#I_Love_U
#part_13,14
#sarika_Islam
13
সকালের ফুরফুরে মিজাজটা দরজার ওপাশে নিহাকে দেখে একদক গরম হয়ে গেল,,এত সকালে ও এখানে কি করছে?আমি দরজার সামনেই দারিয়ে আছি আমাকে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করল,,
‘নিহান কোথায় রাহা?’
আমি জিদ্দে বললাম,,
‘কেন?কি কাজ?’
তখন ওয়াশ্রুম থেকে নিহান বের হলো,,আমাকে এভাবে দরজার সামনে দারিয়ে থাকতে দেখে বলল,,
‘কিরে ওখানে কি করছিস?’
নিহানের গলার আওয়ার পেয়ে নিহা একটু উচু গলায় বলল,,,
‘ভাবী নিহান কি আছে?’
আমি নিহার মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম,,তখন তো রাহা বলল আর এখন ভাবী?ভালোসাজা হচ্ছে নিহানের সামনে?নিহান টাউজার পরে খালি গায়ে আমার পাশে এসে দারালো,,নিহা নিহানের দিকে তাকিয়ে বড় করে একটা হাসি দিল,,নিহানের দিকে তাকিয়েও দেখলাম সেও হাল্কা হাসলো,,মানে কি এইসবের?আমি নিহানকে বললাম,,
‘নিহান টি-শার্ট পরে আসুন,,’
‘হুম,,নিহা আসো ভিতরে,,’
নিহা আমাকে সাইড করে গরগর করে ভিতরে ঢুকে গেল,,আমি শুধু সাইডে দারিয়ে দারিয়ে দেখেই যাচ্ছি,,নিহান আর নিহা সোফায় বসলো নিহা নিহানকে কাজের জিনিস দেখাচ্ছে,,একদম নিহানের গা ঘেঁষে বসেছে আমি নিচে চলে গেলাম,,নিহান যখন নিহার পাশে থাকে তখন আর কাউকে দেখেই না চোখেই পরে না,,তাহলে কি এখনও নিহাকেই ভালোবাসে?একদম মাথাটা গরম হয়ে গেল এখন মানি কি এইসবের?নিহার সাথে প্রেম আমার সাথে ঢং?আমি নিচে গেলাম সবাই ব্রেকফাস্ট করছে আমাকে দেখে আন্টি বলল,,
‘আয় বস নাস্তা কর,,’
আমিও চুপচাপ বসে পরলাম,,খেতে খেতে সিরির দিকে চোখ গেল নিহা আর নিহান হেসেহেসে সিরি দিয়ে নামছে,,আমি তারাতারি চোখ নামিয়ে নিলাম,,নিহান আর নিহা সবার সামনে আসলো,,আন্টি নিহাকে দেখে একদম চেতে গেল,,
‘ও এইখানে কেন?’
আংকেল আন্টিকে ঠান্ডা গলায় বলল,,
‘ও নিহানের এসিস্ট্যান্ট,,’
‘সব ছেরে ওকেই পেলে নিহানের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে?’
নিহান বলল,,
‘আহা আম্মু চিল্লিও না তো,,বসো নিহা ব্রেকফাস্ট করো,,,’
‘নাহ নাহ নিহান,,,আমি চলে যাই,,’
‘আরে বসো তো,,’
নিহাকে জোর করে নিহান বসালো নাস্তা করাতে,,আমার পাশে নিহান আর নিহানের আরেক পাশে নিহা,,আমাকে নিহান বলল,,
‘আজ আসতে একটু লেট হবে রাহা,,’
‘ওহ,,’
আমি আর কিছু বললাম না জানি তো কেন লেট হবে,,থাকুক তাইলে নিহার সাথেই,,আমি নাস্তা করে উঠে পরলাম,,সবার নাস্তা শেষ আমি রান্নাঘরে নিয়ে যেতে লাগলাম,,প্লেটগুলো রেখে পিছে ফিরতেই কারো সাথে ধাক্কা খেলাম,,মাথা তুলে দেখলাম নিহান দারিয়ে আছে,,আমার গালে হাত দিয়ে বলল,,
‘নিহা এসেছে তাই আপ্সেট?’
‘নাহ,,’
‘দেখ ও কিন্তু শুধুই আমার পিএ আর কিছুই না,’
‘হুম,,’
আমার কপালে একটা চুমু খেল,,জরিয়ে ধরলো,,তখনি পিছে নিহা দারিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করে ডাকছে নিহানকে,,,
‘নিহান চলো লেট হচ্ছে,,’
নিহান আমাকে ছেরেই তারাতারি চলে গেল,,নিহা আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হাসলো,,আমার তো রাগে গা জলে যাচ্ছে ইচ্ছে করছে নিহাকে গিয়ে জোরে জোরে দুইটা থাপ্পর দিতে,,
রাতে নিহান বাসায় আসলো খুব টায়ার্ড দেখাচ্ছে,,সারাদিনে একবারও ফোন দিল না আমার কথা কি একটুও মনে ছিল না?নিহাতে এতটাই ডুবে ছিল?রুমে গেল ফ্রেশ হয়ে এসে লেপ্টপ নিয়ে সোফায় বসল,,আমি কাপরগুলো ভাজ করছি আর নিহানের দিকে তাকিয়ে দেখছি কার সাথে যেন চেট করছে আর হাসছে,,আমি সব কাপরগুলো কাবার্ডে রেখে নিহানের সামনে গিয়ে জোরে বললাম,,
‘সারাদিন তো নিহার সাথেই ছিলেন আবার ওর সাথে এখনও কথা বলতে হবে? ‘
নিহানের হাসি বন্ধ হয়ে গেল,,আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,
‘কি বলছিস তুই এইসব?’
‘কেন আপনি কি কানে কম শুনেন নাকি?’
‘চেচাচ্ছিস কেন অযথা?’
হাল্কা রেগে বলল,,আমি তার এই রাগে ভয় পাই না হুহ,,,সারাদিন ওর সাথে থেকে এখনও ওর সাথেই কথা?নিহান লেপ্টপটা পাশে রেখে আমার বরাবর দারালো,,
‘নিহার সাথে না আমি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছিলাম,,আর নিহা নিহা করিস কেন?’
‘আপনার তো এক আছে নিহা আর আপনি,,আর দুনিয়াতে কেউ থাকে?’
‘দেখ রাহা বেশি হচ্ছে,,’
‘আমি বললেই বেশি আর আপনি যখন করেন তখন বেশি না?’
নিহান ঠাস করে আমার গালে একটা চর বসিয়ে দিল,,,আমি হা হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি,,নিহার কথা বলায় চর মারলো?
‘নিহার কথা বলেছি তাই চর মারলেন?হাত তুললেন আমার উপর?’
নিহান চেচিয়ে বলল,,
‘দরকার পরলে আরো তুলবো,,বেশি কথা বলছিস তুই,,নিহা জাস্ট আমার ফ্রেন্ড,,’
‘ফ্রেন্ড?এতক্ষন তো শুধু এসিস্ট্যান্ট ছিল আর এখন ফ্রেন্ড? আর কয়দিন পর বলবেন নিহা জাস্ট আমার ভালোবাসা,,’
‘হ্যা নিহা আমার ভালোবাসা,,আর আমি বলেছি ও ছিল আমার ভালোবাসা,,,’
‘তাহলে এখন কে?’
‘এখন কে তুই না জানলেও চলবে,,’
‘আমি বউ তোমার,সব জানার অধিকার আছে আমার,,,’
নিহান রুমের দরজা খুলে বাহিরে চলে গেল,,বলে গেল না আমি হলে তো বলেই দিত,তাহলে কি?নাহ এ আমি হতে দিব না আমার সাথে সব আর ভালোবাসা অন্য কারো?আমিও নিচে গেলাম,,আংকেল আন্টি আমাদের দেখে বলল,,
‘এত চেচাচ্ছিলি কেন তোরা?’
আমি শুধু নিহানের দিকে তাকালাম,,নিহান ফোন টিপছে,,আমি কিছু না বলে উপরে চলে আসলাম,,আজ মাহির সাথে ঘুমাবো আমি কখনোই ওই ধোকা বাজের সাথে ঘুমাবো না,,
নিহান রুমে এসে রাহাকে না দেখে আর দেখতে গেল না কই,,দরজা ঠাস করে আটকে শুয়ে পরলো বিছানায়,,
সকালে উঠে ফ্রেশ হতে নিজের রুমে গেলাম,,ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে আন্টিকে বললাম,,
‘আন্টি আমি ভার্সিটি ভর্তি হবো,,’
‘আচ্ছা তাহলে তোকে আর মাহিকে একসাথে ভর্তি করাবো,,’
‘আচ্ছা,,’
নিহান রেডি হয়ে নিচে আসলো,,আমি একপাশে বসে বসে খাচ্ছি আর নিহান আরেকপাশে,,আন্টি নিহানকে আর আংকেলকে বলল,
‘রাহাকে আর মাহিকে ভার্সিটি ভর্তি করিয়ে দিও,,’
আংকেল খুশি হয়ে আমাদের বলল,,
‘অবশ্যই,,আমার দুই মেয়েকে একসাথে ভর্তি করাবো,,’
মাঝদিয়ে খেতে খেতে নিহান বলল,,
‘রাহা এখন এই বাড়ির বউ,,ওর ভর্তি হওয়ার দরকার নেই,,’
আমি তার কথা শুনে খাবার ছেরে ওর দিকে তাকালাম,,আমি আন্টিকে বললাম,,
‘আন্টি আমি ভর্তি হবোই,,তুমি চাও না তোমার ঘরের বউ শিক্ষিত থাকুক?’
‘তা কেন চাইবো না অবশ্যই চাইবো,,আর নিহানের কথা কানে দিস না আমরা তোকে ভর্তি করাবো,’
আমি খুশি হয়ে গেলাম,,নিহান আমার দিকে রাগিভাবে তাকিয়ে আছে কার কি যায় তার এই তাকানো তে?নিজে রংলীলা করবে আর আমি ঘরে বসে বসে তা হজম করবো?নাহ,,আংকেল বলল,,,
‘কাল রেডি হয়ে থাকিস তোদের ভার্সিটি ভর্তি করাতে নিয়ে যাবো,,’
‘আচ্ছা,,’
নিহান অফিসের জন্য বেরিয়ে পরলো,,আমাকে একবার বায়ও বলল না,,আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম,,কিছুক্ষন পর আবার কলিং বেল বাজলো,,নিহান এসেছে আবার?শার্টের বোতাম ছিরে গেছে বোতাম হাতে নিয়ে দারিয়ে আছে,,আমার কেন জানি খুব হাসি পেল আমি ফিক করে হেসে দিলাম,,নিহানের রাগের পরিমান আরো বারছে,,আমার হাত ধরে উপরে নিয়ে যাচ্ছে,,আমি হাস্তে হাস্তে শেষ,,রুমে নিয়ে দাতে দাত চেপে বলল,,
‘এতে এত হাসার কি আছে?’
‘আমার ইচ্ছা আমি হাসবো,,হুহ,,’
বলেই বের হতে নিলে নিহান আমার হাত ধরে ফেলে,,
চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবন🖤)
#I_Love_U
#part_14
#sarika_Islam
হুট করে আমার হাত ধরে ফেলল,,আমার হাসি এইবার চলে গেল,,আমি পিছে ঘুরলাম নিহান রাগীভাবেই বলল,,
‘এখন বোতাম লাগিয়ে দে?’
‘কেন?আর কি শার্ট নেই নাকি?’
‘নাহ এইটাই পরবো,,তুই লাগা,,’
আমি সুই আর সুতা নিয়ে লাগিয়ে দিতে লাগলাম,,একদম নিহানের মুখের বরাবর দারলাম খুব বেশি দুরুত্ব নেই আমাদের মাঝে,,আমি লাগাতে লাগাতে বললাম,,
‘এইটাই পরতে হবে কেন?নিহা বলেছিল?’
নিহান রাগের মাথায় রাহাকে “হ্যা” বলে দিল,,রাহা সুই দিয়ে নিহানের বুকে হাল্কা খোচা দিল,,নিহান “আউচ” করে উঠলো,,
‘এই খোচা দিলি কেন?’
‘লেগে গেছে আমি দেইনি,,’
বলেই সুতা দাত দিয়ে কাটতে গেলে একদম নিহানের বুকের সাথে মাথাটা লেগে গেল,,সুতাতে কামর দিতে গিয়ে নিহানের বুকে হাল্কা ভাবে ঠোঁট লাগলো,,
‘কিস করতে বলিনি এখন আমি,,’
তারাতারি কেটে তারপর বললাম,,,
‘আপনাকে কিস করবোও না,,’
‘সুযোগ খুজিস শুধু আমার পাশে আসার,,’
‘হুহহ বয়েই গেল,,’
নিহান বেরিয়ে গেল অফিসের জন্য আমিও নিচে গেলাম,,
রাতে নিহান আর আংকেল আসলো সাথে আব্বুও আসলো,,আমি আব্বুকে দেখে খুশি হয়ে তাকে জরিয়ে ধরলাম,,আব্বুও আমাকে দেখে জরিয়ে ধরলো,,মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,,
‘কতদিন ধরে তোকে দেখি না,,’
‘আমিও তো,,আম্মু কেমন আছে?’
‘ভালোই,,’
রাতের খাবার খেয়ে আব্বু চলে গেল,,আমি উপরে গেলাম নিহান রুমে বসে আছে,,আমাকে দেখে সামনে আস্তে নিলে আমি ওয়াশ্রুমে চলে গেলাম,,বের হয়ে সোজা বিছানায় শুয়ে পরলাম,,যখন মন চাইবে মারবে যখন মন চাইবে কাছে আসবে পেয়েছে টাকি?নিহানও কিছু না বলে আমার পাশে ঘুমিয়ে পরলো,,কি মানুষরে বাবা একটু মানানোরও চেষ্টা করে না,,
সকালে নিহানের আগে উঠেই রেডি হয়ে নিচে গেলাম,,নিহান উঠে রাহাকে পেল না,,মনে মনে বলল,,তাহলে রাহা খুব ভালোই চেতেছে ওকে একটু মানাতে তো হবেই,,রেডি হয়ে নিচে গেল,,রাহাকে রেডি হয়ে বসে থাকতে দেখে খানিকটা ভ্রু কুচকালো,,খেতে লাগলো,,রাহা আর মাহি থ্রিপিস পরেছে,, আকাশি কালার জামা আর সাদা ওড়না আর সেলোয়ার,,খুব খুশি খুশি লাগছে,,
আংকেল খাওয়া শেষ করে বলল,,
‘চল তোদের ভার্সিটি নিয়ে যাই,,’
‘হুম চলো,,’
এক্সাইটেড হয়ে,,নিহান আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু কিছু বলছে না,,আমি তার দিকে তাকিয়েও তাকাচ্ছি না,,এইবার বুঝবে মজা হুহ নিহাকে নিয়ে মাতামাতি?গলায় ওড়না ঝুলিয়ে বের হতে নিলে নিহান আমার হাত ধরে আটকে দেয়,,আমার ওড়না নিয়ে সুন্দর করে গায়ে মেলে দিল,,আমি এক গাল হেসে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম,,আমার দিকে তাকাতেই হাসি বন্ধ করে দিলাম,,আমার দিকে তাকিয়ে রুক্ষ গলায় বলল,,
‘সুন্দর ভাবে যা,,তুই নিহানের ওয়াইফ পরিপাটিভাবে থাকবি,,আর তোর ভার্সিটি ভর্তি হওয়ার বা কি দরকার ছিল?’
‘আমার ইচ্ছে আমি ভর্তি হবো তোমার কি?’
নিহান আর কিছু না বলে আমার আগেই বাহিরে বেরিয়ে গেল,,আমি মুচকি হেসে আস্তে আস্তে বললাম,,তোমাকে কিভাবে ভালোবাসাতে হয় তা এখন আমি বুঝাবো,,ওই নিহা?ওর আসার ছারাচ্ছি,,,বলেই বের হয়ে গেল,,মাহি আর রাহা পিছে বসলো,,আংকেল ড্রাইভ করছে,,নিহান আরেক গাড়ি করে অফিস গেল,,
দুপুরের দিক দিয়ে আমরা বাসায় আসলাম,,সোফায় বসলাম,,আন্টি আমাদের জন্য লেবুর শরবত এনে বলল,,
‘কিরে সব কিছু হয়েছে?’
‘হুম সব হয়ে গেছে, কাল থেকে যাবো,,’
‘যাক ভালোই হলো,,’
রাতে নিহান আসলো,,এসে সোজা আমাকে নিচ থেকে টেনে উপরে নিয়ে গেল,,
‘আজ কি হয়েছে ভার্সিটি? ‘
নিহানের হঠাৎ এমন আজবমার্কা কথা শুনে আমার বুঝতে কিছু সেকেন্ড লেগে গেল,,,
‘আজ আবার কি হবে?’
‘এভাবে সেজেগুজে গিয়েছিস কয়টা প্রপস পেলি?’
আমার এক বাহু ধরে,,আমি হাল্কা হেসে ভাব নিয়ে বললাম,,
‘আজ তো শুধু ফাস্ট গেলাম তাও ভর্তি হতে,,আস্তে আস্তে যেতে দাও অনেক পেয়ে যাবো,,’
আমার বাহুতে হাল্কা জোরে চাপ দিল রাগের মাথায়,,আমি হাত ছারিয়ে নিলাম,,
‘তুমি নিহার সাথে রাসলীলা করতে পারলে আমি পিছিয়ে থাকবো কেন?’
নিহান এক হাত দিয়ে আমার গাল দুটো চেপে ধরল,,
‘আমাদের রাসলীলা মানি?এইসব কি বলিস?আর তোকে যেন কারো সাথে বেশি ঘেষাঘেষি করতে না দেখি,,’
আমি হাত সরিয়ে নিচে চলে আসলাম,,তার ফালতু কথা শুনার আমার টাইম নেই,,যদিও আমার তার মতো এইসব জিনিসে ইন্টারেস্ট নেই,,আমি করবো ও না কিছু শুধু মাত্রই তাকে জেলাসির জন্য বলি আর কি!!নিচে গিয়ে খাবার খেয়ে এসে শুয়ে পরি,,
সকালে উঠে যাবো দেখি আমি বন্ধি,,আমার কোমরে ধরে পেটে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে,,এইটা আবার কেমন ঘুম?উঠতেও পারছি না কিভাবে ধরেছে আল্লাহ,,তাকে আস্তে আস্তে সরাতে চাইছি সে নরেচরে উঠছে,,ঘুমঘুম চোখে উঠে বসলো,,আমিও উঠলাম,,আমার মুখটা দুই হাত দিয়ে ধরে সামনে এনে গালে একটা চুমু খেল,,নাকে নাক ঘষে বলল,,
‘তোকে চর মারার জন্য সরি,,’
আমি তাকে ছারিয়ে উঠে পরলাম,,হাল্কা রাগ দেখিয়ে বলল,,
‘উঠে গেলি কেন?’
‘তাহলে কি বসেই থাকবো?আমার ভার্সিটি টাইম মতো যেতে হবে,,’
বলেই ওয়াশ্রুমে ঢুকে গেলাম,,ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসে দেখি কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে,,কথা বলার মাঝে মাঝে হাসিও দিচ্ছে!ফোন রেখে আমাকে বলল,,
‘আজ তোকে আমি ড্রপ করে দিব,,,’
‘নাহ আমিই যেতে পারবো,,’
সে ওয়াশ্রুমে চলে গেল,,আমিও বাহিরে চলে আসলাম,,মাহি আর আমি খাবার খেয়ে আন্টির থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়া পরলাম,,ভার্সিটিতে ঢুকলাম,,নিজেদের ক্লাস রুমে গেলাম,,
ক্লাস শেষ করে বের হলাম আর সাদ ভাইয়ার সাথে দেখা,,সাদ ভাইয়া আমাকে দেখে হয়ত বেশ খুশি হয়েছে তার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে,,হাসি মুখে বলল,,
‘রাহা তুমি এইখানে?’
‘আসলে এই ভার্সিটি তে ভর্তি হয়েছি আমি আর মাহি ফাস্ট ইয়ার,,আর আপনি?’
‘আমি ইংরেজি প্রফেসর এই ভার্সিটির,,’
আমরা ভাইয়ার থেকে বিদায় নিয়ে বাসার জন্য বের হয়ে পরলাম,,3টার দিকে বাসায় আসলাম,,আমি আর মাহি কথা বলতে বলতে আইস্ক্রিম খেতে খেতে ভিতরে ঢুকলাম,,নিহান সোফায় বসে আছে তাকে দেখে আমাদের কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল,,এই অবেলায় নিহান বাসায়?কিছু কি হয়েছে নাকি?আন্টি আমাদের সামনে এসে দারিয়ে বলল,,
‘কিরে এত লেট করলি কেন?নিহান সেই কবের থেকে তোদের জন্য অপেক্ষা করছে,,’
আমি ভ্রু কুচকে নিহানের দিকে তাকিয়ে বললাম,,
‘কেন ওয়েট করছে?’
‘তোদের নাকি আজ ঘুরতে নিয়ে যাবে,,’
আমি আর মাহি শকড হয়ে এক জন আরেকজনের দিকে তাকালাম,,
‘আমাদের?’
নিহান উঠে আমাদের সামনে দারিয়ে বলল,,
‘এতে এত শকড হওয়ার কি আছে?আমি আমার বউ আর বোনকে নিয়ে যেতে পারি না?’
আমি আর মাহি মাথা ঝাকালাম,,রেডি হতে উপরে চলে গেলাম,,,গোসল করে নিলাম উফফ অনেক গরম লাগছিল,,লাল কালারের থ্রিপিস পরলাম,,লাল কানের দুল নথ পরলাম আর হাল্কা লিপস্টিক,,নিহানও লাল কালারের একটা শার্ট পরলো,,বাহ বাহ মেচিং মেচিং আমি তার দিকে তাকালাম,,সেও আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হাসলো,,আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম মাহিও আসলো,,মাহি কালো কালারের থ্রিপিস পরেছে,,আমরা তিনজন বের হলাম নিহান ড্রাইভিং সিটে আমি তার পাশে আর মাহি পিছনে,,নিহান ড্রাইভ করছে আর আমার এক হাত ধরলো আমি হাত ছারিয়ে নিলাম হুহ ঢং,,নিহান আড়চোখে রাগীভাবে আমার দিকে তাকালো,,কিছুক্ষন পর আমরা একটা পার্কে আসলাম পার্কটা খুব সুন্দর সব কিছুই দেখে ভালোলাগছে,,
আমাদের ঠিক সামনে থাকা লোকটিকে দেখে আমি হাল্কা হাসলাম,,নিহানও খুশি হয়ে গেল সামনে থাকা লোকটাকে দেখে,,নিহান পাশ ফিরে রাহার দিকে তাকিয়ে দেখে রাহাও হাসল নিহান রাহার হাসির রহস্য বুঝতে পারল না রাহার হাসার কি দরকার ছিল?সামনে থাকা ব্যক্তিটাও খুশি হলো,,
চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🖤)