ভালোবাসা_এমনও_হয়
part_08,09
Writer_Nusrat_jahan
part_08
নেশাঃ কিহহহহহ😳😳
রোজাঃ কি হলো তুমি অবাক হচ্ছো কেন🤔
নেশা আর কিছু বলতে পারলো নাহ।।
জি অজ্ঞান হউএ গেছে🙊🙉।এতো বড় শক থেকে আর কি হতে পারে তার জন্য😂।
রোজা গিয়ে ধরতে যাবে তার আগেই নীরব গিয়ে ধরে ফেললো।
রোজাঃ স্যার আপনি🤔🤔
নিরবঃ আমি এইদিকে দিয়ে যাচ্ছিলাম।।।তখন দেখলাম নেশা পরে যাচ্ছে।। আচ্ছা এইসব কথা বাদ দাও।। পানি নিয়ে আসো।।
রোজা গিয়ে পানি নিয়ে আসলো।।নিরব নেশার মুখে পানির ছিটা দিলো।।কিন্তু জ্ঞান ফিরছে নাহ।।
নিরব নেশাকে কোলে তুলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল।।তারপর নিজের কেবিনে নিয়ে গেল।।রোজা ও পিছে পিছে গেল।।আসলে ক্লাসে অনেক গরম তো তাই নিরব ভাবলো কেবনে নিলে হয়তো জ্ঞান ফিরতে পারে😑।।
।
এইদিকে ইশানের কানে খবর গেল নেশা অজ্ঞান হয়ে গেছে।।দৌড়ে যেতে নিলো তার আগেই নেশাকে নিরবের কোলে দেখে মাথায় আগুন ধরে গেল।।সেইখানে নাহ গিয়ে উল্টো হাটা ধরলো।।।আবার কিছুক্ষণ পর নিরবের কেবিনে ঢুকে পড়লো।।
নেশার জ্ঞান ফিরে নি এখনো।।ইশান গিয়ে নিরবকে সরিয়ে নেশার কাছে দাড়ায়ে তার জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করলো।
নিরবঃ আমি দেখিছি তো🙄
ইশানঃ এতোক্ষণ অনেক দেখেছেন।।আমার জিনিস আপনাকে এতো দেখতে কে বলেছে(দাঁত চেপে)
নিরবঃ মানে!কোন দেখার কথা বলছো তুমি🤨
ইশানঃ কিছু নাহ।।আচ্ছা ও অজ্ঞান হলো কিভাবে
রোজাঃ আসলে ভাইয়া আমি আর নেশা মিলে কথা বলছিলাম।।কথার মধ্যে আপনার কথা বলতে ও খুব অবাক হয়ে যায়।।আর অজ্ঞান হয়ে যায়।
ইশানঃ আমার কথা মানে!?
রোজাঃ তাতো জানি নাহ কেন।।।বাট আমি যখন আপনার নাম বলি যে আপনি আমাদের ভিপি স্যার তখনই ও জ্ঞান হারায়।।
ইশান বুঝতে পারলো এইটা শুনে নেশা ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।।
ইশানের ইচ্ছা করছে বোম ফাটানো হাসি দিতে।।কিন্তু আপাদত হাসিটা আসছে নাহ।।কারন নিরব নেশাকে কোলে নিয়েছে।।যার জন্য ইশানের মাথা গরম।।
।
।
একটুপর
নেশার জ্ঞান ফিরলো।
রোজাঃ ওইতো নেশার জ্ঞান ফিরেছে।।
নেশা ইশানকে দেখে কোনাচোখে তার দিকে তাকালো।।ইশান তার দিকেই তাকিয়ে আছে।।রাগি চোখে।।
নেশা ঢুক গিললো
নেশাঃ আল্লাহ ভাইয়া যদি ভিপি হয় তাহলে আমাকে তো আজ ও শেষই করে দিবে।।আমি কি না একটা গাধা। ওর সামনেই ওকে মারার কথা বলছিলাম🤦♀🤦♀😭।যেই ভাবে তাকিয়ে আছে মনে তো হচ্ছে চোখ দিয়েই জ্বালিয়ে দিবে 😭
রোজাঃ কিরে নেশা এখন ঠিক আছিস?
নেশাঃ হহ্যা😥
নিরবঃ আমরা তো টেনশনেই পড়ে গেছিলাম।।হঠাৎ করে জ্ঞান হারালে কেন?
নেশাঃ জজানি ননহা😣
নেশা আবার ইশানের দিকে কোনাচোখে তাকায়।।ইশান এখনো বাঘের মতো তাকিয়ে আছে।।
নেশাঃ উফ এই লুক দিচ্ছে কেন।।আমি নাহ ভয়ে হার্টএটাক করি।।ইশ আমি যদি মারা যাই আমার বাচ্চা গুলার কি হবে😣।।ধুর কিসব ভাবছি।।আমার তো বেবিই নেই🤦♀🤦♀
নেশা বিরবির করে কথা গুলো বলছে।।
নেশাঃ আল্লাহ এই ছেলে কিছু বলে নাহ কেন।।
আবার কোনাচোখে তাকালো।।
ইশানঃ নিরব স্যার আজ আর নেশা কলেজে ক্লাস করতে পারবে নাহ।।আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি
নিরবঃ কিন্তু ওতো এখন ঠিক আছে🙄
ইশানঃ আপনাকে যাস্ট বললাম আপনার আনুমতি চাইনি।।
বলেই নেশার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে নিলো-
নিরবঃ নেশা তোমার মোবাইল নাম্বার টা দিয়ে যাও
ইশানঃ 😡
নেশাঃ কেন স্যার
নিরবঃ নাহ এমনি ফোন করে খবর নিতাম আরকি
নেশাঃ ওহহ।।০১……..
ইশানঃ নেশা মোবাইল চালায় নাহ(নেশাকে থামিয়ে)
নেশাঃ আল্লাহ কি মিথ্যা বলে(বিরবির করে)
ইশানঃ কি বিরবির করছিস
নেশাঃ নাহ কিছু নাহ
নিরবঃ মোবাইল চালায় নাহ🤔।।এইটা কি সত্যি
ইশানঃ হ্যাঁ সত্যি তো।।তাই নাহ নেশা।।(দাঁতে দাঁত চেপে)
নেশা ইশান কে দেখে ঢুক গিললো
নেশাঃ হহহ্যা।।ইশান ভভাইয়া ঠিক ববলছে😶
নিরবঃ আরে বাহ।।এই যুগের মেয়ে হয়ে মোবাইল চালাও নাহ।।ইম্প্রেসিভ।।
ইশানঃ বাই।
নিরবকে আর কিছু বলতে নাহ দিয়ে ইশান নেশার হাত ধরে বেরিয়ে গেল।।।নেশাও কিছু বলছে নাহ।।কারন এখন কিছু বলতে গেলে মাইরও খেতে হতে পারে
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
ক্যাম্পাস দিয়ে বের হওয়ার সময় সায়ান সামনে এসে দাড়ায়।।
ইশানঃ হোয়াট।।রাস্তা আটকালি কেন🤨
সায়ান ভাবলো ইশান তার উপর কালকের ঘটনার জন্য রেগে আছে।।
সায়ানঃ আসলে ইশান কালকের জন্য সরি।।আমি জানতাম নাহ যে ও তোর বোন হয়
ইশানঃ ওকে বলা শেষ।। এখন যাই
সায়ানঃ আরে বাবা রাগছিস কেন
ইশানঃ আমি রাগ করছি নাহ।।আর তোর সাথে এই ব্যাপারে পরে কথা বলবো।এখন আমাকে যেতে দে
সায়ানঃ আরে সরি বললাম তো।।আচ্ছা নেশাকে ও বলছি।।নেশা আই এম সো সরি।।তুমি যদি আগেই বলে দিতে তুমি ইশানের বোন তাহলে এমনটা হতো নাহ
নেশাঃ সসসসসমমসস্যা নননেইইই ভভভাইইয়া
সায়ানঃ তুমি তোতলাচ্ছো কেন
নেশাঃ ককই😶
সায়ানঃ তু….
ইশানঃ সায়ান পথ ছাড়। এই ব্যাপারে আমরা পরে কথা বলবো
বলেই ইশান সায়ানকে সাইডে ফেলে চলে গেল।।সায়ানের মাথায় কিছুই ঢুকলো নাহ।
।
।
।
।
প্রায় আধাঘন্টা ধরে গাড়িতে বসে আছে ইশান।।না ড্রাইভ করছে আর না কথা বলছে।।নেশা একটু পর পর তাকাচ্ছে।।তাতে ইশানের কোন হেলদোল নেই।।
উপায় নাহ পেয়ে নেশা কথা বললো।
নেশাঃ ভাইয়া আর কতোক্ষন থাকবা।।বাড়ি যাবো নাহ আজ😕
ইশানঃ হুম
নেশাঃ তাহলে গাড়ি চালাচ্ছো নাহ কেন।।গাড়ি না চালালে যাবো কিভাবে
ইশানঃ হুম
নেশাঃ কিছু বলছি তোমায়
ইশানঃ হুম
নেশাঃ আরে আজব তো কি হুম হুম করছো।।কিছু বলছি কানে ঢুকছে তোমার😡😡(চিৎকার করে)
ইশানঃ 🤬চিল্লাস কেন।।আমি কি কালা নাকি হ্যাঁ
নেশাঃ না তুমি কালা হয়ে যাবে কেন।।আচ্ছা কি হয়েছে বলবে।।যাওয়ার সময় তো মুড ভালোই ছিলো।।এখন কেন অপ করে আছো
ইশানঃ তুই আর কাল থেকে কলেজে যাবি নাহ
নেশাঃ মানে(শকড)
ইশানঃ মানে তুই আর কলেজে যেতে পারবি নাহ।।তোর আর এই কলেজে পড়া হবে নাহ।।ইনফেক্ট কোন কলেজেই তুই পড়বি নাহ
নেশাঃ আরে বাট কেন।।আমি কি করেছি
ইশানঃ কিছু করিসনি।। আমি বলেছি তাই যাবি নাহ ব্যস
নেশাঃ বললেই হলো। আমি কলেজে যাবো।।
ইশানঃ 😡আমার মুখে মুখে কথা বলছিস তুই।।তোর তো দেখছি খুব সাহস বেরে গেছে
নেশাঃ এখানে সাহসের কি হলো।।যা সত্যি তাই বলছি।।আমি কলেজে কেন যাবো নাহ ওইটা তো বলো।আমার কি দোষ
ইশানঃ বললাম কোন দোষ নেই।।কিন্তু তুই কলেজে পড়তে পারবি নাহ।।এইটাই কথা।
নেশাঃ আমি পড়বো মানে পড়বো আর এই কলেজেই পড়বো।
ইশানঃ নেশা আমি নাহ বলেছি🤬
নেশাঃ তোমার নাহ আমি শুনবো নাহ।।আমি পড়বো পড়বো। ব্যাস।
ইশান রেগে নেশার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।
নেশা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।।না নেশার কাছে এটা নতুন নয়।।ইশান আগেও তাকে এইভাবে মেরেছে।।।তাহলে কি আগের ইশান ফিরে আসলো।।
নেশা চুপচাপ গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে গেল।।ইশান ও আটকালো নাহ।।কারন এখন নেশার পিছন গেলে উল্টে আরো রাগ বেরে যাবে।।আপাদত ইশান নেশাকে রাগ দেখাতে চাইছে নাহ।।
।
।
।
।
বিকালে ইশান বাড়ি ফিরে এলো।।
মিনাঃ কিরে তুই কোথায় ছিলি।।আর নেশার কি হয়েছে।
ইশানঃ নেশা?কেন কি হয়েছে
মিনাঃ দুপুরে কিছু খায়নি।।দরজা বন্ধ করে৷ বসে আছে।।।কেউ কি কলেজে কিছু বলেছিলো?
ইশানঃ আমি দেখছি তুমি যাও।
।
।
।
নেশার রুমের সামনে গিয়ে ইশান দরজায় লক করলো।
ইশানঃ নেশা দরজা খুল।।আমার কথা আছে।।
নেশাঃ আমি এখন কোন কথা বলবো নাহ ভাইয়া। তুমি পরে এসো।
ইশানঃ নেশা দরজা খুল।।আমি চাইছি নাহ দরজাটা ভাঙতে।।
নেশা গিয়ে দরজা খুলে দিলো।।ইশান ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো।
ইশানঃ নেশা তুই এতো রিয়েক্ট করছিস কেন মনে হচ্ছে জীবনে আমার মার এই প্রথম খেলি।
নেশা ঘুরে ইশানের দিকে তাকালো।।ইশান দেখেই অবাক হয়ে গেল।।ফর্সা গালে পাচ আঙুলের দাগ বসে গেছে।।নিশ্চয়ই ইশানের চড়ের কারনে হয়েছে।।আজ একটু বেশিই রেগে ছিলো।তাই হয়তো জোরেই মেরে দিয়েছে।
ইশানঃ আই এম সরি নেশা।।আমি আসলে রেগে
নেশাঃ সমস্যা নেই।।অভ্যাস আছে।
ইশান বুঝলো নেশা রেগে কথাটা বলেছে।।
ইশানঃ সরি তো
নেশাঃ আমি আর কলেজে যাবো নাহ ভাইয়া।।তুমি যা বলেছো তাই হবে
।
ইশানঃ আরে আমি তো ওইসময় রাগে বলেছিলাম😔।।তুই ওই কলেজেই যাবি।।এখনতো একটু হাসি দে
নেশাঃ 🤕🤕🥺
ইশানঃ আচ্ছা কাল কলেজ থেকে আসার সময় ওইখানে আইসক্রিম খাবো।।২ জন মিলে
নেশাঃ 😔
ইশানঃ আচ্ছা ফুচকা খাবো একসাথে 😊
নেশাঃ 😔
ইশানঃ আচ্ছা তাহলে চকলেট দিবো অনেক গুলা।।এখনতো একটু হাসি দে
নেশাঃ 😞
ইশানঃ এখনো রাগ কমেনি
নেশাঃ নাহ
ইশানঃ ওহহ তো রাগ কি কিছু দিলেই কমবে নাহ
নেশাঃ নাহ
ইশানঃ এতো রাগ দেখাছিস কেন বলত
নেশাঃ তো কি করবো।।যদি সব গুলো একসাথে অফার করতে তাহলে রাগ কমতো
ইশানঃ মানে🤨
নেশাঃ আমার আইসক্রিম, ফুচকা,চকলেট সব একসাথে চাই।।তাহলে রাগ কমবে😁
ইশান ফিক করে হেসে দিলো।
ইশানঃ তুই কিন্তু দিন দিন রাক্ষসী হয়ে যাচ্ছিস
নেশাঃ হুহ তাতে তোনার বাপের কি😏😏
।
।
।
পরেরদিন কলেজে
রোজাঃ জানো নেশা কি হয়েছে
নেশাঃ কি
রোজাঃ নিরব স্যার কে ইশান ভাইয়া প্রিন্সিপাল কে বলে এই কলেজ থেকে টান্সফার করে দিয়েছে
চলবে
#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#writer_Nusrat_jahan
#part_09
নেশাঃ ট্রান্সফার তাও আবার ইশান ভাইয়া!বাট কেন?
রোজাঃ তাতো জানি নাহ।।শুনেছি ইশান ভাইয়া নাকি প্রিন্সিপালের কাছে কমপ্লেন করেছে স্যারের নামে।।।আর তাই প্রিন্সিপাল স্যার তাকে এই কলেজ থেকে রিজাইন নিতে বলেছিলো।।বাট স্যার নেয়নি।।তাই প্রিন্সিপাল স্যার উপর মহলের লোকদের জানিয়ে স্যারকে এই কলেজ থেকে সরিয়ে দেয়।।
নেশাঃ এমনকি আদোও সম্ভব 🤔
রোজাঃ কেন সম্ভব নাহ যেখানে ইশান ভাইয়া নিজে বলেছে।।সেখানে স্যার এই কলেজ থেকে বের না হয়ে কি উপায় আছে।।
নেশাঃ তাও ঠিক।বাট কি এমন করলো স্যার
রোজাঃ তাতো জানি নাহ।।তুমি বরং ভাইয়া কেই জিজ্ঞাসা করো।
নেশাঃ হু
।
।
।
।
ছুটির পর।।ইশান একটু পর পর নেশার দিকে তাকাছে আর ড্রাইভ করছে।।কারন নেশা এখনো একটা কথাও বলেনি।।ইশান গাড়িটা সাইড করে নেশার দিকে ঘুরলো।
ইশানঃ কিছু কি হয়েছে নেশা।।কেউ কিছু বলেছে?
নেশাঃ নাহ
ইশানঃ তাহলে
নেশাঃ কিছু নাহ।
ইশানঃ আমি বলতে বলছি
নেশাঃ বললাম তো কিছু নাহ
ইশানঃ বলবি😡
নেশাঃ একটা কথা জিজ্ঞাসা করি
ইশানঃ কি
নেশাঃ তুমি নিরব স্যার এর নামে কমপ্লেন করেছিলে কেন।।স্যার কি করেছে?
ইশানঃ এইটার জন্য এতো মন খারাপ।।তা নিরবকে মিস করছিস নাকি
নেশাঃ ছি ভাইয়া।।উনি তোমার স্যার হয়।
ইশানঃ ধুর।।বেশি হলে ৪ বছরের বড় হবে।।একে স্যার বলবো কেন
নেশাঃ হুহ।।আচ্ছা বাদ দাও।। বলো কেন করলে এমন।।স্যার কি কিছু করেছে
ইশানঃ হ্যা আসলে স্যারের চরিত্র খুব খারাপ।অনেক মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ করতো।।তাই প্রিন্সিপালকে বলেছি।।
নেশাঃ কিহ স্যার এতো খারাপ😳😕
ইশানঃ হু।।।একটা মেয়ের সাথে খুব বাজে অফার করেছিলো।।ওই মেয়েকে সাথে নিয়ে গেছিলাম।।ও সাথে স্যারের নামে কমপ্লেন করেছে।।
নেশাঃ ওহহ
ইশানঃ হ্যা তো বুঝেছিস কেন কমপ্লেন করেছি
নেশাঃ হুম😞
ইশানঃ তো এখন বাড়ি যাওয়া যাক।।
ইশান নেশাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলো।।
।
।
।
।
২ দিন পর।।
ইশান প্রতিদিনই দেখে নেশা কি এক ব্যাপার নিয়ে যেন চুপচাপ হয়ে আছে।।
ইশানঃ কিরে তুই এমন চুপচাপ হয়ে আছিস কেন কয়দিন ধরে
নেশাঃ কিছু নাহ ভাইয়া কিছু নাহ
ইশানঃ নাকি নিরব স্যার কে মিস করছিস
নেশাঃ 😒😒😒
ইশানঃ আচ্ছা বলবি তো কি হয়েছে
নেশাঃ আসলে ভাইয়া নিরব স্যারকে যতোদুর দেখেছিলাম দুইদিনে উনাকে খুব ভালোই ভেবেছিলাম।।আর দেখো কি হয়ে গেল।।মানুষকে ভালো করে চিন্তেই পারলাম নাহ এখনো
ইশানঃ এই জন্য মন খারাপ🤔🤔
নেশাঃ মন খারাপ নাহ।।ভাবছিলাম আরকি.।মানুষকে সহজে বিশ্বাস করা ঠিক নাহ
ইশানঃ হু।।তাই তো বললাম কলেজে যার তার সাথে বন্ধুত্ব করিস না
নেশাঃ হুম😔
ইশানঃ আচ্ছা বাদ দে।।।একটু চা বানিয়ে খাওয়া
।
নেশাঃ ওকে।
নেশা চা বানাতে চলে গেল।
ইশানঃ সরি গো নেশা বেবি।।নিরব তো খারাপ নাহ আমি খারাপ বানিয়েছি।।ওই মেয়েকে তো আমিই বলেছি নিরবের নামে বানিয়ে বলতে।।কি করবো বলো আমার খেলাতে কেউ বাধা দিবে তাতো হতে পারে নাহ😂😂😂
।
।
।
।
পরেরদিন কলেজে
নেশা খেয়াল করলো ইশান একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে।।নেশা লুকিয়ে তাদের কথা শুনার ট্রাই করলো
ইশানঃ ইভা বিশ্বাস করো যেদিন তোমায় দেখেছি আমি পাগল হয়ে গেছি।।আই রেলি লাভ ইউ
ইভাঃ কিন্তু তুমি তো প্রেম করো
ইশানঃ আরে ওইগুলাতো যাস্ট টাইম পাস ছিলো।।তুমি আমার আসল ভালোবাসা।। তোমাকে দেখে আমি শিখেছি ভালোবাসা কাকে বলে।প্লিজ এক্সেপ্ট মি ইভা।।আমি তোমায় ছাড়া বাচবো নাহ😪
ইভাঃ তুমি সত্যি বলছো😊😊🤗
এইদিকে
নেশাঃ আহা আমার প্রেমিক সাগররে।।আজ তোমার প্রেম করা গোচাচ্ছি
নেশা ফট করে দুইজনের মাঝখানে চলে গেল।
ইশানঃ আরে নেশা তুই😳😳
নেশাঃ হ্যা জান আমি এখানে।।তুমি নাহ বললে আজ আমায় তোমার মার সাথে দেখা করিয়ে বিয়ে ঠিক করবে
ইশানঃ কিসব বলছিস তুই এগুলো😡
ইভাঃ ও কে ইশান আর ওকে বিয়ে করবে মানে কি🤬
ইশানঃ আরে বেবি ওইরকম কিছু নাহ
ইভাঃ তাহ….
নেশাঃ আরে বেবি তুমি ভয় পাচ্ছো কেন।।ইভাকে বলে দাও।।ওতো তোমার বোনের মতোই।।ওর থেকে লুকানোর দরকার কি😁
ইভাঃ হোয়াট! বোন🤬
ইশানঃ নেশা তোকে তো😡😡
নেশাঃ উফফ বেবি তোমার এই ছোট বলার তুই বলার অভ্যাস এখনো গেল। আসলে আপু আমরা ছোট থেকেই একে অন্যকে ভালোবাসি।।তাই ও এখনো আমাকে তুই করেই বলে
ইভাঃ তার মানে ইশান তুমি আমাকে মিথ্যা বলেছো
ইশানঃ আরে নাহ ও মিথ্যা বলছে।।আরে ওতো আম….
।
নেশাঃ এই রে ভাইয়া তো সব বলে দিচ্ছে।।কিছু একটা করতে হবে।।(মনে মনে)
নেশাঃ আহ আমার মাথাটা।।(বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল😝)
ইশান গিয়ে নেশাকে ডাক দিতে লাগলো
ইশানঃ এই নেশা কি হলো আবার।।এই উঠ। এই নেশা
উপায় না পেয়ে কোলে তুলে নিয়ে যেতে নিলো ইভা এসে আটকালো
ইভাঃ তুমি ওকে কোলে তুলেছো কেন😡
ইশানঃ দেখছো ও অজ্ঞান হয়ে গেছে আর তুমি আমার পথ আটকাচ্ছো।।রাস্তা থেকে সরো।।তোমার সাথে পরে কথা বলবো
ইভাঃ তার মানে এই মেয়েটা যা বলেছে সব সত্যি
ইশানঃ এইসব নিয়ে পরেও কথা বলা যাবে ইভা
ইভাঃ নাহ সব এখন বলো
ইশানঃ উফফ হ্যা ও যা বলেছে সব সত্যি।। হেপি।।এখন আমায় যেতে দাও। ইডিয়েট
বলেই ইভাকে পাশ কাটিয়ে ইশান চলে এলো।।
নেশাকে নিয়ে একটা খালি রুমে নিয়ে গেল।।পানি যেই নাহ মুখে ছিটাতে যাবে দেখে নেশা উঠে বসে আছে
ইশানঃ তুই ঠিক আছিস🤨🤨
নেশাঃ আমারতো কিছু হয়নি
ইশানঃ মানে
নেশাঃ আসলে তুমি তখন ওই মেয়েকে সব সত্যি বলে দিচ্ছিলে তো তাই এই নাটক টা করলাম।।আমি জানতাম আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে তুমি আগে আমাকে ধরবে।।
ইশানঃ এতো বিশ্বাস
নেশাঃ হুহ😁
ইশানঃ আচ্ছা বুঝলাম।।তা এই মেয়েকে মিথ্যা কেন বললি।।আমি কবে তোকে বিয়ে করবো বললাম
নেশাঃ আসলে ওই মেয়েটাকে আমার পছন্দ নাহ।।কেমন নাক বোচা।।দেখতে চাকমাদের মতো।।চোখ গুলো চাইনিজ দের মতো ছোট ছোট।দেখতে হনুমানের বোনের মতো লাগে।।এইসব মেয়েদের সাথে লাইন মারা ঠিক হবে নাহ।।যতোই হোক আমার ভাই বলে কথা।।যার তার সাথে প্রেম করা মানায় নাকি😇
ইশান কিছুক্ষণ রাগি চোখে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলো।নেশাও সাথে হেসে দিলো।
।
।
এই ভাবে কয়েকদিন কেটে গেল।।ইশান নেশার অনেক কেয়ার করে।বলতে গেলে একেবারে চোখে হারায়।।
নেশাও দিন দিন ইশানের উপর আরো দুর্বল হয়ে পরছে।।ভালোবেসে ফেলছে তাকে।
কিন্তু তবুও নেশা তার ফিলিংস গুলোকে দমিয়ে রেখেছে।।কারন রক্তের সম্পর্কে না হলেও সমাজের সম্পর্কে তারা ভাই বোন।তারউপ্র ইশান তার জন্য সেইম ফিল করে কিনা তা ও নেশা জানে নাহ।
একদিন কলেজ থেকে ফিরার সময় নেশা বললো সে আইসক্রিম খাবে।। ইশান গাড়ি থামিয়ে আইসক্রিম পার্লারে নিয়ে গেল
।
নেশা গপাগপ খাচ্ছে আর ইশান দেখছে
নেশাঃ কি দেখছো এইভাবে আমার পেট ব্যাথা করবে তো।
ইশানঃ আচ্ছা নেশা আমার দিকে তাকাতো একটু
নেশাঃ কেন
ইশানঃ তাকা তো
নেশাঃ আচ্ছা বলো(ইশানের দিকে তাকিয়ে)
ইশানঃ তুই কি কিছুই বুঝিস নাহ নেশা
নেশাঃ কি বুঝবো
ইশানঃ আমার ফিলিংস গুলো
নেশা চোখ নামিয়ে নিলো।।কারন এই ফিলিংস গুলো থেকেই তো সে পালাতে চেয়েছিলো।।কারন ভেবেছিলো সে একাই ইশানকে।।।কিন্তু আজ।।ইশান ও কি তাকে…..
।
।
।
চলবে