Three Gangsters💕,Part-12,13

Three Gangsters💕,Part-12,13
Sumaiya Moni”
Part-12

ওমর, নীল,রাফি বাসায় আসার পর সাব্বির ঘুরতে যাবার কথা বলে। ওমর,নীল,রাফি প্রথমে না করলেই পরে সাব্বিরের জোরা জোরিতে রাজি হয়ে যায়। সাব্বির মিশু,নিশু,কথা কে বলে ভাইয়া রা রাজি হয়েছে। ওরা অনেক খুশি হয় এই কথা শুনে । পরের দিন ওরা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মোট সাতটা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ওরা। তিনটা গাড়িতে ওমন, নীল,রাফি ওদের সাথে মিশু,নিশু,কথা আছে।আরেকটায় সাব্বির ও ফাহিম। আর তিনটি গাড়িতে বডিগার্ড । ওদের সিলেট পৌঁছাতে প্রায় রাত হয়ে যায় । একটা resort এ ওঠে ওরা । সবাই আলাদা রুম নিলেও মিশু,নিশু,কথা এক রুমে। রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে ওরা।

সকালে……

ওরা সবাই নাস্তা সেরে জাফলং যাবার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। মিশু,নিশু, কথা আজ অনেক খুশি । ওদের চেহারার খুশির জলকটা ওমর,রাফি,নীল ওদের চোখে এড়ায় নি। অনেক ক্ষন পর ওরা জাফলং পৌঁছে যায়। মিশু,নিশু,কথা গাড়ি থেকে নেমে আগে আগে যেতে নিলে পথ আটকে দাঁড়ায় বডিগার্ড রা। ওরা সেখানেই থেকে যায়। মিশু,নিশু,কথা জাফলংয়ের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওদের আগে যেতে পারছে না ওরা।

ওমর: বডিগার্ড তোমরা ওদের সাথে থাকো। আর হ্যাঁ! আসে পাশে ভালো করে নজর রেখো।……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

নীল: এবার তোমরা যাও…….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু, নিশু,কথা নীলের মুখে যাও কথাটি শুনে খুশি হয়ে যায় । ওরা এক প্রকার দৌড়ে যেতে লাগলো।

ওমর,নীল,রাফি সেখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে ওদের তিন জন কে দেখছে। বডিগার্ড রা চেয়ার এনে ওদের কে দেয়।

অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা জাফলং। বর্ষায় জাফলং এর রুপ লাবণ্য যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে উঠে। খাসিয়া পাহাড়ের সবুজাভ চূড়ায় তুলার মত মেঘরাজির বিচরণ এবং যখন-তখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি পাহাড়ি পথ হয়ে উঠে বিপদ সংকুল-সে যেন এক ভিন্ন শিহরণ। সেই সঙ্গে কয়েক হাজারফুট উপর থেকে নেমে আসা সফেদ ঝর্ণাধারার দৃশ্য যে কারোরই নয়ন জুড়াবে।বাংলার ভূস্বর্গ ও প্রকৃতি কন্যা হিসেবে পরিচিত সিলেটের জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। জাফলং এর পাহাড়ে ঘেরা সবুজ প্রকৃতি দেখে মন ভরে যায় ওদের। পাশ বেয়ে চলে গেছে ইন্ডিয়ার পাহাড়।ওদের কাছে মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশর মতো হয়তো আর কোন দেশ নেয়। আর ওদের কাছে ভালো লেগেছিল দীর্ঘ ১ কি.মি. হেটে গিয়ে দেখে পাহাড়ের গা বেয়ে পানি পরছে। মিশু তখন আর কোন কিছু না ভেবেই পাহাড়ের গা বেয়ে পানির নিচে দিয়ে দিল ওর মাথাটা……ওর দেখা দেখি নিশু ও কথা একি কাজ করলো। তখন কার মুহুর্ত টা ওদের কাছে মনে হচ্ছিলো ওদের জীবনের একটা বেস্ট মুহূর্ত। ওরা কিছুক্ষন ভেজার পর চলে আসে সেখান থেকে। মিশু,নিশু,কথা ওরা অনেক ক্ষন ঘুরাঘুরির করার পর ওরা বডিগার্ড দের থেকে একটু দূরে শরে আসে।

মিশু: এই কথা,নিশু শোন এখান থেকে পালানো যাবে বা। কড়া পাহারা আছে দেখিস না। যদি পালাতে হয় তাহলে resort থেকেই পালাবো।

কথা: হ্যাঁ! সেটাই ভালো হবে।

নিশু: এখান থেকে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলে আমরা শেষ। তাই এই খানে এই সব চিন্তা ভাবনা বাত দিয়ে জাফলংয়ের সুন্দর প্রকৃতিটা উপভোগ করি।

মিশু: আমার তো খুব ভালো লাগছে । মন চাচ্ছে এখানেই সারা জীবন থেকে যাই।……[ খুশি মুডে ]

কথা: ইশশশ….আশায় থাকো কাউয়া….পাকলে খাবা ঢউয়া…..[ মুখ বেকিয়ে ]

মিশু: হারামি……।

নিশু: তুই নাকি ভালো হয়ে গেছিস আর গালি দিবি না। তাহলে এখন কি সূরা বললি!?

মিশু: চুপ থাক….তোরা বাধ্য করিস আমায় গালি দিতে।

কথা: বইয়া গেছে গা আমাগো তোরে বাধ্য করতে।

নিশু: বুঝছি…এখন জোরে শোরে একটা ঝগড়া লাগবে,তোরা ঝড়গা কর আমি যায়।……[ বলেই চলে যায় ]

মিশু: ওই দাঁড়া আমিও যামু।

কথা: আমিও।

মিশু,নিশু পানি নিয়ে খেলা করছে। কথা দূরে দাঁড়িয়ে আছে। ওর পানি নিয়ে খেলার কোন আগ্রহ নেই। ওমর কথা কে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর কাছে গিয়েই পিছন থেকে ওর চুলের কাঠিটা টান দিয়ে খুলে ন্যায়। কথা বিরক্তি নিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে ওমর। কথা ওমর কে দেখে মাথা নিচু করে ফেলে। কথা মনে করেছিল মিশু,নিশু ওর চুলের কাঠি খুলে দিয়েছে। তাই বকা দিবে মনে করে ওমর কে দেখে থেমে যায়।

ওমর: এই সুন্দর প্রকৃতির মাঝে তোমার ওই লম্বা চুল গুলোকে বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে উড়তে দেও…..তোমার ওই লম্বা চুল গুলো বাতাসের সাথে খেলা করুক।

কথা মাথা নিচু করে ওমরের কথা শুনছে। নীল ও রাফি ওমর কে কথার কাছে যেতে দেখে ওরা দু জন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। নীল হুট করেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় এবং মিশুর কাছে যেতে লাগলো।

মিশু: ওই নিশু ডীল আসতাছে । এবার থাম আর না হলে ধমক খেতে হবে।

নিশু: হুমমমম।

নীল: মিশু এখানে আসো?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু চুপ চাপ পানি থেকে উঠে নীলের সামনে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়ায়।

নীল: এসো আমার সাথে……[ বলেই মিশুর হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো ]

মিশু পিছন ফিরে কান্না ফেস নিয়ে নিশুর দিকে তাকায়। নিশু ইশারায় বলে “আজ তুই শেষ” মিশু আরো একটু ভয় পেয়ে যায়।

নিশু মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো । কিন্তু ওর হাসি বেশিক্ষন স্থায়ী থাকলো না । ওর সামনে রাফি এসে দাঁড়ায়। ওর হাসি রাফিকে দেখে উড়ে যায়।

রাফি: আসো আমরা সাথে,ঘুরে আসি ।……[ বলেই হাত ধরে নিশুর ]

নিশু: এই কোথায় ফেসে গেলাম…..[ মনে মনে ]

সাব্বির ও ফাহিম সেলফি তুলতে ব্যাস্ত। ফাহিম অহহ সে কি পোছ নিচ্ছে….দেখলেই হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে। সাব্বির যদি বলে এই ভাবে দাঁড়াতে ফাহিম ঠিক তার উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়াবে সেটা দেখে সাব্বির না হেসে পারে না।
.
.
.
ওমর: কথা চল ওই দিকটায় গিয়ে ঘুরে আসি।

কথা কিছু বললো না।

ওমর ও কথা পাশা পাশি হাঁটছে। ওমরের মনের মধ্যে এক অদ্ভুত ফিলিং কাজ করছে। আর কথার মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে ।

ওমর: কথা আমি তোমার উপর না তোমার এই সুন্দর চুলের উপর ক্রাস খেয়েছি। ফাস্ট যেদিন তোমাকে আমার রুমের বারান্দায় দেখেছি সেদিন। ………[ গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা: ওহ! তাহলে বলিটা সেদিনি হয়েছিলাম। কেন যে চুল খোপা করলাম না।………[ মনে মনে ]

ওমর: তুমি কিছু বলছ না কেন কথা। এবাবে চুপ করে আছো কেন?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা: ………………

ওমরের রাগ হচ্ছে কথার উপর।

ওমর: Why do not you speak? I want to talk to you? Do not you understand that?……..[ রেগে ]

কথা আরো ভয় পেয়ে যায়। তারপর ও মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না।

ওমর কথার দু বাহু চেপে ধরে জোরে জোরে বললো।

ওমর: তোমার এই নিরবতা আমাকে প্রচন্ড রাগিয়ে দেয়। আমি সহ্য করতে পারছি না তোমার এই নিরবতা। কথা তুমি যদি এটা মনে কর তুমি আমার কাছ থেকে মুক্তি পাবে তাহলে সেটা তোমার ভুল ধারনা। ওমর যাকে একবার পছন্দ করে তাকে মাথায় করে রাখে আর তোমাকে আমি ভালোবাসি । তোমাকে আমি মাথায় নয় আমার মনের মধ্যে রেখেছি। সেখান থেকে তুমি চাইলেও বের হতে পারবে না। Do you understand? I hope you understand well…..[ বলেই কথা কে ছেড়ে রাগি মুড নিয়ে সেখান থেকে চলে যায় ]

কথা প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় ওমরের ব্যবহারে। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে কথা।

কথা: হে আল্লাহ্ এটাই কি আমার কঁপালে ছিল….[ উপরের দিকে তাকিয়ে বললো ]
.
.
.
.
.
নীল মিশু কে একটা নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে আসে। সেখানে মানুষের আনাগোনা খুব কম। নীল মিশুর হাত ছেড়ে দিয়ে ওর দু হাত পকেটে গুজে মিশুর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো।

নীল: মিশু ভালোবাসা কি সেটা আমি জানি না। কখনো কোন মেয়ে কে দেখে এতটা ভালো লাগে নি যতটা তোমাকে ভালো লেগেছে । বাই দ্যা ওয়ে…..আমার কাছ থেকে তুমি কখনই মুক্তি পাবে না। আর এটার আশাও কখনো কর না। তুমি শুধুই আমার মিশু.!…….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু চুপ করে মাথা নিচু করে নীলের কথা শুনছে। মিশু অনেকটা বিরক্তি ফিল করছে।

নীল: What do you hear me?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ সম্মতি দেয়।

নীল: Why do not you speak? Damn it…… [ রাগি কন্ঠে ধমক দিয়ে বললো ]

মিশু নীলের ধমকে কেঁপে উঠে। ভয়তে বার বার ঢোক গিলছে।

নীল: Do you feel mad at me?…..[ ধমকের স্বুরে ]

মিশু মাথা দুলিয়ে না বলে।

নীল: Listen…..আমি কেমন ছেলে সেটা তুমি হয়তো এই কয়দিনে বুঝতে পেরেছ? আমি যেই জীনিসটা না পাই সেই জীনিটা ছিনিয়ে নিতে জানি। Remember it……..[ বলেই চলে যায় ]

মিশু এতোক্ষন আতঙ্কে ছিল। নীল চলে যাওয়াতে মিশু একটু শস্থি পাচ্ছে । নীলের প্রটিটা কথায় মিশুর মনে কাঁটার মত বিধে…….।

মিশু: শেষ পর্যন্ত আমাকে জীনিস মনে করলেন। কিন্তু আমি তো কোন জীনিস না পন্ন সামগ্রী নই …..[ মিশুর চোখ থেকে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে। কেউ দেখার আগেই চোখের পানি মুছে ফেলে ]
.
.
.
.
.
রাফি নিশুকে নিয়ে একটা ছোট্ট ব্রীজের উপর দিয়ে হাঁটছে। নিশু মাথা নিচু করে হাঁটছে তো হেঁটেই যাচ্ছে ।

রাফি: নিশু তোমার সব চেয়ে কোন জীনিসটা বেশি ভালো লাগে?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

নিশু: জানি না।….[ মৃদ স্বুরে ]

রাফি: এমন তো নয় যে ভালো লাগে না….কোন একটা জীনিস তো তোমার কাছে অনেক ভালো লাগে,সেই জীনিসটা কী???……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

নিশু: জানি না ।…[ মৃদ স্বুরে ]

রাফি: What জানি না? একটা কথা বার বার কেন বল?

নিশু: সেটাও জানি না।…..[ মৃদ স্বুরে ]

রাফি: দেখো নিশু এখন কিন্তু আমার ভিষন রাগ হচ্ছে । ………[ কিছুটা রেগে ]

নিশু:………….

রাফি নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে বললো।

রাফি: ভালোবাসা কি জানো?……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

নিশু মাথা ঝাকিয়ে না বললো।

রাফি: সত্যিই জানো না?

নিশু: নাহ…..[ মৃদ স্বুরে ]

রাফি: জানতে চাও…?

নিশু: নাহ…I hate love….।

রাফি: হোয়াট?

নিশু:………….

রাফি: But Why Nishu?……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

নিশু:…………….

রাফি: I’m asking something? Answer me Nishu?………..[ রেগে ]

নিশু: এই প্রশ্নের উওর আমার কাছে নেই……[ বলেই চলে যেতে নিলে রাফি নিশুর হাত ধরে ফেলে ]

রাফি: কোথায় যাচ্ছো? আমার প্রশ্নের উওর দিয়ে যাও নিশু….[ ধমক দিয়ে বললো ]

নিশু রাফির হাত ছাড়িয়ে বললো।

নিশু: অনেক প্রশ্নের উওর পাওয়া যায় না। প্রশ্ন প্রশ্ন হয়েই থেকে যায়।……….[ মৃদ স্বুরে বলে মাথা নিচু করে চলে যায় ]

রাফি: বাট আমি এই প্রশ্নের উওর ঠিক খুঁজতে বের করবো?…….[ মনে মনে নিশুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ]
.
.
.
.
ওরা জাফলং ঘুরেফিরে সন্ধ্যার সময় resort এ চলে আসে। আসার পর থেকেই নিশুর মন খারাপ হয়ে আছে।সেটা মিশু ও কথা লক্ষ করেছে। ডিনার সেরে ওরা ঘুমাতে চলে যায় ।
.
.
.
মিশু: নিশু তোর কি হয়েছে????
.
.
Continue To……..😪

Three Gangsters_💕.
Sumaiya_Moni
Part-13

ওরা জাফলং ঘুরেফিরে সন্ধ্যার সময় resort এ চলে আসে। আসার পর থেকেই নিশুর মন খারাপ হয়ে আছে।সেটা মিশু ও কথা লক্ষ করেছে। ডিনার সেরে ওরা ঘুম তে চলে যায় ।
.
.
.
মিশু: নিশু তোর কি হয়েছে????

নিশু: আমার আবার কি হবে?

কথা: কিছু ত একটা হয়েছে? কী হয়েছে সেটা বল?

নিশু বড় একটা নিশ্বাস ফেলে বললো…..।

নিশু: রাফি আমাকে জিজ্ঞেস করেছে ভালোবাসা কি?

মিশু: তুই কি বললি?

নিশু: I hate love…[ বলেই রুম থেকে বারান্দায় চলে যায় ]

কথা: মিশু এই কথাটা নিশু কে না জিজ্ঞেস করলেই ভালো হতো।

মিশু: হুমমম। শোন নীল আমাকে কি বলেছে….[ নীল যা যা বলেছে সব কথা কে বললো ] কী করা যায় বল ।

কথা: ওমর কি বলেছে জানিস…..[ ওমরের বলা সব কথা মিশু কে বললো ] আমরা মনে হয় ওরা আমাদের ভালোবাসে!

মিশু কিছু বলতে যাবে তার আগেই কথা বারান্দা থেকে রুমে এসে বললো।

নিশু: ওটাকে ভালোবাসা নয় মোহ বলে। যেটা কয়দিন পর কেঁটে যাবে । তখন আমাদের কে ছুঁড়ে ফেলে দিবে।

কথা: হুমম নিশু তুই একদম ঠিক কথা বলেছিস।

মিশু: বড়লোকের ছেলেরা এমনি হয়। টিশু পেপারের মত ব্যবহার করে মেয়েদের ।

নিশু: হ্যাঁ! যে কোন উপায় আমাদের এখান থেকে পালাতে হবে।

কথা: কিন্তু কিভাবে… চার দিকে কড়া পাহারা।

নিশু: একটা প্লান আছে আমার কাছে…!

মিশু: কি সেটা?

নিশু: কাল রাতে বলবো। এখন ঘুমিয়ে পর।

কথা: হুমমমম।

এদিকে ওমর,নীল,রাফি ওদের চোখে ঘুম নেই। যে যার রুমে বসে মদের নেশায় ডুবে আছে।
.
.
.
জাহিস হাউস….

মেহেদি: বস ওমর,নীল,রাফি ওদের উপর আমাদের লোকরা নজর রাখসে। শুজুক মত ওরা ওদের কাজ সম্পন্ন করে আমাকে খবর দেবে।

জাহিদ: এবার যেনো কোন ভুল না হয়। ওই মেয়ে তিন জনের ছবি এনেছো?

মেহেদি: জ্বী বস। এই নিন ওমর,রাফি,নীল ওদের গার্লফ্রেন্ড দের ছবি।…….[ তিনটি ছবি টেবিলের উপর রেখে বললো ]

জাহিদ ছবি তিনটি টেবিলের উপর থেকে উঠিয়ে হাতে নিয়ে দেখতে লাগলো ।

জাহিদ: এই‌ মেয়েটার নাম কি?

মেহিদি: এই মেয়েটার নাম কথা।….[ কথার ছবি দেখিয়ে বললো ]

জাহিদ: আর এটা??

মেহেদি: এটা মিশু আর ওইটা নিশু।

জাহিদের চোখ আটকে যায় মিশুর উপর। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মিশুর ছবির দিকে।

জাহিদ: এই মেয়েটা কার গার্লফ্রেন্ড?

মেহেদি: নীলের?

জাহিদ: এই‌ মিশু মেয়েটিকে আমার চাই। যেভাবে পারো ওকে তুলে নিয়ে আসো আমার কাছে। বাকি সবাই কে শেষ করে দেও।……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মেহেদি: ওকে বস।…..[ রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

জাহিদ: Mishu I need you baby……[ বাঁকা হেসে ]
.
.

সকালে ওরা সবাই ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে বিছনাকান্দির উদ্দেশে বেরিয়ে পরে। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১০ টা বেজে যায় ওদের। চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা আর পানির শব্দে মনটা জুডিয়ে গেলো মিশু,নিশু,কথার। ওখানে এতোটা ঠান্ডা পানি আর এতো পরিষ্কার যে সেখানে গা নাভিজিয়ে থাকতে পারলো না ওরা তিন জন। সেখানে কিছুক্ষন থাকার পর ওরা সবাই বিছনাকান্দি থেকে রওনা দেয় রাতারগুল এর দিকে।
রাতারগুল এ নৌকায় করে ঘুরতে থাকে ওরা। নৌকাটি বেশ বড় সরো ছিল। সবুজ এ ঘেরা গাছপালা মাথার উপর দিয়ে বেয়ে গেছে সে এক অপরুপ সুন্দরযো। মিশু, নিশু, কথা মুগ্ধ হয়ে যায় সবুজে ঘেরা গাছলামা দেখে। মিশু,নিশু,কথা নৌকার মাঝ খানে বসে ছিল। ওমর,নীল,রাফি ওরা ওদের পিছনে ছিল আর সাব্বির ও ফাহিম ছিল নৌকার সামনে।

সাব্বির সবার ছবি তুলতে ব্যস্ত। ফাহিম উঠেই বলতে লাগলো।

ফাহিম: ভাই মোর একখান ভালা ছবি তুইলা দে তো…..[ বলেই দু হাত মেলে দিল দাঁত সব কয়টা বের করে দিয়ে ]

মিশু,নিশু, কথা এটা দেখে না হেসে পারলো না। ওমর,নীল,রাফি কিছু বলছে না ওদের কান্ড দেখছে।

হুট করেই নৌকাটা একটু জোরেই নড়ে উঠলো। ফাহিম তাল সামলাতে না পেরে ধুপাশ করে পরে গেল পানিতে তাও আবার সাব্বির কে নিয়ে। মিশু, নিশু,কথা এটা দেখে হাসিতে ফেটে পড়লো। ওরা জোরে জোরে হাসতে লাগলো। ওমর,নীল,রাফি এই ঘটনায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
দুই জন হাবু-ডুবু খাচ্ছে। সেখানে ভালোই পানি ছিল।

ফাহিম: ওরে আল্লাহ্ মোরে বাঁচাও….[ চিৎকার দিয়ে ]

সাব্বির : ভাই প্লিজ একটা দঁড়ি দেও…ডুবে যাচ্ছি আমি।

ওমর: বডিগার্ড ওদের কে দঁড়ি দিয়ে উঠাও।

বডিগার্ড : জ্বী বস।

বডিগার্ড রা সাব্বির ও ফাহিম কে দঁড়ি দিয়ে টেনে নৌকার উপরে তুললো। মিশু,নিশু,কথা এখনো হেসেই যাচ্ছে ।

ফাহিম: আফা আপনেরা হাসেন,যদি মোরা ডুইবা মইরা যাইতাম তাইলে কি হইতো?……….[ করুন স্বুরে ]

সাব্বির: ………….[ করুন চোখে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে ]

মিশু: স্যরি আর হাসবো না।

কথা: আচ্ছা তোমার পড়ে গেলে কিভাবে?

ফাহিম: ওই হালা মাঝির পো…কেমনে নৌকা চালাস আয়। তোরে বইডা দিয়ে বাইরামু হালার পো হালা….।

নিশু: নাচতে না জানলে উঠান বাকা…..।[ বিড়বিড় করে ]

ফাহিম: কিছু কইলেন আফা?

নিশু: না কিছু বলিনি।

তারপর ওখানে ঘুরা শেষে চলে আসে ওইখান কার একটা হটেলে। সেখানে এসে সাব্বির,ফাহিম ওদের জামা কাঁপড় পাল্টে নেয়। অনলাইন থেকে অডার করে জামা কাঁপড় কিনে নেয় ওরা। সারা দিন ঘুরাফেরা করে সন্ধ্যা পর resort এ চলে আসে ওরা। রাতে সাব্বির,ফাহিম মিশুদের রুমে আসে আড্ডা দেবার জন্য।

মিশু: ধুর বাল আসার সময় পেল না।…[ মনে মনে ]

সাব্বির: ভাবি রা থুক্কু আপু রা রুমে একা একা বোরিং লাগছিল তাই আড্ডা দিতে আসলাম আপনাদের সাথে।

নিশু: কয়টা বাজে দেখেছো?

ফাহিম: হপায় ১১টা,ওতে কিছু হইবো না।

কথা: আমাদের হবে।

মিশু: কথা চুপ থাক। আচ্ছা আসো আড্ডা দেই। তবে একটা গেম খেলি চল?

সাব্বির: কি গেম?

মিশু: Truth or Dare?

নিশু: মিশু তুই কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি?

কথা: মিশু তুই…… ।

মিশু: চুপ থাক তোরা প্লিজ । আচ্ছা তাহলে শুরু কথা যাক।

সাব্বির: আচ্ছা।

ফাহিম: আফা মুই পারি না এই খেলাটা?

মিশু: খেলতে খেলতে শিখে যাবে। তো বল কে কি নিবা।

সাব্বির: Dare থুক্কু truth truth ।

নিশু: চিটিং করা চলবে না। আগে dare বলেছিস তাই dare।

সাব্বির: কিন্তু আমি ত থুক্কু বলেছি ।

মিশু: কোন থুক্কুতে কাজ হবে না। dare ব্যাস dare।

সাব্বির: আচ্ছা । বলেন কি করতে হবে।

মিশু: তুই এখন কথা কে ২০হাজার টাকা দিবি নগত।

ফাহিম: ও মোর খোদা ওয়া কন কি আফা।……[ মাথায় হাত দিয়ে ]

কথা: এটা এই খেলার rules….. দিতেই হবে।

সাব্বির: কোন ব্যাপার না। আমি এখনি টাকা এনে দিচ্ছি । ……….[ বলেই সাব্বির ওর রুমে চলে যায় আর সাথে করে ২০হাজার টাকা নিয়ে আসে ] এই নিন টাকা।……[ মুড নিয়ে বললো ]

কথা: বাহ্ আমি ২০হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছি।……..[ খুশি হয়ে ]

মিশু: সব মিশুর ক্যালমা।……[ কঁপালের ছোট চুল গুলো ফু দিয়ে সরিয়ে বললো ]

ফাহিম গালে হাত দিয়ে হা করে বসে আছে।

নিশু: বাট তোর কাছে এতো টাকা? কোথায় পেলি?

সাব্বির: কি যে বলেন আপু…..Three Gangsters দের ছোট ভাই আমি আমার কাছে এই সামান্য টাকা থাকবে না এটা কি কখনো হয় নাকি……[ মুড নিয়ে বললো ]

মিশু: কি যে বড় ভুলটা করলাম ৫০হাজার টাকা চাইতে হইতো ধেৎ….[ মনে মনে ] আচ্ছা ফাহিম তুই কি নিবি বল?

ফাহিম: আফা আমি ফ্রুত নিমু।

সাব্বির: ফ্রুত না ট্রুথ হবে।

ফাহিম: ওই হইলো আর কি ফ্রুত।

নিশু: আমাদের সম্পর্কে তোর কেমন ধারনা সেটা বল আর হ্যাঁ সত্যি বলবি ওকে।

ফাহিম: সত্যিই তো কমু মুই। আপনেরা জম্মের ভালো মানু(মানুষ) । জম্মের মজা হরতে পারেন । মনে কোন কালি নাই। মোর জম্মের ভালো লাগে আপনাগো তিন জন রে।

মিশু: তাই নাকি ভালো।

সাব্বির: এবার আপনাদের পালা। কি নিবেন বলেন আমি প্রশ্ন করবো।

মিশু: আচ্ছা । আমি truth……

কথা: truth..

নিশু: truth…

সাব্বির: ওকে। আমার ভাইয়া তিন জনকে আপনারা ভালোবাসেন?

মিশু, নিশু,কথা সাব্বিরের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে থমথম খেয়ে যায়। এক জন আরেক জনের মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ চাওয়া চায়ি করছে।

সাব্বির: সত্যি কথা বলেবেন প্লিজ ।

মিশু: না….

কথা: না….

নিশু: না না না…..

সাব্বির: যাক সত্যিটা জানতে পারলাম। একদিন ঠিক ভালোবাসবেন এখন না ভালোবাসলেও।

ফাহিম: হ হ সত্যি কথা কইছস ভাই।

ওরা আরো অনেকক্ষন আড্ডা দিয়ে ১২টার দিকে রুম থেকে চলে যায় ।
.
.
.
.
ওমর,নীল,রাফি কালকের চেয়ে আজকে ড্রিংসটা একটু বেশি করেছে। ওদের মনে এখটাই কষ্ট মিশু,নিশু, কথা ওদের ভালোবাসা টা বুঝে না।
.
.
রাত ৩টা বাজে…..

মিশু: ওই আমার সব গুছানো শেষ এবার চল।

কথা: ও টাকাটা কোথায় যেনো রেখেছি। এইতো পেয়েছি। হ্যাঁ রে মিশু তোর মাথায় এই আইডিয়াটা আসলো কেমনে রে। সত্যিই আমরা পালাতে যাচ্ছিলাম কিন্তু আমাদের কাছে কোন টাকা নেই । এই টাকাটা দিয়ে আমাদের অনেক উপকার হবে।

নিশু: হ্যাঁ! যাক মিশুর জন্য আজকে এই টাকা টা পেয়েছি ।

মিশু: ঠেঙ্গা….ঢং কম করে এবার বল এখান থেকে বাহিরে যাবো কি করে।

নিশু: ওয়েট! এই দেখ শাড়ি…….[ একটা হলুদ রঙের শাড়ি বের করে বললো ]

মিশু: এটা কোথায় পেলি?

কথা: এটা তো আমাদের না।

নিশু: আরে এটা আপনাদের পাশের রুমের বারান্দা থেকে চুড়ি করেছি। পালানোর একটাই উপায় আর সেটা হলো। এটা বারান্দার গ্রিলের সাথে বেঁধে তারপর একজন একজন করে নিচে নেমে দেয়াল টপকে পালাবো। বুঝতে পেরেছিস।

মিশু: হ্যাঁ পেরেছি। এবার চল তাহলে ।

নিশু বারান্দায় গিয়ে শাড়িটা গ্রিলের সাথে বেঁধে দিল।

নিশু: এবার মিশু তুই আগে নাম।

মিশু: আচ্ছা ।…….[ মিশু আস্তে আস্তে শাড়িটা বেয়ে নিচে নামতে লাগলো । শেষ দিকে আসার পর লাফ দিল। দ্বিতীয় তলায় ওরা ছিল তাই নামতে বেশি সমস্যা হয় নি ] আমি নেমে গেছি এবার তোরা নাম।………[ হাত নাড়িয়ে বললো ]

নিশু: আচ্ছা…..

তারপর নিশু,কথাও শাড়ি বেয়ে নেমে আসে নিচে।

মিশু: তোরা ঠিক আছিস তো?

নিশু,কথা: হ্যাঁ ।

মিশু: আচ্ছা এবার চল যাওয়া যাক।

resort টা অনেক বড় ছিল। resort এর পিছনে বড় একটা বাগান ছিল। সেখান যাবার পর একটা মই দেখতে পেলো।

নিশু: এই মইটা দেয়ালে সেট করে দেই। তারপর তোরা দুই জন যা পরে আমি আসছি।

মিশু: আচ্ছা দে।

দেয়ালে মই রেখে প্রথমে মিশু, তারপর কথা শেষে নিশু গেল।

মিশু: যাক পেরেছি এবার তাড়াতারি চল এখান থেকে। আমার খুব ভয় করছে।

কথা: ভয়ের কথা বলিস না রে প্লিজ ।

নিশু: চুপ চল এখান থেকে । চল দৌড় দেই।

মিশু: হুম।

ওরা জোরে জোরে দৌড়াতে লাগলো। resort থেকে প্রায় অনেকটা দূর এসে পড়েছে ওরা তিন জন। কিছুক্ষন পর ফজরের আজান দিতে লাগলো। হাঁটতে হাঁটতে ওরা বাস স্টানে এসে পড়েছে।

কথা: পালিয়ে তো এলাম এখন কোথায় যাবো আমরা। বাসায় তো যেতে পারবো না?

নিশু: হ্যাঁ বাসায় যেতে পারবো না তাহলে এখন কোথায় যাবো রে মিশু।

মিশু: আমি তোদের দে ফারহাদের কথা বলেছিলাম মনে আছে? ওর কাছে যাবো।

কথা: ফারহাদ তোর bf তাই তো?

মিশু: হ্যাঁ! ও কক্সবাজার থাকে । ওর কাছে যাবো আমরা। তারপর এইখানে গিয়ে একটা ব্যবস্থা করা যাবে।

নিশু: আচ্ছা চল তাহলে….আগে এখান থেকে বের তো হই। আর ফোন অফ করেছিস তো?

মিশু: হ্যাঁ!

কথা: হ্যাঁ!

নিশু: ঠিক আছে চল । আগে বাসের টিকেট কেঁটে নেই।

ওরা বাসের টিকেট কেঁটে কক্সবাজের গাড়িতে উঠে পড়লো। কিছুক্ষন পর গাড়ি চলতে লাগলো। নিশু, মিশু,কথা ওরা একটু সস্থি পাচ্ছে। জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছে এটা মনে করছে ওরা। ভাবতেই ওদের অনেক ভালো লাগছে । মিশু একটু বেশি খুশি কেননা ও ওর bf এর কাছে যাচ্ছে । যার সাথে এতো দিন ফোন কলেই কথা হয়েছে তাকে সামনা সামনে দেখেনি । এইা সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো মিশু,সাথে কথা ও নিশু ও ঘুমিয়ে গেল । গাড়ি তার আপন গতিতে চলছে।

সকালে……

মিশু,নিশু, কথা ওদের উঠতে দেরি হচ্ছে দেখে সাব্বির ডাকতে আসে। বার বার দরজায় নক করে যাচ্ছে কিন্তু দরজা খুলছেই না আর ভিতর থেকেও কোন response পাচ্ছে না। সাব্বির কিছুটা ঘাবড়ে যায়। সাব্বির তাড়াতারি করে এই খবরটা ওমর,নীল,রাফি দের দেয়। ওরা এই কথা শুনা মাএই দৌড়ে উপরে চলে আসে। ওদের দরজায় জোরে জোরে নক করতে লাগলো ।

ওমর: কথা দরজা খোলো….কথা….কথা……[ দরজায় নক করে বললো ]

নীল: মিশু….মিশু…মিশু দরজা খোলো বলছি।……[ রাগি কন্ঠে ]

রাফি: আমার মনে হয় কিছু একটা হয়েছে । সাব্বির মেনেজারের কাছ থেকে এই দরজার ডুবলিকেট চাবি নিয়ে আয় ।

সাব্বির: জ্বী ভাই।

ওদের মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে। ওদের আবার কিছু হয়ে গেল না তো এই ভেবে। সাব্বির চাবি এনে ওমরের হাতে দিল । চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে ভিতরে মিশু,নিশু, কথা নেই।
রাফি বারান্দায় গিয়ে দেখে গ্রিলের সাথে একটা শাড়ি ঝুলানো। নীল,ওমর,সাব্বির ওরাও বারান্দায় গিয়ে এই একি দৃশ্য দেখে। ওদের বুঝতে আর বাকি থাকে না যে ওরা পালিয়েছে। ওমর, নীল, রাফি ওদের প্রচন্ড পরিমার রাগ হচ্ছে ওদের তিন জনের উপর।

ওমন: তবে এই ছিল ওদের মনে।……..[ রাগি কন্ঠে ]

নীল: কাজটা একদনি ঠিক করেনি ওরা।……[ রেগে ]

রাফি: বডিগার্ড বডিগার্ড ………..[ চিল্লিয়ে ডাক দেয় ]

বডিগার্ড: জ্বী বস।

রাফি এক পা হেঁটে গিয়ে জোরে চড় লাগিয়ে দেয় বডিগার্ডের গালে।

রাফি: স্টুপিডের দল গুলো….তিনটা মেয়ে রাতের অন্ধকারের মধ্যে পালিয়ে গিয়েছে আর যেটা তোমরা দেখতেও পাও নি।……..[ ধমক দিয়ে ]

বাকি বডিগার্ড রা ভয় পেয়ে যায়।

সাব্বির: ভাই সান্ত হন…..

নীল: কড়া পাহারার পরও ওরা তিন জন কিভাবে পালিয়ে যায়।………..[ রাগি গলায় ]

ওমর: এই কথা যদি জাহিদ যানতে পারে তাহলে ওদের ক্ষতি করে দিবে। তাড়াতারি করে ওদের খুঁজতে হবে। বডিগার্ড নিচে গিয়ে দেখো ওরা কিভাবে পালালো। সাব্বির এখান কার বাস স্টানে গিয়ে খবর নে কখন বাস ছেড়েছে এবং কোথায় কোথায় গিয়েছে বাস । গো……[ রেগে ]

সাব্বির : ওকে ভাই।…….[ বলেই চলে যায় ]

নীল,রাফি রাগে ফোস ফোস রুম থেকে বেরিয়ে যায় ।

সাব্বির বাস স্টানে গিয়ে খবর নিতে লাগলো।

এদিকে কথা,নিশু,মিশু ওরা এখনো কক্সবাজার পৌঁছাতে পারে নি। ওদের পালানোর খবর জাহিদের কাছে পৌঁচ্ছে যায়। জাহিদ ওর লোক লাগিয়ে দেয় ওদের তিন জন কে খোঁজার জন্য।
.
.
.
বডিগার্ড এসে ওমর, নীল,রাফি দের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো ।
.
.
.
Continue To………..😁