Three Gangsters_💕,Part-15,16

Three Gangsters_💕,Part-15,16
Sumaiya_Moni”.
Part-15

মিশু ওদের কে যা বললো সেটা শুনে ওরা হা হয়ে গেল……..।

মিশু : আমি ফারহাদ কে বিয়ে করবো আর….আচ্ছা ফারহাদ তোমার কোন বন্ধু আছে?

ফারহাদ: আছে কেন?

মিশু: কয়জন ?

ফারহাদ: আছে চার পাঁচ জন।

মিশু: তাদের মধ্যে ক্লোস কে কে?

ফারহাদ: রিদয় ও রাহাত ।

মিশু: আচ্ছা তাহলে আমার কথা এখন ভালো করে শোনো তোমরা। আমি ফারহাদ কে বিয়ে করবো, নিশু রিদয় কে বিয়ে করবে। কথা বিয়ে করবে রাহাত কে, ঠিক আছে ।

নিশু: mishu are you crazy??……[ অবাক হয়ে ]

কথা: মিশু তুই সত্যিই পাগল হয়ে গেছিস।আমি রাহাত কেন বিয়ে করবো?

ফারহাদ:…[ হা করে মিশুর দিকে তাকিয়ে আছে ]

মিশু: আমার কথ শোন….বিয়ে হবে আমাদের এটা যেমন ঠিকি বাট এটা হবে Fack বিয়ে। আমরা তো লুকিয়ে থাকতে পারবো না। 3.G এর লোক রা যখন তখন আমাদের ঠিকানা ঠিক খুঁজে বের করবে। যখন ওরা আমাদের নিয়ে যেতে আসবে তখন আমরা আমাদের Fack বিয়ের কাগজ পএ গুলো তাদের দেখিয়ে দিয়ে বললো আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তারপর এটা দেখে 3.G এর লোক রা নীল,ওমর,রাফি কে বলে দিবে। তারপর আর কী আমাদের জীবন থেকে ওই তিনটা অভিশাপ চলে যাবে । এবার বুঝতে পেরেছিস তোরা?

নিশু: আইডিয়া খারাপ না বাট সত্যি কি ওরা আমাদের জীবন থেকে চলে যাবে?

কথা: আমার তো মনে হচ্ছে না ওরা এতো তাড়াতারি পিছিয়ে যাবে।

মিশু: আরে যাবে যাবে…. কানে কানে কথা শোন…[ মিশু নিশু ও কথার কানের কাছে গিয়ে বললো ] যদি বিশ্বাস না করে তাহলে আমরা বলবো আমাদের বাসর ঘর হয়ে গিয়েছে তারপর তো তারপর……. [ বলেই জোরে জোরে হাসতে লাগলো ]

নিশু: হারামি…..

কথা: শয়তানি…..

ফারহাদ: কি হয়েছে মিশু হাসছো কেন তুমি?

মিশু: বাসর ঘর ফারহাদ বাসর ঘর…….[ বলেই হাসতে লাগলো ]

ফারহাদ: কি?…..[ বড় বড় চোখে তাকিয়ে ]

কথা: না ভাইয়া কিছু না। মিশুর মাথার তার টিলা হয়ে গেছে টাইট দিতে হবে নীল কে দিয়ে।

মিশু: কি বললি কথা?……..[ হাসি থামিয়ে বললো ]

কথা: কিছু কইছি কিনা মনে পরছে না।……[ অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে ]

নিশু মুখ চেপে হাসছে…..।

মিশু: আচ্ছা ফারহাদ তোমার বন্ধদের তাহলে সকালে এই প্লানের ব্যাপারে বলে দিও। ফারহাদ ওরা রাজি হবে তো ? প্লিজ তুমি ওদের বুজিয়ে রাজি করিও প্লিজ প্লিজ প্লিজ ফারহাদ?………[ বিনয়ি স্বুরে ]

ফারহাদ: ওকে ওকে আমি রাজি করাবো। এখন আমি যাই বাই গুড নাইট।

মিশু: গুড নাইট দোস্ত। Love You…..।

ফারহাদ রুম থেকে চলে যায়।

মিশু গেট লাগিয়ে দিয়ে গান গেয়ে নাচতে লাগলো তাও আবার প্লাজু ধরে ঘুরে ঘুরে।

মিশু: আফসানা বানা কে ভুলে না যানা ……..দিওয়ানা বানাকে দূরেনা যানা……..।

নিশু: বাহ্! দাঁড়া নীল রে কল দিতাছি, নাচ বের হয়ে যাবে এখনি।

কথা: হ দে দে তাড়াতারি দে।

মিশু ডান্স ও গান বন্ধ করে নিশু ও কথার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।

মিশু: তোরা কোন দিন ও ভালো হবি না ।……..[ বলেই বিছানায় গিয়ে ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো ]

নিশু, কথা মুখ চেপে ধরে হাসতে লাগলো । কিছুক্ষন পর ওরাও ঘুমিয়ে পড়লো।

এদিকে ওমর, নীল,রাফি দের ঘুম হারাম করে দিয়ে এরা নিরিবিলি ঘুমচ্ছে। দুই বোতল মদ শেষ করে ফেলেছে আরেকটা বোতল থেকে মদ ঢালছে আর খাচ্ছে । সাব্বির ওদের কষ্ট আর দেখতে পারছে না ।

সাব্বির: ভাই অনেক হয়েছে এবার আপনারা আর খাইয়েন না ।

ওমর: সাব্বির বডিগার্ড রা কী পৌঁছে গিয়েছে??……. [ মাতাল কন্ঠে ]

সাব্বির : জ্বী ভাই ওরা পৌঁছে গিয়েছে। অনেক রাত হয়ে গিয়েছে ওদের পৌঁছাতে পৌঁছাতে, তাই এখন বডিগার্ড রা ওইখান কার একটা হোটেলে সবাই উঠেছে। সকালে ওরা ওদের কাজ শুরু করবে।

নীল: একটা জাগাও যেনো বাদ না থাকে…পোরা এলাকা ভালো করে খুঁজতে বলবে মিশু কে আমার চাইয়ি চাই।……….[ মাতাল কন্ঠে ]

রাফি: আমার নিশু কে চাই…….[ বলেই সোফায় হেলান দিয়ে শুয়ে পড়লো ]

সাব্বির রাফি কে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিল,সাথে ওমর ও নীল কেও। তারপর লাইট অফ করে ওর রুমে চলে গেল ।

সাব্বির: আল্লাহ্ জানে তারা তিন জন এখন কোথায় আছে।……[ বড় নিশ্বাস ফেলে শুয়ে পড়লো ]

সকালে…..

ওমর, নীল,রাফি ও সাব্বির,ফাহিম ওরা সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ।

বডিগার্ড রা কাজে লেগে পড়েছে। বাস স্টানে এসে মিশু,নিশু,কথার ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাগা করছে সব দোকানদার ও পাবলিক কে। সবাই তাদের কে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। কিছু কিছু দোকানদার রা ভয়তে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে 3.G এর লোক দেখে ।

আর এখানে মিশু,নিশু,কথা রেডি হচ্ছে fack বিয়ে করার জন্য। ফারহাদ রিদয় ও রাহাত কে অনেক বুঝিয়ে শুঝিয়ে রাজি করিয়েছে। রিদয় ও রাহাত 3.G এর কথা শুনেই ভয় পেয়ে যায়। তাই প্রথমে রাজি হতে চায় নি । ফারহাদ অনেক কষ্টে রাজি করায়। ফারহাদের পরিবারের কেউ এই বিষয়ে জানে না।

নিশু, মিশু,কথা ফারহাদের বন্ধ দের বাইকে চড়ে কাজি অফিসে যেতে লাগলো। রিদয় ও রাহাত নিশু,কথা কে দেখে পছন্দ করে। এবং বন্ধুত্ব শরুপ আচরন করে ওদের সাথে । ওরা কাজি অফিসে পৌঁছে যায়। কাগজ পএ সব রেডি আছে এখন কাজি সাহেবের আসার পালা।
.
.
.
বডিগার্ড রা জিজ্ঞাসা করতে করতে এক পর্যায় সেই মোবাইলের দোকানে যায়। যেই দোকান থেকে মিশু ফারহাদ কে কল দিয়ে ছিল। দোকানদার কে ওদের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাস করা মাএই ছবি দেখে চিনে ফেলে ওদের তিন জন কে। বডিগার্ড দোকান দার কে চাপ দেয়ার সাথে সাথে দোকানদার ভয়তে গড়গড় করে সব বলে দেয়। সাথে ফারহাদ কোথায় থাকে তার ঠিকানাও দিয়ে দেয়। বডিগার্ড রা আর দেরি না করে ফারহাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রওনা দেয়। সাথে ফারহাদের নাম্বার নিয়ে লোকেশন ট্রেস করতে লাগলো ফারহাদ এখন কোথায় আছে। প্রথমে ফারহাদের বাসায় এসে বডিগার্ড রা ফারহাদের পরিবারের সদস্য দের কাছে জিজ্ঞেস করে । তারা বলে কোথাও যেনো ঘুরতে গিয়েছে। বডিগার্ড রা দেরি না করে লোকেশন অনুজাই ফারহাদ যেখানে আছে সেখানে যেতে লাগলো। গাড়িতে বসেই বডিগার্ড একজন এই খবর ওমর,নীল,রাফি দের জানিয়ে দেয়। ওরা শুনে মনে মনে ডেবিল মার্কা হাসি দেয়।

কিছুক্ষন বসে থাকার পর কাজি সাহেব এসে কাগজ পএ দেখে বিয়ে পড়াতে শুরু করে। মিশু,নিশু,কথা ওদের মনের মধ্যে অজানা ভয় এসে ঘিরে ধরেছে,কেন সেটা ওদের অজানা।

কাজি সাহেব: বর কে এখানে সাইন করুন…..[ একটা খাতা ও কলম ফারহাদের কাছে এগিয়ে দিয়ে বললো ]

ফারহাদ সাইন করে খাতাটা মিশুর দিকে এগিয়ে দিল। মিশুর হাত কাঁপছে কেন সেটা ওর অজানা। ফারহাদ এই বিষয়টা খেয়াল করেছে।

ফারহাদ: মিশু তুমি ঠিক আছো তো?

মিশু: হুমমম…. [ কিছুটা ঘাবড়ে বললো ]

মিশু কলম হাতে নিয়ে খাতায় সাইন করতে যাবে ঠিক দেই সময় কারো কন্ঠের স্বর শুনতে পায়। সবাই সেদিকে তাকিয়ে সামনে থাকা লোকদের দেখে ভয়তে বরফ হয়ে যায় । তাদের বুকের বাম পাশে 3.G ব্যাচ লেখা দেখে বুঝে যায় এটা কারা।

বডিগার্ড: মিশু ম্যাম …….।

মিশু,নিশু,কথার মুখ থেকে টু শব্দও বের হচ্ছে না। বুকের মধ্যে ধুক ধুক শব্দ হচ্ছে ওদের।

বডিগার্ড: ম্যাম আপনারা কি আমাদের সাথে আসবেন নাকি জোর করে আপনাদের নিয়ে যেতে হবে?……[ নরম স্বুরে ]

মিশু,নিশু,কথা কোন কথা বলছে না অগের মত চুপ করে আছে।

বডিগার্ড: ম্যাম আমার কথা কি আপনারা শুনতে পাচ্ছেন?

মিশু: আ…আমরা যাবো না । আপনারা দয়া করে চলে যান……[ ভয় জড়ানো কন্ঠে ]

বডিগার্ড: ম্যাম আপনারা যাবেন না এই কথাটা বস রা শুনলে খুব রাগ করবে,আর আপনাদের আমাদের সাথে করে না নিয়ে গেলে আমরা কেউ বেঁচে থাকবো না। তাই প্লিজ ম্যাম আমাদের সাথে চলুন প্লিজ!

মিশু,নিশু, কথা এবার আর কিছু বলছে না চুপ করে বসে আছে। ফারহাদ, রিদয়,রাহাত পাশে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনছে। ভয়তে ওরাও কিছু বলতে পারছে না।
মিশু করুন চোখে ফারহাদের দিকে তাকায়। ফারহাদ চোখ নিচে নাকিয়ে ন্যায়। মিশু বুঝতে পেরেছে ফারহাদের কিছু করার নেই।

বডিগার্ড: ম্যাম আপনারা আসুন আমাদের সাথে ।

মিশু বসা উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটে গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, সাথে সাথে বডিগার্ড গাড়ির দরজা খুলে দিল । নিশু,কথা মিশুর দেখা দেখি গাড়িতে গিয়ে বসলো। বডিগার্ড রাও সবাই গাড়িতে গিয়ে বসলো এবং ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। মিশু,নিশু,কথা ওদের চোখ দিয়ে না চাইতেও পানি পড়ছে। ওরা ভালো করেই যানে ওদের সাথে কি হতে চলেছে। কিন্তু এটার জন্য ওরা কাঁদছে না কাঁদছে ওদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে ওরা । আবার সেই আগের মতো বন্ধি হতে হবে খাঁচায়।
.
.
.
মাঝ পথে ওমরের ফোনে কল আসে। বডিগার্ড কল দিয়েছে….কথা শেষ করে ওমর কান থেকে ফোন সরিয়ে বাঁকা হাসলো। ওমরের হাসি দেখে নীল,রাফি বুঝে যায় ওর হাসির কারনটা কী?

মিশু,নিশু,কথা সারা রাস্তার কেউ কারো সাথে কোন কথা বলেনি। গাড়ি যতটা পথ আগে বাড়ছে ভয় ততটা দ্বিগুন হচ্ছে ওদের মনের মধ্যে । না জানি কি হবে ওদের সাথে এটাই ভাবছে ওরা। রাত ১০টার সময় ওরা 3.G.H এ পৌঁছে যায়। মিশু,নিশু,কথা ওদের হাত পা কাঁপছে। গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে ওদের ভয় করছে। বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে পা আগে বাড়াতে পারছে না ওরা।

বডিগার্ড: ম্যাম আপনারা ভিতরে যান……[ বলেই বডিগার্ড চলে গেল ]

মিশু, নিশু,কথা এক পা দু পা করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করছে আর বড় বড় ঢোক গিলছে। ভিতর প্রবেশ করার সাথে সাথে ওমর বলে উঠলো।

ওমর : Welcome Mem….Welcome…..আপনাদের স্বাগতম আমাদের রাজ্যে……. [ বাঁকা হেসে বললো ]

নীল: ম্যাম রাস্তায় আসতে আপনাদের কোন সমস্যা হয় নি তো?……….[ বাঁকা হেসে ]

রাফি: ম্যাম আপনাদের জন্যই আমরা এতক্ষন ওয়েট করছিলাম……..[ বাঁকা হেসে ]

ওমর,রাফি,নীল সোফায় বসে পায়ের উপর পা তুলে কথা গুলো বললো। মিশু,নিশু,কথা ওদের কথা শুনে চুপ করে আছে। কোন কথাই বলছে না। ওদের এই সুন্দর কথা আর বাঁকা হাসির পিছনে কতটা হিংস্রতা লুকিয়ে আছে সেটা ওদের চেয়ে ভালো আর কেউ যানে না। মিশু,নিশু,কথা ওরা ওদের হাত ধরে এক সাথে মিশে দাঁড়িয়ে আছে। ওদের চোখের দিকে তাকাতে ওরা সাহস পাচ্ছে না। চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ওদের। সেটা ওরা দেখতে পাচ্ছে। সাব্বির ও ফাহিম পাশের সোফায় বসে আছে। ওদের দুই জনের খুব ভয় করছে। না জানি কি হবে ওদের সাথে এটা ভেবে।

ওমর: তারপর আপনারা পালিয়ে গিয়েছিলেন কেন?………[ কিছুটা নরম স্বুরে]

নীল: ওই তিন জন ছেলে কে বিয়ে করার জন্য? খুব ভালোবাসেন তাদের?……..[ কিছুটা রাগি কন্ঠে ]

রাফি: দেখেনতো এই সেই ছেলে তিন জন কি না…….[ বলেই টেবিলের উপরে থাকা লেপটপ ঘুরিয়ে ওদের দিকে ধরলো ]

মিশু, নিশু, কথা লেপটপে যা দেখলো সেটা দেখে ওরা আতকে উঠলো। ওরা পুরা পাথর হয়ে গেছে। মিশু,নিশু,কথা কান্না করতে লাগলো। মিশু দৌড়ে নীলের পায়ের কাছে বসে হাত জোর করে বলতে লাগলো।
.
.
.
Continue To………..😥

Three_Gangsters_💕
Sumaiya_Moni”
Part-16

মিশু, নিশু, কথা লেপটপে যা দেখলো সেটা দেখে ওরা আতকে উঠলো। ওরা পুরা পাথর হয়ে গেছে। মিশু,নিশু,কথা কান্না করতে লাগলো। মিশু দৌড়ে নীলের পায়ের কাছে বসে হাত জোর করে বলতে লাগলো।

মিশু: প্লিজ ফারহাদ,রাহাত,রিয়দ ওদের কে ছেড়ে দিন। ওদের কোন দোষ নেই। ওদের আর মারবেন না দয়া করে ।………….[ কান্না জড়িত কন্ঠে ]

মিশু,নিশু,কথা লেপটপে ফারহাদ,রাহাত ও রিদয় কে মরার দৃশ্য দেখেছিল তখন। ওদের তিন জন কে উল্টো ভাবে ঝুলিয়ে অনেক টর্চার করছে বডিগার্ড রা। ওদের শরীরের জাগায় জাগায় কেঁটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ব্যাথায় কাতচাচ্ছে ওরা তিন জন। এটা দেখে মিশু, নিশু,কথা আতকে উঠে। ওরা ভাবতেই পারে নি ওদের জন্য ফারহাদ দের এই অবস্থা হবে। বডিগার্ড রা ওমর দের বলে দেয় নিশু, মিশু,কথা ওরা বিয়ে করার জন্য কাজি অফিসে গিয়েছিল সাথে ওই ছেলে তিন জনের কথাও বলে ওদের কে । ওমর আদের দেয় বডিগার্ড দের ওদের কে তুলে এনে এবাবে মারার জন্য।

মিশুর কথা শুনে নীলের প্রচন্ড রাগ হয়। নীল মিশুর চুলের মুঠি ধরে বললো।

নীল: খুব লাগছে তাই না…অনেক ভালোবাসিস ওই ছেলেটি কে? ওই ছেলে তিনটি কে শেষ করে দেবো।…..[ ধমকের স্বুরে বললো ]

মিশু: প্লিজ ওদের কে মারবেন না…ফারহাদ আমার বন্ধু । ওকে আমি ভালোবাসি না। আ..আমরা আর কোথাও পালাবো না। আপনি যা বলবেন আমি তাই শুনবো প্লিজ ওদের কে ছেড়ে দিন…….. [ হাত জোর করে বললো ]

নিশু,কথাও মিশুর সাথে তাল মিলিয়ে একি কথা বলতে লাগলো ওদের কে।

নীল : পালাতে দিলে তো পালিয়ে যাবি……[ রাগি কন্ঠে বলে মিশুর চুলের মুঠি ধরা অবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে উপরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে লাগলো ]

ওমর কথার হাত ধরে টেনে হিচড়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে নিয়ে যাচ্ছে । কথা হাতে ব্যাথা পাচ্ছে তারপর ও মুখ থেকে টু শব্দ করছে না। ওমরের ভয়তে চুপ করে আছে । রাফিও নিশু কে ঠিক একি ভাবে টেনে হিচড়ে উপরে নিয়ে যাচ্ছে ।

নীল মিশুকে একটা রুমে নিয়ে বিছানার উপরে ছুটে মারে। ওমর কথা কে ওই রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ছুটে মারে। রাফি নিশু কে একি রুমে নিয়ে এসে মিশু ও কথার উপরে ছুটে মারে। ওরা অঝোরে কান্না করছে।

নীল: আজকে থেকে এই রুমেই বন্ধি থাকবি তুই…..[ রাগি কন্ঠে বলেই চলে যায় ]

ওমর,রাফি ঠিক একি কথা বলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিশু ও কথার দিকে তাকিয়ে রুম লক করে চলে যায়।

মিশু, নিশু, কথা এখনো কেঁদেই যাচ্ছে। কি থেকে কী হয়ে গেল এটাই ভাবছে ওরা। এই সব হবে সেটা ওরা আগেই ভেবে ছিল,কিন্তু ফারহাদ দের সাথে এটা হবে সেটা ওরা আগে ভেবে দেখে নি।

কথা: সব তোর প্লানের জন্য হয়েছে মিশু। তোর জন্য ফারহাদ, রাহাত, রিদয় দের আজ এই অবস্থা ।……..[ রাগি কন্ঠে কেঁদে কেঁদে বললো ]

নিশু: আমরা তো এখানেই মরবো। আর ওদের তিন জনকে ওইখানেই মেরে দিবে …….আমরা আইডিয়া আমার আইডিয়া বলে আমাদের জীবন শেষ করে দিয়েছিস তুই। তোর জন্য আজকে আমাদের এই অবস্থা । এবার তো তুই খুশি….নে এবার মন খুলে ডান্স কর মিশু……[ রেগে কাঁদতে কাঁদতে বললো ]

কথা: তুই আমাদের বান্ধবি না হলেই ভালো হতো……[ কেঁদে কেঁদে বললো ]

মিশু পাথর হয়ে যায় । আপন বান্ধবিদের মুখে এমন কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মিশু । অসহায়ত্ব বোধ করছে নিজের মধ্যে । দু চোখ থেকে নোনা পানি ঝড়ে পড়ছে। এই দিন দেখার আগে ওর মরন হলেও ভালো হত এটাই ভাবছে।

মিশু: ঠিক আছে আমিই যখন তোদের জীবনের অভিশাপ তাহলে নিজেকে নিজে শেষ করে দেবো।……[ চোখ মুছে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো ]

নিশু,কথা মিশুর কথায় পাওা দিল না।

মিশু টেবিলের পাশে কাঁচের ফুলদানি টা হাতে নিয়ে সোজা ট্রেসিং টেবিলের আয়নাতে ছুটে মারলো। সাথে সাথে বিকট শব্দ হয়ে ভেঙে চুড়মার হয়ে গেল আয়নাটা।

নিশু,কথা অবাক হয়ে যায় । আরো ভয় পেয়ে যায় ওরা। মিশুর দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে আছে। মিশু কী করতে যাচ্ছে সেটা বুঝতে চেষ্টা করছে ওরা দুই জন।

নিশু: মিশু তুই কী পাগল হয়ে গিয়েছিস…….[ ধমকের স্বুরে ]

কথা: সমস্যা কি তোর মিশু?…..[ ধমক দিয়ে বললো ]

মিশু ওদের কথা কানেই নিল না। ভাঙা আয়নার ধারালো কাঁচের টুকরো হাতে উঠিয়ে নিয়ে বললো।

মিশু: সমস্যা সব এখনি মিটে যাবে……[ বলেই ধারালো কাঁচের টুকরো টা ওর পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল ]

সাথে সাথে গলগল করে রক্ত বেয়ে অঝোরে পড়তে লাগলো মিশুর পেট থেকে।

কথা,নিশু এটা দেখে জোরে এক চিৎকার দিয়ে মিশুর কাছে ছুটে যায়। ততক্ষনে মিশু কাত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

নিশু: মিশু কেন করলি তুই এটা বোন….[ কান্না করে মিশুর গালে হাত দিয়ে বললো ]

কথা: আমাদের সাথে অভিমান করে তুই এটা করতে পারলি…….[ কান্না কন্ঠে ]

মিশু চোখ মেলে রাখতে পারছে না। ওদের কথার উওর ও দিতে পারছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে মিশুর। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে ওর। পরম যত্নে চোখের পাতা এক করে ফেললো। চুপ হয়ে গেল মিশু।

কথা: মিশু কথা বল ….কথা বল মিশু…..[ মিশুকে ঝাকিয়ে ]

নিশু উঠে দরজা জোরে জোরে ধাক্কাতে লাগলো।

নিশু: দরজা খুলেন…..দয়া করে দরজা খুলেন প্লিজ…… [ কান্না করছে আর জোরে জোরে দরজা ধাক্কাচ্ছে ]

এদিকে ওমর,রাফি, নীল ওরা ওদের রুমে গিয়ে ড্রিংস করছিল । হঠাৎ এতো জোরে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে দৌড়ে মিশু, নিশু,কথা দের আটকে রাখা রুমে আসতে লাগলো। সাব্বির ও ফাহিম এই শব্দ শুনতে পায়। ওরা দুই জন ও ওদের রুমের উদ্দেশ্যে ছুটে আসতে লাগলো । ওমর, নীল,রাফি ওরা রুমের সামনে এসে পড়ে। রাফি দরজার লক খুলে দরজা ঢেলে ভিতরে প্রবেশ করে মিশুর এই অবস্থা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় ওরা। নীলের বুক ধুক করে উঠলো। চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছে ওর বুকের মাঝে। নীল ছুটে গিয়ে মিশুর কাছে এসে কোলে নিয়ে গাল ধরে ডাকতে লাগলো ।

নীল: মিশু….. মিশু…..এই মিশু……[ কাঁপা কাঁপা স্বুরে ডাকছে ]

মিশু: ………………

নীল: সাব্বির গাড়ি বের কর………[ জোরে চিল্লিয়ে বললো ]

সাব্বির গাড়ি বের করার জন্য দৌড়ে নিচে চলে যায়। নীল দেরি না করে মিশুকে পাজরা কোলে উঠিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগলো। মিশুর এই অবস্থা দেখে নীল প্রায় পাগল হয়ে যায় । মিশু কে নিয়ে নীল গাড়িতে বসে hospital এ যেতে লাগলো ।

নীল: সাব্বির ফাস্ট ড্রাইভ কর…..ফাস্ট ফাস্ট……।

সাব্বির গাড়ি অনেকটায় জোরে চালায়। ওমর,রাফি নিশু,কথা কে নিয়ে অন্য গাড়ি করে hospital এ যাচ্ছে । ১৫মিনিটের রাস্তায় ১০মিনিটে hospital এ পৌঁছে যায় সাব্বিরদের গাড়ি। নীল গাড়ি থেকে নেমে জোরে চিল্লিয়ে ডাক্তার কে ডাকতে লাগলো। ডাক্তার,নার্স রা এসে মিশুকে ‌O.T তে নিয়ে যায়। নীল O.T এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ওর বুকের ধুকপুকানি এখনো আরো দ্বিগুন ভেড়েছে। মিশু কে হারানোর ভয় নীল কে চারদিক থেকে গ্রাস করে দিচ্ছে। নীলের চোখ থেকে দু ফোটা পানি মুক্তর দানার মত গড়িয়ে মাটিতে পড়লো। হ্যাঁ! নীল আজ কাঁদছে । সেই ছোট্ট বেলায় মা-বাবা কে হারানোর পর কেঁদেছিল আর আজ মিশুকে হারানোর ভয়তে কাঁদছে। কখন,কিভাবে মিশু কে এতোটা ভালোবেসে ফেলেছে‌ এবং নিজের জীবনের একটা অংশ বানিয়ে নিয়েছে সেটা ও নিজেও জানে না। ধুপ করে সেখানে পাতানো একটা চেয়ারে বসে পড়লো । এক দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে । দু হাত মাখামাখি হয়ে আছে মিশুর রক্তে। ওমর, রাফি নিশু,কথা কে নিয়ে hospital এ পৌঁছে যায় ।

রাফি: ভাই কোন টেনশন করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে।……..[ নিলের কাধে হাত দিয়ে নরম স্বুরে বললো ]

নীল:…………[ সেই একি ভাবে বসে আছে ]

ওমর: রুমের মধ্যে কী হয়েছিল? মিশুর এই অবস্থা কিভাবে হল?……….[ রাগি কন্ঠে নিশু ও কথার উদ্দেশ্যে বললো ]

নিশু, কথা:…………..[ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে ]

রাফি: বল রুমের মধ্যে কী হয়েছিল??……[ জোরে ধমক দিয়ে ]

নিশু, কথা রাফির ধমকে কেঁপে উঠে। কথা কাঁপা কাঁপা স্বুরে সব কথা খুলে বললো। ওদের ভিষন রাগ হচ্ছে এই কথা শুনে ।

ওমর: ছিঃ মিশু তোমাদের বান্ধবি…এই কথা কিভাবে বলতে পারলে তোমরা?…….[ রেগে ]

রাফি: এই কথা গুলো মিশু কে বলে একদমি ঠিক করনি……মিশুর সাথে সাথে তোমাদের ও দোষ আছে। তোমরাও একি দোষি…[ রেগে ]

নিশু: …………..[ কান্না করছে ]

কথা: …………[ কান্না করছে ]

সবাই O.T এর বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। সবার চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। প্রায় এক ঘন্টা পর O.T থেকে ডাক্তার বেরিয়ে এলো । নীল বসা থেকে উঠে ডাক্তারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো।

নীল: ডক্টর মিশু কেমন আছে? মিশুর কিছু হয় নি তো? মিশু ঠিক আছে তো ডক্টর?……….[ উওেজিত কন্ঠে ]

ডাক্তার: টেনশন করবেন না…….She is out of danger……তবে ক্ষত অনেকটা গভির, তাই রক্তক্ষরণ একটু বেশি হয়েছে । ঠিক হতে অনেক দিন সময় লাগবে। আপনারা চাইলে রুগিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে সেবা যত্ন করতে পারেন। তবে হ্যাঁ! বেড রেস্টে রাখতে হবে। একটু পর রুগিকে কেবিনে দেওয়া হবে ………[ বলেই ডাক্তার চলে যায় ]

নীল কিছুটা শস্থি পেল ডাক্তারের কথা শুনে। মনে মনে আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করছে। নিশু ও কথা ওরাও কিছুটা শস্থি পেল। কিছুক্ষন পর মিশুকে O.T থেকে কেবিনে দেওয়া হলো। নীল কেবিনে প্রবেশ করে মিশুর হাত ধরে বসে আছে। করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিশুর দিকে।

নীল: মিশু জানো……. কিছুক্ষন আগে তোমাকে হারানোর ভয় আমাকে চার দিক থেকে ঘিরে ধরেছিল। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম তোমাকে হারিয়ে ফেলবো । কিন্তু আল্লাহর রহমতে তুমি এখন সুস্থ আছো। কাজটা তুমি একদমি ঠিক করনি মিশু মনি। এর শাস্থি তোমাকে ভোগ করতে হবে। আর সেটা হবে আমার ভালোবাসার শাস্তি ।……….[ মৃদ স্বুরে বলে মিশুর হাতের উপরে কিস করলো ]
.
.
.
.
জাহিদ হাউজ……

জাহিদ: সব কয়টা coward এর দল….একটা কাজ ঠিক মত করতে পারে না। তোমাদের কে দিয়ে কী হবে শুনি?……..[ ধমক দিয়ে বললো ]

মেহেদি: বস আমরা খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাঁর আগেই ওমর দের লোকেরা মেয়ে তিন জন কে খুঁজে বের করে ফেলে।……..[ মাথা নিচু করে বললো ]

জাহিদ: কিভাবে খুঁজেছিলে শুনি? তোমাদের…….[ বাকি কথা বলার আগেই একজন বডিগার্ড এসে জাহিদ কে বলতে লাগলো ]

বডিগার্ড: বস একটা খবর আছে?

জাহিদ: কী খবর?

বডিগার্ড: মিশু নামের মেয়েটি hospital এ ভর্তি আছে ।

জাহিদ: হোয়াট? কী হয়েছে মিশুর???

বডিগার্ড: আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল…..নিজেই নিজের পেটে কাঁচ ঢুকিয়ে দিয়েছিল।

জাহিদ: এখন কেমন আছে মিশু?……[ কিশুটা চিন্তিত স্বুরে ]

বডিগার্ড : এখন ভালো আছে মেয়েটি। ওমর,রাফি,সাব্বির, ফাহিম সবাই এখন hospital এ আছে ।

জাহিদ: ওদের উপর নজর রাখো? কখন কী করে ও মিশু কেমন আছে সব খবর আমাকে দিবে।

বডিগার্ড: ওকে বস…….।
.
.
.
.
সকালে…..

পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায় মিশু। জালানার তীব্র রশ্নিতে মিশুর চোখ ধাদিয়ে যাচ্ছে । আস্তে করে আবার চোখ বন্ধ করে ন্যায়। পরক্ষনে আধো আধো চোখ মেলে তাকায় মিশু, বুঝতে চেষ্টা করছে আদৌ বেঁচে আছে কিনা মারা গিয়েছে । চার দিক তাকিয়ে ঠিক বুঝতে পেরেছে ও একটা hospital এর বেডে শুয়ে আছে। কার রাতের কথা মনে পড়ার সাথে সাথে মন খারাপ হয়ে মিশুর। হঠাৎ করে কারো গম্ভীর কন্ঠের স্বর শুনতে পায় মিশু……..

নীল: এখন আপনার কেমন লাগছে ম্যাডাম?…… [ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু কন্ঠের স্বর অনুসারে ডান দিকে তাকিয়ে দেখে সোফার উপরে বসে পায়ের উপর পা উঠিয়ে বসে আছে নীল। চুলগোলো উসকোখুসকো হয়ে আছে । চোখ দুটো লাল লাল দেখাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে সারা রাত নির্ঘুম কাটিয়েছে। মিশু নীলের চোখে চোখ পরাতে চোখ সরিয়ে নেয় মিশু । নীল কে দেখে কিছুটা ভয় এসে কড়া নাড়ছে মিশুর মনের মধ্যে ।

নীল: আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম? আপনি কী এখন বেটার ফিল করছেন?…..[ কিছুটা রাগি কন্ঠে ]

মিশু মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ! বললো…….।

নীল: যে ভাবে আছেন ঠিক ওই ভাবেই শুয়ে থাকুন? উঠার একদমি চেষ্টা করবেন না। কিছুক্ষন পর আপনাকে বাসায় নিয়ে যাবো।……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু:……………..
.
.
.
.
১১টার দিকে মিশু কে বাসায় নিয়ে যাবার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে নীল। নীল মিশু কে পাজরা কোলে উঠিয়ে এম্বুলেন্সে শুইয়ে দেয়। hospital থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে ওরা। প্রায় কিছুক্ষন পর বাসায় চলে আসে মিশুকে নিয়ে। গাড়ি থেকে ঠিক একি ভাবে নীল মিশুকে কোলে করে বাসার ভিতরে নিয়ে গিয়ে নীলের রুমের বিছানায় শুইয়ে দেয়।

নীল: আজকে থেকে তুমি আমার রুমেই থাকবে। শুয়ে থাকো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি……[ বলেই ওয়াশরুমে চলে যায় ]

মিশু চুপটি করে শুয়ে আছে। নিশু,কথা নীলের রুমে প্রবেশ করে । নিজেদের মনের মধ্যে অনুতপ্তবোধ কাজ করতে । নিশু,কথা মিশুর পাশে বসে বলতে লাগলো।
.
.
Continue To……..😒.