চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_8
writer_মো_রাশেদ
আমিঃ একটু তো কষ্ট হবেই কারন কখনো তো তুমি করে বলি নাই।
রাইসাঃ okkk…চেষ্টা করো,,,,
কিন্তু তুমি করেই কিন্তু বলতে হবে বলে এই বলে দিলাম।
আমিঃ আচ্ছা।
–
–
–
ওঁকে খাইয়ে দিয়ে প্লেট টা নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
আর ও বললো তারা তারি আসতে।
আমি রুম থেকে বের হতেই আম্মু বললো।
–
–
–
আম্মুঃ কি খেয়েছে।
আমিঃ হুম খেয়েছে।
তার পর আব্বু বললঃ আর কোনো দিন যদি ওকে বকা দিছোস।
বা ওর গায়ে হাত তুলছোস।
তো তোর খবর আছে।
আমিঃ ওকে (মাথা নিচু করে বললাম)
আব্বুঃ মনে থাকে যেন।
আব্বুঃ যা রাইসার কাছে কিছুখন থাক পরে বাসায় আসিছ।
আমিঃ না আমি এখন বাসায় যাবো।
রাইসাঃ কি,,,,কি বললা।😬
–
–
(আমি মনে হয় আজকেই শেষ।
রাইসা এসে সব কিছু শুনে ফেলেছে।
ও যে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল আমি তো দেখিই নাই।)
–
–
আমিঃ না না না মানে শরীরটা যেন কেমন লাগছে।
রাইসাঃ কেমন লাগছে তাই না তুই আমাকে কি বললি।😡
আমিঃ কই।
রাইসাঃ তুই কোথায় যাবি বাসায় যাবি না।
তুই আমাকে কি বলছিলিস খাওয়ানোর আগে।
আর এখন কি করছিস।
আমিঃ না মানে আমি ঘুমাবো।
রাইসাঃ চল তুই আমার রুমে ঘুমাবি তাও তোকে ছাড়ছি না। (রাইসা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল)
আমিঃ না কালকে সকালে আসবো নি।
রাইসাঃ আম্মু ওকে বলো আমার সাথে যাইতে না হলে কিন্তু আমি।😭
আম্মুঃ রাশেদ যা পরে বাসায় আছিস।
–
–
বলার সাথে সাথে আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।
রুমে আমাকে খাটের উপর বসিয়ে বলতেছে।
–
আমাকে কি একটুও ভালোবাসা যায় না। (রাইসা অভিমান করে বললো)
আমিঃ না মানে আমিতো তা বলি নাই।
রাইসাঃ তাহলে আসার কথা বলে চুপ করে চলে যেতে চাইতা না।(রাইসা এখন কেঁদেই ফেলল)
আমিঃ কাঁদছিস কেনো।
রাইসাঃ আমি তো বেশি কিছু চাই নাই একটুতো ভালবাসতেই বলছি।😭
আমিঃ হুম।
রাইসাঃ কি হুমমম ভালোবাস বে একটু আমায়।😭
আমিঃ হুম বাসবো এখন আল্লাহ কান্দা থামাও।
রাইসাঃ তাহলে একটিবার বলো না ভালোবাসি।
আমিঃ ভালোবাসি।
রাইসাঃ একটু ভালো করে বলো না।
আমিঃ এর থেকে ভালো করে কেমনে বলবো।
আমি কি কাউকে propos করতেছি যে ভালো করে বলবো।
রাইসাঃ না তাও বলো।
আমিঃ okkk…I Love You আমি তোকে অনেক ভালোবাসি।😍
রাইসাঃ I Love You 2 আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি। ❤
____উম্মামমমমা।😘___
আমিঃ এই কি করলি এইটা।
রাইসাঃ মেরে কিন্তু তোর মুখ ভেঙে দিবো কুত্তা।
আর একবার যদি তুই করে বলিস না।😡
আমিঃ okkk থাক মুখ ভাঙার দরকার নেই তুই করে বলবো না।
এখন তুই খুশি তো।
রাইসাঃ ঐ কি বললি।😡
আমিঃ কই কিছু বলি নাই তো।
রাইসাঃ কুত্তা আবার তুই করে বলছোস।
আমিঃ অহহ srry আর হবে না।
রাইসাঃ ওকে মনে থাকে যেন।
–
–
–
এইবলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
অনেক বার ছাড়াতে চেষ্টা করছি কিন্তু ও ছাড়ে নাই।
অনেকখন এভাবে থাকতে থাকতে রাইসা ঘুমিয়ে পড়ে।
আর আমি তখন ওকে ভালো করে শুয়ে দিয়ে চলে আসলাম।
সকালে এসে আমাকে অনেক অভিযোগ করলো।
আমি কেনো ওকে রেখে চলে আসলাম।
আর কেনো ওকে না বলে আসলাম।
আরো কতো কি বললো।
আমি শুধু চুপ করে দাঁড়িয়ে শুনলাম।
কারণ কিছু বললেই আবার রেগে যেতে পারে
তাই চুপ করে ছিলাম।
–
–
এভাবে কয়েক দিন কেটে গেল।
এর মধ্যে আরো বেশি কেয়ার করা শুরু করছে।
আমার যা যা লাগে সব রাইসাই করে দেয় এনে দেয়।
আর ওর যা করতে ইচ্ছে করে ও তাই করে।
যেমন আজকে বাইনা ধরছে ওকে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে।
আমিঃ plzzz…আজকে যেতে পারবো না অন্য একদিন নিয়ে জাবো।
রাইসাঃ না আমাকে আজকেই নিয়ে যেতে হবে।
আমিঃ না ভালো লাগছে না অন্য একদিন।
রাইসাঃ আমি কিন্তু এখন কান্না করবো।
আমিঃ সত্যি বলছি ভালো লাগছে না।
রাইসাঃ আমি গেলাম।
–
–
এইবলে চলে গেল,,
আমি বললাম যাক ভালোই হলো বেশি জোর করে নাই।
আর এখন আমিও ওকে তুমি করেই বলি।
হঠাত্ আব্বু হাতে লাঠি নিয়ে আমার রুমে আসলো।
আমিতো ভয়ে শোয়া থেকে লাভ দিয়ে খাটের আরেক পাশে গেলাম।
আর রাইসাও দেখি আব্বুর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে আর কান্না করছে।
বুঝতে আর বাকি রোইলো না রাইসা মিথ্যা বলে নিয়ে আসছে।
–
–
–
আব্বুঃ ঐ তোকে কি বলছিলাম ওকে আর কষ্ট দিবি না,,,, তার পরেও আবার ওকে মেরেছিস।
আমিঃ কি মিথ্যা কথা সত্যি আব্বু আমি ওকে মারি নাই।
আব্বুঃ তো ওকি মিথ্যা কথা বলতেছে নাকি।
আর তুই এখনি ওকে নিয়ে ঘুরতে যাবি।
আমিঃ হ্যাঁ ।
আব্বুঃ হুমমম আর যদি শুনেছি ওকে মেরেছিস।
আর বকা দিছোস,,,,,
এই লাঠি তোর পিঠে পরবে এই বলে দিলাম।
আমিঃ হুমমম।😞
এখন রাইসা দেখি অনেক খুশি। _____?
___চলবে…….??