#ও_আসবেই আবার
২য় পর্ব
মুহূর্তেই তিন ডাক্তার পেশেন্ট ওয়ার্ডের দিকে চলে এলেন। তাদের মনে গভীর ভাবে শঙ্কা জেগে উঠছে হয়তো মেয়েটার বাবার মতো মেয়েটাও রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গেছে! ৬নং ওয়ার্ডের দরজা ঠেলে ডাক্তার আমিনই প্রথম ঘরে ঢুকলেন। না, আশঙ্কা ভুল ছিল। বিছানায় শুয়ে আছে অন্তঃসত্ত্বা বাচ্চা মেয়েটি। কিন্তু স্বস্তির বদলে যেন বড়সড় একটা ধাক্কা খেলেন তিনি। মেয়েটার শরীর পুরোপুরি নগ্ন এবং পেট আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ফুলে উঠেছে। তার পরনের পোশাক ছিন্নভিন্ন হয়ে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মেয়েটার চিকন শরীরে এমন একটা ফুলো পেট দেখে যে কোনো মানুষের শরীরে অসার হয়ে যাবে। এ যেন একেবারেই বেমানান অনুচিত একটা দৃশ্য। ডাক্তার মামুন এবং ডাক্তার অমিতও ঘরে ঢুকে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলো। এমন অদ্ভুত গঠনের একটা শরীর দেখতে হবে এর জন্য তারা দুজন আগেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকলেও সামনা সামনি দৃশ্যটা দেখে তা কিছুতেই স্বাভাবিক ভাবে মাথায় নিতে পারলেন না। তবে সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন ডাক্তার আমিন। কারণ তিনি মেয়েটাকে প্রথম চেকআপ করেন।
ডাক্তার আমিন বিড়বিড় করে বললেন, ‘এ একেবারেই অসম্ভব! আমি ঘন্টাখানেক আগে যখন মেয়েটার চেকআপ করলাম তখনও ওটা এতটা ফোলা ছিল না। এই অল্প সময়ের মধ্যে ভ্রূণটার এত বড় হওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।’ ডাক্তার মামুন আর ডাক্তার অমিত একে অপরের মুখের দিকে তাকালেন। ডাক্তার আমিন যা বলছে তা একেবারেই অসম্ভব একটা কথা। ৭ বছরের একটা মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চাইতেই অসম্ভব গর্ভে কয়েক ঘন্টায় মানবভ্রূণের এতটা বিকাশ। তারমানে পুনরায় আল্ট্রাসনো করতে হবে এবং ভ্রূণের অবস্থা দেখতে হবে। মেয়েটাকে নগ্ন অবস্থায় ভয়ানক কুৎসিত লাগছে। এক প্রকার আতংক অনুভব করছেন তারা।
ঘরের ছোট ওয়ার্ডরোবেই ড্রয়েরের ভেতর সার্জারির সময় রোগীর পরার পোশাক রাখা ছিল। ডাক্তার অমিত তা বের করে মেয়েটার শরীরের উপর দিয়ে দিলেন। মেয়েটার চোখ বন্ধ, নিঃশ্বাসের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সে ঘুমাচ্ছে। ডাক্তার অমিত এখনো নার্ভাস, তবুও বললেন, ‘আমার মনে হয় আর বেশি দেরি করে লাভ নেই। উপর মহল থেকে বলা আছে সব কিছু জেনে পরিস্থিতি বুঝে কাজটা যেন দ্রুত আমরা শেষ করি। যত কম রিস্ক নেয়া যায় এই বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে। মেয়েটাকে এখনই আবার চেকআপ করাতে হবে। তারপর অটির দিকে যাওয়া।’
নিজেরা কথা বললেও তিনজনের দৃষ্টিই মেয়েটার মুখের দিকে স্থির হয়েছিল। মেয়েটা হঠাৎ চোখ খুলতেই তাই তিন জনেই যেন আৎকে উঠলেন। মেয়েটা তাদের দিকে তাকালো। মেয়েটার দৃষ্টি সহজ নিষ্পাপ নির্লিপ্ত হলেও সেই দৃষ্টিতে কী এমন যেন আছে যা অন্তরাত্মাকে কাঁপিয়ে মস্তিষ্কে এই চিন্তা ঢুকিয়ে দেয় যে, ‘কিছু একটা ঘটবে, যা তুমি ভাবতেও পারছো না।’ তিন জনেই বুঝতে পারছেন তারা এই মেয়েটাকে ভয় করছেন কোনো কারণ ছাড়াই। একই সাথে কৌতুহল। ৭ বছরের এই মেয়েটা কী করে প্রজনন ক্ষমতা পেল, তার গর্ভে সন্তান এলো কার মাধ্যমে, মেয়েটার বাবা হঠাৎ কোথায় মিলিয়ে গেলেন আর মেয়েটার গর্ভের ১২ সপ্তাহের ভ্রূণ হঠাৎ করে এতটা বড় কী করে হলো! এসবের উত্তর জানার জন্যও মন ছটফট করছে। এই ক্লিনিকে এমন অদ্ভুত কেস কখনোই আসেনি।
ডাক্তার আমিন নার্ভ কিছুটা শান্ত করে মুচকি হেসে মেয়েটাকে বললেন, ‘তোমাকে আবার একটু চেকআপ রুমে যেতে হবে।’ মেয়েটা শোয়া থেকে উঠে বসলো। মেঝেতে নেমে অভ্যস্থ ভঙ্গিতে সার্জারির পোশাকটা শরীরে পেঁচিয়ে নিল। নিজেকে নগ্ন দেখে কিছুমাত্র বিচলিত হলো না। মুখ দিয়ে একটা শব্দও বের করলো না। ডাক্তাররা ঘর থেকে বেরোতেই সে তাদের অনুসরণ করে চলতে শুরু করলো। হাটতে গিয়ে এবার তাকে কিছুটা টলতে দেখা গেল। অবশ্য কয়েক পা এগিয়েই সে নিজেকে সামলে নিল। চলতে চলতে আড়চোখে তিন ডাক্তারই মেয়েটাকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
ডাক্তার আমিন আপাত দৃষ্টিতে অনুমান করলেন মেয়েটার গর্ভের ভ্রূণ কম করেও ২৪ সপ্তাহ বয়স হবে। কিন্তু কয়েক ঘন্টা আগেও যেটা ছিল ১২ সপ্তাহ। এর ব্যাখ্যা কিছুতেই মাথায় ঢুকাতে পাড়ছেন না তিনি। চেকআপ রুমের ২জন নার্সও মেয়েটার শরীরের এই আমূল পরিবর্তনে লক্ষ্য করে হতভম্ব হয়ে গেল। দ্রুতই মেয়েটাকে বেডে শোয়ানো হলো। আল্ট্রাসোনোগ্রামের সাহায্যে মনিটরের স্ক্রিনে এই মুহূর্তে মেয়েটার গর্ভের ভেতরের অংশ ভেসে উঠছে। ডাক্তার আমিন ‘ওহ গড!’ বলে চিৎকার করে কিছুটা পিছিয়ে গেলেন। ডাক্তার আমিন এবং মামুনও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন একসাথে দুটো ভ্রূণ দেখে। স্পষ্ট দুটো মানব ভ্রূণ ফুটে উঠেছে মনিটরের স্ক্রিনে। অথচ প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ ছিল মেয়েটির গর্ভে মাত্র একটি ভ্রূণ আছে। দুটো ভ্রূণের বয়সই ১২ সপ্তাহের কাছাকাছি।
ডাক্তার আমিন উত্তেজিত কণ্ঠে বললেন, ‘আমার কাছে সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে ডাক্তার। মনে হচ্ছে আমি নেশা করে এসেছি আর এইসব কিছু নেশার ঘোরে দেখছি। এইসব কিছু কী করে সম্ভব!’
ডাক্তার অমিত ধীরে ধীরে মেয়েটার একদম কাছে চলে এলেন। সার্জারির কাপড়টা সরিয়ে ভালোমতো মেয়েটাকে খুঁটিয়ে দেখলেন কিছুক্ষণ। তার মুখায়বে বিস্ময় ফুটে উঠলো । বাকি ২ ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মেয়েটার জননাঙ্গ দেখেছেন? প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারীর মতো! অর্থাৎ মেয়েটার সন্তান জন্ম দেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ৭ বছর বয়সী একটা মেয়ে!’
‘মেয়েটার বয়স ৭ বছর এতটা নিশ্চিত কী করে হচ্ছেন আপনারা?’ ডাক্তার আমিন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।
‘উপর মহল থেকে তাই বলা হয়েছে। ‘
‘ তারা এই মেয়েটা সম্পর্কে কতটা জানে? হতেও তো পারে মেয়েটা পূর্ণবয়স্ক, জিনগত ত্রুটির কারণে সে দেখতে একটা বাচ্চা মেয়ের মতো!’
‘আপনি ভালো করেই জানেন উপর মহল থেকে যা জানানো হয় তার বেশি জিজ্ঞেস করে জেনে নেওয়ার অধিকার আমাদের নেই। তবুও এবার তারা আমাদের জেনে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটার বাবাইতো উধাও হয়ে গেলেন। আচ্ছা মেয়েটা কী আমাদের কিছু বলতে পারে না?’
চেকআপ রুমের বেডে পিঠ লাগিয়ে শুয়ে আছে মেয়েটা। চোখদুটো খোলা। তিন ডাক্তারের বলা সমস্ত আলোচনাই তার শুনার কথা। কিন্তু সে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন সে অন্য কোনো জগৎ থেকে এসেছে তাদের কোনো কথারই অর্থ বুঝতে পারছে না। তার শরীর আবার পোশাক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার আমিন একটু এগিয়ে গেলেন মেয়েটার মাথার কাছে। ‘তোমার কোনো ভয় নেই মা, আমরা সবকিছু ঠিকঠাক করে দেব। তবে তার আগে একবার তোমার সম্পর্কে সব কথা তোমাকে আমাদের বলতে হবে। নাহলে আমরা পরিস্থিতি কিছুই বুঝতে পারবো না।’ মেয়েটা এমন ভাবে তাকালো ডাক্তারের মুখের দিকে যে ডাক্তার এক বারেই বুঝতে পারলো মেয়েটা তার কথার কিছুই বুঝতে পারছে না। তিন ডাক্তারই উৎসুক দৃষ্টিতে মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। মেয়েটার ঠোঁট কাঁপছে। আশা, হয়তো কিছু বলবে সে। মেয়েটা এবার ধীরে ধীরে শোয়া থেকে উঠে বসলো।
ঠিক এই সময়েই ক্লিনিকের এক স্টাফ প্রায় ছুটে এসে চেকআপ রুমের ভেতর ঢুকলেন। কন্ঠে উৎকণ্ঠা ফুটিয়ে ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘স্যার, ৫নং ওয়ার্ডের মেয়েটাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
ডাক্তার আমিন বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে?’
‘পুরো ঘর জুড়ে তার সার্জারির পোশাক ছিন্নভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে আছে, স্যার। পুরো ক্লিনিকের কোথাও তিনি নেই। প্রত্যেকটা ওয়াশরুমও খুঁজে দেখেছি।’
‘অসম্ভব! আমি তাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছিলাম। সকালের আগে তার ঘুম ভাঙা অসম্ভব।’
সবার মুখই আতঙ্কে ফ্যাকাশে হয়ে গেল। উপর মহল থেকে কড়া ভাবে বলা আছে গর্ভপাতের পর সকালের আগে যাতে কোনো পেশেন্ট এর ঘুম না ভাঙে। সকালে যখন তার ঘুম ভাঙবে আচ্ছন্ন ভাব রয়ে যাবে সেই মুহূর্তে পেশেন্টকে ক্লিনিক থেকে বের করে তার বাড়ি পর্যন্ত আবার এম্বুলেন্স টিম পৌঁছে দেবে। ক্লিনিকের ডিটেইল যাতে কেউ পুরোপুরি মাথায় নিয়ে এখান থেকে না বেরোয়। মেয়েটা যাবে কোথায়! আর ক্লিনিকে এমন কেউ নেই যে এখানকার কোনো পেশেন্টকে অপহরণ করার চিন্তা মাথায় আনতে পারে। আর স্টাফদের অনুমতি ছাড়া এই ক্লিনিক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কারোই নেই। যদিও কিছুক্ষণ আগে এই বাচ্চা মেয়েটার বাবা উধাও হয়ে গিয়েছে।
ডাক্তার আমিন রাত ১১টার সময়ে ঐ মেয়েটার সফল ভাবে গর্ভপাত করেন। বয়স অনুমান করেছিলেন ২২ থেকে ২৫ এর ভেতর। এই রহস্যময় মেয়েটা বাদে সেই একমাত্র আজ রাতের পেশেন্ট ছিল। কিন্তু মেয়েটা কী করে উধাও হয়ে যেতে পারে!
বাচ্চা মেয়েটাকে চেকআপ রুমে রেখেই তিন ডাক্তার সহ সব নার্স স্টাফরা ছুটোছুটি শুরু করলেন। কিন্তু পুরো ক্লিনিক তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও তাকে পাওয়া গেল না। আশ্চর্য্যই বলা যায়, মেয়েটা একদম হাওয়া হয়ে গেছে! ৫ নং ওয়ার্ডের ভেতর হাজির হলেন তারা। এর পাশের ৬ নং ঘরেই এতক্ষন ছিল সেই ছোট মেয়েটি।
মেয়েটার ঘরের ছিন্নভিন্ন পোশাক দেখে মনে হলো কেউ প্রচণ্ড ক্ষোভে ঘুমন্ত মেয়েটার শরীর থেকে ওগুলো ছিড়ে এখানে ফেলেছে। তারপর মেয়েটাকে নিয়ে গেছে। কিন্তু কে এবং কেন? আর নিয়ে গেলই বা কোথায়!
বড় ধরনের কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে এই ক্লিনিকে যা গত ৪ বছরে একবারও ঘটেনি তা সবাই ভালো করে বুঝতে পারলেন। রাতারাতি দুজন মানুষ ক্লিনিক থেকে উধাও হয়ে গেল। ক্লিনিক থেকে বের হতে কেউ তাদেরকে দেখেনি। স্টাফদের অনুমতি ছাড়া কারো পক্ষে বের হওয়াও অসম্ভব! ডাক্তার অমিত তার চেম্বারে গেলেন। বেশ কিছু নাম্বার পেরিয়ে অবশেষে ক্লিনিকের উপর মহলের একজনের নম্বরে কল ঢুকলো। উপর মহল থেকে কোন কোন ডাক্তার এই ক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের নাম পরিচয় এখানকার কেউই জানেন না। জানা অসম্ভব। তিনিও জানেন না।। তাই কেবল স্যার, সম্বোধন করে ক্লিনিকের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে গেলেন। দুজন মানুষ নিখোঁজ শুনে লাইনের ওপাশের লোকটার প্রতিক্রিয়া কিছুমাত্র আঁচ করতে পারলেন না ডাক্তার। লোকটা তাকে শুধু বলল, ‘এটাতো অসম্ভব প্রায়! দুশ্চিন্তা করবেন না। সিনিয়র সদস্যদের সাথে কথা বলে ক্লিনিকের সাথে আবার আমি যোগাযোগ করব। এবং আপনাদের করণীয় সম্পর্কে জানাবো। তার আগে আপনাদের হাতে থাকা অপারেশনটি দ্রুত করে ফেলুন।’
ডাক্তার আমিন প্রথমবার চেকআপ করে একটা ভ্রূণের রিপোর্ট পায়, তার পরে ঘন্টা দুয়েকের আগেই ২য় বার চেকআপের পর মেয়েটার গর্ভে দুটো ভ্রূণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। উপর মহলের লোকটাকে এর কিছুই জানানোর সুযোগ পায় নাম ডাক্তার অমিত। কল কেটে গেল। কিছুটা হতাশ হয়েই চেম্বার থেকে বেরিয়ে চেকআপ রুমের দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি। চেকআপ রুমের দরজার সামনে আবার জটলা দেখে বুকটা কেমন কেঁপে উঠলো তার। সেখানে গিয়েই দেখলেন ডাক্তার মামুন, আমিন সহ বেশ কিছু নার্স, স্টাফ ছুটোছুটি করছে। ডাক্তার আমিন উত্তেজিত কন্ঠে বললেন, ‘চেকআপ রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা। ঘরের ভেতরে সেই বাচ্চা মেয়েটা আর দুজন নার্সের থাকার কথা। অথচ কারোই সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। ‘
প্রায় আধ-ঘন্টা ধরে অনেক চেষ্টা করার পরও ভেতর থেকে কারো কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া গেল না। তিন ডাক্তার একে অপরের মুখের দিকে তাকালেন। সবার মুখই আতঙ্কের গাঢ় ছায়ায় আবৃত হয়ে আছে। দরজা ভেতর থেকে লক করবে কে? নার্সদের এমন করার কথা না। ভেতরের তিনজনের অবস্থা এখন কী! তারা কী করছে!………………………………..
.
.
. . . চলবে . . .
.
.
লেখা: #Masud_Rana