#ফাইন্ড_নোরা
#পর্ব_9
#দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
11.
– মোহনা তুমি এত ক্ষন কি করছো?
দরজার বাইরে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর শিমু একটু জোরেই ডাক দিলো।
মেয়েটা রহস্যময়ী, কোন হাবভাবেই ওকে কাজের মেয়েদের পর্যায়ে ফেলা যায় না। প্রথম দিন আসা সে চেহেরাটার যত দিন যাচ্ছে তত যেন পরিবর্তন হচ্ছে।
মাঝেমধ্যে ওকে মোটেও কালো লাগে না। আবার ধুম করে কালো লাগে। মনে হয় যেন আলাদা ভাবে কালো সাজে সে৷ আজ অফিস থেকে ফিরে দেখলো বইয়ের তাক থেকে একটা বই নামিয়ে রেখেছে কেউ, ডোরিস লেসিং এর বিখ্যাত ‘দ্যা গোন্ডেল নোটবুক ‘বই টা।
দুই দিন আগে সি সি ক্যামেরা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল।
এই সাপ্তাহ খানিকে মেয়েটার মধ্যে সন্দেহ জনক কিছু না দেখে শিমুর ও তাড়া ছিলো না ঠিক করার, তাই ভাবলো ছুটির দিন ঠিক করা যাবে।
বইটা দেখে,শিমু প্রথমে ভেবেছে মিতু হয়ত রং করার জন্য বের করেছে। কিন্তু মিতুকে জিজ্ঞেস করাতেই ও বলল- মোহনা নিয়েছে বই টা। ওর পড়ছিলো।
শিমু প্রথম বার অনুভব করলো ওর কোথায় ও ভুল হচ্ছে। মেয়েটা ইন্দুর কেউ হতেই পারে না।
ইন্দুকে ফোন দিলো, মোবাইল বন্ধ। টেনশন হতে শুরু করলো, এখনো অবধি কোন কিছুতে সে হাত দেয় নি। এমন কি সে ফিরেও তাকায় না। এখনো ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না। কিন্তু তাকিয়ে থাকে। যা দেখে তা করতে পারে। অনেক কিছুই শিখে ফেলেছে সে দ্রুত। তাও অনেক কিছুই পারে না৷ শিমুর মাঝেমধ্যে মনে হয় মেয়েটা ওকে কিছু বলতে চায়, কিন্তু শিমুর সারাদিনের ক্লান্তি শেষে খুব মেজাজ খারাপ থাকে তাই ওর এইসব কাজ না পারা দেখে খুব চেঁচামেচি করে। শিমু চিৎকার করলে মেয়েটা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে তাই আরো বেশি রাগ হয়।
তবে এখন শিমুর মনে হলো মেয়েটা হয়ত সব জেনেও না জানার ভান করছে। বোকা সাজছে। কিংবা সে কিছু লুকাচ্ছে।
আজকাল পত্রিকায় কাজের মেয়েদের থেকেও জঙ্গি খুজে পায়। মনে মনে একটু ভয় হলো।
আবার ও দরজা বারি দিলো শিমু। অফিস থেকে এসে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছিলো। তখন তো ছিলো মেয়েটা। ঘুম থেকে উঠে বইটা দেখে ওর সন্দেহ লাগাতে রুমে এসে দেখে দরজা বন্ধ।
শিমু দরজা ধাক্কাছে শুনে মিতু এসে বলল, -মোহনা বাইরে গিয়েছে আমার জন্য চিপস আনতে। তোমার ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে আমিই বলেছি আনতে। আর রুমের তো দরজা লক, তুমি দেখো নি?
– কতক্ষন হলো?
– অনেক ক্ষন। কিন্তু এখনো এলো না। ও বলেছিলো, ও তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। আমি যেন চিন্তা না করি।
– বলেছিলো মানে? ও কি কথা বলে?
মিতু জিহবায় কামড় খেলো। চুপ হয়ে গেল। রুমে ছুটে যেতে চাইলে শিমু ধরে ফেলল,
– মিতু, তোমাকে না বলেছি মিথ্যা কথা বলতে নেই। বল, মোহনা কি কথা বলতে পারে?
মিতু মাথা নাড়লো, ওর ঝুটি বাঁধা চুল গুলো এদিক ওদিক নড়ছে।
শিমুর হাতের তালু ঘামতে শুরু করে, মিতুকে জিজ্ঞেস করল, কি কি বলেছে ওকে?
শিমু রেগে যাচ্ছে দেখে মিতু ভয় পেয়ে গেল। ভয় পেলে ও খুব কান্না করে৷ এমন হিচকির মতো উঠে বাড়াবাড়ি অবস্তা হয়।
তাই শিমু থেমে গেল। মিতু কে বুকে জড়িয়ে ধরে চুপ হয়ে গেল। মাথায় অনেক চিন্তায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
শিমু দ্রুত ব্যাগ চেক করে, মিতু কে বলল-
-কোন টাকাটা দিয়েছিলে?
মিতু এক হাজার টাকার একটা নোট বের করে হাতে ধরল৷
– এইটা।
শিমুর মনে হলো মোহনা পালিয়েছে। আর ফিরবে না। কিন্তু ও চাইলে আরো অনেক কিছু নিয়ে পালাতে পারতো। এত যেন ভয় টা আরো বাড়তে থাকে। ও আসলে কে?
না শিমু আর চিন্তা করতে পারছে। ভাবলো মিজান কে এইবার জানানো উচিত। যদি সত্যি মেয়েটা কোন জঙ্গি হয়?
মিতু এখনো বুকে লুকিয়ে আছে। শিমু মোবাইল বের করে মিজান কে ফোন দিলো। কয়েক বার রিং হতেই মিজান ফোন ধরে কিছু বলার আগেই বলে উঠলো,
– আমি ব্যস্ত আছি, পরে ফোন দিচ্ছি।
-শোনো আমার কাজের মেয়েটা পালিয়েছে, ওর ব্যাপার টা কেমন যেন সন্দেহ জনক। পারলে একটু বাসায় আসো।
– এই আর নতুন কি? তোমার এই বিশ্রী রাগের জন্য কোন মেয়েই থাকবে না তোমার কাছে৷
– ফালতু কথা বলবে না, বাসায় আসো,
-আমার বাইরের দেশ থেকে আসা একটা ইম্পটেন্ট মানুষ কে খুঁজেতে খুঁজতে জান হাতে নিতে হচ্ছে৷ আর তুমি বলছো আমি তোমার কাজের মেয়ের খুঁজতে আসতাম এখন আমি?
– আরে শোন না-
শিমু কিছু বলার আগেই ওদিক থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ সাথে অভির গলা,
– মিজান, তোর পেছনে-
ঠাস করে একটা শব্দ হলো, শিমুর কান যেন ফেটে যাচ্ছে। মিজান আবার বলল-
– বুঝতে পারছো আমি কোথায় আছি? এখন রাখি, আমি এই কেইস শেষ হলে বাসায় আসবো।
মিজান ফোন কেটে দিলো, শিমু তখনো মোবাইল কানে লাগিয়ে লাগল। ভাবলো,
ঘরে পুলিশ থেকেও লাভ কি? কোন কাজেই আসে না।
শিমু আর দেরী না করে বাসা থেকে বের হলো, আশেপাশের দোকান গুলো দেখে এলো। কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করল না৷ না কোথায় ও মোহনা নেই। বাসায় ফিরে এসে সি সি ক্যামেরা ঠিক করে দেয় যে ছেলেটা ওকে ফোন দিলো, ও বলল, ও গ্রামে গিয়েছে ফিরতে দুই দিন লাগবে।
টেবিলে পড়ে থাকা বইটার দিকে তাকিয়ে শিমু ভেতর থেকে আরেক বার কেঁপে উঠলো। বোম নেই তো?
12.
চার দিন ট্রেক করে সে মান্নান মোল্লা দলের একজনের খোঁজ পেল মিজান ওর স্পাই দের মাধ্যমে।
তাকে ধরতে তিন ঘন্টা ধরে বসে ছিলো এক জায়গায় মিজান আর অভি৷
একটা পুরানো বাড়িতে হাতে কিছু খাবারের প্যাকেট নিয়ে ঢুকলো, ছেলেটা। মিজান আর অভি দেখলো কাঠের নড়বড়ে দরজা। মিজান লাথি দিয়ে ভাঙ্গতে চাইলে অভি থামিয়ে দিলো। দরজার নিচ দিয়ে একটা কয়েন ছুড়ে মারতেই ভেতরে বিফ বিফ করে আওয়াজ হতে শুরু করলো।
অভি আর মিজান দ্রুত লুকিয়ে পড়ল। কিছুক্ষন পর সে বেরিয়ে আসতেই প্রথমে মিজান বের হলো, সে গুলি তাক করে ধরতেই মিজান একটা হাসি দিলো। ছেলেটা কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেল৷ সেই সুযোগে পেছন থেকে অভি জোরে মাথায় বারি দিলো। মূহুর্তেই সে অজ্ঞান হয়ে গেলো।
দুজনে এপাশ ওপাশ তাকিয়ে চ্যাংদোলা করে ধরে ঘরে নিয়ে গেল ওর।
চেয়ারের সাথে বেঁধে রেখেছে। এখনো জ্ঞান ফিরে নি। অভি আর মিজান ওর পুরো ঘরে কাগজ পত্র খুঁজতে শুরু করলো। পুরানো গোয়েন্দা বইয়ের কাহীনির মতো বইয়ের মাঝে কেটে বিভিন্ন পেনড্রাইব আর টাকা পেল, ছোট ছোট করে বান্ডিল করা৷
পুরানো একটা চেয়ারের উপর, একটা কম্পিউটার, নিচে অনেক গুলো ফাইল। অনেকের ছবি।
অভি বুঝতে পারলো ও জাল পাসপোর্ট বানায়৷
রিসেন্ট কয়েক টার ডকুমেন্টের ছবি তুলে নিলো অভি। কম্পিউটার পাস ওয়ার্ড দেওয়া। তাই কিছু দেখতে পারছে না অভি। মিজান টাকা পয়সা সব বের করে এনেছে। কোথায় কি আছে।
ছেলেটার হুশ ফিরলো তখন, কে আপনারা?
অভি কথা ছাড়াই নোরার ছবি টা ওর সামনে ধরে বলল, চিনিস?
ছেলেটা একবার চোখ তুলে তাকালো। তারপর ব্যাথায় কুকড়ে উঠে, আহ করে আওয়াজ করে। অভি পিস্তল উচিয়ে ধরে।
– কোথায়?
– ওর সাথে আমার কোন কাজ ছিলো না। তবে মেয়েটা বেঁচে নেই। খুন করেছে ওকে ওরা।
অভির হাতে থাকা ছয় টা এপ্লিকেশনের দিকে তাকালো ছেলেটা। ছেলেটার লম্বা চুল বেড়ে রক্ত পড়ছে। ওর খয়েরী সস্তা পাঞ্জাবীটা ভিজে উঠেছে। ব্যাথা হচ্ছে ও মাথা ধরে রাখতে পারছে না৷
অভি প্রথমে থমকে গেল। দু পা পিছিয়ে গেল। ফরমে লাগালো ছেলেগুলোর চেহেরা গুলো যেন ঝাপসা লাগছে।
মিজান বলল, কোথায় পাঠিয়েছিস? পাসপোর্ট কোথায় যাওয়ার জন্য?
– এখনো যায় নি।
-কোথায় ওরা?
– আমি জানি না৷ ওদের বস জানে।
-কে?
– যে এই কিডন্যাপ টা করেছিলো। সেই মাস্টার মাইন্ড। হ্যাকার ও।
ছেলেটা ব্যাথায় আবার খেকিয়ে উঠলো৷ দেওয়ালে টাঙ্গানো ওর সার্টিফিকেট গুলোর দিকে তাকিয়ে মিজান বলল-
– এত ভালো স্টুডেন্ট হয়ে মাফিয়াদের জন্য কাজ করিস?
– টাকার দরকার। এই দেশে এই ট্যালেন্টর মূল্য এইখানেই পাওয়া যায়।
তাছাড়া আমি কোন খুন খারাবা করি না। শুধু এইটাই করি। সেইফটির জন্য পিস্তল। তাও চালাতে জানি না। তাই তো এত সহজে ধরতে পারলেন।
তখন দরজায় কেউ বারি দিতে থাকে। কয়েক টা বারি দেওয়ার পর একটা মেয়ে কণ্ঠ শোনা গেল।
– আজিজ? আজিজ? আছো তুমি? দরজা খোলো, বিরিয়ানি এনেছি খেতে চেয়েছিলে।
তিনজনেই চুপ হয়ে আছে। অভি দরজার দিকে গুলি ধরলো। মিজান ছেলেটার দিকে। অভি বলল-
– ওদের সে মাস্টারমাইন্ড বস কে কোথায় পাওয়া যাবে?
ছেলেটা আকুতি সুরে বলল,
– কেউ জানে না সে কোথায় থাকে, তবে ঠিকানা আমি দিয়ে দেব। প্লিজ জান্নাত কে কিছু করবেন না। ও ছাড়া কেউ নেই আমার।
অভি পিস্তল নামিয়ে নিলো । এক প্রেমিক কন্ঠ যেন ওকে প্রেমিক বানিয়ে দিলো এখন যে তার প্রিয় মানুষ টাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
মিজান ছেলেটার হাত খুলে দিলো। ছেলেটা উঠে দ্রুত দরজা খুলে মেয়েটাকে ঘরে ঢুকালো, মেয়েটা ঘরে ঢুকে কিছু বলার আগেই অভি আর মিজান কে ঘরে দেখে থেমে গেল।
অভি বলল- ঠিকানা দেয়,
ছেলেটা দ্রুত ওর কম্পিউটারের দিকে ছুটলো। মেয়েটা ওর পেছনে রক্ত দেখে আঁতকে উঠলো,
– আজিজ, রক্ত পড়ছে মাথা থেকে।
ছেলেটা একবার অভির দিকে তাকাল, আবার চেয়ারে বসে কম্পিউটারে মন দিলো, মেয়েটা হয়ত ওর কাজের ধরণ জানে, তাই বুঝতে পারছে, সস্তা সবুজ রং এর সেলোয়ার কামিজের সাথে বেগুনি সুতির উড়না পরেছে মেয়েটা।
আস্তে করে এসে আজিজের মাথার পেছনে উড়না টা চেপে ধরল, যেখান থেকে রক্ত পড়ছে।
আজিজ সড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু মেয়েটা সড়ছে না।
আস্তে আস্তে রক্ত মুছার চেষ্টা করছে। অভি তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। যেন পৃথিবীর সেরা মূহুর্ত টা দেখছে সে।
ছেলেটা ঠিকানাটা বের করে একটা কাগজে লিখলো। অভির হাতে দিয়ে, বলল-
– প্লিজ আমাদের ছেড়ে দিন। আমি কারো কোন ক্ষতি করি না।
মিজান বলল- দেশের তো করছো৷
– দেশের কাজে তো লাগালো আমাকে,
অভি ওর কার্ড টা দিয়ে বলল, আপাতত গা ঢাকা দাও, পরে আমার সাথে যোগাযোগ করবে।
অভি আর মিজান বের হয়ে পারভীন কে সে ঠিকানা টা খুঁজে বের করতে বলল।
পারভীন লোকেশন দেওয়া পর ওরা সেখানে গিয়ে দেখলো বিশাল সিকিউরিটি ঘেরা একটা দোতলা বাড়ি। বাইরে থেকে দেখে বুঝা যাচ্ছে বিশাল চাকচিক্য।
দেওয়াল টপকে পাড় হতেই এর্লাম বেজে উঠলো। তখন মিজানের মোবাইলে ফোন আসলো, শিমুর। মিজান কথা বলতে বলতে ওর পেছনে এসে একজন দাঁড়িয়ে পিস্তল তুলে ধরতেই অভি গুলি চালিয়ে দিলো।
অভি এরপর সাইলেন্সার লাগিয়ে নিলো পিস্তলে৷ ধীরে ধীরে উপরে উঠলো, তেমন কোন বাঁধা না পেয়ে উঠে গিয়ে বেশ অবাকেই হলো।
কাঁচে ঘেরা দোতলা বাড়ি টা বাইরে থেকে যেমন ভেতর থেকে আরো বেশি সুন্দর।
কিন্তু কাউকে দেখছে না। হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ কফি হাতে দাঁড়িয়ে বেশ পরিচিত স্বরেই বলে উঠলো,
– নোরা খুঁজতে তুই আসবি আমি জানতাম, তবে এত দেরি? এখন বোধহয় সে ধার নেই তোর। কি বলিস?
অভি আর মিজান দুজনেই পিস্তল উঁচিয়ে ধরে ফিরে তাকালো।
অভি অবাক স্বরেই বলল- রবিন? তুই এইখানে? তুই নোরাকে কিডন্যাপ করেছিস?
সে বেশ উচ্চস্বরে হেসেই সোফায় বসল, কফিতে চুমুক দিয়ে বলল-
– ভাবিস না প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, প্রাক্তন প্রেমিকের মতো এইসব করেছি। ইটস প্রফেশনাল। নোরা এইখানে এসে কিছু পটিক্যালেন চালের গুটি হয়ে গিয়েছিলো৷ বেচারি হয়ত নিজেও জানতো না।
আমার কাছে ওকে খুন করার কন্ট্রাক্ট এলো আমি কিডন্যাপ করে ওকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। বাট এস অলউয়েস, হার ইগো ডিস্ট্রয় হার। ইটস নট মাই ফল্ট।
অভি ভয়াবহ রেগে গেল- নোরা কোথায়?
কফিটা রেখে সিগারেট ধরিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে বলল-
– আই ডোন্ট নো! ওদের বলেছিলাম কাজ শেষ হলে আমাকে দিয়ে যেতে৷ তবে ছেলে গুলো বলল, মেরে কোন ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।
ভেবেছিলাম সরকার ওর খুন টা চেপে যাচ্ছে আর তোকে দিয়ে খেলাচ্ছে৷ তাই বলে দিলাম।
রবিন এত নির্লিপ্ত গলায় কথা গুলো বলল, অভির রাগ টা এইবার ভয়ে পরিণত হচ্ছে। হাটু গেড়ে বসে পড়ল অভি।
-চলবে