তোমাকে,পর্ব 1.1
লেখনীতে : অনিমা হাসান
হ্যালো
অনিমা?
অনিমা একটু কেঁপে উঠল এত বছর পরেও এই কণ্ঠস্বর শুনে চিনতে এতোটুকু ভুল হয় না I আজও তেমনি গভীর ভরাট কণ্ঠস্বর
কে ?
মুনির
কিছুক্ষণ দুপক্ষই নীরব থাকে ,অনিমা নিজেকে সামলে নিয়ে নীরবতা ভেঙে বলে
কেমন আছো মুনির ? কোথায় এখন ?
তোমার শহরে এসেছি
একা এসেছো ?কোন কাজে না ফ্যামিলি নিয়ে বেড়াতে ?
একটা কনফারেন্স ছিল আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফিরে যাব
আজকেই চলে যাবে আরো আগে ফোন করলে ন কেন ?
তোমার নাম্বার আজি পেলাম ,সুমন ভাইয়ের কাছে ,এখানে যারা আছে তাদের সবার সঙ্গেই মোটামুটি কথা হয়েছে ,শুধু তুমি বাকি ছিল
তোমার কাজ শেষ ?
প্রায় এখন কফি ব্রেক চলছে এরপর আর ঘন্টাখানেক
তারপর কি ফ্রি?
হ্যাঁ ভাবছি কি করব
আমার বাসায় চলে এসো ,লাঞ্চ করো, অ্যাড্রেস টেক্সট করে দেই?
না না দেরি হয়ে যাবে সাতটায় ফ্লাইট আমার, হোটেলে ফিরে সব গুছিয়ে বেরোতে হবে
ও ,তোমার কনফারেন্স কোথায় হচ্ছে ?
ডাউনটাউন মেইন ক্যাম্পাস I
তাহলে আমি তোমাকে পিক করে নেই সাড়ে এগারটায় আমি ক্যাম্পাসে থাকবো কেমন?
অনিমা ,এত কষ্ট করার দরকার নেই
অনিমা এখন অনেকটাই সহজ I ঝরঝরে হাসি হেসে বলল
কষ্ঠ কি ?প্রফেসর সাহেব এই প্রথম আমাদের শহরে এলেন একটু ট্রিট না দিলে চলে ? আসছি আমি এই নাম্বারটা তোমারতো?
আপাতত
আমি কল দিচ্ছি এসে
কনফারেন্সের বাকি অংশে মুনির আর মন বসাতে পারল না কেমন যেন হাত কাঁপছে নার্ভাস লাগছে নিজের উপর ভিষন রাগ হচ্ছে এই বয়সে এসে এই ধরনের ছেলেমানুষি খুবই বেমানান I
*********
সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে আগত অতিথিরা একে অপরের থেকে বিদায় নিতে ব্যস্ত I তিনতলা থেকে এলিভেটরে করে মুনির সহ আরো কয়েকজন প্রফেসর নিচে নেমে এলেন I থ্যাংক ইউ সো মাচ মিস্টার চৌধুরী ফর জয়নিং উইথ আস I ডক্টর মার্কস মনিরের সাথে হাত মেলাতে মেলাতে বললেন I মনির হেসে বিদায় জানালো I আনুষ্ঠানিক বিদায় পর্ব শেষে মনির গেটের দিকে এগিয়ে গেল I
অনিমা এসেছে বেশ কিছুক্ষণ হলো আজকের দিনটা বেশ সুন্দর ঝকঝকে স্বচ্ছ নীল আকাশ সহনীয় তাপমাত্রা এবং মৃদুমন্দ বাতাস I অনিমা গাড়ি পার্ক করে বাইরে বের হয়ে দাঁড়ায় মধ্যদুপুরের রোদটা বেশ ঝাঁঝালো যদিও আকাশের কোণে মেঘ জমতে শুরু করেছে তবে এই মেঘ বৃষ্টির পূর্বাভাস নয় বছরের এই সময়টাতে রোদ আর মেঘের খেলা চলে অনেকটা দেশের শরৎকাল এর মত I অনিমা ঘড়ি দেখল সাড়ে এগারোটা বাজে চকিতে একবার মোবাইলটাও চেক করে নিল I না মনির কল করেনি Iএখনো শেষ হয়নি কিংবা হয়েছে বিদায় পর্ব চলছে I আচ্ছা মনিরের কি স্পিচ ছিল এখন ও নিশ্চয়ই আগের মতোই চমৎকার স্পিচ হয় ওর কিংবা আগের চাইতে ও ভালো হঠাৎ একটু অন্যমনস্ক হয়ে যায় অনিমা বহু বছর আগের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্মৃতি মনে পড়ে যায় I
পর্ব 1.2
আজ অনিমার জীবনের ব্যস্ততম দিন I সকালে ইউনিভার্সিটি তে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম দুপুরে ছায়ানটের ওর একটা গানের পরীক্ষা আবার সন্ধ্যায়একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানের গান করতে হবে I অনিমার একটু বিরক্ত লাগছে একটু না বেশ বিরক্ত লাগছে I গান করতে ওর ভালো লাগে I গানটা ও খুব ভালোবাসা নিয়েই করে I কিন্তু এসব অনুষ্ঠানে গান করতে ওর একদম ভালো লাগেনা I একগাদা লোকের সামনে স্টেজে উঠে গাইতে ওর ভালো লাগেনা I খুব ঘরোয়া পরিবেশে বন্ধুদের সামনে গাইতে খারাপ লাগেনা অনিমার I অনিমার মনে আছে স্কুলে থাকতে ওর জন্মদিনে ওর সব বন্ধুরা বাসায় আসতো I মিঠু খালা অনেক রান্নাবান্না করতো I দুপুরে জম্পেশ খাওয়া দাওয়া তারপর সবাই বারান্দায় বসে আড্ডা হতো I একপর্যায়ে গান আবৃত্তি সবি চলত I নীলা সহ আরো দশ বারোজন বান্ধবীরা আসত I কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো I স্কুলের পর কলেজে উঠে সবাই এদিক ওদিক ছড়িয়ে গেল I শুধু অনিমা আর নীলা রয়ে গেল একই কলেজে I দুজনের বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়েছে কলেজ জীবনে এসে I ভাগ্যক্রমে দুজনই একই ডিপার্টমেন্টে চান্স ওপেয়েছে I বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটাও আনন্দময় হবে বলেই মনে হয় অনিমার I বন্ধুরা ওর জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে I ওদের ছাড়া অনিমা নিজের জীবনটা কল্পনাও করতে পারে না I
অনিমার মা মানে নেই I ওরা দুই ভাই বোন I বড় ভাই স্কুল শেষ করে UK চলে গেছে I ওখানে ডাক্তারি পড়ছে I কালেভদ্রে কথা হয় I বাবার সঙ্গে সম্পর্কটা ও অনেকটাই দূরের I অনিমার কখনো মনে হয়নি ওর বাবা ওকে ভালোবাসে I বরং ওকে নিয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন I কি করে ওকে আরো ডেভলপ করা যায় সেই চিন্তায় অস্থির থাকে সারাক্ষন I ছোটবেলা থেকেই অনিমা ভালো ছাত্রী I কিন্তু পড়াশোনা করতে ওর ভালো লাগেনা I যতটুকু না করলেই নয় ততটুকুই করে I নীলা অবশ্য স্কুল জীবন থেকে ওর পাশে ছিল I অনেক সাহায্য করেছে অনিমা কে I নীলা অবশ্য সবকিছুতেই চৌকস I যেমন সুন্দর তেমনি ভালো ছাত্রী I চমৎকার আবৃত্তি করে I ক্লাসিকাল ডান্স পারদর্শী I সব সময় টিপটপ থাকে I অনিমার বাবা হাসান সাহেব প্রায়ই মেয়েকে নীলার উদাহরণ দেন I সেই তুলনায় অনিমা অনেকটাই উদাসীন ,এলোমেলো I মা না থাকায় কেউ তাকে তেমন ভাবে যত্ন করেনি I কিন্তু অনেক যত্নের বাগানে বেড়ে ওঠা ফুলের চাইতে গহীন অরণ্যে নাম-না-জানা ফুলের যেমন একটা আদিম সৌন্দর্য থাকে অনিমার মধ্যেও তেমনি একটা নিখাদ সৌন্দর্য আছে I যেটা সবাই দেখতে পায় না I যেটা দেখার জন্য প্রয়োজন সেই রকমের নিখাদ সুন্দর দৃষ্টি I
অনিমা নিশ্চিত আজ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম এ ওকে গান গাইতে হবে I কোন গানটা গাইবে সেটাও মোটামুটি ঠিক করে রেখেছে I কলেজ ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রাম গাইতে ওর একটুও খারাপ লাগে না তবে জন্মদিন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গাইতে ওর খুব বিরক্ত লাগে I দু-একটা ট্রেডিশনাল গানের পর সবাই হিন্দি গান গাইতে অনুরোধ করে I অসহ্য লাগে I কিন্তু হাসান সাহেব চান গানটান গেয়ে অনিমা একটু নাম ডাক হোক I তাঁর অসুন্দর অগোছালো মেয়েটিকে নিয়ে তিনি গর্বভরে সবার সামনে দাঁড়াতে পারেন যেমনটা পারেন তার ছেলেকে নিয়ে I অনিমা একমাত্র বাবার কারণে এসব অনুষ্ঠানে গান করে I মেয়েকে তিনি বাড়িতে টিচার রেখে গান শিখিয়েছেন I এখন অণিমা ছায়ানটে ফাইনাল ইয়ারে আছে I রেডিওতে গান করেছে সামনে হত টেলিভিশনেও গাইবে I যদিও তিনি কখনো মেয়েকে ডেকে একটা গান শোনাতে বলেননি I অনিমার মাঝে মাঝে মনে হয় ওর মা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কিংবা জোছনা রাতে এসে বলতো ‘একটা বৃষ্টির গান শোনাতো মা’ I
অনিমা আজকের পছন্দের নীল ড্রেসটা পড়বো I যত্ন করে চোখে কাজল দিল I রেশমের মত লম্বা কালো চুল গুলো আলগোছে ছেড়ে রাখল I সাজ শেষে অনিমার মনে হল ওকেএকদম ভালো লাগছে না I খুব ভালো হতো যদি এমন কেউ থাকতো যাকে জিজ্ঞেস করা যেত কেমন লাগছে? আর সে পরম মমতা নিয়ে বলতো তুই যা পড়িস তোকে তাতেই সুন্দর লাগে I কি ভালোই না হত তাহলে I
নীলা কল দিচ্ছে I নিশ্চয়ই ও গাড়ী নিয়ে চলে এসেছে I আজকে ওরা একসঙ্গে যাবে I নীলাকে দেখে অনিমা মুগ্ধ হয়ে গেল I এত সুন্দর একটা মেয়ে কি করে হতে পারে I অনিমা বলল
আমি ছেলে হলে এই মুহূর্তে তোর প্রেমে পড়ে যেতাম
ভাগ্যিস হোসনি তাহলে আর আমাদের বন্ধুত্বটাই থাকত না
কেন? প্রেমিক কি বন্ধু হতে পারেনা ?
এই সব নেকা নেকা প্রেমের মধ্যে বন্ধুত্ব হারিয়ে যায়
কি জানি I অনিমার মনে হয় ও যদি কখনো কাউকে ভালোবাসে তবে সে ওর সবচেয়ে ভাল বন্ধু হবে I
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম এসে অনিমার মন ভাল হয়ে গেল I প্রথমে চেয়ারম্যান স্যারের প্রাণবন্ত স্পিচ I একে একে স্টুডেন্টের সাথে পরিচয় পর্ব I ঢাকার স্টুডেন্ট দের পক্ষ থেকে হাসিব নামের একটি ছেলেকে স্পিচ দিতে বলা হলো I ছেলেটা এত মজা করে কথা বলে হাসতে হাসতে সবাই শেষ I এরপর ঢাকার বাইরের স্টুডেন্ট দের পক্ষ থেকে মুনির নামের একজন স্পীচ দিল I মুনির যে গ্রাম থেকে এসেছে কিংবা স্কুল ও কলেজ থেকে পাশ করেছে তার কোনটার নাম অনিমা আগে শোনেনি I কিন্তু ছেলেটার সাবলীল উপস্থাপনা সুন্দর বাচনভঙ্গি আর গোছানো বক্তব্য উপস্থিত সকলেই খুব ভালো লাগলো I এরপর নীলা দুটি কবিতা আবৃত্তি করল I সবশেষে অনিমার গান I অনিমা একটা রবীন্দ্র সংগীত গাইল I তুমুল করতালির মাধ্যমে সবাই আরেকটা গাইতে অনুরোধ করল I এবার অনিমা একটা আধুনিক গান করল I অনুষ্ঠান শেষে চেয়ারম্যান স্যার বললেন
তোমাদের 30 মিনিট সময় দেওয়া হলো তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হও তারপর তোমাদের ডিপার্টমেন্টে tour এ নেয়া হবে I
আজকের প্রোগ্রামটা মুনীরের অসম্ভব ভালো লাগলো I সবচাইতে ভালো ছিল চেয়ারম্যান স্যারের স্পিচ আর অনিমার গান I মেয়েটা অসম্ভব সুন্দর গান করে I এত সুন্দর যে সারাদিন শোনা যায় I মেয়েটাকে বলা উচিত I প্রশংসা করতে মুনির কখনো কার্পন্য বোধ করে না I পেছনের সারি থেকে নেমে মুনির আস্তে আস্তে বাইরের দিকে এগিয়ে যায় I রুমের ভেতর কিছু ছেলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গল্প করছে I বাইরের করিডোরে মেয়েরা জটলা বেঁধে গল্প করছেI ওদের উচ্চস্বরে হাসির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে I মনির গেটের দিকে এগিয়ে যাবে তখন কেউ একজন কাঁধে হাত রেখে বলল
মামা তুমি তো আজকে ফাটায় দিছো
মনির হেসে ফেললো I বলল
হাসিব তাই না? তোমার স্পিচ অসম্ভব সুন্দর ছিল I খুবই প্রানবন্ত I বলতেই হবে
হু মনির রাইট নাইস টু মিট ইউ কিন্তু ব্রাদার তোমার বাড়ি কই বলতো
মনির ওর দেশের বাড়ির নাম বলল
স্ট্রেঞ্জ তোমার অ্যাকসেন্ট শুনে বোঝা যায় না
মুনির মনে মনে হাসলো I এটা ও অনেক দিনের চেষ্টায় আয়ত্ত করেছে I মুখে বললো
এই আর কি
আরে মামু এত সুন্দর স্পিচ দিলে মাইয়ারা এমনিতেই ফিদা হয়ে যাইব
মনির হো হো করে হেসে ফেললো I ছেলেটা খুবই মজা করে কথা বলে I ভালো লেগে গেল মনিরের I হাসিব বলল
চলো তোমাকে আমাদের কলেজের অন্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই I
পরিচয় পর্ব শেষে মুনির গেটের দিকে এগিয়ে গেল I গেট থেকে বের হয়েই মুনির অনিমাকে দেখল I মেয়েটার হাতে একটা বড় বক্স কাঁধে ব্যাগ I কোনমতে টাল সামলাচ্ছে I মুনির গিয়ে বক্সটা ধরল I
Thanks মুনির right?
হ্যাঁ
I must say তোমার খুব ভালো হয়েছেI আমি অনিমা, অনিমা হাসান
জানিI তোমাকে কে না চেনে
তাই নাকি
তোমার এত সুন্দর গান শোনার পর না চীনে উপায় কি I ইট ওয়াজ রিয়েলি নাইস
ওয়েট এ মিনিট , আমি তোমার স্পিচ ভালো বলেছি বলে তোমাকে আমার গান ভালো বলতে হবে না
তুমি না বললেও আমি বলতাম
এমন সময় নীলা এগিয়ে এল
হোয়াটসঅ্যাপ গাইস
আয় নীলা ও হচ্ছে মুনির
ও হ্যাঁ I তোমার কলেজ যেন কি ছিল
মুনির মনে মনে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কলেজের নাম বলল
ও মাই গড I আমি তো কোনদিন এই কলেজের নাম ও শুনিনি I কোথায় এটা? এখানেও মানুষ পড়ে?
আমার একটু খারাপ লাগলো I নীলা এত ভালো একটা মেয়ে অথচ ওর একটা খারাপ স্বভাব মানুষকে অপমান করে আনন্দ পায়I মুনির রাগ করল না , অপমানিত ও বোধ করল না I সুন্দর করে হেসে বলল
তোমার কলেজের কি নাম?
নীলা ওর কলেজের নাম বলল
শুনেছ নিশ্চয়ই
অবশ্যই শুনেছি I খুবই বিখ্যাত কলেজI
তারপর একটু হেসে বলল
একটা মজার ব্যাপার দেখো আমাদের ইউনিভার্সিটির নাম কিন্তু এখন সেইম
নীলা মনে মনে একটু অপ্রতিভ হলেও মুখ সেটা প্রকাশ করল না
অলরাইট দেন I সী ইউ অ্যারাউন্ড বলে চলে গেল
মনির ফিরে তাকিয়ে বলল
তোমার কোন কলেজ অনিমা?
সেইম
তাহলে তুমি ও নিশ্চয়ই আমার কলেজের নাম শোনোনি
কি যায় আসে বলো? তোমার মার্কস নিশ্চয়ই অনেক ভাল ছিল I তা না হলে তো আর চান্স পেতে না I That’s হোয়াট ম্যাটার্স I চলো চলো চেয়ারম্যান স্যার ডাকছেন ডিপার্টমেন্ট ট্যুরের জন্য I
ওরা এগিয়ে গেল I মনিরের মনে হল মেয়েটা শুধু ভালো গান গায় না ওর মনটা অনেক ভালো I
চলবে …
লেখনীতে : অনিমা হাসান