#ফাইন্ড_নোরা
#পর্ব_13 (শেষ পর্ব)
#দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
16.
নোরাকে আবার আগের রূপে দেখে অভির মনে হলো ও প্রথমবার নতুনভাবে দেখছে নোরাকে।
এই কয়টা দিন ওর জীবন পাল্টে দিয়েছে। জীবনের অর্থ ও ভিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ ওর মধ্যে অদ্ভুত সাহস আর ব্যক্তিত্ব এনে দিয়েছে৷ আনবে না বা কেন? জীবন কারো সাথে এমন প্রহসন করলে সে তো নিজেকে বদলাতে বাধ্য। জীবনের অনেক না দেখা গল্প সে জেনেছে এখন। বস্তিতে থেকেছে ইন্দুর কাছে। যারা সমাজে এখনো জায়গায় পায় না এমন একটা মেয়ের বুকে সে নিশ্চিন্তে মাথা রেখেছে। শিমুর কাছে থেকে কাজ করেছে। তাছাড়া সে রাতটা ওর জন্য অনেক গুলো অজানা চেহারার অজানা কথার জানার রাত ছিলো। মূহুর্তেই সব হারিয়ে সে নিজেকে আস্তাকুঁড়ে পেয়েছিলো।
নোরার মা চলে এসেছে অনেক গুলো গার্ড নিয়ে যখন উনি বুঝতে পেরেছেন তার মেয়ের সাথে কি হয়েছে। কালো কালো কোর্ট পরা গার্ড গুলো যখন নোরার জন্য দাঁড়িয়ে আছে শিমুর সত্যিই ভয় লাগছে।
নোরাকে এখন দেখে ও এগিয়ে গেল, বলল-
– I am sorry, i hurt you.
নোরা ওর হাত ধরে বলল,
– don’t be sorry. You are an angel for me. You protect me, teach me, feed me, hold me. You and mithu are my family now. I never forget you. I am sorry, i broke two glass of yours.
বলেই হেসে দিলো নোরা। শিমু ও হেসে দিলো।
নোরার মা ওকে এখনই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, এইখান থেকে এয়ারপোর্টে যেতে চায়।
নোরার হাত ধরে বলল-
– I told you, Bangladesh is not a safe place , lets go.
নোরা আলতো করে ওর মায়ের হাত ছাড়িয়ে বলে,
-i am not finish yet, i have to punish them.
অভির দিকে ফিরে তাকালো নোরা। অভি দেওয়ালে হেলান দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ওকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে। এতোদিনের ক্লান্তি ওকে এখন পেয়ে বসেছে।
অভি নোরার দিকে তাকাতেই নোরা বলল-
-lets go.
অভি আস্তে করে নোরার পাশে এলো। নোরা মিতুর গালে হাত দিয়ে আলতো করে চুমু দিলো।
– thank you, you are my love।
মিতু বুঝতে পারছে না মোহনা কীভাবে এমন হয়ে গেল। কিন্তু ও বুঝতে পেরেছে মোহনা অনেক ইর্ম্পোটেন্ট কেউ।
নোরা অভির সাথে বেরিয়ে যাচ্ছিলো, তখনই ইন্দু হাঁপাতে হাঁপাতে এলো শিমুর বাসার সামনে।
নোরাকে এইভাবে দেখে সে ভয় পেয়ে গেল। ওর আশেপাশে এত মানুষজন। এখন ওর পোষাক আশাক দেখে ইন্দু অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।
নোরা ইন্দুর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো। ইন্দু যেন আরো কুঁকড়ে গেল। ও বুঝতে পারছে না কিছু। এমন একটা মেয়ে ওর কাছে ছিলো।
নোরা বলল-
– your are my life saver, you are my God.I can’t pay for it, i never forget you, you are my mom. You give me a new life.
ইন্দু অভির দিকে তাকালো নোরা কি বলছে বুঝার জন্য, অভি বলল-
– ও বলছে, তুমি ওর জীবন বাঁচিয়েছো, তুমি ওর খোদা। ও এইটার মূল্য দিতে পারবে না। ও কখনো ভুলবে না তোমাকে। তুমি ওর মা। তুমি ওকে নতুন জীবন দিয়েছো।
ইন্দু যেন চোখের পানি আটকাতে পারলো না। ওর কালো কাঁপা কাঁপা হাত দটা নোরার মাথায় বুলিয়ে বলল,
– আমার কিছু চাই না মেয়ে, তুমি ভালো থাকো,সুখে থাকো। এইটা আমার চাওয়া।
নোরা অভির দিকে তাকালো, অভি বলল-
– she don’t want anything, she just want you will be good and happy.
নোরা আরেকবার জড়িয়ে ধরলো ইন্দু কে। ইন্দু এইবার হাউমাউ করে কাঁদলো।এই কান্না নোরার জন্য না। সে মেয়ের জন্য যাকে সে না জেনে মেয়ের মতো আগলে রেখেছে।
নোরাকে নিয়ে অভি গাড়িতে উঠতেই, দুজনেই চুপচাপ হয়ে গেল। অভি কি বলবে, বুঝতে পারছিল না। ওর সাথে যা হয়েছে তা? নাকি ওর মনের মধ্যে কি চলছে তা?
নোরাও চুপ, একটু পর বলে উঠলো,
– i want to gift a house to Indu.
অভি মাথা নাড়লো। অভি চুপ করে আছে দেখে নোরা আলতো করে ওর হাতটা ধরলো। অভি জোরে চেপে ধরলো নোরার হাত। ওর এখন আবার কান্না বেরিয়ে আসছে। ইচ্ছে হচ্ছে নোরাকে আবার জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু থামালো।
নোরা অভির কাঁধে হাত মাথা রাখলো। চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো অভির শার্টে।
অভি নোরার গালে হাত দিয়ে বলল-
– what’s happened that night?
নোরা সোজা হয়ে বসলো। ওর চোয়ালটা শক্ত হচ্ছে। চোখ গুলোতে যেন জ্বলন্ত আগুন।
আফসান হুইসেনের অফিসে বসে আছে এখন সবাই। উনাকে বেশ অসুস্থ লাগছে। নোরাকে দেখে যেন নিজেকে ফিরে পেলেন আবার। তবে আবার নিজেকে দোষী ভাবছে নোরাকে সে প্রটেক্ট করতে পারে নি। এত কিছু হয়ে গেল মেয়েটার সাথে।
অভি, মিজান, পারভীন, আরিফ, সবাই আছে। আফসান হুইসেনের পাশে দাঁড়িয়ে আছে উনার পিএ৷
নোরা কীভাবে শুরু করবে বুঝতে পারছে না। কারণ ওকে সে ছয়টা ছেলেকে দেখিয়েছে শনাক্তের জন্য। তখন থেকে ও কাঁপছে। এত বিভৎস সে চেহারাগুলো যা প্রতি রাতেই সে দেখতে পায়।
অনেকক্ষণ পরে নিজেকে সামলেছে সে। নোরা বলল-
– i don’t know why they kidnapped me. But there was something big behind this.
That day, thay kidnapped me and told me to give there money and those vedios. I don’t understand. What they were saying. I don’t know about money. They torture me whole night. They raped me. And throw me at garbage.
নোরা থামল, ওর হাত পা কাঁপছে। অভি নোরার হাত টা ধরল। নোরা অভির দিকে তাকাতে গিয়ে চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো।
অভির বুকে যেন আবার কেউ পাথর বসিয়ে দিলো৷ তারপরও অভি উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
– নোরাকে যে ভিডিও আর টাকার জন্য কিডন্যাপ করা হয়েছে তা মোটেও কোন বানানো গল্প না৷ কারণ যারা এই কাজ করেছে তারা কেউ নোরাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে না এবং জানার কথা না নোরা এই দেশে এসেছে। এখন কথা হলো কোন ভিডিও আর কোন টাকা?
ভিডিও গুলোর কথায় প্রথমেই আসি -ভিডিও গুলো সে গুলো যা নোরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করতে গিয়ে পারসোনাল ডকুমেন্টস হ্যাক করে ফেলেছিলো।
নোরা প্রথমে খেয়াল না করলেও পরে যখন দেখে এইসব পারসোনাল, নোরা আফসান হুইসেন কে জানায় আর এইসব কোন কিছুতে ব্যবহার করবে না বলে জানায়।
উনিও মেনে নিলেন।
এখন কথা হলো, এইসব ভিডিও ওদের কাছে কে পাঠালো আর টাকা দাবী করল? তাও আবার নোরার আইডি দিয়ে?
নোরাও এইবার চোখে তুলে তাকালো। অভি ওখানের একটা স্লাইড চালু করল। স্ক্রীণ জ্বলে উঠলো। যেখানে নোরার ছবি দেওয়া ফেসবুক আইডি।
নোরা তাকিয়ে বলে উঠল, that’s not mine, i don’t use facebook.
অভি নোরার দিকে তাকিয়ে বলল, I know that, you don’t use facebook. But someone create your id, use your photos. And post a lot of thing about you. That’s why they can find you.
আফসান হুইসেন বললেন, কে খুললো এইটা?
অভি এইবার পারভীনের দিকে তাকিয়ে বলল, পারভীন বলবে৷
পারভীন উঠে এলো। পারভীন ওর ল্যাপটপ যা করছে তা স্লাইডে দেখা যাচ্ছে।
পারভীন বলল-
– অভির কথায় আমি এই অফিস সব কম্পিউটার বা ডিভাইস হ্যাক করেছি। তার মাধ্যমে জানা যায় এই আইডিটা এই অফিসেই বসে খোলা হয়েছে। এবং এইখান থেকেই অপারেট করা হতো। যার মাধ্যমে মেসেজ করে সে সব নেতাদের সে ভিডিও ছোট ছোট ক্লিপ পাঠানো হয়েছিলো। এবং বলা হয়েছিলো টাকা দেওয়ার জন্য। টাকা দিয়ে বাকি ভিডিও দিয়ে দেওয়া হবে নইলে নেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। একেক টা ভিডিওর জন্য 2 কোটি করে টাকা নেওয়া হয়েছে৷
কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল তখন যখন নোরা ডিলিট করা ভিডিও গুলো একেবারে মুছে দিলো। পুরো ফাইল টা গায়েব করে দিলো।
যেই ডিলিট ফাইল থেকে ভিডিও গুলো নিয়ে এই কাজ করেছিলো সে বাকি টা নিতে পারে নি। এবং তার তো নোরার মতো এত মেধা নেই যে আবার হ্যাক করে ভিডিও গুলো নেবে।
তখন হয়ে গেল আসল সমস্যা। সে নোরা ঠিক যেখানে যেখানে গিয়েছে তার ছবি তুলে এইখানে পোস্ট করতে থাকে। যাতে ওরা নোরাকেই টার্গেট করে।
এইবার অভি বলে উঠে,
– কারণ নোরা যেখানে যেত সেখানেই কোথায় ও না কোথায় ও সে টাকাটা রেখে যেতে বলতো। এতে ওরা পুরো বিশ্বাস করেছে এইটা নোরাই যে নেতাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিয়ে ভিডিও ফেরত দিচ্ছে না।
যে এই কাজ করেছে, সে এই প্রোফাইল ডিলিট করতে পারে নি, কারণ তার আগেই রবিন, যে আগে আমাদের কলিগ ছিলো, তার একটা খারাপ অভ্যাসের জন্য তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো। সে নোরার সাথেই কাজ করতো। ওরা একই ক্যাটাগরিতে কাজ করতো। সেটা রবিন হ্যাক করে ফেলে এবং পাসওয়ার্ড চেইঞ্জ করে ফেলে।
এই আইডিটা মূল কারণ নোরার সাথে এত কিছু হওয়ার জন্য৷
তখন আফসান হুইসেন বলে, কে করেছে এইটা প্লিজ বল। আমি তাকে নিজের হাতে খুন করবো।
নোরাও বলে উঠলো, who do this?
অভি আর পারভীনের চোখাচোখি হলো, পারভীন তখন আরো কিছু ছবি দেখালো, যেখানে দূর থেকে কেউ নোরার ছবি তুলছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। এক জায়গা দেখা গেল মাথায় হুট পরা একজন একটা ব্যাগ তুলছে।
আরো কিছু ছবি, যেখানে কেউ কোন ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছে।
শেষে একটা ছবিতে আটকে গেল সবাই। তার চেহেরাটা দেখা যাচ্ছে এই ছবিতে।
সবাই ছোট খাটো একটা ধাক্কা খেল। সবচেয়ে বেশি অবাক হলো আফসান হুইসেন। কারণ ছবিটা উনার পিএ ইউনুস এর।
যাকে এই কেইসে কখনো কেউ জিজ্ঞসাবাদ ও করেনি। সন্দেহ ও করে নি। যাকে প্রথম দিন অভি দেখেছিলো। যে ওদের নিচের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলো। সে পিএ ইউনুস, যে আফসান হুইসেনের শালা।
সে বুঝতে পেরেছে ও ধরা পরে গিয়েছে। সে দরজায় কাছেই ছিলো। বের হওয়ার জন্য যখন ছুট দিচ্ছিলো তখনিই মিজান ধরে ফেলল৷ ধরে একটা জোরে থাপ্পড় মারলো।
হুমড়ি খেয়ে ফ্লোরে পড়ল সে।
আফসান হুইসেন এইবার হুংকার দিয়ে উঠলেন,
– তুমি কি জীবনেও শুধরাবে না? তুমি একটা মেয়ে জীবন শেষ করে দিচ্ছিলে। এত লোভ তোমার? হ্যাঁ, তুমিই তো জানতে এই ব্যাপার টা নিয়ে। আর আমার একবারের জন্য ও তোমার কথা মনে আসে নি। আমি অভি কে বলি নি তোমার কথা। কারণ আমার মনে হয়েছিলো এত জঘন্য কাজ তুমি করতে পারো না। তোমাকে আবার বিশ্বাস করাই ভুল হয়েছে।
ইউনুসের ঠোঁট ছিড়ে রক্ত পড়ছে। বাম হাতে তালু দিয়ে রক্ত মুছতে মুছতে বলল-
– নোরা যেদিন থেকে এইখানে আসে, আমি ওর সাথে সাথে ছিলাম, মেয়েটা দেখতে সুন্দরী ওর প্রতি একটা ফিলিংস আসাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ওর ছবি তুলতাম। সামনে থেকেও তুলতাম। ও জানতো। কিন্তু তেমন কিছু মনে করত না। ও আমাকে পাত্তায় দিতো না। তার জন্য মনে মনে রাগ হতো খুব৷
ওরা যখন ভিডিও গুলোর কথা বলছিলো। আমি ওখানেই ছিলাম। ভিডিও গুলো দিয়ে অনেক টাকা নেওয়া যাবে আমার তখনিই মনে হয়েছে। তাই আমি নোরার ছবি দিয়ে একাউন্ট খুলে এইসব-,
আমি শুধু ব্লেকমেইল করে টাকা নিতে চেয়েছি। ভেবেছি ভিডিও গুলো দেখিয়ে টাকা নিয়ে নেব। তারপর সব দিয়ে দেব কেউ জানতেও পারবে না। নোরার ক্ষতি আমি চাই নি৷ কিন্তু ও সব কিছু ডিলিট করাতে আমি আর দিতে পারি নি।
যখন ওরা নোরাকে কিডন্যাপড করে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাই চুপ হয়ে গেলাম। পরে বুঝতে পেরেছি নোরাকে হয়ত মেরে ফেলেছে তাই ভেবেছি আর কেউ বুঝতে পারবে না কি হয়েছিলো। আমি ম্যানেজার কে মান্নান মোল্লার নাম টা বলতে বলেছি৷ যাতে নোরা কোথায় সেটা তোমারা খুঁজে বের করতে পারো।
নোরা উঠে এসে খুব জোরে একটা থাপ্পড় দিলো ইউনুস কে।
– If you need money, you could told me, i will give it, why you do this?
ও মাথা নিচু করে বলল- i am sorry.
নোরা রাগে এইবার এলো পাতারি লাথি মারতে লাগলো।
– Sorry? Sorry? Huh?
অভি ধরে ফেলল নোরাকে।নোরা তখনো রাগে কাঁপছে।
ওকে মিজান নিয়ে গেল থানায়। অভি নোরার হাতে পিস্তল তুলে দিলো সে ছয় জন কে শাস্তি দেওয়ার জন্য। সবার হাত পা বাঁধা তখনো। অভি নোরাকে পিস্তল দিয়ে বলল-
– Punish them!
নোরা প্রথমে পিস্তল উঁচিয়ে ধরল। তারপর চোখ বন্ধ করে সেদিন ওর আকুতি গুলো আর ওদের সে বিচ্ছিরি হাসি গুলোর কথা মনে করতে লাগলো। কয়েক ফোঁটা চোখের পানি বেড়িয়ে আসতেই, পিস্তল নামিয়ে বলল,
– Death is very small punish for them, they need more torture! Every moment they had to suffer. what i suffered! One day they will beg for death.
নোরা বেড়িয়ে গেল। অভি ওর পিছু পিছু গেল।
নোরা বিশাল অফিসের বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে। গাঢ় গোলাপি রঙের বাগান বিলাসে ভরে আছে ওখানে।
অভি যেতেই নোরা একবার ফিরে তাকালো, আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
– thank you,
অভি অবাক হয়ে বলল, why?
– Now i know, i was wrong, you naver cheat me. Robin told me. He was the culprit. I left you, i didn’t belive you.
But you still care for me and Pharvin told me how much you desperate to find me.
But now i can’t go back to your life, that night ruined every thing. Every thing of my life.
বলতে বলতে নোরা ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। অভি নোরা হাত দুটো ধরে ওর বুকের কাছে এনে বলে।
– Nora, i love you and it never change. Now i realise i can’t live without you. And what’s happened with you its not your fault. Its our fault, we couldn’t protect you.
নোরা অভির চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। কেঁপে কেঁপে উঠছে। চোখের পাপড়ি গুলো ভেজা ভেজা, বড় অদ্ভুত মায়া নিয়ে তাকিয়ে আছে ও৷
অভি নোরার হাত টা আরেক টু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল –
– Nore will you merry me again, please?
নোরা কিছু বলছে না দেখে অভি এক নাগারে বলতে শুরু করল বাচ্চাদের মতো, please, please, please, please, Please –
অভির কান্ড দেখে নোরা হেসে দিলো৷ মাথা নেড়ে সায় দিলো।
অভি এক মূহুর্ত ও দেরী না করে নোরার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে চেপে ধরলো জোরে।
দুজনের মধ্যে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি টা যেন মূহুর্তে ঘুমিয়ে পড়ছে। বন্দী কোন পাখি যেন খাঁচার দরজা খোলা পেয়ে টুপ করে উড়ে গেল।
দুজনে থেমে একে অপরের দিকে তাকালো। নোরা বলল-
– This time i want red Banarosi,like traditional Bengali bride.
অভি নোরা কাঁধে হাত দিয়ে হাটতে হাটতে বলল,
– Oh, you want traditional marriage here?
নোরা অভির কোমড়ের দিকে হাত দিয়ে ধরে হাটছে, মাথা নেড়ে সায় দেয়। অভি খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল-
– Then your mom have to give a lot of money to me.
-why?
– It’s tradition! without it marriage are incomplete.
নোরা অবাক হয়ে তাকায়, তারপর বুঝতে পারে অভি মজা করছে, নোরা অভির পেটে জোরে ঘুসি মেরে জোরে বলে,
-No, its not tredition. Its dowry!
অভি দাঁড়িয়ে যায়, নোরার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে,
– মেয়ে তো চালাক হয়ে গেল।
নোরা হেসে ভাঙ্গা স্বরে বলে,
– হ, আমি চালক হয়ে গেসি, ডোন্ট ডু ত্যাড়াব্যাড়া৷
– এমা! এই কোথায় শিখলে?
– শিমু বলটু, আমার সাথে ত্যাড়াব্যাড়া করবে না।
বলে নোরা নিজেই জোরে হেসে উঠলো। ফাঁকা বিল্ডিং এ ওর হাসির আওয়াজ টা একটু জোরেই লাগছে।
অভি নোরার কাঁধে দিয়ে আবার হাটতে শুরু করে, দুজনে কথা বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে নামছে। নোরা বলছে,
– this time i won’t do anything, you will do all shopping. last time you didn’t do anything.
অভি মাথা নাড়ে, ok.
– Now Our house paint will be red colour,
অভি মাথা নাড়ে , no blue.
– no, red,
– no, blue.
-ok, blue
– ok, red.
-no, blue
-no, red
-ok,blue
-ok, red
শব্দ গুলো ধীরে ধীরে কমতে থাকে, আবছা হয়ে আসছে। দেখা যাচ্ছে না ওদের ও৷
অভির পিস্তল টা তখনো রয়ে গেল সে গাঢ় গোলাপি বাগান বিলাস টার পাশে। একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে।
সমাপ্ত
Golpota khubi shondor,shikhonio mulok🤗amader shomaj theke ki kokhono ai rap word ta jabe na……allah valo janen meyera ar koro vabe ottacharito hobe😖😖😣🥺shobai ki Avir moto pashe daray ??na.tara aro dure shoriye dey jibon theke…😫👿👿