নিশি_রাতের_ডাক,পর্ব ১৭,১৮
সুমাইয়া_আক্তার
পর্ব ১৭
জয় হাসতে হাসতে বলল,,,ফাহমিন যা বলছে তাই সত্যি…তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই…আমরা তোমাদের ক্ষতি করতে আসিনি…..
রিদিতা আমার জামা খামচি দিয়ে ধরে রেখেছে…. সবাই স্বমস্বরে বলে উঠলো,,,আমরা মানে???আরো ভূত আছে নাকি???
আমি হাসতে হাসতে বললাম… হুম আছে তো… অপেক্ষা কর…এক্ষুণি দেখতে পারবি….
তারপর ধীরে ধীরে আশিক স্যার, নিশিতা,আয়েশা,রুশা,ফারিন,তানিয়া, সামান্তা দেখা দিতে শুরু করলো…ওদের দেখেই শুধু অনন্যা ছাড়া সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে…অনন্যাও দাঁড়িয়ে প্রচুর কাঁপছে… এই বুঝি এক্ষুণি অজ্ঞান হয়ে পড়বে….
আমি অনন্যার পাশে গিয়ে অনন্যা কে ধরে বিছানায় বসালাম….সায়মা,রিদিতা,নাফিসার চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিলাম…ওরা সবাই চোখ পিট পিট করে তাকাচ্ছে আমার দিকে…
আমি ওদের ধরে বিছানায় বসালাম…তারপর শান্ত গলায় সব কথা বুঝিয়ে বললাম…রিদিতা একটা বড় নিঃশ্বাস ফেলে বলল,,তাহলে তোর সাথে এতোদিন যা হচ্ছিলো সব ই সত্যি??
হুম.. তবে আমাদের মিশন আজ থেকে শুরু…আমার মামার বিরুদ্ধে তোরা সবাই মিলে প্রমাণ খোজা শুরু কর….
তখন শুভ বলে উঠলো প্রমাণ দিয়ে কি হবে???কি ভাবছো তুমি??তুমি প্রমাণ জোগাড় করে পুলিশের কাছে যাবে আর পুলিশ তোমার মামাকে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে ঢুকাবে তাই
তো??এইসব চিন্তা বাদ দেও যা করার আমরাই করব…আর এ কাজে সাহায্য করবে তোমরা সবাই…কথা কি ক্লিয়ার না ভেজাল আছে????
আমরা সবাই স্বজোরে হেসে উঠলাম….তারপর মিটিং শুরু হলো কিভাবে কি করব???আমাদের প্ল্যান শেষ…কার কি কাজ সব বলে দেওয়া হয়েছে…মিটিং শেষে সবাই যে যার যার মতো চলে গেলো….
আমরাও শুয়ে পড়লাম…কিন্তু ঘুম আসছে না কোনমতে… জয়ের কাছে যেতে ইচ্ছে করছে খুব….ইদানিং জয়ের জন্য মন যেন কেমন উড়ু উড়ু করে…এপাশ ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছি…
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে ক্লাসে চলে গেলাম…আজ অনেক দিন পর ক্লাস করছি….তাই ক্লাসে মন বসছে না…স্যার ক্লাস করাচ্ছেন আর আমি জয় কে নিয়ে ভেবে যাচ্ছি….হঠাৎ দেখি জয় আমার পাশে বসা…আমি জয়কে দেখেই চিৎকার দিয়ে বলি,,,তুমি এখানে???এখানে কেন এসেছো???
ক্লাসের উপস্থিত সবাই হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে….আমি জিহবায় কামড় দিয়ে বললাম,,,সরি স্যার…
কেউ আমার এই কাজের মানে বুঝলো না…এদিকে জয় উচ্চস্বরে হেসেই চলেছে…আর এত রাগ হচ্ছে বলার বাহিরে… ইচ্ছা করছে জয়কে গিয়ে ঠাস করে কয়টা থাপ্পড় দিয়ে আসি…কিন্তু চিন্তা টা মাটি চাপা দিলাম…চুপ চাপ ক্লাস শেষ করলাম…
টিফিন টাইম এখন…সবাই খেতে গেলাম…এবার ও জয় আমার পিছু পিছু গিয়েছে… আমি খেতেও পারছিনা জয়ের জন্য…অপলক তাকিয়ে আছে আমার দিকে…কেউ এভাবে তাকিয়ে থাকলে কি খাওয়া যায় বলেন??? উফ এই জয় কে নিয়ে আর পারিনা…. কোনমতে খাওয়া শেষ করে উঠে গেলাম…
জয় কে ধমক দিয়ে বললাম,,,,এই তোমার সমস্যা কি বলো তো???আমার পিছু পিছু আসছো কেন??? তুমি জানো এখানে সবাই আছে চাইলেও কথা বলতে পারব না…তুমি এখন যাও প্লিজ..
জয় আমার কথার উত্তর না দিয়েই চলে গেলো…ইশ জয় কে ধমক দিয়ে এখন নিজের ই খারাপ লাগছে…টিফিনের পর আর ক্লাস করতে যাইনি… রুমে এসে শুয়ে আছি…ভালো লাগছে না…জয় আসুক তারপর না হয় সরি বলে দিব…
আমাকে ক্লাসে না দেখে রিদিতা, সায়মা আর নাফিসা এসে আমাকে দেখে গেছে…
রিদিতা এসে বলছে,,, কিরে তোর কি শরীর খারাপ?? ক্লাসে যাস নি কেন??
আসলে অনেক দিন ক্লাস করা হয়নি তাই আর কি ক্লাসে মন বসছে না…কাল থেকে ক্লাস করবো…তোরা ক্লাস কর…
তখন সায়মা চোখ টিপ্পনি দিয়ে বলল,,,ওহো বুঝেছি জয় ভাইয়া বুঝি এখানেই আছে??ওক্কে সমস্যা নেই তোরা রোমান্স কর আমার বরং ক্লাসে যাই…
রিদিতা আর নাফিসাও হো হো করে হেসে উঠলো…
এই যাবি তোরা??তোরা এমনিতেও এক লাইন বেশি বুঝিস…যাহ ভাগ…
ওরা চলে গেলে মনে মনে জয়কে অনেকবার ডাকতে লাগলাম… কিন্তু না জয় এলো না…এবার আমি ফ্যাচ করে কেদেই ফেললাম…কেঁদে কেঁদে বলছি,,,, জয় তুমি কোথায়??? আমার ভুল হয়ে গেছে…মাফ করে দেও প্লিজ…আর এমন করবো না….
জয় এসে আমার পাশে এসে বসলো…আমি জয়কে ধরেই কান্না জুড়ে দেই…জয় হাসতে হাসতে বলে,,, এই পাগলী কান্না করছ কেন??আমি কিছু মনে করিনি…আমি তোমার পাশেই ছিলাম…আর কান্না করতে হবেনা…
এখন শুয়ে আরাম করো…আমি আসছি….
না তুমি থাকো এখানে…আমার একা একা ভালো লাগছে না…তুমি থাকলে ভালো লাগবে…
না পাগলী…আমি থাকলে তোমার বান্ধুবীরা কি মনে করবে বলো???তুমি আরাম করো… আমি আবার কাল সকালে আসবো…
জয় চলে যেতেই ঘুমিয়ে পড়েছি আমি…বিকাল 5টায় ঘুম ভাঙ্গে আমার…রিদিতা এসে ডেকে তুলেছে…কিরে আজ কি হয়েছে তোর???শরীর খারাপ হয় নি তো তোর???
আরে না কিছু হয় নি…গতকাল রাতে ভালো ঘুম হয় নি…তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম…
আচ্ছা তো তোর আশিক কোথায়??তাকে দেখছি না কেন???ঝগড়া করেছিস নাকি??
ধুর ঝগড়া করব কেন??ওর ইচ্ছা হলেই আসবে…এত জ্বালাচ্ছিস কেন বলতো???
বাব্বাহ মহারাণী দেখি রেগে গেছে…জয় বেচে থাকতে তোদের প্রেম হলো না…আর এখন সেই ভূতের সাথেই প্রেম করছিস…কি ভাগ্য রে তোর…
উফ তুই যাবি??? না মার খাবি???
হু যাচ্ছি…
আমি ফ্রেশ হয়ে ক্যান্টিনে গেলাম নাস্তা করতে… নাস্তা সেরে এসে… বই নিয়ে বসলাম… মাথা ব্যথা করছে…আবার বই রেখে বাহিরে গেলাম…আজ হালকা বাতাস আছে আর শীত ও লাগছে…উফ আবার ও ভুলে গেছি শাল আনতে…শাল আনতে যাবো তখনি জয় বলে উঠলো,,,এই যে মহারাণী.. নিন আপনার শাল…নিজের যত্ন করতে তো শিখো…আমি তো কয়দিন পর ই চলে যাবো…তখন কে খেয়াল রাখবে তোমার??
উহু…এত কথা বলো কেন??চুপ করে থাকবে… আর চলে যাওয়ার কথা বললে কিন্তু মেরেই ফেলব…
আমাকে আর কি মারবে বলো??? আমি তো মৃতই….আচ্ছা এখানে থাকার দরকার নেই যাও রুমে যাও…
আমি জয়ের কথামতো রুমে চলে আসি…হঠাৎ মায়ের ফোনের কথা মনে পড়লো…ব্যাগ থেকে ফোন টা বের করলাম…রাত ন টা বাজতে চলল…হোস্টেলে রাত দশটার পর রুমের বাহিরে যাওয়া নিষেধ…
পানির বোতল নিয়ে আর সাথে ফোন টা হাতে নিয়ে ক্যান্টিনে গেলাম….ক্যান্টিনের পাশেই কমন রুম…মনে হলো কমন রুমে কেউ আছে…রুমে আলো জ্বলছে..আর কারো কথার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে…
আমি ধীরে ধীরে কমন রুমের দিকে গেলাম…আমি দরজা হালকা ধাক্কা দিলাম…দরজা খুলতেই আমি যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না….
(চলবে)
#নিশি_রাতের_ডাক
#পর্ব ১৮
#সুমাইয়া_আক্তার
দরজা খুলতেই দেখলাম,,,আমার মামা আর আমাদের বাংলা ম্যাম স্নিগ্ধা নগ্ন অবস্থায়… ছিঃ একি দেখলাম আমি!!! আমি দ্রুত চোখ বন্ধ করে ফেলি… দ্রুত পায়ে হেটে চলে আসতেই আবার থমকে দাঁড়ালাম….
সাথে তো ফোন আছে কিছু প্রমাণ রাখলে ভালো হয়…আমি দরজার ফাকা দিয়ে ফোনের ক্যামেরা অন করে ভিডিও করছিলাম…ভিডিও করা শেষে চলে আসবো এমন সময় আমার হাত থেকে পানির বোতল পড়ে যায়….ভয়ে কাপতে থাকি আমি…ধরা খেলে শেষ হয়ে যাবো আমি…উফ কি যে করি আমি…???আমি পানির বোতল রেখেই দৌড়ে রুমে চলে আসি…রুমে এসেই ঠাস করে দরজা লাগিয়ে বিছানায় ধপ করে বসে পড়ি…হাপাতে হাপাতে অনন্যা কে ফোন টা দিয়ে বললাম,,,আমাকে পানি দে…
এক নিঃশ্বাসে এক বোতল পানি শেষ করলাম…ওরা সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে বসে আছে…নাফিসা বলে উঠলো,,,এই তুই না পানি আনতে গিয়েছিলি???তোর পানির বোতল কই???আর এভাবে হাপাচ্ছিস কেন???
আমি দম ফেলে অনন্যার হাত থেকে ফোন নিয়ে মামার সেই ভিডিও টা দেখালাম….ওরা সবাই ভিডিও টা দেখে একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলো…
অনন্যা বলে উঠলো,,,ছি আমাদের স্নিগ্ধা ম্যাম এত টা নিচু কখনো ভাবতে পারিনি… আমি ও লজ্জায় মাথা টা উঠাতে পারছিলাম না…আর মামা কেও এসব দেখাতেও পারবো না…আমার মাথা কাজ করছে না…একটা মানুষ এত খারাপ হয় কিভাবে???
সেদিন রাতে আর ঘুম হলো না….তাই ফোন হাতে নিয়ে গেম খেলতে থাকলাম…কতক্ষন গেম খেলে ফোন রেখে দিয়েছি…না তাও ঘুম আসছে না…সারা রাত জেগেই কাটালাম…..আর মামার কথা ভাবতে লাগলাম…না আর ভাবতে পারছিনা…মামা আর স্নিগ্ধা ম্যাম এর কথা মনে পড়তেই গা ঘিন ঘিন করে উঠছে…
সকাল ছ টায় বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম…ফ্রেশ হয়ে এসে ক্যান্টিনে নাস্তা করতে গেলাম….নাস্তা করছি আর কাল রাতে ঘটে যাওয়া কথাগুলো ভাবছি….
আমার চিন্তায় ধাক্কা দিয়ে অনন্যা বলে উঠলো,,,এই ফাহমিন তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ কর…ক্লাসে যেতে হবে…আজ প্রথমেই বাংলা ক্লাস…কিন্তু ইচ্ছা করছে না ক্লাসে যেতে….
খাওয়া শেষ করে ক্লাসে গেলাম…স্নিগ্ধা ম্যামের দিকে তাকাতেই গা জ্বলে উঠছে…অসহ্য লাগছে…পুরো ক্লাসে আমরা কেউ ই মন দিতে পারলাম না…
ক্লাস শেষ করে আজ সবাই রুমেই বসে আছি…আজ আয়েশা,সামান্থা,রুশা, ফারিন, তানিয়া মিলে আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম…এই আড্ডায় একটাই পার্থক্য আগে জীবিত থাকতে সবাই আড্ডা দিতাম আর আজ মৃত মানবী দের সাথে আড্ডা দিচ্ছি…দুনিয়া টা আসলেই অদ্ভুত…..
আমি আড্ডার মাঝখানে রুম থেকে বের হয়ে আসি…মন টা খুব খারাপ লাগছে…হঠাৎ কে যেন পিছন থেকে আমার চোখ ধরে রেখেছে…জয় ছাড়া আর কেউ ই না…আমি হাসতে হাসতে বলি,,,জয় তুমিই এসেছো সেটা আমি ভালো করেই জানি….আমার সামনে এসো….
জয় ও মুচকি হাসি দিয়ে বলল,,,কি করে বুঝো যে আমি এসেছি???
এইটা ভালোবাসা রাজা মশাই…তুমি বুঝবে না…
হু তুমিই তো ভালোবাসা বুঝো তাই না!!!আচ্ছা শুনো রুমে চলো কথা আছে….
জয়ের কথামতো রুমে চলে গেলাম…আশিক স্যার আর নিশিতা ও আছে রুমে…আশিক স্যার বলে উঠলো…এবার প্রতিশোধ নেওয়ার সময় এসেছে…সবার আগে মরতে হবে ওই পুলিশ কু**বাচ্চা টাকে…..
এখন শোন কিভাবে কি করতে হবে???পুলিশ টা কে জয় নিয়ে আসবে কিন্তু অন্য রূপে…আমি সব ভেবে রেখেছি…যা হবার কাল হবে…আর সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে…
আমি ভয় পেয়ে বললাম…না আমি পারবো না থাকতে…সহ্য করতে পারবো না আমি এসব….আমার খুব ভয় করছে…
তখন জয় বলে উঠলো….আচ্ছা তোমাকে থাকতে হবে না…তুমি রুমেই থেকো….আর কাল রাতেই ওকে খুন করব আমরা…আমাদের সাথে কে কে থাকতে চাও????
তখন অনন্যা,সায়মা আর নাফিসা বলে উঠলো আমরা থাকবো….দেখতে হবে তো শয়তান টার কস্ট…ওদের কস্ট পেতে দেখলে আমরা শান্তি পাবো…আর কেউ না পারুক ওকে শাস্তি দিতে…আপনারা ওকে শাস্তি দিতে পারবেন এতেই খুব খুশি লাগছে…ওর মতো জানোয়ারগুলো কে এভাবেই মরতে হবে….
আমরা অপেক্ষায় রইলাম কিভাবে কি হবে????আমার খুব ভয় কাজ করছে….আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে…
তারপরের দিন রাতে জয় রহিম স্যারের রূপ নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছে….পুলিশের কাছে গিয়ে বলেছে,,,,স্যার আপনি তাড়াতাড়ি চলুন…রিটন স্যার আপনাকে জরুরি তলব করেছে…
আচ্ছা,, চলুন….
জয় মানে রহিম স্যার,,, পুলিশ কে হোস্টেলের পাশের পুকুর টায় নিয়ে গেছে…. আমি আর রিদিতা রুমে বসে উশখুশ করছি…কি জানি কি হচ্ছে ওখানে???আমি হা পা কচলাতে কচলাতে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম… পায়চারি করছি আমি…পুরো শরীর কাঁপছে আমার…আমি কাপা কাপা গলায় রিদিতা কে বললাম,,,চল রিদিতা আমরা যাবো ওখানে…রিদিতা কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে টেনে নিয়ে গেলাম….
আমরা ধীরে ধীরে পুকুর পাড়ের সামনে এসে দাঁড়ালাম… ওদের থেকে অনেক দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছি আমরা….দূর থেকে সব দেখছি…জয় ধীরে ধীরে রহিম স্যারের রূপ থেকে নিজের রূপে ফিরে এসেছে…
আশিক স্যার, নিশিতা,আয়েশা, সামান্তা,রুশা,ফারিন,তানিয়া, জয় সবাই উপস্থিত আছে….পুলিশ ওদের সবাইকে দেখে ভয়ে কাপতে থাকে…কাঁপতে কাঁপতে হিসু করে দেয়….কাপা গলায় বলে,,,,তোমরা এখানে কেন???তোমরা তো মারা গেছো….
তখন আশিক স্যার বলে উঠলো,,,তোদের সবাই কে মারতে এসেছি…তোদের মেরে আমরা এখান থেকে যাবো…
আশিক স্যার এক হাত দিয়ে পুলিশের গলায় চেপে ধরে…. তারপর আশিক স্যারের চেহারা এত বিভৎস হয়ে যায়…আমি চিৎকার দিয়ে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই….
(চলবে)