অন্ধকার_পল্লী,Part:১৯,২০
Tabassum_Riana
Part:১৯
অফিস থেকে বেরিয়ে রহমত সাহেবের বাসার রাস্তা ধরে আফিন।এতো দিন অবনীর বাসায় গিয়ে ও ওর সাথে কথা বলতে পারেনি আফিন।অবনী কি বোঝে না আফিন কতো কষ্ট পাচ্ছে অবনীকে ছাড়া?ওর হৃদয়ের হাহাকার গুলো কি অবনীর কান পর্যন্ত পৌছায় না?ও অবনীকে খুব বেশি চায় আকাশ যেমন বৃষ্টিকে চায়,রোয়েন যেমন রুহীকে চায়,জয় যেমন সানা কে চায়,আরিয়ান যেমন প্রীতি কে চায় ঠিক তেমনি আফিন ও অবনীকে খুব বেশি চায়।অবনীর বাসার সামনে গাড়ি পৌছাতেই আফিন কিছুটা অবাক হলো।কালো একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে ওদের বাসার সামনে।আফিন গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো।আর কখনো দেখেনি গাড়িটাকে?কার এটা?কথা গুলি ভাবতে ভাবতে অবনীদের বাসার গেইটে ঢুকে পড়ে আফিন।কলিংবেল দিতেই আফসানা এসে দরজা খুলে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ে।আফসানার এমন দুঃশ্চিন্তার কারন কিছুই বুঝতে পারছেনা আফিন।কি হলো আফসানা? ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো আফিন।
না মানে ভাইয়া আসুন।কিছুটা ভয়ে ভয়ে বলল আফসানা।ঘরে ঢুকেই বিস্ময়ের চরম সীমানায় চলে যায় আফিন।ইসলাম সাহেব বসে আছেন সোফায় আর তার সামনে রহমত সাহেব মাথা নিচু করে বসে আছেন।দরজায় শব্দ হতেই রহমত সাহেব মাথা উঁচু করলো।আফিন বাবা তুমি?
,
,
,
,
এই লোক টা এখানে কেন আঙ্কেল?ইসলাম সাহেবের দিকে দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করলো আফিন।আফিন বাবা ওনার ছেলে মামুনের সাথে অবনীর বিয়ে ঠিক হয়েছে।অবনী ও রাজী।বিয়ের কথায় আফিনের ভিতরের সব কিছু যেন ভেঙ্গে চুড়ে যাচ্ছে।অবনীর রাজী হওয়ায় ওর কপালের রগ খাড়া হয়ে গেলো।হাত জোড়া শক্ত করে মুঠ করে নিলো আফিন।চোখ দুটো লাল হয়ে এসেছে ওর।আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই গম্ভীর গলায় বলল আফিন।
,,,,,,,,,,,,,,,,কথা বলো ঠিক আছে।তার আগে তোমার সাথে কিছু কথা আছে আফিন।সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন রহমত সাহেব।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ঠিক আছে চলুন।বলে রহমত সাহেবের পিছু নিলো আফিন।যাওয়ার সময় পিছনে ফিরে ইসলাম সাহেবের দিকে রাগী চোখে তাকালো আফিন।
ইসলাম সাহেব আফিনের দিকে শয়তানি হাসি দিয়ে রইলো।আফিনকে নিয়ে একটা খালি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন রহমত সাহেব।আফিন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মাথা জ্বলছে ওর।অবনী কি করে গুন্ডাটার সাথে বিয়েতে রাজি হতে পারে? Oboni is only mine!!!!! only mine!!!!only mineকথা গুলো ভাবতে থাকে আফিন।
,,,,,,,,,,,,বাবা জানিনা অবনী কেন এই বিয়েতে রাজি হচ্ছে?কিছুই বুঝতে পারছিনা।ওদের প্রস্তাবটা ও ভালো ঠেকছেনা।আমি ও একজন পুলিশ অফিসার ছিলাম আমার ও অনেক এক্সপেরিয়েন্স আছে।অবনীর মনে কি চলছে বুঝতে পারছিনা।এই দুই সপ্তাহ মেয়েটা কারোর সাথে কথা বলেনি ঠিকমতো।রুম থেকে ও বের হয়নি।বুঝতে পারছিনা ও কি নিজের ইচ্ছায় রাজি হলো নাকি কারোর প্রেসারে এসে।কথা গুলো বলেই খাটের ওপর ধপ করে বসে পড়লেন রহমত সাহেব।
,
,
,
,
আফিন কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে এসে অবনীর রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে দরজা নক করতে থাকে জোরে জোরে।অবনী!!!অবনী প্লিজ দরজা খুলো। অবনী!!!! প্লিজ ওপেন দা ডোর ড্যাম ইট!!!!!!অবনী দরজা যদি না খুলেছো খুব খারাপ হয়ে যাবে I swear!!! চিৎকার করে বলতে থাকে আফিন।আফিন প্লিজ গেট আউট!!আপনার সাথে কোন কথা বলতে চাইনা।প্লিজ চলে যান,,,অপর পাশ থেকে চিৎকার করে বলছিল অবনী।না আমি যাবো না।কি পেয়েছো টা কি তুমি?জানোনা ভালোবাসি তোমায়?অবনী এই বিয়ে করতে পারোনা তুমি।চিৎকার করে বলছিলো আর দরজা ধাক্কাচ্ছিলো আফিন।আফিন আপনার সাথে আমার যাই ছিলো সব শেষ।এখন আমি আপনার কেউ না আপনি ও আমার কেউ না।বের হয়ে যান!!!আপনার চেহারা দেখতে চাইনা আমি!!!বলেই চুপ হয়ে গেলো অবনী।থমকে গেলো আফিন।এই কি শুনছে সে?অবনী ওর চেহারা দেখতে চায় না?ভাবতেই মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে আফিনের।সোফার ওপর বসে থাকা ইসলাম সাহেব শয়তানি হাসি দিয়ে আফিনকে চলে যেতে ইশারা করলো।আফিন ইসলাম সাহেবের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
আফিন চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর অবনী বেরিয়ে এলো রুম থেকে।ওর চোখ জোড়া লাল হয়ে আছে।রহমত সাহেব আমেনা বেগম আর আফসানা ওর দিকে অবাক চোখে চেয়ে আছে।আমার আর মামুনের বিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই হবে।বলেই ভিতরে ঢুকে গেলো অবনী।
,
,
,
,
ইসলাম সাহেব খুশি মনে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে।সেদিন রাতে আর ঘুমোতে পারেনি আফিন।সারাটা রাত একটা অজানা অস্থিরতার মাঝেই কেঁটে গেলো।অফিস থেকে বেরিয়ে অবনীর কলেজের গেটের সামনে গাড়ি নিয়ে বসে আফিন। কিছুক্ষন পর অবনীকে গেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেলো।অবনীর চেহারার মাধুর্যতা হারিয়ে গেছে।বাসে উঠতে নিবে ঠিক তখনই কে যেন হাত টেনে ধরলো অবনীর।গাড়ির সামনে এনে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে দিলো আফিন অবনীকে।রাগী চোখে আফিনকে দেখছে অবনী।আফিন গাড়ীতে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো।গাড়ি থামান!!!আমি নামবো!!!চিৎকার করে বলল অবনী।
আফিন চুপচাপ গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। আরে থামান বলছি স্টিয়ারিং ধরে টানা টানি করতে লাগলো অবনী।অবনীকে হালকা ধাক্কা দিয়ে সরালো আফিন।তোমার সাথে কথা আছে আমার।বলে উঠলো আফিন।আপনার সাথে কোন কথা নেই আমার। চিৎকার করে বলল অবনী।আফিন অবনীর কোন কথায় কান দিলোনা।শেষমেষ গাড়ি থামলো একটা লেকের সামনে।আফিন গাড়ি থেকে নেমে অবনীর হাত জোরে ধরে নামিয়ে লেকের কাছে আনলো।কেন এমন করছো?অবনীর হাত জোরে ধরে বলল আফিন।কি করছি আমি?হাত ছাড়াতে চেষ্টা করতে করতে বলল অবনী।মামুনকে কেন বিয়ে করছো?এতো দিন তোমার সাথে যা হয়েছিলো সে সব মামুন করিয়ে ছিলো।তারপর ও কেন বিয়ে করছো ওকে?চিৎকার করে বলল আফিন।আমার ইচ্ছা যাকে বিয়ে করবো আমি।আর কখনো আমার সামনে আসবেননা।আই হেট ইউ।বলে বেরিয়ে গেলো অবনী।
চলবে
#অন্ধকার_পল্লী
#Tabassum_Riana
Part:২০
,
,
,
,
এভাবে আরো কয়েকটা দিন চলে গেলো।আফিন অবনীর সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করতে থাকে।কিন্তু অবনীর থেকে তেমন পাত্তা পায়নি।এদিকে অবনী আর মামুনের বিয়ের সময় ও এগিয়ে আসছে।রহমত সাহেব আমেনা বেগম মিলে মেয়েকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছে মামুনের সাথে বিয়েতে না করার জন্য।কিন্তু অবনী নিজের সিদ্ধান্তেই অটল।আজ অবনী আর মামুনের বিয়ে।দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে আফসানার ঘ্যানঘ্যানানি শুরু হয়ে গেছে।খাবার সেড়ে অবনীকে পার্লারে যাওয়ার জন্য পাগল করছে।আপি প্লিজ চল না!!মানুষের জীবনে বিয়ে একবারই হয়।প্লিজ অন্তত বিয়ের সাজটা পার্লার থেকে সেজে আয় না আপি?অন্তত আমার জন্য প্লিজ।কথা গুলো বলে ও বোনের মন গলাতে পারলোনা আফসানা।তারপর ও হাল ছাড়েনি ও।আপি তুই আমার বড় বোন একটা মাত্র বোন আমার।খুব স্বপ্ন ছিলো তোর বিয়েতে পার্লার থেকে সাজবো অনেক মজা করবো নাচবো সিলেক্ট করা কোন গানে।কিন্তু তুই তো সাধারন ভাবে বিয়ে করছিস।গান হচ্ছে না কোন নাচ।আমার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো।কোন স্বপ্নই পূরন হবার নয় মন বলেই খারাপ করে নিলো আফসানা।ধ্যাত তোকে এসব বলে কি লাভ।আমি যাই আম্মার কাছে অন্তত আম্মা কিছু হলে ও আমার কষ্টটা বুঝবে।কথাটা বলে খাট থেকে নেমে দরজার দিকে এগোলো আফসানা।
,
,
,
,
যা রেডি হয়ে নে।বলে উঠলো অবনী।বোনের কথায় থমকে গেলো আফসানা।পিছনে ফিরে অবনীর দিকে তাকালো ও।জি?কি বললি?অবাক চোখে অবনীকে জিজ্ঞেস করে উঠলো আফসানা।বললাম রেডি হয়ে নে।বলে আর দেরি করলোনা অবনী খাট থেকে নেমে ওয়াশরুমের দিকে পা বাঁড়ালো। অবনী ঝটপট রেডি হয়ে নিলো।বিয়েতে যে লেহেঙ্গাটা পরবে সেটা আর অবনীর বিয়ের শাড়ীটা শপিং ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলো আফসানা।মেয়েটাকে আবার বুঝাও।আমার মন একেবারেই টানছেনা এই বিয়েতে।মেয়েটা এমন জেদ্ ধরে বসে আছে।কিছু বলতে ও পারছিনা।স্বামীর পাশে বসে বলতে লাগলেন আমেনা বেগম।তোমার কি মনে হয় আমি কি বিয়েতে খুব খুশি? মামুনের কারনে কতো বাজে কথা শুনতে হয়েছে আমাদের অবনীকে।আর সেই মামুনকেই ও বিয়ে করার জন্য জেদ ধরেছে।বুঝতে পারছিনা মেয়েটার মনে কি চলছে?ওকে কি জোর করে বিয়ের জন্য রাজি করানো হয়েছে নাকি,,,,,,,,,,,,,বাবা!!!!!দরজার অপরপাশ থেকে ডেকে উঠলো অবনী।মেয়ের ডাকে থেমে গেলেন রহমত সাহেব।জি মা!!এদিকে আয়,,কিছু বলবি?বলে উঠলেন রহমত সাহেব।না মানে বলছিলাম আফসানা জোর করছে পার্লারে সাজবে। তাই ওকে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
,
,
,
,
ওহ হ্যা ভালো তো।যা মা সেজে আয়।বলে আলামারি খুলে মেয়ের হাতে কিছু টাকা তুলে দিলেন রহমত সাহেব।অবনী টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেলো।আমেনা বেগমের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন রহমত সাহেব।চোখের কোনা জ্বলজ্বল করে উঠলো।পার্লারে দুবোন সাজলো।অবনীর সৌন্দর্য আজ চাঁদকে ও হার মানাবে।আজ এত বড় একটা দিনে অবনীর মুখে কোন হাসি নেই।(পরীর মতো লাগছে আপনাকে।সেটাকি জানেন আপনি?)আফিনের কথাটা মনে আসতেই দাঁড়ানো থেকে ধপ করে বসে পড়লো অবনী।বুকে হাত চেপে বসে আছে।আপি আর ইউ ওকে?বোনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো আফসানা।হুম,,,,, চল বের হই।বলেই আফসানাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো পার্লার থেকে।রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছে আফসানা আর অবনী।হঠাৎ চোখের পলক ফেলার আগেই কালো একটা মাইক্রো এসে অবনীকে তুলে নিয়ে গেলো।আপি!!!আপি!!!!!চিৎকার করতে লাগলো আফসানা।কিন্তু অবনী আর ফিরে এলোনা।আফসানা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
চোখ খুলল অবনী।বড় জ্বালা করছে চোখ জোড়া।পুরো অন্ধকার একটা রুমে আছে ও।নড়তেই খেয়াল করলো ওর হাত বাঁধা চেয়ারের সাথে।কেউ আছে এখানে?আমি কই?প্লিজ কেউ তো কথা বলুন।কে আমাকে এনেছেন? প্লিজ সাড়া দিন।চিৎকার করে ডাকতে লাগলো অবনী।
,
,
,
,
রহমত সাহেবের বাসায় মামুন আর ওর বাবা মা বসে আছে।আশেপাশের প্রতিবেশীদের ফিসফিসানি আওয়াজ।বিয়ের দিন মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে।আফসানা মাথা নিচু করে সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।কখন হলো এসব?চিৎকার করে প্রশ্ন করলো মামুন।পার্লার থেকে বের হতেই কে জানি আপুকে নিয়ে গেলো।মাথা নিচু করে বলছিলো আফসানা।মামুন আর ইসলাম সাহেব রহমত সাহেবকে ইচ্ছে মতো শাঁসিয়ে বেরিয়ে গেলো।
হঠাৎ একছটাক আলো অবনীর চোখে এসে লাগলো।আলোটা ক্রমশ বড় হচ্ছে।অবনী দেখার চেষ্টা করছে।কি হচ্ছে আসলে।হঠাৎ কে যেন লাইট জ্বালালো।অবনী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ছায়া মুর্তির দিকে।আফিন অবনীর সামনে এসে বসলো।আফিন আপনি কেন এখানে এনেছেন আমাকে?দিয়ে আসুন।আজ আমার বিয়ে।আমাকে ঐখানে যেতে হবে।প্লিজ যেতে দিন।লিসেন বিয়ে তোমার হবে তবে আমার সাথে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,আমি আপনাকে বিয়ে করবোনা।মামিনকেই বিয়ে করবো আমি।বলে উঠলো অবনী।
অবনীর কথায় ভীষন রাগ হয় অাফিনের।জোরে চড় বসিয়ে দিলো আফিন অবনীর গালে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,এতো মাস ধরে আমি তোমাকে ভালোবাসছি,এতোমাস ধরে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি।আর এখন হুট করে তুমি মামুনকে বিয়ে করার জন্য নাচবা এমনটাতো হবেনা।গালে হাত দিয়ে আফিনের দিকে তাকিয়েছিলো এতোক্ষন অবনী।আফিনের কথা শেষ হতেই অবনী বলল আমাকে বিয়ে করবেন ভালো কথা কিন্তু জেনে রাখুন কখনো আপনাকে স্বামী মানতে পারবোনা, কাছে আসতে দিবোনা আপনাকে,স্বামীর কোন অধিকার ও পাবেননা আপনি।
,,,,,,,,,,,,,,,দেখো তোমার শরীরের প্রতি লোভ নেই আমার।যদি থাকতো ঐ দুটো দিন যখন আমার বাংলোতে আমার সাথে তুমি ছিলা।তখনই এসব করতে পারতাম।এমন অনেক সুযোগ ছিলো আমার হাতে।দুবার তোমার অনেক কাছে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু ভালোবাসাকে সম্মান করি বলে সেদিন কিছু করিনি তোমার সাথে।কারন তোমাকে বিয়ে করেই আপন করেনেয়ার ইচ্ছা আমার।বিয়ের পর শরীয়ত মোতাবেক আমার বৌ হবা তুমি।এটাআমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।আমার আশেপাশে তুমি থাকলেই চলবে।যদি চাও সারাজীবন এভাবেই থাকবো আমরা।
,
,
,
,
অবনীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে কোলে তুলে নিলো আফিন।অবনীকে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে নিজ হাতে ওর মুখ হাত ধুইয়ে দিলো আফিন।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে অবনীকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে এলো আফিন।কাজী সাহেব বসে আছে।সেখানে অন্তরা আর আফিনের দুজন ফ্রেন্ড বসে আছে।অবনী অবাক হয়ে অন্তরা কে দেখছে।অবনীকে জোর করে সোফায় বসিয়ে ওর পাশে বসলো আফিন।
,,,,,,,,, বিয়ে করবোনা আপনাকে। বলে উঠলো অবনী।
,,,,,,,,,,,,ওকে।তুমি জানো পুলিশদের সাথে আমার সম্পর্ক কেমন।তোমার বাবা একজন রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার।তার পেনশনের টাকা দিয়ে তোমাদের সংসার আর আফসানার পড়াশুনার খরচ চলে।আমি চাইলে পেনশনের টাকা বন্ধ করাতে পারি।তখন দেখবো তোমার বোনের পড়াশুমা কেমন করে চলে আমার তোমার বাবা মা বুড়ো বয়সে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটবে।এখন ডিসিশন তোমার হাতে বিয়ে করবে নাকি আফসানার পড়াশুনা অফ করবে?তোমার বাবা মার এমন দুরবস্থা নিশ্চিত সহ্য হবে না তোমার।এক নাগাড়ে কথা গুলো বলল আফিন।আফিনের কথা শুনে ওর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে অবনী।আফিন থেকে চোখ সরিয়ে মাথা নিচু করলো অবনী।বিয়ে করবো বলে উঠলো অবনী।আফিনের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো।অতঃপর আফিন অবনীকে নিজের করে নিলো।বিয়ে হয়ে গেলো ওদের।
চলবে