ফ্রেম_বন্দী_ভালোবাসা,পর্ব:2,3
সুরাইয়া_আয়াত
রাস্তা দিয়ে একা একা হাটছিলো স্নিগ্ধতা তখন ই দেখলো ওর পাশে এসে একটা চার চাকা গাড়ি থামলো, গাড়িতে থাকা সিয়াম ফিসফিসিয়ে আশফিকে বলল
‘ওই তো মেয়েটা যাচ্ছে, তা মেয়েটাকে কি বেহুশ করে গাড়িতে তুলবো নাকি জ্ঞান থাকা অবস্থায় তুলবো? আমার তো ভয়ে হাত কাপছে।’
আশফি রেগে সিয়াম কে বলল
‘ডাফার, ওই মেয়ের যা তেজ তোর কি মনে হয় যে জ্ঞান থাকতে থাকতে গাড়িতে উঠবে! আমরা ডাকলেই যেন গটগট করে হেটে উঠে পড়বে। অজ্ঞান না করে উপায় নেই তাছাড়া সৌরভ গাড়ি পাঠালো মেয়েটাকে আনার জন্য, ও বাইকে বসুন্ধরা তে গেছে ফিরবে রাত এগারো টার দিকে আর এসে যদি ওই মেয়েকে না দেখে তো তোর আর আমার অবস্হা খারাপ করে দিবে। ‘
সিয়াম একটু সাহস নিয়ে বলল
‘দোস্ত সৌরভ কি মেয়েটার সাথে খারাপ কিছু করবে নাকি? নাহলে এতো রাতে ওর ফ্ল্যাটে ডাকলো কেন? ‘
আশফি দাঁত কিড়কিড় করে বলল
‘চুপ থাক আর কাজের কাজ কর, মেয়েটা বুঝতে পারলে চেঁচামেচি করে লোক জড়ো করলে অবস্থা খারাপ হবে তখন পালানোর রাস্তা পাইবা না মামা, এই নে এই মাস্ক টা পর আর ওই রুমালটাতে ক্লোরোফর্ম নে আর শুরু হয়ে যাও। ‘
সিয়াম বড্ড নারভাস তবুও সৌরভ বলেছে তাই কাজটা করা লাগবেই, তাড়াতাড়ি একটা রুমালে ক্লোরোফর্ম নিয়ে গাড়ি থেকে নামলো। স্নিগ্ধতা আপন খেয়ালে হাটছে, এই রাস্তায় কিডন্যাপিং এর মতো কখনো কোন আপদবিপদ হয়েছে বলে কেও শোনেনি তাই স্নিগ্ধতা বরাবর এই রাস্তা দিয়েই যাই তাছাড়া ওর হেটে বাড়ি পৌছাতেও সুবিধায় হয়। হাটতে হাটতে থেমে গেল স্নিগ্ধতা, মনে হলো কেও ওর সাথে সাথে হাটছে, রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া নেহাত কম চলে তাই দ্রুত হাটলে তার পদধ্বনি উপলব্ধি করা সম্ভব। স্নিগ্ধতা পিছন ঘুরতে যাবে তখনই হঠাৎ কেও পিছনে থেকে ওর মুখটা চেপে ধরলো, খানিকখন তুমুল ছটফটানির পর একটা সময় ও নিস্তেজ হলো আর বেহুশ হয়ে গেল। সিয়াম এখনো ভয় পাচ্ছে, লোকজন দেখে ফেলার আগে ওরা স্নিগ্ধতা কে গাড়িতে ওঠালো। স্নিগ্ধতা ব্যাক সিটে অজ্ঞান অবস্থায় আর আশফি ড্রাইভ করছে, সিয়াম ভয় আর নারভাসনেস কাটাতে সৌরভের নাম্বারে কল করলো কিন্তু ওপাশ থেকে এখনো ফোন রিসিভ করলো না, এভাবে প্রায় বিশ বার কল করে ফেলেছে সৌরভ ওঠাইনি। সিয়াম ভয়ার্ত দৃষ্টিতে একবার স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে বলল
‘সৌরভ মেয়েদেরকে সম্মান করে, আমার মনে হয় না এই মেয়ের সাথে খারাপ কিছু করবে, কি রে তুই কি বলিস। ‘
সিয়ামের এমন কথায় আশফি হাসলো, তা দেখে সিয়াম বিরক্ত হয়ে বলল
‘শালা হাসছিস কেনো?’
আশফি আগের ন্যায় হাতে হাসতে বলল
‘কিছু না। ‘
সিয়াম একটা পর্যায়ে বিরক্ত হলো আর কিছু বললো না। কল আসলো তখন ফোনে মিমের। মিমের নাম্বার দেখে সিয়াম অতিরিক্ত বিরক্তি সহকারে বলল
‘এখন নিশ্চয়ই মিম বলবে ওই মেয়েকে যেন আমরা কিডন্যাপ না করি। কারন মেয়েটার জায়গায় রাতে ওর সৌরভের ফ্ল্যাটে থাকলে ভালো হয় কি না।’
আশফি হাসলো কারন সিয়ামের কথাতে কোন ভুল নেই, যা বলছে একেবারে ঠিক বলছে। মিম সৌরভ কে পছন্দ করে প্রায় কিন্তু সৌরভকে নিজের ফ্রেন্ড হিসাবেই দেখে মিমকে কিন্তু তা মিম তা মানতে নারাজ, আগে আগে সৌরভকে প্রোপোজ অবধি করেছে কিন্তু সৌরভ হ্যাঁ না কিছুই বলেনি যদিও ওর ইশারা না এর দিকেই বেশি যায় তবুও মিম বুঝতে চাইনা। তাছাড়া ভার্সিটি থেকে বেরোনোর পর অলরেডি একবার সে আশফি আর সিয়াম কে ফোন করে বলেছে যেন স্নিগ্ধতা কে ওরা আলাদা কোথাও নিয়ে যায় সৌরভের ফ্ল্যাট অবধি সে না পৌঁছায়। সিয়াম বিরক্ত হয়ে ফোনটা সাইলেন্ট করে রাখতেই আসফি আগের মত হেসে হেসে বললো
‘ তোকে কথা বলতে হবেনা, দে আমার কাছে দে। ‘
সিয়াম বিরক্ত হয়ে ওর ফোনটা আশফি কে দিয়ে দিলেই আশফি মিমকে কল ব্যাক করলো।
‘হ্যাঁ বলো।’
…
‘আমরা মেয়েটাকে নিয়ে সৌরভের ফ্ল্যাটে যাচ্ছি। ‘
…
‘কি্ বলছো কিছু শুনতে পাচ্ছি না, হ্যালো হ্যালো। ‘
কথাটা বলে আশফি ফোনটা কেটে দিলো আর সিয়াম কে হাসতে হাসতে বলল
‘ নে মামা এবার ফোনটা সুইচ অফ করে দে। আর প্যারা নাই।
এত রাতে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে বিরক্ত মাখা কন্ঠে ঘুম ভেঙে উঠে এলেন স্নিগ্ধতার প্রতিবেশী সম্পর্কিত ফুপি আমেনা, দরজার কাছে এগোতে এগোতে বললেন
‘এত রাতে কেডার আমার ঘুম ভাঙানোর ইচ্ছা হইলো রে। মানুষের সুখে খাকতে ভুতের কিলাই।’
স্নিগ্ধতার মা আচল দিয়ে মুখ চেপে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন কিছু বলছেন না , এত রাতে যদি কেউ উনার এমন কান্নার আওয়াজ শুনে ফেলেন তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে , তাছাড়া প্রতিবেশী হিসেবে উনার শত্রুর অভাব নেই। উনি চুপ করে রইলেন আর ক্রমাগত দরজা ধাক্কাতে লাগলেন। আমেনা বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে অপরদিকে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটার ওপর যথেচ্ছ ভাবে কথা শোনানোর পরিক্রমা শুরু করতে গেলেই দরজা খুলে দেখলেন স্নিগ্ধতার মা লিলুফা তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। উনি থেমে থেমে কেঁপে কেঁপে উঠছেন অন্ধকারের মাঝে আমেনা সেটা ভালই বুঝতে পারছে, আমেনা লিলুফার গায়ে হাত দিতেই লিলুফা কেঁপে উঠলেন। আমেনা বুঝলো যে নিশ্চয়ই কোন সমস্যায় রয়েছে তাই আমেনাও ফিসফিসিয়ে বলে উঠলেন
‘ ভাবি কি হয়েছে?তুমি কাঁদতেছো কেন? আর তোমার মেয়ে কোথায়? এতো রাতে যে একা আইলা। ‘
স্নিগ্ধতার কথা শুনে উঠতে লিলুফা কেঁদে ফেললেন আর তারপরে ঘরের ভিতর ঢুকে উনি দরজাটা টেনে আমেনার হাত ধরে ঘরের ভেতর টেনে এনে কাঁদতে কাঁদতে বললেন
‘রাত এগারোটা বাজতে যায় স্নিগ্ধা এখনো ঘরে ফেরে নাই আমেনা, এমনটা কখনো তো হয় না। না জানি মেয়েটা কোথায় গেল আর কোন আপদ বিপদ হলো। একটা ফোন ও তো মেয়েটার কাছে নাই যে মেয়েটাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করবো যে কোথায় আছে। ‘
আমেনা লিলুফার এমন কথা শুনে ভয় পেয়ে বললো
‘ ভাবি আমি তো ভাবতেছি তাই কি ঠিক? সকালে যারা আই ছিলো স্নিগ্ধারে দেখতে ওরা না কইয়া গেছিল যে আমাদের স্নিগ্ধার কোন ক্ষতি করবো, ওরা কি কিছু করছে ? যদি করে ঠিক করে নাই। চলো ভাবি আমরা পুলিশরে জানায়। কিছু একটা করতে হইবো নাহলে মাইয়াডারে ঘরে ফিরোন যাইবো না। ‘
স্নিগ্ধতার মা আমেনা কে থামিয়ে বললেন
‘ না না আমেনা এটা এখন করা যাবে না, জানি মেয়েটা হয়ত বিপদ আপদে পড়েছে, কিন্তু পুলিশ কি এতো রাতে আমাদের সাহায্য করবে বলো? তাছাড়া কোন এমন মানুষ তো পাড়াতে নাই যে আমাদের সাহায্য করবো। পাড়াই বদনাম হয়ে যাবে নিগ্ধার নামে, আর আমাদের এই পাড়াতে থাকতে দিবে না। কালকে সকাল অবধি দেখি যদি স্নিগ্ধতা না ফেরে তো তখন না হয় পুলিশকে বলবো।’
লিলুফা ফুপিয়ে উঠলো, আমেনা ওনার মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন, নিজের ভাতিজা না হলে স্নিগ্ধতা কে ভালোবাসেন উনি নিজের ভাতিজার মতো। মেয়েটার মুখে যেন একটা মায়া লেগে আছে যে মায়ায় পড়ে গেছে আমেনা।
রাত এগারোটা বেজে কুড়ি মিনিট, ঢাকা শহরের জ্যাম ছাড়িয়ে বাসায় ফেরাটা যুদ্ধর থেকে কম কিছু নয়। সৌরভ বাসায় ফিরলো, আট তলা বিল্ডিংটার 4 তলায় থাকে সৌরভ। দরজার তালা খুলে বাসার ভিতরে ঢুকতেই আলোটা জ্বালিয়ে উঠে সৌরভ জুতোটা খুলে নিজের রুমের দিকে ঢুকতে যাবে তখনই দেখল বিছানার উপর একটা মেয়ে শুয়ে আছে, মুখটা চুল দিয়ে ঢাকা সেই কারণে মুখ দেখার উপায় নেই। সারাদিনের কাজে সৌরভের স্নিগ্ধতার কথা মনে নেই আর না মনে আছে সকালে ওর সাথে কি হয়েছিল, তাই ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক যে বিছানার উপর পড়ে থাকা মেয়েটা আসলে কে। কাছে যেতেই মেয়েটা কে তা দেখার জন্য খানিকটা ঝুকে গেল সৌরভ। মেয়েটার মুখ দেখার আগে প্রথমেই চোখে পড়ল হাতের দিকে, হাতে থাকা অ্যাসিডের পোড়া ক্ষত দেখে সৌরভ শিঁউরে উঠলো, বিশ্রি ভাবে পুড়েছে হাতটা, হাতের ভিতরকার লাল মাংস বেরিয়ে এসে সাদা মাংসে পরিণত হয়েছে। সৌরভের শরীরের মাঝে যেন এক প্রকার কাঁপুনি দিয়ে ওঠলো, বুঝতে অসুবিধা হলো না যে মেয়েটা কে। ভার্সিটিতে মেয়েটার মুখটা ও ঠিকঠাক দেখে নি যে কেমন তাই মনে নেই। সৌরভ একবার চোখ বন্ধ করে নিয়ে মেয়েটার দিকে ঘুরে মেয়েটার মুখের দিকে চেয়ে মুখশ্রী বোঝার চেষ্টা করতেই খানিকটা কেপে উঠল নিজের মধ্যে অল্পবিস্তর দ্বিধা বোধ জন্মালো, অবশেষে সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে মুখ থেকে চুলগুলো সরাতেই দেখল স্নিগ্ধতাকে দেখে খানিকটা দূরে ছিটকে সরে গেল, মেয়েটাকে এত কাছ থেকে দেখছে ও। স্নিগ্ধতার দিক থেকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল সৌরভ, শরীর আর মনের মাঝে কি অনুভুতি হলো তা বলতে পারে না তবে মনুষ্যত্ববোধ জন্মালো তাই স্নিগ্ধতার মুখটা একবার দেখি দ্রুত বেরিয়ে গেল রুম থেকে,তারপর ফিরে এলো প্রায় 15 মিনিট পর।
হাতে রয়েছে একটা পুড়ে যাওয়ার মলম আর ব্যান্ডেড, দুর্ভাগ্যবশত বাসায় সেগুলো না থাকার কারণে ওকে আনতে বাইরে যেতে হয়েছে। মলমটা এনে স্নিগ্ধতার পাশে বসলো। মেয়েটার মুখের দিকে তাকাচ্ছে না, স্নিগ্ধতার হাতটা স্পর্শ করে হাতে মলম দিতে গেলেই স্নিগ্ধতা শরীর কেঁপে উঠল জ্বালায়। মলম দিয়ে ব্যান্ডেড করে সৌরভ বিছানা থেকে নেমে গেল তারপর চলে গেল কিচেনে, কফি নামক জিনিসটাই ও একমাত্র ভালো পারে, কফি বানিয়ে ব্যালকনিতে গেল, হাতে রয়েছে ব্ল্যাক কফি। কফিতে চুমুক দিচ্ছে আর সেখান থেকে দেখছে শহরটাকে। এই অল্পবিস্তর জায়গাটুকুতে কতো অলিগলি আর কত বহুতল বাড়ি, লাইটের আলোয় চোখ ধাঁধায়, মায়াবী মনে হয় শহরটাকে, আবার কখনো বা শীতে ঝরে পড়ে শুভ্র রঙের শিউলি আর তার সৌরভে মাতোয়ারা হয় এই ব্যাস্ত শহরের অলিগলি।
কফিটা আর মুখে স্বাদ পাচ্ছে না যে, দুম করে কফিটা মগ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো, কি একটা ভেবে রুমে গেল। খানিকখন পায়চারি করার পর ও মনের অশন্তিটা মিটছে না, আবার এমন বোধ হওয়ার কারন ও বুঝছে না। সৌরভ আড়চোখে স্নিগ্ধতার মুখের দিকে তাকালো। বিরক্ত হলো নিজের ওপরেই।
‘নাহ কোন ভাবেই রাগ আসছে না, সকালের রাগটা এখন মেটাতেই ও স্নিগ্ধতাকে এখানে এনেছে তাহলে এখন কেন রাগ হচ্ছে না ভেবে পাগল হচ্ছে। ‘
পাইচারি থামিয়ে বিরক্তি ভঙ্গিতে বলল
‘সকালে জ্বালিয়েছে এই মেয়ে এখন রাতেও জ্বালাচ্ছে,। কি করা যায় তোমার সাথে তোমার এই বেয়াদপির শাস্তি হিসাবে? আবরার সৌরভের মুখে কোক ফেলা, হাও ডেয়ার সি ইজ। ‘
কথাটা বলে ফোনটা হাতে নিলেই হঠাৎ কি মনে হলো, ফোনের ক্যামেরাটা অন করলো, সৌরভ ভ্রু কুঁচকে বলল
‘রাগ লাগছে তাই এখন কটা সেলফি নিই নিজের যদি রাগটা কমে, মেয়েটা জেগে থাকলে না হয় দুটো থাপ্পড় দিতাম। সিয়াম আর আশফিটাও একটা ডাফার , কে বলেছিল অজ্ঞান করে আনতে। কথাটা বলে নিজের মুখের দিকে ক্যামেরা সেলফি ধরল সৌরভ, ফোনের ক্যামেরায় নিজে সেলফি উঠছে আর পিছনে এক কোণে স্নিগ্ধতার ছবি উঠছে তা দেখে সৌরভ বিরক্ত হয়ে বলল
‘ এই মেয়েটা দেখছি আমার পিছু ছাড়ছে না, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও আমার সেলফিতে আসছে। আবরার সৌরভের মতো একটা হ্যান্ডসাম ছেলেকে দেখে আর হোশ নেই, হাহ! ‘
কথাটা বলেই সৌরভ বেশ কয়েকটা সেলফি নিলো ওর, সেলফি গুলোর এক কোনায় স্নিগ্ধতাকে দেখা যাচ্ছে, বিছানার উপর শুয়ে আছে, মুখটা ও স্পষ্ট। সৌরভ ছবি গুলো দেখে বিরক্ত হয়ে ডিলিট করে দিলো, ফোনটা বিছানার ওপর ছুড়ে ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল, কিছুখন পর একটা সিগারেট ধরিয়ে ঘরে ঢুকে ফোনটা হাতে নিলো, ডিলিট বক্স থেকে ছবি গুলো পুনরায় সেভ করে ঘুরিয়ে পড়লো। হয়তো পরের দিন আবার নতুন কোন হাঙ্গামা হবে আর নিতে হবে তার জন্য প্রস্তুতি।
চলবে,,,