#শুভ্র_রঙের_প্রেম পর্ব:৩১
#রুবাইদা_হৃদি
হাতের মুঠোয় উনার হাতের স্পর্শতে আমি প্রত্যেকটা মূহুর্ত অনুভূতি খুজে পাচ্ছি।বাতাস গুলো আজ ফিসফাস করে বলছে ,
‘ স্নিগ্ধ,এইনাম তোমার।একমাত্র তোমার।’
আমি হ্ঠাৎ করেই উনার হাত নিজেও শক্ত করে ধরলাম। উনি তাকালেন।আমি ছেড়ে দিতে চাইলে উনি সামনের দিকে দিকে তাকিয়ে’ই বললেন,
–‘ ছেড়ে দেওয়ার জন্য ধরি নি , আর না তোমাকে ছেড়ে দিতে দিবো। প্রত্যেকটা মূহুর্ত তোমার হাতে হাত রেখেই উপভোগ করবো।’
আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। পাশে থাকা রাহাত আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে বলল,
–‘ দুলাভাই আপনার তুলনা হয় ,না। এইজন্যই তো আপনারে প্রেমের গুরুর স্থান দিয়া দিছি।’
রাহাতের কথা শুনে বড়রা গুরুত্বপূর্ন আলোচনা রেখে ঘুরে তাকালো। উনিও হেসে বললেন,
–‘ শালাবাবু প্রেমের গুরুর প্রেম টা করতে দেও শান্তিতে। না হলে পরে প্রশিক্ষণ দিবো কি করে বলো তো ?’
–‘ প্রাইভেসি চাচ্ছেন দুলাভাই ? সেটা তো দেওয়া হবে না একদম। ‘
নীতি এগিয়ে এসে বলল। উনি হাত দিয়ে চুল গুলো ব্রাশ করে বললেন,
–‘ শালি সাহেবা !’
–‘ বলুন ভাইয়া। ‘
–‘ তোমার সাহস কি করে হয় ইম্পোর্ট্যান্ট ক্লাসে এসে কথা বলার?’
নীতি মূহুর্তেই ভড়কে গেলো। আমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম স্নিগ্ধ স্যারের ফর্মে আছে। রাহাত আর জান্নাত চুপসে গেছে।
উনি কি আমাকেও কথায় কথায় ধমকাবেন নাকি ? এই অন্যায় মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমি গলার স্বরে গম্ভীরতা বজায় রেখে বললাম,
–‘ আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।’
–‘ কেন ?’
–‘ আপনি বিয়ে করতে এসেছেন না ক্লাস নিতে ? দেখুন এমন হলে …
উনি গভীর চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। সেই হাসিতে স্পষ্ট ,’ তোমার বলা কথা আমি শুনলে তো !’
কিছুক্ষণ একে অপরের দিকে থম মেরে তাকিয়ে আছে সবাই।রাহাত নীরবতা ভেঙে ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
–‘ স…স্যা..র মানে দুলাভাই আপনি এখন কে ? মানে কিসের দায়িত্ব পালন করছেন ?’
উনি আমার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলেন,
–‘ বর্তমান আমি তোমার ফ্রেন্ডের প্রেমিক পুরুষের দায়িত্বে আছি। সো নো ডিস্টার্ব বিচ্ছু বাহিনী। ‘
–‘ আজ তো একা ছাড়ছি না আপনাদের।আঠার মতো পেছনে লেগে থাকবো।’
–‘ এই গোলাপি,একা ছাড়বে না মানে কি? আর তোমার বয়স হয়েছে বাসর ঘরে ঢোকার। যাও তো বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পরো।’
আদি ভাইয়া কোথা থেকে এসেই পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে বললেন। জান্নাতের গাল রাগে আরো লাল হয়ে উঠেছে।জান্নাত কোমরে হাত দিয়ে রাগী স্বরে বলল,
–‘ মিস্টার.আদি ওরফে আদা বেশি বকবক করলে পুরান ঢাকার ছেলেপেলে এনে পিটাবো আপনাকে।’
–‘ চট্রগ্রামের পোলা আমি আমারে ভয় দেখাও? সাহস তো কম না পিচ্চি। ‘
–‘ পিচ্চি হলে হবে আপনার বউ ! স্নিগ্ধ ভাইয়া এইসব নষ্ট আদার ঝুলি কেন সাথে আনেন বলেন তো ? পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ইয়াক…’
সবাই ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে এদের ঝগড়া দেখে চলেছে। উঠতে,বসতে ঝগড়া। এইটা আমার বিয়ের আসর না ঝগড়ার? আমি কিছু বলার আগেই সে উঠে ওদের সামনে গিয়ে বলল,
–‘ দুইটার মুখে দিয়ে আর একটা শব্দ বের হলে সারাজীবন ঝগড়ার টিকেট দিয়ে দিবো আমার বিয়ের আসরেই। ‘
উনার কথা শুনে আদি ভাইয়া লাফিয়ে উঠে কিছুটা দূরে গিয়ে বললেন,
–‘ আস্তাগফিরুল্লাহ্ ! দোস্ত এই অঘটন ভুলেও করতে পারো না তুমি।’
–‘ তাহলে একদম ঝগড়া না। ওও হ্যাঁ,নোমান কোথায় ? এখনো আসলো না যে।’
কঁপালে চিন্তার ভাজ ফেলে বললেন উনি। আদি ভাইয়া নিজস্ব কথার ভাবে বললেন,
–‘ দেখ গিয়ে কোন চিপায় মিমের লগে বসে আছে।’
–‘ নোমান জানলে জান্নাতের সাথে মিলে পিটাবে তোকে। ‘
উনি আদি ভাইয়ার পিঠ চাপড়ে বললেন। আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছি। জান্নাত রাগে গজগজ করে আমার পাশে বসে ইচ্ছামতো বকে চলেছে।নীতি আরিফ ভাইয়ার সাথে চোখাচোখি প্রেমে ব্যস্ত ।রাহাতের আর রাফিনের বসবার সময় নেই।এই আছে তো এই কাজে ব্যস্ত ।
উনি আদি ভাইয়ার সাথে কথা বলছেন। তীব্র এক দীর্ঘশ্বাস বুক চিড়ে বেরিয়ে এলো।বিয়েটা হচ্ছে! তবে তাকে পাওয়ার আনন্দের সাথে আব্বু-আম্মু,দাদুন আর রাফিনকে ছেড়ে যাওয়ার কথা মনে হলেই মন বলছে, আর কিছুটা দিন থাকুক পরিবারের মূহুর্ত গুলো।কিন্তু সেটা আদেও সম্ভব একটা মেয়ের জীবনে ??
———————————-
চারদিকে সুন্দর মূহুর্তের আমেজ ভেসে বেড়াচ্ছে।বিয়ে নামক দায়িত্ব আর ভালোবাসার শব্দটা জুড়ে গেছে কিছুমূহুর্ত আগেই। ‘ কবুল ‘ এই তিনটা শব্দ আমার জীবনের পাতায় শুভ্র প্রেমিককে নিজের করে দিয়েছে।আমার ঠোঁটে হাসি।সব কিছু স্বপ্ন মনে হলেও আদেও এইটা স্বপ্ন নয়। আমি মাথা নীচু করেই বসে আছি। কাঁদছি! সব এতো জলদি আর সুষ্ঠু ভাবে হবে বুঝতেই পারি নি।
–‘ আবার কাঁদছো তুমি ! তোমার চোখের পানি আমার অনুমতি নিয়েছে আমার বউয়ের চোখ ভিজিয়ে দেওয়ার?’
বউ শব্দটা আমার ভেতর কাঁপিয়ে দিলো। কানে বাজতে থাকলো ক্ষণে ক্ষণে।আমি কম্পিত চোখে তাকালাম। স্নিগ্ধ ময় মুখে স্নিগ্ধ হাসি ঝুলানো।সবার সামনেই আমার চোখের পানি মুছিয়ে দিলেন উনি। সাথে সাথেই সবাই হো হো করে চিল্লিয়ে উঠলো। উনি বিরক্তিতেতে চোখ-মুখ কুঁচকে তাকালেন। নীতি,জান্নাত,রাহাত,আদি ভাইয়া,রাফিনের কোনো ভাবান্তর হলো না। এর মাঝেই নোমান ভাইয়া আর মিম আপু এসে দাঁড়ালেন। আদি ভাইয়া ওদের দেখে নাক ছিটকে বলল,
–‘ বাচ্চাকাচ্চা হওয়ার সময় একবারেই আসতি! কষ্ট কম হতো।’
–‘ রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে এই আহাম্মক।উল্টো রাস্তা ধরে এয়ারপোর্টের রাস্তায় গিয়ে ঘুরেফিরে এসেছে।’ মিম আপু বিরক্তির সুর তুলে বললেন। নোমান ভাইয়া মেকি হাসি ঝুলিয়ে আমতা আমতা করে বললেন,
–‘ দোস্ত,কথা দিচ্ছি তোর বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই আমরা পৌছে যাবো। এইবারের মতো মাফ কর।’
–‘ কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক। আর দশবার বল,আমি আর লেট করবো না।’ উনি বললেন। সাথে সাথেই হাসির রোল পরে গেলো। আমি নির্বিকার ভাবে বসে বসে কার্যকলাপ দেখে চলেছি। নোমান ভাইয়া কথা না বাড়িয়ে এদিক ওদিক চোখ বুলিয়ে বলল,
–‘ মানসম্মানের ব্যাপার।তোর অনাগত মেয়ের ভবিষ্যৎ শ্বশুড় আমি ! একটু রহম কর।’
–‘ যা ব্যাটা,ওর ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবো তোর এন্ট্রি নাই। অন্য কোথাও ঢিল মারো। ‘ আদি ভাইয়া ফোঁড়ন কেটে বলতেই মিম আপু বললেন,
–‘ তোমার এন্ট্রি পরে দুইমাত্র দেবর। আগে বিয়ে করো।’
–‘ যে রাগ উনার আমার তো ভয় লাগে ভাবি।রাগের জন্য দেখো এখনো গাল লাল হয়ে আছে।স্নিগ্ধ আয়াতুল কুরসি বল তো আমি তোর সাথে পড়ি।’
জান্নাত ক্ষেপে গেলো মূহুর্তেই।আমার সামনে এসে অভিযোগের স্বরে বলল,
–‘ আপু,তুমি কিছু বলবা ? উনি কাকে মিন করে কথা গুলো বলছেন ? অসহ্য লোক একটা।’
আদি ভাইয়া হই হই করে কিছু বলার আগেই আব্বু সবার মাঝে এসে উনার সামনে দাঁড়ালেন।ঝগড়ার পরিবেশ হ্ঠাৎ করেই শান্ত পরিবেশে রুপ নিলো। আব্বুর পর একে একে আম্মু,দাদুন,পরশ স্যার,মৌমিতা আন্টি এসে দাঁড়ালেন ।বিয়ে পরানোর পর একসাথে নীচে নেমে গিয়েছিলেন সবাই আবার একসাথেই এসেছেন। উনি উঠে দাঁড়ালেন মাথা নীচু করে। আব্বু উনার মাথায় হাত রেখে বলল,
–‘ জেদ করে,মানিয়ে আমার পরীকে তুমি নিয়েছো। তোমার উপর সম্পূর্ণ ভরসা আমার ভেতর থেকে নিগড়ে আসছে।আমি জানি আমার পরী তোমার কাছে ভালো থাকবে।আগলে রেখো সব সময়।’
কথা বলার সময় আব্বুর কন্ঠ বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে।চোখ জোড়ায় পানির আভাস।আমার মন বিষিয়ে উঠলো মূহুর্তে আবারো। সব ছেড়ে যেতে হবে। আমি সবার মাঝেই শব্দ করে কেঁদে উঠলাম। আমার কান্নার আওয়াজে আম্মু্র থিতিয়ে রাখা কান্না গুলো প্রকাশ পেলো সশব্দে।আম্মু আমাজে ঝাপটে ধরলো। অনবরত কান্না করেই চলেছে। সবাই ব্যথাতুর চোখে তাকিয়ে আছেন। আর উনি অসহায় চোখে। আমি নিজেকে সংযত করতে গিয়েও আব্বুর আদর পেয়ে কান্নার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলাম। রাফিন আজ একদম দুষ্টুমি করে নি আমার সাথে। টলমলে গলায় আমার সামনে এসে বলল,
–‘ এই আপু! কাদিস কেন ? তোকে কি বেঁচে দিয়েছি আমরা? কাল যাবি ভাইয়ার সাথে আবার পরশুদিন এসে পরবি।এতে কান্নার কি আছে ?’
আমি অশ্রুসিক্ত চোখে তাকালাম। ও নিজেকে ঠিক না রাখতে পেরে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলল,
–‘ ভাইয়া কে বল আপু তোকে যেন না নিয়ে যায়। তুই এতো জেদি কেন? বিয়ে না করলে কি হতো বল তো? তোর কাছে এখন আপু আপু গন্ধ আসে না কেন ! কেমন পর পর লাগে। মনে হচ্ছে,তুই আর আসবি না আপু। আই রিয়েলি মিস ইউ।’
কান্নার মাঝেও বড্ড হাসি পেলো। ভাইটা আমায় অনেক ভালোবাসে। আমি কান্নারত অবস্থাই ওর কানে ফিসফিস করে বললাম,
–‘ ক্যামেরা আর মোবাইল টা রাখা আছে তোর টেবিলের ড্রয়ারে। দেখে বলিস,পছন্দ হয়েছে কিনা। আমার জমানো সব টাকা খরচ হয়ে গেলো কিন্তু।ভালো মতো পড়াশোনা করে সব সোধে-আসলে উসুল করবো।’
আমার কথা শুনে রাফিন ছেড়ে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে বলল,
–‘ ওই গুলো তুই নিয়ে যা। তবুও তুই যাবি না আপু।’
–‘ আপুকে তো যেতেই হবে রাফিন।তুমি না স্ট্রোং বয়।তোমার ফ্রেন্ডস রা এইভাবে কান্না করতে দেখলে কি বলবে ভাবো তো ? তুমি আপুর সাথে নিয়মিত দেখা করতে যাবা। ইভেন তোমার নিউ একটা বাসা হয়েছে তাই না বলো? ‘
উনি রাফিনের কাঁধে হাত রেখে নির্লিপ্ত ভাবে বললেন। রাফিন দুইহাতে নিজের চোখের পানি মুছে মাথা হেলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
–‘ মন দিয়ে সংসার করবি। ভাইয়াকে একদম জ্বালাবি না।’
–‘ তোর চোখের পানি শেষ রাফিন? ভাই এতো জলদি রঙ পাল্টানোর ট্রেনিং তোর কাছে থেকে নিতে হবে তাই না প্রেমের গুরু। ‘
–‘ রাহাত ভাইয়া আমি কিন্তু সব তথ্য ফাঁস করে দিবো আমাকে লেগফুল করলে।’
ওদের ঝগড়া দেখে আমি কান্নার মাঝেও হেসে উঠলাম।আমার পাশে দাঁড়িয়ে উনি একটু ঝুঁকে বললেন,
‘ শুভ্র পরীকে তো শুভ্র হাসিতেই মানায়। সে কেন বুঝতে চায় না বলতো?’
আমি মৃদু কেঁপে উঠলাম।উনি আমাকে বিস্ময়ে রেখেই আব্বু-আম্মুর কাছে থেকে বিদায় নিচ্ছেন।
আমি অস্ফুটভাবে বললাম,
–‘ আজকেই চলে যাবো!’
দাদুন আমার পাশেই ছিলো। আমার কথা শুনে গালে হাত দিয়ে মাথা নীচু করে চুমু দিয়ে হেসে বলল,
–‘ বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি যেতেই হয় এইটাই নিয়ম।ছোট আয়োজন হলেও বিয়েটা তো হয়ে গেছে। সুখে থাকো আর স্বামী সোহাগী হও বনু।’
দাদুনের শেষের কথাটুকু শুনে লজ্জায় পরে গেলাম আমি।অদ্ভুত একটা অনুভূতি গ্রাস করছে উনি নামক মানুষটাকে নিজের করে ভাবতেই….!
.
রাতের আঁধার হলেও সব কিছু আজ ঝকঝকে আলোয় আলোকিত। আমাদের গাড়িতে নোমার আর মিম আপু। পেছনের বড় গাড়িতে,রাহাত,রাফিন,নীতি ,আরিফ ভাইয়া,জান্নাত,আদি ভাইয়া,পরশ স্যার আর মৌমিতা আন্টি।
পেছনের গাড়ি থেকে গিটারের আওয়াজ আর ওদের গানের আওয়াজ চারদিক মুখরিত করে তুলেছে।নোমান ভাইয়া ড্রাইভ করছেন। উনি তাদের সামনেই আমার মুখ ঘুরিয়ে শাসনের সুরে বললেন,
–‘ চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।’
আমি চমকে উঠে বললাম,
–‘ ক…কেন?’
–‘ যেভাবে কাঁদছো মনে হচ্ছে আমি জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছি তোমায়।’
–‘ জোড় করেই তো নিয়ে যাচ্ছেন! বিয়ে নিয়ে সব প্ল্যানিং ভেস্তে দিয়ে সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছেন।’ আমি বিড়বিড় করে বললাম। উনি ভ্রু কুঁচকে বললেন,
–‘ কিছু বললে?’
–‘ না।’ আমার সহজ স্বীকারোক্তি। উনি হ্ঠাৎ করেই একহাতে টেনে নিলেন আমায়। সমস্ত শরীর জুড়ে ভয়ংকর কাঁপুনি কোথা থেকে আসলো কে জানে। আমার মাথা তার বুকের মাঝে রেখে বললেন,
অবিন্যস্ত পৃথীবির বিন্যস্ততায়
সুর তুলে সুরের মোহনায়
আমি সিক্ত,তোমাতে সিক্তপ্রায়
শুধু তোমারি যাতনায়…
ভালোবাসি শুভ্র পরী তোমাকে তোমার শুভ্রতায়…
চলবে….
~এই পর্বের আরেকটা পর্ব হবে আমি আজ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সন্ধ্যায় ছোটখাটো একটা এক্সিডেন্টের জন্য এখনো আমার হাঁত-পাঁ কাপছে।বা হাতের বাহুতে আর ডান পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পেয়েছি।আজ দিতে পারতাম না যদি না সন্ধ্যার আগে টাইপ না করে রাখতাম।গল্পটা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম কিন্তু আজ এইটা তো কাল আরেকটা ঝামেলা আমার পিছু লেগেই আছে। দোয়া করবেন আমার হাতের ব্যথা যেন দ্রুত নিরাময় হয়।~