ভালোবাসা_এমনও_হয়
part_18,19
Writer_Nusrat_jahan
part_18
ইশানঃ আয়ান তুই🥺🥺🥺
আয়ানঃ সরি আমি দেখি নি।
আয়ান চলে যেতে নিলো ইশান পথ আটকালো
ইশানঃ এখনো রাগ করে থাকবি আয়ান তুই?
আয়ানঃ কি বলছেন আপনি। রাগ কেন করবো আর কে আপনি
ইশানঃ আয়ান তু….
আয়ানঃ দেখুন আমি আপনাকে চিনি নাহ।।আমার পথ ছাড়ুন।
(আয়ান ইশানকে পাস করে চলে গেল।)
ইশানঃ এখনো এতো রাগ করে আছিস কেন আয়ান🥺
।
এইদিকে
আয়ানঃ তোর এই অপরাধের ক্ষমা কখনোই করবো নাহ ইশান।।কখনো নাহ।
নীড়ঃ আরে আয়ান ভাইয়া তুমি এসেছো
আয়ানঃ উফ নীড় তোকে কতো বার বলেছি আমায় ভাই বলবি নাহ।।তোর থেকে আমি মাত্র ২ সপ্তাহের বড়।।এমন ভাবে ভাই বললে মানুষ ভাববে যে আমি তোর থেকে ১০ বছরের বড়।
নীড়ঃ আমি তো ভাইয়াই বলবো।। যতোই হোক একমাত্র ফুফাতো ভাই বলে কথা😂তাই নাহ ভাইয়া🤭
আয়ানঃ তুই আসলেই একটা পাজি
নীড়ঃ যেমনই হই তোমাদেরই তো😉
আয়ানঃ 😅
নীড়ঃ তুমি এতোক্ষণে এলে।।চলো তোমাকে কারো সাথে দেখা করাবো
আয়ানঃ কার সাথে
নীড়ঃ আরে চলোই নাহ
নীড় টেনে আয়ানকে নেশার সামনে নিয়ে গেল।
নীড়ঃ হেই নেশা ও হলো আয়ান আমার ভাইয়া
নেশা আয়ানের দিকে তাকালো আর আয়ান ও।।দুইজনেই শক।
নীড়ঃ কি হলো কিছু বলেন।আয়ান ভাইয়া উনি হলেন আমার বস😉।।
নেশাঃ হহ্যালো ভাইয়া
আয়ানঃ হাই।।নীড় ও তোর বস কিভাবে 🤨।তুই তো…..
নীড়ঃ এইরে ভাইয়া সব বলে দেয় নাকি😣
নীড়ঃ আরে ভাইয়া রাখো ওইসব কথা।। চলো চলো তোমাকে আরো কিছু দেখানোর আছে।।(টেনে নিয়ে গেল।নেশার সন্দেহ হলেও মাথা ঘামালো নাহ।)
নেশাঃ ইশান কি আয়ান ভাইয়া কে দেখেছে এখনো?
এইদিকে
নীড়ঃ উফফ ভাইয়া তুমি তো সব বলেই দিচ্ছিলে।।একটু হলেই ধরা পরে যেতাম।।😣
আয়ানঃ ধরা পরে যেতি মানে?
নীড় আয়ানকে সব বুঝিয়ে বললো।
আয়ানঃ এতো কিছু হয়ে গেল 🙄
নীড়ঃ হুহ🥰
আয়ানঃ তা এতো অভিনয় কেন শুনি
নীড়ঃ আই এম ইন লাভ ভাইয়া🥰
আয়ানঃ হোয়াট? তুই নেশাকে কিভাবে??
নীড়ঃ কেন কি হয়েছে তাতে।।ও তো বিয়ে করেনি।।আর ওর তো কোন বয়ফ্রেন্ড ও নেই।।তাহলে ও আমার হতে দোষ কি
আয়ানঃ তুই জানিস ও কাউকে ভালোবাসে নাহ
নীড়ঃ আমি তো তেমন কোন খোজ পায়নি।।শুনেছি ওর কোন ভালোবাসার মানুষ নেই।
আয়ানঃ আছে নীড় আছে। একজন আছে।।যাকে নেশা পাগলের মতো ভালো বাসে।।তোকে আমি কষ্ট পেতে দিবো নাহ।।নেশা কখনোই তোমে ভালোবাসবে নাহ।।ও যে ইশানকে ভালোবাসে।।তোকে যেই করেই হোক বুঝাতে হবে(মনে মনে)
আয়ানঃ যখন নেশা সত্যি টা জানতে পারবে
নীড়ঃ তার আগেই আমি আমার মনের কথা ওকে বলে দেব
আয়ানঃ যদি সে রাজি না হয়
নীড়ঃ রাজি নাহ হওয়া পর্যন্ত পিছন ছাড়বো নাহ
আয়ানঃ এমনও তো হতে পারে ও অন্য কাউকে ভালোবাসে
নীড়ঃ তাহলে তো জানতামই ও কাউকে ভালোবাসে।। আর তুমি এতো কথা কেন বলছো ভাইয়া।।তুমি কি ওকে চিনো
আয়ানঃ নাহ আমরা কিভাবে চিনবো
নীড়ঃ তাহলে।। আচ্ছা বাদ দাও।। কেমন দেখলে বলো।।সুন্দর নাহ।।একদম পরি😍আমার পরি🥰
আয়ানঃ নীর তুই ওকে ভালোবাসতে পারিস নাহ
নীড়ঃ কিন্তু কেন?
আয়ানঃ বলে দেবো নীরকে সব৷ কিন্তু ও যে কষ্ট পাবে।।কিন্তু পরে,যদি জানতে পারে তখন আরো বেশি কষ্ট পাবে(মনে মনে)
নীড়ঃ কি হলো বলো
আয়ানঃ আসলে নীড় আমি নেশাকে চিনি।।ও আমার এক ফ্রেন্ড এর বোন ছিলো।
নীড়ঃ তাহলে তুমি আমায় মিথ্যা বললে কেন
আয়ানঃ আসলে যাতে তুই মানে আসলে
নীড়ঃ কি হয়েছে প্লিজ ডিটেইলস এ বলবে
আয়ান নীড়কে সব খুলে বললো।।কিভাবে নেশার সাথে পরিচয় আর ইশানের সাথে নেশার বিহেভ গুলোও।
আয়ানঃ আমি জানি ইশান তাকে ভালোনাসেনি।।কিন্তু নেশা যে তাকে ভালোবেসেছিলো তা বুঝাই যায়।।ইশানের বিয়ের দিনই নেশা দেশ ছেড়ে চলে যায়।।আর তার পর কি হয়েছিলো তা জানি নাহ।।আজ আবার ওর সাথে দেখা হলো।হয়তো নেশা এখনো ইশানকেই ভালোবাসে।।তাই বলছিলাম কি নীড় তুই বরং ওকে ভুলে যা।
বলেই নীড়ের দিকে তাকালো।।আর নীড়ের চোখ দেখেই ভয় পেয়ে গেল।।নীড় যে এতোটা রেগে যাবে আয়ান ভাবেনি।
নীড়ঃ ওই ছেলেটা নেশার সাথে এতো কিছু করেছে?
আয়ানঃ আরে তেমন কিছু নাহ।।তুই আগে শান্ত হ
নীড়ঃ শান্ত কিসের শান্ত।।এইসব যদি একটা অন্য মেয়েকেও বলতো তাহলে নাহ হয় ছেড়ে দিতাম।।কিন্তু আমার নেশাকে এতো অপমান করেছে আর তুমি শান্ত হতে বলছো।
আয়ানঃ আরে বাদ দে নীড়।নেশা যখন ক্ষমা করে দিয়েছে তুই আর কি করবি।।এইসব বাদ দিয়ে এখন কি করবি তা ভাব
নীড়ঃ কি করবো এখন
আয়ানঃ আগে নেশাকে সব সত্যি জানা।।তারপর তোর ভালোবাসার কথা ও বলে দে।।দেখ কি হয়
নীড়ঃ ও যদি রাজি নাহ হয়।।আচ্ছা ৬ বছর তো হয়ে গেছে।।নিশ্চয়ই নেশা এখন আর ইশানকে ভালোবাসে নাহ।।তাহলে আমাকে না ভালোবাসার তো কোন কারন নেই তাই নাহ।।ও নিশ্চয়ই আমাকে ভালোবাসবে।।(জোর পূর্বক হাসি দিয়ে)
আয়ানঃ আশা করি যা ভাবছিস তাই যেন হয়।।
নীড়ঃ হতেই হবে না হলে তো হবে নাহ।। আচ্ছা তুমিই বলো এতো কিছুর পর নেশা কেন ওকে ভালোবাসবে।।ইশান তো নেশার ভালোবাসার যোগ্যই নাহ।।ইনফেক্ট ইশান কারো ভালোবাসাই ডিসার্ভ করে নাহ(নীড় কি আর জানে তার বোন ও ইশানকে মন দিয়ে বসে আছে)
।
।
।
এইদিকে
ঈশাঃ তুমি আমায় কোন গিফট দিলে নাহ কেন
ইশানঃ কই দিলাম তো
ঈশাঃ আরে ওইটা তো ঠিকাছে বাট পার্সোনালি কিছু দিবা নাহ🙈🙈
ইশানঃ পার্সোনালি কেন দিবো।।আর শুনো বাচ্চা মেয়ে বাচ্চা মেয়ের মতো থাকো পাকনামো করো নাহ ওকে
ঈশাঃ হুহ বাচ্চা হবে তুমি। আমি এডাল্ট।। বিয়ে যদি ঠিক মতো হতো এতদিনে ১২ টা সন্তানের মা হয়ে যেতাম
ইশানঃ হোয়াট 😳😵।।যাই হোক বাই
ঈশাঃ আরে যাচ্ছো কোথায়।।আমার গিফট তো দিয়ে যাও😘
ইশানঃ আমি কিছু আনি নি।।পরে দিয়ে দিবো ওকে
ঈশাঃ নাহ আনোনি যখন শাস্তি পেতে হবে😚😚
ইশানঃ দেখ ঈশা তুমি যা চাইছো তা কিছুতেই হবে নাহ।।আর নাহ এটা সম্ভব। সো এইসব ভুলে যাও।আর তুমি আমার সম্পর্কে কিছুই জানো নাহ।।জানলে হয়তো এমন করবে নাহ।।তাই মাথা থেকে এইসব বের করে দেও।।আর আমাকে ভু…….
ঈশা কিছু নাহ বলে ইশানের শার্টের কলার টেনে নিজের মুখের….
চলবে🙈🙈🙊
#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_jahan
#part_19
ঈশা ইশানের শার্টের কলার ধরে নিয়ে নিজের মুখের সামনে টেনে আনলো
।
।
।
(খাড়ান খাড়ান।।কিস করে নাই😝কথা বলবো কথা।।আমার পাঠক গুলার একটু ও সরম নাই🙈🙈খালি নেগেটিভ ভাবে🙊🙊)
ঈশাঃ আপনাকে ভুলতে পারবো নাহ আমি ইশান।।অনেক দিন পর কাউকে পছন্দ হয়েছে, মনে ধরেছে।।তাকে এইভাবে যেতে দিবো।।ভেবেছিলাম আপনার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো।।কিন্তু নাহ এখন প্লেন চেঞ্জ।।আগে আপনাকে আমার প্রেমে রাঙাবো।।আমার প্রেমের বৃষ্টি তে ভিজিয়ে ঝাঝরা করবো।।তারপর বিয়ে।
ইশানঃ তু
ঈশাঃ শসস।।আমার বলা এখনো শেষ হয়নি।আমি কথা বলার আগে কথা বলবেন নাহ।।ওকে।।আগে আমার কথা শেষ করতে দিন।।আমি জানি আপনার অতীত।। আপনার ডির্বোস হয়ে গেছে।।কিন্তু তাতে আমার বাপের কি।।ডির্বোস নিয়ে আমার কোন প্রবলেম নেই।।তাহলে আপনার এতো সমস্যার দরকার নেই।।আমি রাজি যখন তখন আপনার সমস্যার কথা শুনছিও নাহ।।আর আজকের শাস্তি টা তো দিলাম নাহ।।কি শাস্তি দেয়া যায় বলুন তো
ইশানঃ 🤨🤨🤨
ঈশাঃ পেয়েছি
ইশানঃ ক….
ঈশা ইশানে ঠোঁটের নিচের পার্টে একটা ছোট করে কামড় দিয়ে দিলো।
ঈশাঃ আপাদত এইটাই শাস্তি।। আর আগের পার্টে সবাই ভেবেছিলো কিস করবো।।যফি না করি তাহলে লেখিকালে সবাই পিটাবে😂।।আচ্ছা এখন টাটা।।
ইশান হা করে ঈশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে ঠাটিয়ে একটা চড় বসিয়ে দিতে।।কিন্তু হাত পা যেন কাজ করছে নাহ।।একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো বার বার মনে পড়ছে তার।।আগে এতো মেয়ের সাথে রিলেশন করলেও কখনো কাউকে এইসব করেনি।।আর বিয়ের দিন রাতে নিহার সব সত্যি জানতে পারে।।তাই তার সাথে ও এইসব কিছুই করা হয়নি।।বলতে গেলে কোন মেয়ের এতো কাছে কখনোই আসেনি ইশান।।অদ্ভুত ভালো লাগাও কাজ করছে তার মনে।।একটা কামড়ও বুঝি এতো সুখের হয়।। কিন্তু ইশান সে ভালো লাগা কে বাড়তে দিলো নাহ।।চুপচাপ রাগি চোখে ঈশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
।
।
।
।
।
পরেরদিন
নেশা অনেক আগেই অফিসে চলে এসেছে আজ।।কারন আজ অফিসে নাকি এই অফিসের এমডি আসবে।।তাই সবাই তাকে ওয়েলকাম করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।।
একটু পর নীড় এন্ট্রি মারলো।।সবাই তাকে দেখে অবাক হলো কারন আজ তার গেট আপ একটু অন্যরকমই।।বাট কেউ ওতোটা মাথা ঘামালো নাহ।নীড় এসে সোজা এমডির কেবিনে ঢুকে গেল।।সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।
একটু পর রবি এসে সবাইকে ডাকলো।
রবিঃ আপনাদের সবাইকে নীড় স্যার তার কেবিনে ডাকছে।
নেশাঃ নীড় স্যার মানে
রবিঃ উনিই সব বলবেন আপনারা সবাই কেবিনে যান।
সবাই গেল।
।
নীড়ঃ হ্যালো এভরিওয়ান।।আশা করি ভালো আছো।।সবাই হয়তো বুঝতে পারছো নাহ আমি এমডি কিভাবে হলাম তাই তো।।আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি।।আমার পুরো নাম নীড় আহমেদ খান।।তোমাদের বস কবির খান আমার বাবা।।এতোদিন আমি একজন স্টাফ সেজে তোমাদের মাঝে ছিলাম কারন আমি দেখতে চেয়েছিলাম আপনারা একজন আরেকজনের সাথে কতোটা কোওপারেট।। আর আপনার কাজ গুলো কতোটা মন দিয়ে করেন।এন্ড আমি অবাক।।সত্যি আপনারা খুব ভালো ভাবেই কাজ গুলো করেছেন।।বাবাই সত্যি বলেছে এই অফিসের মানুষ গুলো খুব হার্ড ওয়ারকিং পার্সোন।।আশা করি সবাই আমার পরিচয় লুকানোর পিছনের কারন গুলো বুঝতে পেরেছেন।।এখন আপনারা আসতে পারুন।।যদি কোন হেল্প লাগে তাহলে আমাকে জানাবেন।ধন্যবাদ।
।
সবাই একে একে বেরিয়ে গেলো।
সবাই যাওয়ার পর
নীড়ঃ এই রবি নেশা কি করছে দেখে আসো তো গিয়ে।।মিথ্যা বলে তো দিলাম।।আল্লাহ জানে কতোটুকু বিশ্বাস করেছে
রবিঃ আমার মনে হয় নাহ স্যার বিশ্বাস করেছে
নীড়ঃ কেন কেন🤔
রবিঃ স্যার ম্যাডামের মুখ দেখেই মনে হচ্ছিল্ল ম্যাডাম আপনার কথা গুলো কে সন্দেহ করছে।।
নীড়ঃ উফফ কি জ্বালা যদি এখন আমাকে বিশ্বাস না করে তাহলে প্রোপজ টা করবো কিভাবে😣
রবিঃ স্যার আপনি বরং এখন ম্যাডাম কে কিছু বলেন নাহ।।কয়েকদিন ওয়েট করেন ম্যাডামকে ও বিশ্বাস করতে দিন।।তারপর বলিয়েন।
নীড়ঃ তুমি বুঝবে নাহ রবি।।দেড়ি করার সময় নেই আমার কাছে. যতো তাড়াতাড়ি তাকে বলতে পারবো ততো তাড়াতাড়ি আমার শান্তি ।।(মনে মনে)
।
।
।
নেশাঃ আচ্ছা উনি এই অফিসে জয়েন করেছে আমার একদিন পর।।তারমানে এই অফিসে উনার মাত্র দুইদিন হলো।।এই দুইদিনেই উনি সব কিছু বুঝে গেল🤔🤔।।আর তাছাড়াও এই দুইদিনেএ বেশিরভাগ সময়ই তো আমার কেবিনে থেকে আমাকে জ্বালিয়েছে।।তাহলে🤔🤔।।সবার দিকে নজর রাখলো টা কোন সময়।কিছু তো একটা ঘাপলা আছে।।কিন্তু কি হতে পারে।।ধুর যাই হোক তাতে আমার বাপের কি।।
।
।
রবিঃ মে আই কাম ইন ম্যাম
নেশাঃ কাম
রবিঃম্যাম আপনাকে নীড় স্যার ডাকছে
নেশাঃ আমাকে?
রবিঃ জি ম্যাম
রবিঃ ওকে তুমি যাও আমি যাচ্ছি।
।
।
নেশাঃ মে আই কাম ইন স্যার
নীড়ঃ কাম
নেশাঃ জি স্যার বলুন
নীড়ঃ পরেরবার থেকে রুমে ঢুকার সময় নক করে আসবা নাহ।।
নেশাঃ হ্যা🙄!!!
নীড়ঃ হুম যা বললাম।।আর স্যার বলবা নাহ।।আগে যেমন মি.নীড় বলে ডাকতে তেমনই ডাকবে।
আর পারলে জান বলে ডেকো😍(বিড়বিড় করে)
নেশাঃ কিছু বললেন?
নীড়ঃ নাহ।কিছু বলিনি।।যা বললাম তা যেন মনে থাকে।
নেশাঃ হুম
নীড়ঃ কি ব্যাপার যা বলছি তা চুপচাপ মেনে নিচ্ছে।।কিছু তো একটা প্যাচ আছে(মনে মনে)
নেশাঃ এখন আমি আসি
নীড়ঃ নাহ এখানে বসো।।আর এই ফাইলটা নাও।। কম্পিলিট করো এইটা
নেশাঃ ওকে বাট আমি করে দিচ্ছি
নীড়ঃ এখন করো আর আমার সামনে বসে
নেশাঃ কিন্তু
নীড়ঃ ইটস মাই অর্ডার
নেশাঃ ওকে।।
।
।
একটুপর
নেশাঃ স্যার প্লিজ আপনি আপনার চোখ টা সরাবেন আমার ডিস্টার্ব হচ্ছে(বিরক্তি নিয়ে)
নীড়ঃ নাহ সরাবো নাহ।।তোমাকে বলেছি আমাকে স্যার নাহ বলতে তুমি সেই ভুলটা করেছো আর এটা তোমার শাস্তি
নেশাঃ এইভাবে তাকয়ে থাকলে আমি কাজ করতে পারবো নাহ
নীড়ঃ তো কাজ করতে কে বলেছে।।
নেশাঃ 🤨🤨
নীড়ঃ তুমি ও আমার দিকে তাকিয়ে থাকো।।আর আমি তোমার দিকে😍
নেশাঃ কি সব বলছেন আপনি স্যার😕😠
নীড়ঃযা শুনছো।।আর তুমি আবার আমায় স্যার বলেছো।সো এখন তোমাকে আরো একটা শাস্তি দিবো।।তা হলো আমার জন্য গিয়ে একটা কফি নিয়ে আসবে ওকে
নেশাঃ আমি কি আপনার পি.এ নাকি🤨
নীড়ঃ তুমি হতে চাইলে বানাতে পারি🥰
নেশাঃ মানে
নীড়ঃ কিছু নাহ।। যাও নিয়ে আসো।না হলে অন্য শাস্তি
নেশা চুপচাপ নিয়ে আসলো।
নেশাঃ এই নিন কফি
নীড়ঃ এইটা কি তুমি বানিয়েছো
নেশাঃ নাহ ক্যানটিন থেকে নিয়ে এসেছি।।
নীড়ঃ তাহলে এতে যে কিছু মিশানো নেই তার প্রুভ কি
।আমি যদি খেয়ে মরে টরে যাই।।
নেশাঃ সবাই তো ওইখান থেকেই খাচ্ছে কারো কছু হচ্ছে নাহ আর আপনি মরে যাবেন😒
নীড়ঃ হুহ।।যাও তুমি নিজে গিয়ে বানয়ে নিয়ে আসো
নেশাঃ 🤨আমি পারবো নাহ।।আর এতে কিছু মিশানো নেই।।আপনি খেয়ে দেখুন
নীড়ঃ তোমার মুখের কথায় তো হবে নাহ।।প্রমাণ দাও যে এইটা তে কিছু মিশানো নেই
নেশাঃ এখন প্রমাণ কিভাবে দিবো।।প্রমাণ দিতে হলে তো কফিটা আগে টেস্ট করাতে হবে।।এতো কিছু মিশানো আছে কিনা তা জানতে হবে।।
নীড়ঃ হ্যা তাই বেটার।।তুমি বরং টেস্ট করেই দেখ
নেশাঃ আমি কিভাবে টেস্ট করবো🙄
নীড়ঃ কেন মুখ দিয়ে😚
নেশাঃ আমি এই টেস্ট বলিনি।।আমি ক্লিনিক্যালি টেস্ট এর কথা বলেছি😒
নীড়ঃ এতো কিছু করতে করতে আমার কফিই ঠান্ডা হয়ে যাবে।।তারথেকে তুমিই বরং একটু খেয়ে দেখো।যদি তোমার কিছু না হয় তাহলে বুঝবো কফিতে কিছু মিশানো নেই
নেশাঃ কিন্তু
নীড়ঃ তারমানে কফিতে কিছু মিশানো আছে।।তাই তুমি খেতে চাচ্ছো নাহ।।আমি জানতাম।
নেশাঃ উফফ ওয়েট।।(একটু কফি খেয়ে)দেখলেন আমার কিছু হয়নি।।মরে যাইনি আমি বেচে আছি।। এইবার বিশ্বাস হলো তো কফিতে কিছু মিশানো নেই।।
নীড়ঃ হুম দেও এখন খাচ্ছি
নেশাঃ এইটা তো নষ্ট হয়ে গেল।।আমার খাওয়া টা খাবেন নাকি।।আমি আরেকটা নিয়ে আসছি
নীড়ঃ আবার যদি সেটাতে কিছু মিশানো থাকে
নেশাঃ উফফ নিন এইটাই খান।
নীড়ঃ 😁😎
নীড়ঃ উফফ নেশা।।কফিটা এতো মিষ্টি কেন লাগছে🥰
নেশাঃ এইটা ব্লাক কফি আর আপনি বলছেন মিষ্টি লাগছে🙄
নীড়ঃ তো তোমার কি মনে হয় আমি মিথ্যা বলছি😒।।মিষ্টি হলে তো মিষ্টিই বলবো তাই নাহ
নেশাঃ কিন্তু আমি যখন খেলাম তখন তো মিষ্টি ছিলো নাহ🙄
নীড়ঃ তো আমি খাওয়ার সময় মিষ্টি হলো কিভাবে
নেশাঃ আমি কি জানি
নীড়ঃ বুঝছি তুমি খেয়েছো তো তাই মিষ্টি হয়ে গেছে😍
নেশাঃ আ……..
চলবে🙊