গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং,পর্বঃ ৩,৪
লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার
পর্বঃ ৩
___ কথাগুলো বলেই ফারিয়া নিজের হাতে থাকা
এসিড ছুড়ে মারে শাহরিয়ারের…………….😢😢😢
দিকে আর এসিড মুখে এসে পড়ার সাথে সাথে
শাহরিয়ার লাফ মেরে বিছানা থেকে ওঠে এবং
আসে পাশে তাকিয়ে ফারিয়ার চিন্হটুকু পাইনি সে?
শাহরিয়ার বেশ বুঝতে পারে যে সে
একক্ষন স্বপ্ন দেখছিলো? পাশে থাকা গ্লাসের পানিটা
এক নিমিষেই ডগডগ করে খেয়ে ফেলল?এবং
বুকে হাত দিয়ে জোরে একটা নিশ্বাস ছাড়ে?
হঠাৎ শাহরিয়ারের কানে মধুর কন্ঠে আজান ভেসে
আসছে।শাহরিয়ার আর দেড়ি করলো না দ্রুত অজু
করে ফজরের নামাজ আদায় করে মোনাজাতে
চোখের অশ্রু ছেড়ে শুধু একটা কথাই বলেছিলো…
আল্লাহ তুমি পথ ভ্রষ্টদের সঠিক পথ দেখাও এবং
সবাই কে হেদায়েত দান করো?
___ সকাল বেলা শাহরিয়ার ছাদের একপাশে
দাড়িয়ে আসপাশটা ভালো করে দেখছে?ছাদের এক
পাশে থাকা সুন্দর মুগ্ধ করা ফুলের সুভাস ও
ফুরফুরে বাতাস শাহরিয়ারের মনকে বারবার
আনন্দে ভরে তুলছে?হঠাৎ শাহরিয়ার বুঝতে
পারলো তার পিছন থেকে কেউ একজন গলা
ফাটিয়ে চিৎকার করছে।শাহরিয়ার পিছনে ফিরে
তাকিয়ে দেখলো এটা নীলা……..
শাহরিয়ারঃ আপনি এভাবে চিৎকার কেনো
করছেন?
নীলাঃ চিৎকার কি আর স্বাদে করছি? আপনি
ছাদে কেনো এসেছেন? ছাদে আমি ছাড়া আজ
ওবদি কেউ আসার সাহস পাইনি।কিন্তু আপনি কোন
সাহসে এলেন?
শাহরিয়ারঃ না মানে ভালো লাগছিলো না তাই
ভাবলাম একটু ছাদে গিয়ে ফুরফুরে বাতাসের মাঝে
দাড়িয়ে থাকি?
নীলাঃ চুপ।আমি আপনার কোনো কথা শুনতে
চাইনা।আর আপনি আমার পবিত্র ফুলগুলোর পাশ
থেকে সরে দাড়ান?না হলে আপনার বিস্রি কৎসিত
চেহারার জন্য আমার ফুলগুলো নিমিষেই জড়ে
যেতে পারে?তাই প্লিজ আপনি ছাদ থেকে চলে যান?
আমি কিছুতেই আপনার মতো কুৎসিত দেখতে
লোক কে সজ্য করতে পারছি না?
___নীলার কথার জবাবে শাহরিয়ার আর কিছুই
বলল না কারন কি আর বা সে বলবে? বলার মতো
তার কাছে কোনো শব্দই নেই?অতএব শাহরিয়ার
দ্রুত ছাদ থেকে রুমে চলে যায়।এবং রুমে এসে
শাহরিয়ার বিছানার এক কোনে মাথা নিচু করে
বসে থাকে? কিছুক্ষন পর নীলা এসে কড়া গলায়
শাহরিয়ার কে বলল…..
নীলাঃ আচ্ছা আপনি কি আমাদের বাড়িতে পায়ের
উপরে পা তুলে খেতে এসেছেন? আপনার কি
লজ্জা করেনা অপরিচিত একজন লোকের বাড়ি
থেকে আরামে আরামে থাকছেন এবং বসে বসে
গিলছেন?যদি আপনি আমাদের বাসার কোনো
কাজ করতেন? তাহলেও নিজের মনকে কিছুটা
অন্তত বুজ দিতে পারতাম? আমার বাবা নিশ্চই
পাগল হয়ে গেছেন? না হলে কি করে পারলো
আপনার মতো একজন আপদ আমাদের বাড়িতে
আনতে?আর হ্যা আমি শুনেছি? আপনার
চাচতো বোন নাকি আপনার মুখে এসিড নিক্ষেপ
করেছেন?আমার তো মনে হয় আপনি নিশ্চয়
আপনার চাচাতো বোনের সাথে খারাপ কিছু
করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন তাই হয়তো
সে আপনার মুখে এসিড মেরেছেন?
___ নীলার কথা শুনে শাহরিয়ার চোখ বড় বড়
করে নীলার দিকে তাকালে নীলা ধমকের সুরে
বলল…..
নীলাঃ এই আপনার সাহস তো কম না? আপনার
ওই কুৎসিত বিস্রি মুখ নিয়ে আমার দিকে চোখ বড়
বড় করে তাকান?থাপ্পর মেরে গাল ফাঠিয়ে দিবো
কিন্তু একদম যত্তসব?
___ কথাগুলো বলেই নীলা রুম থেকে চলে গেলো?
আস্তে আস্তে দিন যতই পার হচ্ছে তেমনি দীরে
দীরে শাহরিয়ারের প্রতি নিলার ব্যাবহার ততোই
খারাপ হচ্ছে?
এক সময় শাহরিয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে আর এ
বাড়িতে বোজা হয়ে থাকবে না? কারো মাথার বোজা
হয়ে থাকা অন্তত এই শাহরিয়ার পছন্দ করেনা?
পরের দিন শাহরিয়ার সবার সামনে পরিষ্কার করে
বলে দেয় সে আর এ বাড়ির বোজা হয়ে থাকতে
চায়না।শাহরিয়ারের কথা শুনে অত্যন্ত গভীর
আগ্রহে বৃদ্ধ লোকটি অর্থাৎ নীলার বাবা বলল…..
কেনো?
___জবাবে শাহরিয়ার নীলার বাবার হাত দুটি ধরে
বলেছিলো………..
—আপনি আমার জন্য অনেক কিছুই করেছেন।যা
মুখের ভাষায় বলে প্রকাশ করা কখনো সম্ভব না?
আমি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো?সর্বোদা
সৃষ্টি কর্তার কাছে আপনাদের পরিবারের কল্যানের
জন্য দোয়া করবো।তাহলে আমি এবার আসি
বিদায়?
___ অতএব বহু কষ্টে শাহরিয়ার সেখান থেকে চলে
আসতে সফল হয়? আসার আগে নীলার বাবা
শাহরিয়ারকে বেশ কিছু টাকা দিতে চাইলে
শাহরিয়ার না সূচক উত্তর দিয়ে বলেছিলো……..
— নিজে খেটে উপরে উঠবো?
___ ঢাকার রেলওয়ের একটা ওভার ব্রিজের উপরে
বসে আছে শাহরিয়ার। মুখ খানি তার কাপর দিয়ে
ডাকা?মনে মনে এটা ভেবে প্রচুর কষ্ট পাচ্ছে এতটা
সময় চলে গেলো কিন্তু নিজের বাবা মা এখনো
একটি বারের জন্যেও খোজ খবর নিলো না?
এখন শাহরিয়ারের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে
দাড়ায়…সে এখন কি করবে,কোথায় থাকবে,
কি খাবে? বেঁচে থাকার এই জীবন যুদ্ধে জয়ী
হওয়া যে খুব কঠিন?হঠাৎ করেই শাহরিয়ারের
চোখের দৃষ্টি গিয়ে পড়ে নিচে থাকা কিছু লোকদের
উপর।শাহরিয়ার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে কি
ভাবে লোক গুলো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ভারী
বস্তা গুলো নিজের পিঠে করে টানছে?অতএব
শেষ পর্যন্ত শাহরিয়ার ও লোকগুলোর সাথে
যুক্ত হয়ে যায়? বিশ টা বস্তা টানলে সবাই কে এক
হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু শেষমেষ
সবাই কে পাঁচশো টাকা করে ধরিয়ে দিয়ে বিতারিত
করে দেওয়া হলো? হায়রে মানুষ সব
কিছু ভুলে যেতে পারলেও গরিবদের হক মেরে
খাওয়ার কথা ভুলবে না এক প্রকার মানুষ।
___ পাঁচশো টাকা নিয়ে ভাবতে থাকে শাহরিয়ার?
সে এখন এই টাকা দিয়ে কি করবে?হঠাৎ করেই
তার তার মাথায় একটা বুদ্ধি চলে আসলো এবং
সে দেড়ি না করে তার বুদ্ধি অনুযায়ী কাজ করতে
শুরু করলো? প্রথমে সে একটা কম দামী সেকেনার
বাটন ফোন খুজতে শুরু করলো?অবশেষে চারশো
সত্তুর টাকা দিয়ে সে একটা বাটন ফোন কিনলো
যেটা দিয়ে নেট সহজে সে চালাতে পারে?নিজের
সাথে আগে থেকেই একটা সিম থাকায় পরবর্তীতে
আর কোনো সমেস্যা হয়নি?অবশেষে বাটন ফোন
দিয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ন্যায়বাচক সাইট দিয়ে
টাকা ইনকাম করতে শুরু করে শাহরিয়ার?
অবশেষে রাস্তা থেকে বস্তিতে ঠাই হয় শাহরিয়ারের।
এখন সে সামার্ট ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করে
বিভিন্ন ন্যায়বাচক বা ভালো সাইট গুলো থেকে?
আস্তে আস্তে লেপটপ কম্পিউটার ও বিভিন্ন যাবতীয়
জিনিস পত্র ক্রয় করে ফেলে শাহরিয়ার।আর এখন
শাহরিয়ার আর বস্তি নামক স্থানে থাকে না?
তার রাত দিন অক্রান্তিক পরিশ্রমের ফলে সে এখন
বড় একটা ফ্লাট কিনে ফেলে।এবং শক্তি শালি
একজন হ্যাকারে পরিনত হয় শাহরিয়ার?এখন
শাহরিয়ারকে ওরফে সেরু ভাই নামে নেট দুনিয়ার
প্রায় প্রত্যেকে এক নামে চিনে।আর চিনবেই না
কেনো?একের পর এক বড় বড় ১৮+ আইডি, পেজ,
গ্রুপ,মেসেন্জার গ্রুপও বিভিন্ন পর্ন ভিডিওর সাইট
গুলো দীরে দীরে ধংসের শীর্ষ তুলছে শাহরিয়ার।
একের পর এক ধংস করছে শাহরিয়ার সেসব
১৮+ আইডি, পেজ,গ্রুপ,মেসেন্জার গ্রুপও বিভিন্ন
পর্ন ভিডিওর সাইট গুলো?
শাহরিয়ারের এমন কাজ গুলো দেখে খুব দ্রুত তার
ফ্যান ফলোয়ার বাড়তে থাকে।এবং আস্তে আস্তে
বড় বড় মানুষদের সামনে চলে আসতে শুরু করে?
এবং অবশেষে হয়ে উঠে নেট দুনিয়ার কিং😎
শাহরিয়ার ওরফে সেরু ভাই?
এছাড়াও শাহরিয়ার মাঝে মধ্যে লাইভে
মুখশ পড়ে এসে, ১৮+ আইডি, পেজ,
গ্রুপ,মেসেন্জার গ্রুপও বিভিন্ন পর্ন ভিডিওর সাইট
গুলোর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে,প্রত্যেক কে
এসব কালো জগত থেকে ধুরে থাকার আহবান
জানিয়ে পায়ের উপর পা তুলে ভয়ঙ্কর
এক হাসি দিয়ে বলে ……….
—– খুব দ্রুত নেট দুনিয়ার অন্ধকার জগতটাকে
ধব্বংস করে আলোয় পরিনত করবো……….
__চলবে
গল্পঃ #নেট_দুনিয়ার_কিং
লেখক: #মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার
পর্বঃ ৪
—– খুব দ্রুত নেট দুনিয়ার অন্ধকার জগতটাকে
ধব্বংস করে আলোয় পরিনত করবো…………
___রাত প্রায় দশটা শাহরিয়ার নিজের মুখ ডেকে
কিছু খাবার কিনার জন্য বাহিরে বের হয়?এছাড়াও
শাহরিয়ার কখনো দিনের বেলায় নিজের ফ্লাট থেকে
বের হয় না কারন দিনের আলোকে সে সজ্য করতে
পারে না?তাই সবসময় রাতে সে বাহিরে বের হয়ে
যাবতীয় যেসব জিনিস তার দরকার পরে সেগুলো
কিনে নিয়ে আসে?আর আজ ও তার বেতিক্রম
হলো না?নিজের জন্য কিছু খাবার কিনে নিয়ে
বাসায় আসার সময় শাহরিয়ার দেখতে পেলো
নির্জন এক রাস্তায় একটি মেয়ে একটি ছেলের পা
জড়িয়ে অনাবরত চোখের অশ্রু জড়াচ্ছে?
শাহরিয়ার ধুর থেকেই তাদের কথা গুলো বেশ
মনোযোগ সহ কারে শুনছিলো………
মেয়েটিঃ প্লিজ ভাইয়া আপনি আমার এতো বড়
সর্বনাশ করবেন না?আমি তো আপনার ছোট
বোনের মতো?আপনি কি পারবেন আমার সাথে
এতো বড় অন্যায় কাজ করতে?
ছেলেটিঃ আরে রাখ তোর বোন?তোর এই দশ
মিনিটের ভিডিও বিক্রি করে আমি কত টাকা ইনকাম
করতে পারবো তুই কি সেটা জানিস?আর এমনিতেই
আমার হাত পা ধরে কোনো লাভ হবে না?যদি
পারিস তাহলে আমার একটা প্রস্তাবে রাজি হয়ে যা।
তাহলে সেই ভিডিও টা আমি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট
করে দিবো?
মেয়েটিঃ কি কি? (ভয়ে ভয়ে)
ছেলেটিঃ যদি তুই আমার সাথে শুধু মাত্র শুধু মাত্র..
একটা রাত বিছানায় থাকবি তাহলে আমি কসম
করে বলছি সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটা আমি চিরদিনের
জন্য ডিলিট করে দিবো?
___ছেলেটির এমন কু প্রস্তাব শুনে মেয়েটি তার থেকে
একটু ধুরে চলে গিয়ে ঘৃনিত কন্ঠে বলল……..
মেয়েটিঃ ছিহ? আমি কোনো ভাবেই সেসব পাপ
কাজে নিজেকে জড়াতে পারবো না?
ছেলেটিঃ আমি তো আমার শখের কথা বলে
দিয়েছি এখন বাকিটা তোর হাতে? কাল সকালের
মধ্যে রাজি হয়ে গেলে তো ভালো না হলে তোর
এই ভিডিওটা আমি ১৮+ সাইটে বিক্রি করে দিবো।
এবং ১৮+ সাইটে তোর ভিডিও টা যখন মানুষ জন
দেখবেনা তখন দেখবি বুড়ো থেকে কচি কচি
ছেলেরা ও তোর সাথে ইটিশপিটিশ করতে আসবে।
হা হা হা হা………
___ কথাগুলো বলেই ছেলেটি হাসতে হাসতে
সেখান থেকে চলে যায় এবং মেয়েটি সেখানেই
হাটুগেরে বসে কান্না করতে থাকে।
___ ছেলেটি যাওয়ার কিছুক্ষন পর শাহরিয়ার
মেয়েটির কাছে গিয়ে তার মাথায় আদর মাখা
হাত বুলিয়ে মিষ্টি সুমধুর কন্ঠে বলল……..
শাহরিয়ারঃ বোন? বোন রে……এভাবে কান্না কেনো
করছো?
___ হঠাৎ করেই মাথায় কারো ছোয়া ও পিছন থেকে
কারো গলার সুর শুনতে পেয়ে পিছনে ফিরে
মুখ ডাকা কালো কোর্ট প্যান,পড়া একজন লোক
কে দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে কিছুটা ধুরে গিয়ে
বলল………..
মেয়েটিঃ কে আপনি?
শাহরিয়ারঃ ধরে নেও তোমার এক অচেনা
অপরিচিত বড় ভাই? এবার আমাকে বলো কেনো
এতো রাতে নির্জন রাস্তায় একাকী কান্না
করছো?কি হয়েছে তোমার? কোনো সমস্যায়
আটকে পড়েছো নাকি?
___ শাহরিয়ারের কথার জবাবে মেয়েটি বহু কষ্টে
নিজের চোখের পানি আটকে রেখে বলল…..
মেয়েটিঃ না ভাইয়া কিছু হয়নি?
শাহরিয়ারঃ আমাকে মিথ্যে বলার কোনো দরকার
নেই আমি সব জানি? ধুর থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে
সব শুনেছি?
মেয়েটিঃ কি করবো ভাই বলেন?কাপর চেন্জ করার
সময় ভারাটিয়া ছেলেটা সেটা কিভাবে যেনো
ক্যামেরা বন্ধি করে এবং আমাকে সেটা দিয়ে
ব্লাকমেল করছে(কাঁদতে কাঁদতে)
শাহরিয়ারঃচিন্তা করো না?সব ঠিক হয়ে যাবে
আমি শুধু এটুকুই তোমাকে ঘ্যারান্টি সহ বলতে
পারি।আচ্ছা তোমার কাছে ছেলেটার কি কোনো
নাম্বার আছে?
মেয়েটিঃ জি আছে?
___ অতএব শাহরিয়ার মেয়েটির থেকে ছেলেটির
নাম্বার সংগ্রহ করে মেয়েটিকে তার বাসায় পৌছে
দিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে।এবং বাসায় এসেই
শাহরিয়ার প্রথমে নিজের ল্যাপটপ ওপেন করে।
তারপর ছেলেটির সেই নাম্বার দিয়ে ছেলেটির
সমস্ত কিছু খুব সহজে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে?
এবং ছেলেটির মেসেঞ্জার চেক করে দেখলো
একটি বড় ১৮+ সাইটে তার ভিডিও বিক্রি করার
কথা ছিলো?কিন্তু এখনো সে করতে পারেনি?
আর করবেই বা কি করে ছেলেটির সব কিছু তো
শাহরিয়ারের হাতের মুঠোয়।অবশেষে শাহরিয়ার
ছেলেটির নেট জাতীয় সমস্ত কিছু নিমিষেই নষ্ট
করে দেয় এবং সেই সাথে কোনো ছাড় মিলেনি
ভিডিও বিক্রি করার একমাত্র সেই ১৮+
সাইটির?নিমিষেই নষ্ট করে উদাও করে দেয়
শাহরিয়ার।১৮+ সাইটটি নষ্ট হওয়ার তেত্রিশ মিনিট
পর সেই সাইটটির মালিক বহু কষ্টে জানতে পারলো।
এটা শাহরিয়ার ওরফে সেরু ভাইয়ের কাজ।নিজের
রাগ সামলে রাখতে না পেরে সেই ১৮+ সাইটটির
মালিক শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয় দশ
জন নামি দামী হ্যাকার?কিন্তু সেই হ্যাকার গুলো
হয়তো ঠিক জানতো না যে শাহরিয়ার তাদের
থেকেও বহু উপরে।অতপর ১৮+ সাইটটির
সহযোগিতা করার অপরাধে দশজন হ্যাকারের
মধ্যে একজন হ্যাকারের ও কোনো রকম ছাড়
মিলেনি।
___ পরের দিন সকালে কাপর চেন্জ করার
ভিডিও তৈরী করে মেয়েটিকে ব্লাকমেল করা সেই
ছেলেটিকে পুলিশ উদুম ক্যালানি ক্যালিয়ে টেনে
হিচরে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। যা টিভিতে সরাসরি দেখে
হাসতে হাসতে শাহরিয়ার বেশ উপভোগ করছিলো।
বিকেলে শাহরিয়ার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ওপেন
করার বহু চেষ্টা করলেও কিছুতেই ওপেন হচ্ছিলো
না।একসময় শাহরিয়ার বুঝতে পারে তার সমস্ত
কিছু হ্যাক হয়ে গেছে? যার কারনে শাহরিয়ার বেশ
দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলো। কে বা কারা এমনটা
করার সাহস দেখিয়েছে কিছুই তার মাথায় আসছে
না।হঠাৎ শাহরিয়ারের ফোনে একটা কল আসে।
এবং কলটা রিসিব করে শাহরিয়ার যা শুনে তাতে
সঙ্গে সঙ্গে শাহরিয়ারের ফোনটা ফ্লোরে পড়ে যায়।
______চলবে