নীলচন্দ্র,পর্বঃ০১
লিখাঃ জাহান আরা
আচ্ছা চাচ্চু,চুমুতে কি আছে???
আমার ৮ বছরের ভাতিজা শুভর মুখে এই প্রশ্ন শুনে আমি যারপরনাই হতাশ হয়ে গেলাম।
হায় হায়,এই ছেলে এখনই এসব জানতে চায়,আর বাকী সময় কি করবে!!!
আমিঃ কেনো,এটা তোর জানার কি দরকার??
শুভঃ বলো না চাচ্চু,তাহলে তোমাকে আমি একটা সিক্রেট বলবো।
আমিঃ তুই সিক্রেট ও বুঝিস শুভ???
শুভঃ আমাকে যতো ছোট মনে করো আমি ততো ছোট না,তুমি এখনো বুড়া বয়সে সিংগেল থাকতে পারো,কিন্তু আমার ক্লাসে আমার এখনই অনেকগুলো মেয়ে বান্ধবী আছে,তোমার মতো নিরামিষ না আমি
আমিঃ তাই বলে তুই এখনই এসব নিয়ে চিন্তা করা শুরু করছিস??
আমি নিরামিষ তোকে কে বলছে,আমিও একজনকে ভালোবাসি।
শুভঃ আরে গাঁধা চাচ্চু,আমি এজন্য জানতে চাচ্ছি যে আমি মাঝে মাঝে দেখি আমাদের ড্রাইভার আংকেল আর শেফালী খালা একজন আরেকজনকে চুমু দেয়,আমি একদিন ড্রাইভার আংকেল কে জিজ্ঞেস করেছিলাম,তখন উনি ৩২ পাটি দাঁত বের করে হেসে দিয়েছে,কিছুই বলে নি।
শুভর কথা শুনে আমার মাথায় হাত,ছি ছি,আব্দুল আর শেফালি এই ছোট বাচ্চার সামনে এসব অপকর্ম করছে।
আমিঃ চুমুতে ভিটামিন আছে বাবা,এসব কথা বলিস না আর।
শুভকে কোনমতে বুঝিয়ে দিয়ে আব্দুল কে গিয়ে ধমক দিলাম।সাবধান করে দিলাম ভবিষ্যতে যাতে এরকম না শুনি।
অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি তখনই বাবা আমার রুমে এলেন।
বাবাঃ অফিসে যাচ্ছিস তুই নীল??
আমিঃ হ্যাঁ বাবা।
বাবাঃ আজকে অফিসের ম্যানেজার কে বল সব সামলাতে আজ অফিসে যাস না,একটু গ্রামের বাড়িতে যা।
আমিঃ হঠাৎ গ্রামের বাড়িতে কেনো বাবা??
বাবাঃ গ্রামের বাড়িতে আমার পৈত্রিক বসতবাড়ি অন্য এক লোক দখল করেছে,শুনেছি সেখানে নাকি ওরা ঘর তুলতেছে,ওখানে আমরা কেউ যাওয়া আসা করি না,তাই মানুষ এসবের সুযোগ নিচ্ছে,ওটা আমার পূর্ব পুরুষদের ভিটা,ওটা আমি হারাতে চাই না।
আমিঃ বাবা,বাদ দাও তো,এখন তো আমরা এখানেই স্থায়ী হয়ে গেছি,এখন আর গ্রামের জায়গা জমির কী দরকার?
আমাদের কি জায়গাজমির অভাব আছে নাকি?
বাবাঃ ওটা আমার বাবা মায়ের স্মৃতি নীল।
আমিঃ ওই জমির রিয়েল ডকুমেন্ট আছে তোমার কাছে??
বাবাঃ হ্যাঁ আছে,ওরা বলতেছে আমার বাবা নাকি ওদের কাছে জমির কোনো একটা অংশ বিক্রি করেছে,কিন্তু আমি জানি যে ওরা মিথ্যা বলছে বাবা এরকম করেনি,করলে আমি অথবা তোর বড় চাচা কেউ না কেউ জানতাম।
আমিঃ ঠিক আছে বাবা,আমি যাচ্ছি।
বাবাঃ শুন,ওদের সাথে সাবধানে থাকতে হবে।আমিও যাবো।
অফিসে না গিয়ে ম্যানেজার কে কল দিয়ে বলে দিলাম আজকে সব সামলাতে,আমি দুদিন যাবো না,ফাইল যাতে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
গ্রামে পৌঁছেই এলাকার কয়েকজন নেতাকে কল দিলাম,এসব কাজের জন্য এরা একদম পারফেক্ট,শুধু টাকা ছড়ালে হয়।
১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ টা বাইকে করে ৩৫ জন এসে হাজির লাঠিসোঁটা নিয়ে।
সবাই মিলে চললাম,বাড়ি পৌঁছাতে দেখি সত্যি এখানে ঘর তোলা হচ্ছে,আমি গিয়ে বাঁধা দিলাম।
মধ্যবয়স্ক এক লোক বের হয়ে এসে বাবার সাথে তর্ক জুড়ে দিলো,আমার সাথের ছেলেগুলো ঘর টা ভেঙে দিতে লাগলো,তুমুল ঝগড়ার মাঝে লোকটা একটা বড় রামদা নিয়ে বের হয়ে এলো, আমার বাবাকে রামদা দিয়ে আঘাত করতে যেতে নিলো।
বাবার উপর হামলা করতে যাচ্ছে এটা দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো,সামনে থাকা হকিস্টিক নিয়ে আমি লোকটার মাথায় পিছন থেকে এক বাড়ি বসিয়ে দিলাম,লোকটা তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।
সেই সময় কই থেকে যেনো একটা মেয়ে ছুটে এলো,মেয়ে নয় যেনো আকাশের পরী,আমার সাথের সব ছেলেরা কাজ ফেলে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো,মেয়েটার দিকে তাকাতেই আমার বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো,এই তো সেই মেয়ে,আমার হারানো ভালোবাসা,৫ বছর ধরে যার অপেক্ষায় আছি আমি।
ক্যাম্পাসে প্রথম ওকে দেখি তখন আমি ফাইনাল ইয়ার আর মেয়েটা ফার্স্ট ইয়ার,তারপর থেকে মেয়েটাকে সবসময় আড়াল থেকে দেখতাম,চন্দ্র আমার।
কিন্ত ওর ফাইনাল ইয়ারের পর আর দেখতে পাই নি আমি চন্দ্রকে,অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হদিস পাই নি,তবুও আশা নিয়ে ছিলাম ওকে পাবো,এরইমধ্যে আমাকে বাবার ব্যবসায় দায়িত্ব নিতে হয়,বড় ভাইয়া একটা কোম্পানি দেখাশোনা করে,আমাকে আরেকটা।
চন্দ্র এসেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লোকটাকে জড়িয়ে ধরে বাবা বাবা করে চিৎকার করতে লাগলো,পানি এনে লোকটার নাকেমুখে ছিটাতেই লোকটার জ্ঞান ফিরে এলো।
চন্দ্রঃ আমার বাবার মাথায় আঘাত করেছে কে???
আমি কি বলবো খুঁজে পাচ্ছি না।
চন্দ্রঃ আমি জানতে চাই কে এই কাজ করেছে??
আমিঃ আমি করেছি।
চন্দ্রঃ লজ্জা করলো না আপনার বাবার বয়সী একজন লোকের গায়ে হাত তুলতে,আপনারা এতো হিংস্র হতে পারেন কি করে??
এই জমি আপনার দাদা আমার দাদাকে অনেক আগে বিক্রি করেছে,আমাদের কাছে কাগজপত্র সব আছে,আপনাদের যদি আপত্তি থাকত তাহলে আপনারা কোর্টে যেতেন,মামলা করতেন,বিচারে রায় হতো জমি কারা পাবে,কিন্তু তাই বলে এরকম পার্সোনাল এটাক করবেন,ছিঃ।আপনাকে দেখে তো শিক্ষিত মনে হয় এই আপনার শিক্ষার মূল্য!!!!
আমার বাবার গায়ে হাত তুলেছেন আপনি,জীবনেও আপনাকে আমি ক্ষমা করবো না।
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো চন্দ্রর সব কথা শুনে যাচ্ছি,এই আমার চন্দ্র,কি সুন্দর করে আমাকে বলছে,কখনো আমার সাহস হয় নি চন্দ্রকে আমার মনের কথা বলার,কিন্তু অনেকবার ওর হোস্টেলে ওর রুমের বাহিরে গিয়ে আমি গিটার বাজাতাম,চন্দ্র গিটারের সুর শুনে বারান্দায় এসে দাঁড়াতো,যদিও কখনো অন্ধকারে দেখে নি কে গিটার বাজায়,মাঝেমধ্যে চন্দ্রকে আমি সারপ্রাইজ দিতাম,আজ পর্যন্ত চন্দ্র জানে না কে ছিলো যে তাকে এভাবে সারপ্রাইজ দিতো,গিটারের সুর শুনাতো,গিফট পাঠাতো।
চন্দ্র তার বাবাকে নিয়ে চলে যায় ওদের বাড়ির দিকে। আমি সবাইকে চলে আসতে বললাম।
বাবাঃ মেয়েটা ঠিকই বলেছে নীল,আমাদের উচিৎ ছিলো আদালতে যাওয়া,হাবিব সাহেব কে আঘাত করাটা তোর ভুল হয়েছে।
আমিঃ বাবা উনি তোমাকে আঘাত করার জন্য রামদা নিয়ে যাচ্ছিলো তাই আমার মাথা ঠিক ছিলো না।
বাবাঃ চল আজ ফিরে যাই,পরে আসা যাবে।
বাবাকে নিয়ে সেই রাতেই ঢাকায় ফিরে এলাম,কিন্তু আমার মাথার ভিতর চন্দ্র ঘুরপাক খাচ্ছে,এতোদিন পর চন্দ্রকে খুঁজে পেলাম তাও এরকম অবস্থায়,এখন আমি কি করবো,নিজের ভালোবাসা চন্দ্রকে কিভাবে জানাবো???
চন্দ্র তো আমাকে কখনো মেনে নিবে না এই ঘটনার পর।
কিছুই ভালো লাগছে না আমার এখন।
হঠাৎ করেই আমার রাগ উঠে গেলো,রুমের সব কিছু ভাঙচুর করতে শুরু করলাম আমি।
আমার রুমে ভাঙাচুর করার শব্দ শুনে মা ছুটে এলো আমার রুমে।
মাঃ কি হয়েছে বাবা,কি করছিস তুই??
আমিঃ মা আমার অনেক বড় একটা ভুল হয়ে গেছে মা,নিজেকে নিজের মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে,আমি মরে যাবো মা চন্দ্রকে না পেলে।
মাঃ আমাকে বল তুই কি হয়েছে।
আমি মা’কে সব কিছু খুলে বললাম চন্দ্রর ব্যাপারে,আজকের ব্যাপারে।
মাঃ তুই মাথা ঠান্ডা কর বাবা আমি দেখছি বিষয় টা,তোর বাবাকে বলছি আমি সব।
”
”
”
”
”
”
”
শায়লা বেগম গিয়ে নীলের বাবা ইমতিয়াজ চৌধুরী কে নীলের সব কিছু খুলে বললো।
ইমতিয়াজ সাহেবঃ দেখো শায়লা আমাদের সাথে ওদের যায় না,ওরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ,আমাদের স্ট্যাটাস আর ওদের স্ট্যাটাস এক লেভেলের না,আমি শহরের একজন নামকরা প্রথম সারির শিল্পপতি আর হাবিব সাহেব একজন স্কুল মাস্টার,আমার বড় ছেলের শ্বশুর একজন নামকরা ডাক্তার,বড় বৌমা একজন ডাক্তার,আর ওরা কি??
শায়লা তুমি ভুলে গেছো,আমি আমার বন্ধু সেলিম সাহেব কে কথা দিয়েছি তার মেয়ে সিমিকে নীলের বৌ করে আনবো,সিমি কে তো তুমি দেখেছো।
শায়লাঃ ছেলের ভালোবাসার চাইতে তোমার কাছে তোমার অহংকার বড় হয়ে গেছে???
তোমার ছেলে ওই মেয়েকে ভালোবাসে,শুধু ভালোবাসে না,পাগলের মতো ভালোবাসে,গিয়ে দেখো কি করেছে ওর রুমে,আমার নীল মরে যাবে,তুমি এখানে অন্তত তোমার ব্যবসায়িক হিসাব কর না।
তাছাড়া সিমিকে আমার পছন্দ না,মেয়েটা বেশী মডার্ন,এরকম মেয়েরা সংসারী হয় না,গ্রামের মেয়েরা যেমন হয়,আর তোমার বড় বৌমা,সে কতোক্ষন থাকে বাসায়???
সারাদিন তো আমাকে একা থাকা লাগে,চন্দ্রর মতো একটা মেয়ে বৌ হলে আমার সাথে থাকবে,আমার সময় কেটে যাবে।
আর শুনেছি মেয়েটা নাকি সত্যিই চাঁদের মতো সুন্দরী।
ইমতিয়াজ চৌধুরী নিজেও চন্দ্রকে দেখেছে,চন্দ্রকে তার ও পছন্দ হয়েছে,এখন নীলের যখন এতোই পছন্দ তাহলে আর কি করার মেনে নেওয়া ছাড়া।
ভেবেচিন্তে ইমতিয়াজ সাহেব মত দিলেন,উনি নিজেই যাবেন চন্দ্রদের বাড়ি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
”
”
”
”
”
মা এসে আমাকে কথাটা বলতেই আমার খুশিতে পাগল হয়ে যাওয়ার অবস্থা হলো,বাবা কে মা এত সহজে কনভিন্স করে ফেললো,আমার চন্দ্রকে আমি পেতে যাচ্ছি,আমার আনন্দ দেখে কে।
মা চলে যেতেই শুভ এলো আমার রুমে।
শুভঃ জানো চাচ্চু আজ কি হয়েছে স্কুলে??
আমিঃ কি হয়েছে ৩০ সেকেন্ডে বলে আমার রুম থেকে দূর হ।
শুভঃ আজকে আমি আমাদের ক্লাস টিচার সুমা কে একটা চুমু দিয়েছি,শেষ আমার ৩০ সেকেন্ড ।
শুভর কথা শুনে আমি থ মেরে গেলাম কি বলছে এই ছেলে???
আমিঃ কি বললি তুই এটা,এই শুভ,কি করছিস এটা,তোকে কেউ বকে নি??
শুভঃ আর বলা যাবে না চাচ্চু,৩০ সেকেন্ড সময় দিছিলা সেটা শেষ।
আমিঃ না তোর সময় শেষ না তুই আমাকে বল, তুই কি করছিস এটা,কেনো করেছিস??
ম্যাডাম তোকে কিছু বলে নি??
শুভঃ বলেছে তো,এই যে চিঠি পাঠিয়েছে বাবাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য।
আমিঃ একেবারে উচিৎ কাজ হয়েছে,গিয়ে দে তোর বাবাকে এবার,তারপর স্কুলে গিয়ে যখন তোর বাবা শুনবে যে তুই এই বয়সে ইমরান হাশমি আর হয়েছিস তখন বুঝবি।
শুভঃ চাচ্চু,ইমরান হাশমি কে??
আমি আর ইমরান হাশমির ডিটেইলস শুভকে বলার রিস্ক নিলাম না।
আমিঃ কেউ না ইমরান হাশমি একজন বড় মানুষ,যে সব মেয়েকে সাহায্য করে,অসহায় মেয়েদের অনেক উপকার করে থাকে।
শুভঃ সে যাইহোক চাচ্চু,আগামীকাল আমার সাথে তুমি যাচ্ছো স্কুলে,বাবাকে এই চিঠি আমি দিচ্ছি না।
আমিঃ যা ভাগ এখান থেকে,আমি কেনো যাবো,তোর মা যাবে তোর বাবাকে না নিলে,আমি পারবো না।
শুভঃ চাচ্চু তুমি যদি না যাও,তাহলে আমি এখন বাবাকে গিয়ে সব বলে দিবো,আর এটাও বলবো যে,তুমি আমাকে বলেছো চুমুতে ভিটামিন আছে,তারপর বুঝবা মজা।
আমিঃ এই কি বললি তুই এটা???
শুভঃ সিদ্ধান্ত তোমার হাতে চাচ্চু,কি করবা জলদি বলো আমাকে,আমি কিন্তু দাদুভাই আর বড়বুকে ও বলে দিবো।
শুভ তার দাদা কে দাদুভাই আর দাদীকে বড়বু বলে ডাকে।
আমিঃ ঠিক আছে বাবা ইমরান হাশমি আমিই যাবো কাল তোর স্কুলে,যা এবার তুই এখান থেকে।
শুভঃ আগে আমার ক্যাডবেরি দাও,তারপর যাবো।
আমিঃ তুই যে দিন দিন খুব ভয়ংকর হয়ে উঠছিস তুই জানিস????
শুভঃ এসব বাদ দাও চাচ্চু,চকোলেট দাও নয়তো আমি যাবো না।
ড্রয়ার থেকে শুভর জন্য রাখা চকোলেট বের করে দিলাম শুভকে।
পিচ্চিটা পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখে,সারাদিন আমার পিছনে পড়ে থাকে।
”
”
”
”
”
রাতে খাবার টেবিলে সবাই খেতে বসছি,হঠাৎ করেই শুভ বড় ভাইয়াকে,মানে শুভর বাবাকে জিজ্ঞেস করলো,”আচ্ছা বাবা,তোমার আইডল কে??
ভাইয়াঃ আমার আইডল তোর দাদুভাই।
কিন্তু কেনো???
শুভঃ এমনিতেই।
শুভঃ মা তোমার আইডল কে???
ভাবীঃ আমার আইডল বেগম রোকেয়া।
শুভঃ দাদুভাই তোমার আইডল কে?
বাবাঃ আমার আইডল আমার বাবা।
শুভঃ চাচ্চু,তোমার আইডল কে?
আমিঃ আমার আইডল তোর দাদুভাই।
বাবাঃ তা,আমাদের শুভ বাবুর আইডল কে??
শুভঃ আমার আইডল তোমাদের আইডলের মতো না,এতো ফকিন্নি আর যে সেই আইডল আমি মানি না।
বাবাঃ কাকে মানো তুমি আইডল???
শুভঃ আমার আইডল অসহায় মেয়েদের সহায়,দরদী নেতা,নারীজাতির ভরসার মানুষ ইমরান হাশমি।
শুভর কথা শুনে আমার হাত থেকে পানির গ্লাস পড়ে গেলো,ভাবীর হাত থেকে চামচ পড়ে গেলো,ভাইয়ার গলায় খাবার আটকে গেলো…..
চলবে……..??