Three Gangsters💕,Part-9

Three Gangsters💕,Part-9
Sumaiya_Moni

কথা: বুঝছি এখন আমারটা বেজে উঠবো….[ বলার সাথে সাথেই ওর ফোন বেজে উঠলো ] বাহ্! একদম 4G।

শুরু হল ওদের ফোন টর্চার।

প্রায় টানা এক ঘন্টা পর কথা শেষ হল ওদের।

ওরা কথা বলা শেষ করে চুপ-চাপ বিছানায় বসে আছে। ওদের কথার আগা মাথাও ওরা ঠিক বুঝতে পারে নি। কথা নিরবতা ভেঙ্গে বললো।

কথা: হ্যাঁ রে নিশু,মিশু আমার লাইফ যে টেবিল লাইট হয়ে গেছে বলেছিলাম। এই কথাটা ওমেরা কিভাবে জানলো??

নিশু: আরে তোর টেবিল লাইটের কথা বাত দে আমি ছাম্মাক ছালো গান ও ডান্স করেছি সেটা ওই টফি কি করে জানলো??

মিশু: কস কি তোরা?? আমি যে ওই নীল রে ডীল কইছি সেটাও জেনে গেছে??

কথা: কিন্তু জানলো কি করে বল তো??

নিশু: কেমনে কইতাম??

মিশু: পেয়েছি!! [ কিছুক্ষন ভেবে বললো ]

কথা,নিশু: কি??

মিশু: কানে কানে শোন…[ নিশু ও কথা কে মিশু কানে কানে বললো ] শোন আমার মনে হয় আমাদের রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। যার কারনে আমার কি করছি বা বলছি সব তারা শুনতে পাচ্ছে ।..

কথা: সিসি…..[ জোরে বলে উঠলো ]

মিশু: আস্তে কথা…[ কথার মুখ চেপে ধরে ]

নিশু: [ চোখ বড় বড় তাকিয়ে আছে ]

কথা: বলিস কি?? সেটা কোথায় লাগালো আছে??

মিশু : জানি না সেটাই খুজে বের করতে হবে আমাদের।…..[ কানে কানে বললো ]

নিশু: হুমম…।

O.N.R Group of Company……….

ওরা সকাল ১০টায় অফিসের আসে। কেবিনে বসে ওমর,নীল ফাইল গুলো দেখছিল। রাফি লেপটপ হাতে নিয়ে অন করে নিশু দের ঘরের সিসি ক্যামেরার লাইফ ফুটেজ চেক করে দেখতে লাগলো ওরা কি করছে। ঠিক তখনি নিশুর ছাম্মাক ছালো ডান্স ও গান শুনে রাফি না হেসে পারলো না। ওর হাসি শুনে ওমর,নীল ও লেপটপের দিকে তাকায়। ওরাও হাসিতে লুটপুটি খাচ্ছে।

ওমর: ভাবি তো ভালোই ডান্স ও গান করতে পারে….[ হাসতে হাসতে বললো]

নীল: হ্যাঁ! রে…..[ হাসতে হাসতে বললো ]

রাফি কথাই বলতে পারছে না হাসির কারনে।

তারপর ডান্স শেষ করে ওরা ওদের দুঃখের কথা যখন বলে তখন ওরা সব শুনে ফেলে।

ওমর: দেখ বলে কি। কথার টেবিল লাইট নাকি জ্বলেই থাকে। তাও আবার আমার কারনে।

নীল: আমার নাম নীল ডীল না। এই মেয়েটা দেখছি বারি বেয়াদপ।….[ রেগে ]

রাফি: দেখ বলে কি ওকে নাকি টর্চার করে টর্চ বানিয়ে দিছি আমি।…..[ রেগে ]

নীল: দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা….[ বলেই ফোন হাতে নিয়ে ওদের কল দেয় ]

এটা বলে মিশু কে কল দেয়। নীল মিশুর সাথে কিছুটা রেগে কথা বলে।

ওমর,রাফি ও ওদের সাথে ঝাড়ি দিয়ে কথা বলে।
তারপর এক ঘন্টা পর ফোন কেঁটে দেয়।

নীল: রাফি,ওমর দেখ ওরা কানে কানে কি যেনো বলছে…. ।

ওমন: হ্যাঁ! তাই তো বাট কি বলছে??

রাফি: পালানোর ফন্দি করছে না তো??

নীল: ওয়েট! ভালো করে ওদের কে দেখি আগে। তাহলে বুঝে যাবো কোন বিষয়ে কথা বলছে।

ওমর: হুমমম ঠিক।.
.
.
.
.
নিশু: মিশু, কথা আমার কাছে একটা আইড়িয়া আছে।……[ আস্তে করে বললো ]

কথা: কি আইডিয়া বল।

মিশু: হ্যাঁ! বল।

নিশু: আমরা ঘর ঝাড়ু দেওয়ার বাহানা করে দেয়ালে ও ঘরের আনাচেকানাচে সিসি ক্যামেরা রা টা খুঁজবো। যদি পায় তাহলে না দেখার ও না বুঝার ভান করে ভেঙ্গে ফেলবো।

কথা: আইডিয়া টা ভালো।

মিশু: হ্যাঁ! এতে ওরাও সন্দেহ করবে না।

নিশু: রাইট! চল কাজে লেগে পড়ি।

কথা: হ্যাঁ হ্যাঁ চল।

ওরা ঝাড়ু নিয়ে ঘরের আনাচেকানাচে ঝাড়ু ও পরিষ্কার করতে লাগলো।
.
.
.
.

O.N.R Group of Company…….

নীল: আরে ওরা তো দেখছি ঘর পরিষ্কার করছে।….[ কিছুটা অবাক হয়ে ]

ওমর: হ্যাঁ! যদি ক্যামেরাটা ওদের হাতে পড়ে তাহলে??…..[ অবাক হয়ে ]

রাফি: তাহলে কিছুই হবে না। ওরা বুঝতেও পারবে না ক্যামেরাটা দেখতে ঠিক কি রকম। আগে দেখ ওরা কি করে ।

ওরা আবার ও মনযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো।

মিশু, নিশু, কথা ওদের মত করে কাজ করছে। হঠাৎ করে কথার চোখে পড়ে ছোট একটা মিনি ক্যামেরার উপর ।কথা বুঝে যায় এইটা হয়তো সেই লুকানো সিসি ক্যামেরা হবে।

কথা: পেয়েছি….দেখ এটার কি অবস্থা করি। [ মনে মনে ]

কথা নিচে নেমে মিশু ও নিশু কে ইশারায় এটা দেখায়। ওরা বুঝে যায়।
.
.
.

O.N.R Group of Company……

নীল: রাফি শালা তুই না বললি ওরা পাবে না। এখন দেখ কথার হাতে ক্যামেরা ।

ওমর: ধুর! ক্যামেরা টা পেয়েই গেল।

রাফি: আরে দেখ ক্যামেরা ময়লার বালতিতে ফেলছে। ………[ অবাক হয়ে ]

নীল,ওমর,রাফি: না না না….[ উওেজিত হয়ে ]

ওমর: শিট শিট….ফেলেই দিল..damn it…..[ হাত টেবিলের উপর ঘুশি দিয়ে ]

নীল: কিছু করার নাই…..।

রাফি: সব জলে গেল।

সাব্বির কেবিনে প্রবেশ করে বললো।

সাব্বির: ভাই ভাই….এই ফাইল গুলোতে সাইন করে দিন। এই ফাইল গুলোতে সাইন লাগবে।

সাব্বির টেবিলের উপর ফাইল গুলো রেখে ওদের দিকে তাকিয়ে দেখে ওরা সাব্বিরের কথা কানেই নিচ্ছে না।

সাব্বির: ভাই আপনাদের কি হয়েছে? এরকম গোমড়া মুখ করে বসে আছেন কেন??

নীল: কিছু হয়নি…ফাইল দে…[ গম্ভীর কন্ঠে ]

সাব্বির: এই নেন ভাই।
.
.
.
.
নিশু: কাম খাতাম হুয়া….[ হাসি দিয়ে বললো ]

মিশু: আবার বলে….।

কথা: ঠিক হইছে এবার দেখ ভালো করে দেখ তোরা।

নিশু: এই খুশিতে গামছা ডান্স হয়ে যাক…..।

মিশু: হ হ আয় চল ।

কথা: আমি কিন্তু প্লাজু ডান্স দিমু….।

নিশু: আচ্ছা আচ্ছা ।

শুরু হয়ে গেল ওদের উরা-ধুরা গামছা ও প্লাজু ডান্স…..।

ডান্স শেষ করে ওরা আবারো ওদের ঘরের বাকি কাজ গুলো করতে লাগলো। নিশু রান্না করছে। মিশু জালানার গ্রিল পরিষ্কার করতে । কথা ঘর মুছচ্ছে। নিশু হুট করেই হাতে খুনতি নিয়ে এসে বললো ।

নিশু: ওই শোন তোরা!!

মিশু: বল?

কথা: বলে ফেল?

ওরা ওদের কাজ রেখে নিশুর দিকে তাকায়।

নিশু: মাই গান…..তুমছে মিল না…বাতে কার না….[ কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো ] মোটেও ভালো লাগে না। ওই তোরা কাজ কর আমি যায়।…….[ বলেই হাসতে লাগলো ]

মিশু: কু….না আমি ভালো হইয়া গেছি গা। আমি এখন আর গালি দেই না। তুই সামনে থেকা সর নিশু। কাজ করতে দে আমাগো।…….[ বেশ রেগে ]

কথা: দেখ কাজে সমস্যা করবি না নিশু যা এখান থেকে…….[ ধমক দিয়ে ]

নিশু: আমার গান শুনবার মানুষ নাই হুহহহ। আর মিশু তুই যদি গালি না দেস,তাইলে তোর মুখে ঠাডা পরবো…… [ বলেই রান্না ঘরে দৌড় ]

মিশু: কুত…….না না কিছু না। [ মুখে হাত ]

সারাদিন বাসায় বসে দুষ্টমি করেই ওদের দিন কেঁটে গেল ।

সন্ধ্যার কিছুক্ষন আগে মিশু কফির মগ নিয়ে বারান্দায় গিয়ে কফি খেতে লাগলো। মিশুর কফির প্রতি নেশাটা একটু বেশিই। মিশু সব সময় এই টাইমেই কফি খায়। তাই আজ ও ব্যতিক্রম হল না। কফির মগে চুমুক দিয়ে খাচ্ছে আর বাহিরে পরিবেশটা উপভোগ করছে। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। নীল রঙের আকাশ হালকা রক্তিম বর্ণ ধারন করে আছে । সব পাখিরা ওদের নিজ নিজ বাসায় যাচ্ছে । ছোট্ট বাচ্চা রা রাস্তায় খেলাধুলা করছে। মিশুর মনটা অনেকটাই ফুরফুরা লাগছে। হঠাৎ করেই কথা মিশুকে ডাক দিল।

কথা: মিশু এদিকে আয় তো একটু……. [ জোরে চিল্লিয়ে ]

মিশু: আসছি…..[ এক রাশ বিরক্তি নিয়ে ]

মিশু যেই না ঘুরে যেতে লাগলো ঠিক সেই সময় বিকট একটা আওয়াজ হলো । মিশুর হাতের কফির মগটি ভেঙে চুড়মার হয়ে গেল। কফির মগটা কাঁচের ছিল তাই কিছু কাঁচ মিশুর বাম হাতে গেথে যায়। মিশু ব্যাথা পেয়ে “আহহহ” করে উঠলো। মিশু একবার হাতের দিকে আর একবার ডানে বামে সামনের দিকে তাকাচ্ছে। কেননা মিশু বুঝে যায় ওকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়া হয়েছিল। যেটা ওর গায়ে না লেগে ওর কফির মগের উপর লাগে। নিচের সব মানুষ রা উপরের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে এতো বিকট শব্দটা কিসের জন্য হয়েছে । ওমর দের বডিগার্ড রা শব্দটা শুনতে পায়।

কথা: মিশু কি হয়েছে শব্দ টা কিসের?

নিশু: মিশু তোর হাতে কাঁচ কিভাবে ঢুকলো?…….[ অবাক হয়ে মিশুর হাত ধরে ]

মিশু: তোরা ভিতরে চল….তাড়াতারি ভিতরে চল…[ মিশু ওদের ধাক্কা দিয়ে ভিতরে নিয়ে এসে বারান্দার গেট লাগিয়ে দেয় ]

কথা: এমন করছিস কেন?

নিশু: আর এতো ভয় পাচ্ছিস কেন ? কি হয়েছে তোর?

মিশু জোরে জোরে নিঃস্বাস নিতে লাগলো। ভয়তে ঘেমে অস্তির হয়ে গেছে মিশু । ভয় মিশুর চেহারায় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।

নিশু: কিরে বল?? আরে তোর হাত থেকে ব্লাড বের হচ্ছে…….[ উওেজিত হয়ে ]

কথা: এখানে বস মিশু…..[ টেনে খাটের উপর বসিয়ে দিল ]

মিশু: আ…আ… আমার ক..কথা শোন তোরা…[ ভয় জড়ানো কন্ঠে ]

নিশু, কথা: বল।

মিশু কিছু বলতে যাবে ঠিক সেই সময় ওদের দরজায় কড়া নেড়ে উঠলো।

কথা বসা থেকে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখে চার জন বডিগার্ড রা দাঁড়িয়ে আছে।

কথা: আপনারা এখানে?

বডিগার্ড: আমাদের ভিতরে যেতে দিন প্লিজ?

কথা পাশে সরে গেল । বডিগার্ড রা ভিতরে প্রবেশ করে দেখে মিশুর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।

বডিগার্ড: ইমেডিয়েটলি ডক্তর কে খবর দেও….আর তোমরা দু জন বারান্দায় গিয়ে দেখো গুলিটা কোথা থেকে ছুড়া হয়েছে, গো গো…….।

বডিগার্ড: ওকে……।

প্রথম বডিগার্ড টি নীল,ওমর,রাফি কে মিশুর উপর হামলা হবার কথাটা বলে দেয়। ওরা ততক্ষনাত মিশুদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে । ওদের চেহারাতে ছিল চিন্তার ছাপ। নীল এই কথাটা শুনা মাএরই এক রাশ ভয় ওর মনে বাসা বাঁধে। মিশুর জন্য চিন্তায় পড়ে যায়। কিছুক্ষন পরেই ওরা মিশুদের বাসায় পৌঁচ্ছে যায়। তাড়াতারি করে গাড়ি থেকে নেমে উপরে চলে আসে । ওদের দেখে বডিগার্ড রা বাহিরে চলে যায়। নীল, ওমর,রাফি ভিতরে ঢুকে দেখে ডক্তর মিশুর হাতে ব্যান্ডিজ করছে।

নীল: ডক্তর মিশুর হাতের চোট বেশি গভির। কত দিন লাগবে ব্যাথা সারতে। পরে কোন সমস্যা হবে নাতো। ………[ কিছুটা চিন্তিত স্বুরে ]

ডক্তর: স্যার চিন্তা করবেন না। হাতের চোট বেশি গভির ভাবে পায় নি। আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি এগুলো খেলেই তাড়াতারি ভালো যাবে।…..[ বলেই ডক্তর চলে যায় ]

নীল: বারান্দায় গিয়ে ছিলে কেন মিশু?……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু ভয়তে চুপ করে আছে ।

নীল: কেন গিয়েছিলে??……….[ ধমক দিয়ে ]

মিশু: ক….ক..কফি খ…খেতে…..[ মাথা নিচু করে কাঁপা কাঁপা স্বুরে ]

নীল: ঘরে বসে কফি খেতে পারো নি,বারান্দায় যেতে হবে কফি খেতে?…… [ রাগি কন্ঠে ]

মিশু:…………….

ওমর: নীল রিলেক্স….মিশু এমনেতেই ভয় পেয়ে আছে।

নীল: আজ যদি ওর কিছু হয়ে যেতো তাহলে???……[ রেগে ]

রাফি: মাথা ঠান্ডা কর নীল….মিশু তোমার সাথে কি হয়েছিল বল আমাদের?

মিশু: আমি যখন কথার ডাকে বারান্দা থেকে আসছিলাম তখনি হুট করে আমার কফির মগটা ভেঙে যায়। আমি অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম বাচ্চারা হয়তো বল মেরে ভেঙে দিয়েছে । কিন্তু পরে ভালো করে তাকিয়ে দেখি সেখানে কোন বল নেই। তখনি বুঝতে পারি অন্য কিছুর দ্বারা ভেঙেছে। আর তখনি কথা ও নিশু কে নিয়ে রুমে চলে আসি।………..[ ভয় ভয় বললো ]

নীল: বডিগার্ড! বডিগার্ড… ।

বডিগার্ড: জ্বী বস?

নীল: গান দিয়ে যদি শুট করে থাকে তাহলে বুলেটের অংশ সেখানে পড়ে থাকবে। খুঁজে দেখো ওইখানে বুলেট টি পাওয়া যায় কিনা।………[ গম্ভীর কন্ঠে ]

বডিগার্ড: বস আমরা খুঁজেছি, কিন্তু বুলেট টি বারান্দায় খুঁজে পাই নি ।………[ মাথা নিচু করে বললো ]

নীল: damn it….out..[ রেগে ]

বডিগার্ড রা রুম থেকে চলে যায়।

নীল: এখানে আর এক মুহূর্ত নয়। চল আমাদের সাথে।আজ থেকে তোমার আমাদের বাড়িতে থাকবে ।…….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু, কথা,নিশুর দম বন্ধ হয়ে আসছে এই কথাটা শুনে ।

ওমর: হ্যাঁ! ওরা এখন থেকে আমাদের বাসায় থাকবে । এখানে ওরা সেভ নয়।

রাফি: চল আমাদের সাথে। সাব্বির গাড়ি ঘুরাতে বল।

সাব্বির: ওকে ভাই।

ওরা চলে যাচ্ছে ওমর,নীল,রাফি দের বাসায়।অনেক্ষন পর বাসায় পৌঁছে গেল ওরা। গাড়ি থেকে নেমে ওরা ভিতরে যেতে লাগলো। মিশু,নিশু,কথা ওদের মনের মধ্যে ভয়টা আরো প্রখর হয়েছে। পাখির খাঁচা থেকে বাঘের গোহায় এসে পড়েছে ওরা।

ওমর: সাব্বির ওদের কে রুম দেখিয়ে দে। তোমরা রুমে গিয়ে রেস্ট নেও……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

সাব্বির: জ্বী ভাই । আসোন আমার সাথে।……[ বলেই হাঁটা শুরু করলো ]

মিশু, নিশু,কথা সাব্বিরের পিছন পিছন যেতে লাগলো ।ওদের তিন জন কে পাশা পাশি রুম দেওয়া হলো। ওরা রুমে গিয়ে রমটা ভালো করে দেখতে লাগলো ।রুম গুলো বেশ সুন্দর,সাজানো গুছানো।যে যার মত করে ফ্রেশ হতে চলে যায় বাথরুমে । মিশু বড় একটা পেইন্টিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পেইন্টিং টায় নানান ধরনের ফুল দিয়ে বানানো। মিশু মন দিয়ে পেইন্টিং টা দেখছিল। হঠাৎ করেই নীল রুমে ঢুকে মিশুর নাম ধরে ডাক দিল। মিশু কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
মিশু পিছনে তাকিয়ে দেখে নীল।
.
Continue To…..😁.