#জেদ,#পার্ট১২,১৩
(A Conditional LoveStory)
#আফরিন_ইনায়াত_কায়া
পার্ট১২
-ভালোবাসি।
আরদ্ধের কথায় ঘোর ভাংল আমার।জানালার মিষ্টি খোলা হাওয়ায় দাঁড়িয়ে চোখ বুজে জীবনের রঙ্গিনতম মুহুর্তগুলোকে স্মরন করছিলাম।আরদ্ধ পেছন থেকে এসে দুহাতে আমাকে জাপটে ধরে ঘাড়ে ঠোট ডুবিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল।
আরদ্ধের গরম নিশ্বাস আমার ঘাড়ে এসে পড়ছে।নিদারুন ভালোবাসার উষ্ণতায় ছেলেটা আমাকে ডুবিয়ে রেখেছে। অথচ এই ছেলেই কিনা একদিন আমাকে বলেছিল ভালোবাসা কি তা সে জানে না।
-আমি চলে গেলে কখনো ফেরাবেনা আমাকে ?
আরদ্ধ অভিমান মেশানো কন্ঠে বলল।
-উহু।
-কেন?
বিষ্ময় উপচে পরছে তার কথায় ।আমি আমার পুরো ভার তার উপর ছেড়ে দিয়ে বললাম
-কারন আমার তোমাকে কখনো খোজার দরকার হবে না।তুমি কখনো আমাকে হারাতে দিবে না।থাকতে পারবে আমাকে ছেড়ে?
আমার প্রশ্নের জবাবে আরদ্ধ ছোট একটা নিশ্বাস ফেলে বলল
-ইনা তুমি আমার লাইফে অক্সিজেনের মতই ইম্পরট্যান্ট ।তোমাকে ছেড়ে এক সেকেন্ডও আমি নিজেকে চিন্তা করতে পারি না।
আমি আরদ্ধের দিকে ফিরে হেসে তার ঠোটে ঠোট ডুবালাম।আরদ্ধ দুহাতে আরও শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে নিল।
.
.
বাসায় ফিরতে আজকেও একটু লেট হয়ে গিয়েছে।কিন্তু কাউকে কোন কৈফিয়ত দেওয়ার কোন ইচ্ছে করছে না।আরদ্ধ খুব যত্ন করে আমার জন্যে আজকের দিনটা সাজিয়েছে।ওর দেওয়া সারপ্রাইজ ,গিফট,সবকিছুর চেয়ে দামি ওর বাহুডোরে আবদ্ধ থাকা সেই মুহুর্ত গুলো আমার আজকের দিনটাকে বেশ স্মরনীয় করে তুলেছে।
বাসায় ফিরে কলিং বেল চাপতেই আম্মু এসে হাসিমুখে দরজা খুলে দিলেন।আম্মুর আচরন দেখে বেশ অবাক হলাম আমি।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি আসলেই দেরী হয়ে গেছে।সন্ধ্যা হয়েছে আরও ঘন্টা খানেক আগে।কিছুক্ষন পর চারদিক এশার আযানে মুখোরিত হবে।তবে রহস্য উদঘাটন করতে বেশি বেগ পেতে হল না আমার ।বাসার ভেতরে গিয়ে দেখি ইমতিয়াজ আংকেল আর ফ্যামিলি এসেছেন আমাদের বাড়ীতে।আমি কিছু বলার আগে মা বলে উঠল
-আজ তোর জন্মদিন তাই জন্যে তোর বাবা ইমতিয়াজ আংকেলকে বাসায় দাওয়াত করেছেন।আরায ও এসেছে।ও ওয়াশরুমে গেছে।
মার কথার জবাবে আমি হালকা।
-আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি ।
বলেই আমি রুমের দিকে পা বাড়াতে যাব পেছন থেকে বাবা বলে উঠলেন
-ইনায়াত তুমি না সকালে কুর্তি আর জিন্স পরে গিয়েছিলে অফিসে তো শাড়ী কোথায় পেলে?
বাবার কথায় আমি থমকে গেলাম।পেছন ফিরে বললাম
-অফিস শেষে পার্টি ছিল।তো সেখানেই চেঞ্জ করেছিলাম।
বাবা কিছু বলার আগেই আরাজ এসে বলল
-আমি ইন্সটাগ্রামে ছবি দেখেছি আংকেল ।ওর কলিগরা বেশ জাকজমকের সাথে ওর বার্থডে সেলিব্রেট করেছে।আমার বার্থডেতে আমার কলিগরা খালি ফুল দিয়েই হাওয়া হয়ে গিয়েছিল।I must say Ina you’ve got very supportive colleagues.
আমি হেসে মাথা নাড়ালাম।
-ওহ ইনা আমাকে তোমার রুম দেখাবে না?আন্টি বলল তুমি নাকি অনেক সুন্দর করে রুম গুছিয়ে রাখ!
আরাজের কথার কোন জবাব না দিয়ে আমার পিছু পিছু রুম পর্যন্ত চলে আসল।
-That’s so rude,Ina.আমি তোমাকে আংকেলের হাত থেকে বাচালাম আর তুমি কিনা থ্যাংকিউ না দিয়ে হন হন করে এখানে চলে এলে।
আমি আরাজের দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে বললাম
-দেখ আরাজ আমি সকালেও বলেছি তোমাকে আবারও বলছি Don’t call me Ina.Call me Inayat.
-ও তাহলে ম্যাডাম এ জন্যে রেগে আছেন!ওকে ফাইন ।ভুল হয়ে গেছে ম্যাডাম ।আর হবে না ।এখন একটু হাসেন।Come on Inayat Its your birthday.তুমি ফ্রেশ হয়ে নেও চল আমরা কেক কাটব।
-আরাজ আমার প্রচন্ড টায়ার্ড লাগছে।আম সরি।বাট আমি কেক কাটতে পারব না ।
-বাট ইনায়াত আমি তোমার জন্যে কেক অর্ডার করেছি।Its on way .তাছাড়া আংকেল আন্টীকেই বা…..
-I’m extremely sorry Araz but আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে।আমার পক্ষে আর দুই মিনিটও দাড়িয়ে থাকা পসিবল না।তুমি বাবা মা কে বলে দিও আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা।আমি মেডিসিন খেয়ে ঘুমাব।Hope they will understand If আমার হেলথ এর চেয়ে তোমাদের কাছে কেক কাটাটা বেশি ইম্পরট্যান্ট না হয়।
-Ok.you take rest.Health comes first.আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলব ।অকে?বাই।
-বাই ।আর আরাজ?
-yeah?
-তুমি বিয়ের ব্যাপারে বড়দের সাথে কথা বলেছিলে?
একরাশ উদ্বেগ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম আমি।আরাজ পেছনে ফিরে বলল
-Leave that to me.You take rest.
আরাজ চলে যেতেই আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম রুমের।
মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।মনে হচ্ছে যেকোন মুহুর্তে মাথা বিস্ফোরিত হয়ে লিটল ম্যান এর মত ফেটে যাবে।কোণরকমে শাওয়ার নিয়ে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম আমি ।একটূ ফ্রেশ লাগছে কিন্তু মাথা ব্যাথা যেন পিছুই ছাড়ছে না ।ফার্ট এইড বক্স হাতড়েও কোন পেইন কিলার পেলাম না।আম্মুর কাছে থাকতে পারে।কিন্তু এখন রুম থেকে বের হতে ইচ্ছে করছে না।অগ্যতা লাইট অগ করে ঘুমাতে যাব তখনি ফোনটা বেজে উঠল।কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আরদ্ধ বলে উঠল
-তোমার ব্যাগের সাইড পকেটে পেইন কিলার আর প্যারাসিটামল রাখা আছে।আর মিড পকেটে দুটো ডোনাট রাখা আছে।খালি পেটে মেডিসিন খাবে না ।ডোনাট খেয়ে তারপর খাবে।রাত জেগো না বেশি তাহলে মাথা ব্যাথা বাড়বে আরও ।ওকে?
-আরদ্ধ?
-হুম…
-I love you.
-Love you too babe.Happy birthday my love.
.
.
আজ আরাজ আরদ্ধের সাথে দেখা করতে চেয়েছে।আরদ্ধকে আগেই বলে রেখেছিলাম যে আমার এক ফ্রেন্ড তার সাথে দেখা করতে চায়।আরদ্ধ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করেছিল
-আমার সাথে?কেন?
-তেমন কিছু না জাস্ট ক্যাজুয়াল মিট আপ।
-ইনা আমার জানা মতে তুমি তোমার কোন ফ্রেন্ডকেই তোমার আর আমার ব্যাপারে কিছু জানাওনি।এনিওয়েজ তুমি যখন বলছ আমার কোন প্রব্লেম নেই।‘ll be there.
আরাজ আমাকে লোকেশন এড্রেস করে দিয়েছে আগেই।অফিস শেষ করে আমি এখানে চলে এসেছি।আরাজ আর আমি আরদ্ধের জন্যে অপেক্ষা করছি ।আরদ্ধ একটা ইম্পরটয়ান্ট মিটিং এ আটকে গিয়েছে তাই তার দেরী হচ্ছে।
১০ মিনিট পর আরদ্ধ এসে পৌছাল।তার পেছনে দুজন গার্ড।আরদ্ধ ঢুকেই আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এল আমার দিকে।আরদ্ধকে আসতে দেখে আরাজ উঠে দাঁড়াল।আরদ্ধ এসে আরাজের সামনে দাড়াল।আরাজ আর আরদ্ধ দুইজন মুখোমুখি হয়ে দাড়িয়ে ।হঠাত করেই আমার মনের মধ্যে অজানা একটা ভয় মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।আরাজ শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরদ্ধের দিকে। আরদ্ধের চোখে মুখে বিরাজ করছে নিদারুন যান্ত্রিকতা।….
চলবে
#জেদ(A Conditional LoveStory)
#পার্ট১৩
#আফরিন_ইনায়াত_কায়া
.
.
১০ মিনিট পর আরদ্ধ এসে পৌছাল।তার পেছনে দুজন গার্ড।আরদ্ধ ঢুকেই আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এল আমার দিকে।আরদ্ধকে আসতে দেখে আরাজ উঠে দাঁড়াল।আরদ্ধ এসে আরাজের সামনে দাড়াল।আরাজ আর আরদ্ধ দুইজন মুখোমুখি হয়ে দাড়িয়ে ।হঠাত করেই আমার মনের মধ্যে অজানা একটা ভয় মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।আরাজ শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরদ্ধের দিকে। আরদ্ধের চোখে মুখে বিরাজ করছে নিদারুন যান্ত্রিকতা।
দুজনের মধ্যে হীম শীতুল নিরবতা বিরাজ করছে।আমি পেছন থেকে বলে উঠলাম
-আরদ্ধ ও আরাজ।বাবার বন্ধুর ছেলে।আর আমার ফ্রেন্ড ।
আমার কথায় আরাজ হেসে হাত বাড়াল ।
-Hey Man. It’s Araz Imtiaz. Nice to meet you.
আরদ্ধ ভ্রূ উচিয়ে আরাজের দিকে তাকিয়ে হ্যান্ডশেক করল।
-Aroddho.Aroddho Reowat .Pleasure to meet you.
আমি এগিয়ে গিয়ে আরদ্ধের বাহু চেপে ধরলাম।
আরাজ আমাদের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল
-বসা যাক ?
-Yes Please.
আরদ্ধ আমার দিকে তাকাল।ওর চোখে অনেক প্রশ্ন ভীড় করছে।আমি হালকা হেসে ওর জবাব দিলাম।
আরদ্ধ টেবিলের দিকে আগাল।আমি পৌছানোর আগেই সে চেয়ার টেনে আমাকে বসাল।তারপর নিজের বসল।আরাজ ঠোটে একটা হাসি ঝুলিয়ে রেখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।আরদ্ধ বসতে না বসতেই আরাজ বলে উঠল
-If you guyz don’t mind can we order food?Am hungry actually.
-Yeah Sure.
আরদ্ধ হেসে জবাব দিল।একজন ওয়েটার এসে আমাদেরকে মেনু বুক দিলেন।আরাজ প্রথম দিনের মত পুডিং,লাইট ডেজার্ট আর হট কফি অর্ডার করল।আরদ্ধ অর্ডার দিল চিকেন উইং,রেগুলার পাস্তা আর চকলেট কোল্ড কফি।আরাজ আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
-ইনা তুমি কি খাবে?
আমি কিছু বলার আগেই আরদ্ধ জবাব দিল
-ইনার খাবারই অর্ডার দিয়েছি।
আরাজ ভ্রু কুচকে বলল
-That’s not fair bro.You can not control her food cuisine.
আরাজের কথার জবাবে আমি হেসে বললাম
-আরাজ আরদ্ধ যা অর্ডার করেছে সব আমার পছন্দের ।He never control over my choices.
আমার কথা শুনে আরাজ বেশ কিছুটা অবাক হল।কিন্তু পরক্ষনেই নিজেকে সামলে হাসিমুখে বলল
-ওকে সরি।My apologies.
আরদ্ধ এতক্ষন ফোনে ব্যস্ত ছিল।মাথা তুলে বলল
-তো মি.আরাজ ইনা বলল আপনি নাকি আমার সাথে দেখা করতে চান ।হঠাত জরুরি তলব!কোন স্পেশাল রিজন?
-Hey Man Please No need to say “আপনি”।এন্ড তেমন কিছু না ।ইনার মুখ থেকে তোমার কথা অনেক শুনেছি ।So it was a great desire meeting with you.
আরাজ যথেষ্ট আগ্রহ সহকারে আরদ্ধের সাথে ভাব জমানোর চেস্টা করল।কিন্তু আরদ্ধ আরাজের প্রতিটা কথার খুব সংক্ষিপ্ত আর লিমিটড জবাব দিল।খাওয়া দাওয়ার পাট চুকিয়ে আরদ্ধ বলে উঠল
-It was a great please merting you man.But guess I should take your leave now.ইনা তুমি ফ্রি আছ?আমার কালকের প্রেজেন্টেশনে তোমার কিছু হেল্প লাগবে।Araj if you allow us….!
আরদ্ধ কথা শেষ করে আরাজের দিকে তাকাল। আরাজ এখনও ফু দিয়ে হট কফি ঠান্ডা করতে ব্যস্ত।
-Yeah sure.Alll yours.Nice to meet you anyway.
.
.
আরাজের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম আমরা।গাড়ী বসতেই আরদ্ধ আমাকে জিজ্ঞেস করে উঠল
-কোথায় পেয়েছ এই নমুনাটাকে?
-আরদ্ধ আসলে তোমাকে কিছু বলার ছিল।
-He likes you.যে কোন মুহুর্তে তোমার প্রেমেও পরতে পারে।You told him about me.But he thought he’s kinda better than me.That’s why he insisted আমার সাথে দেখা করার জন্যে ।যাতে তোমাকে ফিল করাতে পারে thathe is better than me.
এর বাইরে কিছু থাকলে সেটা বল।
আরদ্ধর কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম।আমি আরদ্ধর কাছ থেকে কখনও কথা লুকোই না ।আরদ্ধ জানে আজ না হোক কাল আমি ঠিকই তাকে সব কথা বলে দেব।তাই সে কখনো কোন কিছুর জন্যে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না।আরাজ আর আমার বিয়ের ব্যাপারটা আরদ্ধকে না জানানো ওর বিশ্বাসের অপমান হবে ।কিন্তু আমি জানি না আরদ্ধ এই কথা শুনার পর কীভাবে রিএক্ট করবে!
বাকি সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলে একটা দম নিলাম।কোন রকমে সাহস জুগিয়ে বললাম
-আরাজের সাথে বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছিল।
আমার কথা শুনে আরদ্ধ একটা হার্ড ব্রেক কষল।আমি আরদ্ধর দিকে তাকিয়ে দেখি রাগে ফুসছে ও।স্টেয়ারিং টা শক্ত করে ধরে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেস্টা করছে সে।
-কবেকার ঘটনা এটা?
-যেদিন অফিস শেষে তোমার সাথে পার্কে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
-তুমি সেটা আমাকে আজ বলছ?
-আমি নিজেই জানতাম না এত কিছু হয়ে যাবে।বাসায় কেউ আমাকে এই ব্যাপারে কিছু জানায় নি।হঠাত করে আমাকে বলল আরাজ কয়েকদিনের জন্যে আমেরিকা থেকে এসেছে।বিয়ে করেই আবার চলে যাবে।ওর ছুটি খুব অল্প টাইমে।আর এই অল্প সময়ে যে কাউকে তো আর ছেলের বউ করা যায় না।তাই……
-তারা তোমাকে ছেলের বউ করতে চায়।কারন আরাজের বাবা তোমার বাবার ফ্রেন্ড আর তোমাকে তারা ছোট থেকে দেখে আসছে।
-আরদ্ধ প্যারেন্টসদের কে বোঝানো ব্যাপারটা খুব টাফ ।স্পেশালি যখন মেয়েরা নিষেধ করে।So I decided..
-যে তুমি আরাজের সাথে কথা বলে তাকে কনভিন্স করবা যাতে সেও এই বিয়েতে অমত করে।তাই তুমি তার সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে গিয়েছিলে যাতে তুমি তাকে বিয়ের জন্যে না করতে পার।But guess what হলো উল্টাটা।তোমাকে প্রথম দেখেই আরাজ তোমাকে পছন্দ করে বসে।
-That’s not right.আরাজ আমাকে বলেছে যে ও প্যারেন্টসদের সাথে কথা বলবে।
-আর তুমি তাকে বিলিভ করলে?কথা বলেছে সে?আর যদি সে কথা বলেই থাকে তাহলে সে এখনো তোমার পিছনে সময় নষ্ট করছে কেন?
আরদ্ধর প্রশ্ন শুনে দমে গেলাম আমি।ছোট্ট একটা দম ফেলে আরদ্ধের দিকে ফিরে বললাম
-আরদ্ধ আমি আরাজকে বিলিভ করি না ।বাট তোমাকে করি।আরাজ যদি বাবার সাথে কথা নাও বলা বা গার্জিয়ানদের কনভিন্স নাও করাতে পারে আমি বাবাকে তোমার কথা জানিয়ে দেব ।আর আমার বিশ্বাস বাবা তোমাকে না করবে না।কিন্তু তুমি কীভাবে জানলে যে আমি আরাজের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম?
আরদ্ধ তার সিটবেল্টটা খুলে আমার দিকে ফিরে তাকাল।
-তোমার প্রতিটা নিশ্বাসের খবর আমার কাছে থাকে ইনা।তোমার খুশি আর সেফটি আমার লাইফে সব কিছুর উপরে।
আর আমার মনে হয় না যে তোমার সো কলড ফ্রেন্ড তোমার বাবাকে কনভিন্স করতে পারবে।আমার তো মনে হয়…
আরদ্ধ আর কিছু বলার আগেই আমি ওর ঠোট দুটো দখল করে নিলাম।ছেলেটা বড্ড বেশি ভালোবাসে আমাকে।মাঝেমধ্যে ভয় হয় এতো বেশি ভালোবাসা কি সইবে আমার কপালে!?…….
চলবে