ভালোবাসার টান
part:51,52
writer:Tanzidaa Jannat
51
ইফতিঃ এই মিসকা দাড়াও কি হলো,,,,,
পিছন থেকে হাত টেনে ধরে ওর সামনে দাড়ায়,,,,,, মিসকা চারোদিকে খুজতে থাকে এপাশ ওপাশ তাকিয়ে,,,,
ইফতি এই মিসকা কাকে খুজছো এভাবে,,,,
মিসকাঃ হ্যা,,,না মানে নী,,,,( বলেই থেমে গেলো)
ইফতিঃ নী??
মিসকাঃ না না এখন কিছু বলা যাবে না,,,, আমিতো পুরোপুরি সিওর না,,,, 😑
ইফতিঃ কি হলো এতো কি ভাবছো??
মিসকাঃ না আসলে আমার এক ফ্রেন্ডকে দেখলাম মনে৷ হলো,,,,,তুমি তখন ডাকলে না তারপর তাকাতেই দেখি নেই সেজন্য আর কি😞
ইফতি ঃ ও আচ্ছা এই কথা আমি ভাবলাম কি যেন হয়েছে,,, এখন চলো সবাই ওয়েট করছে,,,,,
মিসকাঃ হুম,,,
মোহনাঃ কিরে কোথায় গিয়েছিলি??
মিসকার দুলাভাইঃ আরে বুঝনা সদ্য বিয়ে হয়েছে এজন্য রোমান্স করতে গিয়েছিলো😂😂😂
মিসকাঃ দুলাভাই কিসব বলছেন বাচ্চাদের সামনে😑😑মোটেও আমরা ওসবে ছিলাম না
ইফতি কিছু না বলে মুচকি মুচকি হাসছে,,,,
মিসকার দুলাভাইঃ হুম বুঝি বুঝি এমন সময় আমাদের ও গিয়েছে তোমরা যে কি করছিলে তা ইফতির হাসি দেখলেই বুঝা যায়
মিসকাঃ ইফতির দিকে তাকিয়ে দেখে ইফতি মুচকি হেসেই চলেছে,,,,,
রাক্ষস একটা 😡এমনি হাসি পায় না,,,,,, এখন দেখ হাসিই থামছে না,,,,, 😠দুলাভাইয়ের সামনে আমাকে লজ্জায় ফেলানোর ধান্দা 😡
ইফতি মিসকার দিকে তাকিয়ে আরো বেশি করে হাসছে,,,,মিসকার রাগি লুকে একদম লাল টমেটোর মতো লাগছে😂😂😂
ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে যায়,,,,
মোহনাঃ তোমাদের কথার ঝুড়ি শেষ হলে এবার খাওয়া শুরু করো,,,,,রাত কতো হয়েছে খেয়াল আছে,,,??
ইফতিঃ হ্যা আপু ঠিক বলেছেন,,,,
সবাই খাচ্ছে কিন্তু মিসকা খাবার মুখে দিতেই পারছে না,,,বার বার শুধু নীলার নাম টা মনে পরছে,,,,
ইফতিঃ মিসকা খাচ্ছ না কেনো? অন্য কিছু খাবে??
মিসকাঃ না না খাচ্ছি তো,,,,
মিসকা নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে খাওয়া শুরু করছে,,,, কিন্তু খাবার গলা দিয়ে নামছে না তবুও কষ্ট করে খেয়ে নিচ্ছে,,,,,
খাওয়ার পর্ব শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়,,,,,
গাড়ির ভিতর সবাই মজা করছে হাসছে কিন্তু মিসকা গাড়ির থাই নামিয়ে বাইরের দিক তাকিয়ে আছে,,,,,, ইফতি সবার সাথে হাসলেও বার বার মিসকার দিকে তাকাচ্ছে,,,,, মিসকার কিছু একটা হয়েছে সেটা ওর বুঝতে একটুও কষ্ট হচ্ছে না,,,,কিন্তু কি এমন হয়েছে? তখনকার ঘটনার আগেও মিসকা নরমাল ছিল,,,,তাহলে,,,
একসময় বাসার সামনে এসে গাড়ি থামায়,,,,,,,
সবাই নেমে পড়ে,,,,, ইফতি সিফাতের কাছে গাড়ির চাবি দিয়ে বাসায় চলে যায়,,,,
মিসকা যা যা সপিং করেছে সবকিছু ওর মা আর শ্বাশুড়ি মাকে দেখাচ্ছে,,,,
মিসেস নিলুফাঃ তোরা ডিনার করেছিস তো??
মিসকাঃ হুম আর তোমাদের জন্যেও নিয়ে এসছি😊
হিয়াঃ মাম্মাম মাম্মাম,,,
মিসকাঃ হুম বলো শুনি
হিয়াঃ আমি আজকে নানুভাইয়ের সাথে ঘুমাবো😑
মিসকাঃ ওকে
মিম- মুন্নি ঃ ইয়ে খালমুনি তুমি অনেক ভালো। আমরা তিন বোন আজ নানুভাইয়ের সাথে ঘুমাবো,,,,
তিনজন খুশি হয়ে চলে গেলো,,,,
সবার খাওয়ার শেষ করে ঘুমাতে যায়,,,,রাত প্রায় ১২ টা,,,
ইফতিঃ রুমে এসে দেখে মিসকা নেই,,,,বারান্দায় আছে ভেবে ওয়াশরুমে যায় ফ্রেস হতে,,,
ফ্রেশ হয়ে বাইরে এলে দেখে মিসকা এখনও রুমে আসে নি,,,বারান্দায় গিয়ে দেখে সেখানেও নেই,,,,,ইফতির বুকটা ঢুক করে ওঠে,,,,
ইফতিঃ আমি তো আপু দুলাভাইয়ের রুম থেকে আসলাম ওখানে তো না তবে গেলোটা কোথায়,,,,
বার বার পায়চারি করতে লাগলো,,,
ইফতিঃ হুম মিসেস ইফতি ওখানেই আছে🙂
ইফতি একটুও দেরী না করে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে,,,,, ছাদে এসে ইফতির চোখে পানি চলে আসলো,,,,আশ্চর্য ছাদও তো ফাকা,,,, তাহলে মিসকা গেলো কোথায়??ইফতি হাটু গিড়ে বসে পরলো,,,,,,কোথায় গেলো মিসকা,,,,মনে হচ্ছে ইফতির ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে,,,,,
হঠাৎ মনে হলো একটা কোনে কেউ একজনের ছায়ার মতো,,,,চুল উড়ছে,,,
ইফতি বুঝতে পারলো এটা অন্য কেউ না দৌড়ে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে,,,,
মিসকা একদম ভয় পেয়ে যায়,,,,,
তবে যখন এই চেনা শরীরের গন্ধটা মিসকা পায় তখন সব ভয় নিমিষেই উধাও হয়ে যায়,,,,,,
ইফতিঃ হঠাৎ কি হলো তোমার??
মিসকাঃ কোথায় কিছু না তো,,,,
ইফতি মিসকাকে ইফতির দিকে ঘুরিয়ে বলে আমি জানি তোমার কিছু একটা হয়েছে তবে আমি তোমাকে জোর করবো না,,,,,,, তোমার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে তোমার যখন মনে হবে আমাকে বলা উচিত তখনই জানিও,,,,,,তবে হ্যা আমার এই নিরব শান্ত বউ চাই না,,,, আমাকে আমার আগের বউকেই ফিরে পেতে চাই,,,,😊
ইফতির মুখে বউ কথাটা শুনে মিসকা ইফতিকে জড়িয়ে ধরলো,,,
মিসকাঃ হ্যা আমিই তোমার বউ শুধু তোমার বউ,,,😢।
ইফতিঃ কি হলো,,,এমন করে বলছো কেন?? যেভাবে বলছো মনে হচ্ছে তুমি ছাড়া আমার আরো শত শত বউ আছে😂😂😂
মিসকাঃ মেরে দিব তোমায়,,,,, আমি ছাড়া তোমার অন্য বউ নেই আর হবেও না 😑( ইফতিকে ছেড়ে দিয়ে মুখ গোমড়া করে দাড়িয়ে আছে)
ইফতিঃ আচ্ছা বাবা ছড়ি,,,,,,,
মিসকাঃ আচ্ছা ইফতি একটা কথা জিগ্যেস করি সঠিক উত্তর দিবে,,,??
ইফতিঃ হুম বলো,,,
মিসকাঃ ধরো একটা মেয়ে একটা ছেলে দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে,,,,কিন্তু তাদের সাথে এমন কিছু ঘটনা ঘটে তারা দুজন আলাদা হয়ে যেতে বাধ্যে হয়,,,,,কিছু বছর পর তাদের আবার দেখা হয় তারা আজও দুজন দুজনকে ভালোবাসে,,,,কিন্তু প্রবলেম হলো তাদের মাঝে এখন একজন তৃতীয় ব্যক্তি আছে।তার সাথে ছেলেটির বিয়ে ঠিক। ঐমেয়েটিও ছেলেটিকে খুব ভালোবাসে,,,,,কিন্তু মেয়েটি জানতে পারে তার ফিওন্সি আরেকটা মেয়েকে ভালোবাসে খুব বেশিই ভালোবাসে,,,তখন ঐমেয়েটির কি করা উচিত??
( মিসকা বলছে আর চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরছে,,,,)
ইফতিঃ কাবাবে হাড্ডি না হওয়াই ভালো
মিসকাঃ মানে??( অবাক হয়ে ইফতির দিকে তাকিয়ে)
ইফতিঃ যেহেতু ছেলে মেয়েটিকে আর মেয়েও ছেলেটিকে ভালোবাসে,,,,, সেক্ষেত্রে একতরফা ভালোবেসে বিয়ে করা বোকামি হবে,,,,,কারন ছেলেটি এখনও ঐমেয়েটিকে ভালোবাসে। যদিও ছেলেটি তার জন্য ঠিককরা মেয়েকে বিয়ে করে তারা দুজনের একজনও সুখী হতে পারবে না কারন ছেলেটি মেয়েটিকে ভালোবাসতেই পারবে না,,,,,,তিনটা জীবন একসাথে নষ্ট হয়ে যাবে,,,,,তার চেয়ে ভালো হবে মেয়েটি যদি তার হবু বরকে তার ভালোবাসার সাথে মিলিয়ে দেয়,,,, তিনটা জীবনই ভালো থাকবে,,,,যদিও মেয়েটার প্রথম কষ্ট হবে কিন্তু কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে,,,
মিসকাঃ ইফতির কথা শুনে আরো কান্না পাচ্ছে,,, ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কান্না করতে আর বলতে না ইফতি পারবে না মেয়েটা পারবেনা ভুলতে কিছুতেই না,,,,,(মিসকা আড়ালে চোখ মুছে নরমাল হওয়ার চেষ্টা করছে যাতে ইফতি বুঝতে না পারে)
ইফতিঃ আকাশটা কি মেঘলা??মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে
মিসকাঃ রাত তো অনেক হলো,,,,,
ইফতিঃ কিন্তু আজকে ঘুমতে ইচ্ছা করছে না,,,সব তোমার জন্য
মিসকাঃ আমি কি করলাম😟
ইফতিঃ তুমিই তো সবকিছু করলা,,,,,তোমাকে না দেখতে পেয়ে জানো কতো ভয়পেয়ে গেছিলাম😔
মিসকাঃএতটুকুতেই😂 যদি একদিন সত্যি সত্যি হারিয়ে যাই,,,,
ইফতিঃ তোমাকে হাড়াতে দিলে তো আমি হাড়াবে,,,,তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো ছেড়ে দিবো না😉
এরমধ্যেই ঝুম বৃষ্টি নামা শুরু করলো,,,,,
ইফতিঃ তাড়াতাড়ি চলো বৃষ্টি তে ভিজে যাচ্ছি
মিসকাঃ ইফতির কাছ থেকে মিসকা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আকাশের দিক মুখ করে দুহাত ছড়িয়ে দেয়,,,,আস্তে আস্তে ঘুরতে থাকে,,,,ইফতি দাড়িয়ে মুগ্ধ নয়নে মিসকাকে দেখছে,,,,,,,
মিসকা সারা শরীর ভিজে যায়,,,,ইফতির কেমন জানি শিহরণ জাগছে,,, মিসকার এমন পাগলামি ওকে কেমন এক নেশায় টানে,,,, ইফতি আস্তে আস্তে মিসকার দিকে এগোয়,,,
মিসকা কাছে গিয়ে হাত রাখতেই মিসকা ইফতির দিকে তাকায়,,,,ইফতি দুহাত দিয়ে মিসকার মুখ আবদ্ধ করে,,,,,দুচোখে চুমু একে দেয়,,
মিসকা লজ্জায় ইফতির বুকে মুখ লুকায়,,,,,,
ইফতি মিসকাকে জড়িয়ে ধরে মনে হচ্ছে এক অজানা দেশে হারিয়ে যাচ্ছে দুজন,,,,
মিসকা ইফতিকে ধাক্কা দিয়ে একটু খানি ভেংচি কেটে দৌড়ে দেয়,,,
ইফতিঃ আরে আস্তে পরে যাবে,,,মিসকা কথা শোনো ( বলছে আর মিসকার পিছন পিছন দৌড়াচ্ছে,,,)
মিসকা একসময় ছাদের রেলিং ধরে হাপাতে থাকে,,,,ইফতি মিসকার পাশে এসে দাড়ায়,,,,
মিসকা আবার দৌড়ে পালাতে নিলে ইফতি মিসকার আঁচল ধরে ফেলে,,,
মিসকা দাড়িয়ে যায়,,,,,ইফতি মিসকার খুবকাছে চলে আসে,,,,,,
মিসকার নিশ্বাস ভারী হতে থাকে,,,,ইফতি পিঠের চুলগুলো সরিয়ে চুমু একে দেয়,,, মিসকা চোখ বন্ধ করে শাড়ীর খামচে ধরে,,,,
ইফতিঃ মিসকাকে ওর দিকে ফেরালে,,,, মিসকার হাত ইফতির মুখের মুখের উপর রেখে স্লাইড করে ঠোটের কাছে এসে থেমে যায়,,,,,
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে,,,ইফতি ইফতি মিসকার পেট স্লাইড করে কোমড় ধরে আরো কাছে ইফতি মিসকা আরো কাছে আসে,,,দুজনের নিশ্বাস দুজনের উপর দিয়ে পরছে,,,,
ইফতি নিজের মুখ মিসকার গলায় ডুবিয়ে দেয়,,,
,মিসকা ইফতির সার্ট খামচে ধরে আছে,,,,,,
যেন এক পরম সুখের সাগড়ে ভাসছে দুজন,,,,সাথে বৃষ্টিও তাল মিলাচ্ছে
ইফতি মিসকার কপালে চুমু দিয়ে আস্তে আস্তে ঠোঁটের দিকে এগোতে থাকে,,,মিসকা দিচ্ছে না বাধা কোনো সেও চায় পুরোপুরি ইফতির হয়ে যেতে ইফতির প্রতি শুধু তার অধীকার থাকবে আর কারো নয়,,,,,
ইফতি মিসকার ঠোটের কাছে এগোতেই মিসকা নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দেয়,,,,,,হারিয়ে যায় অজানা ভুবনে যেখানে শুধু ওরা দুজনই আছে,,,
মিসকা ইফতির চোখের দিক তাকিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে,,,,,
ইফতিঃ মিসকা কতক্ষণ এভাবে ভিজবো ঠান্ডা লেগে যাবে,,,,
মিসকাঃ——–
ইফতিঃ এই মিসকা,,,,, ( মিসকার মুখ তুলতেই দেখে মিসকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে,,,,)
ইফতি তাড়াতাড়ি মিসকাকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসে।
সারা শরীর ঠান্ডা বরফ হয়ে আছে,,,,,
#চলবে,,,,,,,৷
#ভালোবাসার__টান,,,😍👸😍
#part:::::::::::(52)
#writer:::::::::::: Tanzidaa Jannat
ইফতি মিসকাকে রুমে এনে সুইয়ে দিল,,,,,
তাড়াতাড়ি খাপড় চোপড় নিয়ে পাল্টে এসে দেখে মিসকা কাপছে রিতীমতো,,,,
ইফতি ঃ আলমিরা থেকে একটা শাড়ি বের করে মিশকাকে পরিয়ে দিলো,,,,,,,,,মিসকার সারা শরীর তাও বরফ,,,, কাঁপছে ঠান্ডায়
ইফতিঃ দৌড়ে গিয়ে সব দরজা জানালা আটকে দিলো,,,,মিসকার পাশে এসে মিসকার গালে হাত দিতেই মিসকা ইফতির হাত দুহাতে আবদ্ধ করে গালে চেপে ধরলো,,,
ইফতি কি করবে বুঝতেও পারছে না,,,,এমনিতেও রাগ হচ্ছে ভিজতে যখন পারবে না তখন ভিজলই বা কেন,,,,,,
ইফতি কিছু উপায় না পেয়ে মিসকার পাসে সুয়ে মিসকাকে জড়িয়ে সুয়ে পড়ে,,,,
মিসকার গরমের উষ্ণতা পেয়ে ইফতিকে আরে জোড়ে আকড়ে ধরে,,,,,,,,
সকালে মিসকার ঘুম ভাঙতেই দেখে ও ইফতিকে জড়িয়ে ইফতির বুকে ঘুমাচ্ছে,,,,, মিসকা ইফতির বুকে চুমু দিয়ে আবারও জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,ইফতি মিসকাকে আরো জোরে নিজের সাথে চেপে৷ ধরে,,,মিসকা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ইফতি ওর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারছে,,,,
মিসকাঃ তারমানে সত্যি সত্যি 😬আল্লাহ আমি ভেবেছি সপ্ন দেখছি🙁
মিসকা নিজেকে ছাড়ার চেষ্টা করছে,,,
ইফতি মিসকাকে নিচে ফেলে দুহাত চেপে ধরে বললো,,,,এই যে মেডাম সারা রাত আমার বুকের উপর ঘুমিয়ে,,,,এখন লজ্জা পাওয়া হচ্ছে,,,
মিসকাঃ আ আমি মোটেও এমন কিছু করি নি,,,,,
ইফতিঃ ও আচ্ছা তাই না দেখাচ্ছি মজা,,,,,( বলেই মিসকার ঠোটে ঠোট চেপে ধরলো,,,
মিসকাঃ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে,,,,
ইফতিঃ কি কেমন দিলাম??😂
মিসকাঃ আপনি খুব বাজে😠
ইফতিঃ ও তাই না এখন বাজে কালকে যখন জ্ঞান হারালে তখন কতকিছু করেছি শাড়িটা ( বলেই থেমে গেল)
মিসকাঃ শাড়িটা? ( নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে অন্য একটা শাড়ী পড়া,,,,,,,)আপনি আমার শাড়ি পাল্টে দিয়েছেন😱
ইফতিঃ কি করবো আমি তো আর কারো মতো নিষ্ঠুর না চুপ করে কাউকে কষ্ট পেতে দেখবো,,,,😜
মিসকাঃ ইফতিকে এক ঝারা দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো,,,,যাওয়ার আগে পিছনে তাকিয়ে অসভ্য ছেলে😠 বলেই আবার দৌড়
ইফতিঃ অসভ্যের এখনও কিছুই করি নি😂( বিছানায় সুয়ে হাসতে লাগলো)
মিসকাঃ কিচেনে ঢুকে দেখে রুমা নাস্তা বানাচ্ছে
রুমাঃ বৌমনি কিছু বলবে??
মিসকাঃ না,,,, হ্যা মানে??
রুমাঃ কি হয়েছে এভাবে কেন কথা বলছো??
মিসকাঃ বলছিলাম যে নাস্তা রেডি??
রুমাঃ হ্যা,,,,,
মিসকাঃ আমার কাছে দাও আমি টেবিলে রাখছি,,,,,
সবাই টেবিলে খেতে আসে,,,,,
মিসকাঃ দুলাভাই আর কদিন থাকলে হতো না??
দুলাভাইঃ আবার আসবো,,,,এখন অফিসের চাপটা একটু বেশি তাই থাকতে পারবো না,,,,
মিসকাঃ ও🙁
মোহনাঃ আরে বাবা মোন খারাপের কি হলো,,,,আমরা আবার আসবো তো,,আর তুইও ইফতিকে নিয়ে একদিন ঘুরে আসিস,,,
মিসকার মাঃ ইফতি তো খেতে এলো না,,,,
ইফতিঃ এই তো মা এসেছি,,,,,ভাইয়া আপনাদের টিকিট বুক করা হয়েগেছে,,,,,,
মোহনাঃ ইফতি তুমি একদিন যেও হিয়া মিসকাকে নিয়ে,,,
ইফতিঃ মিসকার দিকে তাকিয়ে,,, হুম আপু যাবো,,,
সবাই খাওয়ার পর্ব শেষ করে,,,,,
সিফাত গাড়িতে ব্যাগ উঠাচ্ছে,,,,
মিসকার মাঃ ভালো থাকিস মা,,,,মিসকা ওর মাকে ধরে কেঁদে দেয়
মিসেস নিলুফা ঃ আপনি চিন্তা করবেন না,,,,, ও আমার মেয়ের মতই,,,,,আপনি নিশ্চিন্তে যান,,, আবার আসবেন,,,
মিসকার মাঃ আমি জানি,,,,সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে
হিয়াঃ নানুভাই আবার এসো 🙁
মিসকার মাঃ আচ্ছা নানুভাই তুমিও ভালো থেকো😊
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠে পরলো,,,মিম মুন্নি হিয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো ফোনে কথা বলবে,,,,
হিয়াঃ আবার এসো😊
ওদের বিদায় দিয়ে ইফতি রুমে এসে দেখে মিসকা বারান্দায় দাড়িয়ে কাঁদছে,,,,
ইফতিঃ উফফ কাল রাতে একটুও ঘুমাতে পারি নি,,,,কেউ একজন ঘুমাতে দেয় নি,,,
মিসকাঃ রুমে এসে ইফতির মুখচেপে ধরে,,,কি হচ্ছে এটা এতো জোরে জোরে কেনো বলছেন? / কি ভাববে মানুষ শুনলে??
ইফতিঃ মিসকার হাতে একটা কামড় দেয়
মিসকাঃ আউ,,,,😠এভাবে কামড় দিলেন কেন??
ইফতিঃ মুখ চেপে ধরেছ তাই,,,আমি কি চুরি করেছি যে আস্তে বলবো,,,,কাল তুমি যা করেছো
মিসকাঃ কি করেছি আমি( একটু ঘাবড়ে গিয়ে)
ইফতিঃ এসব মুখে আনতেও আমার লজ্জা করে,,,
মিসকাঃ মানে কি?? দে দেখুন আপনি আমাকে ইচ্ছা করে এসব বলছেন আমাদের মাঝে তেমন কিছুই হয় নি
ইফতিঃ সব হয়েছে 😜
মিসকাঃ কিহ😰
ইফতি ঃ জ্বি ম্যাডাম
মিসকাঃ এটা কেমনে সম্ভব 😭
ইফতিঃ কেমনে আবার আমি তো তোমার বরই এতো কান্নাকাটির কি আছে??😂
মিসকাঃ ইফতির বুকে ঘুষি মারতে থাকে আর বলতে থাকে আমি আপনাকে মেরেই ফেলবো,,
ইফতিঃ আরে কি করছো লাগছে তো,,,,,আরে বাবা আমি তোমার সাথে মজা করছিলাম😂😂
মিসকাঃ আপনি মজা করছিলেন আমার সাথে😠😡
ইফতিঃ কেন সত্যি কিছু হলে খুশি হতে,,,,
মিসকাঃ 😡😡😡
হিয়াঃ মাম্মাম,,,,( চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে আমি কিছু দেখি নি)
ইফতিঃ মিসকার হাত ছেড়ে দেয়,,,
ইফতিঃ আরে বুড়ি বলেই হিয়াকে কোলে তুলে নেয়,,,,,কপালে একটা চুমু একে দেয়,,,,,
হিয়াঃ বাবাই তুমি মাম্মাম কে একটা পাপ্পি দাও,,,
ইফতিঃ আমার পাপ্পিতে তার এলার্জি আছে,,,
মিসকাঃ 😏😏😏
হিয়া মাম্মাম তুমি বাবাইকে একটা পাপ্পি দাও,,,
মিসকাঃ তার ফর্সা গালে নাকি ব্রোন উঠে যাবে,,,,
হিয়া ইফতির কোল থেকে নেমে দুজনকে টেনে বিছানায় বসায়,,,,মাঝখানে হিয়া বসে,,,
হিয়াঃ দুজনে একসাথে আমাকে চুমো দিবে,,,,
দুজনে হিয়াকে চুমু দিতে নিলে হিয়া মাঝখান থেকে সরে যায়,,,,ইফতি আর মিসকার ঠোট কাছাকাছি এসে থেমে যায়,,,,,
হিয়াঃ হাত তালি দেয় আর হাসতে থাকে,,,
মিসকাঃ লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে,,,
ইফতির ফোন আসে,,,,কথা বলা শেষ করে মিসকাকে বলে আমি অফিস যাচ্ছি,,,,,আর তুমি সন্ধ্যার দিকে তুমি রেডি থেকো সিফাত তোমায় নিয়ে যাবে
মিসকাঃ কোথায়??
ইফতিঃ একটা পার্টি আছে,,,আর হিয়াকে নেওয়ার দরকার নেই,,,নাইট পার্টি ও ছোট মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে,,,
মিসকাঃ ঠিকাছে,,,,,
ইফতিঃ চলে যায়,,,,,,
হিয়া ঃ কার্টুন দেখা শুরু করে,,
মিসকাঃ আলমিরা খুলে ইফতির কিছু কাপড় বের করে ইস্ত্রি করার জন্য,,,এমন সময় একটা প্যাকেট দেখতে পায়,,,,
মিসকা দেখার জন্য প্যাকেটটা বের করে ভিতরে কি আছে দেখার জন্য খোলে,,,,দেখে ভিতরে কিছু আ্যলবাম,,,,ইফতি আর একটা মেয়ের ছবি,,,,মিসকার বুঝতে কষ্ট হলো
না মেয়েটা কে,,,,
ছবিগুলো দেখছে আর মিসকার চোখ দিয়ে পানি পরছে,,,
মিসকাঃ আমার কেন এতো খারাপ লাগছে,,,,,নীলা ইফতির ইস্ত্রি ছিলো,,,,ছবি থাকতেই পারে তাতে আমার কেন কষ্ট হচ্ছে,,,,, চোখের পানি মুছছে বার বার,,,,আর নিজেকে বলছি মিসকা তুই বেশি ইমোশনাল এতে কান্নার কি আছে,,,,
মিসকা ছবিগুলো জায়গা মতো রেখে দিল,,,,
মিসকাঃ হিয়ার পাশে গিয়ে বসে এক ধেয়ানে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
সত্যিই নীলা আর হিয়ার কতটা মিল,,,,,নীলাকে ছবিতেই কত সুন্দর লাগে আর বাস্তবেতো পরীর মতো লাগবে,,,,আচ্ছা হিয়া যখন জানবে ওর আসল মা ফিরে এসেছে ওকি আমায় ভুলে যাবে? আমায় ছেড়ে চলে যাবে?( ভাবছে আর চোখ দিয়ে পানি পরছে)
হিয়াঃ মাম্মাম তুমি কাদছ কেন?
মিসকাঃ নাতো,,,,কাদবো কেন?? চোখে কি একটা পরেছে জ্বালা করছে,,,,,( তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে ফেলে)
হিয়াঃ মিসকার গালে ছোট দুটি হাত দিয়ে ধরে চোখ বরাবর ফু দিতে থাকে,,,,,,,
মিসকা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না,,,,হিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,,,
হিয়াঃ মাম্মাম তোমার বেশি কষ্ট হচ্ছে??
মিসকাঃ উমহু,,,,
হিয়াঃ তাহলে কাঁদছ কেন??
মিসকাঃ কাল একটা স্বপ্ন দেখেছি কেউ একজন তোমাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাচ্ছে আর তুমিও আমাকে একা ফেলে চলে যাচ্ছ। বলেই কান্না করে দেয় (হিয়াকে কোলে বসিয়ে বলছে)
হিয়াঃ তুমি কেদোনা আমি তোমাকে ফেলে কোনোদিন যাবো না,,,,
মিসকা হিয়াকে জড়িয়ে ধরে,,,,,
মিসেস নিলুফাঃ মিসকা আমার রুমে একটু আয় তো,,,
মিসকাঃ হ্যা মা আসছি,,,হিয়া তুমি কার্টুন দেখ,,,,,
( মা আমাকে হঠাৎ এভাবে ডাকলো কেন? ভাবছে আর রুমে ঢুকছে)
মিসেস নিলুফাঃ কি হলো দাড়িয়ে আছিস কেন?? আমার পাশে বস
মিসকা পাশে এসে বসে চুপ করে আছে,,
মিসেস নিলুফাঃ কি হয়েছে??
মিসকাঃ কোথায় কিছু হয় নি তো মা,,,
মিসেস নিলুফাঃ মিথ্যে বলা বাদ দে,,,,আমি কালই বুঝেছি তোর কিছু একটা হয়েছে,,,,, কিন্তু কাল জিগ্যেস করে নি এখন তাড়াতাড়ি সত্যি কথা বল,,,,,
মিসকাঃ মাথা নিচু করে চুপ করে আছে,,,,
মিসেস নিলুফাঃ ইফতি কিছু বলেছে??
মিসকাঃ না মা ও কিছু বলে নি
মিসেস নিলুফাঃ তাহলে??
মিসকাঃ মা আমি কাল নীলাকে দেখেছি
মিসেস নিলুফাঃ কি বলছিস??
মিসকাঃ হুম তবে পুরোপুরি সিউর না,,,,
মিসেস নিলুফাঃ তাতে কি হয়েছে এটা তোর সংসার,,,,তোর স্বামী তোর সন্তান তুই তো আর সব ছেড়ে দিবি না,,,,
মিসকাঃ( চুপ করে আছে)
মিসেস নিলুফাঃ কি হলো চুপ করে আছিস কেন??
মিসকাঃ দেখুন মা,,,,,কি হবে বা কি হতে চলেছে,,,তবে হিয়া যদি সব জেনে ওর মায়ের কাছে যেতে চায় আমি বাড়ন করতে পারবো না,,,,সে অধিকার আমার আপনার কারো নেই,,,,,আপনার ছেলেও যদি নীলাকে এখনও ভালোবাসে আমি তার জীবনে কাটা হয়ে থাকবো না,,,, কারন মা নীলাকে ইফতি কতটা ভালোবাসতো আপনি তা আমার থেকেও ভালো জানেন,,,,,ওদের সুখের মাঝে আমি বাধা হয়ে দাড়িয়ে সবসুখ কেড়ে নিতে চাই না,,,,,,তবে হ্যা আমি সব এমনি ছেড়ে দিবো না আমাকে আগে জানতে হবে ইফতি এখনও নীলাকে ভালোবাসে কি না,,,,
মিসেস নিলুফাঃ তুই ভালোবাসিস না আমার ছেলেকে
এমন কথায় মিসকা মিসেস নিলুফার দিকে অবাক হয়ে তাকালো
মিসেস নিলুফাঃ কি হলো বল
মিসকাঃ মিসেস নিলুফাকে জড়িয়ে ধরে,,,,বললো অনেক ভালোবাসি মা😭 পারবো না বাঁচতে ওকে ছাড়া হিয়াকে ছাড়া,,,, নিজের থেকেও বেশি যে ভালোবেসে ফেলেছি,,,,কেন হলো এমন টা মা কেন😭😭
মিসেস নিলুফাঃকাদিস না কিচ্ছু হয় নি,,তবে তুই আমাকে প্রমিস কর,,,, তুই এতো সহজে হাল ছেড়ে দিবি না,,,,তোর সাজানো সংসার তুই কেন ঐমেয়ের হাতে তুলে দিবি যে কিনা ইফতিকে পুরোপুরি বরবাদের মুখে ঢেলে দিয়েছিল,,,
মিসকাঃ হ্যা মা আমি এতো সহজে ছাড়বো না তবে যদি মনে হয় ইফতি এখনও নীলাকে ভালোবাসে আমি চলে যাবো ওদের জীবন থেকে
মিসেস নিলুফাঃ এসব বলিস না মা,,,,
হিয়াঃ মাম্মা দাদিয়া তোমরা এখানে আমি আরো সারা বাড়ি খুজো আসলাম,,,,
হিয়াকে দেখে তাড়াতাড়ি দুজনেই চোখের পানি মুছে নিল,,,
মিসকাঃ হিয়া চলো গোসল করবে,,,,,,,
হিয়াঃ হুম চলো,,,,
মিসকা হিয়াকে কোলে করে নিয়ে যায়,,,
মিসেস নিলুফাঃ আল্লাহ তুমি মেয়েটাকে এমন পরীক্ষায় কেন ফেললে,,,,আবার ঐ নীলার কারনে সবকিছু ওলটপালট হবে নাতো,,,
#সন্ধ্যার দিকে,,,,,,,,
মিসকাঃ হিয়া তুমি থাকতে পারবে না আমি বাবাইকে ফোন দিয়ে বারন করে দিবো,,,
হিয়াঃ ওয়াও মাম্মাম তোমাকে কতো সুন্দর লাগছে,,,,😍
মিসকাঃ ও তাই,,,,,
হিয়া একটু দাড়াও,,,,( কাজলের থেকে কালি নিয়ে মিসকার কানের নিচে টিকা দিয়ে দিল
মিসকা ছলছল চোখে হিয়ার দুহাত নিজের দুহাতে আবদ্ধ করে চুমু দিলো,,,,,আমার বুড়ি মামুনিটা,,,😊😊
হিয়াঃ সব ঠিক আছে কিন্তু কিছু একটা মিসিং আছে
মিসকাঃ কি??
হিয়াঃ উমম,,,, একটা টিপ😉
মিসকাঃ ওহ😂😂
হিয়াঃ মিসকার কপালে টিপ দিয়ে দিলো,,,,এবার ঠিক আছে
মিসকার ফোন বেজে উঠলো,,,,
মিসকাঃ হ্যালো সিফাত ভাই,,,তুমি দাড়াও আমি আসছি
মিসকা ঃ হিয়া তুমি কিন্তু দাদিয়াকে জ্বালাবে না লক্ষী মেয়ের মতো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বে,,,
হিয়াঃ আচ্ছা,,,
মিসকা হিয়াকে কোলে নিয়ে মিসেস নিলুফার রুমে যায়,,,,,
মিসকাঃ মা হিয়াকে রেখে গেলাম,,,
মিসেস নিলুফাঃ ভালোভাবে যাস আর জমিয়ে ইনজয় করিস,,,,
মিসকাঃ ওকে😂
মিসকা গাড়িতে উঠতে সিফাত গাড়ি স্টার্ট দেয়,,,,,কিছুক্ষণের মধ্যে পৌছে যায়,,,,,,,
মিসকা ঃ ইফতিকে বার বার ফোন দেয় কিন্তু ইফতি রিসিভ করছে না,,,,,,
সাহস করে ভিতরে গেলো,,,,,মিসকা ভিতরে পা রাখতেই সবাই মিসকার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,,,, মিসকা একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়,,,,
মিসকাঃ সবাই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন?? জোকারের মতো লাগছে নাকি😑😑
ইফতি কারো সাথে কথা বলছিল,,,, দরজার দিকে চোখ পড়তেই ইফতি একপলকে তাকিয়ে থাকে,,,,,মিসকা মেসেন্টা কালারের একটা শাড়ি পড়েছে,,,, হাতে কাচের চুড়ি চুলগুলো খোলা,,,,,কানে ঝুমকা আর সবথেকে কপালের টিপটায় ওকে ভিষন সুন্দর লাগছে,,,,,
ইফতি তাকিয়ে দেখে মিসকা কেমন নার্ভাস হয়ে পড়েছে আসে পাশে তাকিয়ে দেখে সবাই দরজার দিকেই তাকিয়ে আছে,,,,
ইফতিঃ মিসকার সামনে গিয়ে হাত বাড়াতে মিসকা হাত বাড়িয়ে দিল,,,,,
মিসকার এতক্ষণ পর সস্তি হচ্ছে সবাই যেভাবে তাকিয়ে ছিল,,,,
ইফতি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল,,,,৷
সবাই কাপল ডান্স করছে,,,
মিসকাকে ইফতি ডান্স করার জন্য বললে মিসকা বারন করে দেয়,,,,
মিসকা কিছু মহিলার সাথে কথা বলছে,,,,,হঠাৎ স্টেজে তাকিয়ে অবাক হয়ে আসে,,,,,মিসকা ভাবতেও পারে নি এমন কিছু হবে,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,