Three Gangsters💕,Part-10,11

Three Gangsters💕,Part-10,11
Sumaiya Moni”.
Part-10

মিশু, নিশু,কথা সাব্বিরের পিছন পিছন যেতে লাগলো ।ওদের তিন জন কে পাশা পাশি রুম দেওয়া হলো। ওরা রুমে গিয়ে রমটা ভালো করে দেখতে লাগলো ।রুম গুলো বেশ সুন্দর,সাজানো গুছানো।যে যার মত করে ফ্রেশ হতে চলে যায় বাথরুমে । মিশু বড় একটা পেইন্টিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পেইন্টিং টায় নানান ধরনের ফুল দিয়ে বানানো। মিশু মন দিয়ে পেইন্টিং টা দেখছিল। হঠাৎ করেই নীল রুমে ঢুকে মিশুর নাম ধরে ডাক দিল। মিশু কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
মিশু পিছনে তাকিয়ে দেখে নীল।

নীল কে দেখে মিশু মাথা নিচু করে ফেলে।
নীল মিশুর সামনে চলে আসে।

নীল: মিশু তোমার যদি কোন সমস্যা বা অসুবিধা হয় থাকতে তাহলে আমাকে বলিও।…….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু: হুমমম…….।

নীল: মিশু look at me?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু নীলের দিকে তাকাতে পারছে না। তারপর ও ভয় ভয় নীলের দিকে চোখ তুলে তাকাল।

নীল মিশুর দুই গাল ধরতে নিলে‌ মিশু এক পা পিছিয়ে যায়। এটা দেখে নীল হাত সরিয়ে নেয়।

নীল: তুমি রেস্ট নেও….[ বলেই হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

মিশু বড় একটা নিশ্বাস ফেলে…….. ।

রাতে ওরা সবাই এক সাথে খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যায়।মিশুর রুমে এসে নিশু,কথা গল্প করছে।

নিশু: মিশু তোর কি এখানে ভয় করছে…?

মিশু: হ্যাঁ!

কথা: আমারো রে।

নিশু: আমিও ভয় পাচ্ছি। কিন্তু কিছু করার নাই।……[ মন খারাপ করে ]

কথা: দেখ আমি যদি তখন তোকে ডাক না দিতাম তাহলে গুল্লিটা তোর গায়েই লাগতো। আল্লাহর শুকরিয়া তুই বেঁচে গেছিস।

মিশু: হুমম….কিন্তু আমি ভাবছি আমাদের তো কোন শক্র নেই। তাহলে আমার উদ্দেশ্য কেন গুলি ছুড়লো ? আমি এটাই মিলাতে পারছি না।

কথা: আমারও সব গোল মাল হয়ে যাচ্ছে ।

নিশু: ভাবতে হবে রে…..।

মিশু: কালকে ভাবিস। এবার ঘুমতে যা। আর হ্যাঁ দরজা ভালো করে লাগিয়ে ঘুমুস । আমরা কিন্তু বাঘের গুহায় আছি।যদি মেরে টেরে দেয়। তাই সাবধানে থাকিস তোরা।

কথা: ওকে।

নিশু: ভয় দেখাস না প্লিজ ।

মিশু: আচ্ছা যা তোরা।

কথা,নিশু: বায়।

ওরা চলে যায় ওদের রুমে।
.
.
.
.
ওমর: নীল,রাফি আমার মনে হয় এই কাজটা জাহিদের লোকেরা করেছে। কেননা জাহিদ আমাদের বড় শক্র।

নীল: রাইট! জাহিদই করেছে এই কাজটা । ওকে খুঁজে বের করতেই হবে।

রাফি: আমি লোক লাগিয়ে দিয়েছি। ওরা খোঁজ নিচ্ছে জাহিদ কোথায় আছে । কিন্তু আমাদের কে ওদের তিন জন কে বিয়ে করতে হবে। এখন যখন ওরা আমাদের বাসায় থাকছে তাহলে বউ হয়েই যাক। তোরা কি বলিস?

ওমর: ঠিক আছে বাট ওরা তো আমাদের অনেক ভয় পায়। আমি চাচ্ছি ওরা আগে আমাদের বুঝক। আমরা কেমন সেটা ওরা জানুক। ভালোবাসা মানুষের সাথে থাকাটা বড়ই কঠিক যদি না সেই মানুষটি না বুঝে।

নীল: আমি তাড়াহুড়ো করতে চাই না। ওমরের কথায় আমি একমত। আরো কয়েকটা দিন যাক। তারপর না হয় বিয়ে করা যাবে।

রাফি: ওকে ।
.
.
.
.
জাহিদ হাউজ…..

জাহিদ: একটা কাজ দিলাম সেটাও ঠিক মত করতে পারলি না। তোদের কে দিয়ে কি হবে বলতে পারিস। ওই মেয়েটাকে মেরে ফেললে নীল কষ্ট পেতো। যেটা দেখে আমি খুশি হতাম। কিন্তু কি হল মারতে পারলি না। ওই মেয়ে চার জন কে ওদের বাসায় নিয়ে গিয়েছে। সব কিছু আমার হাতের বাহিরে চলে গেছে ।এখন ওদের আমি কিছুই করতে পারবো না।……..[ রেগে ]

মেহেদি: বস অন্য কোন প্লান করতে হবে আমাদের।

জাহিদ: হ্যাঁ! সেই প্লানটাই ভাবছি।
.
.
.
.
সকালে…..

এক সাথে খাবার খেয়ে ওমর, নীল,রাফি ওরা তিন জন অফিসে চলে যায় । সাব্বির কে বাসায় রেখে যায়।ওদের কে পাহেরা দেবার জন্য। মিশু,নিশু, কথা ওদের রুম থেকে বেরিয়ে নিচে এসে হল রুমের সোফায় বসে।

মিশু: 3.G রা অফিসে চলে গেছে। যাক এখন একটু ভয়টা কম লাগছে।

নিশু: হ্যাঁ! খুব ভয় করে আমার টফি কে।

কথা: এই এভাবে নাম বলিস না একবার যদি যানতে পারে রাফি কে টফি বলিস তাহলে তোকে সোজা উপরে পাঠিয়ে দিবে।

নিশু: ভয় দেখাস না বালডা। এমনেতেই ভয়তে আছি।

এর মধ্যেই সাব্বির ও ফাহিম হল রুম থেকে বাহিরে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় মিশু ওদের ডাক দেয়।

মিশু: ওই ঝিংগুর,ফিংগুর এদিকে আয়?

সাব্বির ডানে বামে তাকাচ্ছে।

মিশু: আরে তোদের কেই ডাকছি এদিকে আয়।

সাব্বির: আমাদের নাম আপনারা জানেন। জেনেও এই নামে কেন ডাকছেন……[ কিছুটা রেগে ]

মিশু: কেননা এই নাম দুইটা তোদের উপর বেশি সুট করে……[ বলেই হাসতে লাগলো ]

কথা,নিশু,মিশুর সাথে তাল মিলিয়ে হাসতে লাগলো।

ফাহিম: আফা মোগো নামডা কত সুন্দর,হেই নামডারে এই ভাবে অপমান হরলেন?

নিশু: হ হরছি তো???

কথা: ওই‌ number in ফাহিম,তুই কয়টা ইংলিস বল তো যেগুলা তোগো শিমু আফায় শিক্ষায়। আমরাও একটু শিখি।

ফাহিম এই কথাটা শুনেই সেই লেভেলের খুশি।

ফাহিম: আফা আপনারা হুনবেন আমার ইংলিস।…..[ খুশি হয়ে ]

নিশু: শুনবো দেখেই তো বলতেছি। বল শুনি?

সাব্বির তো ভালো করেই বুঝতে পারছে এরা এখন ফাহিম কে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করবে।

ফাহিম: কোনডা কমু আপনারা একটু কইয়া দেন আফা।

মিশু: এটা বল…..আমি কাজ শেষ করে চলে গেলাম।

ফাহিম: উহু উহু….. কইলাম কিন্তু….I am doing to going……[ দাঁত সব কয়টা বের করে ]

সাব্বির মাথায় হাত।

মিশু,নিশু,কথা জোরে জোরে হাসতে লাগলো…..।

ফাহিম: কি আফা হয় না মোর ইংলিস?

সাব্বির: গাধা কোথাকার।……[ বকেই ওইখানের একটা সোফায় গিয়ে বসে পড়লো ]

মিশু: ফিংগুর দাঁড়া আগে হেসে নেই তারপর বলছি…..[ বলেই হাতসে লাগলো ]

ফাহিম: মোর নাম ফাহিম আফা….

কথা: ও আল্লাহ্….. আচ্ছা এবার আরেকটা ইংলিস বল।

ফাহিম: বাংলা কন আমি ইংলিস কইতাছি।

নিশু: এটা বল। সাব্বির মশা মারছে।

ফাহিম: Sabbir in makhi.

আবার ও এটা শুনে হাসতে শুরু করলো।

সাব্বির ওইখানে বসে রাগে ফোস ফোস করছে।

কথা: ফাহিম তুই ভালো ইংলিস বলতে পারিস,তোর কাছ থেকে শিখতে হবে আমাদের ।

ফাহিম: মুই শিখামু নে,আপনেরা চিন্তা হইরেন না আফা।

মিশু: আচ্ছা এই লাস্ট ইংলিস টা বল। আমি হাতে ব্যাথা পেয়েছি!

ফাহিম: Hand cating the poting..!

এবার ওদের সাথে সাথে সাব্বির ও হাসতে লাগলো ।
ওরা হাসতে হাসতে একজন আরেক জনের গায়ের উপর পড়ছে।

ফাহিম: বুঝি না বাল মোর ইংলিস শুইননা এরা এতো হাসে ক্যা?…..[ মনে মনে ]

কথা: সেই ইংলিস শিখাইছে তোর শিমু আফায়।…..[ হেসে ]

মিশু: আমি আর হাসতে পারবো না….[ সোফায় হেলান দিয়ে ]

নিশু: আমিও না পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।

কথা: আমার মুখ ব্যাথা হয়ে গেছে।

ফাহিম: আফা মুই আপনাগো জন্য জুস নিয়া আসি।…..[ বলেই চলে যায় জুস আনতে ]
.
.
.
.
O.N.R group of Company……

মিশু,নিশু,কথার হাসি এতোক্ষন ওমর,নীল,রাফি ওরা অফিসে বসে দেখেছে। ওদের বাসায় সব খানেই সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।

ওমর: এখন কি সুন্দর হাসছে আর আমি যদি কথার কাছে যাই তখনি সব হাসি বন্ধ হয়ে কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে যায়।

নীল: হ্যাঁ ভাই মিশুর ও সেই একি সমস্যা ।

রাফি: মনে হয় আমরা ওদের খেয়ে ফেলবো।

ওমর : হুমম……

নীল: হাসি বের করবো আজকে দাঁড়াও….[ মনে মনে ]
.
.
.
.
রাতে ওরা বাসায় এসে দেখে ওরা ওদের রুমে চুপ চাপ করে বসে আছে । ওদের গাড়ি ওরা বাড়িতে ঢুকতে দেখেই ওদের রুমে গিয়ে চুপ চাপ করে বসে থাকে।

ওমর, নীল, রাফি ফ্রেশ হয়ে ন্যায়। তারপর ওরা মিশু,কথা,নিশু ওদের রুমে চলে যায়।

ওমর কথার রুমে ঢুকে দেখে কথা ফোন টিপছে বিছানায় বসে । ওমর রুমে ঢুকেই বললো।
.
.
Continue To…….😴

Three_Gangsters__ 💕.
Sumaiya_Moni”
Part-11

রাতে ওরা বাসায় এসে দেখে ওরা ওদের রুমে চুপ চাপ করে বসে আছে । ওদের গাড়ি ওরা বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখেই ওরা ওদের রুমে গিয়ে চুপ চাপ বসে থাকে।

ওমর, নীল, রাফি ফ্রেশ হয়ে ন্যায়। তারপর ওরা মিশু,কথা,নিশু ওদের রুমে চলে যায়।

ওমর কথার রুমে ঢুকে দেখে কথা ফোন টিপছে বিছানায় বসে । ওমর রুমে ঢুকে বললো।

ওমর: কথা আসো আমার সাথে?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা: কোথায়?…..[ মৃদ স্বুরে ]

ওমর: পাল্টা প্রশ্ন পছন্দ নয়,আসো আমার সাথে…..[ বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

কথা: আল্লাহ জানে কই নিয়া যাইবো আমাকে…রক্ষা কইরো আল্লাহ্…. [ রুম থেকে বেরিয়ে ওমরের পিছন পিছন হাঁটতে শুরু করলো ]
.
.
.
.
নীল মিশুর রুমে এসে দেখে মিশু পা ছড়িয়ে টিভি দেখতে। মিশু নীল কে দেখে পা গুটিয়ে ন্যায়।

নীল: আজকে আমি তোমার রুমে ঘুমাবো।……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু কথাটা শুনা মাএই অবাক + ভয় পেয়ে যায়। মিশু মুখে কিছু না বলেই মাথা নিচু করে বসে থাকে।

নীল বাঁকা হেসে মিশুর পাশে গিয়ে বসে। মিশু বিছানার অপর পাশ থেকে নেমে দৌড়ে রুমের বাহিরে যেতে নিলে নীল মিশুর ডান হাত ধরে নীলের কোলের উপর বসিয়ে ওর দু হাত দিয়ে চেপে ধরে। মিশুর বুকের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় নীলের এই কান্ডে।

নীল: কোথায় যাচ্ছেন ম্যাডাম….সারা দিন তো অনেক হাসি-ঠাট্টা করে বেড়ান। আর আমাকে দেখলেই হাসি উদাও? এখন তো আর ছাড়ছি না। এখানেই বসে থাকতে হবে। বুঝতে পারছেন ম্যাডাম!…… [ টেডি স্মাইল দিয়ে ]

মিশু ‌কিছু বলতেও পারছে না নীলের হাত সরাতেও পারছে না,কেননা না ওর ওই হাতে ব্যাথা ।

নীল: কিছু বলেন ম্যাডাম…. এভাবে চুপ করে আছেন কেন?…….[ মিশুর কানে ফু দিয়ে বললো ]

মিশু:……………….

হুট করেই ফাহিম মিশুর রুমে ঢুকে বলে……

ফাহিম: আফা রাতের খা…….[ বাকিটা বলার আগেই এই দৃশ্য দেখে সাথে সাথে অন্য দিক ফিরে বলতে লাগলো ] মুই কিছু দেখছি কিনা মনে পড়তাছে না।……[ বলেই দৌড় ]

নীল মিশুকে ছেড়ে দেয়। মিশু ছাড়া পেয়েই দৌড়ে নিচে হল রুমে চলে যায় ।

নীলের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে ফাহিমের উপর। রাগে ফোস ফোস করতে করতে ওর রুমে চলে যায়।
.
.
.
.
রাফি নিশুর রুমে ঢুকে দেখে নিশু রুমে নেই। হেঁটে বারান্দায় গিয়ে দেখে নিশু দোলনায় বসে কানে ইয়ার ফোন গুজে মাথা হেলান দিয়ে চোন বন্ধ করে আছে ।

রাফি এটা দেখে মৃর হেসে আস্তে করে নিশুর পাশে গিয়ে বসে কানের ইয়ারফোন টান দিয়ে খুলে‌ ফেলে।

নিশু: কোন হারামজাদায় রে….[ বলে বামে তাকিয়েই ভয় পেয়ে যায় ]

নিশু মনে করে ছিল সাব্বির বা ফাহিম ওর ইয়ারফোন খুলে নিছে। রাফিকে দেখার জন্য নিশু মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
রাফির রাগ হয় নিশুর গালি শুনে।

নিশু: স…স..স্যরি আমি ভেবেছিলাম সাব্বির বা ফাহিম খুলে নিছে ইয়ারফোন। সত্যি আমি স্যরি……[ বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ]

রাফি দোলনা থেকে উঠেই নিশুকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বললো।

রাফি: আমিও না দেখে এখন একটা জীনিস করবো। সো তুমি রেডি তো….. [ বাঁকা হেসে ]

নিশুর চোখ রসগোল্লার মত হয়ে যায় এই কথা শুনে। ভয় পেয়ে যায় নিশু ,না জানি কি করবে এটা ভেবে। নিশু জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে রাফিকে। কিন্তু এক চুল পরিমান ও নড়ছে না রাফি।

রাফি : লাভ নেই…সরাতে পারবে না। শুধু শুধু টাইম নষ্ট করছো……।

নিশু:…………….

রাফি আস্তে আস্তে নিশুর ঠোঁটের দিকে এগোতে শুরু করে। নিশুর হার্ট বিট ফাস্ট কাজ করতে শুরু করে।
.
.
.
সাব্বির: ১০টা বেজে গিয়েছে ডিনারের জন্য সবাই কে ডাক দেই। আগে নিশু আপুর রুমে যায়।……[ বলেই মনের শুখে গান গাইতে গাইতে নিশুর রুমে আসে ] হায় হায় নিশু আপু গেল কই? বারান্দায় নয়তো?

বলেই তাড়াতারি করে বারান্দায় বামে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই,ডানে তাকাতেই সাব্বিরের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। হঠাৎ করেই নিশুর চোখ পড়ে সাব্বিরের উপর ।

নিশু: সাব্বির…….. ।

সাব্বিরের নাম বলার সাথে সাথে রাফি নিশু কে ছেড়ে দিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে সাব্বির হা করে তাকিয়ে আছে।

নিশু লজ্জা পেয়ে দৌড়ে বারান্দা থেকে যাবার সময় সাব্বির কে বলে ।

নিশু: Thanks……[ বলেই দৌড় ]

সাব্বির এখনো হা করে তাকিয়ে আছে।

রাফি রাগে ফেটে যাচ্ছে ।

রাফি: রুমে প্রবেস করার আগে নক করতে হয় সেটা কি জানিস না ।……..[ রেগে ]

সাব্বির: ভু…ভুলে গিয়েছিলাম…..[ তোতলিয়ে বললো ]

রাফি: গাঁধা…..[ বলেই রেগে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

সাব্বির এখনো বুঝতে পারছে না একটু আগে ঠিক কি দেখেছিল।
.
.
.
.
এদিকে ওমর হেঁটেই যাচ্ছে হেঁটেই যাচ্ছে কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে কথা কে সেটা কথা বুঝতেই পারছে না। কথার মাথায় কুবুদ্ধি চাপলো। ওমর কথাকে ছাদে নিয়ে এসেছে। পিছন ফিরে দেখে কথা নেই।

ওমর: হেই স্টুপিড মেয়ে….আমকে ফাকি দিয়ে চলে গেলে। এর শাস্তি দ্বিগুন হবে কথা।…..[ রেগে ]

কথা: আল্লাহ্ বেঁচে গেছি….কিন্তু কতক্ষন বেঁচে থাকবো। আবার তো ধরা পড়তেই হবে।……[ স্যাড মুডে ]
.
.
.
.
খাবারের টেবিলে বসে আছে সবাই। নীল,রাফি,ওমর রাগি রাগি ভাব নিয়ে খাবার খাচ্ছে। মিশু,নিশু,কথা মাথা নিচু করে খাবার খাচ্ছে। সাব্বির ও ফাহিম ওরা ভয়তে কোন কথা বলছে না। মিশু, নিশু,কথা খাবার শেষ করে তাড়াতারি করে টেবিল থেকে উঠে ওদের রুমে চলে যায়। যে যার রুমে গিয়ে গেট লক করে দেয় যাতে ওরা তিন জন আর রুমে আসতে না পারে।

সকালে….

ওমর,রাফি,নীল ওরা অফিসে চলে যায়। মিশু,নিশু,কথা এটা দেখে বড় একটা নিঃশ্বাস ন্যায়।মিশু,নিশু, কথা ওরা এক সাথে হল রুমে এসে বসে।

মিশু: ফাহিম….ফাহিম….[ জোরে চিল্লিয়ে ]

নিশু:..সাব্বির….সাব্বির…. কই রে তুই এখানে আয়….?

সাব্বির,ফাহিম হেঁটে হল রুমে এসে ওদের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়ায়।

মিশু: আরে তোদের কি হয়েছে?

নিশু: দেখ সাব্বির কালকের জন্য আমি তোকে এতো গুলো ধন্যবাদ দিলাম……।

সাব্বির: আপু রাফি ভাই আমার উপর রাগ করে আছে।….[ মৃদ স্বুরে ]

ফাহিম: নীল ভাই মোর উপরে রাগ কইরা আছে…।

মিশু: আরে রাগ করেনি….তোরা মন খারাপ করিস না। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।

নিশু: হ্যাঁ! জাস্ট কুল….।

কথা: কালকের ডসটা সেই হইছে……[ বলেই হাসতে লাগলো]

মিশু: কথা হাসিস না,তোর কঁপালে মঙ্গল ধসা আছে ।

নিশু: হ….আমাদের টা না হয় ভুলে হইছে। কিন্তু তুই! তোরটা তো আর ভুলে হয় নাই ।

কথা: এমন করে বলিস না রে ইয়ার….ভয় লাগে আমার ।

মিশু: আচ্ছা তোমার আবার ভয় ও লাগে?

নিশু: আগে মনে ছিল না । এখন ভয় লাগে আপনার ।

কথা: চুপ থাক না ইয়ার ।

মিশু, নিশু: 😒.

মিশু: ওই সাব্বির,ফাহিম বক্সটা বাজিয়ে আয়….একটু লুঙ্গি ডান্স দেই।

সাব্বির: আচ্ছা… ।

শুরু হলো এক চরম ডান্স। ওদের সাথে সাব্বির,ফাহিম ও নাচচ্ছে। ফাহিম তো পাগলা ডান্স দিচ্ছে খাইয়া না খাইয়া 😀।

এদিকে ওমর,নীল,রাফি ওরা সব দেখছে। ওদের কান্ড দেখে হাসবে না রাগ হবে এটাই বুঝতে পারছে না ওরা।

ডান্স শেষ…. হয়রান হয়ে গেছে ওরা।

ফাহিম: আফা আপনারা অনেক ভালা মানুষ। আপনাগো জন্য এহন একটু ভালো লাগে। আগে একা একা মেলা বোরাং লাগতো……।

নিশু: বোরাং……[ বলেই হেসে পড়লো ]

সাব্বির: গাঁধা ওটা বোরাং না বোরিং হবে….।

ফাহিম: ও মিসটাক হয়ে গেছে।

সাব্বির: মিসটাক না মিস্টেক হবে।

ফাহিম: একটা কইলেই হইবো।

সাব্বির: না একটা বললেই হবে না। পাবলিক রা তোকে জুতো দিবে এই ইংলিস শুনলে।

মিশু, নিশু, কথা হাসি থামাতে পারছে না হেসেই যাচ্ছে।

মিশু: ওহ! আল্লাহ্ সেই ইংলিস।

কথা: ভাঙ্গা ইংলিস….।

নিশু: হুদা জুতো না ঠেঙ্গার বারিও খেতে পারিস।

মিশু: আচ্ছা সাব্বির অনেক দিন হয়েছে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। চল কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি।

সাব্বির: এই কথা বইলেন না আপু ,ভাইয়া রা জানতে পারলে রাগ করবে।

কথা: তো তাদের কে বল । তারাও আমাদের সাথে যাবে।

সাব্বির: আচ্ছা ঠিক আছে আপু আমি ভাইয়া দের বলবো নে।

নিশু কথার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলো। কথা,মিশু একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।ওদের মনে কিছু একটা চলছে।

ওমর, নীল,রাফি বাসায় আসার পর সাব্বির ঘুরতে যাবার কথা বলে। ওমর,নীল,রাফি প্রথমে না করলেই পরে সাব্বিরের জোরা জোরিতে রাজি হয়ে যায়। সাব্বির মিশু,নিশু,কথা কে বলে ভাইয়া রা রাজি হয়েছে। ওরা অনেক খুশি হয় এই কথা শুনে । পরের দিন ওরা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মোট সাতটা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ওরা। তিনটা গাড়িতে ওমন, নীল,রাফি ওদের সাথে মিশু,নিশু,কথা আছে।আরেকটায় সাব্বির ও ফাহিম। আর তিনটি গাড়িতে বডিগার্ড । ওদের সিলেট পৌঁছাতে প্রায় রাত হয়ে যায় । একটা resort এ ওঠে ওরা । সবাই আলাদা রুম নিলেও মিশু,নিশু,কথা এক রুমে। রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে ওরা।

সকালে……
.
.
.
Continue To……😁