এলাকার বড় আপু_2 #পার্ট: ৯

#নাম: এলাকার বড় আপু_2
#পার্ট: ৯
#লেখক: Osman

👉আমি ম্যাডামের কাজ কারবার কিছুই বুঝলাম না। নির্বাচনের দুইদিন পর গেলাম এলাকায় সিউর হতে নিলা নির্বাচনে পাস করেছে কিনা। আমি এলাকায় ঢুকে এক লোককে জিজ্ঞেস করলাম।

আমি: ভাই এই এলাকার চেয়ারম্যান কে?

লোক: আগে যে ছিলো সে।

আমি: মানে তাহলে আপনাদের বড় আপু নির্বাচনে পাস করে নাই।

লোক: আরে ভাই আর বইলেন না কতো আশায় আছিলাম বড় আপু পাস করলে । এলাকার অনেক উন্নতি হবে। কিন্তু হলো কি নির্বাচনের দুইদিন আগে বড় আপু নির্বাচন থেকে অব্যাহতি নেয়। পরে আর কি‌ হবে আগের যে আছে সেই পাস করে।

আমি লোকটাকে ধন্যবাদ চলে এলাম। ভাবলাম তাহলে নিলা এতদিনে আমার কথা শুনছে। কিন্তু সে সময় থাকতে শুনেনি অতএব আমি আর নিলার কাছে যাচ্ছি না।

👉এদিকে নিলা একা হয়ে গেলো কারণ জোৎস্নার বিয়ে হয়ে গেছে । নিলা রাতে কিভাবে থাকবে ?বাড়িতেও নিলা কিছু বলে নাই। নিলা ভাবলো সারারাত মুরাদের কথা চিন্তা করে কাটিয়ে দিবে। নিলা রাতে রাতে অনেক ভয় পায়। বুঝতে পারছে মুরাদ তার কাছে এতো দিন কি ছিলো?রাতে নিলা ঘুমাতে পারে নায় ভয়ে। শেষ রাতে ঘুমিয়ে যায়। নিলা চিন্তা করছে আজকে রাতে কিভাবে থাকবে। নিলার এক ফুফাতো বোনের কথা মনে পড়লো। তার নাম তানিয়া খুব হেন্ডসাম আর নিলাকে খুব সম্মান করে। নিলা ভাবলো তানিয়াকে ফোন করে দেখা যায় কয়েকদিন থেকে যায় কিনা। পরেরটা পরে দেখা যাবে। নিলা‌ তানিয়াকে ভিডিও কল দেয়। তানিয়া ফোন ধরে।

নিলা: আসসালামুয়ালাইকুম তানিয়া কেমন আছো?

তানিয়া: জি আপু ভালো । তুমি কেমন আছো?

নিলা: এইতো ভালো।

তানিয়া: তোমার চেহারাতো তা বলছে না।

নিলা: আমার চেহারা কি বলছে?

তানিয়া: মনে হচ্ছে তুমি অনেক কষ্টে আছো । কেমন যেনো আগে থেকে শুকিয়ে গেছো?

নিলা: শুনো এখন থেকে তুমি আমার সাথে থাকবে।

তানিয়া: কেনো তুমি না বিয়ে করেছো?তোমার জামাই এর কি হয়েছে?

নিলা: ওর কথা আর বলিস না। এখন তুমি বলো কখন আসবা ।

তানিয়া: অফিস শেষ করে চলে আসবো।

নিলা: কাপড় চোপড় নিয়ে আসবা। কিছুদিন থাকবা।
ওকে

তানিয়া: ওকে‌ । চলে আসবো।

👉নিলা ভাবলো যাক একটা ব্যাবস্থা হলো। এখন কিছু রান্না করতে হবে তার জন্য। নিলা তার জন্য অনেক কিছুই রাধলো। রাত্রে বেলা তানিয়া আসলো।
তানিয়া কে খাওয়ালো। তানিয়ার অনেক ক্লান্ত লাগছে তাই তানিয়া ঘুমিয়ে যায়। সকালে ওঠে আবার তানিয়া অফিসে চলে যায়। নিলা সারাদিন ঘরের ভিতর কাটিয়ে দেয়। বিকালের দিকে তানিয়া অফিস শেষ করে আসে। আসলে তারা এক সাথে খেলো। খাওয়ার সময় তানিয়া জিজ্ঞেস করলো

তানিয়া: আপু তোমার হাসবেন্ড কোথায়?

নিলা: এ বিষয়ে জিজ্ঞেস না করলে হয় না।

তানিয়া: না তোমাকে বলতে হবে। তুমি আগে থেকে অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছো। আগে সবসময় তোমার মুখে হাসি লেগেই থাকতো। এখন তোমার কি অবস্থা দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হচ্ছো । ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করো না। এটা নিশ্চয় তোমার পিচ্চি হাসবেন্ড এর কারনে। সে কোথায়?

নিলা: খাওয়ার পর তোমাকে বলি।

তানিয়া: ওকে।

খাওয়া দাওয়া করে দুজনে বিছানায় বসলো। তানিয়া বললো

তানিয়া: এবার বলো।

নিলা: সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।

তানিয়া: কিহ! এটা কি করে সম্ভব। সারাজীবন শুনে আসছি। স্বামীর ঝালায় মেয়েরা বাপের বাড়ি চলে যায়। এতো দেখি পুরো ওলটো। তুমি কি এমন করেছো যার কারণে তোমাকে ছেড়ে চলে যেতে হলো।

নিলা: তার কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার। আমিই তার কথা শুনেনি।

তানিয়া: হুম ‌বুঝছি। তুমি এখানে কেনো পরে রয়েছো। সে যেহেতু তোমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে তাহলে বাড়ি চলে যাও। একা একা ভয় করে না।

নিলা: হুম করে। যদি সে আবার ফিরে আসে। সেই অপেক্ষায় বসে আছি।

তানিয়া: ওও। আমার ঘুমে ধরছে।

নিলা: শুয়ে পরো।

তানিয়া শুয়ে পড়লো। নিলাও শুয়ে পড়লো। তানিয়া জিজ্ঞেস করলো।

তানিয়া: আপু তোমার হাসবেন্ডের নাম কি?

নিলা: মুরাদ।

তানিয়া: তার বাড়ি জানি কোথায়?

নিলা: নরসিংদী।

তানিয়া: আপু তার একটা ছবি দেখাওতো।

👉নিলা মুরাদের একটা ছবি দেখায়। তানিয়া তাদের কাহিনী সব‌‌ বুঝতে পারে। এদিকে নিলা আপু মুরাদের জন্য কেঁদে কেঁদে শেষ। আর ওদিকে মুরাদ নিলা আপুর জন্য কেঁদে কেঁদে শেষ। এখন দুজনকে মিলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তানিয়ার । তানিয়া চিন্তা করলো নিলা আপুকে কিছু বুঝতে দিবে না। দুজনকে সারপ্রাইজ দিবে । তানিয়া বলল

তানিয়া: আপু তুমিতো সারাদিন ঘরে বসেই থাকো। আগামীকাল চলো না আমার অফিসে।

নিলা: নারে আমি যেতে পারবো না।

তানিয়া: চলো না প্লিজ। তোমার অনেক ভালো লাগবে।

নিলা: কখন আসবি।

তানিয়া: যাবো গিয়ে এক ঘন্টা পরে চলে আসবো।

নিলা: ওকে। সকাল বেলা মন চাইলে।

তানিয়া: মন চাইলে না । যেতেয় হবে।

নিলা: ওকে।

👉নিলা ঘুমিয়ে যায়। সকালে ওঠে নাস্তা করে তানিয়ার সাথে চলে আসে তানিয়ার অফিসে ‌। গিয়ে তানিয়া যে অফিসে বসে কাজ করে সেখানে গিয়ে বসলো।
তানিয়া বলল

তানিয়া: আপু তুমি একটু বসো আমি আসছি।

নিলা: ওকে। তাড়াতাড়ি চলে আসিস।

তানিয়া: ওকে।

👉একটু বসলো নিলা। কে জানি অফিসে প্রবেশ করলো । নিলার পাশের চেয়ারে বসলো। নিলা মাথা নিচু করে বসে আছে। ভালো লাগছে না। একটু বসলো ভাবলো ওঠে বাইরে চলে যাবে। কিন্তু নিলার নাকে পরিচিত একজনের ঘ্রান আসছে। বুকের ভিতর কেমন যেনো চিন চিন করে ওঠলো।
মনে হচ্ছে পাশের লোকটার কাছ থেকে । নিলা আস্তে আস্তে মাথা উঁচু করে আড় চোখে লোকটার দিকে তাকালো। তাকিয়েই অবাক হয়ে গেলো । এতো দেখি মুরাদ। নিলার চোখে বিশ্বাস করতে পারছেনা। পাশে বসা ছেলেটা মুরাদ। নিলা কেনো জানি বিশ্বাস করতে পারছেনা পাশে বসা ছেলেটা মুরাদ। সিউর হতে ডাক দিলো.. মুরাদ….

👉মুরাদ…. মুরাদ… ডাকে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। স্বপ্নে দেখতেছিলাম নিলা আমাকে ডাকছে। চোখ খুলে দেখি সাজ্জাদ ভাই ডাকছে বলল।

সাজ্জাদ: ভাই কখন থেকে ডাকছি । ওঠেন না ।

আমি: ভাই স্বপ্ন দেখছিলাম।

সাজ্জাদ: আমি বুঝছি সপ্নে দেখছিলা বউ তোমাকে ডাকছে। সে জন্য ওঠতে মন চায় না।

আমি: হুম। আপনি কি করে বুঝলেন?

সাজ্জাদ: ভাই এমন আমার অনেক হয়েছে।

আমি: ওও। অভিজ্ঞতা আছে আপনার।

সাজ্জাদ: হুম।

👉আমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে অফিসে চলে আসলাম। একটু পর একজন এসে বলল। তানিয়া ম্যাডাম ডাকে। আমি অফিসের সামনে আসলে একজন বলল । ভিতরে গিয়ে বসতে। ম্যাডাম আসবে। আমি ভিতরে ঢুকে দেখি এক চেয়ারে একটা মেয়ে বসে আছে। আমি মেয়েটার দিকে না তাকিয়ে চুপ চাপ বসে পড়লাম। অনেক ক্ষন হয়ে গেলো ম্যাডাম আসছে না। কিন্তু কেমন যেনো একটা ঘ্রান আমার নাকে আসছে। কেনো জানি মনে হচ্ছে এটা নিলার শরীরের ঘ্রাণ। তারমানে পাশের মেয়েটা নিলা। আমি তাকাতে যাবো । কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটা মুরাদ বলে ডাক দিলো। আমি তাকিয়ে দেখি আসলেই নিলা।

Wait for next……..🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here