#I_Love_U
#part_2_3
#sarika_Islam
2
এভাবেই নিয়া লজ্জায় ফালিয়ে দিল,,আবার নিহান ভাইয়াও,,কিন্তু নিহান ভাইয়াতো সবার সামনেই বলে দিল,,
‘এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস রাহা?ছেলে কি কখনো দেখিস নি নাকি?’
সবার সামনে এই কথাটা বলায় আমি তারাতারি ভাইয়ার থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম,,ছিহ এইভাবে কেউ কাউকে লজ্জায় ফালায়?আস্তাগফিরুল্লাহ,,আম্মু আপু আন্টির দিকে তাকালাম,,তারা মনে হলো ভাইয়ার কথায় কোন প্রকার শকড হলো না,,তারা তাদের মতোই কাজ করে যাচ্ছে,,,যাক বাবা এটলিস্ট তারা তো আর লজ্জা দিল না,,এই ছেলেটার দিকে তাকাবোই না হুহ,,,,নিজেকে নিজে কি মনে করে আল্লাহই জানে!!!নিহান ভাইয়া আন্টির পাশে বসে বেস্ত গলায় বলল,,
‘আম্মু বাসার চাবী দাও বাড়ি যাবো,,’
মাঝদিয়ে আম্মু বলে উঠলো,,,
‘সেকি নিহান তুই বাড়ি যাবি কেন?রাতে একবারে খেয়ে একসাথে যা?’
‘নাহ আন্টি আমি ফ্রেশ হবো তারপর খাবো,,নাহলে আজ আমি শান্তি পাবো না অনেক গরম লাগছে,,’
বলে শার্টের আরেকটা বোতাম খুলে দিল,,আমি নিয়ার সাথে কথা বলছি আর আড়চোখে ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছি,,যতই বলি তাকাবো না ততই ছেলেটা বাধ্য করে তাকাতে,,এইযে দেখ এখন আরেকটা বোতাম খোলার কি দরকার ছিল?ধুর,,এভাবেই তো কতবড় ক্রাশ খেয়ে বসে আছি আরো আমাকে পটানোর ধান্দা,,আম্মু বলল,,
‘তাহলে যা উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়?’
আন্টিও বলল,,
‘হ্যা বাবা যা উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়,,তোর বাবা আসলে একসাথে যাবো,,’
‘আচ্ছা’
বলে ভাইয়া উপরে গেল,,আম্মু আমাকে বলল,,
‘রাহা যা গিয়ে নিহান কে টাওয়াল আর ওর রেখে যাওয়া একটা টি-শার্ট আছে সেটা দিয়ে আয়,,’
আমি মচরামুচরি করতে করতে আম্মুকে বললাম,,
‘আম্মু রিমা আপুকে বলো না প্লিজ!!!’
অনুরোধ স্বরে বললাম,,নিহান ভাইয়ার সামনে যেতে চাই না তাও ভাগ্য শুধু শুধু তার সামনেই পাঠায়,,রিমা আপু রুহিকে কোলে নিয়ে বলল,,
‘রুহি কান্না করছে তুই যা রাহা,,’
আমি স্যাড ফেস করে উঠলাম,,নিয়া আমাকে খোচা মারলো,,আমি ফিসফিস করে বললাম,,
‘ধুর এইসব ভাল্লাগে বল?আবার দেখলে আমি আবার ক্রাশ খাবো,,’
‘তুই এত ক্রাশ খাস কিভাবে বলতো?’
‘শুধু তোর ভাইকে দেখেই ক্রাশ খেয়েছি হুহ ভাগ্য তোর ভাইয়ের,,’
মুখ ভেংচি কেটে উপরে গেলাম,,ওয়াশ্রুমের দরজা নক করলাম,,
‘ভাইয়া টাওয়াল,,’
কিছুক্ষন পর ভাইয়া দরজা খুলল,,আমার হাত থেকে টাওয়াল নিল,,টাওয়াল নেওয়ার সময় ভাইয়ার হাত হাল্কা আমার হাতের সাথে লাগলো,,ইসসসস মনে হলো পুরো শরিরে কারেন্ট লেগে গেল,,কাবার্ড থেকে ভাইয়ার টি-শার্ট টা বের করলাম,,আর তখনি ভাইয়া ওয়াশ্রুম থেকে বের হলো,,আমি ঘুরে ভাইয়াকে টি-শার্ট দিবো দেখালাম ভাইয়া শুধু টাওয়াল পেচিয়ে দারিয়ে আছে,,আমি তারাতারি ঘুরে দারালাম,,ভাইয়াকে বললাম,,
‘এ,,এইভাবে এসেছেন কেন?’
‘তাহলে কিভাবে আসবো?আর এমন ঘুরে দারানোর কি আছে?’
ভাইয়া ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,,আমার হাত থেকে ভাইয়া টি-শার্ট নিয়ে পরে নিল,,আমি উল্টো ভাবেই দিলাম দৌড়,,নিজের ঘরে এসে বুকে হাত দিয়ে হাপাতে লাগলাম,,নিয়া বসে বসে ফোন টিপছে,,আমাকে এভাবে হাপিয়ে আস্তে দেখে ফোন রেখে আমার পাশে এসে বলল,,
‘কিরে কি হলো?এভাবে হাপাচ্ছিস কেন?’
‘আরে ক্রাশকে আজ দেখে আরেক দফা ক্রাশ খেলাম,,’
বলেই বুকে হাত দিলাম,,
‘এভাবে ক্রাশ খেতে থাকলে তো একদিন হার্ট অ্যাটাক করবোরে,,’
‘তুই আর তোর ক্রাশ সারাদিন খাই খাই করে,,চল নিচে আন্টি খেতে ডাকছে,,’
নিয়া আমাকে সাথে করে নিচে নিয়ে গেল,,খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম,, আন্টিরাও চলে গেল,,
পরেরদিন সকালে,,
ঘরির এলার্মে ঘুম ভাংগলো,,পিট পিট করে চোখ খুলে ঘরির এলার্ম বন্ধ করে উঠে বসলাম,,হাই তুলতে তুলতে ওয়াশ্রুমে গেলাম,,ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে নিচে গেলাম নাস্তা শেষ করে কলেজের জন্য বেরুলাম,,,রাস্তায় এসে নিয়াকে কল করলাম,,
‘কিরে বের হসনি এখনও?’
‘হুম আয়,,’
খানিক্টা হেটে সামনে গিয়ে দেখলাম নিয়া দারিয়ে আছে সাথে কোটসুট পরিহিত নিহান ভাইয়া,,চোখে চশমা দিয়ে ফুল স্টাইলে দারিয়ে আছে,,নিহান ভাইয়া এখানে কেন?সকাল সকাল তাকে ফরমাল লুকে দেখে আরেকদফা ক্রাশ,,নিয়ার পাশে গিয়ে দারিয়ে বললাম,,
‘এই তোর ভাই সাথে কেন?’
‘ভাইয়া নাকি আজ ড্রপ করে দিবে,,,’
‘কেন?’
নিয়া আর কিছু বলতে পারলো না,,ভাইয়ার ফোন আসলো,,ভাইয়া তারাহুরো করে বলল,,
‘নিয়া তোরা চলে যা আমার কিছু আর্জেন্ট কাজ আছে,,’
বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো,,
‘যাক বাবা ভালোই হলো আমরাই যাই,,’
একটা রিকশা নিলাম,,কিছুক্ষন পর কলেজের গেটের সামনে এসে থামলো,,ভাড়া মিটিয়ে ভিতরে গেলাম,,ক্লাশ শুরু হয়ে গেছে,,
দুপুর 12টার দিকে ক্লাস শেষ হলো,,আমরা গেটের সামনে দারিয়ে আছি রিকশার জন্য,,এভবেই কতো গরম তার উপর কড়ারোদ,,মাথার মগজ গলে গলে পরবে যদি আর কিছুক্ষন এই রোদের মাঝে থাকি,,একটা রিকশা পেয়ে গেলাম,,তারাতারি করে উঠে পরলাম,,হঠাৎ রিকশার সামনে একটা গাড়ি এসে দারালো,,,গাড়িটা দেখে চিনে গেলাম কার?নিহান ভাইয়ার গাড়ি,,আমি নিয়াকে বললাম,,
‘কিরে এখন নিহান ভাইয়া?তাও আমাদের রিকশার সামনে কেন?’
‘আমি কিভাবে জানবো?চল গিয়ে দেখি,,’
রিকশা থেকে নামতে যাবো তখনি আমার ওড়নায় টান পরে,, পিছে ফিরে দেখি রিকশার চাকায় বেজে আছে,,নিহান ভাইয়া এসে ওড়না খুলে দিল,,আমার দিকে রাগিভাবে তাকালো,,আল্লাহ এভাবেই তো সিরিয়াস মুড তারউপর এই রাগীভাব!!ভাইয়া বলল,,
‘গাড়িতে উঠ,,’
আমরা দুইজন চুপচাপ ভাইয়ার গাড়িতে উঠলাম,,ভাইয়া সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করেই যাচ্ছে একটা কথাও বলছে না,,আমরাও ভয়ে কথা বলছি না,,যদি হুংকার মারে?তাও সাহস জুগিয়ে বললাম,,
‘ভাইয়া এই নিন টিস্যু,,’
ব্যাস এতটুকু বললাম আর দিল চিল্লান,,
‘কি করবো টিস্যু খাবো?’
আমি আর নিয়া কেপে উঠলাম,,ভাইয়া এত রাগ কখনোই করে না,,তাহলে আজ কি হলো?নিয়া বলল,,
‘ভাই চেচাচ্ছিস কেন?’
‘নিহাকে দেখেছি ওর হাসবেন্ডের সাথে,,’
বলেই থেমে গেল,,আমি নিয়ার দিকে তাকালাম নিয়ারও মুখটা চুপসে গেল,,নিহান ভাইয়া জোরে জোরে ড্রাইভ করছে,,এই নিহা টা কে?দুই ভাইবোনই চুপ হয়ে গেল?
চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🖤)
#I_Love_U
#part_3
#sarika_Islam
পরের দিন সকালে কলেজ গেলাম আজ নিয়া আসলো না আমার সাথে,, আজ নাকি সে কলেজ যাবে না,,বুঝলাম না কি হলো?কাল নিহা নামের মেয়েটার কথা শুনার পর কেমন চুপচুপ থাকছে ব্যাপারটা বুঝতে হবে,,
কলেজ শেষ করে বাড়ি আসলাম,,বিকেল দিকে নিয়াদের বাড়ি গেলাম,,দরজায় বেল বাজালাম একজন মহিলা এসে দরজা খুলে দিল,,মহিলাটা বাড়ির কাজের বুয়া,,,আমি মিনা খালাকে জিজ্ঞেস করলাম,,
‘খালা নিয়া কই?’
‘নিয়া মা তো তার রুমে মা,, ‘
‘আচ্ছা খালা,,,’
আমি উপরে গেলাম,,নিয়ার রুমের দরজায় নক করলাম কিন্তু কোন সারা নেই,,দরজা হাল্কা ধাক্কা দিলাম খুলে গেল,, দরজা চাপানো ছিল,,ভিতরে গিয়ে নিয়াকে রুমে পেলাম না,,বারান্দায় হবে হয়ত কিন্তু না বারান্দায় ও নেই,,ওর রুম থেকে বের হয়ে সামনে গেলাম নিহান ভাইয়ার রুম থেকে নিয়ার শব্দ পাচ্ছি,,দরজাটা খুলে ভিতরে ঢুকলাম,,তারা দুইজন সম্ভবত কিছু বলছিল আমাকে দেখে চুপ হয়ে গেল,,নিয়া হাসার চেষ্টা করে আমার কাছে এসে বলল,,
‘আরে রাহা তুই কখন এলি?’
‘এইত এখন,,'(খানিকটা ভ্রু কুচকে)
‘আচ্ছা আয় রুমে যাই,,’
আমাকে নিহান ভাইয়ার রুম থেকে নিয়ে এলো,,,ভাইয়া পিছে ফিরেও তাকালো না,,এভাবে নিয়ে আসার মানেটা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না,,নিয়া আমাকে রুমে নিয়ে বসালো,,আমি জিজ্ঞেস করলাম,,
‘আজ কলেজ এলি না কেন?’
‘এভাবেই ভালো লাগছিল না,,’
‘ভাইয়া অফিস যায়নি?’
‘নাহ,,আজ নাকি ভাইয়ারও ভালোলাগছে না,,’
বলেই আলগা হাসি দিল,,আমার কেমন যেন ব্যাপারটা ভালো ঠেকলো না,,আমি নিয়াকে আমার পাশে বসিয়ে বললাম,,
‘কি হয়েছে আমাকে বল?’
‘আরেহ কি হবে কিছুই না,,’
‘আমাকে বলবি না?’
কিছু বলতে যাবে নিয়া তখন রুমে আন্টি আসে,,আমি তাকে সালাম দিলাম, নিলা আন্টি আমার মাথায় হাত রেখে বলল,,
‘কিরে বাচ্চা কখন এলি?’
‘এইতো আন্টি এখন,,’
‘আচ্ছা তোরা কথা বল আমি খাবার পাঠাই,,’
বলেই আন্টি চলে গেল,,নিয়া আর কিছু বলল না আমিও জিজ্ঞেস করলাম না,,হয়ত বলতে চাচ্ছে না নাহয় ভুলে গেছে,,আমরা অন্যান্য কথা বললাম,,সন্ধার দিকে বাসায় এসে পরলাম,,
দুই দিন পর,,
এই দুই দিনে তারা দুই ভাইবোন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে,,নিয়াও এখন কলেজ আসে ভাইয়াও অফিস যায়,,কলেজ শেষে বাড়ি গেলাম,,কয়েকদিন পর এক্সাম,,পড়াশোনার চাপ পরে গেছে অনেক,,আজ আমাদের আন্টিদের বাড়ি যাওয়ার কথা তারা ছোট একটা পার্টি রেখেছে,,চিনাজানা মানুষরা শুধু ইনভাইটেড,,,বিকেলের দিকে তাদের বাড়ি গেলাম আজ আমি শাড়ি পরেছি সাদা শাড়ি লাল পার,,চুলগুলো খোপা করে নিলাম,,আর কানের দুল ঠোঁটে নুড কালার লিপ্সটিক ব্যাস হয়ে গেছে,,
নিলা আন্টিদের বাড়ি আসলাম,,বাড়িটা হাল্কার মধ্যে সুন্দর করেই ডেকুরেট করেছে,,নিয়াও আজ শাড়ি পরেছে আমার মতোই,,সন্ধ্যার দিকে আস্তে আস্তে সব মেহমান চলে আসলো,,নিহান ভাইয়া সাদা সুট পরেছে,,খুবি ডেসিং লাগছে,,নিহান ভাইয়া ড্রিংক সাইডে ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছে দারিয়ে দারিয়ে,, আমি আর নিয়া কিছুটা দূরে দারিয়ে আছি,,আমি ভাইয়ার দিকেই তাকিয়ে আছি এত্ত সুন্দর ছেলে হয় নাকি?তখনি তাদের সাথে একটা মেয়ে জয়েন করলো,,মেয়েটাকে দেখে ভাইয়ার চেহারার রঙ পালটে গেল,,হাসি মুখটা পুরো চুপসে গেল,,মেয়েটা আরেকটা ছেলের হাতে হাত দিয়ে হেসে হেসে কথা বলছে,,আরেকটা ফ্রেন্ড ওই মেয়েটার উদ্দেশ্য বলল,,,
‘আরে নিহা তোর মেরিড লাইফ কেমন চলছে?’
নিহা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলল,,
‘আমার আর নিহালের লাইফ খুব ভালোই চলছে,,আমরা দুইজন খুবি হ্যাপি,,’
‘ওয়াও,,’
তাদের জুটি দেখে সবাই খুশি শুধু মাত্র নিহান ভাইয়া ছাড়া,,বুঝলাম না এতে এত্ত আপ্সেট হওয়ার কি আছে?আমি নিয়াকে মেয়েটাকে দেখিয়ে বললাম,,
‘এই নিয়ু ওইটাই কি নিহা আপু?’
নিয়া আমার কথা শুনে তাদের দিকে তাকালো,,নিহা আপু আর তার হাসবেন্ড নিহালকে দেখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,
‘হুম,,তুই কিভাবে জানলি?’
‘আরে তাদের বলতে শুনলাম,,’
‘এত দূর থেকে শুনে গেলি?’
‘এত দূর কই কাছেই তো?আচ্ছা এই নিহা আপুকে দেখে নিহান ভাইয়ার চেহারার রঙ এমন পালটে যায় কেন?’
‘আসলে,,,,’
কিছু বলতে যাবে তখনি নিলয় আংকেল মাঝখান দিয়ে আমাদের কাছে এসে বলল,,
‘কিরে তোরা এখানে দারিয়ে কি করছিস?’
‘এইতো আংকেল এভাবেই দারিয়ে আছি,,’
‘সেকি সেটা কি হবে নাকি?আয় আয়,,’
বলেই আমাদের মাঝে নিয়ে গেল,,সবাই ডান্স করছে,,আমরাও হাল্কা নাচতে লাগলাম,,কিন্তু আমার নজর নিহান ভাইয়ার দিকেই তাকে কেমন জেন দেখাচ্ছে অনেকটাই দুঃখী,,নিহা আপু আর নিহাল ভাইয়া কাপল ডান্স করছে কি সুন্দর লাগছে তাদের একসাথে,,কিন্তু নিহান ভাইয়ার হয়ত তাদের একসাথে মটেও ভালো লাগছে না,,নিহান ভাইয়া ড্রিংক এর গ্লাস হাতে নিয়ে নিহা আপুর দিকে তাকিয়ে গটগট করে খেয়ে ফেলল,,একের পর এক প্যাক গিলেই যাচ্ছে আমি শুধু তাকিয়ে দেখছি আর শকড হচ্ছি,,এই সিরিয়াস বান্দা মুডি নিহান খান ড্রিংকস ও করে?আমি নিয়াকে নিয়ে সাইডে গিয়ে বললাম,,
‘নিয়া!!নিহান ভাইয়া দেখ কিভাবে ড্রিংক করছে?’
নিয়া ঘুরে নিহান ভাইয়াকে দেখলো,,নিহান ভাইয়ার দৃষ্টি অনুসরন করে দেখলো নিহা আপুর দিকে তাকিয়ে প্যাক গিলেই যাচ্ছে,,নিয়া দীর্ঘ শ্বাস ছেরে বলল,,
‘ভাইয়া দুঃখে থাকলে মাঝে মাঝে খায়,,যখন দুঃখ কান্ট্রল না করতে পারে,,’
আমি চিন্তায় পরে গেলাম এই সুখের দিনে ভাইয়ার আবার কিসের দুঃখ নাড়া দিল?তখনি নিহা আপুর কথা মনে পরলো,,ভাইয়ার এই দুঃখের কারন নিহা আপু তো নয়?
নিহান সব সময়ের থেকে বেশি ড্রিংক করে ফেলেছে,,সে এখন নিজের কান্ট্রলে নেই,,লাস্ট প্যাক ফিনিশ করে হেলেদুলে মাঝে গিয়ে দারালো,,হাতে মাইক নিয়ে,,
‘এট্যানশন গাইস,,এখন সবাই কাপল ডান্স করবে,,’
সব কাপলরা এক এক করে মাঝে এসে ডান্স করতে লাগলো,,নিহান ভাইয়া হেলেদুলে আমার কাছে এসে এক হাত পিছে দিয়ে আরেক হাত সামনে মাথা হাল্কা ঝুকিয়ে বলল,,
‘শেল উই?’
আমি আশেপাশে তাকালাম,,আম্মু আমাকে চোখ দিয়ে ইশারা করলো,,আমি ভাইয়ার হাতের উপর হাত রাখলাম,,আমরা ডান্স করছি,,হঠাৎ ভাইয়া খুব জোরে জোরে টান মেরে ডান্স করতে লাগলো,,নিহা আপুর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আমাকে টার্চ করছে,,আমার তার দৃষ্টি দেখে বুঝা হয়ে গেছে সে এত ড্রিংক কেন করেছে আর এখনি বা এমন কেন করছে?আমি ভাইয়াকে কোনমতে ছারিয়ে নিয়ার পাশে এসে দারালাম,,ভাইয়া কেমন পাগলের মতো সবার মাঝেই একা একা কাপল ডান্স করছে,, নিলা আন্টি নিয়ার কাছে এসে আস্তে করে বলল,,
‘নিয়া নিহান কখন এত ড্রিংক করলো?নিহার জাদু ওর উপর থেকে এখন অব্দি কাটে নি?’
‘আমি কিভাবে বলবো আম্মু?’
‘আচ্ছা যা ভাইকে নিয়ে রুমে যা,,নাহয় তামাশা করবে নিহান,,’
‘ঠিক আছে আম্মু,,’
নিলা আন্টি আমার উদ্দেশ্যেও বলল,,
‘বাচ্চা তুইও নিয়াকে একটু হেল্প কর,,’
‘জি আন্টি,,’
নিয়া নিহান ভাইয়াকে মাঝ থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ভাইয়া ডান্স করেই যাচ্ছে,,কখনো ভাবিনি ভাইয়ার এমন পাগলামির সম্মুখীন হবো,,ভাইয়া কথাই বলে সবার সাথে কম এমন করবে ভাবি ও নি,,নিয়া আর আমি ভাইয়াকে ধরে তার রুমে নিয়ে গেলাম,,ভাইয়াকে ওয়াশ্রুমে নিয়ে গেলাম মুখে পানির ছিটা দিতে,,নিয়া বলল,,
‘রাহা তুই একটু ছিটে দে আমি টাওয়াল নিয়ে আসি,,’
‘হুম,,’
নিয়া টাওয়াল নিতে চলে গেল,,আমি বেসিং এর সামনে ভাইয়াকে ধরলাম,,ভাইয়া বারেবারে ঢলে পরে যাচ্ছে অনেক কষ্টে সামলাতে হচ্ছে,,এই পাঠান দেহকে যে আমি কিভাবে সামলাবো আল্লাহ,,কল ছেরে ভাইয়ার মুখে পানি ছিটা দিলাম,,পানির ছিটা দেওয়ায় ভাইয়া খিলখিল করে হেসে উঠলো,,আমি বুঝলাম না এভাবে হাসার কি আছে,,কিন্তু হাসায় ভাইয়াকে খুব সুন্দর লাগছে,,গায়ের ব্লেজারটা খুলে ফেলল সাদা শার্টের উপরে দুইটা বোতাম খুলে দিল,,ভাইয়া পানি নিয়ে আমার মুখে ছিটা মারলো,,আহহহহহ!!এইটা কি করলো ভাইয়া?আমি দুই এক পা পিছে চলে গেলাম,,ভাইয়ার সাদা শার্ট পুরো ভিজে গেছে,,একদম গায়ের সাথে লেপ্টে আছে,,এই নিয়ার বাচ্চা টাওয়াল আনতে গিয়ে কি নিজেই টাওয়াল হয়ে গেল নাকি আল্লাহই জানে,,
কিছুক্ষন পর নিয়া টাওয়াল নিয়ে আসলো,,ভাইয়া একদম আমার সাথে লেপ্টে ছিল,,পুরো ভিজা শরির আমিও ভিজে গেছি অনেকটা,,নিয়া আমাদের এভাবে দেখে হা হয়ে কিছুক্ষন দারিয়ে রইলো,,
‘এই তুই এইভাবে কি দেখছিস?তোর দামরা ভাইকে ধর,,’
‘কি বললি তুই?’
কোমরে হাত দিয়ে বলল,,আমি অর্ধেক কাত হয়ে গেছি ভাইয়া পুরো ভার দিয়ে আমার শরিরের উপর পরে আছে,,নিয়া তারাতারি এসে ভাইয়াকে সরালো আমার উপর থেকে,,ভাইয়াকে রুমে নিয়ে আসলাম বিছানায় বসালাম,,নিয়া কাবার্ড থেকে টি-শার্ট নিয়ে আসলো,,শার্ট খুলে ভাইয়াকে মাথা মুছে দিতে লাগলাম,,হঠাৎ ভাইয়া আমার কোমর ধরে টান দিয়ে একদম নিজের কাছে নিয়ে নিল,,আমার চোখ অটোমেটিক বড়বড় হয়ে গেল,,নিয়াও হা করে তাকিয়ে আছে,,,,,
চলব,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🖤)