Romantic_Husband 😍,Part-7,8

Romantic_Husband 😍,Part-7,8
Tayeba_Rahman
Part-7

ঘুম ভাংতেই দেখি লাবু আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে।
রিসু- কি হাসছো কেন.??
লাবু- 😂😂😂(জোরে হেসে)
রিসু- কি হইছে বলবা তো হাসছো কেনো.??
লাবু- আপনি 😂😂😂😂 আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাকে চুমু খাচ্ছিলে..?😂😂
রিসু- মানে😒😒
লাবু- হাহাহাহাহাহাহাহাহা মানে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে উম্মমাহ উম্মমাহ করছিলেন😂😂
রিসু- আজাইরা কথা😒😒
লাবু- জানি বিশ্বাস করবেন না। এর জন্য আমি ভিডিও করে রেখেছি😑 এই দেখেন😂😂
রিসু- 😱😱😱 লেবুর বাচ্চা লেবু😡😡😡 (রেগে আগুন)
লাবু- আর একবার যদি লেবু বলেছেন আমি এখনি ফেবুতে আপ দিয়ে দিবো 😡😡
রিসু- এই না না সোনা বউ আমার এমন করে না আমার লহ্মি বউ এমনটা করে না সোনামনি 😬😬(দাতে দাত চেপে)
লাবু- হুম হুম ঠিক আছে😑

দেখতে দেখতে আমরা কক্সবাজার চলে আসছি। হোটেলে এসে আমি শুয়ে পরলাম লাবু ফ্রেশ হতে চলে গেলো বেচারি দুইবার বমি করছে শরীর ক্লান্ত। লাবু ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার পর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। বের হয়ে রুমেই খাবারের অর্ডার দিলাম। কিছুহ্মন পর খাবার এলো খেয়ে একটু রেস্ট নিচ্ছি। তখন লাবু বললো ।

লাবু- চলেন বের হই ☺️
রিসু- না আজকে আর না রাত হয়ে গেছে তার উপর তুমি খুব ক্লান্ত চোখ মুখ টেনে গেছে দুইবার বমি করছো। একটু রেস্ট নাও কাল সকালে যাবো সোনামনি। (কপালে চুমু দিয়ে)
লাবু- আচ্ছা 😔😔 (মন খারাপ করে)

লাবু মুখ টা কালো করে বারান্দায় চলে গেলো। বারান্দা থেকে বেস সমুদ্র দেখা যায়। লাবু চোখ বুজে সমুদ্রের গর্জন শুনছে আর হালকা ঠান্ডা বাতাস ওকে ছুয়ে যাচ্ছে। হটাৎ লাবু ওর পেটে ঠান্ডা কিছু অনুভব করলো। রিসু লাবুর শাড়ির নিচে হাত দিয়ে ওর নাভির পাশ দিয়ে স্লাইড করতে থাকে। ওর ঘারে নাক ঘসতে থাকে। আর রিসুর প্রতিটি স্পর্শে লাবু কেপে কেপে উঠে। লাবুর নিশ্বাস ভারি হয়ে আসছে। রিসুর প্রতিটা নিশ্বাস লাবুর গলায় বারি খাচ্ছে। রিসু আলতো করে ভিজে ঠোটে লাবুর গলায় চুমু খেলো। আর সাথে সাথে লাবু শিউরে ওঠে। আর পিছন ঘুরেই রিসুকে জরিয়ে ধরে। রিসু যেনো পাগল হয়ে যাচ্ছে। রিসু লাবুর থুতনি ধরে একটু উচু করে ওর ঠোটে ঠোট মিশিয়ে দেয়। রিসু লাবুর ঠোটের স্বাদ নিতে থাকে আর লাবু রিসুর। হটাৎ রিসু লাবুকে কোলে নিয়ে বেডের দিক যায়। আর লাবুকে বেডে শুইয়ে দেয় আর রিসু ওর শার্ট খুলে ছুরে ফেলে দেয়। এবার লাবুর আচল টা টেনে খুলে ফেলে। রিসু লাবুর গলায় গভির ভাবে চুমু খেতে থাকে আর লাবু রিসুর চুলের ভিতর হাত দিয়ে ওর মাথা নিজের গলায় চেপে ধরে। রিসু পাগলের মতো লাবুর গলায় চুমু দিয়ে যাচ্ছে। লাবুর মোহেই রিসু আজ মোহিত হচ্ছে। রিসু আর লাবুর ভালোবাসা আবারো পূর্নতা পেলো।
লাবু রিসুর বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরলো..
পরেরদিন সকালে❤️
লাবু রিসুর আগে উঠে শাওয়ার নিতে গেলো। কিছুহ্মন পর লাবু বের হয়ে রিসুকে ডাক দিলো। রিসু ঘুম থেকে উঠে লাবুর কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বললো
রিসু- গুড মর্নিং সোনামনি😘
লাবু- গুড মর্নিং। তারাতাড়ি শাওয়ার নিয়ে নিন বের হবো তো।
রিসু- আচ্ছা ব্রেকফাস্ট টা রুমে করবে না কি বাইরে.?
লাবু- না বাইরে করবো।
রিসু- আচ্ছা সোনামনি তুমি ৫ মিনিট ওয়েট করো আমি ১০ মিনিটের মধ্যে শাওয়ার নিয়ে আসছি😉

রিসু শাওয়ার নিতে চলে গেলো আর লাবু সাজুগুজু করতে বসে গেলো।
হালকা পিংক আর হোয়াট কালারের ভিতর একটা লং থ্রিপিস পরে নিলো চুল গুলো একটু উচু করে বেধে ছেরে দিলো। হালকা লিপ্পি আর হালকা কাজল। সিম্পলের মধ্যে সেজেগুজে নিলো। রিসু বের হয়ে ব্লাক জিন্স আর হোয়াইট একটা শার্ট পরে নিলো। তারপর দুজনে একসাথে বেরিয়ে পরলো।
ওরা একটা রেস্টুরেন্টে ব্রেকফাস্ট করে নিলো। ব্রেকফাস্ট করে বিচে চলে গেলো। দুজন হাটছে হটাৎ লাবুর ঘারে কেউ হাত রাখলো। আর লাবু পিছনে ফিরে তাকাতেই সকড…

চলবে……….

#Romantic_Husband 😍
#Tayeba_Rahman
#Part-8
দুজনে হাটছে হটাৎ লাবুর ঘারে কেউ হাত রাখলো। আর লাবু পিছনে ফিরে তাকাতেই সকড…

লাবু- OMG 😱😱😱😱😱😱 ইমতিয়াজ ভাইয়া তুমি.? এতো দিন পর😱😱
ইমতিয়াজ- জ্বিইইইইইইইইই হ্যাঁ আমি তা কেমন আছেন ম্যাডাম ☺️ আর রিসু কি খবর দোস্ত☺️☺️
লাবু- খুব খুব ভালো তুমি কেমন আছো.??
রিসু- যাহ বেটা কথা কইস না তুই আমগো লগে😏
ইমতিয়াজ – সরি দোস্ত তারাহুরোয় কেউকে বলে যেতে পারি নি..😞

হুম এই সেই ইমতিয়াজ লাবুর সিনিয়র বড় ভাই। আর রিসুর বেস্ট ফ্রেন্ড।

রিসু- আচ্ছা চল বসে কথা বলি
ইমতিয়াজ – আরে দারা আমার ওয়াইফ আসছে পরিচয় করিয়ে দেই☺️

লাবু- বিয়ে করেছো জানলাম ও না 😒😒
রিসু- হুহ😒😒
ইমতিয়াজ- কাকে কি বলছিস তোরা..??😡😡😡 তোরা বিয়ে করছিস আমাকে জানাইছস.?😡 আমি তো বিয়ে করছি দেশে এসে আজ ১৩ দিন 😡😡
রিসু- তোকে কি বলবো তুই তো আগেই লন্ডন চলে গেছিস😒 আর খোজ ও পেলাম না😒
লাবু- তুমি আমাদের সাথে সুন্দরবন যাওয়ার কথা বলে লন্ডন চলে গেছো। তোমার উপর রাগ আমি😑😑
ইমতিয়াজ – আচ্ছা এসব কথা পরে হবে আয় ওই দিকে পরিচয় করিয়ে দেই আমার ওয়াইফ এর সাথে.😊

ইমতিয়াজ ওদের নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট এ গেলো। সেখানে ছিলো ইমতিয়াজ এর ওয়াইফ আর ইমতিয়াজ এর বোন। ওদের সাথে পরিচয় হওয়ার কিছুহ্মন আড্ডা দেয়। দুপুরের লাঞ্চ টাও এক সাথে সেরে নেয়। হোটেলে আসার সময় ইমতিয়াজ বললো।

ইমতিয়াজ- সন্ধ্যায় সবাই বিচে চলে আসিস তোদের প্রেম কাহিনি আর বিয়ের কাহিনি শুনবো ☺️
লাবু- আচ্ছা এখন তাহলে উঠি।
ইমতিয়াজ – ওকে বায় সন্ধ্যায় দেখা হচ্ছে.

রিসু আর লাবু ওদের বায় বলে হোটেলে চলে আসে। এসে দুজন ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিতে নিতে ঘুমিয়ে পরে।
সন্ধ্যায় ইমতিয়াজ এর ফোন আসে।

রিসু- হ্যালো (ঘুম ঘুম)
ইমতিয়াজ- শালা কখন থেকে আমরা অপেক্ষা করছি কতো বাজে দেখছিস.? ১০ মিনিট এর মধ্যে রেডি হয়ে নিচে আয়.
রিসু- সরি সরি সরি দোস্ত আমরা এখনি আসছি।

ফোন কেটে দিলো। রিসু লাবু কে ডেকে উঠালো দুজন ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরলো। বেরিয়ে বিচে চলে আসলো। এসে দেখে সবাই ওদের জন্য অপেক্ষা করছে।

রিসু- সরি ইয়ার অনেক ক্লান্ত ছিলাম তাই ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
ইমতিয়াজ – আরে রাখ বেটা আগে কাহিনি বল। মানে কি ভাবে কি হলো কিছুই তো জ্বানি না।
লাবু- ভাইয়া আর বলো না ওই সব কথা মনে পরলে আমার এখনো অনেক হাসি পায় 😂😂( বলেই লাবু আর রিসু জোরে জোরে হাসা শুরু করে দিলো)
ইমতিয়াজ- হইছে এবার আমাদের বল আমরা ও একটু শুনি😒😒

লাবু বলা শুরু করলো।
(আসেন আমরাও একটু শুনি ওদের লাভ স্টরি টা 😜বাসে কি হয়েছিলো তা তো সবাই জানেন। এবার শুনেন সুন্দরবন গিয়ে কি হয়েছে😂)

সকাল ৮টায় সুন্দরবন পৌছলো ওরা। বাস থেকে নেমে সবাই ব্রেকফাস্ট করে নেয়। ব্রেকফাস্ট সেরে। সবাই যার যার ঘুরতে চলে যায়। লাবু,নেহা আর জুই ওরা এক সাথে। আর রিসু ওর দুইটা ফ্রেন্ড এক সাথে। লাবুরা তিনজন হাটছে হটাৎ একটা বানরের বাচ্চা দেখে লাবু। লাবু হাতে ছোট একটা লাঠি নিয়ে বানরকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে।

জুই- লাবু কি করছিস.? বাচ্চাটার বাবা মা দেখলে খবর করে দিবে।
লাবু- আরে আমি কি মারতে যাচ্ছি না কি.?? ওকে কাছে এনে ধরবো 😁 আগে দেখি লাঠি সামনে দিলে কি রিয়াক্ট করে।
নেহা- লাবু ভয় করছে কিন্তু চলে আয়।
লাবু- উফফ তোরা চুপ থাকবি.?😡😡 দেখছিস তো বাচ্চাটা কিছু বলছে না। আর আসে পাশে কোনো বানর ও নাই। ভয় কিসের এতো বুঝি না😡
জুই- যা ইচ্ছা কর বইন তুই থাক আমরা গেলাম
নেহা- লাবু তুই কি যাবি না কি আমরা চলে যাবো.??
লাবু- যা তো 😡😡

জুই আর নেহা রাগ করে চলে গেলো।
লাবু একটু একটু করে বানরের বাচ্চাটাকে ধরার চেষ্টা করছে। হটাৎ বাচ্চাটা চিৎকার দিয়ে উঠলো। আর সাথে সাথে কয়েকটা বানর লাবুর দিকে তেরে আসতে লাগলো।

লাবু- মাগো মা রান লাবু 😬😬😬
লাবু দৌড়াতে থাকে আর ওর পিছু পিছু বানর গুলা ও দৌড়াতে থাকে।
অনেকটা দৌড়ানোর পর হটাৎ লাবু কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে তার উপর পরে যায়। লাবু ভয়ে তাকে জরিয়ে ধরে আর বলে
লাবু- প্লিজ প্লিজ হেল্প মি হেল্প মি প্লিজ।
অচেনা- বানর গুলো চলে গেছে চোখ খুলো.😂😂
লাবু আস্তে আস্তে চোখ খুলে। খুলেই দেখে রিসুর বুকের উপর। লাবু রিসুকে দেখে বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে।

রিসু- এই যে মিস লেবু আপনি এখানে কেন.?? আর বানর তারা করছিলো কেন.?

উঠে দারিয়ে রিসুকে সব বলে। আর রিসু হাসতে হাসতে গরাগরি খাচ্ছে।

লাবু- আপনি হাসছেন আর আমার জান বের হয়ে আসছিলো 😩
রিসু- (লাবুর দিকে এগিয়ে ওর অনেকটা কাছে দারিয়ে) জানটা তো আর বের হয় নি তার আগেই তো আমি চলে এলাম মিস লেবু 😉

হা হয়ে রিসুর চোখের দিক তাকিয়ে আছে। কি মায়া চোখে ইচ্ছে করছে এই চোখের মায়ার সাগরে ডুবে মরি।

রিসু- এই যে মিস লেবু ভাবনার সাগর থেকে উঠে আসুন। তা না হলে ডুবে মরবেন তো😂😂

লাবু লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো।
রিসু- চলো ওই দিক টায় যাই।
লাবু- চলুন।

ওরা দুজন হাটছে। বেস ভাব হয়ে যায় দুজনের মাঝে।
ঢাকা ব্যাক করার সময় এক সাথেই বসে। ওদের মাঝে ফ্রেন্ডশিপ হয়। ঢাকা এসে ও অনেক বার মিট করে ঘুরতে যায়। ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে। দুজন দুজনকে ভালো বাসে কিন্তু কেউ কেউ কে বলতে পারে না.. যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায় দুজনের মধ্যেই দুজনের জন্য আলাদা একটা ফিলিংস। দেখতে দেখতে ২ বছর কেটে যায়।
এর মধ্যে একটা ছেলে লাবুকে খুব ডিস্টার্ব করে। লাবু একদিন কলেজ থেকে বাসায় আসছিলো। তখন ছেলেটা রাস্তার মধ্যে লুবার হাত ধরে ফেলে। ছেলেটা লুবার এলাকার-ই। গুন্ডামি মাস্তানি করে বেরায়। মোট কথা এলাকার বড় ভাই। লালচান বললে একনামে চিনে। (ছেলেটার নাম লালচান)

লালচান- ও সুন্দরী কই যাও..? (লাবুর হাত ধরে)
লাবু- কি হচ্ছে কি..? রাস্তার মধ্যে হাত ধরলেন কেন.?😡 (রাগ নিয়ে)
লালচান- বেস কয়েদিন ধইরা দেখতাছি একটা পোলার লগে হাইসা হাইসা হেইলা ঢুইলা কথা কও.. কেডা ওই পোলায়.??
লাবু- সেটা আপনাকে বলতে যাবো কেন.?? 😡
লালচান- (লাবুর হাত আরো জোরে চাপ দিয়ে ধরে) ওই মাইয়া চুপ😡 চিনছ আমারে.?? লাল আমি লাল এই এলাকার দাদা। বেসি বারাবারি করবি তো উডাই লইয়া এমন অবস্থা কইরা ছাইরা দিমু। কোনো পোলায় আর তর দিক তাকাইতে পারবো না বুঝছস..? তুই খালি আমার। এই লালের বউ। ফের যদি ওই পোলার লগে টাংকি মারা দেহি। ঠ্যাং ভাইংগা ঘরে বহাই রাহুম। আর ওই পোলার যে কি অবস্থা করুম ভাবতেও পারবি না..😡😡
লাবু- আহহ হাত ছারেন লাগছে আমার😭 ( কান্না করে)
লালাচান- নে আইজকার মত ছাইড়া দিলাম এর পরেত্তে যানি ওই পোলার লগে দেহি না। খুন কইরা লামু😡

লালচান লাবুর হাত ছেরে দিয়ে চলে যায়। লাবুর হাতে অনেক ব্যাথা পায়। রক্ত জমাট বেধে যায়। লাবু কান্না করতে করতেও এক দৌড়ে বাসায় চলে আসে। এসেই দরজা লাগিয়ে দেয়। ওর দৌড় দেখে লাবুর আম্মু দৌড়ে ওর রুমের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কায়।

আম্মু- লাবু কি হইছে মা এ ভাবে দৌড়ে এসে দরজা লাগিয়ে দিলি কেন.??
লাবু দরজা খোল মা কি হয়েছে বল আমাকে..কেউ কিছু বলেছে.? স্যার কিছু বলেছে.? দরজা খোল মা।
লাবু- উফফ আম্মু যাবে এখান থেকে.? কিছু হয় নি আমার। যাও ভালো লাগছে না আমার।

লাবুর আম্মু চলে যায়। লাবু কিছুহ্মন কান্না করে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রিসু মেসেজ দিছে..

রিসু- হাই..
লাবু- হুম..
রিসু- বাসায় গেছো কখন.?
লাবু- কিছুহ্মন আগে..
রিসু- কি করছো..?
লাবু- কিছু না..
রিসু- খাইছো.?
লাবু- না..
রিসু- কেনো.??
লাবু- এমনি..
রিসু- মন খারাপ.??
লাবু- না..
রিসু- শিওর..?
লাবু- হুম..
রিসু- আচ্ছা বিকেলে মিট করবে আজকে..?
লাবু- কোথায়.?
রিসু- যেখানে প্রতিদিন করি..
লাবু- কখন.?
রিসু- ৫টায়.??
লাবু- ওকে চলে আসবো। এখন বায়
রিসু- ওকে বায়…

বিকেলে লাবু রেডি হয়ে বের হলো। মন খারাপ একটু ও সাজুগুজু করলো না। লাবু গিয়ে দেখে রিসু বরাবরের মতো আগে এসে অপেক্ষা করছে।

লাবু- কখন আসছেন.?
রিসু- (পিছনে) ফিরে ওহ আসছো তুমি.? এই তো মাত্র.. 😊

লাবু পাশে চুপচাপ বসে আছে। কোনো কথা বলছে না। মুখটা ফ্যাকাসে লাগছে।

রিসু- কি হয়েছে তোমার.?? চুপচাপ বসে আছো যে.??
লাবু- কিছু না এমনি।

রিসুর হটাৎ ওর হাতের দিক চোখ গেলো। বেস খানিকটা যায়গা নিয়ে রক্ত যমাট হয়ে গেছে। রিসু হাতটা ধরে।

রিসু- হাতে কি হয়েছে.??
লাবু- কিছু না এমনি ব্যাথা পাইছিলাম।
রিসু- এমনি ব্যাথা পাওয়ার দাগ তো এটা না স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কেউ হাত চাপ দিয়ে ধরেছিলো।
লাবু-…………(চুপ)
রিসু- কি হয়েছে লাবু বলো.?? 😠(রাগ করে)

লাবু মাথা নিচু করে কেদে দিলো.

রিসু- এই তুমি কাদছো কেনো.?? কি হয়েছে বলো আমাকে.??
লাবু রিসুকে সব খুলে বললো। রিসু সব শুনে রাগে ফুলছে। ইচ্ছে করছে এখনি গিয়ে ওকে মেরে ফেলি।
রিসু- আচ্ছা সন্ধ্যা হয়ে গেছে চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।
লাবু- না আপনি ওই আমার সাথে যাবেন না ওরা দেখলে ঝামেলা হয়ে যাবে।
রিসু- ঝামেলা হলে দেখা যাবে চলো..

লাবু রিসুর বাইকে উঠলো.. লাবুকে বাসায় পৌছে দিলো।
লাবুকে দিয়ে আশার সময় রিসু লালচানের গোডাউনে গেলো।
রিসু- লালচান কে.?? 😠(রাগ নিয়ে)

কয়েকটা ছেলে রিসুকে ঘিরে ধরলো। রিসু আবার বললো।
রিসু- ভালোই ভালো বলছি। লালচান কে.???? সামনে আয়।
হটাৎ কেউ আড়াল থেকে বলে উঠলো।
বাহ বাঘের খাচার সামনে বাঘের খাবার চলে এসেছে.?? কথাটা বলে সামনে এলো

রিসু- তুই লালচান.???
লালাচান- হ মিয়া ভাই আমি লালচান। তা আফনে এনে কি করতে আইছেন.??
রিসু- তুই লাবুকে কি বলেছিস.??? 😡(রাগ নিয়ে)
লালাচান- এএএ চুপ 😡 ভাবি বল ভাবি। ও আমার বউ। আকি ওরে বিয়া করুম। তরে তো অনেক আগেই শেষ কইরা দিতাম। ভাবছিলাম যে তুই লাবুর বন্ধু হবি। মাগার যেই ভাবে ঘেইসা ঘেইসা চলা ফেরা করচ। আমার মন তো আরেকটা কইলো।
আমি লাবুরে মানা করছিলাম তর লগে যানি না মিশে। অয় কথা হুনে নাই। অয় আমার কথা না হুইন্না তর লগে ঘুইরা বেরাইছে আবার সব কথা কইয়া ও দিছে।
অরে তো আমি উডাই লইয়া আমু রে।
রিসু- হাহাহাহা তুই লাবু কে উঠাই আনবি.?? হাহাহাহা আমি লাবুকে ভালোবাসি কিন্তু আজ অব্দি বলতে পারি নাই। ওর দিক চোখ দিবি না চোখ তুলে ফেলবো আমাকে চিনস না 😡
রিসু কথা শেষ করার আগেই পিছন থেকে কেউ ওকে বাড়ি মারে। আর রিসু নিচে পরে যায়।
রিসু উঠেই সবাইকে একে একে মারতে থাকে।

(ওই ঢুশুম ওই ঢুশুম) 😜😜
সবাইকে মেরে আধ মরা বানিয়ে দিছে। আর লালচানের অবস্থা বেশি খারাপ করছে। সবাইকে মেরে রিসু নিজেই হস্পিটালে নিয়ে যায়। সবার চিকিৎসা করে। বাট লালচান মাথায় অনেক আঘাত পায় যার কারনে কোমায় চলে যায়।

বেশ কয়েকদিন পর❤️
লাবুর বাসায় দুজন লোক আসে লাবুকে দেখতে।
তারা লাবুকে দেখে যায়। আর পছন্দ ও করে।

ছেলের মা- আপা আপনাদের মেয়েকে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। আপ্নারা ৫ তারিখে আমাদের বাসায় এসে ছেলে কে দেখে যাবেন।
লাবুর মা- জ্বি আচ্ছা আমরা যাবো।
ছেলের বাবা- তাহলে আমরা আজ উঠি। আপনারা সময় মতো চলে আসবেন।
লাবুর বাবা- জ্বি আল্লাহ হাফেজ।

তারা বাসা থেকে বের হতেই লাবু চিৎকার চেচামেচি শুরু করলো।

লাবু- আব্বু আমি বিয়ে করবো না। মাত্র ভার্সিটিতে উঠলাম আব্বু। 😭😭
লুবার আব্বু- বিয়ের পর পড়াবে বাবু কান্না করে না। আর দেখতে আসলেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না মা। আমরা যাই ছেলে দেখি তারপর কথা।

৫ তারিখ❤️
বিকেল বেলা লাবুর বাবা মা ছেলে দেখতে গেলো। ছেলে খুব পছন্দ হলো।
কিন্তু ছেলে মে কেউ কেউকে দেখে নি।

চলবে………