#Gangster_Husband
#Part_3,4
#Writer_Fariha_Jannat_Oriddhi
03
বর্ণ::: এই মেয়ে এই কখন থেকে ডাকছি কথা মাথায় ঢোকে না,,,,,,, আর এই ভাবে না না না করছো কেন,,,,,,,,,, [ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ]
,
বিন্দু ::: ওহ্ তারমানে আমি gangster টা আমার কাছে আসে নি আমার মনের ভুল ছিল,,,,, ভয় পেয়ে পুরা শরীর আমার ঘেমে গেছে,,,,,, কিন্তু ঐ গুন্ডাটাকে বুঝতে দেওয়া যাবে না আমি ভয় পাচ্ছি,,,,,,,, মনে সহস নে বিন্দু,,,,,,,, মনে মনে সূরা পরে সামনের মানুষটার দিকে তাকায়,,,,,,,,,,
,
বিন্দু তাকিয়ে দেখে তার সামনে একটা সুন্দর হ্যান্ডসাম ছেলে দাড়িয়ে আছে,,,,,, গায়ে মেরুন কালারের শীরওয়ানি পরেছে,,,,,,,ফর্সা হওয়ার জন্য এই কালারে তাকে আরও সুন্দর লাগছে,,,,,,,, ধাৎ এত লম্বা যে ভালো করে দেখায় যাচ্ছে না,,,,,,, 6 ফিট লম্বা তো হবেই,,,,, চুল গুলো এস্পাইক করা,,,,,,, সব মিলিয়ে হিরোর মতো দেখতে,,,,,,,, যাকে বলে পুরাই ক্রাস,,,,,,, ও যদি বিন্দুকে জোড় করে বিয়ে না করে প্রোপজ করতো তাহলে বিন্দু রাজি হয়ে যেত,,,,,,,,,,,
,
বর্ণ::: ঐই ভাবে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছো কেন আমার দিকে,,,,,,,, এমন ভাবে তাকিয়ে আছো মনে হয় এখনি খেয়ে ফেলবে,,,,,,, আমার বুঝি লজ্জা করে না,,,,,,,, [ শয়তানি হাসি দিয়ে ]
,
বর্ণের কথায় বিন্দুর ঘোর কাটলো,,,,,,,,,,, বিন্দু ঘৃণার চোখে বর্ণের দিকে তাকায়,,,,,,,
আপনার আবার লজ্জাও করে মি.বর্ণ চৌধুরী,,,,,, আপনার মতো গুন্ডার তো লজ্জা করা কথা না,,,,,, কই যখন আমায় তুলে নিয়ে এসে,,,, Blackmail করে আমায় বিয়ে করলে তখন কোথায় ছিল আপনার সেই লজ্জা,,,,,,,, একটা কথা শুনে রাখুন মি. চৌধুরী এই বিন্দু কাউকে দেখে ভয় করে না,,,,, আপনি যত বড় কিলার, মাস্তান, গুন্ডা সন্ত্রাসী হোন না কেন,,,,, আমায় দেখাতে আসবেন না,,,,,আমি আপনাকে ঘৃণ করি ঘৃনা,,,,,,, আপনার ছায়াও আমি দেখতে চাই না,,,,,,, আর আপনি আমায় টাচ করার চেস্টা করবেন না,,,,,,,
,
কথাগুলো বলে বিন্দু বসা থেকে শুয়ে পরে,,,,,,,,,,
,
বর্ণ এমনিতে খুব রাগী টাইপের ছেলে,,,,,, তার মধ্যে বিন্দু আজ ওকে অনেক কথা শুনিয়েছে,,,,,, যা সে নিতে পারে নি,,,,,, আর বিন্দুর এভাবে শুয়ে পড়াতে বর্ণের রাগ চরম পর্যায়ে উঠে যায়,,,,,,,,, বর্ণ এক ঝটকা দিয়ে বিন্দু কে বেড থেকে তুলে ফ্লোরে দাড় করায়,,,,,,
,
বিন্দু চমকে যায়,,,,,, বর্ণ এভাবে তাকে তুলিয়ে আনাতে,,,,,,,,
,
বিন্দু ::: কি হয়েছে এভাবে আমায় দাড় করালেন কেন,,,,,,,,
বর্ণ::: এত বড় মেয়ে হয়েছ আদব কায়দা শেখ নি,,,,,,,,
বিন্দু ::: মানে আমি কি বলতে চাইছেন,,,, বর্ণ::: আজ তো তোমার আর আমার ফুলসজ্জা,,,,, আর স্বামী রুমে আসলে যে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয় এটুকু জানো না,,,,,,,,,,, [শয়তানি হাসি দিয়ে ]
বিন্দু ::: সালাম করব আমি!!! তাও আবার আপনাকে,,,,,,??? How funny 😁😁
,
বর্ণ::: করতে তো তোমাকে হবেই জান,,,,,,
,
বিন্দু ::: কখনই না,,,,,,, আপনার মত নিচু লোক সালামে যোগ্য না,,,,,,,,,
,
বর্ণ রেগে যেয়ে ড্রোয়ের এ রাখা গান টা বের করে বিন্দুর মাথা টার্গেট করে,,,,,,,,,, .
বিন্দু ভয় পেয়ে যায়,,,,,, ওর জানা ছিলো না যে বাসর রাতে কোন স্বামী তার বউ কে সালাম না করার জন্য এভাবে গান বের করে মেরে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখায়,,,,,,,,, অবশ্য এই গুন্ডার কছে অসম্ভব বলে কিছু নেই,,,,,,,, বলা তো যায় না মেরে যদি ফেলে দেয় তাহলে কেউ তো জানতেও পারবে না আর এখানে সবাই গুন্ডাটার বাড়ির লোক আছে,,,,,,,সো সালামটা করি পরে যা হবে দেখে নিব,,,,,,,,,,,
,
বর্ণ::: কি হল,,,,,, এবার তো করবে,,,,,, গানটি হতে নড়াচড়া করতে করতে বলছে,,,,,,,
,
বিন্দু ::: হ্যাঁ,,,, করছি,,,, বলে সে বর্ণের পা ধরে সালাম করে,,,,, আর ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ে,,,,, কারণ সে এমন একজনকে সালাম করছে যে কি না শুধু ঘৃণার যোগ্য,,,,,,,,,
,
বর্ণ বিন্দুকে ফ্লোর থেকে তুলে সামনে দাড় করায়,,,,,,,
,
চোখের পানি তো আজ থেকে পড়তে শুরু সুইট হার্ট,,,,,,, জমিয়ে রাখ আজকেই সব বের করে দিলে বাকি দিন গুলোতে কি করবে,,,,,,,, এটাই তো তোমার সঙ্গী আজ থেকে,,,,,,, আজ থেকে তোমার আর তোমার প্রতারক বাবার শাস্তি ভোগ করার সময় শুরু,,,,,,,,,,
কাউকে ছাড়ব না আমি তোমার বাবাকে তো নায়,,,,,,,,
,
বিন্দু অজর ধারায় কাঁদছে,,,,,,,
ও বর্ণের কথা কিছুই বুঝতে পারছে না
কিভাবেই বা বুজবে,,,,,
বর্ণ তো শুধু প্রতিশোধের কথাই বলছে কারণটা তো বলছে না,,,,,,
আর বিন্দুকে এভাবে কেউ কথা শুনায় নি,,,, ওর মাম্মা মারা যায় ও তখন বলতে পারে না কজ ও তখন অনেক ছোট ছিল,,,,,,,
ছোট থেকে ওর পাপা ওকে বাবা মায়ে আদর দিয়ে বড় করেছে কোন আচ আসতে দেয় নি ওর গায়ে আর আজ সেই পাপা কে নিয়ে বর্ণ বাজে বাজে কথা বলছে,,,,,, বিন্দু তো এটা সহ্য করবে না,,,,,,,,,
বিন্দু মুখ খুলে,,,,,,,,,
,
Enough is enough Mr.Borno Chowdhury,,,,,,,,,
,
আপনার সাহস কি করে হয় আমার পাপা সম্পর্কে এভাবে কথা বলতে,,,,,
আপনার মুখে আমি আমার পাপার নাম শুনতে চাই না,,,,,,,,,আপনি একটা নোংরা লোক,,,,,,, আপনাদের মতো জানোয়ারা সব কিছুই করতে পারে,,,,,,,,
,
বিন্দুর মুখে শেষের কথাটা শুনে বর্ণের মাথায় চরম রাগ উঠলো,,,,,,,
বর্ণ অগ্নি দৃষ্টিতে বিন্দুর দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,
আমি জানোয়ার নোংরা লোক,,,,, ভেবেছিলাম কিছু করব না কিন্ত এখন দেখছি তুমি সেটাই চাও,,,,,,,,,,
.
বর্ণ বিন্দুর দিকে এগতে থাকে,,,,,,
বিন্দু পিছিয়ে যায় এই রূপটা তে বর্ণকে হিংস্র বাঘের মত লাগছে,,,,,
বিন্দু পেছতে পেছতে বলে কি করবেন কি আপনি,,,,,,,,, ,
পুরা কথা না বলতে দিয়েই বর্ণ বেডে ফেলে দু হাত চেপে ধরে ওর উপর উঠে
,
বিন্দু ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে,,,,,,,
,
দয়া করে আমার কোন ক্ষতি করবেন না,,
,
প্লীজ আমায় ছেড়ে দিন আমি আর কখনোই আমার মুখে মুখে কথা বলব না,,,,
,
কান্না জড়িত কন্ঠ কথা গুলো বললো বিন্দু,,,,,
,
বর্ণের রাগের মাত্রা বেশি ছিলো আর বিন্দুর বাবার উপর তার প্রতিশোধের নেশা ছিল তাই সে বিন্দুর কান্না শুনতে পারছে না,,,,,,,
,
বর্ণ এবার এক হাত দিয়ে বিন্দুর চুলে মুঠো ধরে,,,,,
,
অন্য হাত দিয়ে বিন্দুর গলা চেপে ধরে,,,
বর্ণ বিন্দুকে কিস করতে থাকে
বর্ণের বিন্দুর উপর এতটাই রাগে ছিলো যে তার কিস গুলো কামড়ে পরিণত হয়,,,,,,
বিন্দু চিৎকার করতে করতে বলে,,,,
বিন্দু ::: আমার ব্যাথা লাগছে প্লিজ ছেড়ে দিন আমায়,,,,,,
,
বর্ণ কিছুতেই বিন্দু কে ছাড়ে না,,,,,,, সে বিন্দুর ঠোঁট ছেড়ে গলা, ঘাড়ে কামড় দিতে থাকে,,,,,,,, শাড়ির আচলা টা বুক থেকে সড়িয়ে বুক ও পেঠে কামড় দিতে থাকে,,,,,,,,
,
বর্ণ জেন এক প্রতিশোধের খেলায় মেতেছে,,,,,,,, সে তার মধ্যে নেই,,,,,, তার কাছে এখ প্রতিশোধটাই আসল,,,,,,,,
,
রাত তিনটা
,
বিন্দু বর্ণের দেওয়া কিস নামের কামড় গুলো সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে সেন্সলেস হয়ে যায়,,,,,,,,, বিন্দকে ঐ ভাবে ফেলে রেখে বর্ণ ডোর লক করে বাহিরে যায়,,,,,,,,,,,,
,
বর্ণ মনে মনে খুব খুশি আজ যে সে তার শত্রুর মেয়ের উপর প্রতিশোধ নিয়েছে,,,,,,,,, সবে তো শুরু এখন ও অনেক কাজ বাকি আছে বর্ণের,,,,,,,,
,
ও ছাদে যেয়ে এসব ভাবছে আর সিগারেট খাচ্ছে,,,,,,,,,, ,
কিছু সময় পরে ভোরের আলো ফুটতে বর্ণ রুমে যায়,,,,,,
,
সে এমন কিছু দেখবে তা কল্পনাও করতে পারে নি,,,,,,,,,
#Gangster_Husband
#Part_4
#Writer_Fariha_Jannat_Oriddhi
,
বর্ণ বেডের দিকে তাকিয়ে দেখে বেডে একটা পরী শুয়ে আছে,,,,, বর্ণ বিন্দুকে এর আগেও অনেক বার দেখেছে কিন্তু তা প্রতিশোধের দৃষ্টিতে
ভোরের আলোতে বিন্দুকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে
যাকে বলে ডানা কাঁটা পরী,,,,, 😊
,
বর্ণ বিন্দুর মুখের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,,,,,
বিন্দুর মুখটা জেনে মায়ায় ভরা,,,,
বর্ণের চোখ যায় বিন্দুর শরীরের দিকে,,,,,,
বর্ণ আঁতকে উঠে সে কাল রাতে রাগের মাথায় মেয়েটার কি অবস্থাটায় না করেছে,,,,,,,
নিষ্পাপ পিচ্চি মেয়াটাকে সে রাক্ষসের মত কামড় দিয়েছে,,,,
বিন্দুর ফর্সা শরীরে বর্ণের দেওয়া কামড় গুলো কেটে বসেছে,,,,,,
বিন্দু পুরা শরীরেই বর্ণ রাগের মাথায় কাল,,,,, বাঘের মত কামড় দিছে,,,,,,,,, যা বিন্দুর মতো পিচ্চি মেয়ের এ যন্ত্রণা সহ্য হয় নি,,,,,,,,,
,
বর্ণ অনুতপ্ত হয়ে বিন্দুর দিকে এগিয়ে যায়,,,,,,,
বিন্দুর মাথার পাশে বেডে যেয়ে বসে,,,,,,,
বর্ণ বিন্দুকে যে অবস্থার রেখে গেছে সে অবস্থায় আছে,,,,,,,
শাড়িটাও এলোমেলো হয়ে আছে,,,,,, যার জন্য সব ক্ষত স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে,,,,,,
বর্ণ কল্পনাও করতে পারে নি সে বিন্দুর এমন অবস্থা করবে,,,,,,
বিন্দুকে এই অবস্থায় দেখে তার বুকের ভেতর কেঁপে ওঠে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে দু ফোঁটা পানি বের হয়,,,,,,,
,
বর্ণ উঠে যেয়ে বিন্দুর জন্য মলম নিয়ে আসে
বিন্দুর ক্ষত স্থানে লাগানোর জন্য
বর্ণ মলম হাতে নিয়ে যখন বিন্দুর ক্ষত স্থান গুলোতে লাগাতে যাবে তখন বর্ণের আগের কথা মনে পরে যায়,,,,,
তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অত্যাচার,, অবিচার,,, আঘাতের কথা মনে পড়ে যায়
,
বর্ণ সাথে সাথেই ভয়ানক রূপ ধারণ করে
হাতের মলম ছুড়ে ফেলে দেয়
বর্ণ সেন্সলেস হওয়া বিন্দুকেও ছাড় দেয় না,,,,, বিন্দুকে ঐ অবস্থায় বেডে বসিয়ে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বলে
,
আমি তোকে আর তোর বাবাকে কোন দিনও ক্ষমা করবো না,,,,, আরে তোরা তো মানুষ নামে অমানুষ,,,,,, মানুষের থেকে তোরা শুধু কেড়ে নিয়েত জানিস,,,, তোদের মত মানুষরা যে কোন বেচে আছিস,,,, তোরা সমাজের কলঙ্ক,,,,,, আমি তোকে আর তোর বাবাকে কিছুতেই ছাড়ব না,,,,,,,
আরে তোর বাবার দেওয়া আঘাতের থেকে আমার দেওয়া আঘাত তো সামান্য মাএ
তোদের বাবা মেয়ে কে আমি আঘাতে আঘাতে শেষ করব,,,,,, আমি জানি এখানে থাকলে আমি তোর উপর অত্যাচার করতে পারব না
মনি মা বাধা দিবে,,,,,,
আমি তোকে অনেক দুরে নিয়ে যাব,,,,,,,, কয় দিন ঘুমিয়ে নে শান্তি করে আর তো মাএ কয়েকটি দিন তোদের বাবা মেয়ের শান্তির ঘুম আমি হারাম করব,,,,, [ শয়তানি হাসি দিয়ে ]
,
বিন্দুর এখন আস্তে আস্তে করে জ্ঞান ফিরছে,,,,, কারণ বর্ণ যে ভাবে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে কথা বললো তার উপর আবার কথা শেষ করে বর্ণ বিন্দুকে বেডে ফেলে দিয়ে যায়
,
বিন্দু সারা শরীরে খুব ব্যথা অনুভব করছে,,,,,, মাথাটা ভারি লাগছে আর কানের কাছে ভাঙা চোরার আওয়াজ আসচ্ছে,,
বিন্দু কিছু বুঝাতে পারে না,,,,,,
সে একটু একটু করে চোখের পাতা খুলে,,,,
চোখটা খুলার শক্তিটুকু ও পাচ্ছে না বিন্দু
এতটা খারাপ লাগছে তার বলে বুঝানো যাবে না,,,,,,,,,
বিন্দু তাকিয়ে দেখে বর্ণ রুমের জিনিস গুলো ভাঙ্গছে
বর্ণ কে দেখতে একদম রাগি বাঘের মতো লাগছে,,,,,,
বিন্দু এমন অবস্থায় বর্ণ কে দেখে ওর বুকটা ভয়ে কেপে উঠে সে কান্না করে দেয়,,,,,,
কালকে বর্ণের দেওয়া আঘাতের ব্যথায় ও আজকে এমন অবস্থায় বর্ণকে দেখে
বিন্দুর গলা শুকিয়ে যায় ভয়ে,,,, কি ভাবে সে এই মানুষ রূপী রাক্ষসটার কাছে থেকে মুক্তি পাবে,,,,,
কি এমন ভুল করেছে সে যার জন্য এই রাক্ষসটা তাকে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে,,,,,,
বিন্দু কিছু বুঝতে পারছে না,,,,,,
ওর চোখ দিয়ে শুধু অঝর ধারায় পানি পরছে
মুখে হাত দিয়ে কাঁদছে ও
যাতে করে ঐ রাক্ষটা শুনতে না পারে,,,,
এমন অবস্থা যদি দেখে বিন্দু জেগে গেছে তাহলে ওকেও ছুড়ে ফেলে দেবে,,,,,,,,,,
,
বর্ণের কিছুটা রাগ কমে যায়,,,,,
ও বাহিরে যাওয়ার জন্য ডোর খুলতে যেতে নেয় আর তখনি কান্নার আওয়াজ শুনতে পারে,,,,
বেডে তাকিয়ে দেখে বিন্দু কাঁপছে আর ওর মাথা নড়ছে,,,
ওপাশে হয়ে শুয়ার কারণে তার মুখকা দেখা যাচ্ছে না,,,,,,,,
,
বর্ণ শয়তানি হাসি দিয়ে বিন্দুর দিকে এগিয়ে যায়,,,,,,
বিন্দু বুঝতে পারে নি,,,,,
বুঝবেই বা কি করে ও তো অন্য দিকে মুখ দিয়ে কাঁদছে,,,,,,,,,
কিন্তু তাও বর্ণের চোখ এড়াতে পারে নি,,,,,,,,,
,
বর্ণ বিন্দুর কানে কাছে যেয়ে জোরে চিৎকার দেয়
আচমকাই এমন চিৎকারে বিন্দু খুব ভয় পেয়ে যায়,,,,,
বিন্দু পিছনে ফিরে বর্ণ কে দেখে জোরে জোরে কেঁদে দেয়,,,,,,,,
,
বিন্দুর এভাবে কাঁদা ও ভয় পাওয়া দেখে বর্ণ জোরে শব্দ করে হেসে দেয়
বিন্দর কষ্ট পাওয়াতে ওর থেকে বেশি সুখী ব্যক্তি মনে হয় কেউ নাই,,,,,,
,
বর্ণ হাসি থামিয়ে বিন্দিকে একঝটকায় বেড থেকে তুলে
এমন আচমকাই এভাবে তুলাতে বিন্দু ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়
বিন্দু দাড়াতে পাড়ছে না ব্যথায়
ওর পুরো শরীর ব্যাথা করছে,,,,
ও ফ্লোরে ধপ করে পড়ে যায়
,
বর্ণ বিন্দুর দিকে তাকিয়ে আছে
বিন্দু উঠার মত শক্তি টুকু হাড়িয়ে ফেলেছ ,,,,,
বর্ণ যেয়ে বিন্দুর পাশে ফ্লোরে বসে
বিন্দু ঘৃণার চোখে বর্ণের দিকে তাকায়
বর্ণ বলতে শুরু করে,,,,,,
কি জান খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না,,,,,, [শয়তানি হাসি দিয়ে ]
কোথায় গেলো তোমার বড় বড় লেকচার শুধু একটু কামড় উপসসসস্ সরি কিস দিছি তাতেই এমন অবস্থা
আর তো কিছু করিই নি,,,,,,,
কাল যা করেছি তার পরে থেকে জানে যদি ভয় থাকে তাহলে আমার মুখে মুখে কথা বলবে না,,,,,,,
আমি যা যা যেমন যেমন যেভাবে বলব তাই করবে,,,,,,
আর এইসব কাঁদার নাটক আমার সামনে করতে এসো না,,,,,,
,
তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো
বিন্দুর হাতে একটা শাড়ি ধরিয়ে দিয়ে বললো কথাটা
বিন্দু চোখ বন্ধ করে আজর ধারায় কান্না করছে,,,,,,,
ওর সাথে কাল থেকে যা যা হচ্ছে ও কিছুই বুঝতে পারছে না,,,,,
একটা খারাপ সপ্নের মত লাগছে,,,,,
,
এই মেয়ে কথা শুনো না
জোরে কথা না বললে হয় না
,
বিন্দু নিচের দিকে হয়ে কাঁদছে
,
বর্ণ ওর গান টি নিয়ে বিন্দুর দিকে টার্গেট করে,,,,,
ধমক দিয়ে বলে এখন যদি না ওঠো তাহলে আমি কি করতে পারি তা ভালো করে জানো তুমি,,,,,,,
আর না জানলে বলো আমি প্রয়োগ করে দেখিয়ে দেয়,,,,,
,
বিন্দু ভয় পেয়ে ধীরে ধীরে উঠে ওয়াশরুমে যায়
শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে থাকে বিন্দু
কেন বর্ণ তার সাথে এমন করছে,,,,,,
বর্ণ কে দেখে তো Gangster মনে হয় না
ও কেন এই পথ বেছে নেয়,,,,
কেন তাকে এসব করছে,,,,,,,
বিন্দু জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদছে
আর নিজের শরীর বার বার ওয়াস করছে,,,,, বিশেষ করে বর্ণ যে জায়গা গুলিতে কামড় দিছে,,,,,, শরীরে পানি পড়াতে বর্ণের কামড় ও আচরের লাগ গুলো স্পষ্ট হয়ে গেছে,,,,,,,,
বিন্দু কে তার বাবা কখনো কনো কষ্ট দেয় নি,,,,, তাকে কেউ কখনো একটা থাপ্পড় অবধি মারে নি আর আজ তাকে কতো কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে,,,,,,,
বিন্দু কেঁদে বলে পাপা আমি এই কষ্ট থেকে মুক্তি চাই,,,,, আমি আর এই gangster টাকে সহ্য করতে পারছি না,,,,,,,
তুমি আমায় নিয়ে যাও পাপা
আমি যে মরে যাবো,,,,,,,,
চিৎকার করে করে বলছে
,
ওয়াশরুমে কেউ জোরে জোরে নক করে
বিন্দু ভয় পেয়ে যায়
নক করার শব্দ ক্রমশই বাড়তে থাকে
মনে হচ্ছে এখন ডোরটা ভেঙ্গে যাবে,,,,,,
বিন্দু কি করবে বুঝতে পারছে না এ যে বর্ণের কাজ তা ভালো করেই জানে সে,,,,,,,
,
একসময় শব্দটা কম হয় বিন্দু হাব ছেরে বাচে কিন্তু এটা আর বেশি ক্ষণ স্থায়ী হলো না,,,,,,,,,
আবার নক করে,,,,,,,,
এবার বিন্দু খুব রেগে যায়
এমনি তে ও সব সময় বিন্দুর উপর অত্যাচার করে করে বিন্দুর শান্তি টুকু কেড়ে নিছে,,,,,,
আর এখন ওর মন খুলে কান্না করা টুকু ও সহ্য হচ্ছে না,,,,,,,,,,,
বিন্দু উচ্চস্বরে কে বলে ঝাঁঝালো কন্ঠে,,,,,,,
,
ওপাশে থেকে,,,,,,,,,,
,
,
,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,
