টক্কর,১ম পর্ব
সাহেরা_খান
ভালোবাসার মানুষটির খুন হওয়ার সংবাদটা সুখকর হলো না তিমনের জন্য। দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেম ও ১ বছর সংসার করেছে মানুষটির সাথে। তার মৃত্যুর খবর শুনে দিকবিদিকশূন্য হয়ে থানায় ছুটে যাচ্ছে তিমন। হন্তদন্ত হয়ে থানার ফটক পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সে। কর্তব্যরত হাবিলদারকে দেখতে পেয়ে দম আটকে জিজ্ঞেস করল,
“আবিরা কোথায়? প্লিজ দ্রুত ওর কাছে আমাকে নিয়ে চলুন। আমি ওকে দেখতে চাই।”
বলা শেষ হতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না তিমন। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠতেই হাবিলদার শশব্যস্ত হয়ে উঠে পড়ে চেয়ার ছেড়ে। আবিরা নাম শুনেই বুঝলেন যে ভদ্রলোকটি আবিরার স্বামী হবেন। তিমনকে শান্ত করতে হাবিলদার বেশ কিছু কথা বললেন। কিন্তু সে কোনো কথাই শুনছে না। তার কান্নার শব্দে নিজের কেবিন থেকে বেরিয়ে আসেন ওসি সাহেব। তিনি ভদ্রলোকটিকে কান্না করতে দেখে অনুমান করে নিলেন তিনি তিমন হবেন, যাকে কল করেছিলেন ঘণ্টা খানেক আগে। তবুও হাবিলদারের থেকে জেনে নিলেন ভদ্রলোকের পরিচয়। কাছে এগিয়ে গিয়ে তিমনকে সমবেদনা জানাতে তিনি বললেন,
“আমরা আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি। কিন্তু কী আর করার আছে বলুন! জন্ম-মৃত্যু কারো হাতে নেই। লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন একটাই কাজ হচ্ছে খুনিকে খুঁজে বের করা। আপনি আমার সাথে আসুন প্লিজ।”
তিমন কাঁদতে কাঁদতে ওসি সাহেবকে অনুসরণ করে। কেবিনে ঢুকতেই তিনি ওকে এক গ্লাস পানি ধরিয়ে দেন। এক নিশ্বাসে পানি পান করে নিজেকে কিছুটা ধাতস্থ করে সে। চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ে। মনে হলো কত ক্লান্ত ছেলেটি। ওসি সাহেব উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের ছেলেটিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মেপে নিলেন। ৫” ৭ ইঞ্চি আনুমানিক উচ্চতার ছেলেটাকে যে কেউ দেখেই পছন্দ করে ফেলবে। তবে এই মুহূর্তে চোখে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
“প্লিজ স্যার, আমাকে আবিরার কাছে নিয়ে চলুন। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এখনো। ও আমাকে এভাবে ছেড়ে যেতে পারে…।”
তিমনের অনুনয়ের সুরে ভাবনার সুতো ছিড়ল অফিসারের। কাঁদতে কাঁদতে চুপ হয়ে যায় তিমন। পরের কথাগুলো গলা দিয়ে বের হলো না আর। ওসি সাহেব সান্ত্বনার সুরে বললেন,
“আপনার স্ত্রী সত্যিই আর এই পৃথিবীতে নেই। আমরা তার আইডেন্টিটি কনফার্ম করেছি। তার কাছে যথেষ্ট প্রুভ ছিল নিজের পরিচয় প্রকাশ করার।”
আর্তনাদ করে ওঠে তিমন,
“কে এই কাজ করেছে স্যার? এই ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছেন?”
তাকে খুঁজে পেলে আমার হাতে তুলে দেন প্লিজ। আমি নিজে হাতে ওকে শেষ করব।”
শেষের কথাগুলোতে দৃঢ়তা আর রাগের সংমিশ্রণ ঘটে তিমনের কণ্ঠে। অফিসার তীক্ষ্ম চোখে তিমনকে অবলোকন করেন। কিছু একটা ছিল তার কণ্ঠে যা অফিসারকে হকচকিয়ে দিল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে পুনরায় ডুকরে কেঁদে ওঠে তিমন,
“আবিরাকে ছাড়া আমি কী করে বেঁচে থাকব? ওকে ছাড়া একটা মুহূর্ত কল্পনা করতে পারি না আমি।”
ওসি সাহেব ঠান্ডা মাথায় ওকে সামলানোর চেষ্টা করলেন। তিনি একঘেয়ে কণ্ঠে বললেন,
“আপনি উত্তেজিত হবেন না, প্লিজ। আমরা লাশ উদ্ধার করার সাথেই পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। কে বা কারা করেছে এখনো কিছুই জানি না। আমরা ধারণা করেছি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছে। তবে চিন্তা করবেন না। দ্রুতই তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিমন কথাটি শুনে আঁতকে ওঠে। সে হতভম্ব হয়ে বলল,
“আমাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে শপিং করতে বের হয়েছিল ও। ছিনতাইকারী সব নিয়ে যেত তাতে তো আফসোস হতো না। কিন্তু ওকে কেন খুন করল?”
বিলাপ করতে শুরু করে তিমন। গলার স্বর প্রায় ভেঙে গেছে। ওসি সাহেব ওকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আশ্বস্ত হতে পারেনি তিমন। ওসি সাহেব বুঝতে পারলেন স্বজন হারানোর যন্ত্রণা সে-ই বোঝে যার হারায়। তাই তিনি বেশি কিছু বললেন না। তিমন মাথা তুলে জিজ্ঞেস করল,
‘আমি আবিরাকে কখন দেখতে পারব?’
ওসি সাহেব একটু ভেবে বললেন,
“পোস্ট মর্টেম হয়ে গেলে আমি আপনাকে জানাবো। আনুষঙ্গিক সব নিয়ম কমপ্লিট করে রাখব। আপনি এসে লাশ নিয়ে যেতে পারবেন তখন।”
তিমন অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওর বেহাল দশা দেখে ওসি সাহেব ওকে বললেন,
“আপনি ইচ্ছে হলে এখন চলে যেতে পারেন। আপাতত পরিবারে সময় দিন। আপনাকে আবার ডাকা হবে যখন, তখন আসবেন।”
তিমনকে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন না করায় ও বেশ অবাক হলো। তবে কিছু না বলে বেরিয়ে আসে থানা থেকে। থানা থেকে বেরিয়ে মুঠোফোনে কল করে বাসার নাম্বারে। জানায় আবিরার খুন হওয়ার সংবাদ। কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কল কেটে মুঠাফোনটাকে পকেটে চালান করে দেয় সে।
*
তিমন বাড়িতে ফেরার সাথেই শোকের মাতম লক্ষ করে। শুধুই কান্নার শব্দ আর আহাজারি। তার শ্বশুর-শাশুড়ি উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সাথে আরো কিছু আত্মীয় স্বজনও আছে। ওকে তারা দেখার সাথে সাথেই ছুটে আসে। তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নারস্বর বাড়িয়ে দেয় কেউ কেউ। সে শুধু পাথরের মূর্তি ধারণ করে আছে।
ওদের প্রেম কাহিনি ছিল সবার কাছে মুখোরোচক গল্প। বুড়ো-গুড়ো সকলেই অবগত ছিল। এলাকার সব থেকে বেস্ট জোড়া বলে কথা! সবাই বুঝতে পারছে তিমনের মনের অবস্থাটা। অনেকেই এগিয়ে এসে তাকে সান্ত্বনার বাণী শোনাচ্ছে। তবে তা তিমনের কর্ণোগোচর হলো বলে মনে হচ্ছে না। সে ধীর পায়ে এগিয়ে এসে শরীরে ভার ছেড়ে দেয় মেঝেতে। একমনে তাকিয়ে থাকে ফাঁকাদৃষ্টি মেলে। আশেপাশের এত কোলাহল, এত আহাজারি কিছুই যেন তাকে ছুঁতে পারছে না। কিছু সময় পরে নিঃশব্দে কপোল গড়িয়ে বৃষ্টি নামে তার।
*
লাশ পাওয়া গেছে সেই সকালে। এখন সন্ধ্যা হতে চলল। ওসি জালালুদ্দিন অনেক অভিজ্ঞ একজন অফিসার। তিনি বসে আছেন এস আই কিবরিয়ার জন্য। তাকে পাঠিয়েছেন আগে তথ্য সংগ্রহ করতে। তার তদন্ত প্রক্রিয়া বেশ ভিন্ন ধরনের। এজন্য তিমনকে প্রথমেই কিছু জিজ্ঞেস করেননি। আগে সব তথ্য যোগাড় করে তারপর মাঠে নামবেন। খুনটা সত্যি ছিনতাই এর জন্য হয়েছে কি না তা শিওর হতে হবে। প্রাথমিক তদন্তে সেটাই মনে হয়েছে। লাশের সাথে দামি কিছুই পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোন ছাড়াও বেশ কতগুলো গয়না ছিল। গয়নার খালি বক্স ছাড়াও রশিদ পাওয়া গেছে। ভাবনার ভিতরেই এস আই কিবরিয়া এসে উপস্থিত
হলো। তাকে দেখে ওসি সাহেব বললেন,
“আপনার জন্য বসে থেকে চুল পেকে যাচ্ছে আমার। দ্রুত বলেন, কী পেলেন?”
এস আই কিবরিয়া থমথমে গলায় বলল,
“স্যার, দেখেই তো বোঝা যায় খুনটা ছিনতাই এর জন্য হয়েছে। আপনি শুধু শুধু সন্দেহ করছেন।”
ওসি সাহেব হেসে ফেললেন। তিনি অনেক চেষ্টা করে হাসি নিয়ন্ত্রণে এনে বললেন,
“আপনি জয়েন করেছেন কত দিন হলো? আমাদের সামনে যা দেখানো হয় আমরা তাই দেখি। কিন্তু এর বাইরে যে অন্যকিছু হতে পারে তা ভাবতেও পারি না। আপনার অবস্থাও তাই হয়েছে। নিশ্চয় সন্দেহের কারণ আছে তাই করেছি।”
কিবরিয়া মুখটা ভোঁতা করে বলল,
“স্যার, কারণগুলো খোলাসা করুন। আমিও অভিজ্ঞতা অর্জন করি।”
কিবরিয়ার কথা শুনে তিনি আবারও হাসলেন। হাসি থামিয়ে কিছু সময় চুপ থেকে বললেন,
“আমার মনে হচ্ছে, প্রি প্ল্যান্ড মার্ডার এটা।”
ওসি সাহেবের কথা শুনে এস আই কিবরিয়া চমকে উঠল। সে এই স্বাভাবিক ছিনতাইটাকে কিছুতেই প্রি প্ল্যান্ড মার্ডার ভাবতে পারছে না। এস আই কিছু বলার আগেই ওসি সাহেব শুরু করলেন আবার,
“ছিনতাই এর জন্য খুনি অনেক সময় নিয়ে খুন করবে না। সে তাড়াহুড়ো করবে অবশ্যই। কিন্তু মনে হলো খুনি ঠান্ডা মাথায় আয়েশ করে খুন করেছে। আশেপাশে প্রচুর রক্ত থাকার কথা কিন্তু সেখানে রক্তের চিহ্ন ছিল না। তারমানে বোঝা যাচ্ছে, যেখানে লাশ পেয়েছি আমরা মার্ডার সেখানে করা হয়নি। আরো অনেক ঘাপলা আছে। সবই বের হবে চিন্তা করবেন না।”
এস আই কিবরিয়া বিস্ময় নিয়ে স্যারের কথা শুনে গেলেন। পরবর্তী নির্দেশের আশায় আছেন এখন তিনি। ওসি সাহেব মাথা তুলে বললেন,
“আপনি তো সাথেই ছিলেন। আর কিছু লক্ষ করেননি?”
কিবরিয়া লজ্জিত ভঙ্গিতে বলল,
“স্যার, সময় পেলাম কোথায়? আমি তো তদন্ত করার সুযোগ পাইনি। অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম।”
“ওহ্ দুঃখিত। আমি ভেবেছি আপনি হয়তো দেখেছেন। এত ভীড় ছিল সেখানে কিছুই খেয়াল করার সুযোগ ছিল না। তবে আমি লক্ষ্য করেছি কিছু জিনিস। সেখানে কোনো সিসিটিভি ছিল না। আর মার্কেট থেকে বেশ দূরে লাশটি পাওয়া গেছে। তারপর বলেন কী কী পেয়েছেন?”
কিবরিয়া নড়েচড়ে বসে প্রস্তুতি নিয়ে বলল,
“আপনার কথামতো আগে শপিংমল ঘুরে এসেছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাব, সবাইকে জানানো হয়েছে ব্যাপারটা। তারা দ্রুতই কালেক্ট করে দেবে বলেছে। আর মি. তিমনের অফিসে খোঁজ নিয়েছি, তিনি সেখানেই ছিলেন। বাড়ির ব্যাপারে তেমন খোঁজ পাইনি, সামান্যই পেয়েছি।”
ওসি সাহেব কিছু ভেবে বললেন,
“লেডিস ব্যাগে যা পাওয়া গেছে এটার একটা লিস্ট তৈরি করুন। শপিং মলের লোকগুলো কী বলেছে? কখন ঢুকেছেন আর কখন বেরিয়েছিলেন? আনুমানিক কোনো সময় বলতে পেরেছে?”
“গয়নার দোকানে ১০ টার পরেই ঢুকেছিলেন। ঘণ্টা খানেক তিনি ছিলেন হয়তো। এরপর বেরিয়ে গিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা সেটাই বলল।”
গাড়ির কথা শুনে চমকে ওঠেন ওসি সাহেব। কোনো গাড়ির দেখা মেলেনি তো! চিন্তিত ওসি সাহেব জিজ্ঞেস করলেন,
“ড্রাইভার ছিল? গাড়ি যদি নিজেদের হয় তাহলে ছিনতাইকারীরা কীভাবে তাকে কিডন্যাপ করল? কোথা থেকে তুলে নিলো?”
অনেক প্রশ্ন মাথায় জমা হয়ে গেল। কিছুক্ষণ ভেবে কিবরিয়া বলল,
“যতটা জানতে পেরেছি গাড়ি তিনি নিজেই ড্রাইভ করেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বাকিটা পরিষ্কার জানা যাবে।”
ওসি সাহেব বিরক্ত হয়ে বললেন,
“মি. তিমনকে কল দিয়ে গাড়ির ডিটেইলস জেনে নিয়েন। দ্রুত খোঁজ লাগান এই ব্যাপারে। কাল সকালেই তাকে থানায় আসতে বলেন। গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। এছাড়া পরিবারের ব্যাপারে খোঁজ নেবেন কাল। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।”
ওসি সাহেব রিপোর্ট এর অগ্রগতি জানার জন্য কল দিলেন। ওপাশ থেকে জানানো হলো রাত ১০ টার আগেই রিপোর্ট পেয়ে যাবেন। প্রাথমিক তদন্তে খুন সম্পর্কে কতটুকু জানতে পারলেন তা জিজ্ঞেস করলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানালেন,
“এটা হয়তো পরিকল্পিত খুন। ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে খুন করতে চাইলে কেউ ঠান্ডা মস্তিষ্কে সময় নিয়ে কাজটি করে না৷ এটা মূলত মেয়েটিকে যন্ত্রণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছিল। এভাবেই মৃত্যু হয়েছে তার।”
সবটা শুনে ওসি সাহেব বিস্তারিত রিপোর্ট দ্রুত পাঠানোর অনুরোধ করলেন। তাকে আশ্বস্ত করে ফোন রেখে দিলেন পোস্ট মর্টেমের দায়িত্বরত ডাক্তার।
ওসি সাহেব কিবরিয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন,
“আমার ধারণাই সঠিক। এটা কোনো শত্রুর কাজ। তবে সে ছিনতাই এর নাটক সাজিয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সে।”
কিবরিয়া চোখ কপালে তুলে বলল,
“খুনি কি আনাড়ি? নাহলে খুন ঠিক করে করলেও ঘটনা সাজাতে ব্যর্থ হলো কেন? প্রফেশনাল হলে এত ত্রুটি থাকত না।”
ওসি সাহেব সায় দিয়ে বললেন,
“হতে পারে সে আনাড়ি। আবার না-ও হতে পারে। বলা যাচ্ছে না। তদন্ত হোক তারপর বুঝতে পারব আসল ঘটনা কী। আপনি এক কাজ করেন, মুঠোফোনের নাম্বার জেনে নিয়ে কল লিস্ট বের করে ফেলুন। শুধু আবিরা ম্যাডামের নয় তিমন সাহেবেরও।”
কিবরিয়া সায় দিয়ে উঠে যায়। তার আর কোনো কাজ নেই এখানে। সে চলে যেতেই ভাবনায় তলিয়ে যান ওসি সাহেব। বেশ খানিকটা সময় পরে তিনি ঠিক করেন তিমন সাহেবের বাড়ির পরিবেশ ঠান্ডা হলেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।
*
তিমনদের বাড়িতে শোকের বন্যা বয়ে চলেছে। একজনের মৃত্যু সংবাদ না আসতেই আরো একজন হাসপাতালে ভর্তি হলো। এস আই কিবরিয়ার ফোন পেয়ে কথা বলছিল তিমন। আবিরার ফোন নাম্বার আর গাড়ির খোঁজ দেওয়ার পরেই ঘটনাটি ঘটে যায়।
চলবে…