#অবহেলার সংসার 🏘️,পর্ব__18_অন্তিম পর্ব
লেখিকা__(মায়া)
আনহা তুমি??? হ্যাঁ আমি!!! মায়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কি চাও তুমি??
আতিক মাথায় হাত দিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
কি শুরু করছো তুমি??? লোক জন নিয়ে মাঝরাস্তায় মারার প্ল্যান???
আতিক আতিক!! তুমি কি ভাবছো এতো সহজে ছেড়ে দিবো তোমায়???
আনহা প্লিজ যেতে দাও আমাদের।
আনহা পৈশাচিক মাত্রিক ভাবে হাসছে। এতো সহজে যেতে দিবো তোমাদের??? আগে আমার কাজ হোক তার পর যেতে দিবো। গুন্ডা টাইপ ছেলেদের মধ্যে থেকে আনহা এক জন বলল। এই রনি মেয়েটাকে আমার কাছে নিয়ে আয়।
আতিক মায়ার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। রনি নামক ছেলে টা মায়ার এক হাত ধরে টানতে লাগলো। আতিক রনি কে একটা লাথি মারে ছিটকে পড়ে গেল সে। রাগে চিৎকার করে উঠে রনি। বাকি ছেলেদের উদ্দেশ্য বলে এই দাঁড়িয়ে থেকে মুখ দেখছিস কি ধর ওকে।
ছেলেগুলোকে বলা শেষ না হতে আতিক কে মারতে আরম্ভ করে তারা। মায়া ছেলে গুলো কে আটকানোর বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে। শেষে রনি মায়াকে আনহার সামনে টেনে নিয়ে আসে।
মায়া ছল ছল চোখে বলে প্লিজ ছেড়ে দাও ওকে। ওকে মেরো না আর প্লিজ। রনির কাছে থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে মায়া কিন্তু রনির শক্তি তে পেরে উঠছে না।
এই দিকে আতিকের অবস্থা সুচনীয় করে ফেলেছে ছেলে গুলো।
মায়া আনহাকে অনুরোধ করছে,, প্লিজ আনহা ছেড়ে দাও ওকে।
মায়ার অসহায় চেহারা দেখে আনহার খুশি যেন ধরছে না। সবাই কে থামতে বলল আনহা। আতিকের শরীর রক্তাক্ত হয়ে গেছে।
আনহা মায়ার হাত ধরে আতিকের কাছে নিয়ে যায় আর বলতে থাকে এই মেয়েটার জন্য আমাকে সবার সামনে থাপ্পর মেরেছিলে তাই না??? সবার সামনে অপমান করেছিলে তাই না??? আনহা রাগে কাঁপতে থাকে। স্বজোরে মায়াকে থাপ্পর মারে দুই গালে বার বার থাপ্পর দিতে থাকে। মায়ার অসুস্থ শরীরের কারনে আনহাকে বাধা দিতে পারছে না।
আতিক চিৎকার করে বলে। আনহা মায়া কে ছেড়ে দাও বলছি। কেন এমন করছো?? আমার রাগ তুমি মায়ার উপর কেন তুলছো?? ছেড়ে দাও ওকে।
হা হা হা হ্যাঁ ছেড়ে দিবো। এই মেয়েটার ভিতর কি পেয়েছিলে তুমি??? যে আনহা কে ছেড়ে দিয়েছিলে??? আনহার মন ভরে গেলে আনহা নিজেই ছেড়ে দিতো তোমায়। কিন্তু আগে নিজেই ছেড়ে দিয়ে মস্ত বড় ভুল করেছো তুমি??? এখন তো এই ভুলের মাশুল গুনতেই হবে তোমায়।
আনহা রনির উদ্দেশ্য বলে ছুরি টা বের করো।
মায়ার হার্ট এবার দ্রুত বেগে ধুক ধুক করছে। মায়া চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে বলছে। মৃত্যুর জন্য ভয় কেন করছি আমি??? আতিকের কিছু হতে দিবো না আমি।
রনি ধারালো চক চক করা ছুরি বের করল। আনহা কে হাত বাড়িয়ে ছুরি দিতে গেলে মায়া সেটা কেড়ে নেয়,,আর আনহা কিছু বুঝে উঠার আগেই গলায় ধরে তার।
আনহা হতভম্ভ হয়ে বলল কি করছো কি??? ভালোই ভালোই বলছি আমাদের ছেড়ে দাও নাহলে। এক টানে গলার রগ কেটে দিবো।
ভয়ার্ত কন্ঠে আনহা বলল এই নাহ। আ…আমি ছে.. ছেড়ে দিবো তোমাদের।
ঐ ছেলেদের চলে যেতে বলল তারাতারি,, আনহা রনির দিকে তাকিয়ে বলল তোমরা চলে যাও এখান থেকে জলদি।
ছেলে গুলো চলে যায় সেখান থেকে আনহা কে দূরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় মায়া। আর আতিকের কাছে দৌড়ে চলে যায়। আতিক উঠো তারাতারি,, আতিক মাথায় হাত দিয়ে উঠে পরে। বাইক টা কোন মতে তুলে আতিক বাইকে উঠে পড়ে আর মায়া বাইকের পিছনে।
আনহা চিৎকার করে রনি কে ডাকে,, দূর থেকে দেখা যাচ্ছে ছেলে গুলো দৌড়ে আসছে আবার
আতিক তারাতারি গাড়ি স্টার্ট করো। আতিক কোন মতে গাড়ি স্টার্ট করে চলতে লাগে। একটু দূরে যেতে না যেতেই গুলির শব্দ শুনা যায়। আতিক পিছনে তাকিয়ে দেখে মায়া বাইক থেকে পড়ে গেছে। আর কিছু দূরে আনহা গান হাতে দাঁড়িয়ে আছে। বাইক ফেলে দিয়ে আতিক দ্রুত মায়ার কাছে যায়।
মায়া মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। পিঠে গুলে লেগেছে,,গলগল করে রক্ত পরছে পিঠ থেকে।
আতিক মায়ার মাথা টা নিজের হাঁটু তে নিয়ে মায়ার গালে হাত দিয়ে বলে,,
মায়া এই মায়া মায়া কথা বল!!! তোমার কিছু হবে না,,, আনহা কেন করলি এটা???
আতিক কাঁদছে,,
মায়া তাকাও,, এই মায়া,, আতিক দ্রুত ফোন বের করে সাফিক কে কল দেয়।
এই দিকে আনহা মায়াকে গুলি করাই বাকি ছেলে গুলো ভয় পেয়ে চলে সেখান থেকে। আনহা নিজেও পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
মায়া বড় একটা নিঃশ্বাস নেয়। আতিকের দিকে ঘোলাটে চোখে তাকিয়ে আছে মায়া,, তার চোখের কোন দিয়ে পানি পড়ছে।
তোমার কিছু হবে না,, এখনি সাফিক গাড়ি নিয়ে আসছে ,, মায়া আতিকের হাত ধরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,, এ..এতো উতলা হ..হতে হবে না,,আ… আমার সময় শেষ আতিক,,,
নাহ তোমার কিছু হবে না আমি কিছু হতে দিবো না তোমার,, আমি তোমাকে ছাড়া কি করে থাকবো। এমনিতেও আমার সময় শেষ ছিল আতিক,, সেটা তুমি জানো,, ভালোবাসা এমনিই হয় ভালোবাসার মানুষ টাকে রাখতে দেয় না আতিক,,, মায়া আবার চোখ বন্ধ করে নেয় দেখেই বুঝা যাচ্ছে,, অনেক কষ্ট হচ্ছে তার। চোখ বন্ধ করে মায়া বলল,, শেষ একটা কথা বলি আতিক!!! ❤️love you forever and ever ❤️। মায়া আবার চোখ টা মেললো মৃত্যুর যন্ত্রণা সব কিছুর যন্ত্রণা কে হার মানিয়ে দিচ্ছে আতিক,, আমার আর তোমার সাথে সুখের সংসার করা হলো না অবহেলার সংসারে জিবন টা শেষ হয়ে গে… মায়া শেষ কথা উচ্চারণ করতে পারলো না তার আগেই জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল,, কিছু ক্ষণ মায়ার ছটফট করতে করতে একাই শান্ত হয়ে গেলো,, তার নিথর দেহ টা রাস্তায় পড়ে রইলো। সাথে সাথে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়তে লাগলো।
আতিক চিৎকার করে ডাকছে মায়াকে তার কান্নার আর্তনাদে প্রকৃতি ভারি হয়ে উঠেছে। আমি কি করে থাকবো!???
________
🥀🥀🥀তার পর কি হলো??? মায়া মারা গেল???
পার্কের বেঞ্চিতে দুই জন পুরুষ বসে আছে। একজনের মুখে বয়সের ছাপ দেখা দিয়েছে অন্য জন কেবল তরুণে পা দিয়েছে।
ঘন্টা খানেক আগে বয়স্ক লোক টা সেই বেঞ্চিতে বসে ছিল,, আর এই তরুণ রেগে মেগে এসে সেই বেঞ্চিতে বসে পড়ে। দেখেই মনে হচ্ছে ভিষন রেগে আছে,, বার বার ফোন বাজছে তার তাও উঠাচ্ছে না। বয়স্ক লোক টা ছেলে টার দিকে তাকালো!!! ফোন বাজছে ধরো।
সেই তরুণ যুবক কোন পাত্তা দিল না। তার পর অতিষ্ঠ হয়ে ফোন টা রিসিভ করল। তার পর বলতে লাগলো।
আমি বলেছি যে তুমি আর আমায় ফোন দিবে না,, কেন ফোন দিচ্ছো আবার??? আমার ভালো লাগছে না এসব,, ও মুক্তি চাও। তো যাও মুক্তি দিয়ে দিলাম,, আমি নিয়ামুল তোকে কখনো আর ফোন দিবো না যাহ্।
অপর পাশের কথা শুনা গেল না আর। ছেলে টা ফোন কেটে দিয়ে বিড়বিড় করছে,, জিবন শেষ করে দিল আমার। আবার ছেলেটার ফোন বেজে উঠল। ফোন টা রিসিভ করেই ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,, মায়া আমি কিন্তু বারন করছি তোকে ফোন দিতে। আর ফোন দিবি না বলেই ফোন কেটে সাইলেন্ট করে রাখে।
মায়া নাম টা শুনেই বয়স্ক লোক টা চোখ বড় বড় করে আতিকের দিকে তাকালো।
তার পর হাসি মুখে বলল বউ?? নাকি গ্রালফেন্ড??? লাভ প্রবলেম রাইট???
নিয়ামুল ছেলে টা বয়স্ক লোক টার দিকে তাকিয়ে বলল কেউ না। ওর মত অনেক মেয়ে আছে। সব সময় শুধু ঝগড়া ছাড়া কাজ নাই। যত্তসব,,,
আচ্ছা মোড তো এখন খারাপ তোমার তাইনা??? ওর মত মেয়ে লাইফে থাকলে সব সময় মোড খারাপ থাকবে বস।
আচ্ছা ছাড়ো তোমাকে একটা গল্প শুনাই,, যেটা শুনলে তোমার মোড ভালো হয়ে যেতে পারে,,
এত ক্ষন সেই গল্প শুনাচ্ছিল নিয়ামুল কে বয়স্ক লোক টা।
🥀 ______💔______🥀
কি গল্প শুনালেন এটা ??? মোড তো ভালো হওয়ার বদলে আরো খারাপ হয়ে গেল। আচ্ছা মায়া তাহলে মারা গেল নাকি??
হ্যাঁ মায়া মারা গেছে,, অবহেলার সংসার থেকে মুক্তি নিয়েছিল সে,, ডাক্তার তাকে ৩মাসের টাইম দিয়েছিল এই তিন মাসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বৃদ্ধি পেত। তাহলে মায়ার লাইফ রিস্ক থাকতো না কিন্তু তার শরীর আরো অবনতির দিকে চলে যায়। যা মায়া সেইদিনই জানতে পেরেছিল।
তাই বেঁচে থাকার খুব একটা আকাংক্ষা তার মাঝে ছিল না মৃত্যুর আগ মুহূর্তে।
আতিকের কি হলো??? আতিক হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরে মায়ার কাছে ফিরেছিল কিন্তু মায়ার রিদয়ে আতিকের জন্য সব অনুভূতি মৃত্যু প্রায় ছিল। তাই আতিকের ভালোবাসা টাও তার কাছে এক সময় মূল্য হীন হয়ে পড়েছিল। আর আতিকের জন্যই কিন্তু মায়ার মৃত্যু হয়। আনহা যদি তার জিবনে না আসতো তাহলে আজ মায়াকে তার হাতে মরতে হতো না।
আতিকের ভালোবাসা টা মায়ার জন্য যখন বাড়লো তখন মায়া তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল।
আতিক তার শাস্তি সারা জীবন ভোগ করছে। মায়ার একাকিত্ব তাকে এখন তিলে তিলে শেষ করছে। সে আর এক বার মায়াকে ফিরে পেতে চাচ্ছে,, মায়ার যখন আতিক কে প্রয়োজন ছিল তখন সে তার পাশে ছিল না। আর আতিকের যখন মায়াকে প্রয়োজন পড়লো তখন সে নিজে হারিয়ে গেল।
মানুষ জন এই রকমি। ঠিক সময়ে সঠিক মানুষ টা কে চিনতে পারে না।
যেমন তুমিও,, আমি??? আমি কি ভাবে??
সেটা তুমি নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখো উত্তর পেয়ে যাবে,, ব্যাস এই টুকু তোমায় বলব,, আশে পাশে ভালোবাসার কমতি হয়তো তোমার নেই কিন্তু একজন মানুষ তোমার লাইফে অবশ্যই আছে যার খুব করে প্রয়োজন তোমার। আর এটা তুমি নিজেও জানো।
সেই মানুষ টা কে অবহেলা করো না যে মানুষ টা তোমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই চাই না। যার ঠোটেঁর হাসির কারণ তোমাকে করছে অথচ তুমি তার চোখের পানির কারন হচ্ছো।
নিঃস্বার্থ ভাবে যে তোমাকে ভালোবাসে,, তার সাথে বেইমানি করো না। নয়লে আতিকের মত তোমাকেও পস্তাতে হতে পারে।
কারন আমরা মানুষ সেই মানুষ টা কে অবহেলা করি যে আমাদের সত্যি ভালোবাসে…
তোমাকে কয়েক টা প্রশ্ন করি???
এমন কি কোন মানুষ আছে তোমার জিবনে যেই মানুষ টার কাছে হাজার ভুল করার পর ও মাফ পেয়েছো???
নিয়ামুল একটু ভেবে বলল হ্যাঁ আছে,,
মানুষ টার মন টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে ফেলার পরো কি সে তোমায় ভালবেসেছে??
হ্যাঁ।
সময় চেয়ে ঝগড়া সেই মানুষ টাই করে যার কাছে তুমি ছাড়া কেউ নেই। যারা টাইম পাস করে তারা সন্দেহ করে না আবার সময় চেয়ে অযথা কোন ঝগড়াও করবেনা।
একটা কাজ কর,, আতিকের মত দেরি হওয়ার আগে তুমি নিজের ভালোবাসার মানুষ টাকে আপন করে নাও। নয়লে এক বার যদি তার মন থেকে উঠে যাও তো কোন দিন তাকে আর পাবে না।
আর এত টাও কাউকে অবহেলা করো না যে মানুষ টা তোমাকে ছাড়ায় বেঁচে থাকতে শিখে যায়।
সত্যি ভালোবাসলে কখনো নিজের জিবনে তৃতীয় জনকে প্রশ্রয় দিও না। তাহলে নিজের পায়ে নিজের কুড়াল মারা হয়ে যাবে।
নিয়ামুল মনযোগ দিয়ে লোক টার কথা শুনছে। তোমার মায়া রাগ করেছে,, যাও গিয়ে তাকে মানিয়ে নাও,, আর তার সাথে দেখা করো। সাথে তার প্রিয় ফুল নিয়ে যেতে পারো,, তার প্রিয় ফুল জানা আছে কি তোমার???
নিয়ামুল মাথা নিচু করে বলল নাহ জানিনা,,
বয়স্ক লোক টা মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল, তাহলে সুগন্ধি যুক্ত কোন ফুল দিও,, মেয়েরা সুগন্ধি যুক্ত ফুল বেশি পছন্দ করে। যেমন,, বকুল ফুল,, রজনী গন্ধা, বেলি,,
বয়স্ক লোক টার কথার মাঝে একটা ছোট মেয়ে আসলো তাদের কাছে,, বয়স ৭ বছর হবে হয়তো,, এসেই বলল,, বড় আব্বু তুমি আবার এসেছো এখানে,, আম্মু তোমায় খোঁজছে আর আব্বু ও। কত বার বলেছি এখানে বসে থাকবে না চল উঠো তারাতারি।
লোক টা মুচকি হেসে বলল,, এখনি যাচ্ছি,, দাঁড়া আজ কের শেষ বার তার সাথে দেখা করে আসি। তুই এখানেই থাক।
লোক টা উঠে চলে গেল।
নিয়ামুল মেয়ে টাকে জিজ্ঞেস করল তোমার নাম কি বাবুনি??? মুচকি হেসে উত্তর দিল বাচ্চা মেয়ে টা,, আমার নাম মায়া তোমার???
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল মায়া তোমার নাম?? তোমার বাবার নাম কি আর ঐ লোক টার নাম কি??
আমার আব্বুর নাম সাফিক,, আর উনার নাম আতিক আমার বড় আব্বু,,
নিয়ামুল হতবাক হয়ে আতিকের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। উনি এত ক্ষন নিজের জিবন কাহিনী শুনাচ্ছিল তাহলে??
দেখা করতে গেলেন কার সাথে?? আমার বড় আম্মুর কবরে গেল যার নাম আমাকে দেওয়া হয়েছে,, পার্কের পিছনে কবরস্থান। দিনের মধ্যে ৭০ বার আসে,,মাঝে মাঝে খুব কান্নাকাটি করে,,
আর এই পার্কের বেঞ্চিতে বসে থাকে। কোন লোক পেলেই তার জিবন কাহিনী শুনাতে বসে যায়। আপনাকেও বলেছে তাই না আংকেল???
নিয়ামুল মুচকি একটা হাসি দিল,, আর পকেট থেকে চকলেট বের করে দিল মায়ার হাতে।
ফাঁকা রাস্তায় নিয়ামুল হাঁটছে হাতে বেলী ফুল,, গন্তব্য তার মায়ার সাথে দেখা করা। সে এখন চায় না তার মায়াকে অবহেলার সংসার দিতে।।।
তার কি সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর মায়া কে বুঝতে পারছে কি না সেটাই মাথার ভিতর ঘুর পাক খাচ্ছে,, মায়া ফোন ও উঠাচ্ছে না। সে নিজেও খুব কম অবহেলা তো করেনি মানুষ টা কে।
আতিক মায়ার কবরের সামনে বসে আছে,, চোখের পানি গাল গরিয়ে পড়ছে।
আমি আমার শান্তি পেয়েছি মায়া তোমাকে হারিয়ে,, তুমি যখন ছিলে তখন আমি তোমায় কাঁদিয়েছি। এখন তোমার স্মৃতি আমায় ছাড়ছে না। আমায় মাফ করে দিও প্লিজ। love you forever and ever ❤️
অবহেলা এমন এক শব্দ যা এক জন মানুষ কে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট 🙂,,,
সমাপ্ত!!