ভালোবাসা_এমনও_হয়
Part_12,13
writer_Nusrat_Jahan
Part_12
৬ বছর পর।
আজ নেশা ফিরছে।।হ্যা বাড়িতে ফিরছে।।৬ বছর পর।।এই ৬ বছর মা বাবার সাথে কথা বলেছে ঠিকই। কিন্তু ৫ মিনিটের বেশি নাহ।।কারন হয়তো ইমোশনাল হয়ে পড়বে।।ইশানের খবর নেয় নি কখনো।।নেশার মা অনেকবার তুলেছিলো কিন্তু নেশা বিজি বলে কাটিয়ে দিতো।।আসলে লোকটাকে কেন যেন দেখতে মন চায় নাহ তার।।পুরোনো ক্ষত টা মাথা নাড়া দিয়ে উঠে।।একসময় তো ভালোবেসেছিলো।।তার অবহেলা, তার ঘৃণা গুলোকে ভালোবেসে ছিলো।কিন্তু তার মুল্য তো দিরে থাক তার মনে একটা মনে একটা মানুষের জায়গাই করতে পারে নি।আর ভালোবাসা তো অনেক দুরের কথা।।তবুও মনটা কেন যেন মানতে চায় নাহ।।পুরানো কথাগুলো ঠিকই মনে থেকে যায়।এতো সার্থপর কেন মনটা।।অবশ্য নিজের ভালোটাও বুঝে নাহ।।যা নিজের ভাগ্যে নেই সে জিনিসটাই চায়।নেশা কি আজও ইশানকে চায়।।তা নেশার অজানা।যতোই হোক ভালো বেসেছে ইশানকে।।মনের মধ্যে অনুভূতি গুলো দমিয়ে অন্যের থেকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও নিজের থেকে তো লুকাতে পারবে নাহ।।নাহ ইশানের প্রতি তার রাগ নেই।।হয়তো আবার আছে।।কিন্তু তাতে কি বা এসে যায়।।সে যে এখন অন্যকারো।।যদি অন্যকারো না হতো তাহলে কি নেশা তাকে ক্ষমা করে দিতো।।নাহ করতো নাহ।।কিভাবে করবে।।এই ধোকার পর তো কিছুতেই নাহ।।তবুও ইশানের কাছে সে কৃতজ্ঞ। হয়তো ইশানের ওই আঘাত না পেলে নেশা এতো দুর আসতে পারতো নাহ।।কিন্তু তবুও নেশা কিছুতেই করবে নাহ ক্ষমা তাকে।।পরিবার থেকে ৬ বছর কেরে নিয়েছে সে।কি করে মাফ করবে।
।
কথাগুলো ভেবেই দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো নেশা।প্লেন ল্যান্ড হলো বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে। নেশা এয়ারপোর্টের বাইরে থেকে একটা গাড়ি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো।কেউই জানে নাহ আজ নেশা ফিরবে।।ভাবলো সবাইকে সারপ্রাইজ দিবে।
।
।
।
বাড়িতে গিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে বেল বাজালো।।কেউ খুলছে নাহ।।কয়েকবার বাজানোর পরেই খুলে গেল।সামনে মিনা দাড়িয়ে আছে।
নেশাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো।
নেশাঃ কেমন আছো খালামনি
মিনাঃ এতোদিন পর আমাদের মনে পরলো।
নেশাঃ তোমাদের সব সময়ই মনে পরতো।।তাই তো দেখ পার্মানেন্টলি চলে এসেছি তোমাদের কাছে
মিনাঃ সত্যি
নেশাঃ হুম😊এখন ভিতরে তো ঢুকতে দাও
মিনাঃ ওহহ ভুলেই গেছি দেখেছিস। চল চল ভিতরে চল।রিনা দেখে যা কে এসেছে(ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে)
।
।
অনেক ইমোশনাল ড্রামাটামা হলো।
।
রাতে-
সবাই একসাথে খেতে বসলো। নেশা এখনো ইশানের দেখা পায়নি।।অবশ্য খোজ ও করেনি।
নিলয়ঃ তা নেশা তোমার কোর্স তো কমপ্লিট। তা এখন কি করবে ভাবছো
নেশাঃ আব্বু একটা জবের অফার এসেছে।।ওইটা তেই জয়েন করবো
নিলয়ঃ তা কেন দরকার। এর থেকে আমাদের অফিসেই জয়েন করো।।ইশান ও আছে।।তোমাদের দুইজন কে সব কাজ বুঝিয়ে আমি এবার রেস্ট নিবো
নেশাঃ বাট আব্বু
নিলয়ঃ তোমার কি এতে কোন সমস্যা আছে
নেশাঃ আসলে আমি ঐ অফিসেই জয়েন করতে চাই আব্বু।।তুমি বরং ইশান ভাইয়া কেই সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও
নিলয়ঃ কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম.
নেশাঃ প্লিজ আব্বু।আমি নজের আলাদা পরিচয় চাই।।ফেমিলি বিজন্যাস এ জিয়েন করতে চাই নাহ
রিনাঃ থাক নাহ।।নেশা যা চাইছে তাই করুক নাহ।
নিলয়ঃ ওকে তোমরা যা ভালো বুঝো তাই হবে।
।
।
হঠাৎ এন্ট্রি মারলো ইশান।।অফিস থেকে ফিরেছে মাত্র।কারো দিকে না তাকিয়ে রুমে যাওয়ার জন্য সিড়ির দিকে পা বাড়ালো তখনই
মিনাঃ এই ইশান দেখ কে এসেছে
।
ইশান মুখ তুলে তাকালো সেদিকে।নেশাকে দেখে অবাক হয়ে গেল।নেশাও তাকালো ইশানের দিকে।।
ব্লাক ডেনিম পেন্ট,ধুসর কালারে শার্ট আর তার উপর ব্লাক কালারে কোর্ট।চোখে চশমা।। মুলত চোখের নিচের কালি গুলো আড়াল করতেই চশমা পরা।কিন্তু তা নেশার চোখের আড়াল হয়নি।সে ঠিকই খেয়াল করলো তা।।ইশানে চেহারাটাও আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।।নেশার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো।। তাহলে কি ইশান ভালো নেই।।আর নিহাই বা কোথায়।।এতোক্ষণ তো দেখতে পেল নাহ তাকে।
ইশানঃ নেশা তুমি?
নেশা অবাক। কারন ইশান তাকে তুমি করে বলছে
ইশানঃ কখন এসেছো?
নেশাঃ এই তো সকালে
ইশানঃ ওহহ।।আচ্ছা।
ইশান আর কিছু বললো নাহ রুমে চলে গেল।নেশা ইশানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।এই ইশানকে তো নেশা চিনে নাহ।।খুব ঠান্ডা মাথায় কথা বলছে ইশান।।নেশার পাশাপাশি কি তাহলে ইশানও চ্যাঞ্জ হয়ে গেল।
সময়ের স্রোতে সবাই পরিবর্তন হয়ে যায় নাকি পরিবর্তন হয়ে গেছে অন্য কোন কারনে।
রিনাঃ কিরে নেশা খাচ্ছিস না কেন
নেশাঃ নিহা কোথায় আম্মু
রিনাঃ কে?
নেশাঃ না মানে নিহা ভাবি কোথায়
রিনাঃ ওকে ভাবি বলার দরকার নেই
নেশাঃ মানে
মিনাঃ নিহা আর এখন তোর ভাবি নাহ
নেশাঃ বুঝলাম নাহ
মিনাঃ ইশান ওকে ছেড়ে দিয়েছে
নেশাঃ হোয়াট (অবাক হয়ে)
মিনাঃ হুম
নেশাঃ কিন্তু কেন?
মিনাঃ সে সব পরে শুনিস। পরে অনেক টাইম পাবি।।এখন আগে খেয়ে নে।।
নেশা চুপচাপ খেতে লাগলো।।কিন্তু মনে মনে খুতখুত টা ঠিকই রয়ে গেল। তারমানে কি নিহা চলে যাওয়ায় ইশান এতোটা পাল্টে গেছে।না নেশার মাথা কাজ করছে নাহ।।এই জন্যই দেশে ফিরতে চায়নি নেশা।চাইলেও ইশানকে এভয়েড করতে পারবে নাহ সে।।ভালোবেসেছিলো তো।খুব পরিমানে।কিন্তু নিজের বাবা মাকেই বা কিভাবে কষ্ট দিবে সে।।তাই তো মনের সাথে লড়াই করে দেশে ফিরেছে।।কিন্তু এখন
।
।
পোস্ট টাইম-রাত-৮.১৬
৬ জুলাই, ২০২০
।
চলবে
#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#Part_13
খান বাড়ি-
কথাঃ সোনা বাবা কোথায় তুমি।প্লিজ মাফ করে দেও নাহ।।আচ্ছা ঠিকাছে তোমার এখন বিয়ে করতে হবে নাহ।।আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলবো।।কিন্তু বাড়িতে তো চলে আসো
নীড়ঃ নাহ মামনি আগে তুমি বাবাই কে বলো।।বাবাই আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে অথচ আমাকে না জানিয়ে।। দেটস নট ফেয়ার।।আমি কিছুতেই বাড়ি ফিরবো নাহ।
কথাঃ আরে বিয়ে ঠিক করেনি তো।।যাস্ট কথা বলেছে।।তোমার দেখে পছন্দ হলেই বিয়ে দিবে
নীড়ঃ ওই একই মামনি।।বাট পছন্দের কথা কেন আসছে।।৷ আমি এতো তাড়াতাড়ি বিয়েই করবো নাহ।
কথাঃ আচ্ছা ঠিকাছে।। তোমার কথাই হবে।।কিন্তু এখন বাড়ি তো আসো।আগামী ১০ বছরে তোমার বিয়ের কথা এই বাড়িতে কেউ তুলবে নাহ।।হেপি
নীড়ঃ হুম।।আসছি আমি।।
নীড় ফোন রেখে দিলো।
(এখন পরিচয়টা দিয়ে দেই।।এতোক্ষণ যে বিয়ে করবে নাহ বলে আন্দোলন করলো সে হলো নীড় খান।।খান বাড়ির ছেলে।বিজন্যাস ম্যান।।কথা আর কবিরের ছেলে।।তার একটা বোন ও আছে।। নাম ইশা।।আপাদত এতোটুকুই। পরে না হয় আরো জানা যাবে)
এইদিকে-
ইশানের দরজার সামনে দাড়িয়ে
নেশাঃ আসবো
ইশানঃ কেন এসেছো তুমি
নেশা ভিতরে ঢুকে গেল
নেশাঃ পরিবর্তন আমার হওয়ার কথা ছিলো
ইশান নেশার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলো
নেশাঃ আমার কথার জবাব এটা নাহ
ইশানঃ পরিবর্তন তো তুমি ও হয়েছো।।না হলে আমার কাছে এসে সরাসরি জবাব চাইতে নাহ।।আর না আমার সাথে ওই ঘটনার পর কথা বলতে।।তারমানে মামনি তোমায় বলছে কিংবা জোর করেছে
নেশাঃ আসলে….
ইশানঃ আমি ওই ব্যাপারে আর কথা বলতে চাইনাহ।।যা হয়ে গেছে তা বদলাতে পারবে নাহ তুমি
নেশাঃ কিন্তু কেন এমন হলো।। আপনি তো ওকে ভালোবাসতেন
ইশানঃ যাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিলাম সে দুরে যাওয়ার পর তা বুঝতে পেরেছি।।(বাঁকা চোখে নেশার দিকে তাকালো)
নেশা বুঝলো ইশান তার কথা বলছে।প্রসঙ্গ পাল্টাতে
নেশাঃ আপনি খেয়েছেন
ইশানঃ কথা ঘুরাচ্ছো
নেশাঃ নাহ মানে….
ইশানঃ চলে যাও নেশা।।
নেশাঃ কিন্তু আমি যে সব জানতে চাই
ইশানঃ কেন জানতে চাও কোন অধিকারে জানতে চাও বলো।।কোন অধিকার (নেশাকে ঝাকিয়ে)
নেশাঃ…….
ইশানঃ কি হলো জবাব দাও।নেই জবাব তাই নাহ(নেশাকে ছেড়ে দিয়ে)আমি জানি তোমার মনে আমার জন্য একটু ভালোবাসাও অবশিষ্ট নেই।।তাহলে কেন আবার আমাকে মায়ায় জড়াচ্ছো।।কেন আমাকে করুনা করছো। অভিনয় করতে করতে কখন তোমার ভালোবাসার মায়ায় পরে গেছি তা নিজেই বুঝতে পারিনি।।হ্যা পেরেছি যখন তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেছিলে।।কেন এতো বড় শাস্তি দিলে আমায় নেশা।।সেইদিন তুমি বলেছিলে যে তোমার সাথে ভালোবাসার নাটক না করে তোমার জীবন টা চেয়ে নিলে হয়তো ভালো হতো,আজ আমি তোমায় বলছি তুমি যদি আমায় ছেড়ে না গিয়ে আমার জীবন টা শাস্তি সরূপ চাইতে তাহলে আমি হাসতে হাসতে দিয়ে দিতাম।।কি করে পারলে নেশা আমায় এতো টা কষ্ট দিতে।।আমি না হয় আমার ভালোবাসাটা বুঝতে পারিনি কিন্তু তুমি তুমি তো আমায় ভালোবাসতে।।তাহলে কেন ছেড়ে গেছিলে নেশা কেন🥺🥺
নেশাঃ কিন্তু আপনি তো নিহাকে…….
ইশানঃ আর কতোটা ছোট করবে নেশা।।তখন ভেবেছিলাম নিহাকেই ভালোবাসি।।কিন্তু বিয়েরদিন সকালে যখন জানতে পারি যে তুমি চলে গেছো তখন জানো আমি কি রিয়েকশন দিবো বুঝতে পারিনি।অথচ আমার খুশি হওয়ার কথা ছিল।।কারন আমি যে তোমায় সহ্য করতে পারতাম নাহ।।কিন্তু আমি ভুল ছিলাম।।তুমি আমার অভ্যাস হয়ে গেছিলে।।আর আমার ভা….
নেশাঃ নিহাকে ডিবোর্স দিলেন কেন
ইশানঃ কথা ঘুরাচ্ছো
নেশাঃ নাহ মানে
ইশানঃ ওর আরেকটা ছেলের সাথে রিলেশন ছিলো।।কেন জানো কারন আমি ওকে ওর অধিকার দিতে পারিনি।।তাই সে আরেকজনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে।।তাই ওকে মুক্তি দিয়ে দেই।।আচ্ছা ওকে কিভাবে অধিকার দিবো বলো, তুমি যে আমার সব জায়গা জুড়ে ছিলে।।সেই জায়গায় অন্য কাউকে কিভাবে বসাবো
নেশাঃ কিন্তু যাই হয়ে যাক আবার নতুন করে কি সব শুরু করা যায় নাহ।।খালামনির কথা ভেবে অন্তত
ইশানঃ 😅😅
নেশাঃ হাসার মতো কি বললাম
ইশানঃ নাহ কিছু নাহ।।আচ্ছা তুমি বলছো আমার নতুন করে সব শুরু করা উচিত তাই তো
নেশাঃ হুম
ইশানঃ ওকে তাহলে তুমি আমার কাছে ফিরে আসো।
সব নতুন করে শুরু করবো
নেশাঃ মমানেহ
ইশানঃ মানে তুমি আমার হয়ে যাও।।আমরা আবার নতুন করে সব শুরু করি।।কথা দিচ্ছি কখনো কষ্ট দিব নাহ।।শুধু ভালোবাসবো।।।আগের সব কিছু ভুলে নতুন করে সব সাজাবো দুইজন মিলে।।হাজারো স্বপ্ন দেখবো আর তা সত্যি করবো।।কি হলো দেখবে আমায় নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন।। বলো দেখবে(নেশার দুইগালে দুই হাত দিয়ে)
নেশা চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছো
ইশান টেনে মুখটা উপরে করলো।
ইশানঃ যেখানে নিজে সব ভুলতে পারছো নাহ সেখানে আমাকে সব শুরু করতে কিভাবে বলছো নেশা।।চলে যাও। আর আমার সামনে এসো নাহ নেশা।।আমি পারবো নাহ তোমায় বার বার ফিরিয়ে দিতে।।তোমায় দেখলে যে খুব লোভ হয় নতুন করে বাচার।।খুব লোভ হয় নেশা🥺🥺
নেশা একটু দুরে গিয়ে দাড়ালো।।ইশান নিজের চোখ গুলো মুছে নিলো।
ইশানঃ সত্যিই তুমি বদলে গেছো। অনেক বদলে গেছো।ওইদিন বলেছিলে তোমার শেষ কান্না দেখে নিতে।।সত্যিই ওইটাই তোমার শেষ কান্না ছিলো।।তুমি তোমার কথা রেখেছো।।আজ আমি হেরে গেছি।।আর দেখ আজ আমি কাদছি
নেশা কিছু বললো নাহ বেরিয়ে গেল রুম থেকে।।সত্যি আজ সে কাঁদেনি।।ইশান এতো কিছু বললো তবুও নেশা কাদেনি।।কিন্তু তার তো কষ্ট হওয়ার কথা।।ইশান যে তাকে ভালোবাসে তা সে বলছে।।তবুও নেশার কিছুই ফিল হয়নি।।তার কারন তো নেশা নিজেও জানে নাহ।হয়তো ফিলিংস গুলোই মরে গেছে নেশার।।
গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে চুপচাপ বেরিয়ে গেল নেশা।।বাড়ির সবাই এখন গভীর ঘুমে।।ইশান সজাগ তা নেশা জানে। কিন্তু আপাদত তা নিয়ে নেশা ভাবতে চায় নাহ।।হাতে কয়েকটা বিয়ারের ক্যান নিয়ে গাড়ির উপর বসে খাচ্ছে আর পাশ দিয়ে গাড়ি যাওয়া দেখছে।।হন বাজিয়ে বাজিয়ে মানুষ নেশার কানের পোকা মেরে ফেলছে।।কিন্তু তাতে কি।।সে না এখান থেকে গাড়ি সরাবে আর নাহ মানুষের কথায় কান দেবে।।
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ খুব জোরে গাড়িতে ধাক্কা মারলো
নেশাঃ এই কোন শালারে আমার গাড়িতে ধাক্কা মারলি।বের হো গাড়ি থেকে।
নীড়ঃ দেখুন ম্যাডাম আমি ইচ্ছা করে করিনি।।একে তো রাত।।আর আপনি ব্যাক সাইডের লাইট অফ রেখেছেন।। আমি বুঝতে পারিনি।
নেশাঃ বুঝতে পারিনি মানে কি হ্যা।।ওকে ওয়েট।।
নেশা গাড়িতে ঢুকে নীড়ের গাড়িটাকে দিলো ধাক্কা।
গাড়ির সামনে দিয়ে একদম ভেঙে গেছে।।
নীড়ঃ ইউ ব্লাডি পিপল😡।।আমার ফেবারিট গাড়ি ছিলো এইটা।
নেশাঃ সো হোয়াট।।আমি ও খেয়াল করিনি।আপনার গাড়ি আমার গাড়িকে ধাক্কা মেরেছে আর আমার টা আপনাকে।।এখন কিছু বলার হলে গাড়িকে বলুন।।আমার কি দোষ
নীড়ঃ লাইক সিরিয়াসলি মাঝরাতে একটা মেয়ে মাতাল হয়ে পাগলামি করতে লজ্জা লাগছে নাহ
নেশাঃ নাহ লাগছে নাহ।।।আর আমি মাতাল হই আর যাই হই।।নিজের টাকায় হয়েছি।।।আপনার কি
নীড়ঃ কি থেকে কোথায় নিয়ে যায়।।পাগল একটা।
নেশাঃ এই যে মি.। বাবা মা লেখাপড়া শিখায়নি আপনাকে
নীড়ঃ ও হ্যালো লেখাপড়া শিখার কথা এখানে আসলো কেন
নেশাঃ আসবেই তো। মেয়েরা যে পাগল হয় নাহ তা কি আপনি জানেন নাহ।লজ্জার কথা।
নীড়ঃ আরে এখানে লজ্জার কি হলো।।আর মেয়েরা পাগল হয় নাহ কে বললো
নেশাঃ মেয়েরা পাগল হয়নাহ মেয়েরা হয় পাগলি।।ঠিকাছে।।এতো বড় একটা ধামড়া গরু হয়েও এইসব জানেন নাহ।
নীড়ঃ হোয়াট দা🤬🤬🤬🤬🤬
(আসলে নেশা পাল্টালেও ড্রিংক করলে পুরো মাতাল হয়ে আগের নেশায় ফিরে যায়)
নেশা ডেম কেয়ের ভাব নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো
নীড়ের সামনে গিয়ে
নেশাঃ একটা কথা বলবো
নীড়ঃ কি!?🤨
নেশাঃ আপনি নাহ অনেক সুন্দর
নীড়ঃ 🤨🤨🤨🤨🤔
নেশাঃ একদম চাঁদের মতো সুন্দর।। কিন্তু রাগলে পুরো টমেটো হয়ে যান
নীড়ঃ এই মেয়ে তুমি কিসব বলছো হ্যা🙄🙄(নীড় যে কখন আপনি থেকে তুমি করে বলছে তা তার খেয়ালই নেই)
নেশাঃ আরে আগে আমার কথা শুনুন।।আপনি দেখতে তো চাঁদের মতোই।।কিন্তু চাঁদের কি দাড়ি হয়😂😂
নীড়ঃ 🤨🤨🤨(নীড় কি বলবে ও তো নেশার হাসিতেই ফিদা😍)
নেশাঃ ওকে সে যাই হোক।।টাটা।।নাইস টু মিট ইউদ ইউ দাড়ি ওয়ালা চাঁদ😂
নেশা চলে গেল।
।নীড় গাড়ির নাম্বার টা দেখে নিলো ভালো করে।।কেন করলো তা নিজেও জানে নাহ।।কেন জানি তার এই মেয়েটার সব তথ্য জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।।
গিয়ে নিজের গাড়িতে বসলো।একটু আগের ঘটনা গুলো মনে করেই নিজের অজান্তেই হাসি দিলো
চলবে