পদ্মিনী,পর্বঃ১৬

পদ্মিনী,পর্বঃ১৬
আবির হাসান নিলয়

সোফা থেকে উঠে দরজা খুলে দিতেই
দেখলাম নিলু দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃতুই এখানে?
নিলুঃবাসায় একা ভালো লাগছিলো না।তাই
তোর সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য চলে আসছি।
কি করছিস একা একা?
আমিঃতুই বাসায় চলে যা।
নিলুঃকেনো?
আমিঃআমি বলছি তাই
নিলুঃভাগ এখান থেকে
আমিঃআমি সিরিয়াস
নিলুঃকেনো,কি হয়েছে?
আমিঃসমস্যা আছে।
নিলুঃসর সামনে থেকে
আমাকে সরিয়ে দিয়ে বাসার ভিতরে এসে
জান্নাতকে দেখে বেশ অবাক হয়ে হাসলো।
নিলুঃতুমি এখানে?☺
জান্নাতঃহুম
নিলুঃবিয়ের আগেই দুজন একসাথে?
জান্নাতঃমানে?
নিলুঃএই যে,দুজনের বিয়ে না হতেই দুজন
একসাথে থাকছো।তবে ভালোই লাগছে।
জান্নাতঃআমি মোটেও এখানে ইচ্ছা করে
পরে নেই আপু।
নিলুঃতাহলে এখানে কি করো?
জান্নাতঃসেটা ওর থেকেই শোনো
নিলুঃকি হয়েছে নিলয়?
আমিঃকিছু না,তুই বাসায় যা।আমি তোকে
কল দিয়ে পরে বলবো।
জান্নাতঃপরে কেন এখন বল সব।
আমিঃতুমি চুপ থাকো
জান্নাতঃকেনো চুপ থাকবো
আমিঃআমরা ভাইবোন কথা বলছি
জান্নাতঃতাহলে আমাকে এখানে রাখার
কি দরকার আছে?
আমিঃসেটা তুমি ভালো করেই জানো।
জান্নাতঃতোকে ভালোবাসাই আমার ভুল
আমিঃহয়তো না।
নিলুঃআমাকে কেউ বলবে কি হচ্ছে এখানে?

নিলুর কথা শুনে দুজন থেমে চুপ হয়ে গেলাম
আমাদের এমন চুপ থাকতে দেখে বলল….
নিলুঃজান্নাত তুমি বলো
জান্নাতঃকি?
নিলুঃতুমি এখানে কেনো?
জান্নাতঃনিলয় আমাকে কিডন্যাপ করেছে
নিলুঃহোয়াট..!মজা করছো?
জান্নাতঃতুমি আমাকে জানো আপু,কোনটা
মজা কোনটা সিরিয়াস তুমি সেটা জানো।
নিলুঃনিলয়,জান্নাত কি বলছে?
আমিঃ…….
নিলুঃচুপ করে আছিস কেনো?
জান্নাতঃবল এখন,নিজের বোনের কাছে
নিজের আসল চেহারাটা দেখা।
নিলুঃজান্নাত যেটা বলছে সেটা কি ঠিক?
আমিঃহুম(মাথা ঝাঁকিয়ে)
নিলুঃঠাসসস

অনেকটা জোরে থাপ্পড় মারার কারণে একটু
দূরে সরে গেলাম।নিলু কখনো আমাকে
এমন করে মারেনি।সব সময় ভাইবোন মজা
করতাম,আড্ডা দিতাম,অনেক ভুল করতাম
কিন্তু কখনো আমাকে এমন করে মারেনি।
আমাকে মারা দেখে জান্নাত মুখে হাত দিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে।
নিলুঃতুই কি সত্যি আমার ভাই?
আমিঃ……..
নিলুঃতুই তো আগে এমন ছিলি না ভাই।কিন্তু
এখন কেনো এই মেয়ের জন্য এতো নিচুঁ হয়ে
গেছিস?তুই ওকে ভালোবাসিস সেটা জানি।
কিন্তু তুই ওকে দেখ,ও তোকে বিন্দুমাত্র
ভালোবাসে না।
আমিঃএটা ছাড়া আমার কিছু করার ছিলো
না,যদি ওকে না কিডন্যাপড করতাম…..
নিলুঃঠাসস,আমার সামনে কিডন্যাপ কথা
উল্লেখ করবি না।
জান্নাতঃআপু ওকে মা….
নিলুঃতুমি প্লিজ চুপ থাকো।নিলয় তুই ওকে
এই মুহূর্তে সরি বল।
আমিঃসরি
নিলুঃআমি জান্নাতকে নিয়ে যাচ্ছি,আর
তুই এই মুহূর্তে বাসায় যাবি।তোর সাথে
বাসায় গিয়ে কথা বলছি।
আমিঃজান্নাতকে যেতে দিতে পারবো না।
নিলুঃমেজাজ খারাপ করবি না।
আমিঃতুই বাসায় যা
নিলুঃজান্নাত চলো আমার সাথে।
জান্নাতঃহুম

জান্নাতের হাত ধরে বাইরে নিয়ে যাবে
তখন জান্নাতের হাত ধরে নিলাম।আমাকে
এমন দেখে নিলু মারতে যাবে তখন জান্নাত
বাধা দিয়ে বলল….
জান্নাতঃআপু তুমি যাও
নিলুঃকিন্তু তুমি?
জান্নাতঃও আমাকে হয়তো এখানে রেখে
তিলে তিলে মেরে ফেলতে চায়।তবে ও
যদি আমার সাথে এমন ব্যবহার করে খুশি
হয় আমি সেটাতেই রাজি।তবে ওকে কখনো
আমি ক্ষমা করতে পারবো না।আর ভালো-
বাসা সেটা অনেক উঠে গেছে।
নিলুঃতোর দ্বারা এমন ব্যবহার কখনো আশা
করি নাই,তুমি নিজের খেয়াল রেখো।
জান্নাতঃহুম
নিলুঃপরশু জান্নাতকে নিয়ে খালাম্মার
বাসায় আসিস।
জান্নাতঃকেনো?
নিলুঃখালাতো বোনের বার্থডে
জান্নাতঃওহ
নিলুঃচলে এসো।
জান্নাতঃওকে

অনেকটা রাগ দেখিয়ে নিলু চলে গেলো।না
জানি বাসায় গিয়ে সবাইকে কি বলবে।তবে
জান্নাতের প্রতি অনেকটা রাগ হচ্ছিলো।কিন্তু
কিছু বলতে পারছিলাম না।নিলু চলে যাওয়ার
পর আর খেতে বসলাম না।রুমে গিয়ে শুয়ে
পড়লাম।

পরেরদিন,,,,,,
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে এসে দেখলাম
জান্নাত রান্না করেছে।তবে কালকের ঘটনা
মনে পরে কেমন জানি নিজেকে ছোট মনে
হচ্ছিলো।সোফার উপর বসে এসব ভাবছি
তখন খেয়াল করলাম জান্নাত নিজে নিজেই
নাস্তা করছে।খেতেও ভালো লাগছিলো না
তাই চুপচাপ বসে আছি তখন বলল….
জান্নাতঃখাবার রেখেছি দেখছিস না?
আমিঃহুম
জান্নাতঃতো খাওয়া বাদ দিয়ে বসে আছিস
কেনো?
আমিঃএমনি ভালো লাগছে না।
জান্নাতঃখাওয়ার ইচ্ছা হলে খা,না হলে নাই।
আমিঃতুই কি বুঝিস না আমি চাই?
(কাছে গিয়ে)
জান্নাতঃআমার মন পড়ার অভিজ্ঞতা নেই
আমিঃকি পাড়িস তুই?

জান্নাতের চুলের মুঠি ধরে মুখটাকে কাছে
এনে জিজ্ঞাস করতেই জান্নাত আগের
চাইতে একটু জোরে নিশ্বাস নিতে শুরু
করলো।
আমিঃখুব তো বলতি ভালোবাসিস,কই তোর
ভালোবাসা?হারিয়ে গেছে ভালোবাসা?
জান্নাতঃতুই সেটাকে নষ্ট করে দিছিস
আমিঃওহ এখন আমার দোষ তাই না
জান্নাতঃহ্যা তোর দোষ,বাসায় আমি আব্বুকে
তোর কথা বলছিলাম।আর আমার আব্বু
ওতোটাও খারপ লোক না।হ্যা উনি তার ছোট
ভাইয়ের কথা শুনে অনেকের সাথেই খারাপ
করেছে।তবে নিজে থেকে কাউকে একটা
ধমক অবধি দেয়নি।
আমিঃআর আমার আব্বু চাচ্চুকে অপমান
সেটার কি?
জান্নাতঃবলছি না,আমার ছোট চাচার জন্য।
আমিঃঠাসস,আমাকে মিথ্যা বলবি না
জান্নাতঃতোর কি মনে হয় আমি মিথ্যা বলছি?
আমিঃবিশ্বাস করবো কি করে?
জান্নাতঃতোর কথা সেদিন রাতেই আব্বুকে
বলেছিলাম।বলেছিলাম তুই অনেক ভালো,
তোর সাথে আমি হ্যাপি থাকবো।তিনিও
আমার কথা শুনে স্থির হয়ে বসে শুনছিলো।
আমিঃএতে রাজি হয়ে গেলো?
জান্নাতঃআমি আমার আব্বুকে জানি,তিনি
কোনটাতে রাজি হবে সেটার ভাব দেখেই
বুঝতে পাড়ি। তবে আমি ভুল ছিলাম,তোর
মতো একটা ছেলের সাথে আমি কখনো
হ্যাপী থাকতে পারবো না।সামান্য বিষয় নিয়ে
তুই আমাকে এই বাসায় আটকিয়ে রাখছিস
না জানি তোর সাথে বিয়ে হলে আমাকে একটা
বদ্ধ খাঁচার পাখির মতো সারাজীবন জীবন
পার করতে হবে।
আমিঃমেজাজ খারাপ করবি না
জান্নাতঃছেরে দিচ্ছিস না কেনো?
আমিঃছারার হলে প্রথম দিনই ছেরে দিতাম।
জান্নাতঃআমাকে মেরে ফেললেও তোর
সাথে আমি আগেরমতো সময় কাটাবো না।
আমিঃহয়তো কাটাবি।
জান্নাতঃমাঝে মাঝে আমার সন্দেহ হয়,তুই
কি আমার মতো আরো অনেক মেয়ে নিয়ে
এমন করে খেলেছিস?
আমিঃসেটা তোর ভাবার ব্যাপার। তুই আমার
এটা মনে রাখ।
জান্নাতঃহাহাহা,কখনো না।তোর মতো
নির্লজ্জ ছেলের কাছে জীবন সপে দেয়ার
চাইতে নিজেকে নিষিদ্ধ পল্লিতে নিয়ে যাবো।
আমিঃঠাসসস ঠাসসস

জান্নাতের মুখ থেকে এমন কথা শুনে নিজেকে
আর ঠিক রাখতে না পেড়ে অনেকটা জোরে
আঘাত করলাম।আমি কি এতোটাই নিচু
যার জন্য এমন কথা বলতেও ওর একবারো
মুখে বাজলো না।মনে হচ্ছিলো এখনি ওর
গলা টিপে মেরে ফেলি।
আমিঃআর একবার যদি এই ধরনের কথা
তোর মুখ থেকে শুনি আমার থেকে খারাপ
আর কেউ হবে না।
জান্নাতঃকি করবি তুই?
আমিঃজিহ্বা কেটে দেবো।
জান্নাতঃনিজের বাপের কাড়ি কাড়ি টাকার
গরমের জন্য অসহায় মানুষদের উপর
অত্যাচার করতে ভালো লাগে তাই না।
আমিঃসেই জন্য একটা বছর সন্নেসী ব্যস
ধরে তোর কাছে ছিলাম।
জান্নাতঃভালো লাগছে না তোর এই বা***
প্যাঁচাল। আর চুল ছাড় আমার।

কিছু না বলে জান্নাতকে ছেড়ে দিয়ে বসে
রইলাম।হঠাৎ ফোনের শব্দ পেয়ে ফোন
খুঁজে দেখলাম খালাম্মা কল করেছে।কল
রিসিভ করে বললাম….
আমিঃকেমন আছো খালাম্মা?
আঙ্কেলঃখালাম্মা না,আমি খালুজান।
আমিঃকেমন আছেন?
আঙ্কেলঃভালো আছি,কিন্তু তুই কোথায়?
আমিঃবাগানবাড়িতে।
আঙ্কেলঃআসবি না?
আমিঃকাল যাবো
আঙ্কেলঃফ্যামিলির সবাই আসছে শুধু তুই
নেই।আর তোকে ছাড়া কেমন জানি সব
খালি খালি লাগছে বাপ।চলে আয় আজ।
আমিঃকিন্তু খালু…
আঙ্কেলঃখালাম্মার সাথে কথা বল।
আমিঃজ্বি দেন
খালাম্মাঃতুই আজ আসবি কিনা বল?
আমিঃখালাম্মা আমি একটু ব্যস্ত আছি।
খালাম্মাঃআসবি কিনা সেটা জিজ্ঞাস করছি
আমিঃযাবো
খালাম্মাঃকখন?
আমিঃসন্ধ্যার দিকে
খালাম্মাঃযদি মিস হয় তাহলে বুঝতেই
পারছিস আমার থেকে কেউ খারাপ হবে না।
আমিঃহ্যা জানি,আম্মু আব্বু উনারা সবাই
কোথায় আছেন?
খালাম্মাঃসবাই চলে আসছে সকালেই।
আমিঃওহ
খালাম্মাঃএকটা কথা ছিলো
আমিঃহ্যা বলো
খালাম্মাঃনিলুর কি হয়েছে?
আমিঃকি হবে?
খালাম্মাঃঠিকমতো কারো সাথে কথা বলছে
না।কিছু জিজ্ঞাস করলেও থতমত করে।
আমিঃও কিছু না,আমি গিয়ে শোনবো।
খালাম্মাঃঠিক আছে চলে আসিস।
আমিঃরাখছি

কল কেটে দিয়ে জান্নাতকে বললাম…
আমিঃআজ সন্ধ্যায় যেতে হবে।
জান্নাতঃতো?
আমিঃএকা থাকতে পারবে?
জান্নাতঃতোর জেনে লাভ আছে?
আমিঃওকে
জান্নাতঃএকটা রিকুয়েস্ট রাখ প্লিজ
আমিঃকি?
জান্নাতঃতোর আমি পা ধরে বলছি প্লিজ
আমাকে এখান থেকে যেতে দে।আমার
বাবাকে অনেক দেখতে ইচ্ছা করছে।
আমিঃমরে গেলেই তো পাড়ে।
জান্নাতঃতুই আসলেই মানুষ না।
আমিঃকিছু যায় আসে না,তোর রুমে অনেক
ড্রেস রাখা আছে।সন্ধ্যায় পরে রেডি থাকবি।
জান্নাতঃকেনা গোলাম পেয়েছিস?
আমিঃসব সময় ত্যারা কথা বলতে হবে?
জান্নাতঃআমার মুখ,যেটা খুশি সেটা বলবো।
আমিঃবিয়ে কর আমাকে,সব বলতে দেবো
সাথে সব পূরণ করবো।
জান্নাতঃতোকে বিয়ে করার চাইতে হিরো
আলমকে বিয়ে করবো তবুও তোকে না।
আমিঃএই হিরো আলম কে?
জান্নাতঃজানিনা
আমাকে ধাক্কা দিয়ে উপরে চলে গেলো।
কিন্তু এদিকে ধাক্কা সামলাতে না পেরে
টেবিলে থাকা কাটা চামচের সাথে হাত
লেগে খানিকটা ক্ষত হয়ে গেছে।রক্ত বের
হওয়া দেখে রুমে এসে পরিষ্কার করে ক্রিম
নিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিলাম।

সারাদিন জান্নাতের সাথে আর কথা হয়নি।
দুপুরবেলা আমি বাইরে থেকে খাওয়ার জন্য
খাওয়ার টেবিলেও কথা হয়নি।কিছু সময়
পরেই সন্ধ্যা নেমে যাবে।রেডি হয়ে জান্নাতের
রুমে গেলাম।তবে ওকে দেখে রাগ হলেও
অনেক মায়া হচ্ছিলো।একটা নিষ্পাপ বাচ্চার
মতো শুয়ে আছে।জাগাতে ইচ্ছা করছিলো
না।কিন্তু ওকে একা রেখে গেলে না জানি
কিসব করবে।আর আমি ওকে নিয়ে কোনো
প্রকার আফসোস করতে চাই না।এদিকে এই
কয়েকদিনে রুমটাকে অনেক সুন্দর করে
সাজিয়ে তুলেছে।যদিও ওর এখানে থাকার
ইচ্ছা মোটেও নেই তবে থাকতে হচ্ছে।হালকা
করে ডাক দিতেই ঘুম থেকে উঠে নিজেকে
ঠিক করে বসলো।
জান্নাতঃতুই এখানে কেন?
আমিঃদেখছিলাম তোর সব কিছু।
জান্নাতঃকিহ?
আমিঃরুমটাকে অনেক সুন্দর করে নিজের
মতো করে সাজিয়েছিস।
জান্নাতঃওহ
আমিঃযা ফ্রেস হয়ে আয়,যেতে হবে।
জান্নাতঃযাবো না।
আমিঃসকালে তো বললি এই বাসা থেকে
মুক্তি পেতে চাস।তাহলে এখন কি হলো?
জান্নাতঃতুই আমাকে একা ছেড়ে দে🙏
আমিঃবিয়ে কর।
জান্নাতঃজাহান্নামে যা
আমিঃএকা যাবো না, গেলে তোকে সাথে
করে নিয়ে যাবো।এখন কথা বাদ দিয়ে
দ্রুত ফ্রেস হয়ে আয়।
জান্নাতঃকোথায় যাবো?
আমিঃখালাম্মার বাসায়,রুহির বার্থডে কাল।
জান্নাতঃতো আমি ওখানে কি করবো?
আমিঃসবার সাথে মজা করবি।
জান্নাতঃহ্যা চল,পালানোর জায়গা আছে।
আমিঃসেটা তোর ব্যাপার।

আমাকে আর কোনো কথা না বলে উঠে
ফ্রেস হতে যাওয়ার পর আলমারি থেকে
একটা হলুদ কালারের শাড়ি বের করে রেখে
নিচে আসলাম।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম জান্নাত হলুদ শাড়ি
না পরে নীল কালারের শাড়ি পড়েছে।
জান্নাতের এমন ব্যবহারে কষ্ট হলেও কিছু
বলার সাহস পেলাম না।তাই কিছু না বলে
চুপচাপ জান্নাতকে সাথে নিয়ে গাড়িতে
গিয়ে বসলাম।জান্নাতকে দেখে অনেক
হ্যাপি লাগছিলো।আমাকে কষ্ট দিয়েছে,খুশি
তো হবেই।ড্রাইভ করার সাথে বললাম….
আমিঃওখানে সবার সাথে ভালো করে কথা
বলবি।ওখানে আমার আব্বু আম্মু,চাচ্চু,ছোট
মা সবাই থাকবে।
জান্নাতঃসবাইকে তোর ব্যাপারে বলা উচিত,
তুই তাদের কেমন সন্তান।
আমিঃবা** আবার শুরু হলো।চুপ থাক তুই।
জান্নাতঃকথা বলতে আসিস কেন?
আমিঃতুই বলিস কেনো?
জান্নাতঃনা চাইতেও বলতে হয়।
আমিঃভালোবাসিস তাই..!
জান্নাতঃঘৃণা করি তাই।
আমিঃধন্যবাদ এখনো ভালোবাসার জন্য।
জান্নাতঃতোর মতো ছেলেকে ভালোবাসার
থেকে মরে যাওয়াই ভালো।
আমিঃতুই মরলে আমি পুরাই বিধবা।
জান্নাতঃএই শাড়িগুলো তোর আগের সব
প্রেমিকাদের তাই না?
আমিঃতোকে কিডন্যাপ করার আগের কিছু
দিন ধরে এসব কিনে রেখেছিলাম।
জান্নাতঃমিথ্যাকে অনেক সাজিয়ে বলিস
তাই তোর মিথ্যাকে কেউ ধরতে পারে না।
যেমন তোর ভালোবাসাটাও মিথ্যা দিয়েই
পরিপূর্ণ।
আমিঃচুপ থাক
চুপ করতে বলাতে আর কিছুই বলল না।
অন্যদিকে ফিরে কিছু ভাবছিলো।আমিও
সেদিক না দেখে ড্রাইভ করতে লাগলাম।

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here