💙অহংকারি_চাচাতো_বোন🥀,পর্ব-০৩,০৪
✍️✍️শাকিল দিহান🍀🍀
পর্ব-০৩
.
“থাক না দাদুভাই”~(দাদা)
.
“তাহলে দাদা আমি কোথায় বসবো?”~(তানু)
.
“দিহানের পাশে এত বড় জায়গা পড়ে আছে,তার পাশে বসলেইতো হয়”~(দাদা)
.
“না ভাইয়ার পাশে আমি বসবো,আপু ঐটায় বসো”~(তাসনু)
.
👉 তানু গিয়ে অন্যপাশে বসলো,সবাই খাওয়া শুরু করলো।আমি না খেয়ে বসে আছি।
.
“কি হলো দিহান খাবার ভালো হয়নি?”~(চাচা)
.
“তোর জন্য স্পেশালভাবে রান্না করছি ভালো লাগবে খেয়ে দেখ”~(চাচি)
.
“না চাচি,একটা চামচ দাও,হাতে খেতে পারবো না”~(আমি)
.
“কেন?”~(চাচি)
.
“বিকালে ফুল ছিড়তে গিয়েছিলাম,কাঁটা ছিল খেয়াল করিনি,কেটে গেছি”~(আমি)
.
“ও,এদিকে আয় আমি খাইয়ে দেই,আমাকে বলবি না হাতে খেতে পারবি না?”~(চাচি)
.
👉 চাচি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,তা দেখে আমার চোখ দিয়ে জল পড়ছে।চাচি এত আদর করছে,আজ যদি মা থাকতো কি করতো।
.
“কি হলো? মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে? তো আমাদের ছেড়ে চলে গেছস কেন?
.
👉 চোখের পানিগুলো মুছে নিলাম,এটা যেন চাচি নয় আমার আপন মা।
খাবার খেয়ে রুমে বসে আছি,মা বাবাকে খুব মনে পড়ছে।
👉 কিন্তু তানুর ব্যবহার আমাকে খুব ভাবাচ্ছে,পরিবারের সবার ব্যবহার ভালো হলে ওর এমন কেন?রাগ করে থাকলেতো এমন হয়না।
👉এসব না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকাল বেলা,
“ভাইয়া উঠো”
.
“কে,এত সকালে ডাকছে?
.
“আমি তাসনু,সকাল কই?, ৯টা বাজে,উঠো সবাই অপেক্ষা করছে”~(তাসনু)
.
“ও টুনটুনি তুই?”
.
“ভাইয়া আমায় টুনটুনি বলবে না,বলে দিলাম”
.
“কেন!আমি অবশ্যয় বলবো”
.
“আমি আপুকে বলবো আর আপু তোমার ১২বাজাবে”
.
“তানুকি বেশি রাগী?”
.
“আপু অনেক রাগী,আগে এমন ছিলনা,আচ্ছা বাদ দাও খেতে আসো”
.
“তোমার আপু অনেক ভালো,এগুলো হয়তো এমনি দেখায়”~(আমি)
.
“হুঁ তাই যেন হয়,এখন চলো নাস্তা করবে”
.
“তুই যা,আমি ফ্রেশ হয় আসছি”
.
👉তাসনু চলে গেলো,আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য…ওয়াসরুমে গেলাম,কিন্তু ওয়াসরুমে পানি নাই।দ্বিতীয় তলার গেলাম যেখানে সব সময় পানি থাকে।ওয়াসরুম থেকে খালি গায়ে শুধু মাত্র প্যান্ট ছাড়া কিছু নাই।
তখনই কে যেন,
“আআআআআ”
.
এটাতো তানু,চিৎকার দিছে কেন।তানুর চিৎকারে চাচি ওপরে চলে আসলো।
.
“কি হয়েছে তানু চিৎকার করলি কেন?”~(চাচি)
.
“তেলাপোকা”~(তানু)
.
“তোরা পারিসও বটে”এই বলে চাচি চলে গেলো।
.
“ঐ তুই এই রুমে কেন?”
.
“পানি নাই তাই,এখন বলো তুমি এই রুমে কেন?”
.
“আমার বাসায় আমি যে রুমে ইচ্ছে সে রুমে থাকবো,তোর কি?”
.
“ও সরি”
.
সকালের নাস্তা করে দাদার সঙ্গে খবর দেখছিলাম।সাথে বাসার সবাই আছে।
টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছি:
—অবশেষে মেজর শাকিল বাদ করলেন শান্তিমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত,পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চান তিনি।নিজের পরিবার নিয়ে দেশে থাকবেন এবার।
.
“দাদা আমি ভার্সিটী যাচ্ছি”~(তানু)
.
“ওকে সাবধানে যাস,দিহানকে নিয়ে সাথে”~(দাদা)
.
“না দাদা এসব ক্ষেত নোংরা ছেলেগুলোকে ভার্সিটীতে মানাবে না,আমি আসি”~(তানু)
.
👉 তানু ভার্সীটিতে চলে গেলো।আমি কি করবো কিছুই ভাবতে পারছি না।দাদার সাথে খবর দেখায় মনযোগ দিলাম।
👉 হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকে গেলো।অন্য চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে,
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের *** থানার পাশে আট জনের মরদেহ উদ্দার করেছে পুলিশ।বলা হচ্ছে যে এরা সবাই ছোট খাটো বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
.
“কেমন করে যে মারছে,হয়তো ওদের সাথীরাই মারছে,দেখ দিহান”~(দাদা)
.
“হুম দাদা,মাদকের সাথে জড়িত,তাও আমার আমাদের পাশের গ্রামে,কেন বলতো?”
.
“অনেকদিন ধরে এই এলাকায় এসব চলছে,রাস্তা ঘাটে কম যায় এসবের ভয়ে,খবর দেখেই সারাদিন কাটে”
.
“কেন ভয় লাগে?”
.
“কয়েকমাস আগে মেজর শাকিল এই এলাকায় একটা মিশনে আসে,তখন এলাকায় প্রচুর সন্ত্রার ছিল,এখন সন্ত্রাস আছে,যারা এসব বিষয়ে কথা বললেই…তাকে খুন করে,যাতে এসব খবর বাইরে না যায়।তাই ভয় লাগে এসবে”~(দাদা)
.
(মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম,সবার সাথে মজা করবো,এই এলাকাকে সন্ত্রাস মুক্ত করে সবাইকে আসল পরিচয়টা দিব)
.
“কি হলো,কি ভাবছিস,এসব কথা গুলোইতো?জানতাম ভয় পেয়ে যাবি,রাতেট বেলা একা কোথাও বের হস না”~(দাদা)
.
“ওকে,দরকার ছাড়া বের হবো না”
.
“তোর আবার কিসের দরকার পড়বে!”
.
“জানি না”
.
দাদার সাথে কথা বলে বাইরে চলে আসলাম।তারপর কর্নেল স্যারকে ফোন করলাম।
“আস্সালামুআলাইকুম স্যার”
.
“ওয়ালাইকুমআস্সাল,কেমন আছো দিহান”
.
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো,আপনি কেমন আছেন?”
.
“ভালো,ফোন দিলে দেখছি কোনো জরুরি কাজ?”
.
“কয়েকমাস আগে এখানে একটা মিশনে আসলাম মনে আছে?”
.
“হুম,কেন কি হয়ছে?”
.
“এখানের অবস্তা এখন তার থেকে ভয়ানক”
.
“আমি সেটা বলার জন্যই অপেক্ষা করছি,তুমি এই বিষয়টা হেন্ডেল করবে,যত ফোর্স লাগে নাও,ওরা কিন্তু ভিষন ভয়ংকর লোক”
.
“আগে দেখি,কয়েকদিন যাক,নাহিদকে সাথে নিলে হবে আর দুইজন নিব”
.
“ওকে দেখিও,মিশনে আরেকজনকে নিতে হবে সাথে”
.
“কে?”
.
“পরে বলবো, রাখি বাই”
.
“ওকে বাই”
.
‘চলবে’
💝[#অহংকারি_চাচাতো_বোন]😜
✍[শাকিল দিহান]💯
👉[পর্ব-০৪]👈
.
👉 এবার বুঝতে পারলাম স্যার আমাকে এসব বিষয়ে দেখার জন্য ঐদিন কল করেছে।
👉 কাউকে না জানিয়ে একাই এলাকায় ঘুরতে বের হলাম।এখন বেলা ১২ বাজে।চারদিকে মানুষজন তেমন নাই।
তাহলে দাদার কথায় ঠিক হবে এখানে আতঙ্কবাদী লোক আছে,যাদের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হয়না।
👉হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে আসলাম।এলাকাটা তেমন ভালো ভাবে চিনিনা।
👉হঠাৎ দেখতে পাই তানু ভার্সীটির গেইট দিয়ে বের হচ্ছে,কখন যে ভার্সিটীর সামনে চলে আসছি নিজেও জানিনা।
তানু বান্ধবিকে বিদায় দিয়ে রিকশায় করে চলে যেতে নিচ্ছিলো,দৌড়ে সেখানে গেলাম।
.
“তানু দাড়াও আমিসহ যাবো”~(আমি)
.
“অন্য একটা রিকশা খোজ এটাতে করে যেতে পারবি না”~(তানু)
.
“আমি এটাতে করে,তোমার পাশে বসেই যাবো”
.
👉 এটা বলেই রিকশাই উঠতে লাগলাম।আমাকে উঠতে দেখে তানু নেমে গেলো,হেঁটে চলে যেতে লাগলো।আমি রিকশা থেকে নেমে গেলাম।
.
“মামা,এই নেন ভাড়া আর সামনে থেকে উনাকে তুলে নিবেন”~(আমি)
.
“মামা মাইয়াটা ভালোনা,একদিন উনাকে নিয়ে গেছিলাম,টাকাগুলো দেওয়ার সময় আমার মুখে ছুরে মারছিল একটু কথা কাটাকাটি হয়ছে বলে,না নিয়া তো আর পারি না,না নিলে খামু কি?তাই নিতে হয়,দেখলেন না আপনার সাথে কি মিসবিহেবটা করলো”~(রিকশাওয়ালা)
.
“এই আর একটা বাজে কথাও বলবেন না,আমার হবু বউ হয় ও,ওকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বলবেন না”
.
👉 ওনি মন খারাপ করে তানুকে নিতে চলে গেলেন।আমার রিকশাওয়ালা মামার কথায় খটকা লাগলো।দেখে মনে হচ্ছে অনেক শিক্ষিত।এত না ভেবে চলে আসতে নিলাম বাসায়,তখন কারো সাথে ধাক্কা খেলাম।
“এই এখানে ঘুরাঘুরি করছিস কেন?যা তাড়াতারি ঘরে যা নয়তো কাল তোর লাশ বের হবে,যাহ তাড়াতারি”~(লোকটা)
.
“ওকে ভাই চলে যাচ্ছি”(আসার আগে লোকটার চেহরা ভালোভাবে দেখে নিলাম।দেখে মনে হচ্ছে না কোনো…সন্ত্রাসী।তাড়তারি সেখান থেকে চলে আসলাম।আগে ভালোভাবে জেনে শুনে,তারপর কাজে লাগতে হবে।এসব ভাবছিলাম আর বাসার দিকে আসছি,তখনই,
“দিহান”(পেছনে তাকিয়ে দেখি রাফি আরিফ)
.
“কিরে কই গেছিলি?~(আমি)
.
“ভার্সীটি গেছিলাম”
.
“ও আচ্ছা,এত দেরি কেন?তানুতো অনেক আগেই চলে গেলো”
.
“তুই এখনো এখানে কেন,দুপুর দুইটা বাজে,তুই কি করছিলি এখানে?”
.
“এইতো ঘুরাঘুরি করছিলাম”(বারোটা ত্রিশে আসলাম আর কখন দুইটা বেজে গেছে সেই খেয়াল নেই)
.
“বাসায় যা আন্টি চিন্তা করবেতো”~(রাফি)
.
“তোদের জন্য চিন্তা করবে না মনে হয়?”
.
“না,মা জানে আমরা দেরি করে বাসায় যায়”
.
“আচ্ছা বাই,সাবধানে যাস”
.
👉বাসায় চলে আসলাম।দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে বসে আছি।
মানুষগুলো যেন এক নতুনভাবে জানছি।কেমন যেন সব রহস্য রহস্য মনে হচ্ছে।আপন মানুষগুলো কেমন যেন বদলে গেলো।
“ভাইয়া কি ভাবছো?”(বসে বসে এসবই ভাবছিলাম তখন জিহাদ এই কথা বললো)
.
“কই কিছু নাতো,কখন আসলি?”~(আমি)
.
“এখন আসছি,কখন থেকে দেখছি কি যেন ভাবছো,চলো আজ সবাই মিলে ঘুরতে যাবো”
.
“কোথায় যাবি?”
.
“অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে,চলো প্লিজ”
.
“তোর আপু যাবে?”
.
“কোন আপু তানু নাকি তাসনু”
.
“দুইজনেই”
.
“বড় আপুরটা জানিনা,ছোট আপু যাবে”
.
“ও,যাবো”
.
বিকালে~~
“তানু চলো আজ জিহাদদের সাথে ঘুরতে যাই”~(আমি)
.
“এই তুই সকালে দেখছি রিকশায় আমার পাশে বসতে চাইছিস,এখন দেখছি আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান,দেখ এসব ফালতু কাজ না করে তাড়াতারি আমার বাড়ী থেকে বিদায় হ,যেখানে ছিলি সেখানে চলে যা”~(তানু)
.
“আমার শুশুরবাড়ীতে আমি না থেকে কে থাকবে?আমিতো বাড়ীতে আসিনি শুশুর বাড়ীতে এসেছি,বউ শুশুর বাড়ী তাই”~(আমি)
.
👉 ঠাস্ ঠাস্ দুইটা শব্দ হলো,কানে কম শুনছি মনে হয়,কি হয়ছে?ও চড় মেরেছে আমায়।তানু আমার গায়ে হাত তুলল আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।যে তানু আগে…আমাকে বাসায় না পেলে সারা বাসা এক করে তোলপাড় করে ফেলতো,আজ সে তানুই আমার গায়ে হাত তুললো।
👉সেখান থেকে চলে আসলাম।রুমে এসে মন খারাপ করে বসে আছি।তখন কে যেন পেছনে চোখ বেঁধে ধড়লো,
“দেখি বলোতো আমি কে?”
.
“কে আবার তাসনু”~(আমি)
.
“না তাসনু নয়,তোর পুরাতন জিএফ নাদিয়া”
.
“নাদিয়া মানে কোন নাদিয়া?চিনলাম নাতো,আর আমার রুমে আসছো তাও আবার নক করা ছাড়া”
.
“আমাকেতো তাসনু নিয়ে এসেছে,এখন আর চিনবি কই,হয়তো নতুন কোনো মেয়ে পাইছিস তাই ভুলে গেলি”
.
“এত বকবক না করে তাড়াতারি পরিচয়টা বল”
.
“ছোটবেলার পাঁচ বন্ধুর মধ্যে একজন এবার হলো?মনে আছেতো নাকি তাও ভুলে গেলি?”~(নাদিয়া)
.
“পাঁচ বন্ধুর কথা মনে থাকবে না কেন?কিন্তু নাদিয়াতো দেখতে একদম কাকের মতো ছিল,এত সুন্দর না,হয়তো মেকাপ নয়তো ময়দা কোনটা?”
.
“সেরা ফাজিল হয়েছিস,কিন্তু তুই দেখতে আগে অনেক ফর্সা ছিলি,এখন গায়ের রং এমন কেন?”
.
“গায়ের রং এমন নয় এটা ক্যামিকেলের কারনে হয়ছে,পরে ঠিক হয়ে যাবে”
.
“ডাক্তার দেখাইছিস,কি ক্যামিকেল?”
.
“ডাক্তার দেখছি,একটা সময় দিছে যেটা পার হলে ডাক্তারের কাছে যাবো,তারপর ঔষধ দিবে”~(আমি)
.
“ও তাহলে ভালো,চল আজ ঘুরতে যায়,পাঁচ বন্ধু আছি,রাফি আরিফ বাইরে দারিয়ে আছে”
.
“ভেতরে আসতে বলবি না?তুই আসতে পারিস ওদের আনলে কি হতো?”
.
“দুর ওরাই আসে নাই”
.
তারপর বিকালে সবাই মিলে ঘুরতে বের হলাম।
👉 রাফি,আরিফ,তানু,নাদিয়া ও আমি আমরা পাঁচ বন্ধু।ছোট বেলায় স্কুলে একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া,অন্যদের সাথে ঝগড়া করা,মজা নেয়া,এককথায় হ্যাপি লাইফ ছিল তখন।আজ খুব মিস করছি সেই সময়গুলোকে
👉সবাই মিলে ঘুরতে বের হলাম,কিন্তু তানু এখন আসলো,আর আমি বলার পর আসলো না।নিজের ওপর খুব খারাপ লাগছে।তানু আমাকে বুঝেনা।
“কিরে দিহান সবাই কত হাসি খুশি তুই এমন মন খারাপ করে আছিস কেন?”~(রাফি)
.
“না এমনি ভালো…লাগছে না”~(আমি)
.
“কালো ভুতের আবার ভালো লাগা,রাফি,আরিফের মতো সুন্দর হলে পকৃতিটা ভালো লাগতো,সুন্দর মানুষগুলোই সুন্দর চেনে”~(তানু)
.
“তানু একটা বাজে কথা বলবি না,দিহান মোটেও কালো নয়,তোর চোখের সমস্যা ডাক্তার দেখা”~(রাফি)
.
“তুই চোখে ভুল দেখিস,তুই ডাক্তার দেখা”
.
👉 এরকম হতে হতে একটা সময় ওরা ঝগড়াই চলে গেলো।আমি থামাতে চেয়েও পারছি না।
একটা সময় তানু রাগ করে বলে ওঠল”চলবে?”
.
চলবে?