Three Gangsters_💕,Part-18

Three Gangsters_💕,Part-18
Sumaiya_Moni”

মিশুর মুখে এই কথাটা শুনে অসহায় দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকায়। মিশু ঠিক ওর মনের কথাটি বুঝতে পেরেছে।
বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলতে লাগলো।

নিশু: তোরা জানিস আমার ব্যাপারে….তোদের মা-বাবা হয়তো বেঁচে নেই কিন্তু আমার? বেঁচে থেকে আমার কাছে তাঁরা মৃত। তাদের কী একটি বার আমার কথা মনে পড়ে না। এটাই কী তাদের ভালোবাসা? সেই ছোট বেলায় মা আমাকে এতিখানায় রেখে চলে যায়। আর এখন পর্যন্ত আমাকে একটি বার দেখতে আসে নি। এই কী মা দের ভালোবাসা? আসলে ভালোবাসা নামক কোন জীনিস এই দুনিয়াতে নেই। তাই আমি ভালোবাসা কে বিশ্বাস করি না। ………..[ এক নিঃশ্বাসে বলে থেমে গেল ]

মিশু ও কথা এতোক্ষন নিশুর কথা চুপ করে শুনছিল।
ওদের বলার মত কিছুই নেই। নিরবতা বিরাজ করছে ওদের মাঝে। আসলেই মা-বাবা যদি নিজের আপন সংতানের সাথে এরকম অন্যায় করতে পারে তাহলে সংতানদের মা-বাবার প্রতি ভালোবাসাটা হারিয়ে যাবেই এটাই স্বাভাবিক। মিশু কিছুক্ষন চুপ থাকার পর বললো………..?

মিশু: নিশু ভালোবাসা নেই বললে ভুল হবে! আমরা যদি চাই তাহলে সামনে থাকা মানুষ টিকে একবার ভালোবেসে বিশ্বাস করতে পারি । সেই মানুষটি যতই খারাপ হোক না কেন একদিন ঠিকি এই ভালোবাসার কারনে সেই মানুষটি ভালো হয়ে যাবে।

কথা: দেখ নিশু আমরা এই ১০-১২ দিন ওদের সাথে এক রুমে ছিলাম। চাইলে ওরা তিন জন আমাদের ফায়দা উঠাতে পারতো কিন্তু ওরা এটা করে নি। কেননা ওরা আমাদের কে ভালোবাসে। আমাদের মনে ওদের প্রতি ভালোবাসাটা জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছে। এটাকেই ভালোবাসা বলে নিশু…….একবার রাফিকে বিশ্বাস করে দেখতে পারিস। একটু ভেবে দেখ রাফির বিষয়টা……[ নিশুর কাধে হাত রেখে বলেই রুম থেকে চলে যায় ]

মিশু: কথার কথাটি একটু ভেবে দেখিস….[ বলেই চলে যায় ]

নিশু সেই আগের মত সামনের দিকে তাকিয়ে আছে । প্রশ্নের জগতে থেকে এখনো বের হতে পারে নি নিশু। নিশুর কী রাফিকে বিশ্বাস করা উচিত? নাকি ওর মা-বাবার মত এবাবে মাঝ পথে ফেলে চলে যাবে? মনের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সব কিছু কেমন বিৎঘুটে লাগছে। বড় একটা নিঃশ্বাস টেনে নিল নিশু।

রাফি অফিসের একটা ফাইল নেবার জন্য রুমে আসে। বারান্দায় কারো কন্ঠের স্বর শুনতে পেয়ে ধিরে পায়ে হেঁটে বারান্দার গেটের পিছনে লুকিয়ে পড়ে । রাফি বুঝতে পারে নিশু,মিশু,কথা ওরা কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছে। যেটা রাফির অজানা। রাফির কোন ইচ্ছা ছিল না ওদের কথা গুলো শুনবার কিন্তু কথার মাঝে অন্য রকম একটা গন্ধ পাচ্ছে। যেটা না শুনলে হয়তো ওর নিশুর ব্যাপারে সবটাই অজানা থেকে যাবে। তাই অতি আগ্রহ নিয়ে ওদের কথা শুনতে লাগলো। এবং ওরা নিশুর সাথে কথা শেষ করে রুম ত্যাগ করলো। রাফি এখন সবটা বুঝতে পেরেছে। কেন নিশু ভালোবাসা নামক জীনিসটি কে ঘৃনা করে।

রাফি: তাহলে এই জন্য ভালোবাসা কে বিশ্বাস করতে পারছো না। আমি তোমার মনে আমার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলবো নিশু। তোমার মা-বাবা তোমাকে ভালোবাসা দেয় নি ঠিকি কিন্তু আমি আমার সবটা জুড়ে তোমাকে ভালোবাসবো……[ মনে মনে ] এখন তোমার কাছে যাবো না। এখন তোমার একা থাকা দরকার ।…….[ বলেই ওমরদের রুমে চলে যায় ]
.
.
.
.
রাতে ডিনার শেষ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ওমর, নীল,রাফি অফিসে চলে যায়। মিশু,নিশু,কথা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে আর সাব্বির ও ফাহিম কে ডাকছে।

মিশু: সাব্বির……আরে ওই সেবরা!!!

নিশু: ফারামগেট কই রে তুই?

কথা: মরছে নাকি দুইটায়?……ওই সেবরার বাচ্চা?

সাব্বির: এতো চিৎকার দিয়ে ডাকার কী হল শুনি? কিছু লাগবে?………[ ওদের সামনে এসে বললো ]

ফাহিম: মোরে ডাহেন ক্যা আফা….মুই মুড়ি খাইতাছি?……..[ বলেই খানিকটা মুড়ি মুখে তুলে নিল ]

মিশু: তোদের কে দিয়ে কাজ আছে তাই ডেকেছি…?

সাব্বির : কী কাজ আপু?

ফাহিম: কন কী কাম?

কথা: ওই তোর মুড়ি খাওয়া বন্ধ কর…..[ বলেই ফাহিমের হাতের বাটিটা থাবিয়ে নিয়ে নিল ]

ফাহিম: আফা মোর মুড়ি……।

মিশু: আর খাবার দরকার নাই। আচ্ছা শোন আমরা এখন কানামাছি খেলবো!

ফাহিম: ওয়া কন কী আফা মুই খেলবার পারমু না?

মিশু: কী বললি আবার বল তো শুনি…… [ রাগি কন্ঠে চোখ রাঙিয়ে ]

ফাহিম: মুই কিছু কই নাই তো….!

নিশু: গুড….।

সাব্বির: মিশু আপু আপনি তো এখনি ঠিক মত সুস্থ হন নি এখনি দৌড়া দৌড়ি করলে সমস্যা হতে পারে।

মিশু : সেটা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না। কিছু হবে না আমার।

কথা: আচ্ছা ঠিক আছে আমি আমার আঙুল ফুটাচ্ছি………।

নিশু: হু ফুটাতে থাক।

কথা ওর দু হাত পিছনে নিয়ে আঙুল একটা ফুটিয়ে ওদের সামনে ওর হাতের আঙুল মেলে ধরলো। সবাই এক এক করে কথার আঙুল ধরলো। বুড়ো আঙুল টা সাব্বির ধরলো।

কথা: সাব্বির তুই চোর?

সাব্বির: কেমনে?…….[ কনফিউজড হয়ে ]

কথা: আমি আমার হাতের একটা আঙুর ফুটিয়েছি এবং যেটা ফুটবে সেটা যে দরবে সে চোর। তাই তুই আমার সেই ফুটানো আঙুলটা ধরেছিস তাই তুই এখন চোর।

সাব্বির হা……।

ফাহিম: মোরা এইডা কত খেলছি। কিন্তু সাব্বির শালায় এডা জানে না আফা।

নিশু: নে এবার কাছে আয় সাব্বির চোখ বেঁধে দেই তোর।

সাব্বির নিশুর কাছে গিয়ে উপর দিকে মুখ করে ঘুরে দাঁড়ালো। নিশু সাব্বিরের পিছন দিক থেকে রুমাল দিয়ে চোখ বেঁধে দিল।

নিশু: সাব্বির চিটিং করবি না। চিটিং করলে ১০টা গাঁ খাবি?

সাব্বির: আচ্ছা ঠিক‌ আছে করবো না চিটিং।

কথা সাব্বির কে ধরে গোল গোল করে ঘুরিয়ে দিল।

কথা: নে রেডি এবার আমাদের ধর।……

ওরা দৌড়াতে লাগলো। সাব্বির কানা বাবাজির মত হাত মেলে হাতিয়ে হাতিয়ে ওদের ধরতে লাগলো। মিশু,নিশু,কথা ওরা সাব্বিরের চিমটি,ঘুশি,থাপ্পর মেরে পালিয়ে যাচ্ছে । সাব্বির ধরতেও পারছে না। কানার মত শুধু হাতিয়ে যাচ্ছে ।
.
.
.
.
O.N.R Group of Company……..

ওমর, নীল,রাফি অফিসে পৌঁছে ওদের কেবিনে বসে ফাইল গুলো দেখছিল। হঠাৎ রাফি কী যেনো মনে করে লেপটপ অন করে বাসার সিসি ক্যামেরার লাইফ অপশন অন করার সাথে সাথে ওদের খেলার দৃশ্য দেখতে পেল।

রাফি: নীল,ওমর দেখ ভাই‌ ?

নীল ও ওমর এই দৃশ্য দেখে হাসবে নাকি কাঁদতে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। হুট করে নীল রেগে বলতে লাগলো।

নীল: মিশু এখনো পর্যন্ত ঠিক মত সুস্থ হয় নি তার মধ্যেই লাফালাফি করতেছে। ওকে তো আমি…… [ বলেই ফোন করতে নিলে রাফি থামিয়ে দেয় ]

রাফি: নীল থাক না ওদের কে ওদের মত খেলতে দে…..অনেক দিন পর ওদের মুখে এমন হাসি দেখছি।কিচ্ছু হবে না মিশুর। জাস্ট কুল ব্রো…….।

ওমর: হুমমম…ওরা খেলুক আমরা এখানে বসে ওদের খেলা দেখি। কিভাবে বাচ্চা দের মত খেলছে দেখ।

নীল আর কিছু বললো না রাফির ও ওমরের কথায় চুপ হয়ে গেল।
.
.
.
.
এদিকে ওরা সবাই খেলতে খেলতে হয়রান হয়ে যায়। সোফায় বসে গাঁ এলিয়ে দেয় ।

সাব্বির: আপু অনেক ভালো লাগছে..আরো এক গেম হবে নাকি?

ফাহিম: খাড়া দেহি জিরাইয়া লই। থাপ্পর তো কম খাস নাই আফাগো হাতে। হেরপর ও খেলতে মন চায়।

সাব্বির: হুমমমম….।

মিশু: আমি আর খেলতে পারবো না। অসুস্থ ফিল করছি । আবার কালকে খেলবো।

নিশু: আচ্ছা থাক তাহলে কালকে খেলবো নে।

কথা: চল অন্য কিছু খেলি তাহলে?

সাব্বির: কী খেলবেন?

ফাহিম: যাই খেলেন না ক্যান মুই কিন্তু এক পায়ে খাড়া আছি খেলার জন্য ।

নিশু: তাহলে তো তোকে নেবো না ফাহিম ।

ফাহিম: ক্যা?

নিশু: এক পায়ে খাড়া থাকলে খেলবি কিভাবে…… [ বলেই হাসতে শুরু করলো ]

মিশু, কথা সাব্বির ও হাসতে লাগলো ।

ফাহিম হা করে ওদের দিকে তাকিয়ে মাথা চুলাতে লাগলো …………।

মিশু: ওই থাম ভালো কথা মনে পড়ছে।……[ সিরিয়াস মুড নিয়ে ]

নিশু : কী?

কথা: কী?

সাব্বির: কী কথা?

ফাহিম: আরে কথা আফায় তো এইহানেই আছে ।…..[ বলেই একা একা দাঁত কেলিয়ে হাসতে লাগলো ]

কথা চোখ রাঙিয়ে ফাহিমের দিকে তাকালো।

ফাহিম: ……….😓

কথা: কী কথা মনে পড়ছে সেটা বল মিশু?

মিশু: I think ফারহাদের সাথে কথা বলার দরকার ছিল?…… [ কিছুটা মন খারাপ করে ]

কথা: ঠিক বলেছিস মিশু।

নিশু কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই সাব্বির বলে উঠলো।

সাব্বির: আপু আপনারা প্লিজ এই টপিক টা এখানেই বন্ধ করে দিন।

ফাহিম: হ আফা বন্ধ করে দেন। ওপের দ্যা দরজা।

মিশু: কেন?…..[ ভ্রু কুঁচকে ]

নিশু: why?

নিশু: কারন?

সাব্বির: সমস্যা আছে তাই?

মিশু: সমস্যাটা কী সেটা বল?

সাব্বির: এতো কিছু বলতে পারবো না। আপনাদের ভালোর জন্যই বলছি টপিকটা বন্ধ করে দিন।

নিশু: আমাদের ভালোর জন্য মানে?

কথা: এখানে ভালো খারাবের কী আছে বুঝলাম না?

সাব্বির: আছে আছে…আচ্ছা চলেন Truth or Dare খেলি।

মিশু: আগে বল সমস্যা টা কী ? তারপর খেলা হবে।

সাব্বির: প্লিজ আপু চুপ থাকেন?

মিশু: থাকমু না। ওই কথা ফোন টা নিয়ে আয় ফারহাদ কে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করি এখন কী সুস্থ হয়েছে নাকি।

কথা: ওকে।

সাব্বির: আপু প্লিজ নিজেদের বিপদ নিজেরা ডেকে আইনেন না।

মিশু: দেখ সাব্বির এখন কিন্তু বিষন রাগ হচ্ছে । সত্যি করে বল কী হয়েছে সমস্যা টা কোথায়?

সাব্বির: বলতে পারবো না।

নিশু: ফাহিম তুই বল।

ফাহিম: মোরে মাফ কইরা দেন আফা মুই কিছু কইতে পারমু না।

কথা: মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।

মিশু: সাব্বির তুই বলবি না তো?…..[ বেশ রেগে ]

সাব্বির: না !

মিশু: ফাহিম তুই ও বলবি না।

ফাহিম: না আফা।

মিশু: দেখ তাহলে আমি কী করি?

মিশু বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সোফার উপরে উঠে দাঁড়ালো এবং জোরে চিল্লিয়ে বলতে লাগলো।

মিশু: ফারহাদ আই লাভ ইউ……আই লাভ ইউ‌ টু ফারহাদ……… [ দু হাত মেলে জোরে চিৎকার দিয়ে বললো ] কী?…….[ ভ্রু নাচিয়ে সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে ]

সাব্বির ও ফাহিমের অবস্থা খারাপ মিশুর কথা শুনে। মিশু জানেও না অজানতে ও কী বলে ফেলেছে। নিশু,কথা সাব্বির ও ফাহিমের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ দেখতে পাচ্ছে।

মিশু সোফায় বসে বললো।

মিশু: কিরে এখনো ও বলবি না।

সাব্বির:……………

ফাহিম:…………….

নিশু: কিরে তোদের এমন দেখাচ্ছে কেন?

কথা: ভয় পাচ্ছিস কেন তোরা? কী হয়েছে তোদের?

মিশু: কথা বলছিস না কেন অবালের দল।……[ ধমকের স্বুরে ]

সাব্বির: নিজের পায়ে নিজেই কুঁড়াল মারছেন।

ফাহিম: হ হ….

মিশু: কুঁড়াল মারছি মানে কী হয়েছে সেটা তো বলবি?

সাব্বির: বুঝতে পারবেন একটু পরে।

ফাহিম: হ হ…. একটু পরে।

হঠাৎ করে নিশুর চোখ যায় মেইন গেটের দিকে। নিশু দেখছে পাচ্ছে নীল রাগি মুড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে মুখে রাগের আভা ফুটে উঠেছে সেটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে নীলের চেহারা দেখে ।

নিশু: মি….মি..মিশু ওই দেখ…..[ কাঁপা কাঁপা স্বুরে দরজার দিকে তাকিয়েই বাম হাত দিয়ে ডাক দিয়ে বললো ]

মিশু বিরক্ত নিয়ে দরজার দিকে তাকাতেই ওর চোখ ছানবড়া হয়ে যায় । ওদের দুই জনের দেখা দেখি সাব্বির,ফাহিম,কথা তাকিয়ে দেখার সাথে সাথে নীলের চেহারা দেখে ভয় পেয়ে যায় । এবার ওরা বুঝতে পারছে সাব্বির ও ফাহিম ফারহাদের কথা বলতে নিষেদ কেন করেছিল।

মিশু মনে মনে আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছে আর ঢোক গিলছে।

নীল আর এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে না থেকে রাগি মুড নিয়ে হনহন করে মিশু কাছে এসে ওর হাত ধরে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যায়। মিশুর হাত জোরে শক্ত করে ধরাতে মিশু খানিকটা ব্যাথা পাচ্ছে ওর হাতে। নিশু, কথা সাব্বির,ফাহিম ওরা চার জন ভয় পেয়ে যায়। না জানি মিশুর সাথে নীল এখন কী করবে এটা ভেবে।

নীল সিঁড়ি দিয়ে মিশুকে টেনে উপরে ওর রুমে নিয়ে গিয়ে দেয়ালের সাথে মিশুকে চেপে ধরে। হুট করেই মিশুর ঠোঁট জোড়া নীলের আয়ওে করে ন্যায় । মিশু নীলের এমন ব্যবহারে অবাকের চড়ম পর্যায় পৌঁছে গেছে। চোখ বড় বড় করে নীলের দিকে তাকিয়ে আছে । মিশু হাত দিয়ে নীল কে সরাতে চেষ্টা করছে । এতে করে নীল মিশুকে আরো জোরে চেপে ধরে ছোঁয়াটা আরো ভাড়িয়ে দিচ্ছি। শত চেষ্টা করেও মিশু নীল কে সরাতে পারে নি। শেষ মেষ ব্যর্থ হয়ে নীলের ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করতে লাগলো। ১০মিনিট পর নীল মিশুকে ছেড়ে দেয়। নীল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে সাথে মিশুও। নীল ওর বুড়ো আঙুল দিয়ে মিশুর ঠোঁটের উপর স্লাইড করতে করতে বললো।

নীল: এই ঠোঁটে শুধু নীলের নাম থাকবে। অন্য কারো নাম যেনো দ্বিতীয় বার না শুনি। মিশু শুধু নীলের……Mind it….[ নেশা জড়ানো কন্ঠে বলে মিশুর কঁপালে চুমু একেঁ দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

ওরা যখন ফারহাদের কথা বলছিল তখন ওরা ওদের কথা সব শুনছিল। ফারহাদের কথা শুনা মাএই ওদের ভিষন রাগ হয়।আর মিশু যখন ফারহাদের নাম নিয়ে আই লাভ ইউ কথাটা বলেছে নীল তখনি প্রচন্ড রেগে অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে নিজে ফুল স্প্রিডে ড্রাইভ করে বাসায় চলে আসে।এসে মিশুর উপর হালমা।

মিশু দেয়ালের সাথে ঘেছে পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে। নড়চেও না চড়চেও না। নীল চলে গিয়েছে দেখে নিশু,কথা তাড়াতারি করে উপরে চলে আসে। রুমে ঢুকে দেখে মিশু পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে দেয়াল ঘেসে।

নিশু: মিশু…মিশু তুই ঠিক আছিস তো……?

কথা: তোকে কিছু করেনি তো নীল?

নিশু: আরে এই মিশু কথা বলছিস না কেন?……[ জোরে মিশুকে ধাক্কা দিয়ে ]

মিশুর ধ্যান ভাঙে নিশুর ধাক্কায়…….।

মিশু: লিপ কিস করেছে…..ওয়াক …ওয়াক….[ মুখ ধরে ওয়াক ওয়াক করতে করতে ওয়াশরুমে চলে যায় ]

নিশু, কথা এটা শুনে অবাক হয়ে যায়।

কথা: বাহ্ বাহ্ প্রথম কিসেই মিশু প্রেগন্যান্ট?…….[ বলেই হাসতে লাগলো ]

নিশু: ঠিক!…….😂

মিশু বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে ওর ঠোঁট ধুতে থাকে নিশু ও কথা ওদের কথা ও হাসি মিশুর কানে আসে। রেগে মেগে ওয়াশরুম থেকে এসেই নিশু ও কথা কে মারতে লাগলো।

মিশু: শয়তান দুইডা মজা নেস।……[ রেগে ]

কথা: আরে মিষ্টি খাওয়া মিশু……[ বলেই হাসতে লাগলো মুখ চেপে ]

নিশু: চমচম খামু মিশু……. [ হেসে ]

মিশু: 😠……

নিশু: আচ্ছা রাগিস না….একটা কথা বুঝতে পারছি না। নীল তোর কথা কিভাবে শুনতে পেল। ও তো অফিসে ছিল…..[ গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো ]

কথা: হ্যাঁ! সেটাই……..?

মিশু: এটাই তো ভেবে পাচ্ছি না আমি?

ওরা চুপ চাপ গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো। কিছুক্ষন চুপ করে ভাবার পর হুট করে ওরা তিন জন এক সাথে বলে উঠলো।

মিশু, নিশু,কথা: সিসি ক্যামেরা……….. [ চোখ বড় বড় করে ]
.
.
.
.
.
.
Continue To………😴.