ভালো তুমি বাসবেই,পার্ট-৫

ভালো তুমি বাসবেই,পার্ট-৫
Written By Ayat Mushtarih Ayan..
.
সাবা সামনের গাড়িতে ছিলো..
.
মুবাশ্বির সব কিছু ছেড়ে ভু দৌড় দেয়.
.
কিন্তু যখন গাড়ির কাছে গিয়ে সে গাড়ির দরজা খুলে.।
.
.
সে সেখানে সাবাকে দেখতে পায় নাহ..
অন্য মেয়ে রয়েছে সেখানে.
.
সে সরি বলে চলে আসে..
কিন্তু সে একটা বিষয় এ ক্লেয়ার থাকে যে..
আর যাই হোক সাবা বেচে আছে.।
.
.
এদিকে সাবা নিজের ঘরে বসে আছে..
.
আর ভাবছে কে হতে পারে এই লোকটা..
যে সাবাকে তুলে এনেছে..
.
আর তার থেকেও বড় কথা…আজ সে আয়ানের সাথে থাকতো.. হয়তো তাদের বিয়ে হতো..
.
কিন্তু এখানে তো কিছুই হলো নাহ.
.
তার জীবনই পাল্টে গেলো..
এমন সময় রুমে প্রবেশ করলো সেই লোকটি..
.
.
কি সাবা..ঘুমাচ্ছো নাকি??
.
না ঘুমাচ্ছি নাহ.আচ্ছা আপনি কেনো আমায় তুলে এনেছেন??
>শুনতে চাও গল্প??।
.
.
হুম শুনতে চাই.
.
.
আচ্ছা তাহলে শোন…
.
.
আমি তখন কলেজের ফাইনাল ইয়ারে..
.
কলেজে তখন ২জনের রাজ চলতো..
আমার আর ফাতিনের..
.
ফাতিন আর কেউ.নাহ…আমার বেস্ট ফ্রেন্ড..
.
আসলে আমাদের দুইজনের রাজত্ব চলতো বললে ভুল হবে..চলতো শুধু ফাতিনের…
আর আমি তো বন্ধু হয়েও ওর চাকর ছিলাম…
.
.
তাও ভালোই চলতেছিলো..
.
হঠাৎ আমাদের কলেজে একটা জুনিয়র মেয়ে ভর্তি হয়..মাইশা…
.
দিনটা কি বার ছিলো কিংবা কত তারিখ ছিলো আমাদের মনে নেই..
.
.
কিন্তু কাহিনি টা মনে আছে…
.
.
Going To The Past……
.
.
.
এই ফাতিন??
>হে বল..
.
>দোস্ত আজ ক্রিকেট ম্যাচ আছে…
>কাদের সাথে??
.
>আরে ওই যে এম্পায়ার টিম এর সাথে..
.
>আম আসতে পারবো নাহ..তুই ই যা..
.
>ফাতিন..আমরা হারতে পারি তুই না খেললে..
>আরে যা তো..
.
.
আমি চলে আসি..
.
আসার সময় হঠাৎ দেখি কলেজের গেট দিয়ে অনেক গুলা মেয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছে..
.
আমাদের কলেজের একটা নিয়ম ছিলো যে যদি কোন ক্রিকেট ম্যাচ হতো সব জুনিয়র রা যেতো..
.
.
সেখানেই যাচ্ছিলো মেয়ে গুলো..তাদের মাঝেই ছিলো একজন মাইশা..
.
.
আমি না চাইতেও মুখ দিয়ে ওয়াও শব্দটা বেরিয়ে আসে.
.
আরে দোস্ত সত্যিই তো ওয়াও রে মেয়েটা..
.
>ফাতিন তুই??
>হে দোস্ত..আমি..
>মেয়েটারে ভালো লাগছে??
>দোস্ত তুই তো জানিশ ই..মেয়ে মানেই আমি সেখানে..
.
>কি??
.
.
আরে চল খেলতে হবে
.
.
ফাতিন সেইদিন অনেক ভালো খেলেছে..
.খেলার পরে ফাতিন কে মাইশা ডাক দেয়৷

.
.
এই যে মিষ্টার??হেলো?
>আমাকে ডাকতেছেন??
>হুম..আপনাকেই.
>হুম বলুন..
.
>৫০টাকা দিন..
.
কেনো??(ফাতিন)
.
>আরে??আমি বাজি ধরছিলাম আপনি ডাক মারবেন..কিন্তু মারেন নাই..আপনার জন্য আমার টাকা লস গেছে এখন টাকা দেন..
..
>আরে বাস..বাজি ধরবেন আপনি আর টাকা দিবো আমি??
>হে আপনাকেই দিতে হবে জলদি দেন..
.
.
ফাতিন সবার সামনে কথা বলতে পারলেও যেনো সেদিন একদম চুপচাপ মেয়েটিকে টাকাটা দিয়ে দেয়..
.
২দিন পরে আবার ম্যাচ হয়..
.
সেই ম্যাচে ফাতিন ইচ্ছে করে ডাক মারে..
.
এইবার ও মেয়েটি ডাকে..
.
>এই যে হেলো.
>হে বলুন..
>আজ ১০০টাকা দেন..
.
>কি???প্রতিদিন টাকার পরিমাণ বাড়ে নাকি??
.
>হে..আজ ১০০টাকা ধরছিলাম যে আপনি ৫০করবেন..কিন্তু ডাক মারছেন..এখন আমার টাকা দেন..
.
.
>আহহহহ…
.
.
ফাতিন সেদিন এ টাকা দিয়ে দেয়..
.
কিছুই করার নেই তার… সে যেনো একদম চুপ…বাচ্চার মতো লাগছে.
.
.
.
>কিরে??মাইয়া পছন্দ হইছে??
>ধুরর..(ফাতিন)
.।

.
.
ফাতিনের মাইশাকে পছন্দ হয়ে যায়..
.এবং আশ্চর্যজনক ভাবে কিছুদিনের মাঝেই তাদের রিলেশন শুরু হয়ে যায়..
.

.
ভালোই চলছিলো তাদের রিলেশন..ফাতিন সারাদিন মোবাইল নিয়ে পরে থাকতো..
.
হঠাৎ…
.
.
একদিন আমাদের পাড়ার বড় ভাই..
আলিফ ভাইয়ের ছোট ভাই..
.
মানে আরমানের সাথে ফাতিনের ঝগড়া লাগে..
ঝগড়ার কারণ সে মাইশাকে টিচ করছে.।
.
এক পর্যায়ে ফাতিনের রাগ বেশি হয়ে গেলে সে খুন করে ফেলে..
.
ঘটনা খুন সহজেই সে চাপা দিয়ে দেয় এক্সিডেন্ট বলে..
.
কিন্তু সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো..কিছুদিন পর..
.
আলিফ ভাই চুপ থাকে নি..
.
তার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ শুনে সে চুপ করে থাকে নি..
.
সেদিন খুন বৃষ্টি হচ্ছিলো কলেজে..
.
ফাতিন আর আমি বসে চা খাচ্ছিলাম..
.
হঠাৎ পিছন থেকে চেচানোর আওয়াজ আসে..
.
.
ফাতিইইন….(মাইশা)
.
আমরা পিছনে চেচাতেই দেখি মাইশা দৌড় দিয়ে আসছে..
.
হঠাৎ ঠাসসসস করে একটা আওয়াজ হলো.।
.
আওয়াজটা ছিলো গুলি করার..
.
হে..পিছন থেকে আলিফ ভাই গুলি চালাইছিলো মাইশার উপর.।
.
আমি আর ফাতিন দৌড়ে মাইশার কাছে যাই..
.
কিন্তু মাইশা তখন প্রায় শেষ..
.
ফাতিন মাইশাকে উঠাতে যাবে তখনই মাইশা বলে উঠে..
.
.
ফাতিন..আমি আর বাচবো নাহ..কিন্তু যাওয়ার আগে এইটুকুই বলে যাই..
.
প্লিজ তুমি এর মারামারির দুনিয়া থেকে বেরিয়ে যাও..আর আমার কসম তুমি আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে কিছুই করবে নাহ..
.
আর হে খুব সুন্দর একটা মেয়েকে নিয়ে সুখে থাকবে..আমি সব সময় তোমার পাশে থাকবো..
.
.
.
এই বলে মাইশা মারা যায়..
.
আলিফ ভাই ফাতিন কে কিছুই করে নাহ..
.
শুধু এইটুকু বলে যায় যে..
.
দেখ নিজের কেউ মরলে কেমন লাগে..
.
.
>আচ্ছা এই গল্পের সাথে আমার কি সম্পর্ক??
.
>তা তুমি পরে বুঝবে সাবা..
.
.
লোকটি চলে যায়৷

আর সাবা রুমে শুয়ে থাকে. হঠাৎ তার চোখে একটা ডাইরি পরে..
.
সে বিছানা থেকে উঠে সোজা ডায়রির কাছে চলে যায়..
.
.
ডায়রিটা হাতে নিয়ে পরতে থাকে কিন্তু তাতে যা লিখা ছিলো তা সে কল্পনাও করতে পারে নি…
.
.
চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here