চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_7

চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_7
writer_মো_রাশেদ

আম্মুঃ তোর সাথে রাইসার কি হইছে বল।

আমিঃ কেনো আম্মু।

আম্মুঃ কথা না বারিয়ে সত্যি করে বল তু রাইসাকে কি বলছিস।

আমিঃ কই আম্মু আমিতো কিছু বলি নাই কেনো কি হইছে।

আম্মুঃ মেয়েটা কাল রাতে থেকে কিছু খায়নি।

আর এখন পর্যন্ত শুধু কান্না করছে।

আর রুম থেকেও এখন পর্যন্ত বের হয়নি।

কি হইছে বল।


আমিঃ কি বল এখন পর্যন্ত কিছু খায়নি।

আর আমি কিছু বলি নাই।

কিন্তু ও শুধু আমাকে বলে ভালোবাসি ভালোবাসি আমি না করি তাও শোনে না।

তোমরাই বলো আমি কি করবো ভাই বোনের মধ্যে এইসব।

তাই কালকে আমি আর নিতে পারছিলাম না

মাথা গরম হয়ে গেল।

তাই একটা চর মারছিলাম।

srry আম্মু আমি ওকে মেরে আমারো ভালো লাগে নাই।

কোনো দিনতো ওর গায়ে হাত তুলি নাই।


আম্মুঃ হুম বুঝতে পারছি এখন যা ওর রাগ ভাঙা।

আমিঃ হুমমম যাচ্ছি কিন্তু ওকে একটু বুঝায়ো।

আম্মুঃ কি বুঝাবো।

আমিঃ শুধু বলে ভালোবাসি এই কথা বলতে না করতে।

আম্মুঃ কেনো আমরা না করবো কেনো।

আমিঃ কেনো না করবা না।

তার পর আব্বু বলেঃ কারণ আর কয়দিন পর তোদের বিয়ে।

আমিঃ কিইই কার সাথে।

আব্বুঃ তোর আর রাইসার।

আমিঃ এইসব কি বলছো তোমরা।


আব্বুঃ যা বলছি ঠিকি বলছি।

ও আমাদের বলছে ও তোকে ভালোবাসে আর বিয়ে করলে তোকেই করবে।

তাই আমরা সবাই রাজি হয়ে গেছি।

কারণ মেয়েটা আমাদের কাছেই থাকবে।

এতো কথা না বলে যা রাইসার কাছে যা।

আর যেভাবেই হোক রাইসা কে খাওয়া।

আর যদি না খায় তোর খবর আছে তোর জন্য মেয়েটা কষ্ট করছে।


আমি আর কোনো কথা না বলে।

ওইখান থেকে চলে আসলাম রাইসার রুমের দিকে।

আর ভাবছি সবাই এভাবে মেনে নিবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।

আর যদি আমি বলতাম যে আমি রাইসা কে বিয়ে করতে চাই।

তাহলে হয়তো মেনে নিতো না।

দেখা যেতো আমাকেই বকা দিচ্ছে।

আর রাইসা বলছে তাই সবাই রাজি হয়ে গেছে।

বুঝি না এই পেত্নি টারে সবাই এতো ভালোবাসে কেনো।

মাঝে মাঝে মনে হয় পেত্নি টারে গলা টিপে মেরে ফেলি।

মনে হয় আমি তাদের কেউ নই ওই পেত্নি টাই সব।


ভাবতে ভাবতে পেত্নির রুমের সামনে এসে পরেছি।

ডাকতেও ভয় করছে কি মনে হয় বলে।

যে রাগি মেয়ে হাত তুলতেও দিধা বোধ করে না।

ভয়ে ভয়ে দরজায় নক করলাম আর ডাকছি।

রাইসা এই রাইসা দরজাটা একটু খোল।

(কেউ ডাকলেও শোনে না বলে,,আর আমি একবার ডাকার সাথে সাথে বলে উঠলো)

খুলবো না তুই যা এখান থেকে,, তুই এখানে এসেছিস কেনো যা চলে যা।😭(রাইসা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল)

আমিঃ খোলনা একটু কথা ছিল।

রাইসাঃ না যা তুই আমি এখানেই থাকবো আর না খেতে খেতে মরে যাবো।😭

আমিঃ কি! খুলবি না আমি কিন্তু চলে যাবো।

রাইসাঃ বললাম তো খুলবো না যা তুই। 😭

আমিঃ okkk গেলাম আমি এখন কিন্তু রিয়ার কাছে গেলাম।

ওকে ভালোবেসি বলে আসি পরে যেন কিছু বলোস না এই বলে দিলাম।

(কথাটা বলা দেরি কিন্তু রাইসার দরজা খুলতে দেরি করলো না।
আর দরজা খুলেই আমার কলারটা ধরে একটানে রুমের ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো)


আমিঃ এই দরজা বন্ধ করলি কেনো দরজাটা খুলে দে।

রাইসাঃ কেনো একটু আগে কি বললি কই যেন যাবি।😡

আমিঃ কই আমি আবার কই যাবো।

রাইসাঃ একটু আগে যে বললি রিয়ার কাছে যাবি।

আমিঃ ও ওইটা তো তুই দরজা খুলছিস না দেখে,,,এমনি বলছি যাতে তুই দরজা খুলিস।

রাইসাঃ সত্যি তো।

আমিঃ হুম আর তুই এখনও খাসনি কেনো চল খাবি।

রাইসাঃ না আমি খাব না।

আমিঃ সত্যি খাবি না।

রাইসাঃ না।

আমিঃ ভাবছিলাম বিয়ে করবো কিন্তু না রিয়া কেই বিয়ে করতে হবে মনে হয়।

রাইসাঃ কিইই কাকে বিয়ে করবি।

আমিঃ ভাবছিলাম তোকে বিয়ে করবো।

কিন্তু যে আমার কথাই শোনে না তাকে কিভাবে বিয়ে করবো।

এর থেকে ভালো রিয়া কেই বিয়ে করবো।

ওই মেয়েটা আমার কথা ভালোই শুনবে মনে হয়।


(রাইসা এ কথা শোনার পর নিজের কানকে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে রাশেদ এটা কি বলে।)

আমিঃ কি হলো আমি কিন্তু চলে গেলাম।

(এই কথা বলার সাথে সাথে দৌরে এসে।

আমাকে জড়িয়ে ধরেছে খুব শক্ত করে।

এই মেয়েটার গায়ে এতো শক্তি কেমনে আসলো।

আর বলছে,,,,??)



আমি তোমার সব কথাই শুনবো।

তাও তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না।

আমাকে একটু খানি ভালোবাসো plzzz ।

আর হ্যাঁ কথায় কথায় এতো রিয়া রিয়া করো কেনো।

আর একবার ওর কথা বললে তোমাকে কিছু বলবো না।

আমি সুইসাইড করবো দেইখো।😭

আমিঃ এই পাগলী এইসব কথা বলে না এখন ছাড় চল খাবি।

রাইসাঃ ঐ কুত্তা তোরে আমি জড়িয়ে ধরছি কিন্তু তুই তো এখনও আমাকে জড়িয়ে ধরছিস না।😡


আসলে ও আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।

কিন্তু আমি ধরি নাই তাই খেপেছে।

আর কি করার আমিও জড়িয়ে ধরলাম।

কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর আবার বললাম।



আমিঃ এই এখন ছাড় চল খাবি।

রাইসাঃ না আমি এখানেই থাকবো আর তুমিও আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকো plzzz….

আমিঃ না ছাড় আমরা অনেকখন ধরে দুজন একসঙ্গে এক রুমে আছি।

তারা সবাই কি ভাববে।

রাইসাঃ কি ভাববে আমি আমার বর কে নিয়ে রুমে আছি এতে তারা কি ভাববে।

আমিঃ okkk আচ্ছা এখন ছাড় খাওয়ার পর আবার জড়িয়ে ধরে থাকিস।

রাইসাঃ সত্যি তো।(রাইসা,একটু আহ্লাদি শুরে ছেড়ে দিয়ে বললো)

আমিঃ হুম এখানে তুই বস আমি খাবার নিয়ে আসছি।


রাইসা কে খাটে বসিয়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে।

ছোট আম্মু কে বললাম যে রাইসার খাবার দিতে।

ছোট আম্মু খাবার দিল আর বললো।


ছোট আম্মুঃ বাবা ওর কি রাগ কমেছে ওকি খাবে।

আমিঃ হুমমম খাবে।


এইবলে আবার রাইসার রুমে গেলাম।

খাবার নিয়ে।

মনে হয় কাল থেকে শুধু কান্নাই করছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।

চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে,,,, ফুলে গেছে।

রাইসার দিকে খাবারটা এগিয়ে দিয়ে বললাম।


আমিঃ এইনে খেয়েনে।

রাইসাঃ না আমি খাব না।

আমিঃ কেনো আবার কি হলো।

রাইসাঃ তুমি আমাকে খাইয়ে দাও।

আমিঃ না আমি পারবো না তুই খেয়েনে।

রাইসাঃ কিইই তুমি দিবা না,,,আমি কিন্তু সত্যি খাব না।

আমিঃ Okkk…okkk…দিচ্ছি।

রাইসাঃ হুমমম দাও।


কি আর করার তার পর খাইয়ে দিতে লাগলাম।

ও খাচ্ছে আর কাদছে।

আমি বললামঃ আবার কি হলো কাদছিস কেনো।

রাইসাঃ এমনি সুখে কাদছি।

আমিঃ আর কাঁদিস না plzzz..

রাইসাঃ হুমমম আর কাঁদবো না,,,,, তাহলে আমাকে তুমি করে বলতে হবে।

আমিঃ আচ্ছা চেষ্টা করবো।

রাইসাঃ চেষ্টা করবে মানে বলতে হবে।

আমিঃ একটু তো কষ্ট হবেই কখনো তো তুমি করে বলি নাই।

রাইসাঃ okkk…চেষ্টা করো,,,

কিন্তু তুমি করেই কিন্তু বলতে হবে বলে দিলাম।

আমিঃ ওকে,

ওঁকে খাইয়ে দিয়ে প্লেট টা নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।

আর ও বললো তারা তারি আসতে।

__চলবে……..??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here