসলো। তাকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“এটাকে পেশা বলে?”
“হ্যাঁ বলে।”
“কে বলেছে তোমায়?”
“চাচ্চু।”
দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো মাহমুদ। রামির স্বভাবটা আজ পর্যন্ত পরিবর্তন করা গেল না। অমির কথা যদিও এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, তবুও পরিবারের সবাই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে। অমি ফের বাবার গালে হাত রেখে বলল,
“পাপা তুমি কি স্বামী?”
প্রলম্বিত শ্বাস ফেলে মাহমুদ বলল,
“হ্যাঁ বাবা, আমিই স্বামী আমিই পুত্র আমিই ভাই আমিই পিতা। সর্বোপরি আমিই শিক্ষক।”
“স্বামী কী পাপা?”
মাহমুদ তরীর দিকে তাকালো। সে মুখ লুকিয়ে আছে। ছেলের প্রশ্নের জবাব দিতে চাইছেনা। অসহায় মাহমুদ ছেলের প্রশ্নের জবাবে আবার বলল,
“যারা বড় হয়ে পাপা হয়, তাদের স্বামী বলে। এখন ঘুমাও বাবা। পাপার ঘুম পাচ্ছে।”
“আমি ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি। তুমি ঘুমাও।”
মাহমুদ বিনাবাক্য ব্যয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করলো। নয়তো অমি হাজারটা প্রশ্ন করবে। বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে গিয়ে অমি নিজেই বাবার গলা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। অথচ বাবা-মা দুজনই জেগে। মাহমুদ গভীর স্বরে ডাকলো,
“তরী!”
তরী নড়েচড়ে উঠলো। কিন্তু জবাব দিলো না।
মাহমুদ ফের মুখ খুললো। শুধালো,
“বারান্দায় যাবে?”
বিছানা ছেড়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল তরী। মাহমুদ অমিকে ঠিকভাবে শুইয়ে দিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। এই মুহূর্তে তরী রান্নাঘরে আছে। এক মগ চা নিয়ে ফিরবে। অতঃপর দুজনই একই মগে পরপর চুমুক বসাবে।
মাহমুদরা যখন তরীদের বাসায় ওঠে নতুন ভাড়াটিয়া হয়ে, তখন অরুর বয়স ৫। যখন তাদের বিয়ে হয় তখন ৬ বছর। এখন চোখের দেখায় অনেক বড়ো হয়ে গিয়েছে। অথচ মাহমুদের মনে হয়, সেদিনই অরু ছোট্ট একটা মেয়ে ছিল। এখনও তার আচরণ সেই ছোট্ট অরুর মতো। মাঝেমাঝে কিছুকাজ বড়োদের মতো করে। তরী মাস্টার্স কমপ্লিট হওয়ার পর কনসিভ করে। দুর্ভাগ্যবশত মিসক্যারেজ হয়ে যায়। এরপর অনেকবছর আর তাদের কোন বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি। আয়েশা সুলতানা মনে মনে কষ্ট পেতেন। দুটো ছেলের ঘরেই কোন সন্তান নেই। তারপরই সাদাদ ভাইয়া তিন বছরের ঈশিতাকে দত্তক নিলেন। আল্লাহ আশার আলো দেখিয়ে ধৈর্যের ফল হিসেবে চারবছর পূর্বে তাদেরও এক টুকরো খুশি দান করেছেন। সেই খুশিটাই আজকের অমি। ঈশিতা শান্ত বাচ্চা হলেও অমি শান্ত নয়। তাকে মাত্রাতিরিক্ত অশান্ত, দুষ্টু বানানোর দায়িত্ব রামি নিজেই নিয়েছে। কারো পারমিশন তার প্রয়োজন পড়েনা।
তরী চা নিয়ে ফিরলো। প্রথম চুমুকটা সে নিজেই বসালো৷ অতঃপর মাহমুদের দিকে বাড়িয়ে দিল। তরীর চুমুক বসানো জায়গাতেই মাহমুদ ঠোঁট ছোঁয়ালো। তরীর ডানন হাত মুঠোয় নিয়ে বলল,
“প্রেম করবে, তরী?”
তরীর চোখেমুখে প্রশ্ন। তবুও প্রশ্নগুলো দমিয়ে রেখে ছোট্ট গলায় বলল,
“এখন প্রেম করার বয়স আছে বুঝি?”
মাহমুদ শব্দহীন হাসলো। কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,
“যেখানে ভালোবাসার নাম তরী, সেখানে আমি বৃদ্ধ বয়সেও প্রেমে পড়ার পায়তারা খুঁজি।”
তরী বিভোর হয়ে তাকিয়ে রইলো। তারা এখন আর যুবক-যুবতী নেই। বয়সের সংখ্যাটি বেড়েছে। তবুও মাহমুদের চোখে নিজের প্রতি সেই পূর্বের মুগ্ধতা খুঁজে পাচ্ছে।
★★★
অফিস টাইম শেষ করে বেরিয়েছে সুহা। ট্যাক্সির খোঁজে রাস্তায় দাঁড়ালো। হুট করেই একটি গাড়ি গতিহীন হয়ে সুহাকে ধা*ক্কা দিতেই রাস্তায় পড়ে হাত পায়ের অনেকাংশেই ছিঁড়ে গিয়েছে। হাঁটুতে প্রচুর ব্যথা পেয়েছে মেয়েটা। উপস্থিত আমজনতার ভীড় ঠে*লে গাড়ির ড্রাইভার পালাতে পারলোনা। তবে নিজের দোষ টুকুও স্বীকার করতে চাইলোনা। রিয়াজ নামক একটি ছেলে এগিয়ে এসে হুমকি-ধমকি দেওয়াতে ড্রাইভার লোকটি রাজনৈতিক নেতার ভ*য় দেখালো। রিয়াজ ফোন কানে তুলে বলল,
“সামনের দিকে আসুন তো ভাই। একটু ঝামেলা হয়েছে।”
ফোন পকেটে রেখে সুহা নামক মেয়েটির দিকে এগিয়ে গেল। সবিনয়ে বলল,
“বেশি ব্যথা পেয়েছেন আপু?”
সুহার চোখমুখের আকৃতি বলে দিচ্ছে মেয়েটি ভীষণ ব্যথা পেয়েছে। রিয়াজ বেশি কিছু জিজ্ঞেস না করে দৌড়ে পানি কিনে আনলো। সুহার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“এখানেই বসে পানি পান করে নিন। আপনাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেব।”
“না না তার দরকার নেই। যেটুকু করেছেন তার জন্যই কৃতজ্ঞ।”
একদল ছেলেপুলে এগিয়ে আসছে ভীড়ের দিকে। সবার সামনে দাঁড়ানো যুবকের নজর তীক্ষ্ণ। শার্টের হাতা গোটাতে গোটাতে এগোচ্ছে। কঠিন চেহারার আড়ালেও মাধুর্য আছে। দলবল নিয়ে বুক টান টান করে লম্বা কদম ফেলে এগিয়ে আসছে। রিয়াজ ছেলেটি তাদের দেখে এগিয়ে গেল। সামনের যুবকটিকে ইবতেসাম ভাই বলে সম্বোধন করতেই সে জিজ্ঞেস করলো,
“কী হয়েছে?”
রিয়াজ সংক্ষেপে একটু আগের ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বর্ণনা করলো। ইবতেসামের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। চোখে একটা তেজ খেলা করছে। তাকে দেখে অনেকেই জায়গা করে দিল। রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে অনেকটা পরিচিত মুখ ইবতেসাম মিঠু। পরিবার, বন্ধুদের কাছে মিঠু হলেও বাকি ক্ষেত্রে জন্য ইবতেসাম নামটি প্রযোজ্য। ড্রাইভার মিঠুকে দেখে ঢোক গিলে দু-পা পিছু হটে গেল। মিঠু শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
“গাড়ি ঠিকভাবে চলবে না-কি অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে?”
লোকটি তোতলানো স্বরে বলল,
“জি জি গাড়ি ঠিকভাবে চলবে।”
“সরি বলুন উনাকে।”
সুহার দিকে ইশারা করে বলল।
ড্রাইভার সুহার কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিলেন। ভীড় কমে গেল। মিঠু রিয়াজকে বলল,
“উনাকে হাসপাতালে নিয়ে যা।”
সুহা জোর গলায় বলল,
“না না লাগবেনা। আমি বাসায় চলে যাবো।”
মিঠু বলল,
“যেতে পারবেন? রিয়াজ উনাকে বাসায় পৌঁছে দিস ঠিকানা নিয়ে।”
সুহা বাঁধ সাধলো। বলল,
“পৌঁছে দিতে হবেনা। একটা ট্যাক্সি ঠিক করে দিলেই চলবে।”
মিঠু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একটা ট্যাক্সির ব্যবস্থা করে সুহাকে তুলে দিয়ে নিজ গন্তব্যে ছুটে চললো।
★★★
অরুকে দেখার জন্য আবিরের পরিবার হাজির। তরী বাবাকে বুঝিয়েছে সে এখন বিয়ে করবেনা। প্রত্যুত্তরে বাবার জবাব ছিল,
“বললেই তো বিয়ে হয়ে যায়না। তোদের দুজনের যখন জানাশোনা আছে, তখন এনগেজমেন্ট করে রাখা যাবে।”
তরী আর বেশিকিছু বুঝাতে গেল না বাবাকে। মাহমুদ ছুটি নিয়েছে আজকের জন্য। রামি বাসাতেই আছে। দু’ভাই এসে উপস্থিত। অরু এখনো তৈরি হয়নি। তরীর সাথে কথা বলে ঘরে ফেরার পথে গান ধরলো।
“বুকের মাঝে চিনচিন করে।”
এর বেশি গাইতে পারলোনা।
রামি বিস্ময় প্রকাশ করে বলল,
“কী সাংঘাতিক অরু! গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খা। নয়তো চিনচিন ব্যথা সাংঘাতিক রোগে রূপ নেবে। প্রয়োজন ট্যাবলেট, সিরাপ দুটোই নে।”
অরু ঝগড়া করতে গিয়েও হেসে ফেললো। বলল,
“ভাই তোমার জন্য কি এখন মনের সুখে গানও গাইতে পারবো না?”
“তুই গান গাইবি, নাচবি, ইচ্ছে হলে মাটিতে গড়াগড়ি খাবি। আমি কি বাঁধা দিয়েছি না-কি? শুধু চিনচিন ব্যথার ঔষধ নিতে বললাম। তাছাড়া তোকে দেখতে এসেছে বলে তোর লজ্জা পাওয়া উচিত। অথচ তোকে দেখে মনে হচ্ছে পারলে এখনই বিয়ে করে শশুর বাড়ি চলে যাস!”
“বাপের অন্ন আর কত ধ্বংস করবো? এক সময় তো বিয়ে করতেই হবে। সেটা আগে করলে ক্ষতি কী?”
তরী মাঝখানে এসে তাড়া দিলো অরুকে। বলল,
“তৈরি হতে যাচ্ছিস না কেন?”
অরু আর দাঁড়ালো না। তরী একটি শাড়ি নিয়ে অরুকে পরিয়ে দিল। বলা যায় বড়ো হয়ে এটাই অরুর প্রথম শাড়ি পরা। তরী সাথে করে নিয়ে গেল তাকে। আবির আড় চোখে তাকালো।
রামি লক্ষ করলো সে কুলকুল করে ঘামছে। চোখজোড়া কেমন অস্থির হয়ে উঠলো। না চাইতেও আজ অরুর দিকে নজর চলে যাচ্ছে। ছোটো থেকেই অরুকে বড়ো হতে দেখে এসেছে। কিন্তু আজ শাড়িতে তাকে ভিন্নরকম দেখাচ্ছে। রামি নিজের অস্থিরতা দমিয়ে রাখতে উঠে বাইরে চলে গেল। অনেকটা সময় পর নিজেকে ধাতস্থ করে ফিরে এলো। আবির আর অরুকে কথা বলতে দেওয়া হলো। কী কথা হলো রামি জানেনা। তবে উপস্থিত বড়োদের মাঝে কথা হলো দু’দিন পর অরুর পরিবার আবিরের বাসায় যাবে। রামি সেখানে আর বেশিক্ষণ দাঁড়ালোনা। বাসায় এসে ঘেমে একাকার শরীরে লম্বা গোসল নিলো। অতঃপর ছাদে উঠলো। পাশের ছাদে অরুকেও দেখা যাচ্ছে। এখনও শাড়িটি পরিবর্তন করেনি। অরু অনেকক্ষণ ধরে রামিকে পর্যবেক্ষণ করে বলল,
“বাব্বাহ্! রামি ভাইয়া আজ এত চুপচাপ কীভাবে?”
রামি সম্মোহনী দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধালো,
“তোকে আজ বড়ো বড়ো লাগছে কেন অরু?”
#চলবে……..
(যারা এর প্রথম অধ্যায় পড়েন নি, তাদের সূচনা পর্ব বুঝতে কষ্ট হবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন!)
ছবিয়াল: Fariya Hossain Faiza আপু❤️