ভালোবাসা_এমনও_হয় part_25,26

ভালোবাসা_এমনও_হয়
part_25,26
Writer_Nusrat_Jahan
part_25

নীড়ঃ এতো ভালোবাসা ও যায়(অবাক হয়ে)

নেশাঃ কিছু ভালোবাসা_এমনও_হয় নীড়☺

নীড়ঃ আর আমার ভালোবাসা ও এমনই নেশা।।তুমি আমায় ভালোবাসো আর নাই বাসো আমি তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসবো।।আর নিজের কাছেই রাখবো।।খুব শিগগিরই তোমাকে নিজের করবো কথা দিলাম(মনে মনে)

নেশাঃ ঈশা ভাইয়াকে ভালোবাসে তা কি জানেন

নীড়ঃ হুম(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)

নেশাঃ এখন তাহলে কি করবে সে?

নীড়ঃ জানি নাহ কি করবে।।তোমার ভাইয়া কি করবে?

নেশাঃ সেটা ভাইয়ার উপর ছেড়ে দিয়েছি।।খুব সহজে ঈশাকে ক্ষমা করতে পারবে নাহ।।বাট ভুলতেও পারবে নাহ।। ভাইয়া ভালোবাসা আর ঘৃণা দুইটাই খুব ভালো করতে পারে।।

নীড়ঃ ওহহ।।আর ঈশা মনে হয় নাহ ডিরেক্টলি গিয়ে কথা বলবে।।ও এমনিতে একটু দুষ্টু বেশি হলেও নিজের ভুলটা সহজে প্রকাশ করতে পারে নাহ

নেশাঃ অন্য সব মুহুর্ত আর আর এই মুহুর্ত টা এক নাহ।।এখন তারা একে অন্যকে ভালোবাসে। দেখা যাক কি হয়।আমরা তো রইলাম তাদের প্রেম কাহিনি দেখার জন্য😅

নীড়ঃ কই নিজে একটু প্রেম করবো তা না মানুষের প্রেম দেখতে হবে এখন😒(মনে মনে)

নেশাঃ চলুম যাওয়া যাক।

নীড়ঃ হ্যা চলো।

দুইজন বাড়ি ফিরে গেল।।



চৌধুরী বাড়ি

নেশাঃ খালামনি ভাইয়া খেয়েছে?

মিনাঃ নাহ।।ওই শয়তানের কথা মনে করে মন খারাপ করে বসে আছে।।

নেশাঃ আমি দেখছি।।

ইশানের রুমে-

নেশাঃ আসবো ভাইয়া

ইশানঃ হুম আয়

নেশাঃ তুমি এখনো খাওনি কেন।।নিহার প্রেমে টান দিচ্ছে নাকি(দুষ্টু হেসে)নাকি আগের লাইফের কথা মনে পড়ছে

ইশানঃ মানে🤨

নেশাঃ ওই যে কলেজ লাইফের কথা।।একটার পরে আরেকটা😅।।এইবার কিন্তু আর চান্স পাবে নাহ।আমার পাশাপাশি এখন ঈশাও আছে😅😂।।আগের বার বেঁচে গেছিলে এইবার মিস হবে নাহ কিন্তু গণধোলাইয়ের হাত থেকে বাঁচা ইম্পসিবল 😁

ইশানঃ 😄😄

নেশাঃ এইতো হাসি ফুটেছে।।এখন খেয়ে নাও

ইশানঃ ইচ্ছা করছে নাহ

নেশাঃ কেন?? মুড অফ বুঝি

ইশানঃ হুম

নেশাঃ কিন্তু কার জন্য

ইশানঃ 😔😔

নেশাঃ আমি যাওয়ার পর ঈশার সাথে কথা হয়েছে?

ইশানঃ নাহ কিছু না বলেই চলে গেছে

নেশাঃ তাহলে এখন কি করবে

ইশানঃ কি করবো আর।।ঈশা তো আমায় ভালোবাসে নাহ

নেশাঃ কে বললো ও তোমায় ভালোবাসে নাহ!!!!

ইশানঃ ও তো অভিনয় করেছিলো ভালোবাসার

নেশাঃ বাট ও তোমায় ভালোবাসে আমি সিউর।।অভিনয় করতে করতে ভালোবেসে ফেলেছে তোমায়।

ইশানঃ তুই কি সত্যি বলছিস??অভিনয় করতে করতে ভালোবাসা কি হয়

নেশাঃ হয় তো।।

ইশানঃ কিন্তু আমি যখন তোর সাথে….(এতোটুকু বলেই ইশান থেমে গেল।।কথাটা বলতে চায়নি বাট মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে)

ইশানঃ আই এম সরি নেশা আমি..

নেশাঃ বাদ দাও।।তো এখন কি ঈশার সাথে কথা বলবে নাহ?

ইশানঃ মন সায় দিচ্ছে নাহ নেশা।।ও যদি আমায় ভালো না বাসে।।আর সত্যি তো তোর সাথে যে অপরাধ করেছি তার শাস্তি তো আমায় ভোগ করতেই হবে।।তুই তো আর শাস্তি দিবি নাহ।।হয়তো ঈশা দিবে😥

নেশাঃ অনেক ভালোবাসো তাই নাহ

ইশানঃ হুম

ইশানঃ আচ্ছা নীড়….

নেশাঃ কি নীড়???

ইশানঃ নীড় কি তোকে পছন্দ করে???

নেশাঃ হঠাৎ এই কথা???

ইশানঃ মনে হচ্ছে তাই বললাম।।তোর পিছন পিছনই বেরিয়ে গেছিলো

নেশাঃ আমার সাথেই ছিলো

ইশানঃ ওহহ।।তোর পিছনে কেন ছিলো!!!!

নেশাঃ সরি বলতে।।আসলে তোমার সাথে অভিনয় করার জন্য খুব রাগ করেছিলাম আর থাপ্পড় ও দিয়ে ছিলাম উনাকে😞

ইশানঃ কি বলিস রে😲।।তা থাপ্পড় ও খেল আবার নিজেই সরি বলতে ও গেল😉

নেশাঃ হুম😅

ইশানঃ তাহলে তো এটাই প্রুভ ও তোকে লাইক করে

নেশাঃ হয়তো

ইশানঃ ছেলেটা কিন্তু খারাপ নাহ

নেশাঃ জানি

ইশানঃ সব নতুন করে শুরু কর

নেশাঃ বুঝলাম নাহ!!!!!!!

ইশানঃ নেশা যা হয়ে গেছে তা ভুলে যা।।নীড়কে নিয়ে তোর একবার ভাবা উচিত নতুন করে।।

নেশাঃ তুমি কি খাবে নাহ???

ইশানঃ কথা ঘুরাচ্ছিস!!!! দেখ নেশা এরিয়ে গেলেই সত্যি টা আড়াল করা যায় নাহ। হয়তো তুই আমাকে…… মানে আমার জন্য তোর আলাদা একটা ফিলিংস ছিলো।।দোষটা আমারই ছিলো।।বাট অনেকটা সময় কেটে গেছে নেশা।।তোর ও মুভ অন করা উচিত

নেশাঃ আমি দেখছি ভাইয়া😞

ইশানঃ যা বললাম একটু ভেবে দেখিস

নেশাঃ হুম।।তুমি খেয়ে নিও

নেশা ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেল।

এক মাস পর

ইশান প্রায় এখন অনেকটাই সুস্থ। তাই আজ অফিসে গিয়েছে।।গিয়ে দেখলো ঈশাকে।।

ঈশাঃ কেমন আছো ইশান

ইশানঃ ভালো

হঠাৎ রুমে কেউ নক করলো।।

রুমিঃ মে আই কাম ইম স্যার

ইশানঃ ইয়েস কাম

ঈশাঃ???????

ইশানঃ ও আমার নতুন পিএ।। ডিলটা নিয়ে ও এখন তোমায় সাহায্য করবে।।আসলে আমি একটু অসুস্থ।। তাই টাইম বেশি দিতে পারবো নাহ।।

ঈশাঃ বাট তোমার পিএ তো একটা ছেলে ছিলো তাই নাহ🤔

ইশানঃ ছিলো বাট আজ থেকে ও।। তোমার কোন প্রবলেম??

ঈশাঃ নাহ প্রবলেম কেন হতে যাবে🙁

এইভাবে আরো কয়েকদিন কেটে গেল।।
ইশান এখন ঈশাকে ওতোটা সময় দেয় নাহ।।তাদের কাজগুলোও প্রায় শেষ।। ঈশা ও নিজের ইগোর কারনে ইশানের সাথে কথা বলতে যায় নাহ।।কিন্তু দুইজনেই খুব কষ্ট পাচ্ছে।।

নেশাঃ ভাইয়া এইভাবে আর কতোদিন চলবে

ইশানঃ কি চলবে?????

নেশাঃ এই যে তুমি ঈশাকে এভয়েড করছো

ইশানঃ যে আমাকে ভালোবাসে নাহ তাকে এভয়েড করাটাই ভালো নেশা

নেশাঃ কে বললো তোমায় যে ও তোমায় ভালোবাসে নাহ

ইশানঃ যদি ভালোবাসতো তাহলে আমার সাথে এট লাস্ট কথা বলার চেষ্টা করতো।।

নেশাঃ কিন্তু তাই বলে তুমি

ইশানঃ নেশা প্লিজ আমি এই ব্যাপারে তোর সাথে কথা বলতে চাই নাহ।।

নেশাঃ ধুর কিছু তো একটা করতে হবে তোমাদের মিলানোর জন্য।।না হয় আমি তোমায় নাই পেলাম।।কিন্তু তোমাকে এইভাবে কষ্টে দেখতে পারবো নাহ।।একটা কাজ করি নীড়ের সাথে কথা বলে দেখি(মনে মনে)

নেশাঃ হ্যালো নীড়

নীড়ঃ কি ব্যাপার।। সূর্য আজ কোনদিকে উঠেছে।।মহারানী নিজে ফোন দিয়েছে।। মিস করছিলে বুঝি

নেশাঃ ছাড়ুন আপনার আজাইরা পেচাল।।শুনুন নাহ

নীড়ঃ বলুন নাহ

নেশাঃ আমাকে কপি করা হচ্ছে😡

নীড়ঃ আমাকে কপি করা হচ্ছে😋

নেশাঃ আমি কিন্তু রেখে দিবো

নীড়ঃ আমি কিন্তু রেখে দিবো🙈

নেশাঃ ধুর ব*******

নীড়ঃ 😝।।আচ্ছা আচ্ছা রাগ করো নাহ ময়না পাখি।।বলো কি বলবে

(ওয়েট ওয়েট ওরা প্রেম টেম করছে নাহ কিন্তু।।আসলে এই কয়েকদিনে নীড় নেশার সাথে অনেকটাই ফ্রি হয়ে গেছে)

নেশাঃ আসলে

নীড়ঃ উফ বলবা তো

নেশাঃ আচ্ছা ঈশার কি খবর

নীড়ঃ ওর তো ভালোই খবর🙄

নেশাঃ ও কি ভাইয়া কে মিস করছে নাহ

নীড়ঃ এইটা জানার জন্য আমাকে ফোন দিয়েছো আর আমি ভাবলাম💔

নেশাঃ বলুন নাহ কচু😒

নীড়ঃ কচু😂

নেশাঃ উফফ কেন মজা করছেন।। আমি সিরিয়াস

নীড়ঃ আচ্ছা বাবা বলো কি হয়েছে।।ঈশার খবর কেন নিচ্ছও

নেশাঃ আগে বলুন তারপর বলছি

নীড়ঃ কি আর বলবো চুপচাপ হয়ে গেছে।।মামনি বললো এখন নাকি বাড়িতে এসে রাগারাগি ও করে

নেশাঃ ভাইয়া ও আগের থেকে চুপচাপ হয়ে গেছে।।ওদের দুইজনকে দেখে তো মনে হয় নাহ ওরা কোন দিন নিজে থেকে আরেকজনের সাথে কথা বলতে যাবে।।এখন আমাদেরই কিছু করতে হবে।

নীড়ঃ হুম চলো এক কাজ করি।।আমরা দুইজন বিয়ে করে ফেলি।।তাহলে ওদের দুইজনের দেখা সাক্ষাৎ ও বেশি হবে।।তখন আর কথা নাহ বলে পারবে নাহ🥴😝

নেশাঃ আপনি মজা করা অফ করবেন😡

নীড়ঃ আমি মজা করে বলেনি বেবি

নেশাঃ এই টপিক বাদ

নীড়ঃ ওকে।।তো এখন বলো কি করবে ভাবছো

নেশাঃ আমার একটা আইডিয়া আছে।। সেই অনুযায়ী কাজ করলে মনে হয় কাজ হবে।

নীড়ঃ শুনি কি আইডিয়া

(ওরা দুইজন বরং প্লেন করুক।। আমরা বরং পরে শুনবো😉)


২ দিন পর

নীড়ঃ ঈশা তোর সাথে কি ইশানের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে???

ঈশাঃ মানে??

নীড়ঃ নাহ শুনলাম ইশানের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।।আজ নাকি ইশান মেয়েকে দেখতে গেছে।।মেয়েটা নাকি খুব সুন্দরী

ঈশাঃ কিহহহহ😲😲😲😲😲

নীড়ঃ হ্যাঁ রে

ঈশাঃ তোকে কে বললো

নীড়ঃ আরে নেশা বললো যে ইশান নাকি আজ মেয়েকে দেখতে গেছে।।তাই তোকে জিজ্ঞাসা করলাম তোর সাথে সব কিছু শেষ কিনা

ঈশাঃ আমি তো এইসবের কিছুই জানি নাহ😥

নীড়ঃ ওহহ থাক বাদ দে।।তুই ও তো ওকে ভালোবাসিস নাহ।।তাহলে ওর বিয়ে হোক না যাই হোক তাতে আর কি আসে যায়।।শুনলাম ইশান নাকি এই বিয়েতে খুব খুশি

ঈশাঃ হে হবে নাহ খুশি।।এখন তো আমাকে সহ্যই করতে পারে নাহ😭(মনে মনে)

নীড়ঃ প্রথম প্রথম তো বলেছে নাকি তোকে অনেক ভালোবাসে।।না মানে নেশা বলেছিলো তুই ফিরিয়ে দেওয়ার পর নাকি খুব কান্নাকাটি ও করছিলো।।আমি তো শুনে ভেবেছিলাম তোকে ছাড়া বুঝি আর কাউকে বিয়েই করবে নাহ। বাট দেখ ঠিকই বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেল।।

ঈশাঃ 😤😤😤

নীড়ঃ সে যাই করুক।।তুই যদি তাকে পছন্দ করতি তা হলে না হয় একটা কিছু করা যেত।।কিন্তু তুই তো পছন্দই করিস নাহ।।তখন আর এই বিয়ে আটকিয়ে কি লাভ😪😪😪

ঈশাঃ যদি পছন্দ করতাম তখন কি করতি ভাইয়া

নীড়ঃ আমি আর কি করতাম।।তোকে সোজা এখন ওই খানে পাঠাতাম।।তুই গিয়ে মেয়েটাকে ইচ্ছা মতো ধোলাই দিতি আরকি।।সাথে ইশানকে।।তোর সাথে প্রেমের কথা বলে অন্যকাউকে বিয়ে করবে এটা মানা যায় নাকি।।বাট তুই তো পছন্দই করিস নাহ

ঈশাঃ ঠিক বলেছিস ভাইয়া।।ওকে তো ছেড়ে দেয়া যায় নাহ।।আমাকে পাগল করে ও শান্তিতে আরেকজনকে বিয়ে করবে তাতো কিছুতেই হতে পারেন।।ওকে তো আমি দেখে নিবো।।কোথায় গেছে রে ওই মেয়েকে দেখতে

নীড়ঃ শুনলাম রয়েল রিসোর্টে গেছে।বাট তুই গিয়ে কি করবি

ঈশাঃ 😡😡😡

নীড়ঃ ওকে ওকে যা যা।।আমি কি ধরে রেখেছি নাকি🤫🤫

রয়েল রিসোর্টে –

ঈশা রেগেমেগে ভিতরে ঢুকলো। গিয়ে দেখলো নীড় যা বলেছে তাই।।ইশান আর আরেকটা মেয়ে ভিতরে বসে আলাপ করছে।।মেয়েটা ঈশার দিকে পিঠ দিয়ে বসে আছে তাই ঈশা মেয়েটাকে দেখতে পেল নাহ।।আর সেই দিকে তার মাথা ব্যাথাও নেই।।সে তো সোজা গিয়ে ইশানের শার্টের কলার ধরে দাড়া করালো

ইশানঃ আরে তুমি😟😟

ঈশাঃ চুপ কর হাল****ক****ম*****🤬🤬🤬তোর এতো সাহস কি ভাবে হলো বিয়ে করার হ্যা।।।আমাকে ছেড়ে এখানে এসেছিস বিয়ে করতে।।স***তুই নাহ বলেছিলি আমায় ভালোবাসোস।।আমাকে বিয়ে করবি তো এখানে কি করছিস হ্যা।।কোন ম*** রে বিয়ে করছিস।।আমাকে ছেড়ে আরেকজনকে বিয়ে করবি আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো।।এতোই সহজ।।আর এতো সেজে এসেছিস কেন হ্যা😡😡😡মেয়ে দেখলেই মনে লাড্ডু ফুটতে শুরু করে।।এতো দিন ওই পিএর সাথে লটরপটর করেছিস কিছু বলিনি এখন সরাসরি বিয়ে

ইশানঃ কিসব বলছো তুমি আর আমার শার্ট ছিড়ে যাবো তো এইভাবে কেউ টানে

ঈশাঃ ছিড়ুক🤬।।কু***বা*** এইখানে আমার মনটা ভেঙে খন্ড খন্ড করে ফেলছে আর নিজে শার্ট নিয়ে পড়ে আছে।।তোর নামে তো আমি কেস করবো তোকে আমি ফাঁসিতে ঝুলাবো।।জ****😭😭😭😭😭

ইশানঃ আবার কাদছো কেন শুধু শুধু।।।আর আমি কি করেছি😕😟😟😰

ঈশাঃ তুই সব করেছিস হা****😭😭।।আমার সব শেষ করে এখন আরেক মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছিস লজ্জা করে নাহ।।নির্লজ্জ বেডা।।🤬।আমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করলে তোকে আমি খুন করে ফেলবো।।দেখি তোকে কে বিয়ে করে তাকে তোর সাথে মাটিতে পুতে দিবো।।খুন সখ নাহ বিয়ে করার।।দাড়া মিটাচ্ছি।।আগে মেয়েটাকে হ্যান্ডেল করে নেই দাড়া।।তারপর তোর ক্লাস নিচ্ছি।।

মেয়েটার দিকে তাকিয়ে

ঈশাঃ এই মেয়ে শো…………..

ঈশাঃ তুমি😳😕😟🙁🤕🤥🤥🤥🤥😣🙄🙄😐😐😐😐😐😐😐😐😐😲😨😵😵😵😵😵😵

চলবে🙄

#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#Part_26

ঈশাঃ তুমি এখানে কেন

নেশাঃ আমিই তো ছিলাম এখানে😁

ঈশাঃ কিন্তু এখানে তো ওই মেয়ে মানে ভাইয়া বললো😑

নীড়ঃ কি বলেছিলাম রে আমি😃

ঈশাঃ তুই এখানে!!!!!

নীড়ঃ জি

ঈশাঃ তারমানে এইটা তোদের সবার প্লেন ছিলো আমাকে এইভাবে আনার জন্য😤

নীড়ঃ ইয়েস মাইসুইটহার্ট। বাট ইশান কিছুই জানতো নাহ প্লেন টা নেশার ছিল

ইশানঃ কিসের প্লেন

নেশাঃ তোমাদের দুইজনকে দেখে তো মনে হচ্ছে একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারবে নাহ।।তবুও নিজে থেকে কথা বলবে নাহ।।তাই দুইজনকে মিলানোর জন্য এই প্লেন।।নীড় ঈশাকে বলেছে যে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।।তাই😅

ইশানঃ তাই ঈশা এইসব কথা বলছিলো(দুষ্টু হেসে ঈশার দিকে তাকিয়ে)আমি তো ভেবেছিলাম বুঝি আমাদের মাঝে সব শেষ

ঈশাঃ এইটা কিন্তু ঠিক হয়নি নেশা।।তুমি তো এই পঁচা লোকটাকে ও বলতে পারতে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।।তাহলে ও ছুটে আসতো।।এখন আমাকে কতো লজ্জায় পরতে হলো🙈

নেশাঃ 😂।।আচ্ছা এখন তোমরা তোমাদের মাঝে সব বুঝে নাও।। আমরা দুইজন বরং এখন আসি।।

ঈশাঃ কোথায় যাচ্ছো তোমরা আমিও যাবো চলো
ঈশা যেতে নিলো ইশান পিছন থেকে হাত টেনে ধরলো

নীড়ঃ থাক তুই বরং থাক।।আমরাই যাই

দুইজন হেসে বেরিয়ে গেল।

ঈশাঃ এটা কি হলো আটকালেন কেন আমাকে

ইশানঃ তো কি করবো ওরা আমাদের প্রাইভেসি দিয়ে যাচ্ছে আর তুমি ওদের সাথে চলে যাচ্ছো

ঈশাঃ আমাদের প্রাইভেসি কেন দিবে😒

ইশানঃ উফফ তুমি নাহ।।বাদ দাও।।এখন বলো আমি বিয়ে করলে বুঝি এতোই রিয়েক্ট করতে।।বাব্বাহ কি রাগ।।আমাকে নাকি মাটিতেই পুতে ফেলবে।।তো আপনি তো বললেন আমাকে ভালোইবাসেন নাহ।।তাহলে পুতবেন কেন শুনি

ঈশাঃ হুহ আর রিয়েক্ট করবো নাহ।।হেপি।।আপনি যা ইচ্ছা করুন

ইশানঃ তাহলে আর কি।। বাচা গেল।।এখন তাহলে সত্যি একটা বিয়ে করতে হয়

ঈশাঃ মানে,😠

ইশানঃ ওমা আমার ওতো বিয়ের বয়স হয়েছে।।কয়দিন আর সিঙ্গেল থাকবো তাই নাহ

ঈশাঃ সখ কতো।বিয়ে করে দেখ নাহ কি করি😤

ইশানঃ ওমা নিজে তো বিয়ে করবে নাহ তো আমি কি সারাজীবন না বিয়ে করেই থাকবো নাকি😝

ঈশাঃ কখন বলেছি বিয়ে করবো নাহ

ইশানঃ তো করবে আমায় বিয়ে

ঈশাঃ হুম🙈

ইশানঃ তো ভালো না বাসলে বিয়ে কেন করবো হুম??

ঈশাঃ জানি নাহ 😒🙈


রিসোর্টটার পাশেই একটা সুন্দর দীঘি আছে।।নীড় আর নেশা সেখানে দাড়িয়ে আছে চুপচাপ।। নীড় কথা বলতে চাইছে কিন্তু কি নিয়ে বলবে ভেবে পাচ্ছে নাহ।।

নীড়ঃ এবার তাহলে তাদের বিয়েটা ঠিক হয়েই গেল কি বলো

নেশাঃ হুম

নীড় নেশার দিকে তাকালো।।নেশার দৃষ্টি দীঘির পানির দিকে।

নীড়ঃ তোমার কি মন খারাপ নেশা

নেশাঃ নাহ (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)

নীড়ঃ তুমি কি এই বিয়েটাতে খুশি নাহ???!!!!

নেশাঃ কিসব বলছেন আপনি।।খুশি কেন হবো নাহ

নীড় নেশার কাধে হাত দিলো। নেশা কিছুক্ষণ নীড়ের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো।।

নীড়ঃ তুমি কাদছো কেন নেশা?????

নেশাঃ আমি কিছু জানি নাহ নীড়🤕🥺

নীড়ঃ প্লিজ আমার সাথে এট লাস্ট শেয়ার করো

নেশাঃ আমি জানি নাহ নীড়।।আমার কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছে।।আচ্ছা কেন আমার কষ্ট হচ্ছে।।আমি তো চেয়েছি ভাইয়া নতুন করে সব শুরু করুক।।তাহলে কেন আমার এতো কষ্ট হচ্ছে😭😥

নীড় নেশাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কিছু বলতে যাবে নেশা তার আগেই নীড়ের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।।ঘটনা বুঝতে নীড়ের একটু টাইম লাগলো।

নেশাঃ নীড় বিশ্বাস করুন আমি চাই ঈশা আর ভাইয়ার বিয়ে টা হোক।।আমি চাই তারা স হোক।কিন্তু আমি যে ভাইয়া কে খুব বেশি ভালোবাসতাম নীড়।।আচ্ছা আমি যদি আজ ঈশার জায়গায় থাকতাম তাহলে কি খুব বেশি ভুল হয়ে যেত।।যদি ইশান ভাইয়া আমায় একটু ভালোবাসতো তাহলে কি খুব অন্যায় হয়ে যেত। আমি তো ওর জন্য নিজের জীবন ও দিয়ে দিতে পারবো অথচ উনি তো আমায় ভালোই বাসে নাহ।।আমাকে ভালোনাসার চোখেই দেখে নাহ।।আচ্ছা কেন এমনটাই আমার সাথে হয় নীড়।।কেন আমার এতো খারাপ লাগছে নীড়।।প্লিজ বলুন নাহ আমার এখন কি করা উচিত।। আমি উনার কাছে যেতেও পারবো নাহ আবার উনাকে অন্যের সাথে দেখলেও আমার খুব কষ্ট হয় নীড়।।কি করবো আমি বলুন নাহ।।বলুন নাহ নীড়।।(নীড়ের বুকে হাত দিয়ে ঝাকিয়ে কথা গুলো বলছে নেশা)
নীড় কোন জবাব নাহ দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো নেশাকে।

নীড়ঃ সব ঠিক হয়ে যাবে দেখো।।ধীরে ধীরে তুমিও ইশানকে ভুলতে পারবে।।

নেশাঃ আমি তো চেষ্টা করছি নীড়।।৬ বছর ওর থেকে দুরে থেকেছি।।তবুও কেন আমি ওকে ভুলতে পারছি নাহ।। ভালোবাসা এমন কেন নীড়।।আমি চাই নাহ এই ভালোবাসা।।আমি বাচতে চাই।।একটু শান্তিতে বাচতে চাই।।নাহ আমার ভাইয়াকে চাই নাহ।।আমি উনাকে ভুলে বাঁচতে চাই।।আমি কি পারবো নীড়।।উনাকে কি কখনো ভুলতে পারবো

নীড়ঃ পারবে।।আমি বলছি তো পারবে।। আমাকে বিশ্বাস করো নাহ তুমি।

নেশা আর কোন কথা বললো নাহ।।নীড়ও আর জোর করলো নাহ।।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে প্রায়।।চারপাশ ধীরে ধীরে শান্ত,জনমানবহীন হয়ে যাচ্ছে।।দীঘির পাশ দিয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস নেশা আর নীড়কে শীতল করে যাচ্ছে।।নেশা এখনো নীড় কে জড়িয়ে ফুফিয়ে কাদছে।। আর নীড় আগলে রেখেছে।।অন্য সময় হলে হয়তো নীড় খুশি হতো কারন নেশা তাকে নিজে থেকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।।কিন্তু আপাদত তার খুশি লাগছে নাহ।।কেন যেন কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছে।।হ্যা নীড় নেশার ভালোনাসাটাকে সম্মান করে।।নেশা ইশানকে ভালোবাসে তা নিয়ে নীড়ের কোন রাগ কিংবা অভিযোগ নেই।।কিন্তু নিজের ভালোবাসাকে অন্যের জন্য কাদতে দেখা টা বরাবরই কষ্ট দেয়।।যা এখন নীড়কে ও দিচ্ছে।
নিজের ভালোবাসার মানুষটা নিজের বুকেই আছে অথচ কাদছে অন্য আরেকজনের জন্য এটা নীড় কিভাবে সহ্য করছে তা শুধু নীড়ই হয়তো বলতে পারবে।আবার নেশা কে ও দোষ দেয়া যায় নাহ।। ভালোবাসা তো সঠিক ভুল দেখে হয়নাহ।।হ্যা ইশান যা করেছে তার জন্য নেশা কখনো ইশানকে মন থেকে মাফ করতে পারবে নাহ।।কিন্তু ইশানকে ভালো না বেসেও পারছে নাহ।।শত অন্যায় করলেও কি ভালোবাসা কমে যায়।।
একদিকে একজন কাদছে ভালোবাসার মানুষকে অন্যজনের হতে দেখে আরেকজনের বুক ফাটছে নিজের ভালোবাসাকে অন্যের জন্য কাদতে দেখে।।কার কষ্ট বেশি তা হয়তো পাঠক রাই বলতে পারবে🙂।





পরেরদিন

নেশাঃ ভাইয়া এইসব কি

ইশানঃ কেন কি হয়েছে

নেশাঃ তুমি ঈশাকে বলেছো তুমি ওকে এখন বিয়ে করবে নাহ???!!!!!

ইশানঃ হ্যা বলেছি তো😕

নেশাঃ তোমাদের মাঝে তো সব ঠিক ছিলো তাহলে বিয়ে কেন করবে নাহ???

ইশানঃ করবো নাহ কে বলেছে। করবো তো বাট যখন তুই রাজি হবি

নেশাঃ আমি তো রাজিই!!!

ইশানঃ আমি আমার বিয়েতে রাজির কথা বলছি নাহ।।আমি তোর বিয়েতে রাজি হওয়ার কথা বলছি

নেশাঃ মানেহ!???

ইশানঃ তুই বিয়ে নাহ করলে আমিও বিয়ে করবো নাহ

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here